তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬০১
বিএনপিকে জনগণ কালো পতাকা ও বিদেশিরা লাল পতাকা দেখিয়েছে
-- পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ মাঘ (২৭ জানুয়ারি):
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি না কি কালো পতাকা মিছিল ডেকেছে। অথচ বিএনপির নির্বাচন ভন্ডুলের চক্রান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেশের জনগণ নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনর্নির্বাচিত করে বিএনপিকে ইতিমধ্যেই কালো পতাকা দেখিয়ে দিয়েছে।
পাশাপাশি নির্বাচনের আগে যে বিদেশিদের কাছে বিএনপি বারবার ধর্ণা দিয়েছিল, তারাও নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে, নির্বাচনের প্রশংসা করেছে, শেখ হাসিনার সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে একসাথে কাজের আগ্রহ ব্যক্ত করেছে অর্থাৎ বিদেশিরাও বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়েছে, বলেন মন্ত্রী।
আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেব্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘শান্তি ও গণতন্ত্র’ সমাবেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
নির্বাচনের পর কার্যত এটিই আওয়ামী লীগের প্রথম সমাবেশ এবং এ সমাবেশ থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে পুনর্নির্বাচিত করার জন্য দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানাই, উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ।
একইসাথে মন্ত্রী সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেন, 'ইঁদুর যেমন গর্ত থেকে উঁকি দেয় তেমনি বিএনপিও এখন গর্ত থেকে উঁকি দিচ্ছে, তারা আবার দেশে অশান্তি তৈরির অপচেষ্টা চালাবে। এজন্য দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগ রাজপথের দল, রাজপথে সবসময় থাকবে।'
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভপতিমণ্ডলীর সদস্য মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, এডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, হান্নান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হকসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
#
আকরাম/পাশা/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/২২৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬০০
প্রতিটি শিশু পরিবারের ব্যবস্থাপনার মান আরো উন্নত করতে হবে
-- সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ মাঘ (২৭ জানুয়ারি):
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিশু পরিবারে নিবাসীদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পারদর্শিতা দেখে মনে হয় তারা ভালো আছে। তাদের জন্য আরো ভালো পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। প্রতিটি শিশু পরিবারের ব্যবস্থাপনার মান আরো উন্নত করতে হবে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন সরকারি শিশু পরিবার ও আবাসিক প্রতিষ্ঠানের নিবাসীদের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ সচিব মোঃ খায়রুল আলম সেখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, শিশুদের পরিচর্যার মান আরো উন্নত করতে হবে, তাদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ কার্যক্রমগুলো আরো অনেক জোরদার করতে হবে। যাতে এই নিবাসীদের মাঝে থেকে দেশের অনেক ভালো ক্রীড়াবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বেরিয়ে আসে।
এর আগে মন্ত্রী বিভিন্ন ইভেন্টে একক ও দলগত বিজয়ীদের হাতে মেডেল, ট্রফি ও সার্টিফিকেট তুলে দেন। উল্লেখ্য, সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত ঢাকা বিভাগের ১৩টি জেলার ২৬টি প্রতিষ্ঠানের নিবাসীদের অংশগ্রহণে দু’দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
#
জাকির/পাশা/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/২২৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৯৯
২০২৩ এর নির্বাচনে মানুষ শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন
-- সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
চাঁদপুর, ১৩ মাঘ (২৭ জানুয়ারি):
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেছেন, ২০২৩ সালের নির্বাচনে মানুষ শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন। এই নির্বাচনটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র যেন কোনোভাবেই সফল না হয়, আমাদের গণতন্ত্র উন্নয়নের অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে, যেন তৃতীয় কোনো শক্তির উত্থান না ঘটে, যেন এই দেশে গণতন্ত্র বিপর্যস্ত না হয়।
মন্ত্রী আজ চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে এক রাজনৈতিক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বিরোধী রাজনৈতিক দল নিয়ে বক্তব্য প্রদানকালে বলেন, তাদেরকে যদি নিশ্চয়তা দেয়া হয় যে তারা নির্বাচনে জয়ী হবেন, সরকার গঠন করবেন তা হলে তারা নির্বাচন করবেন। তাহলে তাদের নির্বাচনের মানে কি? খেলার মাঠে নামার আগে যদি প্রতিযোগীদের বলে দেয়া হয় যে তুমি খেলায় জিতবা, পুরস্কারটা তুমি পাবা তাহলে এ খেলা দেয়ার মানে, এইটাই পাতানো খেলা। কিন্তু নির্বাচন হচ্ছে, নির্বাচনী মাঠে মানুষের কাছে যাবে, মানুষের মতামত নিবে মানুষ তোমাকে যে রায় দেবে সে রায় তোমাকে মেনে নিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, তখন যারা দুর্নীতি করেছে, দুঃশাসন চাপিয়ে দিয়েছে, যারা মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, শ্রমিক কাজ চাইলে তার উপর নির্যাতন করেছে, সমস্ত কলকারখানা বন্ধ করে দিয়েছে, যারা কৃষক তারা সার চাইলে তাদেরকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে, মানুষ পানি চাইলে তাদেরকে হত্যা করেছে, বিদ্যুৎ চাইলে হত্যা করেছে, এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে পারে নাই, শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া স্বয়ংসম্পূর্ণ খাদ্য উৎপাদনের দেশকে আবার খাদ্য ঘাটতির দেশ বানিয়েছে। সেই রকম একটা দুর্নীতিবাজ দুঃশাসন, যারা ২০০১ এর নির্বাচনের পর থেকে সারা দেশটাকে একটা সন্ত্রাসীদের, জঙ্গিবাদীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিল, যারা বাংলাদেশটাকে একটা হত্যা, ধর্ষণ, মৃত্যু, নির্যাতনের ভয়াল জনপদে পরিণত করেছিল। তাদের দুর্নীতি দুশাসন দুষ্কর্মের কারণে ২০০৮ সালে সারা বিশ্বব্যাপী এবং সারা দেশের মানুষ সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হিসেবে যেটা গ্রহণ করেছিল, সেই নির্বাচনে যারা মাত্র ২৯টি পরে আরো ১টি সহ ৩০টি আসন পেয়েছিল। ২০ দলীয় জোট করে ৩০টি আসন তারা পেয়েছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা এরকম হারা হেরেছে, তারপর ২০১৪ সালে দুষ্কর্মের কারণে নির্বাচন করেনি। নির্বাচন প্রতিহত করার নামে মানুষের উপরে অত্যাচার নির্যাতন করেছে। ২০১৮ সালে আবার মনোনয়ন বাণিজ্য করে, ঢাকা থেকে একটা মনোনয়ন দেয়, লন্ডন থেকে আরেকটা মনোনয়ন দেয়, এসব নানান কিছু করে, তারা সেই নির্বাচনেও একেক এলাকায় ৫/৬ জন করে মনোনয়ন দিয়ে রেখেছিল। কাজেই সেই নির্বাচনেও তারা একটা ভরাডুবির মধ্যে পড়েছে। এখন ২০২৩ সালের নির্বাচনে, যখন বুঝেছে একেবারে ভয়াবহ বিপর্যয় তাদের সামনে, তখন তারা নির্বাচন বর্জন করেছে। নির্বাচন বর্জন করা ছাড়া তাদের কোনো উপায় নেই, কারণ তাদেরকে কেউ ভোট দেবে না।
কিছু লোকের কাছে আমাদের শুনতে হয়, এই সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদীরা এরা অংশ না নিলে নাকি গণতন্ত্র হয় না। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ তো গণতান্ত্রের অংশ না। মানুষের অধিকারের মধ্যে তো কোনো সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ নাই। যারা মানুষকে ভাত দিতে পারে নাই, ভোটের অধিকার দিতে পারে নাই, বরং ভাতের অধিকার ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা গত ৪৩ বছর বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকারের জন্য একটানা সংগ্রাম করেছেন। কাজেই মানুষ শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে।
#
জাকির/পাশা/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/২২৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৯৮
মহাকবি তাঁর সাহিত্যে গভীর দেশাত্মবোধকে জাগ্রত করেছেন
-- জনপ্রশাসন মন্ত্রী
কেশবপুর (যশোর), ১৩ মাঘ (২৭ জানুয়ারি):
জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যকে আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রসিদ্ধ করেছেন। তাঁর প্রতিটি সাহিত্যে গভীর দেশাত্মবোধ জাগ্রত।
আজ যশোরের কেশবপুরে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০তম জন্মবার্ষিকী ও ৯ দিনব্যাপী মধু মেলার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মাইকেল মধুসূদন দত্তের শক্তিশালী লেখনী বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। তিনি বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব দরবারে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
যশোরের জেলা প্রশাসক ও মধু মেলা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবরাউল হাসান মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য আজিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন, যশোর পৌর সভার মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ, কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল ইসলাম, ড. কুদরত ই খোদা, প্রভাষক কানাই লাল ভট্টাচার্য।
#
সাদিক/পাশা/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/২০৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৯৭
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন আম্বিয়ান্তে ফেয়ারের জিএম
ঢাকা, ১৩ মাঘ, (২৭ জানুয়ারি) :
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন আম্বিয়ান্তে ফেয়ারের জিএম উইস্টন পেরেইরা।
মন্ত্রী ‘আম্বিয়ান্তে ফেয়ার’-এ অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি আম্বিয়ান্তে ফেয়ার আয়োজকদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের অংশ হিসেবে এ সৌজন্য সাক্ষাতের আয়োজন করা হয়।
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাসহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ ২য় পাট উৎপাদনকারী দেশ। বাংলাদেশে অতি উন্নতমানের পাট উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশের উদ্যোক্তাগণ পাট দিয়ে ২৮২ ধরনের বহুমুখী পাটজাত পণ্য উৎপাদন করছে, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়।
মন্ত্রী আম্বিয়ান্তে ফেয়ারের জিএম উইস্টন পেরেইরাকে বাংলাদেশে ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান। উইস্টন পেরেইরা বাংলাদেশের পাটজাত পণ্যসহ বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিদর্শনের আগ্রহ ব্যক্ত করেন। মন্ত্রী উইস্টন পেরেইরাকে বহুমুখী পাটজাত পণ্য উপহার দেন।
এর আগে মন্ত্রী জার্মান দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজ বিজ্ঞানী, রাজনৈতিক তাত্ত্বিক, সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবী ও সমগ্র মানব ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের একজন কার্ল মার্ক্সের স্মৃতি বিজড়িত ত্রিয়র শহরে কার্ল মার্ক্স জাদুঘর পরিদর্শন ও ভিজিটর বুকে স্বাক্ষর করেন।
#
সৈকত/পাশা/মোশারফ/শামীম/২০২৪/২০১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৯৬
তৃণমূল পর্যায়ে চিকিৎসা উন্নতি করাই হলো আমার প্রথম কাজ
---স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ১৩ মাঘ (২৭ জানুয়ারি):
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নতি করতে হলে তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ জোর দিতে হবে। এই তৃণমূল পর্যায়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নতি করাই হবে আমার প্রথম কাজ।’
আজ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনকালে একথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, অধ্যক্ষসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর চিকিৎসক হওয়া শুরু উল্লেখ করে অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে মেডিকেল চিকিৎসা শিক্ষা নিয়েছি বলেই আমি ডাক্তার হয়েছি। পরবর্তীতে মন্ত্রীও হয়েছি। সুতরাং এই চট্টগ্রাম থেকেই আমার কাজ শুরু হলো।’
চিকিৎসকদের তৃণমূল হাসপাতালে পাঠানো প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চিকিৎসকদের তৃণমূলে পাঠাতে ও রাখতে কাজ করব, তবে একই সাথে আমাদেরকে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দেয়ার কথাটিও ভালো করে মনে রাখতে হবে। আমার হাসপাতাল শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের পটুয়াখালীর একটি মেয়ের ওপর আক্রমণ হলো, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা হাসপাতালে কিছুদিন আগেই আক্রমণ হলো। এগুলোও আমাদেরকে ভাবতে হবে। তবে, আমরা মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আর পিছিয়ে থাকব না, আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি, আমরা এগিয়ে যাবো।
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী দুদিনের সরকারি সফরের প্রথম দিনে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন এবং বিকেলে সেখানে স্থানীয় বিভিন্ন তৃণমূল স্বাস্থ্যকর্মী ও অন্যান্য চিকিৎসক, নার্সদের সাথে আলাদা করে একটি মতবিনিময় সভা করেন। একইভাবে, আজ (২৭ জানুয়ারি) স্বাস্থ্যমন্ত্রী সকাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং বিভাগীয় পর্যায়ের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন।
#
মাইদুল/পাশা/মোশারফ/আব্বাস/২০২৪/২০৩৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৯৫
শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন বলেই সমাজ গড়ার কাজ করতে পারছি
-- সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
চাঁদপুর, ১৩ মাঘ (২৭ জানুয়ারি):
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা পাঁচ বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন বলেই আমরা একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়ায় কাজ করতে পারছি। একটানা ১৫ বছর দেশ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বলেই পিছিয়েপড়া মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী আজ চাঁদপুর সরকারি শিশু পরিবার ও সরকারি বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সমাজের প্রান্তিক মানুষদেরকে প্রশিক্ষণ, শিক্ষা ও আর্থিক সহায়তাসহ থাকার ঘর দিয়ে উন্নয়নের মূলধারায় নিয়ে আসার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। আর এসব উন্নয়ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয়েছে, যা অন্য কোনো সরকার করতে পারেনি।
দীপু মনি বলেন, আমাদের এ প্রতিষ্ঠানগুলো ভালোভাবে চালাতে হবে। সব সংকট ও সমস্যা দূর করতে হবে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিবাসী সব শিশু রয়েছে। তারাও যেন অন্যসব শিশুদের মতো সমান সুযোগ পেয়ে যোগ্য মানবিক সৃজনশীল মানুষ হয়ে সুযোগ্য নাগরিক হওয়ার সুযোগ সুবিধা পায় সেটি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সরকার সেই কাজটি করার চেষ্টা করছেন।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম, চাঁদপুর সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রজত শুভ্র সরকার এবং স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
জাকির/পাশা/সঞ্জীব/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/২০২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৯৪
খাগড়াছড়িতে ৭৫ জন নারী উপকারভোগীর মাঝে
ল্যাপটপ বিতরণ করলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্র্রী
খাগড়াছড়ি, ১৩ মাঘ (২৭ জানুয়ারি):
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্র্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, প্রযুক্তি বাংলাদেশের নারী-পুরুষ সকলের আর্থিক স্বচ্ছলতা এনে দিয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলের যেসব নারী বাইরে কাজ করতে গিয়ে পরিবারের বাধার মুখে পড়েন, তাঁরাপ্রযুক্তির মাধ্যমে এখন ঘরে বসেই আয় করতে পারছেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোত্তম নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করে নারীদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিসহ আত্মকর্মসংস্থানের প্লাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছে সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়সহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
আজ খাগড়াছড়ি জেলার অফিসার্স ক্লাবের অডিটোরিয়ামে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘হার পাওয়ার প্রজেক্ট’ এর প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে খাগড়াছড়িতে ৭৫ জন নারী উপকারভোগীর মাঝে ল্যাপটপ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পাহাড়ে শান্তি, সম্প্রীতি-সহাবস্থান নিশ্চিত করতে সকল নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।
খাগড়াছড়ি তথ্য ও যোগাযোগ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ই-কমার্স প্রফেশনাল ক্যাটেগরিতে ৩ উপজেলার ২৫ জন করে মোট ৭৫ জন নারীর মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রুমানা আক্তার, সদর উপজেলার ইউএনও নাঈমা ইসলাম, মাটিরাঙ্গার ইউএনও ডেজী চক্রবর্তী ও দীঘিনালার ইউএনও মো. মামুনুর রশীদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হার পাওয়ার উপ-প্রকল্প পরিচালক নিলুফা ইয়াসমিন। প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার উপকারভোগী তেজশ্রী চাকমা।
উল্লেখ্য, তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় দেশের ৪৪টি জেলার মধ্যে মোট ১৩০টি উপজেলায় তথ্য প্রযুক্তিতে নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে চারটি ক্যাটেগরিতে মোট ২৫ হাজার ১২৫ জন নারীকে ৫ (পাঁচ) মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা, মাটিরাঙ্গা ও দিঘীনালা এই তিন উপজেলায় নারীদের জন্য নারী ই-কমার্স প্রফেশনাল, নারী ফ্রি-ল্যান্সার, নারী কল সেন্টার এজেন্ট ও নারী আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ই-কমার্স প্রফেসনাল ক্যাটেগরিতে ৩ উপজেলায় ২৫ জন করে মোট ৭৫ জন নারী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে। দিঘীনালা উপজেলা, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ও মাটিরাঙ্গা প্রতিটি উপজেলা থেকে ১৮৫ জন করে মোট ৫৫৫ জন নারী চার ক্যাটেগরিতে ৫ মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ লাভের সুযোগ পাচ্ছে।
#
রেজুয়ান/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/২০০২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৯৩
গাজায় গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশকে স্বাগত
-- পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ মাঘ (২৭ জানুয়ারি):
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) শুক্রবার ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা বন্ধে যে রায় দিয়েছে, সেটাকে আমরা স্বাগত জানাই।
মন্ত্রী বলেন, এ রায়কে আমরা ইতিমধ্যে সমর্থন জানিয়েছি। আমরা মনে করি, ফিলিস্তিনি যে গণহত্যা হচ্ছে, মানবতার বিরুদ্ধে যে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে- সেটি বন্ধ করার ক্ষেত্রে এ রায় সহায়ক হবে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ এ বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি কূটনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। আমরা আশা করি, ইসরায়েল আইসিজের রায় মেনে চলবে এবং গণহত্যা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে আজ ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় যুক্তরাজ্যের হাউজ অভ্ কমন্সের ‘অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ অন বাংলাদেশ’র ভাইস-চেয়ার লেবার পার্টির এমপি বীরেন্দ্র শর্মার (Virendra Sharma) নেতৃত্বে ৪ জন এমপিসহ ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে গাজায় গণহত্যা বন্ধে আইসিজের রায় নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক বিষয়ে মন্ত্রী জানান, তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা বলেন, ১০ বছর আগে যখন ঢাকায় এসেছিলাম, তখন ট্র্যাফিক জ্যাম পোহাতে হয়েছিল। আজ বিমানবন্দর থেকে খুব সহজেই এখানে চলে আসতে পেরেছি। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রযাত্রার কারণেই সম্ভব হয়েছে।
হাছান মাহমুদ উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। দেশটি বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন অংশীদার। আমাদের দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিনিয়োগ রয়েছে ইউকে'র। বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক আরো গভীর করার উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ এমপিবৃন্দ সফরে এসেছেন। এ দেশের সংসদের সাথে ইউকে সংসদের সম্পর্ক আরো বৃদ্ধিও এই সফরের উদ্দেশ্য।
আলোচনায় রোহিঙ্গা-রাখাইন পরিস্থিতি
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র স্থায়ী সমাধান। তারাও আমাদের সাথে একমত পোষণ করেছেন। কিছুদিন আগে ন্যাম সামিটে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে এ বিষয়ে যে আলোচনা হয়েছিল, সেটিও আজকের বৈঠকে আমাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
রাখাইনে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে দেশের অবস্থান প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, এই উত্তেজক পরিস্থিতি কিছু দিন ধরেই চলছে। আমাদের সীমান্তরক্ষীরা অনেক আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে আছেন। আমরা এ বিষয়ে সবসময়ই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চেয়েছি। আমরা মনে করি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে যদি মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়, তাহলে তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাধ্য হবে।
নতুন করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার কারণে ইতোমধ্যেই আমরা ভারাক্রান্ত। প্রতিবছর ৩৫ হাজার করে রোহিঙ্গা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। মানবিক কারণে তখন আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলাম। আমরা মনে করি, মিয়ানমারের পরিস্থিতি উন্নয়নের মাধ্যমে এই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
দেশে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ বৃদ্ধির আলোচনা
বাংলাদেশে ইউকের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছে, জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কৃষি এবং আইসিটি খাতে বিনিয়োগ করার যে সুযোগ রয়েছে, এ বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ দুটো খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার সামর্থ্য রাখেন এবং অনেকের মধ্যে বিনিয়োগের আগ্রহও তৈরি হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে আমাদের কৃষি খাতে প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে, বিশেষ করে যান্ত্রিকীকরণে। ১৫ বছর আগে হালের বলদ দিয়ে চাষাবাদ করা হতো, এখন হয় না, কদাচিৎ দেখা যায়। আগে ধান মাড়াই কীভাবে হতো, এটি এখন আমরা ছবিতে বা ভিডিওতে দেখি। এখন ধান মাড়াই হয় আধুনিক পদ্ধতিতে।
বৈঠকে উপস্থিত পাঁচ দিনের সফরে আসা যুক্তরাজ্যের হাউজ অভ্ কমন্সের অন্য সদস্যরা হলেন কনজারভেটিভ পার্টির এমপি ও সাবেক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল অর্থনীতি মন্ত্রী পল স্কালি (Paul Scully), লেবার পার্টির এমপি ও পররাষ্ট্র বিষয়ক সিলেক্ট কমিটির সদস্য নিল কোয়েল (Neil Coyle), বিরোধীদলীয় (লেবার পার্টি) হুইপ লেবার পার্টির এন্ড্রু ওয়েস্টার্ন (Andrew Western)।
একইসাথে সফররত হাউজ অভ কমন্সের সিনিয়র পার্লামেন্টারি এসিস্ট্যান্ট ডোমিনিক মোফিট (Dominic Moffitt), কুইনস কমনওয়েলথ ট্রাস্টের উপদেষ্টা ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান কানেক্ট চেয়ারম্যান জিল্লুর হুসেইন (Zillur Hussain) ও কানেক্ট এর প্রধান নির্বাহী ড. ইভলিনা বানায়ালিভা (Ivelina Banyalieva) এবং কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. সুমন চৌধুরী বৈঠকে যোগ দেন।
#
আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৯২
কৃষকদের সঙ্গে প্রথম উঠান বৈঠক করলেন কৃষিমন্ত্রী
পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনতে ৫০ দিনের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ কৃষিমন্ত্রীর
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার), ১৩ মাঘ (২৭ জানুয়ারি):
কৃষিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পাওয়ায় পর ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য কৃষকদের সঙ্গে সারা দেশে উঠান বৈঠক করার কর্মপরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। এর অংশ হিসেবে প্রথম উঠান বৈঠক করলেন তিনি।
আজ শ্রীমঙ্গল উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক ইন্দু ভূষণ পাল নিরুর উঠানে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন। আমন ধান কাটার এই গ্রামের জমি এখনো পতিত পড়ে আছে কেনো, কৃষকদের নিকট সে বিষয়ে বিস্তারিত শোনেন কৃষিমন্ত্রী।
মৌলভীবাজার জেলায় চাষযোগ্য পতিত জমিকে কীভাবে চাষের আওতায় আনা যাবে, কোন জমিতে কী ফসল ফলানো যাবে, সে বিষয়ে আগামী ৫০ দিনের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য স্থানীয় কৃষি বিভাগকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, চাষযোগ্য জমি অনেক। এখন বোরোর মৌসুম, অথচ আমন ধান কাটার পর এখানে সব জমি পতিত পড়ে আছে। এসব জমিকে জমিকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সে উপায় খুঁজে বের করতে হবে।
সেচের সমস্যা নিরসনে বিএডিসিকে কর্মপরিকল্পনা নেওয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। শ্রমিক সংকট নিরসনে ভর্তুকি মূল্যে আরো বেশি করে কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হবে বলে জ