তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬২৩
পরিবেশ ধ্বংস করে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়
-- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ২২ জ্যৈষ্ঠ (৫ জুন) :
পরিবেশকে ধ্বংস করে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
তিনি আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ‘টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা ও স্থপতি’ শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ ধ্বংস এবং পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট করে উন্নয়ন করলে সে উন্নয়ন টেকসই হবে না। টেকসই উন্নয়নের জন্য অবশ্যই পরিবেশ ও প্রতিবেশকে প্রাধান্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে আবাসিক এলাকাগুলোতে এমন কোনো ভবন করতে দেয়া যাবে না যার পাশে রাস্তা থাকবে না, খোলা জায়গা, ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা ও স্যাপ্টিক ট্যাংক থাকবে না, আশপাশে স্কুল, খেলার মাঠ এবং স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা থাকবে না। বাসা বা এপার্টমেন্টে এসবের ব্যবস্থা না থাকলে নগরবাসীকে সেই বাসা ভাড়া অথবা অ্যাপার্টমেন্ট না কেনারও পরামর্শ দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, গ্রামকে শহরে রুপান্তরিত এমন ভাবে করতে হবে যাতে গ্রামের বৈচিত্র্য বিনষ্ট না হয়। তিনি বলেন, শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দিতে হলে ক্লাস্টার পদ্ধতিতে করতে হবে। এ পদ্ধতিতে ছাড়া শহরের সকল নাগরিক সুযোগ-সুবিধা গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া কঠিন হয়ে যাবে।
রাজধানীর জলজট নিরসনে দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ সমস্যা নিরসনে সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে এবং আরও সচেতনতার পরিচয় দিতে হবে। শহরকে ময়লা আবর্জনা থেকে মুক্ত করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
মন্ত্রী জানান, রাজধানীসহ সারাদেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ইনসিনেরেশন প্লান্ট স্থাপন করে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যাচ্ছে সরকার। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনসহ কয়েকটি সিটি কর্পোরেশনে ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া বর্জ্য কালেকশনের একটি মডেল নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট আয়োজিত অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্থপতি ও পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব।
#
হায়দার/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬২২
লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি এগিয়েছে ৩য় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ
-- পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২২ জ্যৈষ্ঠ (৫ জুন) :
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেছেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩য় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি এগিয়েছে। ২০২১ সালের জুনে এই টার্মিনালের ১৪ দশমিক ৫ ভাগ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল, তবে এ পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে সাড়ে ১৭ ভাগ।
প্রতিমন্ত্রী আজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩য় টার্মিনালের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই টার্মিনালের আকার হবে বর্তমান বিমানবন্দরের দুই গুণেরও বেশি। টার্মিনালের সাথেই আশকোনার হজক্যাম্প থেকে একটি টানেল যুক্ত থাকবে। এর মাধ্যমে সম্মানিত হাজীরা হজক্যাম্প থেকে সরাসরি বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বহুমাত্রিক নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে পা রেখেছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে দৃষ্টিনন্দন ৩য় টার্মিনাল তৈরি হচ্ছে। এই টার্মিনালের সাথে মেট্রোরেল সংযুক্ত থাকবে। টার্মিনালটি হবে সম্পূর্ণ অটোমেটেড। দৃষ্টিনন্দন এই বিমানবন্দরে পা রেখেই একজন বিদেশি বাংলাদেশের সৌন্দর্য অনুধাবন করতে পারবেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির আগ্রাসনে সারাবিশ্ব যখন থমকে ছিল তখনও একদিনের জন্যেও বন্ধ হয়নি টার্মিনালের নির্মাণ কাজ। ২০২৩ সালের জুন মাসে এই টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে আমরা আশা করছি নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ হবে।
এর আগে দুপুরে টার্মিনালের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মফিদুর রহমান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. আবু সালেহ মোঃ মোস্তফা কামালসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পাঁচ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটারের এ টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি প্লেন রাখার অ্যাপ্রোন (প্লেন পার্ক করার জায়গা) করা হয়েছে। টার্মিনাল ভবন হবে দুই লাখ ৩০ হাজার স্কয়ার মিটারের। যার ভেতরে থাকবে পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য ও অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ছোঁয়া।
বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে মেট্রোরেল। তৈরি হবে পৃথক একটি স্টেশনও। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আসা যাত্রীরা বিমানবন্দর থেকে বের না হয়েই মেট্রোরেলে করে নিজেদের গন্তব্যে যেতে পারবেন। এছাড়া ঢাকার যেকোনো স্টেশন থেকে মেট্রোরেলের মাধ্যমে সরাসরি বিমানবন্দরে ডিপার্চার বা বহির্গমন এলাকায় যাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় একনেক। ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
#
তানভীর/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬২১
বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে
-- সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ২২ জ্যৈষ্ঠ (৫ জুন) :
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, করোনা মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনা হবে। এ লক্ষ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী আজ অনলাইনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের ৪৬তম বোর্ড সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু, মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহফুজা আখতারসহ বোর্ডের অন্যান্য সদস্য অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, সেবার মান বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল মানুষের কাছে একটি আস্থার নাম। তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকার প্রমাণ করেছে, এ সরকার অসহায় জনগোষ্ঠীর জীবন মানোন্নয়নে নির্বাচনী ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতিসমূহ বাস্তবায়নে আন্তরিক। সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় ভাতাভোগীদের হাতে-হাতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাতা পোঁছানোর কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে, এ বছর জুন মাসের মধ্যে সকল ভাতা জিটুপি পদ্ধতিতে সরাসরি জনগণের কাছে পৌঁছে যাবে।
অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী দুঃস্থ ও অসহায় জনগোষ্ঠীর কল্যাণে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের কার্যক্রমকে আরো বেগবান করার আহ্বান জানান।
#
জাকির/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬২০
পরিবেশ ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে সকল রাজনৈতিক দলকে রুখে দাঁড়াতে হবে
-- তথ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ২২ জ্যৈষ্ঠ (৫ জুন) :
প্রকৃতি ও পরিবেশ ধ্বংসকারীদের রুখে দাঁড়াতে সকল রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আওয়ামী লীগের প্রথম পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, মানুষের টিকে থাকার জন্য পৃথিবী দরকার, কিন্তু পৃথিবীর টিকে থাকার জন্য মানুষ দরকার নেই। বহু প্রাণীর মতো মানুষও বিলুপ্ত হলে পৃথিবীর কিছু যায় আসে না। যেভাবে আমরা পরিবেশ প্রকৃতিকে ধ্বংস করছি প্রকারান্তরে আমাদের অস্তিত্বকেই ধ্বংস করছি। আমাদের নিজেদের প্রয়োজনেই পরিবেশ-প্রকৃতি সংরক্ষণ করতে হবে এবং এজন্য সকল রাজনৈতিক দলকে প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরণকারী ও পরিবেশ ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে শনিবার (৫ জুন) দুপুরে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসকল কথা বলেন।
বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মহাব্যবস্থাপক নিতাই কুমার ভট্টাচার্য্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক আবদুল আউয়াল সরকার ও বিটিভি'র উপমহাপরিচালক-বার্তা অনুপ কুমার খাস্তগীর।
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ঢাকা শহরের দুই কোটি মানুষ এবং চট্টগ্রাম শহরের প্রায় আশি লাখ মানুষ যদি মনে করে আমি যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলব, পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সেটি পরিষ্কার করবে তাহলে সেই শহর কখনো পরিষ্কার রাখা সম্ভব হবে না। সেজন্য পরিবেশ বিজ্ঞানের একজন ছাত্র ও পরিবেশ কর্মী হিসেবে সবার প্রতি বিনীত নিবেদন জানাই, প্রত্যেকেই যেন তিনটি করে গাছ লাগাই। এটি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্লোগান। একই সাথে নিজের প্রয়োজনে পরিবেশ-প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করি, তাহলেই মানুষ এই পৃথিবীতে টিকে থাকবে।
গত ১২ বছরে বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যেখানে এক সময় বনাঞ্চলের পরিমাণ ৮ শতাংশের নিচে নেমে এসেছিল, সেটি এখন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে একটি গাছের আর্থিক মূল্য অপরিসীম, সেখানে রাস্তার ধারের বনায়ন নষ্ট হয় না, জনগণই পাহারা দেয়। কারণ এই সামাজিক বনায়নের মালিকানা রাস্তার পাশের মানুষকে দেয়ার প্রথা প্রবর্তন করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর গতিশীল নেতৃত্ব এবং জনগণকে সম্পৃক্ত করে নানা ধরনের সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা ও বৃক্ষরোপণকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করার কারণে এটি সম্ভবপর হয়েছে।
ড. হাছান বলেন, বর্তমানে করোনা ভাইরাসের বিষয়েও ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য মতবাদ হচ্ছে একটি বিশেষ প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে এই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। সবধরনের প্রাণীকে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করা, সরধরনের প্রাণী খেয়ে ফেলার কারণে আজকে আমরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছি। করোনা কিভাবে আজকে মানুষকে পর্যুদস্ত করেছে, সেটি সবাই অনুভব করছি।
#
আকরাম/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬১৯
হার্ডওয়্যার তৈরিতে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে
-- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২২ জ্যৈষ্ঠ (৫ জুন) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আত্মনির্ভরশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যেই সফটওয়্যারে সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে। হার্ডওয়্যার তৈরিতেও আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ এ বিশেষ ছাড় দেয়া হয়েছে। তিনি একইসঙ্গে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্লাউড সেবা, সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন, ই-লার্নিং ,ই-বুক প্রকাশ, মুঠোফোনের অ্যাপ তৈরিসহ বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সেবায় তরুণ উদ্যোক্তাদের যে কর ছাড় দেয়া হয়েছে, তার মেয়াদ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধির পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
৪ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপকমিটি আয়োজিত ‘বাজেট পরবর্তী তারুণ্যের কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে আইসিটি খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জীবন ও জীবিকার বাজেট উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে আইসিটি বিভাগ ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে।
পলক বলেন, দেশে স্টার্টআপ সংস্কৃতি গড়ে তুলতে আইসিটি বিভাগের অধীন স্টার্টআপ কোম্পানি লিমিটেড গঠন করা হয়েছে। এটি সরকারি ভেঞ্চার কোম্পানি। ইতোমধ্যেই এই কোম্পানির মাধ্যমে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য শত বর্ষে শত আশা প্রকল্প নেয়া হয়েছে। দেশে উদ্ভাবনী অবকাঠামো তৈরির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের বুকে একটি উদ্ভাবনীমূলক উন্নত অর্থনীতির বাংলাদেশ গঠনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরো জানান, ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শিগগির পূর্বাচলে একটি ভিশন ২০২১ টাওয়ার স্থাপন করা হবে। সেখানে রিসার্চ, ইনোভেশন, বিজনেস অ্যান্ড ডিজিটাল একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষক, রাজনীতিক এবং সরকারি কর্মকর্তাদের ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের ডিজিটাল দুনিয়ায় নেতৃত্ব দেয়ার দক্ষতা অর্জনের প্রয়াস চালানো হবে।
‘তথ্যপ্রযুক্তি অর্থনীতির অক্সিজেন’ উল্লেখ করে পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদের নির্দেশনা অনুযায়ী আইসিটি বিভাগ কখনো অ্যাডভাইজরি, কখনো সাজেস্টিভ অথবা কোথাও ইমপ্লিমেন্টের রোল প্লে করবে। অর্থাৎ আইসিটি অর্থনীতির অক্সিজেনে রূপান্তরিত হচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বাণিজ্য, বিনোদন এমনকি বিচারিক ব্যবস্থায়ও আমরা আইসিটির সর্বোচ্চ ব্যবহার করছি।
তিনি বলেন, আর্থিক লেনদেন সহজ করতে ইতোমধ্যেই ইন্টার অপারেবল ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। ২০২১ সালেই উদ্বোধন করা হবে। এর মাধ্যমে ক্রেডিট স্কোরিং, রেটিংসহ পুরো ফিন্যান্সিয়াল ইকো সিস্টেমে ট্র্যান্সপারেন্সি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির সভাপতি অধ্যাপক হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ আবদুস সবুর, প্রযুক্তিবিদ সুফি ফারুক ইবনে আবু বকর, বুয়েটের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল জব্বার খান, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. মুনাজ আহমেদ নূর, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অভ্ বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক মাহফুজুল ইসলাম।
#
শহিদুল/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৮১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬১৮
ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত
ইস্তাম্বুল (তুরস্ক), ৫ জুন :
তুরস্কের ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, নিউ সার্চেস ইনিসিয়েটিভ প্লাটফর্ম এসোসিয়েসিশনের সাথে যৌথভাবে গতকাল ৪ জুন ‘জলবায়ু পরিবর্তন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও অর্থনীতি’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনার আয়োজন করে । বিশিষ্ট সাংবাদিক আহমেদ চস্কুনাইদিনের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে কনসাল জেনারেল মোহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম, নেদারল্যান্ডসের কনসাল জেনারেল বার্ট ভন বলহুস, ইনিসিয়েটিভ প্লাটফর্ম এসোসিয়েসিশনের সভাপতি জালাল তোপরাক, দোগানলার হোল্ডিংয়ের চেয়ারম্যান দাভুট দোগানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
কনসাল জেনারেল মোহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম তার বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধ এবং অভিযোজন বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের নানা পদক্ষেপ ও কর্মসূচি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট প্রতিকূলতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ অনন্য দক্ষতা ও অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ ২০০৯ সালে নিজস্ব অর্থায়নে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ‘ক্লাইমেট ট্রাস্ট তহবিল’ গঠন করে, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের নজর এবং প্রশংসা কেড়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সুরক্ষায় এবং সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ নামে একটি কর্মসূচি চালু করেছে।
কনসাল জেনারেল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকার ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ শীর্ষক দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে ১০০ বছরের পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। ‘বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি হিসাবে সৌরশক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্সে (আইএসএ) বাংলাদেশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, প্যারিস চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন এবং জলবায়ু অর্থায়ন, কার্বন নিঃসরণ প্রশমন ও অভিযোজন কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সুদৃঢ়করণের জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করছে। ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম- সিভিএফ এবং ভি-২০ (ভালনারেবল টুয়েন্টি) এর সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর স্বার্থ সমুন্নত রাখা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন ও প্রশমনের প্রচেষ্টাসমূহে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। এছাড়াও, ডেল্টা কোয়ালিশন কাঠামো কর্মসূচির মধ্যে সারা বিশ্বের বদ্বীপ অঞ্চলগুলোকে নিরাপদ ও অর্থনৈতিকভাবে টেকসই করতে বাংলাদেশ অবদান রাখছে। কনসাল জেনারেল তুর্কি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তি, পুনর্ব্যবহারযোগ্য শিল্প (প্লাস্টিক ও গার্মেন্টস) এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগ করার আহবান জানান। তিনি বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে তুরস্কে পাট ও পাটজাত দ্রব্য আমদানি এবং বাংলাদেশে সৌরশক্তি এবং প্লাস্টিক ও তৈরিপোশাক পুনর্ব্যবহারযোগ্য শিল্পে বিনিয়োগ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বক্তাগণ স্ব স্ব দেশের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কৌশল ও কর্মসূচি বর্ণনার পাশাপাশি এ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার প্রণীত নীতি ও পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন । উপস্থিত তুর্কি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীগণ জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে জড়িত ক্ষেত্রসমূহে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
#
মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৮২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬১৭
মুজিব বর্ষে বঙ্গবন্ধুকে গভীর সম্মান জানালেন আটলান্টিক সিটি মেয়র
নিইউয়র্ক (যুক্তরাষ্ট্র), ৫ জুন :
যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটির মেয়র মার্টি স্মল সিনিয়র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। আটলান্টিক সিটি হলে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসার সাথে বৈঠককালে মেয়র জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক সম্পাদিত বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর ১৯৪৮ হতে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত গোয়েন্দা রিপোর্ট বিষয়ক ‘Secret Documents of Intelligence Branch on Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman’ Volume – 1, 2, & 3 বইসমূহ মেয়রের কাছে হস্তান্তর করেন কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা। বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর সম্মান প্রদর্শনের নিদর্শন হিসেবে বইসমূহ সযত্নে আটলান্টিক সিটি হলে সুরক্ষিত থাকবে বলে মেয়র জানান।
কনসাল জেনারেল বলেন, ২০২১ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এই আনন্দঘন মুহূর্তে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে। বাংলাদেশের এ অর্জন সম্ভব হয়েছে জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণে।
উল্লেখ্য, আটলান্টিক সিটি কনভেনশন সেন্টারে প্রথমবারের মতো আটলান্টিক সিটিতে পালন করা হয় ‘এশিয়ান কনস্যুলেট এন্ড রিসোর্স ডে’। আটলান্টিক সিটি প্রশাসনসহ কম্যুনিটির বিভিন্ন সংগঠনের সহায়তায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভারতের কনস্যুলেট জেনারেল অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ভ্রাম্যমাণ ক্যাম্পে দু’দিনব্যাপী ৪ শতাধিক বাংলাদেশি ও বাংলাদেশি আমেরিকানকে কনস্যুলার সেবা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি-আমেরিকান কম্যুনিটির সেবায় অসামান্য অবদানের জন্য কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসাকে মেয়র ‘সার্টিফিকেট অব এপ্রিসিয়েশন’ প্রদান করেন।
#
মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৭৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬১৬
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২২ জ্যৈষ্ঠ (৫ জুন) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৩ হাজার ১১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৪৪৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ৯ হাজার ৩১৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ জন-সহ এ পর্যন্ত ১২ হাজার ৮০১ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৪৯ হাজার ৪২৫ জন।
#
হাবিবুর/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬১৫
ইউনেস্কোর ২০০৫ কনভেনশনের আন্তঃরাষ্ট্রীয় কমিটিতে নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ
প্যারিস (ফ্রান্স), ৫ জুন :
ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য শীর্ষক ২০০৫ কনভেনশনের (Convention on the Protection and Promotion of the Diversity of Cultural Expressions) আন্তঃরাষ্ট্রীয় কমিটিতে ২০২১-২০২৫ মেয়াদে প্রথমবারের মতো সদস্য নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ । গত ১-৪ জুন ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত কনভেনশনের সদস্য রাষ্ট্রের ৮ম সাধারণ সভায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং সর্বসম্মতিক্রমে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে বাংলাদেশ নির্বাচিত হয়।
উল্লেখ্য, আজ ৪ জুন অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ২৪ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১২ সদস্য রাষ্ট্র নির্বাচিত হয়। বাংলাদেশসহ ফ্রান্স, নরওয়ে, জর্জিয়া, সার্বিয়া, কিউবা, জ্যামাইকা, ভিয়েতনাম, বুরুন্ডি, মাদাগাস্কার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ফিলিস্তিন আন্তঃরাষ্ট্রীয় কমিটিতে নতুন সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়।
ইউনেস্কোতে সৃজনশীল অর্থনীতি ক্ষেত্রের কর্মকাণ্ড সমন্বিত হয় ২০০৫ কনভেনশনের মাধ্যমে। যেহেতু ‘সৃজনশীল অর্থনীতি ক্ষেত্রে ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরষ্কার’ প্রবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এ বিষয়ে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে নেতৃত্বের অবস্থানে এসেছে, তাই এ বিষয়ে আন্তঃরাষ্ট্রীয় কমিটিতে বাংলাদেশের নির্বাচিত হওয়া বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
নির্বাচিত হওয়ার পর ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি কাজী ইমতিয়াজ হোসেন ২০০৫ কনভেনশনের সকল সদস্য রাষ্ট্রকে বাংলাদেশের প্রতি আস্থা রাখার জন্য ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি ২০০৫ কনভেনশনের বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন।
সমাপনী বক্তব্যে ইউনেস্কোর সংস্কৃতি সেক্টরের সহকারী মহাপরিচালক Ernesto Renato Ottone বাংলাদেশকে সৃজনশীল অর্থনীতি ক্ষেত্রে ইউনেস্কো- বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরষ্কার প্রবর্তনে এগিয়ে আসায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সকল সদস্য রাষ্ট্রকে মনোনয়ন প্রদানের জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান এবং সৃজনশীল অর্থনীতি ক্ষেত্রে অবদান রাখা ব্যক্তিদের উৎসাহিত করার মহতী উদ্যোগে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য, ‘সৃজনশীল অর্থনীতি ক্ষেত্রে ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরষ্কার’ প্রথমবারের মতো আগামী নভেম্বর ২০২১-এ অনুষ্ঠেয় ইউনেস্কোর ৪১তম সাধারণ সভায় প্রদান করা হবে।
#
মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৮০০ ঘণ্টা