তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৫৭
বন বিভাগের সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে পরিবেশ মন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) :
বাংলাদেশ বন বিভাগের সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন।
মন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় জানান, বাংলাদেশ বন বিভাগের প্রথম ব্যাচের কর্মকর্তা মরহুম মোঃ নুরুজ্জামান চাকরি জীবনে বনবিভাগের বিভিন্ন পদে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন হাস্যোজ্জ্বল, মিষ্টভাষী ও অমায়িক ব্যক্তিত্বের অধিকারী। মানবিক একজন বন কর্মকর্তা হিসেবেও সর্বমহলে তার সুখ্যাতি রয়েছে। তিনি জীবদ্দশায় বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
#
দীপংকর/সাহেলা/মোশারফ/রেজাউল/২০২১/২২৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৫৬
শহীদ নূর হোসেন জাতীয় ভলিবল স্টেডিয়ামের উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন কাজের উদ্বোধন
ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) :
আজ রাজধানীর শহীদ নূর হোসেন জাতীয় ভলিবল স্টেডিয়ামের উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন কাজের উদ্বোধন করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে শহীদ নূর হোসেন জাতীয় ভলিবল স্টেডিয়ামের উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এ সময় প্রতিমন্ত্রী মুজিব বর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আর এ ট্রেডার্স ফেডারেশন কাপ ভলিবল প্রতিযোগিতা ২০২১ এর উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশিকুর রহমান মিকু।
উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভলিবল হচ্ছে দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সম্ভাবনাময় খেলা। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে দেশের সর্বত্র খেলাটিকে ছড়িয়ে দিতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকার প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা ব্যয় করে আধুনিক সুযোগসুবিধা সংবলিত এ ভলিবল কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করেছে। কমপ্লেক্সটিতে আধুনিক সুযোগ সংবলিত হোস্টেল, অফিস, আধুনিক লিফট, মাঠের অবকাঠামো উন্নয়ন, ইনডোর স্টেডিয়ামের শেড নির্মাণ, গ্যালারি সংস্কার (চেয়ার বসানো) করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এখান থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড়রা বেরিয়ে আসবে এবং আগামী এস এ গেমসে জাতি ভলিবল থেকে স্বর্ণপদক অর্জন করতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
#
আরিফ/সাহেলা/মোশারফ/রেজাউল/২০২১/২২২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৫৫
প্লাস্টিক বর্জ্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সাসটেইনেবল
প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান চূড়ান্ত করছে সরকার
-- পরিবেশ সচিব
ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল বলেছেন, প্লাস্টিক দূষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে সাসটেইনেবল প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান চূড়ান্ত করছে সরকার। তিনি বলেন, বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন থ্রি আর (3R- Reduce, Reuse, Recycle) পলিসি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় কার্যকর করে প্লাস্টিক বর্জ্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সরকারের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত বিশ্বব্যাংক কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ‘টুওয়ার্ড এ মাল্টিসেক্টরাল একশন প্ল্যান ফর সাসটেইনেবল প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদন পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ সচিব এসব কথা বলেন।
সভায় এফবিসিসিআই এর সভাপতি জসিম উদ্দিন বিদেশ থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য আমদানি নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেন। তিনি বলেন, বিদেশ হতে প্লাস্টিক বর্জ্য আমদানি করলে দেশের প্লাস্টিক বর্জ্য পুনঃব্যবহার, পুনঃচক্রায়ন এবং হ্রাস নীতি কার্যকর হবে না। এছাড়া বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্ভাবিত সোনালী ব্যাগ বেসরকারি খাতের মাধ্যমে উৎপাদন করার জন্য তিনি সুপারিশ করেন। ব্যবসায়ীগণ বিনিয়োগ করে এটিকে জনপ্রিয় করে তুলতে উদ্যোগী হবেন বলে তিনি সভাকে জানান।
সভায় জানানো হয়, বর্তমানে ৩৭ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইকেল করা হয়। প্লাস্টিক একশন প্লানে ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৮০ শতাংশ প্লাস্টিক রিসাইকল করা, ২০৩০ সালে মধ্যে ৩০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন হ্রাস করা এবং ২০২৬ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পরিহার করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। খসড়া একশন প্ল্যান এর ওপর উপস্থিত সদস্যবৃন্দের সুপারিশসমূহ গ্রহণ করে এটিকে চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ অনু বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মনিরুজ্জামান ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা, রাজউক, এফবিসিসিআই, প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক মালিক সমিতি এবং বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
দীপংকর/নাইচ/সাহেলা/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২০৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৫৪
বঙ্গবন্ধুর রক্ত চিরতরে মুছে ফেলতে রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল
-- ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) :
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত চিরতরে ধরনী থেকে মুছে ফেলতে রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল। কারণ খুনিরা জানতো, বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরিরা একদিন লাল সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী অশুভ শক্তি বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করবে। যার জ্বলন্ত উদাহরণ বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরি তার সুযোগ্যা কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সময় বিদেশে থাকার কারণে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
আজ বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র শহিদ শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর, ধানমন্ডি ৩২, ঢাকায় আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনো সভ্য দেশে হত্যার বিচার হতে পারবে না- এমন জঘন্যতম আইন পাস হতে পারে না। কিন্তু কি অদ্ভুত, এই আইনটি সেদিন বাংলাদেশে পাস হয়েছিল! বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি শেখ হাসিনা বেঁচে ছিলেন বলেই জাতি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বিচার পেয়েছে। যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার হয়েছে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ রাসেলের জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সবার প্রত্যাশা পবিত্র সংসদে যারা ‘ইনডেমনিটি’ আইন পাস করেছিল, যারা এই আইনকে সমর্থন করেছিল এবং যারা ইতিহাস বিকৃত করেছিল তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের চিহ্নিত শত্রু। তাদের বিচারের ব্যবস্থা করে আইনের শাসন ও ন্যায্য বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন।
#
আনোয়ার/নাইচ/সাহেলা/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২০৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৫৩
জারিসম্রাট মোসলেম উদ্দীনকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেয়া হবে
-- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
নড়াইল, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) :
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, নড়াইলের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্ম নেয়া জারিসম্রাট মোসলেম উদ্দীন ছিলেন একজন গুণী সাধক, অসাম্প্রদায়িক, মানবিক ও মুক্তিকামী পূর্ণাঙ্গ মানুষ। মোসলেমের মতো গুণিজনের কর্ম ও বাণী আমাদের সংস্কৃতির শক্ত ভিত্তি। জীবদ্দশায় তিনি বিচিত্র ধরনের সংগীত যেমন: ভজন, ভাটিয়ালী, জারিপালা কাহিনী, ভাব, বিচ্ছেদ, দেশাত্মবোধক, বাউল, কীর্তন, গণসংগীতসহ প্রায় দেড় হাজারের অধিক গান রচনা করেছেন, গেয়েছেন। এ ধরনের গুণী সাধককে স্বীকৃতি দেয়া রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। জারিসম্রাট মোসলেম উদ্দীনকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিকালে নড়াইল সদর উপজেলার তারাপুর গ্রামে বাংলাদেশের লোকসংগীতের অন্যতম ধারা জারি ও মরমী গানের প্রবাদ পুরুষ জারিসম্রাট মোসলেম উদ্দীনের ১১৮তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ‘মোসলেম স্মৃতি পরিষদ’ এর আয়োজনে এবং জেলা প্রশাসন নড়াইলের পৃষ্ঠপোষকতায় তিনদিনব্যাপী (১৭-১৯ অক্টোবর) ‘কার্তিকের পূর্ণিমা উদযাপন ও মোসলেম মেলা ২০২১’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অত্যন্ত নির্মোহ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত সহজ, সরল, সাদামাটাভাবে বেঁচে থাকায় বিশ্বাসী ছিলেন চারণ কবি মোসলেম উদ্দীন বয়াতী। পোশাকে, চালচলনে, কথাকাজে মোসলেম ছিলেন এ জনপদে বসবাসকারী জনগণের কাছে অনুকরণীয় আদর্শ। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারিসম্রাট মোসলেম উদ্দীনের মতো গুণী মানুষদের জীবন ও কর্মকে বাঁচিয়ে রাখার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং তাদেরকে কিভাবে সম্মানিত করা যায়, তারও চেষ্টা করে যাচ্ছি।
নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান এডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় পিপিএম (বার), নড়াইল পৌরসভার মেয়র আনজুমান আরা, নড়াইল জেলা সমিতি, ঢাকার সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ হাসান ইকবাল প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী এর আগে নড়াইল ও মাগুরা জেলার সংস্কৃতিকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং মাগুরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও সরকারি গণগ্রন্থাগার পরিদর্শন করেন।
#
ফয়সল/নাইচ/সাহেলা/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২০১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৫২
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৮ হাজার ৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩১৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ৪৮৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ জন-সহ এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৭৬৮ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ২৭ হাজার ৮৬২ জন।
#
ফেরদৌস/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/১৮:২৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৫১
যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে তারাই কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) :
‘যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, তারাই দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে’ বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ।
মন্ত্রী আজ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ বিষয়ে বিএনপির মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে একথা বলেন।
‘সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে কারা রাজনীতি করে’ প্রশ্ন রেখে ড. হাছান বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে নিয়ে যারা রাজনীতি করে, যারা দেশটাকে তালেবানি রাষ্ট্র বানাতে চায়, কথায় কথায় এই দেশকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র করতে চায়, তারা তো বিএনপি জোটের মধ্যে আছে। বিএনপির মধ্যে অনেক নেতা আছে যারা এই দেশটাই চায়নি। যারা এই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে তারাই কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে।’
‘কুমিল্লার ঘটনা নিশ্চয়ই বের হবে, দিবালোকের মতো স্পষ্ট হবে এবং কি উদ্দেশ্যে এটি ভিডিও করে আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে, সেই উদ্দেশ্য খুবই স্পষ্ট’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা-স্থিতি আছে, দেশ করোনা মহামারির মধ্যেও এগিয়ে যাচ্ছে, মহামারিও নিয়ন্ত্রণে আসছে, সুতরাং তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে মানুষের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারেনি। সে কারণে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার স্বার্থে বিএনপি-জামাত এবং তাদের দোসর সাম্প্রদায়িক উগ্রগোষ্ঠী মিলেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’
এর আগে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি ফুড পলিসি ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট প্রকাশিত বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ২০১৯ সালের তুলনায় ১৩ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৭৫তম, যেখানে ভারতের অবস্থান ৯৮তম, পাকিস্তানের অবস্থান ৮৮তম। আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীতে ৯২তম এবং সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশে মাথাপিছু কৃষিজমির পরিমাণ সর্বনিম্ন। এ সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে এবং কৃষি এবং কৃষকবান্ধব নানা কর্মসূচি এবং নীতির কারণে আমরা সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, ধান উৎপাদনে তৃতীয়, মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে তৃতীয় এবং চতুর্থের মধ্যে উঠানামা করে এবং আলু উৎপাদনে ৭ম। এটি বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কাছেও বিস্ময়, যা প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই সম্ভবপর হয়েছে। আমরা এক বিলিয়ন ডলারের বেশি কৃষিপণ্য রপ্তানি করছি। এটিকে দুই বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা এবং ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়ে সরকার এগুচ্ছে।’
একইসাথে আইনের শাসক সূচকেও বাংলাদেশ একধাপ এগিয়েছে, বলেন ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘সমালোচনার মাধ্যমে কাজ শাণিত হয় কাজ শুদ্ধ হয়, সেটি আমরা চাই। কিন্তু যারা প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দা গরম করেন তারা সরকারের নেতৃত্বে এই অর্জনের পর তারা কি অভিনন্দন সরকারকে জানাবেন, এটি আমার প্রশ্ন। আইনের শাসন নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন তাদের প্রশ্নের মধ্যেই আইনের শাসন সূচকে আমরা একধাপ এগিয়েছি, এখন তারা কি বলবেন, সেটি আমার প্রশ্ন।’
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এসকল অগ্রগতি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে দেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তর করার ক্ষেত্রে একটি বিরাট মাইলফলক এবং এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন, একইসাথে দেশের সব মানুষকে অভিনন্দন, সাংবাদিকবৃন্দকেও অভিনন্দন, বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহ্মুদ।
#
আকরাম/নাইচ/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/১৮২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৫০
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ
রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির ই-পোস্টার প্রকাশ
ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) :
১৮ই অক্টোবর ২০২১ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে দুইটি ই-পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও বঙ্গবন্ধুর পুত্র শহিদ শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে উভয়ের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে প্রকাশিত উক্ত ই-পোস্টার দুটি জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
#
নাসরীন/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/১৭৩৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৪৯
প্রথম বারের মতো দেশে এবং বিদেশে পালিত হতে যাচ্ছে ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২১’
বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ দেয়া হবে ১০টি শেখ রাসেল স্বর্ণপদক
ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) :
শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামীকাল ১৮ অক্টোবর প্রথমবারের মতো ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় দিবস হিসেবে জাতীয়ভাবে দেশব্যাপী জেলা-উপজেলা এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে যথাযথ মর্যাদায় উদ্যাপিত হবে শেখ রাসেল দিবস ২০২১।
দিবসটি উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু এবং শিক্ষা, শিল্পকলা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১০টি শেখ রাসেল স্বর্ণপদক, শেখ রাসেল পদকপ্রাপ্ত ও অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের ২০টি ল্যাপটপ, এলইডিপি’র আওতায় মূল অনুষ্ঠানে ৫টি এবং স্ব স্ব জেলায় ৩ হাজার ৯৯৫টিসহ মোট ৪ হাজারটি ল্যাপটপ প্রদান করা হবে। এছাড়া শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদ ৬০টি পুরস্কার বিতরণ করবে। দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে।
আজ আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ তথ্য জানান।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে আইসিটি বিভাগ ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির যৌথ উদ্যোগে ১৮ অক্টোবর সকাল ৬টায় বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল ৭টায় স্বস্ব মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা/প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবে।
সকাল সাড়ে ৯ টায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের যৌথ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) হল অব ফেম-এ শেখ রাসেল দিবস-এর উদ্বোধন ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, হল অভ্ ফেম-এ বিকাল ৩টায় ‘শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বুদ্ধিজীবীগণ আলোচক হিসেবে অংশ্রগ্রহণ করবেন। সন্ধ্যা ৬ টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, হল অব ফেম-এ ‘কনসার্ট ফর পিস এন্ড জাস্টিস’ অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পুস্তক প্রদর্শিত হবে।
এছাড়াও সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন, দুপুর ১২টায় শিশু একাডেমি অডিটোরিয়ামে শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। বেলা ১টা ৪৫ মিনিটে শিশু একাডেমি মসজিদ ঢাকায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, দুপুর ২টায় মৃত্যুঞ্জয়ী শেখ রাসেল গ্যালারিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
চলমান পাতা- ২
- ২ -
দিবসটি উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে শেখ রাসেল-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জনকূটনীতি অনুবিভাগ হতে প্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ, শেখ রাসেল-এর উপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্রসমূহ প্রদশিত হবে।
এছাড়াও অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগ/প্রতিষ্ঠান/সংস্থা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান হতে গৃহীত কর্মসূচির আলোকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আইসিটি বিভাগ প্রয়োজনীয় কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করবে বলে তিনি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ রাসেল ছিলেন অতিথিপরায়ণ, বন্ধুবৎসল ও প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর একজন শিশু। শেখ রাসেলের এই অকাল প্রয়াণে সুখ-দুঃখ হয়তো কোনোদিন আমাদের শেষ হবে না। শেখ রাসেলের জন্মদিনে আমাদের কামনা ও প্রত্যাশা শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবীর শিশুরাই যেন নিরাপদে বেড়ে ওঠে তাদের স্বপ্ন ও সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত করতে পারে তার জন্য আমরা সকলেই একসাথে মিলে কাজ করব।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন প্রযুক্তি খাতে শিশু-কিশোরদেরকে পারদর্শী করে তুলতে ডিজিটাল বাংলাদেশ আর্কিটেক্ট বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য দৌহিত্র প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনা এবং তার পরামর্শে সারা দেশে ৮ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আরো নতুন করে ৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। সাথে সাথে ৩০০টি সংসদীয় আসনে ‘স্কুল অভ্ ফিউচার’ এ বছরেই স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পলক আরও বলেন একটি শিশুও যেন পথে না থাকে, গৃহহীন না থাকে তার জন্য সরকারের ১৩টি শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোঃ রেজাউল মাকছুদ জাহেদী ও শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহীদুল্লাহ।
#
শহিদুল/নাইচ/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/১৯৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৪৮
বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে
-বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, মুজিব বর্ষ এবং মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ যৌথ ভাবে ‘বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২১’ এর আয়োজন করতে যাচ্ছে। সামিটে বাংলাদেশের অর্জন, বাংলাদেশে ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট পলিসি, বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের সম্ভাবনা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ ঢাকা চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ (ডিসিসিআই) এর সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ডিসিসিআই এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২১’ উপলক্ষ্যে প্রেস ব্রিফিং-এ এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রতিটি সেক্টরে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। দেশের অর্থনীতি এখন একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। আগামী ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশন করে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। এর ফলে অনেক বাণিজ্য সুবিধা পাবে না বাংলাদেশ। তখন জিএসপি প্লাস নামে বাণিজ্য সুবিধা পাবার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। একসময় নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতায় বাণিজ্যে এগিয়ে যেতে হবে। এজন্য বিভিন্ন দেশের সাথে পিটিএ বা এফটিএ’র মতো চুক্তি করে বাণিজ্য সুবিধা নিতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে এখন চমৎকার বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করছে। দেশের প্রায় ৯৭ ভাগ মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করছে, প্রায় ১১ কোটি মানুষ ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় এসেছে, বর্তমানে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২,২২৭ মার্কিন ডলার। জিডিপি গ্রোথ ৮ ভাগ, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও তা ৫.৪৭ ভাগ ছিল। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত দেশ। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে পরিকল্পিত ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ডিসিসিআই এর যৌথ উদ্যোগে আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর, পর্যন্ত ঢাকায় সপ্তাহব্যাপী ‘বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২১’ অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ অক্টোবর ভার্চুয়ালি এ সামিটের উদ্বোধন করবেন। আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, শেরে বাংলা নগর থেকে যুক্ত থাকবেন। এতে বাংলাদেশের অর্থনীতি অধিকতর শক্তিশালীকরণ, এলডিসি গ্রাজুয়েশন পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ বিশেষ ভূমিকা রাখবে। সামিটে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় নীতিনির্ধারক ও কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের সফল ব্যবসায়ী, দেশি-বিদেশি শীর্ষস্থানীয় বিনিয়োগকারী, বাণিজ্য বিশ্লেষক, অর্থনীতিবিদ, বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের সদস্য, বহুজাতিক সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিশ্বের ৩৮ টি দেশের ২৭১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ৫৫২টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। ৭ দিনব্যাপী সামিটে শিল্প ও বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে ৬টি বিষয়ভিত্তিক সেশন এর পাশাপাশি ৪৫০টি বিটুবি সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, অবকাঠামো, আইটি, লেদার গুডস, ফার্মাসিটিক্যালস, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাগ্রো এন্ড ফুড প্রসেসিং, প্লাস্টিক প্রোডাক্টস, জুট এবং টেক্সটাইলস, এফএমসি