তথ্যবিবরণী নম্বর :১৬
মিয়ানমার নাগরিকদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন চলছে
উখিয়া (কক্সবাজার), ১৮ পৌষ (১ জানুয়ারি) :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭টি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে।
আজ কুতুপালং -১ ক্যা¤েপ ১ শত জন পুরুষ, ৫৫ জন নারী মিলে ১ শত ৫৫ জন, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে ১ শত ৯০ জন পুরুষ, ১ শত ৩০ জন নারী মিলে ৩ শত ২০ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ১ শত ১৬ জন পুরুষ, ১ শত ২১ জন নারী মিলে ২ শত ৩৭ জন, থাইংখালী-১ ক্যাম্পে ১ শত ৫৮ জন পুরুষ, ১ শত ৩৯ জন নারী মিলে ২ শত ৯৭ জন, থাইংখালী-২ ক্যাম্পে ৩৭ জন পুরুষ, ২৭ জন নারী মিলে ৬৪ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ২ শত ৭০ জন পুরুষ, ১ শত ৭১ জন নারী মিলে ৪ শত ৪১ জন, ঊনচিপ্রাং ক্যাম্পে ২০ জন পুরুষ, ২৪ জন নারী মিলে ৪৪ জন এবং পুরোদিনে ৭টি কেন্দ্রে মোট ১ হাজার ৫ শত ৫৮ জনের জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।
আজ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোট ৯ লাখ ৩২ হাজার ৭ শত ৪৭ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে।
সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক আজ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৩ শত ৭৩ জন এতিম শিশু শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ হাজার ৩ শত ৯৫ জন ছেলে এবং ১৮ হাজার ৯ শত ৭৮ জন মেয়ে। বাবা-মা কেউ নেই এমন এতিম শিশুর সংখ্যা ৭ হাজার ৭ শত ৭১ জন।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) রিপোর্ট মোতাবেক আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ৬ লাখ ৭২ হাজার ৭ জন । অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়ছে। ২৫ আগস্ট, ২০১৭ এর পূর্বে আগত মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ২ লাখ ৪ হাজার ৬০ জন।
#
সাইফুল/আলী/আব্বাস/২০১৮/২১১২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫
পাবনার আটঘরিয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করলেন ভূমিমন্ত্রী
আটঘরিয়া (পাবনা), ১৮ পৌষ (১ জানুয়ারি ) :
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় ১৪৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪ লাখ ১৫ হাজার সরকারি বই বিনামূল্যে বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
আজ পাবনার আটঘরিয়া পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, সারাদেশে একযোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩৫ কোটি ৪৬ লাখ পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে। আটঘরিয়া উপজেলার ২৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৮০ হাজার ৭৯২টি বই, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ১ লাখ ৩০ হাজার ৬০০টি বই, এবতেদায়ী ২৪টি প্রতিষ্ঠানের জন্য ৩৯ হাজার ৯৭০টি বই এবং ১৯টি দাখিল মাদ্রাসার জন্য ৬৪ হাজার ১৭৬টি বই বিতরণ করা হয়।
#
রেজুয়ান/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/২০২৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪
বরিশালে পর্যটন হোটেল নির্মাণের জায়গা দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ
ঢাকা, ১৮ পৌষ (১ জানুয়ারি) :
বরিশালে একটি পর্যটন হোটেল এবং পর্যটন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করবে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন। এলক্ষ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) পর্যটন কর্পোরেশনকে এক একর জমি ‘লাইসেন্স প্রদত্ত সম্পত্তি’ হিসাবে প্রদান করবে। কীর্তনখোলা নদীসংলগ্ন এলাকায় একটি আধুনিক দৃষ্টিনন্দন পর্যটন হোটেল নির্মাণ করা হলে তা বরিশাল অঞ্চলের পর্যটন কার্যক্রমের প্রসারতা ও উন্নয়নসহ জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
আজ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক এবং বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজজামান খান কবির নিজ নিজ পক্ষে স্বাক্ষর করেন। এসময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুক এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ আবদুস সামাদ উপস্থিত ছিলেন।
পর্যটন হোটেল নির্মাণের যাবতীয় ব্যয়ভার বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন কর্তৃক নির্বাহ করা হবে। হোটেল নির্মাণ ও নির্মাণ পরবর্তী মেরামত ও উন্নয়ন সংক্রান্ত সকল কাজ পর্যটন কর্পোরেশন নিজ দায়িত্বে ও অর্থায়নে সম্পাদন করবে। যেখানে পর্যটন হোটেল এবং পর্যটন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপিত হবে সেটি বিআইডব্লিউটিএ’র বরিশালস্থ বিলুপ্ত নৌ-কারখানা এলাকার উত্তর-পশ্চিম অংশের জমি।
সমঝোতা চুক্তিনামা স্বাক্ষরের পর থেকে ‘লাইসেন্স প্রদত্ত সম্পত্তির’ মেয়াদ হবে ত্রিশ বছর। পর্যটন কর্পোরেশন নির্ধারিত লাইসেন্স ফি বাৎসরিক ভিত্তিতে পরিশোধ করবে। প্রতি ১০ বছর পর লাইসেন্স ফি উভয় পক্ষের সম্মতিতে বৃদ্ধি পাবে। ৩০ বছর পর উভয় পক্ষের সম্মতিতে পুনরায় চুক্তিনামা সম্পাদিত হবে। তবে কোন পক্ষ ৩০ বছর মেয়াদ শেষান্তে পুনঃচুক্তিনামা সম্পাদনের আগ্রহী না হলে বর্ণিত সম্পত্তি ১ম পক্ষের সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে।
#
জাহাঙ্গীর/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৯৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩
রেলওয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত সংবাদের প্রতিবাদ
ঢাকা, ১৮ পৌষ (১ জানুয়ারি) :
‘রেলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ’ সম্পর্কিত একটি সংবাদ ১ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে কিছুসংখ্যাক দৈনিক পত্রিকায় ও অনলাইন মিডিয়ায় প্রকাশিত ও প্রচারিত সংবাদের প্রতি রেলপথ মন্ত্রী ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। রেলপথ মন্ত্রণালয় এর প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রকৃত তথ্য হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া। রেলকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য দক্ষ লোকবল খুবই প্রয়োজন। বাংলাদেশ রেলওয়েতে লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে আইন ও বিধি বিধান অনুযায়ী একটি নিয়োগ কমিটি গঠন করা হয়। সংশ্লিষ্ট নিয়োগ কমিটি পত্রিকায় চাকরীর বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা থেকে শুরু করে পরীক্ষা গ্রহণ, যোগ্য প্রার্থী নিয়োগের ব্যাপারে প্রচলিত কোটা পদ্ধতি অনুসরন করে শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে প্রার্থী নিয়োগ দিয়ে থাকে । নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগ কমিটির বাইরে কারও কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নাই। কাজেই খালাসী পদে নিয়োগে অনিয়মের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশিত তথ্যে যে সব অভিযোগ করা হয়েছে তার কোনটাই সঠিক নয়। ৮৬৫ জন খালাসী নিয়োগের প্রক্রিয়া মন্ত্রীর বাসায় চূড়ান্ত করা হচ্ছে মর্মে যে অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। মন্ত্রীর বাসায় কোন নিয়োগ সংক্রান্ত কোন বিষয়ে কখনই আলোচনা বা চূড়ান্ত করার সুযোগ নেই। রেলের নিয়োগ একান্তই কমিটির বিষয়। তাছাড়া যেহেতু উল্লিখিত খালাসী পদে এখনও নিয়োগ দেয়া হয় নাই সেহেতু এ জাতীয় অভিযোগ উত্থাপনের কোন সুযোগ নাই।
যারা সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন তারা কেউ বর্তমানে রেলের সাথে যুক্ত নয় অথচ রেলের নাম ব্যবহার করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। বর্তমানে লোকবলের অভাবে রেলে যাত্রীসেবা পরিপূর্ণভাবে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। যখনই কোন লোকবল নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করা হয়ে থাকে তখনই কিছু অসাধু চক্র নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বাঁধা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করে। আর এ চক্রান্তের সাথে সংবাদ সম্মেলনকারীগণ জড়িত বলে প্রতীয়মান হয়। তাছাড়া রেলমন্ত্রীকে উদ্দ্যেশ্যে করে যে সকল বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে তা মন্ত্রীর সম্মানহানির উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
#
শরিফুল/ফারহানা/শেফায়েত/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৮/১৯৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২
কর্মকর্তাদের নতুন বছরে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান আইনমন্ত্রীর
ঢাকা, ১৮ পৌষ (১ জানুয়ারি) :
নতুন বছরের শুরু থেকেই কর্মকর্তাদের নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানালেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ সোমবার সকালে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, নতুন বছরের প্রথম অঙ্গীকার হবে সকলের জন্য স্বল্পব্যয়ে ও স্বল্পসময়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণের পরিবেশ তৈরি করা।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হক নিজ নিজ বিভাগের পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। মন্ত্রণালয়ের উভয় বিভাগের সকলস্তরের কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজাউল/ফারহানা/আব্বাস/২০১৮/১৯২৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০
‘দু’জন দু’জনার’ আবৃত্তি সিডি উদ্বোধন করলেন তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ পৌষ (১ জানুয়ারি) :
আবৃত্তিশিল্পী কিশ্ওয়ার সীমা’র আবৃত্তি সিডি ‘দু’জন দু’জনার’ মোড়ক উন্মোচন করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
সোমবার তথ্য মন্ত্রণালয়ে সংক্ষিপ্ত এ মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য যেমন টেকসই রাজনীতি ও টেকসই গণতন্ত্র প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন শিল্প ও সংস্কৃতির জয়যাত্রা অব্যাহত রাখা। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি জাতির প্রাণ, আর শিল্পীরাই সেই প্রাণের ধারক।’
‘ইনোভেটিভ স্পোর্টস মিডিয়া’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন স¤্রাটের তত্ত্বাবধানে ও শিল্পী ফাইরুজ মালিহা রায়জা’র অলংকরণে ‘রাইভাল মুভি’ প্রকাশিত ‘দু’জন দু’জনার’ সিডিটিতে কবি হেলাল হাফিজ, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহসহ প্রখ্যাত কবিদের ২৯টি কবিতার আবৃত্তি রয়েছে।
রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় হতে বাংলা সাহিত্যে মাষ্টার্স ডিগ্রী অর্জনকারী কিশ্ওয়ার সীমা ছোটবেলা থেকেই আবৃত্তির চর্চা করছেন। তার প্রথম এ আবৃত্তির সিডির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রীর সাথে যোগ দেন সংস্কৃতিকর্মী মোঃ রবিউল আলম, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও ক্রীড়াব্যক্তিত্ব শেখ সাদ আহমেদ মিঠু ও ‘ইনোভেটিভ স্পোর্টস মিডিয়া’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন স¤্রাট।
#
আকরাম/ফারহানা/শেফায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৯১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯
শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করলেন ভূমিমন্ত্রী
আটঘরিয়া (ঈশ্বরদী), ১৮ পৌষ (১ জানুয়ারি) :
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ নিজ উদ্যোগে ঈশ^রদী ও আটঘরিয়া উপজেলায় শীতার্ত দরিদ্রদের মাঝে ১৪ হাজার কম্বল বিতরণ করেন।
মন্ত্রী ঈশ্বরদীতে ৯ হাজার কম্বল এবং আটঘরিয়ায় শীতার্ত দরিদ্রদের মাঝে নিজ উদ্যোগে আড়াই হাজার কম্বল ও সরকারিভাবে আরো ২ হাজার ৪৩০টি কম্বল বিতরণ করেন। এসময় আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকরাম আলী, আটঘরিয়া পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম রতন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবদুল করিমসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজুয়ান/ফারহানা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/১৮৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮
ঈশ^রদীতে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করলেন ভূমিমন্ত্রী
ঈশ^রদী, ১৮ পৌষ (১ জানুয়ারি) :
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ঈশ^রদীতে ৭৫ হাজার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ৭ লাখ ৫০ হাজার বই বিনামূল্যে বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
আজ ঈশ^রদীর সাঁড়া মাড়োয়াড়ী মডেল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী।
ঈশ^রদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরিন আক্তারের সভাপতিত্বে ঈশ^রদী উপজেলার ৬৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৭০০টি বই এবং ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৯ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থীর মাঝে ২ লাখ ৯ হাজার ৬৫০টি বই বিতরণ করা হয়।
সরকারিভাবে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা উত্তর সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্রমান্বয়ে জাতীয়করণ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
#
রেজুয়ান/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৮৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭
শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরি করতে কাজ করছে সরকার
--- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
কেশবপুর (যশোর), ১৮ পৌষ (১ জানুয়ারি) :
নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। নিজের দেশকে ভালবাসতে হবে। জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান জানাতে হবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক আজ যশোরের কেশবপুরে পাবলিক মাঠে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণকালে একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রাথমিক পর্যায়ের ২৪ হাজার ৪ জন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ১ লাখ ১৪ হাজার ৪০৯টি বই এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের ৩২ হাজার ১৪২ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ৪ লাখ ৩ হাজার ৩০০টি বই বিতরণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১০০ ভাগ শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরিতে সরকার কাজ করছে। স্কুলের সব ছাত্রছাত্রী যাতে পড়াশোনার সুযোগ পায় ও গরিব পরিবারের সন্তানরা যাতে অর্থাভাবে নতুন বই থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য সরকার সবাইকে নতুন বই প্রদান করছে।
খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি এসময় ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার বিষয়ে আরো দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী পরে কেশবপুরের ৮৩ গরিব পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেককে ২ বান্ডিল করে ঢেউটিন ও ৬ হাজার করে টাকা প্রদান করেন এবং শহিদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর উম্মোচন এবং নির্মান কাজ উদ্বোধন করেন।
#
মাসুম/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৮/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬
শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে
এমবিবিএস প্রথমবর্ষে ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রীদের পরিচিতিমূলক ক্লাস
ঢাকা, ১৮ পৌষ (১ জানুয়ারি) :
শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, ঢাকাতে প্রথমবর্ষ এমবিবিএস ক্লাসে ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রীদের পরিচিতি ক্লাস আগামী ৩ জানুয়ারি ২০১৮ বুধবার সকাল ১১টায় কলেজের ৫ম তলায় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
নবাগত সকল ছাত্রছাত্রীকে উক্ত পরিচিতি ক্লাসে একজন অভিভাবকসহ উপস্থিত হওয়ার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ অনুরোধ জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, এমবিবিএস কোর্সের পরিচিতিমূলক ক্লাস সমাপনীর পর আগামী ১০ জানুয়ারি, বুধবার থেকে নিয়মিত ক্লাস শুরু হবে।
#
ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৮/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫
খুলনা মেডিকেল কলেজে
এমবিবিএস প্রথমবর্ষে ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রীদের পরিচিতিমূলক ক্লাস
ঢাকা, ১৮ পৌষ (১ জানুয়ারি) :
খুলনা মেডিকেল কলেজ এর প্রথমবর্ষ এমবিবিএস কোর্সে ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রীদের পরিচিতি ক্লাস আগামী ১০ জানুয়ারি ২০১৮ বুধবার সকাল ১০টায় কলেজের ০১ (এক) নং লেকচার গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হবে এবং একই দিন ক্লাস শুরু হবে।
নবাগত সকল ছাত্রছাত্রীকে উক্ত পরিচিতি ক্লাসে একজন অভিভাবকসহ উপস্থিত হওয়ার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ অনুরোধ জানিয়েছে।
#
আহাদ/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৮/১৮০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ০৪
উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০১৮ সাল দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
-এলজিআরডি মন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ পৌষ (১ জানুয়ারি ) :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে ২০১৮ সাল দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মন্ত্রী আজ সচিবালয়স্থ স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে ‘ইংরেজি নতুন বছর ২০১৮’ উপলক্ষে মন্ত্রণালয় ও অধীনস্ত দপ্তর ও সংস্থাসমূহের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
এসময় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মাফরূহা সুলতানা, স্থানীয় সরকার বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব ইকরামুল হক, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ এবং সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল মজিদসহ মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের
কর্মকর্তা-কমচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
মোশাররফ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়নে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। আন্তরিকতার সাথে সুষ্ঠুভাবে কাজ করলে ২০১৮ সালের মধ্যেই আমরা মধ্যমআয়ের দেশে পরিণত হতে পারবো।
মন্ত্রী বলেন, এবছর বৃহৎ প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নে জোরালোভাবে কাজ করতে হবে। শিক্ষা, দারিদ্র্যমোচন, স্বাস্থ্যখাতে যে উন্নয়ন হয়েছে তাকে আরো বেগবান করতে হবে।
তিনি মন্ত্রণালয় ও অধীনস্ত দপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, এ মন্ত্রণালয় দেশের উন্নয়ন কর্মকা-ের প্রায় শতকরা ৮০ ভাগের অংশীদার। আপনাদের নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা ‘রূপকল্প ২০২১’ পূরণে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
#
জাকির/অনসূয়া/রফিকুল/শামীম/২০১৮/১৫১২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ০৩
বাংলাদেশ বিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে
- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ পৌষ (১ জানুয়ারি ) :
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বছরের প্রথমদিনেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। এত বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর মাঝে বই বিতরণ বিশ্বে অতুলনীয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ শুরু হয়। এ কার্যক্রম সারা পৃথিবীতে প্রশংসিত হয়েছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে পাঠ্যপুস্তক উৎসব ২০১৮-এর কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
নাহিদ বলেন, ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে ৪ কোটি ৩৭ লাখ ৬ হাজার ৮৯৫ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ১৬২টি বই বিতরণ করা হচ্ছে। এই বিপুল পরিমাণ বই ছাপা ও স্কুলে পৌঁছে দেয়ার কাজে প্রায় ৯৮ হাজার জনবল কাজ করেছে। নতুন বই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য নববর্ষের উপহার উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন বই শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রেরণা ও উৎসাহ সৃষ্টি করে।
মন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক স্তরের এক কোটি ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৫৭৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১৮ কোটি ৭৩ লাখ ৮৫ হাজার ৯২১টি বই বিতরণ করা হবে। প্রাথমিক স্তরে ২ (দুই) কোটি ১৭ লাখ ২১ হাজার ১২৯ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১০ কোটি ৩৬ লাখ ২৪ হাজার ৪০৫টি বই বিতরণ করা হবে। এছাড়া, প্রাক-প্রাথমিকের ৩৪ লাখ ১১ হাজার ১৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৬৮ লাখ ২৩ হাজার ৬৪৮টি বই ছাপা হয়েছে। প্রাক-প্রাথমিকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৫৮ হাজার ২৫৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য পাঁচটি ভাষায় এক লাখ ৪৯ হাজার ২৭৬টি বই ছাপা হয়েছে। এছাড়াও ৯৬৩ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য ৮ হাজার ৪০৫টি ব্রেইল বই বিতরণ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. মাহাবুবুর রহমান এবং পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ শিল্প সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান বক্তৃতা করেন।
#
আফরাজুর/অনসূয়া/রফিকুল/শামীম/২০১৮/১৫০৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২
জাতীয় সমাজসেবা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৮ পৌষ (১ জানুয়ারি) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“প্রতিবছরের মতো দেশে এবারও ২ জানুয়ারি ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০১৮’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘নারী-পুরুষ নির্বিশেষ, সমাজসেবায় গড়বো দেশ’ যা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অসহায় ও অনগ্রসর মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি প্রবর্তন করেন। শিশুদের সুরক্ষা ও উন্নয়নে শিশু আইন, ১৯৭৪ প্রণয়নসহ কেয়ার এন্ড প্রটেকশন সেন্টার (সরকারি শিশু পরিবার) প্রতিষ্ঠা করেন।
জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময়ই দেশের দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করেছে। বিগত ৯ বছরে দেশের সুস্থ, দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত শিশু, প্রতিবন্ধী, কিশোর-কিশোরী, স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ও প্রবীণ ব্যক্তিবর্গসহ অসহায় মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।
আমরা বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা, বিধবাভাতা ও মুক্তিযোদ্ধা সম্মানীভাতা বৃদ্ধিসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সকল খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছি। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যথা হিজড়া, বেদে ও দলিত সম্প্রদায়ের উন্নয়নে আমরা প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছি। এছাড়া ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগীদের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। শহর সমাজসেবা কার্যক্রম, হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রম ও মাতৃকেন্দ্রসমূহ বিভিন্ন ধরণের সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
আমরা ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তি (পুনর্বাসন) আইন ২০১১, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩, নিউরো-ডেভলপমেন্ট প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন ২০১৩ এবং পিতামাতার ভরণ-পোষণ আইন ২০১৩, শিশু আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছি।
আমরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তির উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির তথ্যের সমন্বয়ে একটি ডাটাবেজ তৈরি করেছি। সামাজিক নিরাপত্তমূলক কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীর তথ্যভা-ার তৈরির লক্ষ্যে শিরোনামে ওয়েব বেইজড সফটওয়্যার তৈরি করেছি। দ্রুত ও সহজে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ই-পেমেন্ট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা শিশুদের সহায়তায় চাইল্ড হেল্প লাইন ১০৯৮ (টোল ফ্রি) সেবা চালু করেছি। সামাজিক নিরাপত্তমূলক কর্মসূচি সমন্বয় ও গতিশীল করার লক্ষ্যে ‘সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলপত্র’ প্রণয়ন করেছি।
আমি দেশের দুস্থ, অসহায় ও প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানাই। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমাজের সুষম উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে সক্ষম হব।
আমি ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০১৮’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
অনসূয়া/শহিদ/রফিকুল/আসমা/২০১৮/১৫৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১
জাতীয় সমাজসেবা দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৮ পৌষ (১ জানুয়ারি) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জাতীয় সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
"জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন, দুস্থ ও অসহায় মানুষের সেবা নিশ্চিতকরণ এবং সামাজিক নিরাপত্তা জোরদারকরণে বিভিন্ন কল্যাণধর্মী কর্মসূচি গ্রহণ করে দূরদর্শিতার স্বাক্ষর রাখেন। এরই ধারাবাহিকতায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সমাজসেবা অধিদফতর সামাজিক নিরাপত্তা বলয় সুদৃঢ়করণসহ সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। সমাজসেবা অধিদফতর দেশের অনগ্রসর, অসহায় ও দুস্থ প্রবীণ জনগোষ্ঠীর কল্যাণ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়ন এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষা, উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা বিধানকল্পে বহুমাত্রিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এ লক্ষ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে 'জাতীয় সমাজসেবা দিবস’ উ`&যাপন একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন ও অগ্রগতির মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে। আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে অর্জিত হচ্ছে নানা সাফল্য। এ অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রয়াস অপরিহার্য। এ পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সমাজসেবা দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘নারী-পুরুষ নির্বিশেষ, সমাজসেবায় গড়বো দেশ' টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আলোকে যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
সামাজিক নিরাপত্তা অর্জনসহ জনগণের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে সম্মিলিত উদ্যোগ অনস্বীকার্য। আমি সামাজিক সেবার পরিধি বৃদ্ধিসহ সুখীসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থাকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
আমি জাতীয় সমাজসেবা দিবস, ২০১৮ উ`&যাপন উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।"
#
আজাদ/অনসূয়া/শহিদ/জসীম/আসমা/২০১৮/১২০০ ঘন্টা