Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৯ নভেম্বর ২০২২

তথ্যবিবরণী ১৯ নভেম্বর ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ৪৬০৬   

 

বিএনপি'র আমলে রিজার্ভের টাকা হাওয়া ভবনের ইশারায় বিদেশে পাচার হয়ে যেত

                                                                                - গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী

ময়মনসিংহ, ৪ অগ্রহায়ণ (১৯ নভেম্বর) :

          গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, ২০০৬ সালে বিএনপি’র রেখে যাওয়া সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার রিজার্ভকে আওয়ামী লীগ সরকার ২০২২ এ এসে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে। রিজার্ভের টাকা আওয়ামী লীগ সরকার জনকল্যাণে অর্থাৎ দেশের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করছে। অন্যদিকে বিএনপি'র শাসনামলে বৈদেশিক মুদ্রা হাওয়া ভবনের ইশারায় বিদেশে পাচার হয়ে যেত।

          আজ ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার ৮নং কামারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহিদ আর দুই লাখ মা বোনের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এই স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে, দেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে, একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে এবং বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিকে বিশ্বের দরবারে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করতে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে, দেশের সকল সেক্টরে যখন অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে তখন স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী চক্র, বিএনপি জামাত প্রতিক্রিয়াশীল জোট দেশের এই অগ্রগতিকে নস্যাৎ করে দিতে বিভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত।

          বিএনপি’র সাম্প্রতিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আত্মস্বীকৃত অপরাধী, আদালতের সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক জিয়া লন্ডনে বসে এদেশের রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত করতে ব্যস্ত। আর এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে তার মা বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থতার ভান করে সরকারের অনুকম্পায় কারাগার পরিহার করে বাড়িতে অবস্থান করে রাজনীতির ময়দানে চক্রান্তের নীল নকশা প্রণয়ন করছে। তাদের সেই চক্রান্ত বাস্তবায়নে মির্জা ফখরুল, রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা একাট্টা।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে দলের শীর্ষ দুই নেতা আদালতের সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারা "গেটব্যাক বাংলাদেশ" বলে স্লোগান দিচ্ছে। তারা ক্ষমতায় থাকাকালে দেশবাসী হাওয়া ভবনে কমিশন বাণিজ্য দেখেছে। তারা ক্ষমতায় থাকাকালে দেশবাসী বিদ্যুতের বদলে খাম্বা বাণিজ্য দেখেছে। তারা ক্ষমতায় থাকাকালে সারের জন্য আন্দোলন করে কৃষককে জীবন দিতে হয়েছে। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং জজ মিয়া নাটক মঞ্চস্থ হতে দেখেছে দেশবাসী । তারা দেশকে আবার অন্ধকারে ঠেলে দিতে চায়।

          আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দলের নেতাকর্মীদের করণীয় সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের যে উন্নয়ন ও অগ্রগতি হচ্ছে এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকার আবারো প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য আমাদের যার যার জায়গা থেকে সম্ভাব্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দলের সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত বলে মেনে নিতে হবে। দলের চেইন অভ্‌ কমান্ড বজায় রাখতে হবে।

          অনুষ্ঠানে কামারিয়া ইউনিয়ন, তারাকান্দা উপজেলা এবং ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

#

রেজাউল/পাশা/সঞ্জীব/শামীম/২০২২/১৯০৫ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ৪৬০৫  

 

শীঘ্রই ১৬১২২ নম্বরে ফোন করে জানা যাবে ভূমি মামলার অবস্থা

 

ঢাকা, ৪ অগ্রহায়ণ (১৯ নভেম্বর) :

 

 ১৬১২২ নম্বারে ফোন করে নাগরিক (বাদী কিংবা বিবাদী হিসেবে) তাঁর ভূমি রাজস্ব ও দেওয়ানি মামলার অবস্থা সম্পর্কে যেন জানতে পারেন সেজন্য ভূমি মন্ত্রণালয় চালু করতে যাচ্ছে মামলা ব্যবস্থাপনা সিস্টেম। 

অনলাইনে নিরীক্ষণের ব্যবস্থা থাকায় মামলা ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের সাহায্যে ভূমি সংক্রান্ত মামলাসমূহের সহজ, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা সম্ভব হবে। এই সিস্টেমে আদালত, সংশ্লিষ্ট কৌঁসুলি, সংশ্লিষ্ট বাদী এবং বিবাদী - সবার প্রবেশাধিকার থাকবে।

ভূমি সংক্রান্ত মামলার জট কমাতে এবং মামলা কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার সহায়ক হিসেবে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশে নির্মিত এই ডিজিটাল সিস্টেম শীঘ্রই চালু হবে। 

#

নাহিয়ান/পাশা/সঞ্জীব/শামীম/২০২২/১৮১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ৪৬০৪

 

হাওয়া ভবনের বড় চোর ও সন্ত্রাসীদের হাতে দেশ তুলে দেয়া যাবে না

                                                      – তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

চট্টগ্রাম, ৪ অগ্রহায়ণ (১৯ নভেম্বর) :

          তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘তারেক রহমান মানে হচ্ছে দুর্নীতিতে পর পর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন, দুর্নীতির বরপুত্র। হাওয়া ভবনের সবচেয়ে বড় চোর ও সন্ত্রাসীদের হাতে দেশ তুলে দেয়া যাবে না।’

          মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন উনারা যদি আওয়ামী লীগকে বিদায় দিতে পারেন তাহলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে সরকার গঠন করবেন। আর বিএনপি নেতা আসাদুল হক দুলু না-কি বলেছেন যদি তারা ক্ষমতায় যায়, তাহলে সব মানুষের পিঠের চামড়া তুলে ফেলবে। যারা মানুষের পিঠের চামড়া তুলে ফেলতে চায় তাদের হাতে দেশ তুলে দিতে পারি না, তাই সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন।’

          আজ চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কৃষক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। 

          ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘বিএনপি হচ্ছে শীতের পাখি। শীতকালে যেমন সাইবেরিয়া থেকে শীতের পাখিরা এসে আমাদের এখান থেকে ধান খেয়ে মোটাতাজা হয়ে আবার চলে যায়, বিএনপিও হচ্ছে শীতের পাখির মতো। পাঁচ বছর খবর নেই, নির্বাচন যখন আসে তখন শীতের পাখির মতো আসবে। এই শীতের পাখিদের আর সুযোগ দেয়া যাবে না।’

          মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি আবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে, এরা জনগণের শত্রু, এরা দেশের শত্রু, এদেরকে সর্বপর্যায়ে প্রতিহত করতে হবে। যারা হাওয়া ভবন বানিয়ে মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তুলতো, যারা বিদ্যুৎ না দিয়ে খাম্বা লাগাতো, যারা একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলা করেছে, যারা এসএম কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টার, মঞ্জুরুল ইমামকে হত্যা করেছে, যারা সারা দেশে বাংলা ভাই সৃষ্টি করে গাছের সাথে টাঙিয়ে মানুষ হত্যা করেছে, পাঁচশ’ জায়গায় বোমা ফাটিয়েছে, তাদের হাতে দেশ তুলে দিতে পারি না।’

          সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, কৃষক লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত পছন্দের সহযোগী সংগঠন। করোনা মহামারির সময় যেভাবে কৃষক লীগের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সেটি সত্যিই অনন্য। কৃষকরা যখন ধান কাটার মানুষ পাচ্ছিল না, তখন কৃষক লীগের নেতাকর্মীরা ধান কেটে মাথায় করে কৃষকের বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে। চৌদ্দ বছর আগে দেশের অবস্থা কী ছিল, সেটি কৃষক লীগের নেতাকর্মীদের মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশমাটিক জাদুকরী নেতৃত্বের কারণে দেশের এই পরিবর্তন হয়েছে।

          দেশের এই পরিবর্তনের কারণে মানুষ আজকে শেখ হাসিনার পেছনে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে আর এজন্য এই পরিবর্তন সহ্য হয় না বলে বিএনপি এখন সারা দেশে সমাবেশ করে সন্ত্রাসীদের জড়ো করছে উল্লেখ করে হাছান বলেন, গতকাল কাঁচপুর ব্রিজের নামফলক জ্বালিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ তারা আবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে।

          ফখরুল-রিজভী-গয়েশ্বর বাবুরা যাই বলুক না কেন, ক’দিন আগে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট এসে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে বলে গেছেন, বাংলাদেশ যে অগ্রগতি করেছে এটা পৃথিবীর জন্য উদাহরণ, বিস্ময়কর অগ্রগতি - বলেন তথ্যমন্ত্রী।

          উত্তর জেলা কৃষক লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ। সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করেন উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ নেতা আকবর আলী চৌধুরী, রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।

 

পাতা-২

প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন জনসভাস্থল পলোগ্রাউন্ড মাঠ আগাম পরিদর্শন করেন তথ্যমন্ত্রী

          এ দিন সকালে দলের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠ পরিদর্শনে যান চট্টগ্রাম ৭ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। আগামী ৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

          মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'চট্টগ্রামে ইনশাআল্লাহ লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশ হবে। আপনারা জানেন, কিছুদিন আগে এখানে বিএনপি একটি সমাবেশ করেছিল। মাঠের তিনভাগের এক ভাগ বাদ দিয়ে একটি মঞ্চ করেছিল। বাকি দুইভাগের মধ্যেও অর্ধেক খালি ছিল। তারা যেভাবে বলেছিল আসলে সেই রকম মানুষ হয় নাই।'

          মন্ত্রী বলেন, ‘পলোগ্রাউন্ডের কোণায় যে একটা কমিউনিটি হল আছে ওখানে আগে ভ্যারাইটি শো হতো। সেই ভ্যারাইটি শো’তে যে পরিমাণ মানুষ হতো তার চেয়ে একটু বেশি মানুষ হয়েছে বিএনপির সমাবেশে। চট্টগ্রামে জব্বারের বলী খেলায়ও বিএনপি’র সমাবেশের চেয়ে তিনগুণ বেশি মানুষ হয়।’

          চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, উত্তর জেলা সভাপতি এম এ সালাম সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

#

আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/শামীম/২০২২/১৮০৫ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৪৬০৩

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ৪ অগ্রহায়ণ (১৯ নভেম্বর) :

 

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ১০ শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ৬৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।    

 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মৃত্যুবরণ করেনি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৩০ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮৪ হাজার ৬০৪ জন।

 

 

কবীর/পাশা/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৬৪৫ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ৪৬০২

                              

বঙ্গবন্ধু কখনো ধর্মকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেননি

                                                  -এনামুল হক শামীম

 

সুরেশ্বর,শরীয়তপুর, ৪ অগ্রহায়ণ (১৯ নভেম্বর) : 

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল শামীম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন উদার চেতনার অধিকারী একজন খাঁটি মুসলমান। তিনি কখনো ধর্মকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেননি। তাঁরই যোগ্য উত্তরসূরি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও ইসলামের উন্নয়ন এবং প্রচার-প্রসারের মাধ্যমে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় কর্মকাণ্ডকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উন্নতি করেছেন। ধর্মকে কেউ যেন হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য সবাই সজাগ থাকতে হবে।

আজ শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পবিত্র সুরেশ্বর দরবার শরীফে হযরত মাওলানা জানশরীফ শাহ্ সুরেশ্বরী (রহ.)-এর শুভ আবির্ভাব দিবস উপলক্ষ্যে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে বক্তৃতায় উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন

উপমন্ত্রী শামীম বলেন, ভোট এলেই একটি গোষ্ঠি হীন উদ্দেশ্যে ধর্মকে ব্যবহার করে। দেশের আলেম,পীর মাশায়েক সমাজকে এ ব্যাপারে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলামে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। বাংলাদেশকে সব ধর্মের সব মানুষের জন্য শান্তির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু ছিলেন সদা সচেষ্ট। দেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধের বিষয়ে বিবেচনায় রেখে তিনি ইসলামের প্রচার-প্রসারে গ্রহণ করেছিলেন বাস্তবভিত্তিক ও কার্যকরী নানা ব্যবস্থা।

উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যেমন একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের মহান স্থপতি, তেমনি বাংলাদেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামের প্রচার-প্রসারের স্থপতিও তিনি। মহান ধর্ম ইসলামের কল্যাণময় স্রোতধারায় সঞ্জীবিত করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ইসলামের প্রচার ও প্রসারে নানমুখী উদ্যোগ নিয়েছেন। এর মধ্যে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ, দেশের ৩১টি কামিল মাদ্রাসায় অনার্স কোর্স চালু করা, যোগ্য আলেমদের ফতোয়া প্রদানে আদালতের ঐতিহাসিক রায়, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সৌন্দর্যবর্ধন ও সম্প্রসারণ, সুউচ্চ মিনার নির্মাণ, সারাদেশে ৫০০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামি সেন্টার নির্মাণ উল্লেখযোগ্য ।

অনুষ্ঠানে সখিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মোল্যা, জেলা পরিষদ সদস্য এমএ কাইয়ুম, হযরত মাওলানা জানশরীফ শাহ্ সুরেশ্বরী (রহ.)- বংশধর সাইয়্যেদ কামাল নুরী, সাইয়্যেদ বেল্লাল নুরী, সাইয়্যেদ ইকবাল নুরী, আশেক্কীনে আউলিয়া ঐক্য পরিষদের সভাপতি সাইয়্যেদ আলম নুরী আল সুরেশ্বরী, শাহিন নূরী, অদিত শাহ নূরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

#

 

গিয়াস/মেহেদী/জুলফিকার/রবি/ইমা/২০২২/১৩০৫ ঘণ্টা

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ৪৬০১

 

বাংলাদেশ ও উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থার মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

 

ঢাকা, ৪ অগ্রহায়ণ (১৯ নভেম্বর) : 

 

বাংলাদেশ এবং উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থা (জিসিসি) এর মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত কনসালটেশনের লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। 

 

গতকাল বাহরাইনের রাজধানী মানামায়, মানামা সংলাপের সাইডলাইন বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থার মহাসচিব ড. নায়েম ফালাহ এম. আল-হাজরাফ এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। সমঝোতা স্মারকের অধীনে উভয় পক্ষ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগ, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা এবং পরিবেশ সুরক্ষায় সহযোগিতার জন্য নিয়মিত আলোচনা করবে।

 

বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস, বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোঃ নজরুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ ও জিসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, দক্ষতা উন্নয়ন, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, সংকট ব্যবস্থাপনা, শান্তি ব্যবস্থাপনা, বনায়ন ও তথ্যপ্রযুক্তি সহযোগিতা, পিটিএ/এফটিএ-এর জন্য বাংলাদেশ ও জিসিসির একসঙ্গে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। তিনি এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি সম্পর্কে মহাসচিবকে অবহিত করেন।

 

জিসিসি মহাসচিব বলেন, এই সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশ ও জিসিসির মধ্যে সহযোগিতার আইনি কাঠামো হিসেবে যৌথ কর্মপরিকল্পনা, যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ ও টেকনিক্যাল টিম, জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল এবং জিসিসি ফোরামের মাধ্যমে কাজ করবে। 

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিসিসি মহাসচিবকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

 

#

 

মোহসিন/মেহেদী/জুলফিকার/রবি/ইমা/২০২২/১১৫০ ঘণ্টা

 

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ৪৬০০

 

কবি সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী  

 

 

ঢাকা, ৪ অগ্রাহায়ণ (১৯ নভেম্বর) :   

 

            প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২০ নভেম্বর কবি বেগম সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল এবং নারীমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ কবি বেগম সুফিয়া কামাল- এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি বেগম সুফিয়া কামালের সাহিত্যে সৃজনশীলতা ছিল অবিস্মরণীয়। শিশুতোষ রচনা ছাড়াও দেশ, প্রকৃতি, গণতন্ত্র, সমাজ সংস্কার এবং নারীমুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর লেখনী আজও পাঠককে আলোড়িত ও অনুপ্রাণিত করে।

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার চিন্তাধারা কবি সুফিয়া কামালের জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছিল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা হোস্টেলকে ‘রোকেয়া হল’ নামকরণের দাবী জানান। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান সরকার রবীন্দ্র সংগীত নিষিদ্ধ করলে এর প্রতিবাদে গঠিত আন্দোলনে কবি যোগ দেন। বেগম সুফিয়া কামাল শিশু সংগঠন ‘কচি-কাঁচার মেলা’ প্রতিষ্ঠা করেন। আওয়ামী লীগ সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর নামে ছাত্রী হল নির্মাণ করেছে।

সুফিয়া কামাল ছিলেন একদিকে আবহমান বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি, মমতাময়ী মা, অন্যদিকে বাংলার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তাঁর আপোষহীন এবং দৃপ্ত পদচারণা। বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামসহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তাঁর প্রত্যক্ষ উপস্থিতি তাঁকে জনগণের ‘জননী সাহসিকা’ উপাধিতে অভিষিক্ত করেছে। কবি বেগম সুফিয়া কামাল যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা যুগে যুগে বাঙালি নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পঁচাত্তরের পনেরই আগস্টে নির্মমভাবে হত্যা করে যখন এদেশের ইতিহাস বিকৃতির পালা শুরু হয়, তখনও তাঁর সোচ্চার ভূমিকা বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের গণতান্ত্রিক শক্তিকে নতুন প্রেরণা যুগিয়েছিল।

আমি আশা করি, কবি বেগম সুফিয়া কামালের জীবনী চর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে। কবির ভাষায় -

            ‘তোমাদের ঘরে আলোর অভাব কভূ নাহি হবে আর

             আকাশ-আলোক বাঁধি আনি দূর করিবে অন্ধকার।

        শস্য-শ্যামল এই মাটি মা’র অঙ্গ পুষ্ট করে

             আনিবে অটুট স্বাস্থ্য, সবল দেহ-মন ঘরে ঘরে।’

 

আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

  জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

            বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

শাহানা/মেহেদী/জুলফিকার/রবি/মাসুম/২০২২/১০৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৪৫৯৯

কবি সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ৪ অগ্রহায়ণ (১৯ নভেম্বর) :

 

          রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ১৯ নভেম্বর নারীমুক্তি আন্দোলনের অগ্রদূত কবি সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

 

“গণতন্ত্র, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও নারীমুক্তি আন্দোলনের অগ্রদূত কবি সুফিয়া কামালের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।

 

কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন নারী আন্দোলনের পথিকৃৎ এবং সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে এক অকুতোভয় যোদ্ধা। তাঁর জন্ম ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালে। তখন বাঙালি মুসলমান নারীদের লেখাপড়ার সুযোগ একেবারে সীমিত থাকলেও তিনি নিজ চেষ্টায় লেখাপড়া শেখেন এবং ছোটবেলা থেকেই কবিতাচর্চা শুরু করেন। সুললিত ভাষায় ও ব্যঞ্জনাময় ছন্দে তাঁর কবিতায় ফুটে উঠত সাধারণ মানুষের সুখ-দু:খ ও সমাজের সার্বিক চিত্র। তিনি নারীসমাজকে অজ্ঞানতা ও কুসংস্কারের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। মহান ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার, মুক্তিযুদ্ধসহ গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলনে তিনি আমৃত্যু সক্রিয় ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তিনি ছিলেন তার অন্যতম উদ্যোক্তা।

 

কবি সুফিয়া কামাল পিছিয়ে পড়া নারী সমাজের শিক্ষা ও অধিকার আদায়ের আন্দোলন শুরু করেছিলেন এবং গড়ে তোলেন ‘বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ’। বিভিন্ন গণতান্ত্রিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে অবদানের জন্য তাঁকে ‘জননী সাহসিকা’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

 

কবি সুফিয়া কামাল তাঁর কাব্য প্রতিভা ও কর্মের গুণে আমাদের মাঝে চিরকাল বেঁচে থাকবেন। মহীয়সী এ নারীর জীবনাদর্শ ও সাহিত্যকর্ম একটি বৈষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।

 

আমি কবি সুফিয়া কামালের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

 

            জয় বাংলা।   

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

 

#

 

হাসান/মেহেদী/জুলফিকার/রবি/ইমা/২০২২/১০৩০ ঘণ্টা

 

 

 

 

 

 

2022-11-19-13-55-4a42e000e66729774b689ebfeca83d60.docx