তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৭১
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রীর সাথে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের চাওয়া ফুটবল ও হকি-আর্জেন্টিনার ক্রিকেট ও কাবাডি
ঢাকা, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল):
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী মোঃ নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে আজ দুপুরে সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো সি সেসা।
সাক্ষাৎ শেষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘তারা আমাদের কাছে ক্রিকেটের সহযোগিতা চেয়েছে। আমি তাদের নিশ্চয়তা দিয়েছি কিউরেটর থেকে শুরু করে যা প্রয়োজন আমরা দিতে প্রস্তুত। প্রয়োজনে আমাদের ক্রিকেটাররাও সেখানে গিয়ে খেলবে। ক্রিকেটের পাশাপাশি তারা কাবাডি নিয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের জাতীয় খেলায় তারা একবার অংশ নিয়েছিল। আমরা কাবাডিতেও তাদের সহায়তা করতে পারি।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট ও কাবাডিতে সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি ফুটবল এবং হকিতে আর্জেন্টিনার সাহায্য প্রত্যাশী। বিশেষ করে ফুটবলে জোর দিয়েছেন মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন, ‘ফুটবলে তারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। অনেক ঐতিহ্য তাদের। আমরা তাদের কাছ থেকে কোচ নিতে পারি আবার আমাদের ছেলেমেয়েরা ওখানে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারে। হকিতে আমাদের সম্ভাবনা রয়েছে আবার তারাও হকিতে বিশ্ব মানের। হকি নিয়ে তাদেরও আগ্রহ আছে।’
আর্জেন্টিনা রাষ্ট্রদূত উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘সমঝোতা স্বাক্ষরের পর এটিই প্রথম আনুষ্ঠানিক সভা। অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। অবশ্যই ফুটবল সেখানে প্রাধান্য পেয়েছে। এছাড়া আমরা ক্রিকেট ও হকিতে এগুতে চাই সেটাও জানিয়েছি।’ এক বছর আগে সমঝোতা স্বাক্ষর হলেও তেমন কার্যকর পদক্ষেপ না হওয়ার কারণ সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশ দুই দিকেই নির্বাচন ছিল। আমরা এখন দুই দেশ ক্রীড়ার মাধ্যমে আরো কাছাকাছি আসতে চাই।’
#
আরিফ/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২১৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৭০
প্রবাসীদের রেমিটেন্স উন্নয়নের একটি মূল চালিকাশক্তি
-- সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
চাঁদপুর, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল):
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকা আছে। তাদের পাঠানো রেমিটেন্স আমাদের উন্নয়নের একটি মূল চালিকাশক্তি। প্রবাসীদের জন্য এবং তাদের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সবসময়ই কাজ করে যাচ্ছেন।
মন্ত্রী আজ চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের ব্যবস্থাপনায় প্রবাসী কর্মীদের প্রতিবন্ধী সন্তানদের মাঝে প্রতিবন্ধী ভাতা বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, একটা সময় ছিলো প্রবাসীদের প্রতি পদে পদে নানা ধরনের প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হতে হতো। এখন ঢালাওভাবে প্রতারণার সুযোগ অনেক কমে গেছে। এখন বৈধ ভিসার সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক বেশি। অবৈধ যাওয়ার সংখ্যা হয়তো একেবারে কমে আসছে। বিমান বন্দরে যেখানে আগে হয়রানি ছিলো, সেখানে সেবা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রীমা চাকমা, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত জামিল সৈকত, চাঁদপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক রজত শুভ্র সরকার, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সফিকুর রহমান।
#
জাকির/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২১৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৬৯
নতুন প্রজন্মের মাঝে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের তাৎপর্য
তুলে ধরার আহ্বান মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর
ঢাকা, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল):
নতুন প্রজন্মের মাঝে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র হলো বর্তমান সংবিধানের ভিত্তি। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র মহান মুক্তিযুদ্ধের গতি ত্বরান্বিত করে।
আজ রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার হলে স্বাধীনতা ঘোষাণাপত্রের ৫৩তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র: স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানের সৃষ্টিতত্ত্ব’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘’৭১-এর ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রের মাধ্যমে গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারের অনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় ১৭ এপ্রিল। সেই অনাড়ম্বর আন্তরিক ভালোবাসাপূর্ণ শান্ত সুনিবিড় পরিবেশে উপস্থিত ছিলেন দেশি বিদেশি বহু প্রখ্যাত সাংবাদিক। সাক্ষী হিসেবে ছিলেন হাজারো স্থানীয় মানুষ। সনাতন ধর্মাবলম্বী একজনের বাড়ি থেকে আনা হারমোনিয়ামে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন ভবেরপাড়ার ছেলেরাই। গার্ড অভ্ অনার প্রদান করেন স্থানীয় আনসার ও পুলিশের সদস্যবৃন্দ। আর এর নেতৃত্বে ছিলেন ঝিনাইদহের এসডিপিও মাহবুবউদ্দিন আহমেদ। এভাবেই সকল ধর্মের মানুষের একত্রিত প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে করা হল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি। তিনি তখনও পাকিস্তানিদের হাতে বন্দি। তাই উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন তাজউদ্দীন আহমদ। একই সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হলো মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের। ঘোষণাপত্র পাঠ করলেন অধ্যাপক ইউসুফ আলী। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং হাজারো জনতার সামনে বক্তব্য রাখলেন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। তাজউদ্দীন আহমদ বৈদ্যনাথতলার নামকরণ করলেন ‘মুজিবনগর’।
আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধের ৮নং সাব-সেক্টর কমান্ডার ও মুজিবনগর সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের গার্ড অব অনার প্রদানকারী সাবেক এসপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট-এর সভাপতি ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন এবং নির্মূল কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক শহীদসন্তান অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী।
সভা সঞ্চালনা করেন নির্মূল কমিটির আইটি সেলের সভাপতি শহীদসন্তান নাট্যজন আসিফ মুনীর।
#
নূর/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২১২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৬৮
শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে
-- তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল):
শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে মুক্তি ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব দ্বাদশ লিবারেশন ডকফেস্ট বাংলাদেশ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ও মেন্টর এক্সপোজিশন অভ্ ইয়াং ফিল্ম ট্যালেন্ট নীলোৎপল মজুমদার এবং ভারতের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা হাওবাম পবন কুমার। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি আসাদুজ্জামান নূর এমপি এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও উৎসব পরিচালক মফিদুল হক। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব সারা যাকের।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যে চিন্তা-চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে সেটি হলো একটি অসাম্প্রদায়িক, আধুনিক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ তৈরি হবে, যেখানে উগ্রবাদ-মৌলবাদের কোনো জায়গা থাকবে না। এ রকম একটি সমাজ তৈরি করতে গেলে আমাদের শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অনেক বেশি বিনিয়োগ দরকার।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ হওয়ার জন্য কতগুলো ভিত্তি দরকার। এ ভিত্তিগুলো তৈরি করার জন্য আমাদের অনেক অর্জন ইতিমধ্যে হয়েছে। গত পনেরো বছরে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেক হয়েছে, আরো উন্নয়ন করতে হবে। তবে আগামী পাঁচ বছর শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য আমাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কারণ আমরা যদি উগ্রবাদ, মৌলবাদ ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাই, তাহলে শিল্প ও সংস্কৃতির চেয়ে বড় কোন অস্ত্র হতে পারে না। শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন এখন আমাদের দরকার। একইসাথে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে উদ্ভাবনী মেধা খুবই দরকার।
প্রতিমন্ত্রী আরো যোগ করেন, রাষ্ট্রের কাজ অর্থনৈতিকভাবে শিল্পকে সহযোগিতা দেওয়া এবং এগিয়ে নেয়া যাতে যে মেধার জন্ম হয় সমাজে সেটা বিকশিত হতে পারে, শিল্পের মাধ্যমে আরো মানবতা ও মানবিকতা ছড়িয়ে যেতে পারে। দিন শেষে আমরা মানবিক বিশ্ব গড়তে চাই ও বিশ্ব নাগরিক হতে চাই।
তিনি আরো বলেন, দেশে আমরা সুস্থ শিল্প বিকাশের পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাই। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা এই কাজটি করার চেষ্টা করবো।
#
ইফতেখার/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২১১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৬৭
দেশকে এগিয়ে নিতে চেষ্টার কোনো ত্রুটি করব না
-- গণপূর্তমন্ত্রী
মানিকগঞ্জ, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল):
দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চেষ্টার কোন ত্রুটি করবেন না বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মেঘশিমুলে অবস্থিত ম্যাক্স গ্রুপের অটোক্লেভ এরেটেড কংক্রিট ব্লক ও প্যানেল তৈরির কারখানার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দেশে দারিদ্র্য ও অতি দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। দেশে মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। উন্নয়নকে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব করতে হবে। পোড়ামাটির ইটের পরিবর্তে কংক্রিট ব্লক ব্যবহার করতে হবে। এতে পরিবেশ দূষণ হ্রাস পাবে এবং কার্বন নিঃসরণ কম হবে।
ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী গোলাম মোঃ আলমগীরের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নবীরুল ইসলাম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শামীম আখতার, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান সরকার, হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আশরাফুল আলম, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান এবং মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার।
১০ একর জায়গায় স্থাপিত এ কারখানায় ম্যাক্স গ্রুপের মোট বিনিয়োগ ১৬০ কোটি টাকা। কারখানাটির সর্বোচ্চ উৎপাদনক্ষমতা প্রতিদিন ১ হাজার ব্লক ও প্যানেল। এসব ব্লক ও প্যানেল সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব উপায়ে তৈরি। পোড়া মাটির ইটের তুলনায় এসব ব্লক ও প্যানেল ৪০ শতাংশ ব্যয় সাশ্রয়ী এবং দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই।
মন্ত্রী আরো বলেন, উন্নয়ন কার্যক্রমে পরিবেশ সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে হবে। পোড়ামাটির ইটের তুলনায় কম পরিবেশ দূষণ করে বিধায় কংক্রিট ব্লকের ব্যবহার বাড়াতে হবে। এজন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক প্লান্ট স্থাপনের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। পরিবেশবান্ধব ব্লক ব্যবহারের জন্য তিনি গণপূর্ত অধিদপ্তর, রাজউক, স্থাপত্য অধিদপ্তরসহ সকল দপ্তর সংস্থার সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং এ ধরনের কারখানা স্থাপনে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের নির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলে মন্ত্রী মানিকগঞ্জ সার্কিট হাউসে জেলা আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সময় তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আলোচনা করেন। এ সময় তিনি সরকার ও দেশবিরোধী সকল চক্রান্ত সম্পর্কে সজাগ থাকতে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জাহিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজাউল/সায়েম/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৬৬
চিনির উৎপাদন বৃদ্ধি সময়ের দাবি
-- ধর্মমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল):
ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিনির ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ এবং বাজার স্থীতিশীল রাখার জন্য চিনির উৎপাদন বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি।
আজ ঢাকায় চিনি শিল্প ভবনের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ চিনিকল আখচাষি ফেডারেশনের পক্ষ হতে তাঁকে দেয়া সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীতেই চিনির চাহিদা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। অধিকাংশ দেশেই যতটুকু চিনি খেতে বলা হয় তার চেয়ে বেশি চিনি খাওয়া হচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল সুগার অর্গানাইজেশন (আইএসও) এর তথ্য মতে, ২০০১ সালে বিশ্বব্যাপী চিনি খাওয়ার পরিমাণ ছিল ১২৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন যা বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮ সালে দাঁড়ায় ১৭২ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন। গত ৫ দশকে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধির কারণে চিনি গ্রহণের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে।
ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, বছরে আমাদের চিনির চাহিদা প্রায় ১৮ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে আমরা উৎপাদন করতে পারি মাত্র ৮০ হাজার মেট্রিক টন। চিনি উৎপাদনের এই চিত্রটি আমাদের জন্য নিতান্তই হতাশাব্যঞ্জক। এদেশের চিনি শিল্প ও আখচাষিদেরকে বাঁচাতে হলে আমাদেরকে এখনই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা করবেন বলে চিনিকল আখচাষি ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন।
বাংলাদেশ চিনিকল আখচাষি ফেডারেশনের সভাপতি ও পঞ্চগড়-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম, পরিচালক এটিএম কামরুল ইসলাম তাং, খোন্দকার আজিম আহমেদ, মোঃ আতাউর রহমান খান, ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী বাদশা প্রমুখ।
#
আবুবকর/সায়েম/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৬৫
বিনিয়োগকারীদের প্রতি ওয়ান স্টপ সার্ভিস ব্যবহারের
আহ্বান বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যানের
বরিশাল, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল):
বরিশালে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর আয়োজনে বিনিয়োগ উন্নয়ন ও বিডা অনলাইন ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) কার্যক্রম অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ নগরীর বান্দ রোডে অবস্থিত হোটেল গ্র্যান্ড পার্কের হলরুমে আয়োজিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) লোকমান হোসেন মিয়া।
বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, ব্যবসায়ীদেরকে সরকার সহযোগিতা করবে। এটিই সরকারের উদ্দেশ্য। অথচ ব্যবসা শুরু করার জন্য একজন উদ্যোক্তার প্রয়োজনীয় যাবতীয় অনুমতি ও কাগজপত্র নিষ্পত্তি করতে ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে বহুগুণ বেশি সময় লাগত। এই দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে আনতে এ সংক্রান্ত সকল সেবা এক ছাতার নিচে নিয়ে আসার পদক্ষেপ নেয় সরকার, যার ধারাবাহিকতায় এখন ব্যবসা ও বিনিয়োগসংশ্লিষ্ট শতাধিক সেবা বিডা’র অনলাইন ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) এর আওতায় এসেছে। এ সময় তিনি বিডা’র কার্যক্রমে শতভাগ স্বচ্ছতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বরিশালের শিল্পোদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদেরকে এই ওএসএস ব্যবস্থার সেবা গ্রহণের আহ্বান জানান। সেই সাথে বরিশালের চিরায়ত ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যকে সমুন্নত রেখেই পর্যাপ্ত বিনিয়োগ নিশ্চিত করে এ বিভাগে কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, পর্যটন শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্প স্থাপনের মধ্য দিয়ে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়ার আশাবাদও ব্যক্ত করেন তিনি।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোঃ সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিডা’র মহাপরিচালক জীবন কৃষ্ণ সাহা রায়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সিটি মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত), জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য ড. মোঃ মতিউর রহমান, বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম, বরিশাল চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক, বরিশাল উইমেন চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি বিলকিস আহমেদ লিলিসহ স্থানীয় উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা। অতিথিদের বক্তব্যে বরিশালে শিল্পায়ন ও বিনিয়োগ পরিস্থিতির সার্বিক চিত্রের নানাদিক উঠে আসে এবং এ ব্যাপারে সকল অংশীজনের জন্য ভবিষ্যতে করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়।
#
রাফিদ/সায়েম/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৬৪
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অর্থ পেতে সরকার
বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন করবে
-- পরিবেশ মন্ত্রী
ঢাকা, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অর্থ পেতে সরকার বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব (বিসিডিপি) গঠন করতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, উন্নয়ন সংস্থাগুলো বিচ্ছিন্নভাবে নানা প্রতিষ্ঠানকে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় অর্থ দিয়ে আসছে। এক্ষেত্রে কোনো শৃঙ্খলা না থাকায় সেই অর্থের সদ্ব্যবহার হচ্ছে না। সরকারের সাথে উন্নয়ন অংশীদারদের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করতে এই প্ল্যাটফর্ম ভূমিকা রাখবে।
আজ রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (বিসিডিপি) বিষয়ে ডেভেলপমেন্ট পার্টনারদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় পরিবেশ মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং বাংলাদেশের এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন বিসিডিপি বাস্তবায়নের নির্দেশনা উপস্থাপন করেন। এছাড়া, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের দরকার ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ডেলটা প্ল্যান বাবদ ৪৭ বিলিয়ন, ন্যাশনাল এডাপটেশান প্ল্যান বাবদ ২৩০ বিলিয়ন, মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান বাবদ ৯০ বিলিয়ন আর ন্যাশনাল ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন বাস্তবায়নে দরকার ১৭৬ বিলিয়ন ডলার। আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম করে এমন বিনিয়োগগুলো অর্জনের জন্য, আমরা উল্লেখযোগ্য অর্থনীতি এবং অংশীদারদের সাথে কাজ করতে আগ্রহী। উন্নয়ন সংস্থাগুলো এক সাথে কাজ করলে সমস্যার সমাধান সহজ হবে।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, এই অংশীদারিত্ব সরকারকে বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিল থেকে জলবায়ু অর্থ সংগ্রহে সহায়তা করতে পারে, যার ফলে সামগ্রিক বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থ কাঠামোর উন্নতি ঘটবে। এটি অপরিহার্য যে সরকার এই সুযোগটিকে তার পূর্ণ সম্ভাবনার সাথে ব্যবহার করবে, কারণ এটি জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে লড়াই করার এবং তার নাগরিকদের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার দেশের ক্ষমতার ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।
#
দীপংকর/সায়েম/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর ː ৪২৬৩
স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করার উদ্যোগ নেয়া হবে
- স্বাস্থ্য মন্ত্রী
ঢাকা, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল)ː
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, চিকিৎসক এবং রোগীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। চিকিৎসক ও রোগীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার একমাত্র পন্থা হল স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন জাতীয় সংসদে পাশ করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।
মন্ত্রী আজ কুমিল্লায় ১৭-১৮ এপ্রিল দুইদিনের সফরে শেষ দিনে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রান্তিক অঞ্চলের স্বাস্থ্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, প্রান্তিক এলাকায় জরুরি স্বাস্থ্য সেবা বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবা উন্নত হলে সারা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত হলে শহরের ওপর চাপ কমবে। তিনি বলেন, প্রান্তিক এলাকায় জরুরি স্বাস্থ্য সেবাসহ সকল প্রকার স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রীর এই দুইদিনের কুমিল্লা সফরে তিনি চান্দিনায় পুনর্নির্মিত কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন এবং ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল পরিদর্শন, কুমিল্লা সদর হাসপাতাল ও ৩১ শয্যাবিশিষ্ট বুড়িচং হাসপাতাল পরিদর্শন এবং শেষে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে বার্ন ইউনিটের ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) উদ্বোধন করে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।
এসময় স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের অনুরোধে মন্ত্রী অদূর ভবিষ্যতে একটি ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার আশ্বাস দেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন মেয়র ডা. তাহসিন বাহার সূচনা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. টিটো মিঞা।
#
পবন/সায়েম/শফি/রফিকুল/শামীম/২০২৪/১৭৩০ঘণ্টা
Handout Number : 4261
Govt to form Bangladesh Climate Development Partnership
to attract significant global capital invested in Climate Change
--- Environment Minister
Dhaka, 18 April:
Minister of Environment, Forest and Climate Change Saber Hossain Chowdhury said Bangladesh government is going to form Bangladesh Climate Development Partnership (BCDP). BCDP will be instrumental in helping the government to produce the necessary information to inform policies, enhance project pipelines, and increase Bangladesh's participation in Global Climate Forums. By working collaboratively with external partners and the private sector and implementing a strong climate-resilient project pipeline alongside a progressive policy framework, Bangladesh should be able to attract significant global capital invested in the climate change agenda.
Environment Minister said this in a Consultation-meeting with Development Partners on Bangladesh Climate Development Partnership (BCDP) in Hotel Intercontinental in the capital.
Principal Secretary to Honorable Prime Minister M. Tofazzel Hossain Miah presided over the occasion. Dr. Farhina Ahmed, Secretary, Ministry of Environment, Forest and Climate Change and Edimon Ginting, Country Director, Bangladesh Resident Mission Asian Development Bank spoke in the occasion. Additional Secretary (Climate Change) of the Ministry Iqbal Abdullah Harun presented the guidelines on for BCDP Implementation.
Environment Minister said effective and well-coordinated solutions are needed to address these issues. Collective action is required to combat climate change, as markets and generations have failed to do so. In order to obtain investments that will enable us to accomplish our common objective of enhancing our prosperity and resilience while lowering our susceptibility to climate change, we are keen to work with significant economies and partners.
Saber Chowdhury said the government of Bangladesh has allocated Tk37 thousand crore ($3.4 billion) in the current budget to address this issue, and we will vigilantly oversee the work carried out by 25 ministries and departments. However, the GoB requires USD 11 million per year of climate finance, resulting in a significant finance gap.
Environment Minister also said we need immediate action to ensure the availability of ready, bankable projects in the pipeline. It is also crucial to gain a better understanding of the compounded climate risks faced by vulnerable regions/Upazila in the country to inform policies, adaptation actions, and project design. Therefore, we demand more knowledge and understanding of these dynamics.
Saber Chowdhury said the government can take advantage of its strong climate-resilient project pipeline and progressive policy framework to extend the availability of concessional finance for climate-related projects. This will enable the government to predict the financing that will be available for adaptation from development partners over the next 10 years and to utilize this financing to mobilize private sector funding for adaptation. Partnership can assist the government in mobilizing climate finance from global climate funds, thereby improving the overall global climate finance structure. It is imperative that the government utilizes this opportunity to its fullest potential, as it will have a significant impact on the country's ability to combat climate change and ensure a sustainable future for its citizens.
#
Dipankar/ Sayeam/Shafi/Rafiqul/Joynul/2024/1750 hour
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৬০
হাতির চলাচল নির্বিঘ্ন করতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের চিহ্নিত ১২টি করিডোর উন্মুক্ত রাখতে হবে
ঢাকা, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল) :
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম এলিফ্যান্ট ওভারপাস এখন বাংলাদেশে, যেটির নিচে দিয়ে ট্রেন এবং উপর দিয়ে পারাপার হচ্ছে হাতি। গত বছরের শেষ দিকে চালু হওয়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে নির্মিত এ এলিফ্যান্ট ওভারপাস দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম। হাতি পারাপারে চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলার চুনতিতে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে এ ওভারপাস চালু হয়েছে। এতে পাহাড়ের নিচে সুড়ঙ্গ দিয়ে চলছে ট্রেন আর উপরে পারাপার হচ্ছে হাতি।
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংর