Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১২ জুন ২০২৩

তথ্যবিবরণী ১০ জুন ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২১১০

নির্বাচনে আসুন, দশ শতাংশ ভোট পান কি না পরখ করে দেখুন: বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম, ২৭ জ্যৈষ্ঠ (১০ জুন):

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘দয়া করে নির্বাচনের খেলা থেকে পালিয়ে যাবেন না। নির্বাচনে আসুন, অংশগ্রহণ করে আপনাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন, দশ শতাংশ ভোট পান কি না সেটি পরখ করে দেখুন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আমরা ওয়াকওভার চাই না। আপনারা নির্বাচনি খেলায় আসুন, আমরা খেলে বিজয় লাভ করতে চাই। আওয়ামী লীগ খেলে গোল দিতে চায় কিন্তু বিএনপি চায় খেলা থেকে পালিয়ে যেতে।’

আজ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে স্থানীয় সিরাজুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজ মাঠে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন আহমদ ও বোয়ালখালী উপজেলার প্রয়াত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নূরুল আলমের শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির এখন দুই ভীতি। একটা হচ্ছে নির্বাচন, আরেকটা হচ্ছে মানুষ। সেজন্য বিএনপি মহাসচিবসহ তাদের নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিশেষ করে নতুন মার্কিন ভিসা নীতি ঘোষণার পর বিএনপির মাথা আরো বেশি খারাপ হয়েছে। কারণ এখন বিএনপি আর নির্বাচন প্রতিহত এবং বর্জন করার কথা বলতে পারবে না, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে।’

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন- সুষ্ঠু নির্বাচন হলে নাকি আওয়ামী লীগ ১০ শতাংশ ভোটও পাবে না। ১৯৭৯ সালের নির্বাচন সময়ে জিয়াউর রহমান আমাদের ওপর ‘স্টিম রোলার’ চালিয়েছিল। চট্টগ্রাম শহরে বিএনপির ক্যাডারদের দা, কিরিচ আর লোহার রডসহ নামিয়ে দিয়ে মহড়া দেয়া হয়েছিল। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ঠিকমতো ভোট দিতে দেয়া হয়নি। সেই নির্বাচনেও আমরা ৩৩-৩৪ শতাংশ ভোট পেয়েছি। আসলে আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপি অংশগ্রহণ করেন তাহলে তারাই ১০ শতাংশের বেশি ভোট পাবে না।’

‘বিএনপিকে কেন মানুষ ভোট দেবে’ প্রশ্ন রেখে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সাড়ে তিন হাজার মানুষ পুড়িয়েছে। তার মধ্যে পাঁচ’শ জন মানুষ আগুনে পুড়ে মারা গেছে। চার হাজারের মতো গাড়ি পুড়িয়েছে এবং মানুষের সম্পত্তি জ্বালিয়ে দিয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে। বিএনপির এ জন্য মানুষের কাছে যেতে ভয়।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি এখন ঘাপটি মেরে বসে আছে। তারা আবার বের হয়ে জনগণের ওপর হামলা পরিচালনা করবে। তারা জানে নির্বাচনে জিতবে না, এখন চেষ্টা করবে দেশে গন্ডগোল লাগানোর। গন্ডগোল লাগিয়ে দেশে একটা বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু জনগণ তাদেরকে সেই সুযোগ আর দেবে না।’

ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাদের সাথে অন্যদের পার্থক্য আছে। সেই পার্থক্য প্রয়াত মোসলেম উদ্দিন আহমদ ও নূরুল আলমের জীবন সম্পর্কে আলোচনা করলে আমরা দেখতে পাই। এখন অনেকেই রেডিমেইড নেতা হতে চান, টাকা দিয়ে রাজনীতি কিনতে চান। আওয়ামী লীগের রাজনীতি কখনো টাকার কাছে বিক্রি হয় না, হবে না এবং বিক্রি হতে দেব না। রেডিমেইড নেতা হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ নয়। সেখানেই হচ্ছে আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপি কিংবা জাতীয় পার্টির পার্থক্য।’

ড. হাছান মাহ্‌মুদ আরো বলেন, ‘সামনে নির্বাচন, অনেক প্রার্থী আসবে নানা ধরনের কথা বলবে, তাদেরকে জিজ্ঞেস করবেন- আমরা যে রাস্তাগুলো করেছি সেগুলোতে গর্ত হলে তারা ভরাট করতে পারবে কি না? যাদের গর্ত ভরাট করার যোগ্যতা নেই তারা নানা সমালোচনা করে, আমাদের করা রাস্তা দিয়ে ফোর-হুইল গাড়ি চালিয়ে গিয়ে বলে- কোন উন্নয়ন হয়নি। যারা এরকম বলবে তাদেরকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে বলতে হবে আগের মতো কাদা মাড়িয়ে হেঁটে যাও।’

বোয়ালখালী উপজেলার উন্নয়নে সহায়তায় সবসময় সচেষ্ট থাকার কথা ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, বোয়ালখালীবাসীর অনেক প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর তীরে ভাঙ্গন রোধে ব্লক বসানো হয়েছে। রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এই এলাকা নিয়ে প্রয়াত মোসলেম উদ্দিন আহমদের অনেক স্বপ্ন ছিল উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, তার মধ্যে অন্যতম কালুরঘাট সেতু ইতিমধ্যে নীতিগতভাবে একনেকের প্রাথমিক স্তরে অনুমোদিত হয়েছে, চূড়ান্ত অনুমোদনও হবে। সড়ক এবং রেল দুটি মিলেই একটি সেতু হবে। এই সেতুর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নিজেই গুরুত্বসহকারে দেখছেন বলে জানান তিনি।

বোয়ালখালী আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় সভায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সাবেক সহসভাপতি এস. এম. আবুল কালাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

#

আকরাম/আরমান/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/২১৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২১০৯

 

নজরুলকে স্মরণ করলে সংস্কৃতি অন্ধ ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর ছায়ায় ঢেকে যাবে না

                                                                      -- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৭ জ্যৈষ্ঠ (১০ জুন) :   

 

          নৌপরিবহন  প্রতিমন্ত্রী  খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‌ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছেন এবং তাকে জাতীয় কবি হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। বঙ্গবন্ধু কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ এটিকে জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আমাদের কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম যখন আমাদের সাথে আছেন তখন আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড থেমে থাকতে পারে না। বাংলাদেশ পিছিয়ে যেতে পারে না। নজরুলকে সব সময় স্মরণ করতে হবে। তাহলে সংস্কৃতি অন্ধ ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর ছায়ায় ঢেকে যাবে না। বঙ্গবন্ধু দুই কবির চিন্তাভাবনার উন্মেষ ঘটিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু আমাদের বাঙালি পরিচয় দিয়েছেন, তিনি স্বাধীন দেশ দিয়েছেন।

 

          প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা নিয়ে বাঁশি, আবৃত্তি ও নৃত্যানুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড রাজনৈতিক বেড়াজালে আটকে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ই মে দেশে এসেছেন বলেই সংস্কৃতি বেঁচে গেছে। সংস্কৃত কর্মীরা বেঁচে গেছেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সাংস্কৃতিকেও এগিয়ে নিয়ে গেছেন। ৭৫ পরবর্তী সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি সংস্কৃতিকে প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতিকে ধরে রাখার জন্য তিনি প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।

 

          অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলা একাডেমির পরিচালক ডক্টর শাহাদাত হোসেন নিপু বক্তৃতা করেন। ‘বৈতরণী’ আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

 

#

 

জাহাঙ্গীর/আরমান/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/২০১৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ২১০৮

 

সরকার নির্বাচনি অঙ্গীকার অনুযায়ী নারীর

ক্ষমতায়ন ও শিশু কল্যাণে কাজ করছে

                ---আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্

 

বরিশাল, ২৭ জ্যৈষ্ঠ (১০ জুন):

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, বর্তমান সরকার নির্বাচনি অঙ্গীকার অনুযায়ী নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা, ও শিশু কল্যাণ নিশ্চিতকরেণে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সমাজে নারী ও শিশু নির্যাতন কঠোরভাবে দমনে কার্যকর কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করা হয়েছে। 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরালে বিভিন্ন পর্যায়ের নারী সংগঠকদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা দুস্থ মহিলা ভাতা এবং পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রমে শতভাগ নারীকে অন্তর্ভুক্তি করেছে। সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমসমূহে নারী অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দুস্থ মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচি, দরিদ্র নারী সমাজের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ দশটি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে এলাকার সর্বস্তরের নারী ও শিশুদের কল্যাণে অধিকতর কল্যাণধর্মী কার্যক্রম গ্রহণের পরামর্শ দেন। এ ব্যাপারে তিনি সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন।

                                            #

 

আহসান/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৯২৫ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ২১০৭

সচেতনতাই ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করতে পারে

                                    - স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ঢাকা, ২৭ জ্যৈষ্ঠ (১০ জুন):

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ ভূমিকম্পসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ। এর মধ্যে ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কোনো পূর্ব সর্তকতা জারির প্রযুক্তি এখনো আমাদের হাতে নেই। ফলে সচেতনতা ও সঠিক পরিকল্পনাই ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করার মূল উপায়।

মন্ত্রী আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সিনেট হলে ‘১৮৯৭ সালের ১২ জুন ভারতীয় উপমহাদেশের মহাভূমিকম্প স্মরণে ভূমিকম্প ঝুঁকি নিরসনে প্রস্তুতি এবং সতর্কতা’ বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. মোঃ এনামুর রহমান। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ভূমিকম্প সহনীয় পরিকল্পিত নগরায়ন করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, শহরে আমাদের উন্মুক্ত ও সবুজ স্থান লাগবে, জলাধার ও স্কুল-কলেজ লাগবে। এ সময় তিনি ২০২২ সালের ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী সাত দশমিক পাঁচ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় স্থাপনা তৈরির বাধ্যবাধকতা রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধে আমাদেরকে এ নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

ড. মোঃ এনামুর রহমান বলেন, ২০১৬ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে ঢাকা শহরে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ৭২ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হবে এবং দেড় লক্ষের উপর মানুষ নিহত হবে। সুতরাং ভূমিকম্পের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করার বিকল্প নেই এবং ভূমিকম্পের সময় করণীয় বিষয়ে সবাইকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

ড. মোঃ এনামুর রহমান আরো বলেন, ২০৭১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ভূমিকম্প সহনীয় দেশ হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার রয়েছে সরকারের। এ সময় তিনি যেসব স্থাপনা ভূমিকম্প সহনীয় করে গড়ে তোলা হয়নি সেগুলো সকলকে সাথে নিয়ে নির্ধারিত মানদন্ড যথাযথভাবে অনুসরণ করে নতুনভাবে তৈরি করতে হবে বলে জানান।

সেমিনারের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটি এবং ক্লাইমেট ও ডিজাস্টার রেজিলিয়েন্স ক্লাবের উদ্যোগে ‘ছোট ছোট ভূমিকম্পের ঘটনা বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বাড়ায়’ শীর্ষক বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করে আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এর ছাত্র-ছাত্রীরা।

#

 হেমায়েত/পাশা/আরমান/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/২০১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ২১০৬

আন্তর্জাতিক অ্যাকুয়াকালচার ও সি ফুড শো দেশের মৎস্য খাতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে

                                                                               -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা, ২৭ জ্যৈষ্ঠ (১০ জুন):       

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অ্যাকুয়াকালচার ও সি ফুড শো আয়োজন দেশের মৎস্য খাতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

আজ রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকুয়াকালচার অ্যান্ড সিফুড শো ২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অবহিতকরণ কর্মশালা ও প্রেস মিটে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, আগামী ১৯ থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকুয়াকালচার ও সি ফুড শো ২০২৩আয়োজন করা হচ্ছে। এটি হবে দেশের মৎস্য খাত নিয়ে সবচেয়ে বড় পরিসরের একটি আয়োজন। এ আয়োজন বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে, দেশের চাহিদা পূরণে এবং দেশে বিদেশি বিনিয়োগের একটা নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। এখানে জার্মানি, স্পেনসহ অন্যান্য দেশের মাছ আমদানিকারক, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা আসবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। তাদের কাছে আমাদের মৎস্য খাতের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরতে হবে। মাঠ পর্যায়ে তাদের কাজ করার সুযোগ ও ক্ষেত্র তুলে ধরতে হবে। এ আয়োজনে মৎস্য খাতের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্তদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার সেরা কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় আমরা বিশাল সমুদ্র সীমা জয় করতেপেরেছি। এর ফলে আমাদের জলজ সম্পদের এলাকা বিস্তৃত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় সমপরিমাণ আয়তনের সমুদ্রসীমা আমরা পেয়েছি। এটি আমাদের অপার সম্ভাবনাময় মৎস্য খাতের পরিসর আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, সমগ্র বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মিলে কাজ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি চমৎকার জায়গা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে যেসব বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করেছেন, সেখানে বিদেশি বড় বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে পারছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য কতটা বন্ধুত্বপূর্ণ জায়গা সেটা সারাবিশ্বে তুলে ধরতে হবে।

দেশের মৎস্য খাতের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে এ সময় মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে প্রায় ৬০ ভাগ প্রাণিজ আমিষের যোগান দিচ্ছে মাছ। প্রতিদিন মাথাপিছু ৬০ গ্রাম চাহিদার বিপরীতে আমরা ৬৭ দশমিক ৮ গ্রাম মাছ গ্রহণ করছি। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে করোনাকালে বিশ্বের যে ৩ টি দেশ মৎস্য উৎপাদনে সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ তার অন্যতম। অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ের মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ ৩য়, ইলিশ উৎপাদনে ১ম এবং বদ্ধ জলাশয়ের মাছ উৎপাদনে ৫ম। বিশ্বের অনেক বড় বড় দেশের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশ মৎস্য উৎপাদনের সক্ষমতা সাফল্যের সঙ্গে দেখাতে সক্ষম হয়েছে।

একটা সময় কিছু অসাধু ব্যক্তির কারণে মাছ রপ্তানি বিপন্ন অবস্থায় পড়েছিল উল্লেখ করে এ সময় মন্ত্রী আরো যোগ করেন, বিশ্ববাজারে নিরাপদ ও মানসম্মত মাছ রপ্তানির জন্য দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আন্তর্জাতিকমানেরমাননিয়ন্ত্রণ ল্যাবরেটরি করা হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের মাছ এখন গুণগতমানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় চমৎকার হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. তপন কান্তি ঘোষ এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যানলোকমান হোসেন মিয়া। সম্মানীয় অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক ওবাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক শ্যামল দাস।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী, রপ্তানিকারক ওবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-গবেষকবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

#

ইফতেখার/আরমান/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৮৫৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ২১০৫

 

ঢাকা ইলেক্ট্রিক কোম্পানি লিমিটেডের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যাকড হয়েছে

 

ঢাকা, ২৭ জ্যৈষ্ঠ (১০ জুন):

 

ঢাকা ইলেক্ট্রিক কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা হ্যাকড হয়েছে। বর্তমানে ডেসকোসহ সংশ্লিষ্ট সকল সাইবার টিম উক্ত পেইজটি পুনরুদ্ধারে কাজ করছে।

 পেইজটি পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত উক্ত পেইজে কোনো ম্যাসেজ আদান-প্রদান থেকে বিরত থাকা এবং যেকোনো পোস্ট এড়িয়ে চলার জন্য সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

 

                                                   #

আসলাম/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৯০৫ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ২১০৪

 

ঢাকা থেকে ভাঙ্গা ট্রেন চলাচল সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন হতে পারে

                                                                            ---রেলপথ মন্ত্রী

 

ভাঙ্গা (ফরিদপুর), ২৭ জ্যৈষ্ঠ (১০ জুন):

 

রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা ট্রেন চলাচল আগামী সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুবিধাজনক সময়ে উদ্বোধন করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

মন্ত্রী আজ ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশন উদ্বোধনকালে একথা বলেন।

 

মন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রেলপথের অনেক ক্ষতি হয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেলপথের কিছু উন্নয়ন করেছিলেন। এর পর শেখ হাসিনার সরকার ছাড়া কেউ রেলওয়ের উন্নয়নে কাজ করেনি বরং তারা লুটপাট করেছে। নির্মাণাধীন যমুনা নদীর বঙ্গবন্ধু রেলসেতু, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প, পদ্মা রেল প্রজেক্টসহ রেলওয়ের বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন তিনি।

 

মন্ত্রী কেরানীগঞ্জ ট্রেন স্টেশন নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশন উদ্বোধন করেন। এর পর ভাঙ্গা থেকে মধুমতি রেলসেতু পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন। শেষে মধুমতি সাইড ক্যাম্পের সভা কক্ষে প্রকল্পের কর্মকর্তাগণ পদ্মা রেল প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে মন্ত্রীকে অবগত করেন।

 

                                                      #

 

সিরাজ/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৮৪৭ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ২১০৩

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

 

ঢাকা, ২৭ জ্যৈষ্ঠ (১০ জুন):

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১০৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ৯৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।               

 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৫১ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৬ হাজার ৬২৭ জন।

 

                                                  #

 

সুলতানা/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৭৪৯ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর: ২১০২

 

বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলনে

যোগ দিতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ভারতের নয়াদিল্লী পৌঁছেছেন

                         

ঢাকা, ২৭ জ্যৈষ্ঠ (১০ জুন):

 

ভারতের নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিতব্য বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৩তম সীমান্ত সম্মেলনে যোগ দিতে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ভারতের নয়াদিল্লীতে পৌঁছেছেন। 

 

আজ বিজিবি মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ভারতের নয়াদিল্লীতে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে বিএসএফ মহাপরিচালক ড. সুজয় লাল থাওসেন বিজিবি মহাপরিচালককে অভ্যর্থনা ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। 

 

আগামীকাল ভারতের নয়াদিল্লীস্থ বিএসএফ চাওলা ক্যাম্পে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৩তম সীমান্ত সম্মেলন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করবেন।

 

আগামী ১৪ জুন সম্মেলনের ‘যৌথ আলোচনার দলিল (Joint Records of Discussion-JRD)’ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হবে। সম্মেলন শেষে একই দিনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল দেশে ফিরবেন।

 

                                                    #

শরীফুল/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৭২৭ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর: ২১০১

 

কলকাতায় বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে কৃষিমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

                         

ঢাকা, ২৭ জ্যৈষ্ঠ (১০ জুন):

 

আজ কলকাতায় ইসলামিয়া কলেজের (বর্তমানে মৌলানা আজাদ কলেজ) ছাত্রাবাস বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় কলকাতায় বাংলাদেশের উপ হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস উপস্থিত ছিলেন। 

 

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিরদিনই আমাদের দেশপ্রেম ও চেতনা জাগ্রত করার নিরন্তর উৎস। বঙ্গবন্ধু কৈশোর বয়সেই রাজনীতির সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছিলেন এবং মানুষের কল্যাণ-মঙ্গলের ব্রত গ্রহণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু কৈশোরে যে প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করতেন ও যে ছাত্রাবাসে থাকতেন; তা পরিদর্শনের মাধ্যমে আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাকে আরো শাণিত করতে পারি।

 

উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলকাতার ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র হিসেবে ১৯৪৫-৪৬ শিক্ষাবর্ষে বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষে থাকতেন। এই কক্ষটিকে বর্তমানে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ হিসেবে সংরক্ষণ করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

 

                                                        #

কামরুল/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৭১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ২১০০

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করতে হবে

                                                -কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৭ জ্যৈষ্ঠ (১০ জুন) :  

কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করেছে, জীবন বাজি রেখে আমাদের পাশে থেকে যুদ্ধ করেছে, আত্মত্যাগ স্বীকার করেছে। আমরা উভয় দেশ সব দিক থেকেই একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। যদিও অর্থনৈতিক ও ভৌগোলিক দিক থেকে ভারত বড় দেশ। তারপরও দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। অর্থনৈতিক, সামাজিক উন্নয়ন ও সাম্প্রদায়িকতা-ধর্মান্ধতা রুখতে এ দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্কে আরো দৃঢ় করতে হবে।

গতকাল কলকাতার পিয়ারলেস ইন হোটেলে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাঙালিদের যোগসূত্র বাড়ানোর সংগঠন ‘বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড’ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের আদর্শ নিয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেদিন থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এসব আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়নি। ধর্মনিরপেক্ষতা- অসাম্প্রদায়িকতার সাথে কোন আপোস করেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক সবসময়ই অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে, আন্দোলন- সংগ্রাম করেছে। কিন্তু বিএনপিসহ কিছু দল রয়েছে, যারা ক্ষমতায় আসার জন্য সবসময়ই ধর্মকে ব্যবহার করছে।  

মন্ত্রী আরো বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের বাঙালিরা শতাব্দীর পর শতাব্দী একসাথে থেকেছে। এখন বাস্তবতার কারণে দুটি দেশ এবং ভৌগোলিক অবস্থান ও রাষ্ট্রীয় পরিচয় ভিন্ন হলেও বাঙালিদের চিন্তা-চেতনা, খাদ্যাভ্যাস, জীবনাচরণ, ভাষা-সংস্কৃতিসহ প্রায় সবকিছুই এক ও অভিন্ন। সবাই মিলে একসাথে কাজ করলে বিশ্বে বাঙালিরা অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে পরিণত হতে পারে। 

সামাজিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে। সেই নির্বাচনে আমরা জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। ২০১৫ সালে আমরা দানা জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। সামাজিক সূচকগুলোতেও আমরা খুব ভালো ফল করেছি। অনেকক্ষেত্রে ভারতের চেয়েও এগিয়ে আছি।

বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এর সভাপতি এবং কলকাতা ও মুম্বাই হাইকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান ও ব্যারিস্টার আমীর-উল- ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রী বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আবদুল গাফফার চৌধুরীর ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র উন্মোচন করেন। 

#

কামরুল/জুলফিকার/রবি/সাঈদা/কলি/শামীম/২০২৩/১৫৩৩ ঘণ্টা

আজ বিকাল পাঁচটা

2023-06-10-16-16-64233cf3f50d1853c2c999078ed97e7e.docx