Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৬ জানুয়ারি ২০২২

তথ্যবিবরণী ২৬ জানুয়ারি ২০২২

Handout                                                                                                                                                                             Number : 323          

 

 

                                             BD Ambassador to Uzbekistan had a meeting with Governor of Navoi Region

 

 

Tashkent, 26 January 2022

 

  • Md Zahangir Alam had an official visit to Navoi Region of the Republic of Uzbekistan and had a meeting with Governor of Navoi Region of Uzbekistan Mr. Normat Tulkunovich Tursunov on 24 January 2022 at Navoi Regional Municipality. Ambassador appreciated the developments taking place in Navoi Region.

 

Navoi Governor welcomed Bangladesh Ambassador and expressed gratitude for visiting the Navoi Region. He shared general information about the youngest region of Uzbekistan – Navoi and facilities being provided in free economic zones of this region. Both sides discussed establishment of cooperation in the potential fields like textiles, pharmaceuticals and ICT also trade opportunities in agricultural sector

 

Bangladesh Ambassador laid importance on connectivity and requested Governor to pursue with Uzbekistan Authority the matter of resumption of direct passenger flights between two countries and cargo flights from Navoi. The Governor assured that his office will explore potential sectors and projects for cooperation between the two friendly countries.

On the same day Ambassador Md Zahangir Alam visited Navoi International Airport and had a meeting with Director of Cargo of “Navoi International Airport” LLC Mr. Shodibek Suyundikovich Kuchqarov to explore the possibility of exporting Bangladeshi goods to Uzbekistan and other Central countries. Airport Authority also expressed their desire to extend all kind`s of cooperation to re-establish cargo flights between Bangladesh and Uzbekistan.

#

 

Nripendra/Pasha/Sahela/Sanjib/Mahmud/Shamim/2022/2030Time

তথ্যবিবরণী                                                                                                                          নম্বর : ৩২২

 

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ৯টি জেব্রার মৃত্যুতে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

 

ঢাকা, ১২ মাঘ (২৬ জানুয়ারি) :

          গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে সম্প্রতি জেব্রা মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটন এবং করণীয় বিষয়ে মতামত প্রদানের লক্ষ্যে আজ ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

          পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিককে আহ্বায়ক এবং পরিবেশ-২ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরীকে সদস্য-সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়।

          তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল, বন ভবন, ঢাকা এর বন সংরক্ষক এবং কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালের প্রাক্তন চিফ ভেটেরিনারি অফিসার ডা. এ বি এম শহীদুল্লাহ। 

          তদন্ত কমিটিকে জেব্রাগুলোর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটন, জেব্রাগুলোর মৃত্যুর ঘটনায় সাফারি পার্কে কর্তব্যরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাফিলতি পরিলক্ষিত হলে তা চিহ্নিতকরণ এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ সংবলিত তদন্ত প্রতিবেদন ১০ কার্য দিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে।

          কমিটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে যে কোন টেকনিক্যাল সদস্যকে কো-অপ্ট করতে পারবে।

          উল্লেখ্য, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন গতকাল এক সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, গাজীপুরে চলতি মাসে নয়টি জেব্রার মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

#

 

দীপংকর/পাশা/সাহেলা/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৯৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                          নম্বর : ৩২১

কলাবাগানে ৭০ বছরের ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশ

ঢাকা, ১২ মাঘ (২৬ জানুয়ারি):

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী রাজধানীর কলাবাগান এলাকার ১৪ দশমিক শূন্য শূন্য ৪৬ একর জমি অবমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া আরও ২ দশমিক ৮৬৫৪ একর জমির মধ্যে যেসব জমি বর্তমানে ব্যক্তির দখলে আছে সেসবও অবমুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। কলাবাগানে অধিগ্রহণকৃত অধিগ্রহণের জন্য নির্দেশিত কিন্তু ব্যক্তির নামে রেকর্ডকৃত কিংবা দখলে থাকা প্রায় ১৬ একর জমি পূর্বতন মালিকের অনুকূলে শীঘ্রই অবমুক্ত করা হবে।

আজ ধানমন্ডি মৌজার অধিগ্রহণকৃত জমির জটিলতা নিরসনে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ভূমিমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন। ভূমি সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকার বা স্বার্থ সংরক্ষণ করা বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার। জনস্বার্থ বিবেচনায় ইতোপূর্বে খাসমহাল সংক্রান্ত জটিলতা যা দীর্ঘদিন যাবৎ অনিষ্পন্ন ছিল তা আজ নিষ্পন্ন করা হয়েছে। অবমুক্ত প্রক্রিয়া যেন স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন করা হয় এবং টাউট ও দালালরা যেন কোনও ধরনের হয়রানি না করতে পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। আইনি জটিলতা থাকায় এসব জমির মালিকগণ কিংবা তাদের ওয়ারিশগণ ৭০ বছর যাবৎ জমির খাজনা খারিজ বা হস্তান্তর করতে পারছেন না। এই কারণে তারা তাদের ভূ-সম্পদের আনুষ্ঠানিক কিংবা অর্থনৈতিকভাবে ফলপ্রসূ ব্যবহারও করতে পারছিলেন না। অবমুক্তের ফলে তাদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান হবে।  

উল্লেখ্য, ১৯৪৮-৪৯ সালে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন নির্মাণকল্পে গণপূর্ত বিভাগ (তৎকালীন সিএন্ডবি) এর অনুকূলে রাজধানীর ধানমন্ডিসহ ৮টি মৌজায় মোট ৪৭২ দশমিক ৬৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। পরবর্তীতে ৮ই জানুয়ারি ১৯৫৩ সালে গেজেট প্রকাশনার মাধ্যমে অধিগ্রহণ চূড়ান্ত হয় এবং জমির দখল হস্তান্তরিত হয়।

কিন্তু প্রত্যাশী সংস্থা ধানমন্ডি মৌজার সিএস ৬৭ নম্বর দাগের অধিগ্রহণকৃত ১৬ দশমিক ৮৭ একর জমির মধ্যে ১৬ দশমিক শূন্য ৬ একর জমিতে কোনও সময়ে দখলে যায়নি। দীর্ঘদিন যাবৎ জমির পূর্ব মালিকগণ ওয়ারিশ বা অন্যান্যসূত্রে এই জমিতে বহুতল আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের মাধ্যমে ভোগ দখলে আছেন। ১৯৬৮ সনে সরকার ভূমি মালিকদের উচ্ছেদ নোটিশ করলে ভূমি মালিকগণ সরকারের উচ্ছেদ আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের রায় লাভ করেন।

উল্লেখ্য, ১৪ দশমিক শূন্য শূন্য ৪৬ একর জমি সিএস, এসএ, আরএস এবং মহানগর জরিপে ব্যক্তির নামে এবং ২ দশমিক ৮৬৫৪ এর জমি সিটি জরিপে গণপূর্ত বিভাগের নামে রেকর্ড হয়। তবে এই জমির মধ্যে কিছু অংশ ব্যক্তির দখলে এবং কিছু অংশ গণপূর্ত বিভাগের দখলে আছে। এই জন্য বিগত ৭০ বছর যাবৎ জমির মালিকগণ এই জমির খাজনা খারিজ বা হস্তান্তর করতে পারছেন না।

জমির মালিকগণ এই জমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের জন্য ২০১৮ সালে স্থানীয় সংসদ সদস্যের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের প্রেক্ষিতে বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদে উত্থাপিত হয়। উক্ত বিষয়টির জটিলতা নিরসনে মন্ত্রিপরিষদ ভূমি মন্ত্রণালয়কে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের সাথে আলোচনাক্রমে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ মার্চ ২০২১ ভূমি সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় উক্ত জটিলতা নিরসনে চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। আজ অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় কমিটির প্রতিবেদনসহ ঢাকা জেলা প্রশাসকের বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ ও অন্যান্য সংস্থার মতামত পর্যালোচনা করে ভূমিমন্ত্রী ব্যক্তির নামে রেকর্ডকৃত ও দখলে থাকা উপর্যুক্ত ১৪ দশমিক শূন্য শূন্য ৪৬ একর জমি পূর্বতন মালিকের অনুকূলে অবমুক্ত করা সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। এছাড়া সিটি জরিপে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নামে রেকর্ডকৃত ২ দশমিক ৮৬৫৪ একর জমির মধ্যে গণপূর্ত বিভাগের দখলে থাকা অংশ ব্যতীত অবশিষ্ট জমি অবমুক্ত করার নির্দেশও দেন ভূমিমন্ত্রী।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (অধিগ্রহণ) মুহাম্মদ সালেহউদ্দীন, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালক (ভূমি রেকর্ড) মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব শওকত হোসেন, ঢাকার জেলা প্রশাসক মোঃ শহীদুল ইসলাম সহ ভূমি মন্ত্রণালয় এবং গণপূর্ত বিভাগের আওতাভুক্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ। 

#

 

নাহিয়ান/পাশা/সাহেলা/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৯০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ৩২০

টাকা পাচাররোধে কাস্টমসকে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে

                                                          --- কৃষিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১২ মাঘ (২৬ জানুয়ারি):

বিদেশে টাকা পাচার রোধে বাংলাদেশ কাস্টমসকে আরো জোরালো ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, প্রতি বছর দেশ থেকে বিপুল অংকের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ দুর্নীতি, কর ফাঁকি, কর জালিয়াতিসহ নানাভাবে বিদেশে টাকা পাচার করছে। এ পাচার রোধে কাস্টমসের কর্মকর্তাদের ন্যায় নীতির ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। যাতে কোনক্রমেই কেউ বিদেশে টাকা পাচার করতে না পারে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ কাস্টমসের ডিজিটাইজেশন বিরাট ভূমিকা রাখতে পারবে।

 

আজ ঢাকার একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

 

মন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নের অর্থ আসে কর, ভ্যাট, কাস্টমস থেকে। একসময় দেশের বাজেট অনেকটা বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল। বাজেটের ১৫-২০% ছিল সাহায্যনির্ভর, এখন তা কমে মাত্র ২-৩% এসে দাঁড়িয়েছে। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আমাদের আয় বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে, আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতি হিসেবে এটি আমাদের জন্য অসাধারণ অর্জন ও সাফল্য।

 

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও ফেডারেশন অভ্‌ বাংলাদেশ চেম্বারস অভ্‌ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এর প্রেসিডেন্ট মোঃ জসিম উদ্দিন বক্তব্য রাখেন। সভাপতিত্ব করেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম। এবছর আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের প্রতিপাদ্য ‘তথ্য-সংস্কৃতি বিকাশ এবং তথ্য-ইকোসিস্টেম বিনির্মাণের মাধ্যমে ডিজিটাল কাস্টমসের সম্প্রসারণ’ এর ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।

 

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে কাস্টমস পদ্ধতি অটোমেশনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। উন্নত সেবা, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকল্পে কাস্টমস প্রক্রিয়ায়  ডিজিটাল পদ্ধতি প্রবর্তন, ASYCUDA World ও অন্যান্য সহযোগী Software এর মাধ্যমে আধুনিকায়ন কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে Data Ecosystem প্রবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে। একই সাথে, Data Culture অর্থাৎ তথ্য-উপাত্ত ব্যবস্থার মাধ্যমে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কাস্টমস পরিবেশকে যেমন গতিশীল ও ন্যায়ানুগ করেছে, অন্যদিকে তা রাজস্ব আহরণের অগ্রগতিতে সহায়ক হয়েছে। ফলে, এ করোনা মহামারি এবং তৎপরবর্তী সময়েও রাজস্ব বৃদ্ধির প্রবণতা অর্থনৈতিক কাঠামোকে একটি শক্তিশালী ভিত্তি প্রদান করেছে।

#

কামরুল/ পাশা/সাহেলা/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৮১৫ঘণ্টা
 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                            নম্বর: ৩১৯

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ১২ মাঘ (২৬ জানুয়ারি) :

 

            স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৫ হাজার ৫২৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ সময় ৪৯ হাজার ৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

 

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৭ জন। এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ২৭৩ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৬০ হাজার ৬ জন।

 

#

 

জাকির/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/১৭৩২ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর: ৩১৮

 

বাংলাদেশ নিয়ে টিআই-এর দুর্নীতি রিপোর্ট পক্ষপাতদুষ্ট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

              --তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ১২ মাঘ (২৬ জানুয়ারি) :

 

 ‘বাংলাদেশ নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতি রিপোর্ট পক্ষপাতদুষ্ট, ভুল তথ্যে প্রণীত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ। 

 

আজ সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ বিষয়ে বলেন, ‘গতকাল ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-টিআই দুর্নীতি সূচক প্রকাশ করেছে। আগের ধারাবাহিকতায় তারা যে তথ্য প্রকাশ করেছে তা দেখে এবং পড়ে এটিই প্রতীয়মান হয় যে, এটি গতানুগতিক ছাড়া কিছু নয়। টিআই একটি এনজিও, বিভিন্ন জায়গা থেকে ‘ফান্ড কালেকশন’ করে তারা চলে। এটি জাতিসংঘের এফিলিয়েটেড কোনো সংস্থা নয়, এটি নিছক একটি এনজিও যেটিকে আমাদের দেশে অনেক গুরুত্ব দেয়া হয়, পার্শ্ববর্তী ভারত ও অনেক দেশে এদের প্রতিবেদনকে গুরুত্বই দেয়া হয় না। তবুও আমরা মনে করি এ ধরনের সংগঠন থাকা ভালো। কিন্তু সেই সংগঠনের কোনো প্রতিবেদন যদি ভুল তথ্য-উপাত্তের ওপর হয়, ফরমায়েশি হয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিংবা গতানুগতিক হয়, তখন সেই সংস্থাটির মান-মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এবং তাদের সাম্প্রতিক রিপোর্টও গতানুগতিক, একপেশে।’

 

ড. হাছান বলেন, ‘কয়েকদিন আগে নির্বাচন কমিশন আইন নিয়ে টিআইবি একটি বিবৃতি দিয়েছিলো। টিআইবি কাজ করে দুর্নীতি নিয়ে আর নির্বাচন কমিশন গঠন পুরো বিষয়টাই হচ্ছে রাজনৈতিক। এ বিষয়ে টিআইবি বিবৃতি দিয়ে প্রমাণ করেছে, টিআইবি রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হয় এবং টিআইবির বিবৃতি এবং বিএনপি’র বিবৃতির মধ্যে কোনো পার্থক্য ছিল না যার অর্থ, তারা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হয় এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।’

 

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার উদাহরণ তুলে ধরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘ফ্রান্সের লো মন্ড (Le Monde) পত্রিকার মতে,  ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল তাদের জরিপে কোনো দেশের দুর্নীতির আর্থিক মাত্রা পরিমাপ করতে পারে না। কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা বা এনজিও দিয়ে এই জরিপ পরিচালিত হয়, যা সম্পূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে নয়। যে সমস্ত সংস্থার অর্থে টিআইবি পরিচালিত হয়, সে সমস্ত সংস্থার বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ২০১৪ সালে সিমেন্স কোম্পানি থেকে ৩ মিলিয়ন ডলার ফান্ড টিআই গ্রহণ করে, যে কোম্পানি ২০০৮ সালে বিশ্বে দুর্নীতির জন্য সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার জরিমানা দিয়েছে। ২০১৫ সালে  টিআই এর ‘ওয়াটার ইন্টেগ্রিটি নেটওয়ার্ক’-এর আর্থিক লেনদেন নিয়ে প্রশ্ন তোলায় কর্মকর্তা মিজ আনা বাজোনিকে (Anna Buzzoni) দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিলে তিনি জনসম্মুখে এই ঘটনা তুলে ধরেন।’

 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শুধু তাই নয়,  টিআই তার প্রতিবেদনে বলেছে, তারা কোনো দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কতটুকু আছে সেটিও বিবেচনায় নেয়। প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের প্রতিবেদনে সিঙ্গাপুরকে তারা প্রায় দুর্নীতিমুক্ত দেশ হিসেবে দেখিয়েছে অথচ সেখানে আমাদের দেশের মতো মতপ্রকাশের ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কিংবা অবাধ তথ্যপ্রবাহ নেই, তাহলে সিঙ্গাপুর কীভাবে দুর্নীতিমুক্ত দেশ হিসেবে বিবেচনায় আসে। পাকিস্তানের দুর্নীতির কথা দুনিয়াব্যাপী সবাই জানে। বাংলাদেশকে সেই পাকিস্তানের নিচে দেখিয়েছে টিআই। এই  তথ্য-উপাত্তগুলোই বলে দেয়, টিআই রিপোর্ট একপেশে, ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রণীত।’ 

 

 

 

পাতা-২

 

‘২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে বিএনপি মার্কিন সরকারের দপ্তরগুলোতে অর্ধশতাধিক চিঠি চালাচালি করেছে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল মার্কিন সিনেট কমিটি, সাব-কমিটি ও হাউজ কমিটির পাঁচ সদস্যকে  বিএনপি মহাসচিব নিজের স্বাক্ষরে দেয়া চিঠিতে বাংলাদেশকে মার্কিন সরকারের অনুদান পুনর্মূল্যায়নের তদবির করেছেন। ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল মার্কিন সরকারের বিদেশ বিষয়ক হাউজ ও সিনেটের পাঁচজন চেয়ারম্যান ও এ সংক্রান্ত আরো বিভিন্নজনকে চিঠি লিখে মির্জা ফখরুল সাহেব সেসমসয় যুক্তরাষ্ট্র সফররত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ২০১৮ সালের নির্বাচন ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসা করতে বলেন। এগুলোর তথ্যপ্রমাণ আমাদের কাছে আছে।’ 

 

এসময় মির্জা ফখরুল সাহেব মঙ্গলবার একটা ‘কমিক’ করেছেন উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন টেলিভিশনের মাধ্যমে তাকে লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, বিএনপি ভালোর জন্যই লবিস্ট নিয়োগ করেছে। অর্থাৎ আমরা এতদিন ধরে যে কথাগুলো বলে আসছিলাম সেটি তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন। কিন্তু সম্ভবত, তার সহকর্মীদের চাপের মুখে পাঁচ মিনিট পরেই আবার তিনি বললেন, তারা কখনো লবিস্ট নিয়োগ করেননি। আসলে প্রথমটাই সত্য ছিল। আপনারা জানেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের জন্য বিএনপি এবং জামাত যৌথভাবে লবিস্ট নিয়োগ করেছিল। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যা করার জন্য তারা এফবিআইয়ের এজেন্ট ভাড়া করেছিল, যে এজেন্টকে সেই অপরাধে পরে বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়েছে। সুতরাং বিএনপি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করে কোনো লাভ নেই।’

 

#

 

আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২২/১৭৩০ ঘণ্টা

 

 

 

2022-01-26-14-58-f4a0e45d855bb53d25cc9d78e897fea7.doc