Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩rd ডিসেম্বর ২০২৩

তথ্যবিবরণী ৩ ডিসেম্বর ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ১৮৫৩

লেবাননের  শ্রমমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশের  রাষ্ট্রদূতের সাক্ষা

 

বৈরুত (লেবানন), ৩ ডিসেম্বর :

লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল জাভেদ তানভীর খান গত ৩০ নভেম্বর লেবাননের শ্রমমন্ত্রী Mustafa Bayram এর সাথে বৈরুতে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত লেবাননে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণে চারটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। উত্থাপিত প্রস্তাবসমূহ হলো:

  • লেবাননে শ্রমবাজার সম্প্রসারণ, শ্রম বাজারের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও অভিবাসী কর্মীদের স্বার্থে বাংলাদেশ ও লেবানন সরকারের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর করা।
  • লেবাননে বর্তমানে আনুমানিক ২৫-৩০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী অনিয়মিত অবস্থায় কর্মরত রয়েছে। অনিয়মিত শ্রমিকদেরকে নির্ধারিত সময় দিয়ে নতুন নিয়োগ কর্তার সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে বৈধভাবে কাজের সুযোগ প্রদান করা।
  • মার্কিন ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রা (লেবানিজ পাউন্ড)-এর অস্বাভাবিক দরপতনের কারণে লেবানন সরকার ঘোষিত বিমা সেবার অর্থ অস্বাভাবিক হারে হ্রাস পেয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিমা কোম্পানিসমূহকে বিমা সুবিধা স্থানীয় মুদ্রার পরিবর্তে মার্কিন ডলারে প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করা।
  • লেবাননের নিয়োগকর্তার তত্ত্বাবধানে পৌঁছার পরপরই চুক্তি মোতাবেক অন্যান্য সুবিধার ন্যায় একজন প্রবাসী কর্মীর অনুকূলে বিমা সুবিধা নিশ্চিত করা আবশ্যক । বর্তমানে একজন প্রাবাসী কর্মী লেবাননে নিয়োগকর্তার তত্ত্বাবধানে পৌঁছার পর সাধারণত তিন মাস পর এ সুবিধা পেয়ে থাকেন।

 লেবাননের  শ্রমমন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কর্তৃক উল্লিখিত চার প্রস্তাবের প্রতি তার সরকারের পক্ষ হতে ইতিবাচক সম্মতি জ্ঞাপন করেন এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।

 লেবাননের শ্রমমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎকালে আরো উপস্থিত ছিলেন লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) বাকী বিল্লাহ, প্রথম সচিব (শ্রম) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন প্রমুখ।

#

 

আনোয়ার/মোশারফ/শামীম/২০২৩/২২৩০ঘণ্টা 

Handout                                                                                                                        Number : 1852  

 

Ambassador of Kosovo paid farewell call on Foreign Minister

 

Dhaka, 3 December :  

The outgoing Ambassador of the Republic of Kosovo to Bangladesh Güner Ureya paid a farewell call on Foreign Minister of Bangladesh Dr. A. K. Abdul Momen this afternoon in the  Ministry of Foreign Affairs. During the meeting, Foreign Minister appreciated the active role of the Ambassador in taking forward the bilateral relations and stressed on more people-to-people contact in strengthening the bilateral relations. He suggested importing to Kosovo top-quality RMG and pharmaceutical products of Bangladesh.

Foreign Minister also suggested taking skilled human resources from Bangladesh. The outgoing Ambassador thanked the Government of Bangladesh for the support to the Republic of Kosovo. He appreciated the progress and development of Bangladesh in various sectors, apprised the Foreign Minister about the current political and economic situation in Kosovo, regional developments and the interest in the business communities of both Bangladesh and Kosovo in promoting trade and investment.

They also discussed the issues of women empowerment and the prerequisite of peace for sustainable development. The outgoing envoy praised the people, culture and the beauty of Bangladesh and stated that the country will remain forever in his heart.

Foreign Minister wished him well. After serving for more than four years as Ambassador of Kosovo to Bangladesh, Güner Ureya is set to depart from Bangladesh soon.

 

#

 

Masum/Sayeam/Mosharaf/Shamim/2023/ 2130 Hours

তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর : ১৮৫১

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্বনির্ভর করে গড়ে তুলতে হবে

                                    --- সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর) :

            সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু বলেছেন, দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত সমাজ এবং স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় এ দেশের প্রতিবন্ধী জনগণকে উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বনির্ভর করে গড়ে তুলতে হবে।

            প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনে ৩২ তম আন্তর্জাতিক ও ২৫ তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

            প্রতিমন্ত্রী বলেন, একসময় মনে করা হতো, প্রতিবন্ধিতা অভিশাপের কারণ। আধুনিক বিজ্ঞান বলে, এটি অভিশাপ নয় বরং মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে জিনগত ও নানাবিধ প্রাকৃতিক কারণে মানুষ প্রতিবন্ধী হয়। পরিবার ও সমাজে অসচেতনতার কারণে তাঁরা একসময় দুর্বিষহ জীবনযাপন করেছে। এখন, তাঁরা স্বাভাবিক মানুষের মতো মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপন করছে। সরকার প্রতিবন্ধিতা শনাক্ত করে সুবর্ণ কার্ডের বিপরীতে ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি ও অনুদানসহ নানাবিধ সুযোগ প্রদান করছে।

            প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রতিবন্ধীরা এখন আর পিছিয়ে নেই। সরকারের নানামুখী উদ্যোগের কারণে তাঁরা সমাজের মূলধারায় এসেছে। শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানসহ সব ক্ষেত্রে সমানভাবে অংশগ্রহণ করছে।

            প্রতিমন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকারের বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন, গত ১৪ নভেম্বর ২০২৩ সাভারে প্রায় সাড়ে চারশত কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স তৈরির কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। ৮ বিভাগে এনডিডি ব্যক্তিদের জন্য সমন্বিত আবাসন ও পুনর্বাসন কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন কর্মমুখী প্রশিক্ষণ প্রকল্পে প্রতিবন্ধীরা অগ্রাধিকার পাচ্ছেন।

            এর আগে প্রতিমন্ত্রী বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে নির্বাচিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের হাতে সম্মাননা ও পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ খায়রুল আলম সেখ।

             দিবসটির উদ্যাপনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থা ও বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ফাউন্ডেশন চত্বরে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী মেলায় স্টল পরিচালনা করছে।

            এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাথে সম্মিলিত অংশগ্রহণ, নিশ্চিত করবে এসডিজি অর্জন।’

#

জাকির/পাশা/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৯১০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর : ১৮৫০

আইএমওর নির্বাহী পরিষদে জয়লাভ বিজয়ের মাসে আরেকটি বড় অর্জন

                                                                         --- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর) :

             নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী বলেছেন, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) নির্বাহী পরিষদে জয়লাভ বিজয়ের মাসে আরেকটি বড় অর্জন। এই অর্জন বাংলাদেশের বৈশ্বিক  মেরিটাইম  সেক্টর এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক সমর্থনের প্রমাণ। এ বছর জুনে আমরা হংকং কনভেনশন অনুসমর্থন করি;  এতে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম মানদন্ড বজায় রাখতে বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গিকার প্রতিফলিত হয়েছে, যা এই নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই নির্বাচন মেরিটাইম সেক্টরকে সুগঠিত, সুশৃঙ্খল এবং সংগঠিত করবে; যার মাধ্যমে বাংলাদেশ জাহাজ নির্মাণ, জাহাজ পরিচালনা এবং জাহাজ পুনর্ব্যবহার সেক্টরের দক্ষতা বৃদ্ধি করে বিদেশে খ্যাতি অর্জন করবে। তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিমুক্ত মানুষের পক্ষে বিশ্বব্যাপী অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করেছে আইওএম এবং জাতিসংঘ সমর্থিত গ্লোবাল সেন্টার ফর ক্লইমেট মোবিলিটি সংস্থা; এটিও আমাদের অনেক বড় অর্জন।

            প্রতিমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। আইএমও নির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ ক্যাটেগরি ‘সি’-তে জয়লাভ উপলক্ষ্যে এ প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।

            প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৭৪টি দেশ নিয়ে আইএমও গঠিত। এখানে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করেছিলাম নির্বাহী পরিষদের সদস্য হতে। আমরা এর আগে ছিলাম ‘বি’ ও ‘সি’ ক্যাটেগরিতে কাউন্সিল হিসেবে। তখন সেটা নির্বাচিত না, সিলেকশনের মাধ্যমে হয়েছিল। ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটেগরিতে নির্বাচিত নয় অথচ যেসব দেশের সামুদ্রিক পরিবহন বা নেভিগেশন নিয়ে বিশেষ আগ্রহ আছে এবং যাদের কাউন্সিলে নির্বাচন বিশ্বের সব প্রধান ভৌগোলিক অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করবে, এমন ২০টি দেশ ‘সি’ ক্যাটেগরিতে নির্বাচিত হয়েছে। ১৬৮টি দেশের বৈধ ভোটের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ১২৮টি ভোট। কাউন্সিল নির্বাচনে ‘সি’ ক্যাটেগরি সদস্য নির্বাচনে মোট ২৫টি দেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ১৬৮টি বৈধ  ভোটের মধ্যে বাংলাদেশ ১২৮টি ভোট পেয়ে ১৬তম হয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করে।

            উল্লেখ্য, আইএমও নির্বাহী পরিষদে নির্বাচনে বাংলাদেশ ক্যাটেগরি-‘সি’ তে জয়লাভ করেছে। গত ১ ডিসেম্বর ২০২৩ জাতিসংঘের শিপিং সংক্রান্ত বিশেষায়িত এ সংস্থার ৩৩-তম অধিবেশনে আইএমও- কনভেনশন ১৬ ও ১৭ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তিনটি ক্যাটেগরিতে কাউন্সিল সদস্য পদে গোপন ব্যালটে ভোটের মাধ্যমে ২০২৪-২০২৫ সালের জন্য ক্যাটেগরি ‘এ’ ‘বি’ ও ‘সি’-তে ৪০ সদস্যের নতুন আইএমও কাউন্সিল সদস্যদের নির্বাচিত করা হয়। ক্যাটেগরি ‘এ’ ও ‘বি’- তে ১০ জন করে ২০ জন এবং ক্যাটেগরি ‘সি’-তে ২০ জন নির্বাচিত হয়।

            বাংলাদেশ ১৯৮১ সালে আইএমও-এর সদস্য পদ লাভ করে এবং ১৯৮১ থেকে ১৯৮৭ পর্যন্ত ক্যাটেগরি ‘সি’ এবং ২০০১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ক্যাটেগরি ‘বি’ তে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রতিনিধিত্ব করে।

#

জাহাঙ্গীর/পাশা/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৯১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ১৮৪৯

জীবন্ত দগ্ধ মানুষের আর্তনাদ কি বিএনপি-জামায়াতের কানে পৌঁছায় না, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর) :

‘জীবন্ত দগ্ধ মানুষদের আর্তনাদ কি বিএনপি-জামায়াতের কানে পৌঁছায় না’ প্রশ্ন রেখে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘অগ্নিসন্ত্রাসী ও তাদের হুকুমদাতা, অর্থদাতাদের বিচার হলেই কেবল অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ হবে।’

আজ রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ সংগঠন আয়োজিত ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচার চাই’ শীর্ষক মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ আহ্বায়ক শাহাদত হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে এডভোকেট খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এমপি, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনোয়ার হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা হামলায় নিহত নাহিদের মা রুনি বেগম, আগুনে ঝলসে যাওয়া সালাউদ্দিন ভূঁইয়াসহ অনেক আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা অগ্নিসন্ত্রাসী ও মদতদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

তাদের দাবির সাথে সংহতি প্রকাশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বা দ্রুততম সময়ে বিচারের মাধ্যমে ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে যারা আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছিল তাদের এবং হুমুকদাতা ও অর্থদাতাদের যদি আমরা বিচার করতে পারতাম, তাহলে আজকে ২০২৩ সালে এই আগুনসন্ত্রাস হতো না। সেই সময় তারা আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছিল খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, আর এখন চালানো হচ্ছে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে।’

ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল অবরোধ ডেকে ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকে আর তাদের কিছু কর্মী, সন্ত্রাসী আর কিছু মানুষকে ভাড়া করে হাতে পেট্রোলবোমা তুলে দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করাচ্ছে, গাড়িতে আগুন দেওয়াচ্ছে। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না। পৃথিবীর কোথাও গত দুই দশকে রাজনীতির জন্য এভাবে আগুনসন্ত্রাস করে মানুষকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটে নাই, যেটি বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত করছে।’ 

সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আজকে সকালে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন থেকে এসেছি। সেখানে দুবাইয়ে কমনওয়েলথ সেক্রেটারির সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় প্রশ্ন রেখেছিলাম, পৃথিবীর কোথাও রাজনীতির কারণে এভাবে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা, নিরীহ মানুষকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হত্যা করা হচ্ছে কি না, যেটি বাংলাদেশে বিএনপি জামাত ঘটাচ্ছে। তার পুরো দল স্বীকার করেছে পৃথিবীর অন্য কোথাও এটি ঘটছে না, গত ২০ বছরে কোথাও ঘটে নাই।’ 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের খাসলত বদলাবে আশা করেছিলাম, কিন্তু না, তারা আবার সেই পুরনো আগুনসন্ত্রাস শুরু করেছে। আসলে কয়লা ধুলে ময়লা যায় না, বিএনপি-জামায়াতও কখনো ভালো হবে না। সুতরাং এদেরকে প্রতিহত করতে হবে। গত এক মাসে তারা ৫৮০টি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। অনেক ড্রাইভার-হেলপারকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছে। আর এই সমস্ত কিছু পরিচালিত হচ্ছে তারেক রহমান আর বিএনপি নেতাদের নির্দেশে। সুতরাং তারাও দোষী এবং এই অগ্নিসন্ত্রাসের যারা শিকার তাদের আর্তনাদ ও দাবি অনুযায়ী নেতাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে।’

#

আকরাম/পাশা/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৭১৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ১৮৪৮

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর) :

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। এ সময় ৩৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।   

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ৭৯০ জন।

#

সুলতানা/পাশা/শফি/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৬১৮ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ১৮৪৭

নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করা হচ্ছে

                                                -শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর):   

নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে দাবী করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি। তিনি বলেন, যা শিক্ষাক্রমের অংশ নয়, আমাদের প্রশিক্ষণেরও অংশ নয়, এমন ভিডিওসহ বিভিন্ন বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ব্যাপকভাবে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। অতীতের কোনো প্রশিক্ষণে (যা মাধ্যমিকের নয়) প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে নিজেরা নিজেরা বিনোদনের অংশ হিসেবে নিজেরা নিজেরা যে প্র্যাকটিস করেছে সেই রকম কিছু ভিডিও সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে বলা হচ্ছে এইগুলো প্রশিক্ষণ। এমনকি নতুন ভিডিও তৈরি করেও ছড়িয়ে দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

আজ রাজধানীর  বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠাভ্যাস  উন্নয়নে দেশের ১৫ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩১ লাখ নির্বাচিত বই (পাঠ্যপুস্তক  ছাড়া) বিতরণ  কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ানক রকম অপপ্রচার চলছে এবং সেটি হচ্ছে— ব্যক্তি স্বার্থ বা গোষ্ঠী স্বার্থহানি হবার ভয়ে। কিছু ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী শিক্ষাক্রমের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছেন। তারসঙ্গে এখন তো নির্বাচনের সময়।   নির্বাচনের ক্ষেত্রে যারা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থাকেন, তাদের উস্কানি যুক্ত হয়ে গেছে।  অতি ডান, অতি বামের উস্কানিও যুক্ত হয়ে গেছে।

শিক্ষাক্রম নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে অভিভাবকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন থেকে বাচ্চা কত নম্বর পেলো, জিপিএ-৫ পেলো কি না, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতয়ি হলো কি না, অন্যের বাচ্চার চেয়ে আমার বাচ্চা বেশি নম্বর পেলো কি না এই বিষয়গুলো নিয়ে অতিমাত্রায় ব্যস্ত ছিলেন বাবা-মায়েরা। সে জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক সহযোগিতা করার মানসিকতা তৈরিতে বর্তমান শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে। এই বিষয়গুলোর জন্য বাবা-মায়ের কিছু সংশয় তো কজ করছেই। সেগুলোকে এই গোষ্ঠী (মিথ্যাচারকারী) কাজে লাগাচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, দেশের ৮শ’র বেশি বিশেষজ্ঞ নতুন কারিকুলাম প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সবাইকে কোনো না কোনোভাবে এর সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ওয়েবসাইটে রেখে জনগণের মতামত, পরামর্শ নেওয়া হয়েছে, সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা হয়েছে। সবশেষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে, কিছু পরামর্শসহ তিনি অনুমোদন দিয়েছেন।  আমরা পাইলটিং করেছি। তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয়েছে।  সকল বইগুলোকে আমরা বলছি পরীক্ষামূলক সংস্করণ, আমরা মনে করিনি আর পরিশীলন, পরিমার্জন দরকার নেই, একবারে চূড়ান্ত। আমরা মনে করি— এ বইগুলো আরো পরিশীলন, পরিমার্জনের সুযোগ রয়েছে। সে জন্য সকলের পরামর্শ গ্রহণ করছি।

অনুষ্ঠানে শিক্ষাবিদ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদসহ অন্যান্য অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।

#

খায়ের/জামান/সিদ্দীক/রাসেল/শামীম/২০২৩/১৫১৩ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                         নম্বর : ১৮৪৬

সাবেক সচিব এ. এম. আনিসুজ্জামানের মৃত্যুতে কৃষিমন্ত্রীর শোক

ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর):   

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব, প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিএডিসির সাবেক চেয়ারম্যান এ. এম. আনিসুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। 

এক শোকবার্তায় মন্ত্রী বলেন, এ. এম. আনিসুজ্জামান স্বাধীনতার পর দেশের কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কৃষিখাতে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

মরহুম আনিসুজ্জামান বার্ধক্যজনিত কারণে ২৯ নভেম্বর ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।

#

কামরুল/জামান/সিদ্দীক/শামীম/২০২৩/১৪৪৭ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                         নম্বর : ১৮৪৫

ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’

সমুদ্র বন্দরগুলোতে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত

ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর) :    

দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরো উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’-এ পরিণত হয়েছে। এটি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৭৫কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫২৫কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৫০কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৫০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।

নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৫৪কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২কি.মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ২ (দুই) নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর কর্তৃক উক্ত আবহাওয়ার সতর্কবার্তা জারির প্রেক্ষিতে ‘দুর্যোগ সংক্রান্ত স্থায়ী আদেশাবলী’ অনুসরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছে এনডিআরসিসি।   

#

হাছান/জামান/সিদ্দীক/রাসেল/আসমা/২০২৩/১১০০ ঘণ্টা    

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ১৮৪৪

জাতীয় বস্ত্র দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী  

ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর) :   

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“৪ ডিসেম্বর ২০২৩ দেশব্যাপী ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২৩’ পালিত হতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে ক্রোড়পত্র প্রকাশের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। 

এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট টেক্সটাইলে সমৃদ্ধ দেশ-বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

প্রাচীনকাল থেকেই বস্ত্রশিল্পে বাংলাদেশের সুনাম ছিল গৌরবময় এবং জগদ্বিখ্যাত। ঢাকাই মসলিন থেকে শুরু করে জামদানি আর বেনারসি এ দেশের বস্ত্রশিল্পের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। বস্ত্রখাত দেশের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে ভূমিকা রেখে চলছে। স্বাধীনতার পর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁত শিল্পের উন্নয়নে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি ১৯৭২ সাল থেকেই তাঁত শিল্পের মান উন্নয়নের পাশাপাশি বস্ত্রখাতকে সমৃদ্ধ করার নানামুখী প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন।

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করে দেশ ও জাতির ভাগ্যন্নোয়নে কাজ করেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বস্ত্রখাতের অবদান অপরিসীম। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৫ ভাগ অর্জিত হয় বস্ত্রখাত থেকে। জিডিপিতে এ খাতের অবদান প্রায় ১৩ শতাংশ । তৈরি পোশাক খাতে প্রায় ৪৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে যার ৫৩ শতাংশ নারী। পরোক্ষভাবে প্রায় ৪ কোটিরও বেশি মানুষ এ শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। বস্ত্র কারিগরি শিক্ষার হার বৃদ্ধিসহ বস্ত্রশিল্পকে সহায়তার মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদা পূরণ, রপ্তানি বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ নিরাপদ, টেকসই, শক্তিশালী এবং প্রতিযোগিতা সক্ষম বস্ত্রখাত গড়ে তুলতে আমরা ‘বস্ত্রনীতি, ২০১৭’, ‘বস্ত্ৰ আইন, ২০১৮’ এবং ‘বস্ত্রশিল্প (নিবন্ধন ও ওয়ানস্টপ সার্ভিস কেন্দ্র) বিধিমালা, ২০২১’ প্রণয়ন করেছি।

বস্ত্রশিল্পকে সহায়তা ও প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বস্ত্র অধিদপ্তরকে পোষক কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর বস্ত্রশিল্প গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বস্ত্র অধিদপ্তর এখাতে দক্ষ জনবল তৈরির জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা করছে। পাশাপাশি আমাদের সরকার এখাতে রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন নতুন বাজার সৃষ্টিতে কাজ করছে।

আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও অগ্রযাত্রায় বস্ত্রখাত সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রেখে এখাতের উন্নয়ন নিশ্চিত করে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কার্যকরি ভূমিকা রাখবে।

আমি ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।  

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু  

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

নুরএলাহি/জামান/সিদ্দীক/সাজ্জাদ/আসমা/২০২৩/১০০০ ঘণ্টা

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ১৮৪৩

জাতীয় বস্ত্র দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর) :  

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২৩’ উদ্‌যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।

বস্ত্র মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম উপাদান ও বস্ত্রশিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ বস্ত্রশিল্প থেকে অর্জিত হচ্ছে। গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে বস্ত্র খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে বস্ত্র খাত কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। প্রেক্ষিতে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট টেক্সটাইলে সমৃদ্ধ দেশ- বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথাযথ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

বস্ত্র খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নে সরকারের নীতি সহায়তার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ‘বস্ত্ৰনীতি, ২০১৭’, বস্ত্র আইন, ২০১৮, এবং ‘বস্ত্রশিল্প (নিবন্ধন ও ওয়ান স্টপ সার্ভিস কেন্দ্র) বিধিমালা, ২০২১’ প্রণয়ন করা হয়েছে। ওয়ানস্টপ সার্ভিস কেন্দ্রের মাধ্যমে বস্ত্রশিল্প ও বায়িং হাউজের উদ্যোক্তাগণকে নিবন্ধনসহ নানাবিধ সেবা প্রদান করা হচ্ছে। বস্ত্র খাতে দক্ষ মানব সম্পদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে নতুন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট ও টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। করোনাকালেও গার্মেন্টস শিল্পের সংকট মোকাবিলায় প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। বস্ত্রশিল্পের শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিতে কল্যাণ তহবিল গঠন, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন আইন ও বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে। তাঁত শিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতেও এর আধুনিকায়নে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী ও পরিবেশবান্ধব টেকসই বস্ত্রশিল্প স্থাপন, বস্ত্র খাতের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ এবং এ খাতের সার্বিক উন্নয়নে সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে আমি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাই।

বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্পের ইতিহাস সুপ্রাচীন এবং গৌরবময়। ঢাকাই মসলিন ও জামদানি, টাঙ্গাইলের তাঁত, কুমিল্লার খাদি, রাজশাহীর সিল্ক এবং মিরপুরের বেনারসি শিল্প আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এসকল ঐতিহ্যবাহী বিশেষায়িত পণ্যের প্রসার বেগবান করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে- এ প্রত্যাশা করি।

আমি ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

2023-12-03-17-04-c1dd5ea708dc43a0aac82e854b25428a.docx