Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৮ অক্টোবর ২০১৭

তথ্যবিবরণী 08/10/2017

তথ্যবিবরণী                                                                  নম্বর : ২৬১৪
 
আশ্রিত মিয়ানমার নাগরিকদের স্যানিটেশন 
ও সুপেয় পানির উৎস স্থাপন কাজ পুরোদমে চলছে 
 
উখিয়া (কক্সবাজার), ২৩ আশি^ন (৮ অক্টোবর) :
 
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে সরকারি উদ্যোগে নেয়া স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও সুপেয় পানির উৎস স্থাপন কাজ জোর গতিতে এগিয়ে চলছে। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নলকূপ বসানো ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট স্থাপন করা হচ্ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে নলকূপ ও টয়লেটের সংখ্যা। 
 
আজ ১৪ টি নলকুপ বসানো ও ১২০টি স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা নির্মাণ করা হয়েছে। 
 
এ পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ১ হাজার ৯ শত ২৯টি নলকূপ এবং ২ হাজার ৬ শত ৮০টি স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে। 
 
উল্লেখ্য, এসব কেন্দ্রগুলোতে ৩ হাজার নলকূপ ও ৫ হাজার স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা নির্মাণ করা হবে।
 
চৌদ্দটি মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। তিন হাজার লিটার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ৭টি ভ্রাম্যমাণ ওয়াটার ক্যারিয়ার  এর মাধ্যমে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন ক্যাম্পে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। পানি বিতরণ ব্যবস্থা সুবিধাজনক করার লক্ষ্যে রাস্তার পাশে ১ হাজার লিটার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ১১টি ওয়াটার রিজার্ভার স্থাপন করা হয়েছে। ওয়াটার ক্যারিয়ারের মাধ্যমে রিজার্ভারসূহে সার্বক্ষণিক পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। উক্ত রিজার্ভার থেকে মিয়ানমার নাগরিকরা টেপের মাধ্যমে খাবার পানি সংগ্রহ করছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় কক্সবাজারে ইতোমধ্যে ৬ লাখ ‘ডধঃবৎ চঁৎরভুরহম ঞধনষবঃ’ মজুত আছে এবং কেন্দ্রীয় ভা-ারে আরো ১৬ লাখ ‘ডধঃবৎ চঁৎরভুরহম ঞধনষবঃ’ মজুত রয়েছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ রোধে ইতোমধ্যে ৪৫ ড্রাম ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা হয়েছে। ব্লিচিং পাউডার ছিটানো অব্যাহত আছে। 
 
#
 
সাইফুল/সেলিম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/২১০৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২৬১৩
 
আশ্রিত মিয়ানমার নাগরিকদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন চলছে 
 
উখিয়া (কক্সবাজার), ২৩ আশি^ন (৮ অক্টোবর):
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২ টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫টি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর এ নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে।
 
আজ কুতুপালং ক্যাম্পে ৭ শত ১৭ জন পুরুষ, ২ শত ৩ জন মহিলা মিলে ৯ শত ২০ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ১ হাজার ১০ জন পুরুষ, ৮ শত ৪৬ জন মহিলা মিলে ১ হাজার ৮ শত ৫৬ জন, থাইংখালী ক্যাম্পে ৭ শত ৮৪ জন পুরুষ, ৩ শত ৬৪ জন মহিলা মিলে ১ হাজার ১ শত ৪৮ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ৮ শত ৪৯ জন পুরুষ, ১ শত ৯৮ জন মহিলা মিলে ১ হাজার ৪৭ জন, লেদা ক্যাম্পে ১ হাজার ১ শত ৪৪ জন পুরুষ, ৮ শত ১৯ জন মহিলা মিলে ১ হাজার ৯ শত ৬৩ জন এবং পুরোদিনে ৫টি কেন্দ্রে মোট ৬ হাজার ৯ শত ৩৪ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।
 
আজ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোট ৯৮ হাজার ৩ শত ৫৭ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে।
 
#
 
সাইফুল/সেলিম/মোশারফ/রেজাউল/২০১৭/১৯৪২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                      নম্বর : ২৬১২
 
আশ্রিত মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত
 
উখিয়া (কক্সবাজার), ২৩ আশি^ন (৮ অক্টোবর) :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২ টি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে বেসরকারি উৎস হতে প্রাপ্ত ত্রাণ সরকারি উদ্যোগে ও ব্যবস্থাপনায় বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। 
     উখিয়ায় স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষে আজ ৩৭ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ৪৫ ট্রাকের মাধ্যমে ১৭১ মেট্রিক টন ত্রাণ জমা দিয়েছে। প্রাপ্ত এসব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১৩ হাজার ৬ শত ৪৮ প্যাকেট শুকনো খাবার, ২ হাজার ৬ শত ৭১ প্যাক শিশুখাদ্য, ৮ হাজার ২ শত ৭৫ পিস গৃহস্থালিসামগ্রী, ৪ হাজার ৭০টি স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার তৈরির উপকরণ। এসব ত্রাণ আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।  
 
#
 
সাইফুল/সেলিম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/১৯৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ২৬১১

বিনামূল্যে সরকারি আইনি সেবা গ্রহণে বার্ষিক আয়ের সিলিং বৃদ্ধি

ঢাকা, ২৩ আশ্বিন (৮ অক্টোবর) :

এখন থেকে যেসব ব্যক্তির বার্ষিক আয় সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে নির্ধারিত আয়কর সীমার নীচে হবে তারা বিনামূল্যে সরকারি আইনি সহায়তা পাবেন। এ হিসেবে চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সাধারণ ব্যক্তির ক্ষেত্রে ২লাখ ৫০ হাজার, মহিলা ও ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের ব্যক্তির ক্ষেত্রে ৩ লাখ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ক্ষেত্রে ৪ লাখ এবং গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকার নীচে বার্ষিক আয়ভুক্ত ব্যক্তিগণ বিনামূল্যে সরকারি আইনি সহায়তা পাবেন। 

আজ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার (এনএলএসও) জাতীয় পরিচালনা বোর্ডের ৩৫তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সভাপতিত্ব করেন।

সভায় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হক, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক মোঃ জাফরোল হাসানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

রেজাউল করিম/সেলিম/মোশারফ/রেজাউল/২০১৭/১৮৪২ ঘণ্টা

Handout                                                                                                                   Number : 2610

Foreign Secretary of Nepal calls on the Foreign Minister

Dhaka, October 8:

Foreign Secretary of Nepal Shanker Das Bairagi paid a courtesy call on Foreign Minister Bangladesh, Abul Hassan Mahmood Ali, today at the latter’s office. Mr. Bairagi is visiting Bangladesh in connection with the 2nd round of Bilateral Consultations between the two Foreign Secretaries of Bangladesh and Nepal to be held later today. He is leading a 6 member delegation comprising representatives of different Ministries of Nepal including the Ministries of Energy, Commerce and Higher Education.

The Foreign Secretary of Nepal appreciated the socio-economic development of Bangladesh under the leadership of Prime Minister Sheikh Hasina. Referring to the humanitarian crisis relating to the forcibly displaced Myanmar nationals, the Foreign Secretary appreciated the role of Bangladesh Government in handling the situation.

During the meeting, the Foreign Minister and Foreign Secretary also emphasized on comprehensive engagement and further cooperation between the two countries in the areas of connectivity, trade and investment, power sector cooperation, tourism, culture and people-to-people contact, etc. Besides, they also discussed regional issues of mutual interest.

#

Khaleda/Selim/Sanjib/Rezaul/2017/1840 Hours

Handout                                                                                                                   Number : 2609

Foreign Minister receives new Secretary General of BIMSTEC

Dhaka, October 8:

Foreign Minister A H Mahmood Ali received the newly appointed Secretary General of BIMSTEC M Shahidul Islam at the Foreign Ministry today. The Foreign Minister congratulated Mr. Shahidul Islam for taking over as the Secretary General of BIMSTEC and expressed his happiness over being the first Bangladeshi diplomat to have occupied this post. The new Secretary General thanked the Foreign Minister for extending all out support and assistance to him and the Secretariat to facilitate his smooth assumption of the charge as the Secretary General of BIMSTEC and for smooth functioning of the Secretariat. The new Secretary General briefed the Foreign Minister about the present status of different BIMSTEC programmes and shared his ideas as to how to go ahead in coordination activities with the member states and sought the support and guidance from the Foreign Minister.  

 

The Foreign Minister assured the Secretary General of extending all possible assistance and support to address and overcome the challenges for making the Secretariat more functional and operational and expressed the hope that the new Secretary General would carry the organization forward with new spirit and vigour. The Foreign Minister assured the Secretary General of all out support and cooperation from the Foreign Ministry and wished him all success in his tour of duty.

#

 

Khaleda/Selim/Sanjib/Rezaul/2017/1820 Hour

 

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ২৬০৮

দাউদকান্দিতে আধুনিক নদীবন্দর হবে
                      -- নৌপরিবহণ মন্ত্রী

দাউদকান্দি (কুমিল্লা), ২৩ আশ্বিন (৮ অক্টোবর) :

দাউদকান্দিতে একটি আধুনিক নদীবন্দর গড়ে তোলা হবে। নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান আজ কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ‘দাউদকান্দি-হোমনা-রামকৃষ্ণপুর’ নৌপথের ক্যাপিটাল ড্রেজিং কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, অতীতে অযতœ ও অবহেলায় দেশের অনেক নদী নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছিল; আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা ও খননের কাজ গতিশীল করেছে। সরকার ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১৪টি ড্রেজার কিনেছে। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আরো ২০টি ড্রেজার কেনার কাজ চলছে। এছাড়া বেসরকারিভাবে আরও ৫০টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩৮০ কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অবঃ) মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আব্দুস সবুর, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কমান্ডার রেজা পাহলভী এবং দাউদকান্দি উপজেলার চেয়ারম্যান মেজর (অঃ) মোঃ আলী সুমন। 
মন্ত্রী বলেন, ঢাকার চারদিকে নদীতীরের উচ্ছেদকৃত ভূমি পুনরায় যাতে দখল না হয় সেজন্য বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও শীতলক্ষ্মা নদীর তীরে ব্যাংক প্রটেকশনসহ ২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। চলতি মেয়াদে আরো ৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ হবে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা শহরের দু’পাশে ২৪০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা  হবে। 

#

জাহাঙ্গীর/সেলিম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/১৮১১ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ২৬০৭
 
রোহিঙ্গাদের জন্য জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের ত্রাণসামগ্রী
সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে হাত বাড়িয়ে দিতে ত্রাণ মন্ত্রীর আহ্বান
 
ঢাকা, ২৩ আশ্বিন (৮ অক্টোবর) : 
 
বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের জন্য জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয় এক হাজার প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী দান করেছে। বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ও শিক্ষার্থীদের চাঁদার মাধ্যমে ত্রাণসামগ্রী প্রস্তুত করা হয়।
জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে আজ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার হাতে এ ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন। বিশ^বিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মোঃ সেলিম ভূইয়ার সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মীজানুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মোঃ শাহ্ কামাল প্রমুখ বক্তৃতা করেন। 
এ সময় মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায় সম্পূর্ণ মানবিক কারণে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। মিয়ানমারে এসব নাগরিক যে ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে তা সভ্য সমাজে সম্পূর্ণ অমানবিক ও অকল্পণীয়। মানুষ হিসেবে এদের আশ্রয় দেয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ছিল। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত দেশি বিদেশি সাহায্য দিয়েই আশ্রয় গ্রহণকারী পাঁচ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার সার্বিক ত্রাণ কার্য পরিচালিত হচ্ছে। এদের প্রায় সকলের জন্য থাকার শেড নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। ক্যাম্প এলাকায় রাস্তা নির্মাণ ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকার এখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এদের চিকিৎসা ও স্যানিটেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করছে। 
মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে তা আজ দেশ বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের মতো মানবিকতা দেখিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে তিনি আহ্বান জানান। 
#
ওমর/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৭৫৭ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ২৬০৬
 
সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটির বৈঠক
ঢাকা, ২৩ আশ্বিন (৮ অক্টোবর) :
 
সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটির ৩৪তম বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি কাজী কেরামত আলীর সভাপতিত্বে  সংসদ  ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সদস্য মো. শহীদুজ্জামান সরকার, আলহাজ এডভোকেট মো. রহমত আলী, মো. আ. কুদ্দুস,  মো. আব্দুল মজিদ খান এবং মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
 
বৈঠকে ৯ম জাতীয় সংসদের প্রথম থেকে শেষ অধিবেশন পর্যন্ত এবং ১০ম জাতীয় সংসদে সম্প্রতি সমাপ্ত অধিবেশন পর্যন্ত সময়ে সংসদের ফ্লোরে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতির ওপর আলোচনা করা হয়। এছাড়া, দক্ষিণ এশীয় স্পিকারদের শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ২০৪০ সালের মধ্যে দেশে তামাকের ব্যবহার নির্মূল করার বিষয়ে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতির ওপর আলোচনা করা হয়।
 
বৈঠকে জানানো হয়, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতায় ৭৩৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ৪৫ টি প্রকল্প এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতায় ১৬১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫ টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে।  
 
দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক ডাক্তারের পদ থাকলেও মফস্বলে পদের বিপরীতে যথেষ্ট লোকবল নেই এবং হাসপাতালগুলোর পরিচ্ছন্নতাসহ সার্বিক পরিবেশ মানসম্মত নয় বলে জনগণ তাদের কাঙ্খিত সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়। তাই সরকারি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়োগ এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনার মান বৃদ্ধি করে হাসপাতালে সেবার মান নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয় বৈঠকে। সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার পদায়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় সাধন এবং পদায়নকৃত ডাক্তার যাতে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে ডেপুটেশনে বদলি হতে না পারে তার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
 
তামাকজাত পণ্য থেকে সরকার শতকরা ১ ভাগ হারে যে সারচার্জ পেয়ে থাকে তা হাসপাতালগুলোর সেবার মানোন্নয়নে এবং তামাক চাষের পরিবর্তে কৃষক যাতে সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ হয় সেজন্য প্রনোদনা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কমিউনিটি ক্লিনিকে ঔষধ সরবরাহ ও বিতরণে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করে সার্বক্ষণিক ঔষধপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার ও পরামর্শ দেওয়া হয় বৈঠকে।     
 
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিবসহ  মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
              
 #
মিজানুর/অনসূয়া/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৫৪৯ ঘণ্টা                   
 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ২৬০৫
উন্নত জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশে স্বাস্থসম্মত স্যানিটেশনের বিকল্প নেই 
                                              -এলজিআরডি মন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ আশ্বিন (৮ অক্টোবর) :
 
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, উন্নত জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের বিকল্প নেই। তিনি জনস্বাস্থ্যের গুরুত্ব বিবেচনা করে স্যানিটেশনের জন্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে বাজেটের শতকরা ১৫ ভাগ ব্যয় করার নির্দেশনা দেন।
 
মন্ত্রী আজ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মিলনায়তনে ‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস অক্টোবর-২০১৭’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
 
মন্ত্রী বলেন, ‘পয়ঃবর্জ্যরে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, উন্নত স্যানিটেশনের সম্ভাবনা’-প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে যথাযথভাবে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্যানিটেশনের লক্ষ্য অর্জনের গতি আরো বেগবান হবে। ২০২১ সালের মধ্যে শতভাগ পাকা স্যানিটারি ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, মানবসৃষ্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকার বিভাগ ইতোমধ্যে কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। অচিরেই সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাসমূহে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালু হবে। শতভাগ স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। 
 
মোশাররফ বলেন, স্যানিটেশন কার্যক্রমকে বেগবান করার জন্য জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত গঠিত ওয়াটসান কমিটি কার্যকর রয়েছে। এসকল কমিটিতে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি ছাড়াও এনজিও, বিভিন্ন সংস্থা, গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশের দুর্গম এলাকায় স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নীতকরণ ও লাগসই প্রযুক্তির স্যানিটেশন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি শতভাগ টেকসই স্যানিটেশন নিশ্চিতে জনসচেতনতা ও জনমত তৈরিতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
 
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ এবং ইউনিসেফ-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ঊফড়ঁধৎফ ইবরমনবফবৎ সহ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সুধীর কুমার ঘোষ।
 
#
জাকির/অনসূয়া/জসীম/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৫২৭ ঘণ্টা 
 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ২৬০৪
 
কৃষিখাতের গুণগত মানোন্নয়নে কারিগরি সহায়তা করবে ইউএসডিএ 
 
 
 
ঢাকা, ২৩ আশ্বিন (৮ অক্টোবর) : 
বাংলাদেশে উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্য ও কৃষিভিত্তিক শিল্পপণ্যের গুণগত মানোন্নয়নে কারিগরি ও অবকাঠামোগত সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড স্টেটস্ ডিপার্টমেন্ট অভ্ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)।
যুক্তরাষ্ট্র সফররত শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সাথে বৈঠককালে প্রতিষ্ঠানটির পরিবেশ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান উৎ. ছরুরহম তযধহম এ সহায়তার প্রস্তাব দেন। গতকাল ওয়াশিংটনে অবস্থিত ‘ইউনাইটেড স্টেটস্ ডিপার্টমেন্ট অভ্ এগ্রিকালচার (টঝউঅ)’ পরিদর্শনকালে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 
বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী বলেন, উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য ও সেবার গুণগতমান বিশ্বমানে উন্নীত করতে সরকার ইতোমধ্যে জাতীয় গুণগত মাননীতি প্রণয়ন করেছে। এ নীতি বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় গুণগতমান ও কারিগরি নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিল (ইঘছঞজঈ) গঠন করা হচ্ছে। এটি গঠিত হলে, বাংলাদেশি পণ্য ও সেবার মান আন্তর্জাতিক মানের সমপর্যায়ে উন্নীত হবে। এর ফলে বিশ্ববাণিজ্যের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি পণ্যের টিকে থাকার সক্ষমতা আরো বাড়বে।  
আমির হোসেন আমু বলেন, বাংলাদেশে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্পখাত বিকাশের পাশাপাশি কৃষিখাতেও ব্যাপকহারে উৎপাদনশীলতা বাড়ছে। দেশীয় কৃষি বিজ্ঞানীদের গবেষণার ফলে কৃষিখাতে ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে। বর্তমানে সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় এবং চাল, মিঠা পানির মাছ ও ছাগল উৎপাদনে চতুর্থ স্থান অধিকার করে আছে। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) সহায়তায় মাছের গুণগতমান পরীক্ষার জন্য আন্তর্জাতিকমানের টেস্টিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিকৃত মাছের প্রতি উন্নত দেশের ক্রেতাদের আস্থা বাড়ছে। ভবিষ্যতে অন্যান্য খাতেও একই ধরনের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন টেস্টিং ল্যাবরেটরি ও মান অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বাংলাদেশে উৎপাদিত কৃিষজাত পণ্য ও কৃষিভিত্তিক শিল্পপণ্যের গুণগত মানোন্নয়নে ইউএসডিএ’র কারিগরি ও অবকাঠামোগত সহায়তার প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। এর মাধ্যমে কৃষিখাতের উন্নয়নে দ্বিপাক্ষিক সহায়তার ক্ষেত্র প্রসারিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে পরিকল্পনা কমিশনের যুগ্মপ্রধান মো. ছায়েদুজ্জামান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান মুঃ আনোয়ারুল আলম, মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব এফ এম মাহমুদ (কিরন) ও প্রটোকল অফিসার আবু বক্কর চৌধুরীসহ ইউএসডিএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।  
#
জলিল/অনসূয়া/শহিদ/জসীম/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১৫০০ ঘণ্টা  
Todays handout (4).docx