Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd জুলাই ২০২৩

তথ্যবিবরণী ২২ জুলাই ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ১৯৮

 

রাজনীতিক, কূটনীতিকদের সম্মানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা

 

ঢাকা, ৭ শ্রাবণ (২২ জুলাই):

 

          দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিক, বিদেশি কূটনীতিক, সংস্কৃতি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সম্মানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ আয়োজিত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যাটি ছিল মনোরম।

 

আজ রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ হলে অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান মন্ত্রী এবং তাঁর সহধর্মিণী নুরান ফাতেমা।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, ভূমিমন্ত্রী এম সাইফুজ্জামান চৌধুরী, সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

 

হাইকমিশনারদের মধ্যে ভারতের প্রণয় কুমার ভার্মা, যুক্তরাজ্যের সারাহ কুক, রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে জাপানের ইওয়ামা কিমিনোরি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের চার্লস হুইটলি, সৌদি আরবের ইসা বিন ইউসুফ আল দাহিলান, ফ্রান্সের চার্জ দ্য এফেয়ার্স গুইলমে অন্দ্রে দো কেন্দ্রেল প্রমুখ আয়োজনে উপস্থিত হন।

 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, বিটিভির মহাপরিচালক ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব নাঈমুল ইসলাম খান, নঈম নিজাম, সন্তোষ শর্মা, নাসিমা খান মন্টি, অভিনয়শিল্পী অরুণা বিশ্বাস, আরেফিন শুভ, নুসরাত ফারিয়া প্রমুখ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

 

তুষ্টি ও নেহরীনের উপস্থাপনায় কোনাল, অনুপমা মুক্তি, মেহরাব, সাব্বির প্রমুখ শিল্পীদের সংগীত পরিবেশনার সাথে নৈশভোজে অংশ নেন অতিথিবৃন্দ।

 

#

 

আকরাম/পাশা/আরমান/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/২২৩০ ঘণ্টা 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ১৯৭

রাজপথে যুবসমাজ বিএনপির ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে

                                  -- পানি সম্পদ উপমন্ত্রী

শরীয়তপুর, ৭ শ্রাবণ (২২ জুলাই) :  

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। ক্ষমতার লোভে উন্মত্ত বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত। তারুণ্যের পদযাত্রার নামে তারা যুবসমাজকে জঙ্গিবাদ, অস্ত্রবাজি ও মাদকের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তারা যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় যেতে চায় বলেই বিদেশিদের কাছে দেশের ভাবমূর্তি ধ্বংসের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে যুবসমাজকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

আজ শরীয়তপুর শিল্পকলা একাডেমি মাঠে জেলা যুবলীগ আয়োজিত তারুণ্যের জয়যাত্রা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

উপমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামাত সন্ত্রাসী সংগঠন। এদেশের মানুষ ভালো থাকুক, দেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকুক তা তারা চায় না। কারণ বিএনপির জন্মই হয়েছে গুম, খুন আর হত্যার রাজনীতির মাধ্যমে। তারা ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। ২০১৩-১৪ সালে অসংখ্য মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে। যেখানে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীদের পাওয়া যাবে সেখানেই দাঁত ভাঙা জবাব দিতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ, যুবসমাজ নিরাপদ।

উপমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচন ব্যবস্থাকে ভুন্ডল করতে চায়, তারা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নস্যাৎ করতে চায়। যুবলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলছি, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত যদি কোনো ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তাদের কঠোরভাবে প্রতিহত করবেন।

এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে সোনার বাংলার আধুনিক রূপ ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল পথ পরিক্রমায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’র পথে এগিয়ে যাবে দেশ। এই চলার পথে প্রধান শক্তি যুবরাই। শুধু দেশের উন্নয়নেই নয়, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকারীদের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলার পথকে মসৃণ করে যাচ্ছে যুবলীগ।

উপমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা এবং ডিজিটাল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন জননেত্রী হাসিনা। ২০২১ সালের মধ্যে তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই বাংলাদেশ সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তাই আগামী নির্বাচনে এদেশের জনগণ পঞ্চম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসবেন।

জেলা যুবলীগের সভাপতি এমএম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুহুন মাদবরের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. খালেদ শওকত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুক্তা আক্তার, সদস্য আসাদুজ্জামান আজম।

#

গিয়াস/পাশা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/২১৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ১৯৬

পরিচ্ছন্ন ও সবুজ পৃথিবী গড়তে জৈব জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতেই হবে

                                                               - বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৭ শ্রাবণ (২২ জুলাই) :  

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, পরিচ্ছন্ন ও সবুজ পৃথিবী গড়তে জৈব জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতেই হবে। জৈব জ্বালানি গ্রিনহাউজ গ্যাস কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হ্রাস করার একটি টেকসই কৌশলগত সমাধান দেয়। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই ও সুরক্ষিত জ্বালানি ব্যবস্থাপনার ভিত্তিই হবে জৈব জ্বালানি। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও এটি কার্যকর অবদান রাখবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ ভারতের গোয়াতে জি-২০ উপলক্ষ্যে “এনার্জি ট্রানজিশন মিনিস্টারিয়াল মিটিং”-এর সাইড লাইন মিটিং-এ “গ্লোবাল বায়োফুয়েলস অ্যালায়েন্সের উদ্বোধন” অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এই গ্লোবাল বায়োফুয়েলস অ্যালায়েন্সের প্রতি বাংলাদেশের অনুসমর্থন রয়েছে। সময় স্বল্পতার জন্য আন্তমন্ত্রণালয় সভা, বেটিং ইত্যাদি কার্য সম্পন্ন না হওয়ার আজ স্বাক্ষর করতে না পারলেও আমরা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এই সংগঠনের সাথে থাকবো। আমি আশা করি, এই জোট কাজের পথ সুগম করতে একত্রে একটি ভার্চুয়াল মার্কেটপ্লেস তৈরি করবে এবং একই সাথে প্রযুক্তি প্রদানকারীদেরকে শেষ ব্যবহারকারীদের সাথে সংযুক্ত করবে। শিল্প ও দেশগুলোকে তাদের চাহিদা ও সরবরাহের মানচিত্র তৈরি করে প্রয়োজনীয় টেকসই জৈব জ্বালানির অবাদ চলাচলেও গ্লোবাল বায়োফুয়েলস অ্যালায়েন্সের গৌরবময় অবদান রাখতে হবে।

বায়োফুয়েলস অ্যালায়েন্সের লক্ষ্য হবে সহযোগিতা সহজতর করা এবং টেকসই জৈব জ্বালানির ব্যবহার, বিশেষ করে পরিবহন খাতের জন্য। গ্লোবাল বায়োফুয়েলস অ্যালায়েন্সের অন্যতম প্রধান কাজ হবে, বাজার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা, বিশ্বব্যাপী জৈব জ্বালানি বাণিজ্যকে সহজতর করা এবং বিশ্বব্যাপী জাতীয় জৈব জ্বালানি কর্মসূচির জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার ব্যবস্থা করা।

ভারতের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস বিষয়ক মন্ত্রী Hardeep Singh Pori, ব্রাজিলের খনি ও জ্বালানি মন্ত্রী Alexandre Silveira de Oliveira, ইতালির পরিবেশ ও জ্বালানি নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী Gilberto Pichetto Fratin, সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্বালানি ও অবকাঠামো বিষয়ক মন্ত্রী Suhail Mohamed Al Mazrouei সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীগণ বক্তব্য রাখেন।

#

আসলাম/পাশা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৯৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ১৯৫

 

বান্দরবানে ৫৭ ফুট উচ্চতার গোল্ডেন বুদ্ধ মনিস্ট্রি বিহার

উদ্বোধন করলেন পার্বত্য মন্ত্রী

 

বান্দরবান, ৭ শ্রাবণ (২২ জুলাই):

 

বান্দরবানে নয়নাভিরাম ৫৭ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট গোল্ডেন বুদ্ধ মনিস্ট্রি (শোওয়ে রেদানাহ্ বুং ক্যং দঃগ্রী) বিহারের বুদ্ধ অভিষেক ও বিহারাধ্যক্ষ ফাং অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

আজ বান্দরবান সদরের লাল মোহন বাহাদুর বাগান এলাকায় নয়নাভিরাম বৌদ্ধবিহারটির অভিষেক অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। গোল্ডেন বুদ্ধ মিনিস্ট্রি বিহারের জায়গাটি মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং নিজের জমি হতে দান করেছেন।

 

প্রধান সড়কের পাশে সড়ক থেকে প্রায় ৫০ ফুট উচ্চতায় নির্মাণাধীন এই গোল্ডেন বৌদ্ধ ইতোমধ্যে নির্মাণ হয়েছে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের কারুকাজের আদলে একটি ৫৭ ফুট উচ্চতার দণ্ডায়মান বৌদ্ধ মূর্তি। বিহারে মূর্তির পাশে রয়েছে একটি সুদৃশ্য গেইট, দুইটি সিংহ, দুইটি ড্রাগন, দুইটি হাতি, একটি প্যাগোডা, একটি ফোয়ারা আর একটি আকর্ষণীয় আসনসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

 

বিহারে বুদ্ধ অভিষেক ও বিহারাধ্যক্ষ ফাং অনুষ্ঠানে শীল ও দেশনা প্রদান করেন, কুশুয়া মুখপাড়া বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত কিট্রিমা মহাথের, উজানীপাড়া রাজগুরু মহা বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ড. সুবন্নলংকারা মহাথের, গোল্ডেন বুদ্ধ মনিস্ট্রি বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত উইরাচারা থেসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষরা।

 

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোল্ডেন বুদ্ধ মনিস্ট্রি (শোওয়ে রেদানাহ্ বুং ক্যং দঃগ্রী) বৌদ্ধ বিহারের জমিসহ ক্যাং দাতা, পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংশৈ প্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংশৈ প্রু চৌধুরী, রাজপুত্র মংওয়ে প্রু, পার্বত্য মন্ত্রীর সহধর্মিণী মেহ্লা প্রু সহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের দায়ক-দায়িকা ও উপাসক-উপাসিকারা। পরে বুদ্ধ শাসনং চিরাই তিধ্ধাতু ৩ বার বলে রক্ত বৃষ্টি বর্ষণ, ধ্বজা উত্তোলন ও শান্তির পায়রা কবুতর উন্মুক্ত করা হয়।

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং স্থানীয় দানবীরদের অনুদান, পার্বত্য জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সার্বিক সহযোগিতায় এই গোল্ডেন বৌদ্ধ বিহারের কাজ শেষ করা হয়। উন্মুক্ত হওয়ার পর এই বৌদ্ধ মূর্তি দেখতে পূজারীদের পাশাপাশি পর্যটকদেরও ঢল নামবে।

 

#

 

রেজুয়ান/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৯৩০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ১৯৪

দেশকে সবুজে সবুজে ভরে তুলতে কাজ করছে বন বিভাগ

                                           - পরিবেশ ও বন মন্ত্রী

শেরপুর, ৭ শ্রাবণ (২২ জুলাই) :  

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সুস্থ পরিবেশে নাগরিকদের বেঁচে থাকার পরিবেশ সৃষ্টিতে দেশকে সবুজে সবুজে ভরে তুলতে কাজ করছে বন বিভাগ। সরকারের পাশাপাশি প্রত্যেকে অন্তত একটি করে বনজ, ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করতে হবে এবং সবুজ অর্থনীতিনির্ভর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, বৃক্ষরোপণে ময়মনসিংহ বন বিভাগের অর্জন অসাধারণ। হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনেও সফলতার সাথে এখানে কাজ করা হচ্ছে।

আজ শেরপুর ডিসি উদ্যানে আয়োজিত ‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’ প্রতিপাদ্যে ‘বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২৩’ এর উদ্বোধন ও ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এসব কথা বলেন।

এ সময় ময়মনসিংহ বন বিভাগের কর্মকাণ্ডের উল্লেখ করে বনমন্ত্রী বলেন, ময়মনসিংহ বন বিভাগে ২০১৮ সাল হতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৯ হাজার ৪৬৮ একর বাগান সৃজন করা হয়েছে। এছাড়া রাস্তার পাশে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে ২৭০ কিলোমিটার বাগান সৃজনের মাধ্যমে দুই লাখ সত্তর হাজার টি বিবিধ প্রজাতি বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে। এছাড়া বন বিভাগ নেত্রকোণা ও ময়মনসিংহ ৭০ কিলোমিটার সীমান্ত সড়কে সত্তর হাজারটি বৃক্ষের চারা রোপণ করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ময়মনসিংহ বন বিভাগে ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ৫ জেলায় মোট ২ হাজার ৬৬৫ জন উপকারভোগীকে বিকল্প জীবিকায়নের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে এবং ইতোমধ্যে ২ হাজার ১১১ জনকে সাত কোটি নয় লাখ আটান্ন হাজার ছয় শত চল্লিশ টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। এক কোটি বিয়াল্লিশ লাখ উনত্রিশ হাজার চার শত পঁচানব্বই টাকা ব্যয়ে মোট ১৫৬ টি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে । এসময় ১ টি বিভাগীয় বন কর্মকর্তার অফিস কমপ্লেক্স, ১ টি অফিসার ডরমেটরি, ২ টি রেঞ্জ অফিস, ১ টি বিট অফিস, ৩ টি স্টাফ ব্যারাক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।

পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব নিরসনে ময়মনসিংহ বন বিভাগে শেরপুর জেলায় ৮ কিলোমিটার সোলার ও বায়োফেন্সিং স্থাপনের কাজ প্রায় শেষের পথে। আরো ৫০ কিলোমিটার সোলার ও বায়োফেন্সিং স্থাপনের জন্য প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। বর্তমানে শেরপুর জেলার পাহাড়ি বনাঞ্চালে বন্যহাতির অভয়ারণ্য ও চলাচলের করিডোর ঘোষণার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া হাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ২০১৪ সাল থেকে অদ্যাবধি বিরানব্বই লাখ পঁচিশ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ময়মনসিংহ বন বিভাগে সামাজিক বনায়নের সাথে সম্পৃক্ত প্রায় ২০ হাজার ১২৬ জনকে এ পর্যন্ত প্রায় ৭৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে এবং প্রতি বছর প্রায় ৫ কোটি টাকা বিতরণ করা হতে থাকে। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর হতে এ পর্যন্ত প্রায় ১৮ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আতিউর রহমান আতিক, বন অধিদপ্তরের সুফল প্রকল্পের পরিচালক গোবিন্দ রায় এবং হোসাইন মুহম্মদ নিশাদ সহ স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

দীপংকর/পাশা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৯২০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ১৯৩

 

বাংলাদেশের সকল ইতিবাচক অর্জন আওয়ামী লীগের সময়ে হয়েছে

                                                  ---স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

কুমিল্লা, ৭ শ্রাবণ (২২ জুলাই) :

 

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা থেকে শুরু করে সকল ইতিবাচক অর্জন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অধীনে রয়েছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ইতিবাচকতার এই ধারা বজায় রাখতে হবে দেশ ও মানুষের স্বার্থে। মন্ত্রী আজ কুমিল্লা শহরে টাউন হল মিলনায়তনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্থানীয় সরকার এর ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা-০২ (তিতাস ও হোমনা) আসনের সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরী, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে উন্নয়নের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশে মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু যে যে অগ্রগতি অর্জন করেছিলেন তা ছিল অকল্পনীয়। অথচ নিন্দুকেরা এখন তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অর্জনকে যে রকম অস্বীকার করছে ঠিক একইভাবে বঙ্গবন্ধুর অর্জনকেও তখন মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল।

মন্ত্রী বলেন, একটা সময় বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৩৯০ ডলার যা এখন ২৮০০ ডলারের উপর, অন্যদিকে বাংলাদেশের গড় মাথাপিছু ঋণ একসময় ১০ হাজার ছিল যা বর্তমানে ৯৫ হাজার টাকা। আয় ও ঋণের অনুপাতে অগ্রগতি করার পরও নিন্দুকেরা ঋণের অংককে দেখিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ কখনো ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়নি এবং এই ঋণ দেশের জনগণের উন্নয়নে ব্যয় করা হয়েছে যার সুফল এখন মানুষ পাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তনের ফলে দেশ আজ দ্রুতগতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী এ সময় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে গ্রুপিং বা বিভাজন থাকলে সেই সুবিধা পুঁজি করে বিরোধীরা দেশে অরাজকতা এবং অস্থিরতা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় কুমিল্লার উন্নয়নে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, কুমিল্লা জেলার উন্নয়নে যখন যতটুকু দরকার তা বরাদ্দ দিতে কখনো কার্পণ্য করিনি। কিন্তু সেই অর্থ সঠিকভাবে এবং সঠিক সময়ে ব্যয় করার দায়িত্ব আপনাদের। কুমিল্লা জেলায় পানি সরবরাহ এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য কুমিল্লা ওয়াসার প্রতিষ্ঠা প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে জানিয়ে বলেন, আধুনিক ও উন্নত কুমিল্লা জেলার জন্য এটি একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এছাড়া কুমিল্লা জেলার উন্নয়নে দাতা সংস্থা যেমন বিশ্ব ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক অথবা জাইকার সহায়তায় যে কোন প্রকল্প নিতে তিনি সর্বতো সহযোগিতা করবেন বলেও জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

                                               #

হেমায়েত/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৯০৪ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ১৯২

লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা গভীর মনস্তাত্ত্বিক ক্ষত সৃষ্টি করে

                                                     -- আইনমন্ত্রী

ঢাকা, ৭ শ্রাবণ (২২ জুলাই) :  

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা একটি বদ্ধমূল সমস্যা এবং এর প্রভাব অনেক বেশি বিস্তৃত। তিনি বলেন, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ছাড়াও পরিবার, সম্প্রদায় এবং সামগ্রিকভাবে জাতিকে প্রভাবিত করে। এই সহিংসতা কেবল শারীরিক ক্ষতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি গভীর মনস্তাত্ত্বিক ক্ষত সৃষ্টি করে, পারিবারিক কাঠামোকে ব্যাহত করে এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্তরে ক্ষতিগ্রস্তদের অগ্রগতিতে বাধা দেয়।

আজ রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘জেন্ডার-বেইজড ভায়োলেন্স বেঞ্চ বুক লঞ্চ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে ইউএসএআইডি’র প্রোমোটিং পিস অ্যান্ড জাস্টিস অ্যাকটিভিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে ‘জুডিসিয়াল বেঞ্চ বুক অন অ্যাড্রেসিং জেন্ডার-বেইজড ভায়োলেন্স ইন বাংলাদেশ’ এবং ‘বাংলাদেশ জুডিসিয়াল বেঞ্চ বুক অন দ্য প্রিভেনশন অভ অপ্রেশন এগেইনস্ট উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন অ্যাক্ট, ২০০০’ নামক দুটি বেঞ্চ বুক লঞ্চ করা হয়।

আইনমন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগ ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা মোকাবিলা এবং প্রশমনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আদালত এই ধরনের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে, যাতে তারা প্রতিকার পায় এবং অপরাধীদের জবাবদিহি করতে পারে। এমন প্রেক্ষাপটে, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা বিষয়ক মামলার জটিল বিষয়গুলোর সহজ সমাধানে বিচার বিভাগীয় বেঞ্চ বুক দুটি বিচারকদের সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।

আনিসুল হক বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সকল স্তরের মানুষের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সমাজের দুর্বল ও অসহায় মানুষদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যাপক পরিসরে আইনি, প্রশাসনিক এবং নীতিগত সংস্কার করেছে।

মন্ত্রী বলেন, নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করার বিষয়ে সু-দৃষ্টি দিয়েই তাঁর সরকার ২০০০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং ২০১০ সালে পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইনের মতো গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়ন করেছে। ২০১২ সালে পর্নোগ্রাফি (নিয়ন্ত্রণ) আইন এবং মানব পাচার প্রতিরোধ আইন করেছে৷ এই আইনগুলো সহিংসতা এবং লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তিশালী স্তম্ভ হিসাবে দাঁড়িয়েছে৷

মন্ত্রী আরো বলেন, নারী ও শিশুরা মানব পাচারের প্রধান লক্ষ্যবস্তু। এই ঘৃণ্য অপরাধ দমনে কৌশলগতভাবে ৭টি বিভাগীয় সদরে ৭টি মানব পাচার বিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধের লক্ষ্যে সরকার দেশব্যাপী ১০১টি বিশেষায়িত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি উল্লেখযোগ্য নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করেছে। এই দূরদর্শী পদক্ষেপগুলো নারী ও শিশুদের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ রক্ষাকবচ হিসেবে করেছে।

আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস, ইউএসএআইডি’র ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি মিশন ডাইরেক্টর সোনজাই রেনোল্ডস-কুপার, প্রোমোটিং পিস অ্যান্ড জাস্টিস অ্যাকটিভিট‘র চিফ অভ পার্টি হেদার গোল্ডস্মিথ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।    

#

রেজাউল/পাশা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৮৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ১৯১

 

বাংলাদেশের ফোয়েল-মিক্সে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে

                                                                            ---বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৭ শ্রাবণ (২২ জুলাই) :

 

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের ফোয়েল-মিক্সে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। জ্বালানি বৈচিত্র্য, পরিচ্ছন্ন জ্বালানি এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন কৌশল গ্রহণ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে কাজ করা হচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি হতে ৪০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে সরকার এগুচ্ছে।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ ভারতের গোয়াতে জি-২০ উপলক্ষ্যে “এনার্জি ট্রানজিশন মিনিস্টারিয়াল মিটিং”-এ বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য উৎস হতে ১১৯৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হলেও ৮২৫ দশমিক ২৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গ্রিডে আসে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে ৩০টি প্রকল্পের মাধ্যমে আরো ১ হাজার ২৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প চলমান এবং ৮ হাজার ৬৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। অর্থাৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে ৯ হাজার ৯৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন পাইপ লাইনে আছে।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৬ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে অফ-গ্রিড এলাকায় বসবাসরত ২০ মিলিয়ন লোককে আলোকিত করা হচ্ছে। সোলার মিনিগ্রিডের মাধ্যমে অফ-গ্রিড এলাকায় গ্রিডের মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে। ৭টি সোলার পার্ক করা হয়েছে। আমাদের প্রায় ১০০,০০০ টি বায়ুগ্যাস প্লান্ট রয়েছে। National Renewable Energy Laboratory (NREL)-এর সহযোগিতায় বাংলাদেশে উইন্ড রিসোর্স ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। ৫টি প্রকল্পের মাধ্যমে ২৪৫ মেগাওয়াট বায়ু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নেপাল ও ভূটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়াও সামান্তালে চলছে। সমন্বিত জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনাতেও নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। এখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি (সৌর, বায়ু এবং হাইড্রো ইত্যাদি), পারমাণবিক, বিদ্যুৎ আমদানি (হাইড্রো), হাইড্রোজেন, অ্যামোনিয়া, সিসিএস (কার্বন ডাই অক্সাইড) ক্যাপচার এবং কম্বাইন্ড সাইক্যাল পাওয়ার প্লান্ট নিয়ে পরিকল্পনা সন্নিবেশিত রয়েছে।

 

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল করায় প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ চলে গেছে। এই সাহসী পদক্ষেপ সবুজ এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানির প্রতি আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিচ্ছবি। একটি ঘনবসতিপূর্ণ জাতি হিসাবে আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প বাস্তবায়নে অনন্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবহারের ধরন অনেক উন্নত দেশ থেকে আলাদা এবং  সৌরশক্তি বেস লোড  পাওয়ার হিসাবে এখানে অনুপযুক্ত। সৌর প্রকল্পের জন্য জমির অভাব একটি বড় বাধা। এই চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করতে  প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং গবেষণা প্রয়োজন। নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষ করে বর্জ্য থেকে জ্বালানি এবং বায়ু বিদ্যুতে ব্যাপক বিনিযোগ প্রয়োজন। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগকে আমরা স্বাগত জানাবো।

 

ভারতের বিদ্যুৎ এবং নতুন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি মন্ত্রী R K Singh, ব্রাজিলের খনি ও জ্বালানি মন্ত্রী Alexandre Silveira de Oliveira, ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী Arifin Tasrif, COP 28 এর সভাপতি (মনোনীত) Dr. Sultan Al Jaber, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী Dr. Pramod Sawant সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীগণ বক্তব্য রাখেন। উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও বার্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন। 

                                                      #

আসলাম/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৮৩১ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ১৯০

                                                                                                                                                                                                    

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ৭ শ্রাবণ (২২ জুলাই) :    

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ সময় ৫১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।                 

 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৬৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১০ হাজার ৮৭৬ জন।

 

#

 

সুলতানা/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৭২৬ ঘণ্টা 

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার

2023-07-22-16-44-11139f638c9166bf9507144e69a7a080.docx