তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৬৪
৩০ মার্চ খুলছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
-- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি) :
আগামী ৩০ মার্চ ২০২১ তারিখ থেকে প্রাকপ্রাথমিক ছাড়া প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আজ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা জানান। এর আগে শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের দ্বাদশ, মাধ্যমিক পর্যায়ে দশম এবং প্রাথমিক পর্যায়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন (সপ্তাহে ছয় দিন) ক্লাস হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিকে ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ, ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। ৯ম এবং ১১তম শ্রেণির সপ্তাহে দুইদিন করে ক্লাস হবে। তারপর পরিস্থিতির আরো উন্নতি হলে একটু একটু করে বাড়িয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় শতভাগ ক্লাস চালু হবে।
আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যিমক পর্যায়ের সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শতভাগ টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এবং এই সময়ের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো: আমিনুল ইসলাম খান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, করোনা বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ, পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, মাধ্যিমক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ধাপে ধাপে বাড়িয়ে আগামী ২৯ মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে।
#
খায়ের/সাহেলা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/২২৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৬৩
দেশের সব মানুষের ডিজিটাল সুরক্ষার জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি):
'দেশের সব মানুষের ডিজিটাল সুরক্ষার জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, বিশ্বের বহুদেশে এ আইন আছে এবং এর অপপ্রয়োগ রোধে সরকার সতর্ক দৃষ্টি রাখছে' বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে শামীম আহমেদ সম্পাদিত 'শেখ হাসিনা : ঘুরে দাঁড়ানোর বাংলাদেশ' সচিত্র গ্রন্থটির ৩য় সংস্করণ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন। এ সময় মন্ত্রী বইটির চলমান প্রকাশনাকে স্বাগত জানান ও তথ্য-উপাত্তগুলো সবসময় হালনাগাদ রাখার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে সাম্প্রতিক আলোচনার প্রেক্ষাপটে ড. হাছান বলেন, 'দেশে-বিদেশে ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি করোনা টিকা নিয়েও নানা অপপ্রচার চলেছে- টিকা সময়মতো আসবে না বলার পর যখন এসে গেলো, তখন বলা হলো এটি ক্ষতিকর, তারপর এখন অপপ্রচারকারীরাই গোপনে-প্রকাশ্যে টিকা নিচ্ছেন।'
'দেশের অভ্যন্তর থেকে এবং বিদেশে বসেও ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহার করে নিজের পরিচয় গোপন রেখে অন্যের চরিত্র হনন করা হচ্ছে' উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে, সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে কতজনকে হত্যা করা হয়েছে। এসব অপরাধের বিরুদ্ধে তো একটা আইনের প্রয়োজন। সেটিই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, যে আইনটি দেশের সব মানুষের জন্য।'
লেখক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, গৃহিণী, চাকরিজীবী, কৃষক, রিক্সাচালক, খেটে-খাওয়া মানুষ সবার ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য এবং দেশের স্বার্থে সবাইকে সুরক্ষা দেবার জন্য এ আইন, ব্যাখ্যা করেন ড. হাছান। তিনি বলেন, 'আইনের চোখে দোষ করলে তিনি গ্রেপ্তার হন, কিন্তু জেলখানায় কারো মৃত্যু কখনো কাম্য নয়। সেজন্য আমিও ব্যথিত। কিন্তু এ আইনের প্রয়োজন আছে। এবং এ আইন শুধু বাংলাদেশে নয়, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়াতেও আছে। এমনকি সমগ্র ইউরোপীয় ইউনিয়নেও একটি ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় নাগরিকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়া হয়।'
যে সমস্ত দেশের রাষ্ট্রদূতরা এ বিষয়ে বিবৃতি দেন, তাদের দেশেও এ আইন আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'তবে আইনের অপপ্রয়োগ হওয়া উচিত নয়। এবিষয়েও সরকার সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।'
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মালেক, রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভুইঁয়া, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও গ্রন্থ সম্পাদক শামীম আহমেদ অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন।
#
আকরাম/সাহেলা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/২২৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৬২
পানির জন্য দেশে এখন মিছিল মিটিং হয় না
-- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ১৪ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি):
দেশের মানুষকে পানির জন্য এখন আর আন্দোলন অথবা মিছিল-মিটিং করতে হয় না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
আজ চট্টগ্রামে হোটেল রেডিসন ব্লুতে আয়োজিত চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের অধীন 'পতেঙ্গা বুস্টিং পাম্প ষ্টেশন' এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে সরকার সবসময় অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গেটওয়ে। নদীর আশপাশে আবর্জনা পড়ে থাকছে, জায়গা ইজারা নিয়ে ইন্ডাস্ট্রি করে দখল করা হচ্ছে, যা কখনোই কাম্য নয়।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম তীরে কাফবো, সিইউএফএল, কোরিয়া ইপিজেড, চায়না ইকোনোমিক জোন ইত্যাদি শিল্প-কারখানাসহ পটিয়া, আনোয়ারা এবং বোয়ালখালী এলাকায় জনগণের পানির চাহিদা মিটানোর জন্য প্রকল্পের আওতায় দৈনিক ৬ কোটি লিটার ক্ষমতার ভূ-উপরিস্থ পানি শোধনাগার নির্মাণ ও পাইপলাইন স্থাপনের কাজ চলমান। প্রকল্পটি ২০২৩ সালের মাঝামাঝি শেষ হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়ার সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী, বোয়ালখালীর সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন, চন্দনাইশের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য আবু রেজা নদভী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন।
উল্লেখ্য, পতেঙ্গা বুস্টার পাম্প স্টেশনটির মাধ্যমে নগরের দক্ষিণাংশে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর নিকট পানি পৌঁছানো সম্ভব হবে। ফলে চট্টগ্রাম নগরের বন্দর ইপিজেড এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনার বিশাল জনগোষ্ঠীর চাহিদা মিটানো সম্ভব হবে। এই বুস্টার মেশিনের মাধ্যমে দৈনিক ৪ দশমিক ৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
এর আগে, চট্টগ্রাম ওয়াসা বাস্তবায়নাধীন রাঙ্গুনিয়া শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার প্রকল্প ইউনিট-১ ও ইউনিট-২ পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
#
হায়দার/সাহেলা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/২২৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৬১
দুর্গম এলাকায় সড়ক যোগাযোগের ফলে পর্যটন শিল্প বিকশিত হচ্ছে
-- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী
বান্দরবান, ১৪ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি):
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, বর্তমান সরকারের নানা ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম এলাকায় সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নের ফলের একদিকে কৃষক তাদের পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে অন্যদিকে পর্যটন শিল্প বিকশিত হচ্ছে।
মন্ত্রী আজ বান্দরবান সদরের টংকাবতী ইউনিয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
এ সময় বীর বাহাদুর আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে উন্নয়ন হয়নি। এ সরকারের সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক উন্নয়ন কাজ হয়েছে আরো অনেক উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে, আর এই উন্নয়ন কাজগুলো শতভাগ বাস্তবায়িত হলে পার্বত্য এলাকার অভূতপূর্ব উন্নয়ন সকলের কাছে পরিলক্ষিত হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে চিনিপাড়া যাওয়ার রাস্তায় রংকিমুখ খালের উপর ব্রিজ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর, ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে সাক্কয় পাড়া স্মার্ট ভিলেজ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর, ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে পূর্ণচন্দ্র হেডম্যান পাড়া এলাকায় জি এফ এস এর মাধ্যমে পানি সরবরাহকরণ কাজের উদ্বোধন করেন পার্বত্য মন্ত্রী।
#
নাছির/নাইচ/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৬০
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য ডিজিটাল সংযুক্তির প্রস্তুতি বাংলাদেশ সম্পন্ন করেছে
-- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কিংবা তার পরবর্তী সময়ের জন্য ডিজিটাল সংযুক্তির জন্য যতটুকু প্রস্তুতির দরকার সরকার তা সম্পন্ন করেছে। এক্ষেত্রে যেসকল ঘাটতি বিদ্যমান আছে তা চলতি বছরের মধ্যে দূর হয়ে যাবে। তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশ ফাইভ-জি চালুর বিষয়টি চিন্তাও করেনি, কিন্তু বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে ফাইভ-জি চালু করতে যাচ্ছে। এই বছরেই সারাদেশে ফোর-জি যাচ্ছে। ২০২৩ সালে আসছে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল। ’২১ সালেই হাওর-বিল-চর এবং পার্বত্য অঞ্চল ক্যাবল ও স্যাটেলাইট সংযোগের আওতায় আসছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় আইইবি'র শহীদ প্রকৌশলী ভবনের কাউন্সিল হলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব : বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনারে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আইইবি’র প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মোঃ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, তথ্য ও যোগোযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও আইইবি’র প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মোঃ আবদুস সবুর সেমিনারে বক্তৃতা করেন।
#
শেফায়েত/সাহেলা/রেজুয়ান/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/২২৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৫৯
ক্ষুদ্র-নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা করে আলাদা একটি সেল খোলা হয়েছে
---খাদ্যমন্ত্রী
নওগাঁ, ১৪ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুদ্র-নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আলাদা একটি সেল খুলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। মন্ত্রী বলেন, এখানে একজন ডাইরেক্টর থেকে শুরু করে অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীও নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে।
মন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত হয়ে সেইভাবে নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের জন্য অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।
মন্ত্রী আজ নওগাঁর সাপাহার উপজেলার কাতিপুর কালিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে বাস্তবায়নাধীন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মুজিববর্ষে এবং বাংলাদেশের ৫০ বছর সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জন্য এই অনুদান পাঠিয়েছেন ৫২টি জেলায়।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে আমাদের ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী জীবনমান যে পরিমাণ খারাপ ছিল তা তারা নিজেরাই অনুমান করতে পারে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন ক্ষমতায় আসেন তখন আমাদের এ দেশের উন্নয়ন শুরু হয়েছিল। বর্তমানে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
পরে মন্ত্রী সমতল ভূমিতে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১২০টি পরিবারের মাঝে ১২০টি গরু, ৫টি করে টিন, ১২০টি ইট, ৪টি খুঁটি ও ৫০দিনের খাদ্য বিতরণ করেন। এছাড়াও প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন।
এর আগে মন্ত্রী উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
#
সুমন/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/২০২৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৫৮
জাতি হিসাবে দেশ আজ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত
----নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বেড়া (পাবনা), ১৪ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতি হিসেবে দেশ আজ মর্যাদার জায়গায় গেছে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে স্বাধীনতার সুখ অনেক আগেই পেত জনগণ। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমুদ্রে অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি আমরা। নদীমাতৃক বাংলাদেশকে ধরে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী ডেল্টা প্লান ঘোষণা করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ পাবনার বেড়ায় কাজিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে যাতায়াতকারী জনসাধারণের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকীতে উপহারস্বরূপ আজ আরিচা-কাজিরহাট ফেরি সার্ভিস এর উদ্বোধন করেন। আরিচা-কাজিরহাট রুটে ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন উপলক্ষে এক সুধী সমাবেশে এসব কথা বলেন।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। তিনি নির্বাচনী ইশতেহারে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের ঘোষণা দিয়েছেন। নদীগুলোকে ড্রেজিং করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে। নৌপথ খননে বঙ্গবন্ধু সাতটি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের পর ৩২টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছেন এবং ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। তিনি বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত স্বীকৃতি লাভ করায় প্রধানমন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞতা এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু, সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, সাবেক সংসদ সদস্যে খন্দকার আজিজুর রহমান আরজু, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউর রহিম লাল, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ তাজুল ইসলাম, পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মুহিবুল ইসলাম খান।
পরে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী পাবনায় নবনির্মিত বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি পরিদর্শন করেন।
#
সেলিম/নাইচ/রেজুয়ান/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/১৭১৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৫৭
সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ রিপোর্ট পরিবেশনে বরিশালের উন্নয়ন হবে
---পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
বরিশাল, ১৪ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি) :
"সাংবাদিকরা সব থেকে মহৎ পেশায় রয়েছেন। আপনারা যদি সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ রিপোর্ট পরিবেশন করেন তাহলেই বরিশালের উন্নয়ন হবে। বরিশালের উন্নয়নের প্রথম কাতারের সৈনিক হলেন আপনারা। আপনাদের সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সঠিক সংবাদ পরিবেশন করতে হবে।
আজ বরিশাল নগরীর বন্দর রোডস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্টহাউজে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন। বাংলাদেশের ডেল্টাপ্ল্যান-২১০০ এর ৮০ শতাংশ কাজ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে করানো হবে। এর আওতায় ৬৪ জেলার খাল খননের একটি প্রকল্প রয়েছে। গোটা বাংলাদেশে ৫১১টি ছোট নদী-খাল খনন করা হচ্ছে এবং এছাড়া ৮০টি ছোট জলাশয়ও রয়েছে। এগুলোর ৬০ শতাংশের মতো কাজ হয়ে গেছে। দেশের নদীভাঙন এলাকার দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’
জাহিদ ফারুক বলেন-‘বরিশালের জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি ভিন্ন প্রকল্প নেয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট মুহা. ইসমাঈল হোসেন নেগাবান মন্টু, সাধারণ সম্পাদক কাজী মিরাজ মাহমুদ, জেষ্ঠ্য সাংবাদিক এডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু, নাছিম উল আলম, যুগ্ম সম্পাদক মোফাজ্জেল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা মাহামুদুল হক খান মামুন, জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জোবায়ের আব্দুল্লাহ জিন্নাহ ও মহানগর ছাত্রলীগের নেতা মাহাদসহ প্রমুখ।
#
আসিফ/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/১৯১৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৫৬
বিদ্যুৎ খাতে অটোমেশন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করবে
-- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুৎ খাতে অটোমেশন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল থেকে শুরু করে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ এলাকায় সাবমেরিন ক্যাবল এবং সোলার মিনি গ্রিডের মাধ্যমে শতভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। ইতোমধ্যে গ্রিড এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ-আইইবি আয়োজিত ‘ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন: বাংলাদেশ পার্সপেক্টিভ’ শীর্ষক সেমিনারে অনলাইনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে দেশের বিদ্যুৎ খাতও সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড হচ্ছে। এরই মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ ইআরপি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে। স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার, স্মার্ট গ্রিড সিস্টেম, স্ক্যাডা সিস্টেম, আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলিং, বিগ ডাটা এনালাইসিস সব প্রস্তুতিই বিদ্যুৎ বিভাগ নিয়েছে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় আন্ডার লাইন ক্যাবলিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে যা স্মার্ট স্ক্যাডা সেন্টার এবং আইওটির সাথে সম্পৃক্ত থাকবে। এখান থেকে বিগ ডাটা এনালাইসিস করে গ্রাহককে আরো নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্পন্ন সেবা দেয়া যাবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অভ্ বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম।
আইইবির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং আইইবি’র সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আব্দুস সবুর সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।
‘ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন: বাংলাদেশ পার্সপেক্টিভ’ শীর্ষক সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক ও আইইবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসেন।
#
আসলাম/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২১/২০০৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৫৫
প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস’ পালিত
টেকসই উন্নয়নে প্রয়োজন সঠিক ও সময়োপযোগী পরিসংখ্যান
-- কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি) :
সঠিক ও প্রকৃত তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে নির্ভরযোগ্য ও মানসম্পন্ন পরিসংখ্যান প্রস্তুতের জন্য নিজস্ব দেশীয় পদ্ধতি (মেথড) উদ্ভাবনের জন্য পরিসংখ্যানবিদ ও বিবিএসের কর্মকর্তাদেরকে আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। একই সাথে, বাস্তবতার আলোকে সংগৃহীত তথ্যের পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের জন্যও আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে জাতীয় পরিসংখ্যান দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়নে প্রয়োজন সঠিক ও সময়োপযোগী পরিসংখ্যান। জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নে যে কোনো ধরনের ইতিবাচক কৌশল গ্রহণে সময়োপযোগী ও গুণগত মানসম্পন্ন পরিসংখ্যানই কার্যকর দিকনির্দেশনা প্রদান করতে পারে। কিন্তু বিবিএসের জন্য সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা অনেক কঠিন। নির্ভরযোগ্য তথ্য কীভাবে সংগ্রহ করা যায় সে উপায় পরিসংখ্যানবিদ ও বিবিএসের কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করতে হবে। ইউরোপ, আমেরিকা বা পশ্চিমা বিশ্বে যে পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করে, তা আমাদের দেশে কতটুকু কার্যকর তা খতিয়ে দেখা দরকার। দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠী, জনগণের শিক্ষা, সামাজিক ও মানসিক অবস্থাকে বিবেচনায় নিয়ে কীভাবে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা যায়- সে রকম নিজস্ব পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে হবে। একই সাথে, বাস্তবতার আলোকে সংগৃহীত তথ্যের পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করতে হবে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষে দেশে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস’ পালিত হয়েছে। পরিসংখ্যানের গুরুত্বকে সবার কাছে তুলে ধরতেই বিবিএসের এ আয়োজন। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান, টেকসই উন্নয়নের উপাদান (Reliable Statistics, Part of Sustainable Development)’। এখন থেকে প্রতি বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি পালিত হবে ‘জাতীয় পরি