Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৫ মার্চ ২০২৪

তথ্যবিবরণী ২৫ মার্চ ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :  ৩৮৬২

 

২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তৃপ্তি পেতাম

                                                                      -- বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী     

             

ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ):

 

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে হলে শুধু আমাদের দেশে নয় আন্তর্জাতিকভাবে সমস্ত বাঙালিদের মাঝে জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। বাইরে অবস্থানরত বাঙালিদেরও এই ব্যাপারে সচেতন করতে হবে। আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধা, রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছিলাম এখনো বেঁচে আছি ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করলে আত্মতৃপ্তি নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারতাম।

 

আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।

 

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ জাতির ইতিহাসে ‘কালরাত্রি’ হিসেবে চিহ্নিত। ঐ রাতে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী 'অপারেশন সার্চ লাইট' এর নামে শুরু করেছিল বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড। একই সঙ্গে ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে তারা গ্রেফতার করে বাঙালির প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ শুরু হওয়া অপারেশন সার্চ লাইটের নামে পরবর্তী ৯ মাস পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দেশব্যাপী গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুট, ধর্ষণের মতো অবর্ণনীয় নারকীয় নৃশংসতা চালায়। এত অল্প সময়ের অপারেশনে শহীদ হয়েছিল ৩০ লাখ অসহায় মানুষ, বরেণ্য বুদ্ধিজীবী। ধর্ষিত হয়েছিলেন কয়েক লাখ নারী। দেশত্যাগী হয়েছিল প্রায় এক কোটি নিরীহ মানুষ। মাত্র ৯ মাসে ৩০ লাখ আদম সন্তানের অসহায় মৃত্যু, এতবড় গণহত্যা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল।

 

আলোচনা সভায় সম্মানীয় আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, একুশে এবং স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং সম্প্রীতি বাংলাদেশ কুড়িগ্রাম জেলা কমিটির আহ্বায়ক আব্রাহাম লিংকন, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, মেজর (অব.) হাফিজুর রহমান প্রমুখ। 

 

#

 

মাহমুদুল/ শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২২৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৩৮৬১

 

কায়রোতে যথাযোগ্য মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালিত

 

কায়রো, মিশর, ২৫ মার্চ:

 

কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস আজ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন করেছে। দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ২৫ মার্চ গণহত্যায় নিহত এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী শহিদদের রুহের মাগফেরাত এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। পরবর্তীতে ২৫ মার্চ গণহত্যায় নিহত এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহিদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। পরবর্তীতে গণহত্যা দিবসের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

 

          সভায় রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ শুরুতেই সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন জাতীয় চারনেতাসহ মুক্তিযুদ্ধের সংগটক, সমর্থক, ২৫ মার্চ গণহত্যায় নিহত এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের যাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন ২৫শে মার্চ মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত হত্যাযজ্ঞের দিন। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে  ‘অপারেশন সার্চ লাইট’-এর নামে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্বিচারে বিশ্ব ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা চালায়।

 

রাষ্ট্রদূত আরো উল্লেখ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলার সর্বস্তরের জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ২৫ মার্চ কালো রাতে শুরু হওয়া পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা চলতে থাকে মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় ধরে। ৩০ লাখ শহিদের আত্মত্যাগ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠা লাভ করে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

 

          রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’- ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী, সমৃদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে দৃঢ় পদক্ষেপে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।

 

#

 

শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১৪০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :  ৩৮৬০

 

ম্যানচেষ্টারস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত

 

ম্যানচেষ্টার, যুক্তরাজ্য, ২৫ মার্চ:

 

ম্যানচেষ্টারস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করা হয়।

 

অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে ও মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী ও গণহত্যা দিবসের ওপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

 

          সহকারী হাইকমিশনার কাজী জিয়াউল হাসান তার বক্তব্যে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন, যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করে। তিনি ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতের নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার সকল শহীদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। সহকারী হাইকমিশনার বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের নিরলস প্রচেষ্টার সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংযুক্তির বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে আন্তর্জাতিক জনমত সৃষ্টিকল্পে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার অবকাশ রয়েছে। ২৫ মার্চের গণহত্যার শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

 

সর্বশেষ জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

 

#

 

শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০৪০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :  ৩৮৫৯

 

স্মার্ট বাংলাদেশের ন্যায় স্মার্ট ট্যুরিজম গড়ে তোলা হবে

                                                     -- শিল্পমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ):

 

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ভারত, নেপাল, ভুটান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়াসহ আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশসমূহ পর্যটন শিল্পে যথেষ্ট সমৃদ্ধ। নদী, সমুদ্র, পাহাড়, বন ও অপরূপ প্রকৃতির সমাহারে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশেরও পর্যটন খাতে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। মুক্তবাজার অর্থনীতির এ যুগে মানসম্পন্ন সেবা, অনুকূল পরিবেশ ও সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের ন্যায় স্মার্ট ট্যুরিজম গড়ে তোলা হবে।  

 

মন্ত্রী আজ রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের বলরুমে এসোসিয়েশন অভ্ ট্রাভেল এজেন্টস অভ্ বাংলাদেশ (এটিএবি) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

এটিএবি এর নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পর্যটন একটি বিরাট শিল্প। জিডিপি'তে পর্যটন খাতের অবদান বৃদ্ধিতে এটিএবি-কে আরো গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে। নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ স্মার্ট ট্যুরিজমের অন্যতম উপাদান। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে যার অন্যতম উদাহরণ হলো ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রতিষ্ঠা করা। তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এটিএবি-কে কীভাবে সহযোগিতা করা যায় এ বিষয়ে নতুন কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

 

এসোসিয়েশন অভ্ ট্রাভেল এজেন্টস অভ্ বাংলাদেশ (এটিএবি) এর প্রেসিডেন্ট আবদুস সালাম আরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (এটিএবি) এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মফিদুর রহমান, ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রধান এডিশনাল আইজিপি (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবু কালাম সিদ্দিক ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এটিএবি এর সাধারণ সম্পাদক আফসিয়া জান্নাত সালেহ।

 

ইফতার মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক গভর্নর মুফতি মাওলানা ড. কাফীলুদ্দীন সরকার সালেহী।

 

উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ এসোসিয়েশন অভ্ ট্রাভেল এজেন্টস অভ্ বাংলাদেশ (এটিএবি)-এর নতুন কমিটি গঠিত হয়।

 

#

 

ফয়সল/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :  ৩৮৫৮

 

শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব, সাম্য ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দিয়ে গেছেন

                                                                           -- ধর্মমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ):

 

ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব, সাম্য ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দিয়ে গেছেন। তিনি আচারসর্বস্ব ধর্মানুষ্ঠান ও ক্রিয়াকলাপকে উৎখাত করে সংকীর্তন অঙ্গনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহামিলন ঘটিয়েছিলেন।

 

আজ ঢাকার স্বামীবাগে ইসকন মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্যের ৫৩৮তম আর্বিভাব তিথিতে গৌর পূর্ণিমা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

ধর্মমন্ত্রী বলেন, শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্যে হিংসা-বিদ্বেষ, জাতি ও বর্ণভেদ ভুলে গিয়ে অহিংসার বাণী শুনিয়েছেন। তিনি সাম্প্রদায়িকতার শৃঙ্খল ছিন্ন করে, সকলের হৃদয় জয় করে প্রচার করেছিলেন বৈষ্ণব ধর্ম। বৈদিক শাস্ত্রে নির্দেশিত শ্রীচৈতন্যদেবের প্রদর্শিত সেই বৈষ্ণব দর্শন আজও প্রচারিত হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। তার নামানুসারে বাংলা সাহিত্যে চৈতন্যযুগ নামে এক নবযুগের সূচনা হয়।

 

মোঃ ফরিদুল হক খান বলেন, শ্রীচৈতন্যদেবের আন্দোলন মূলত ধর্মান্দোলন। তার প্রেম প্রধানত ভগবৎপ্রেম, কৃষ্ণপ্রেম। তার অস্ত্র ছিলো শ্রীনাম সংকীর্তন। তার যৌবনকালের অলৌকিক পাণ্ডিত্য তথাকথিত শিক্ষিত পন্ডিতদের গর্ব খর্ব করে বিনম্র হতে শিখিয়েছিল। তার জন্মের পর থেকেই নানা দেশে নানা স্থানে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা ও মন্দির নির্মাণ শুরু হয়। তিনি বলেন, শ্রীচৈতন্যদেব মানুষকে হানাহানি, হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেছিলেন।

 

ইসকন স্বামীবাগ আশ্রমের অধ্যক্ষ চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পাল। এতে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সাবেক সচিব অশোক মাধব রায়, লাটভিয়া থেকে আগত ভক্ত প্রিয় দাস, ইসকন বাংলাদেশের সহ-সম্পাদক জগৎগুরু গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারী। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

 

#

 

আবুবকর/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯৫০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :  ৩৮৫৭

 

ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাসে গণহ্ত্যা দিবস পালন

 

হ্যানয়, ভিয়েতনাম, ২৫ মার্চ:

 

আজ ভিয়েতনামের হ্যানয়স্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে গণহত্যা দিবস পালন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাতে নিহত সকল শহিদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন, মোমবাতি প্রজ্বলন এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয় এবং দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

 

আলোচনার পর্বে মূল বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। বক্তব্যের শুরুতে তিনি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যার ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনায় দীর্ঘ ন’মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের মহান স্বাধীনতা। তিনি আরো স্মরণ করেন ২৫ মার্চ কালরাতের নৃশংস হত্যাকাণ্ডসহ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মম গণহত্যার শিকার সকল শহিদ, জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থকসহ দেশের জনগণকে, যাঁদের অসামান্য অবদান আর আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি লাল সবুজ পতাকা।

 

২৫ মার্চ গণহত্যায় হানাদার বাহিনীর নৃশংসতার চিত্র তুলে রাষ্ট্রদূত রহমান বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসরদের দ্বারা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যা বিশ্বের নৃশংস ও নারকীয় গণহত্যাগুলোর অন্যতম। ১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। হ্যানয়স্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এ লক্ষ্যে স্বাগতিক দেশ এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে একযোগে কাজ করে যাবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।

 

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মিশনের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান নাসির উদদীন।

 

#

 

নাসির/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১২০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :  ৩৮৫৬

 

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবির জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে

                                                              -- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

 

ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ):

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘২৫ মার্চ বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানিদের চালানো গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য আমরা দাবি করে যাবো। এ বিষয়ে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।’

তিনি আজ ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘পলিটিক্স অভ্‌ জেনোসাইড রিমেম্বারেন্স’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইট প্রিভেনশনের মহাপরিচালক ড. এলিসা ভন ফরগে।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশের মাটিতে যে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়, তা ছিল বিশ শতাব্দীর অন্যতম নৃশংস গণহত্যা। এই গণহত্যার স্বরূপ ছিল ভয়ঙ্কর। পরিকল্পিত পন্থায় বাঙালিকে খুন করা হয়েছে।  পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে এসব বর্বরতায় সহযোগী ছিল বাঙালি ও অবাঙালি সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত রাজাকার, আলবদর, আলশামস এবং শান্তি কমিটির সদস্যরা। তিনি বলেন, ২৫ মার্চের গণহত্যা শুধু এক রাতের হত্যাকাণ্ডই ছিল না, এটা ছিল মূলত বিশ্বসভ্যতার জন্য এক কলঙ্কজনক, জঘন্যতম গণহত্যার সূচনামাত্র। পরবর্তী ৯ মাসে ৩০ লাখ নিরাপরাধ নারী-পুরুষ-শিশুকে হত্যার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা সৃষ্টি করেছিল সেই বর্বর ইতিহাস।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংঘটিত গণহত্যার ষড়যন্ত্র শুরু হয় ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগের পর হতেই। পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী শুরুতেই আঘাত হানে ভাষার উপরে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের পাঞ্জাবি শাসকচক্র যখন রাষ্ট্রের ৫৬% লোকের মায়ের ভাষ্য বাংলা অস্বীকার করে তখনই দূরদর্শী তরুণ নেতা শেখ মুজিব বুঝতে পেরেছিলেন পাকিস্তান সৃষ্টির মাধ্যমে ইংরেজি শোষক-শাসকের পরিবর্তে আমার পাঞ্জাবি শোষক ও শাসক পেয়েছি। প্রকৃতপক্ষে জনগণের মুক্তি পায়নি।

তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর থেকেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালির স্বাধীনতার ব্যাপারে আত্মপ্রত্যয়ী। পাকিস্তান আন্দোলনের তুখোড় তরুণ নেতা শেখ মুজিব বুঝেছিলেন বাঙালিরা ব্রিটিশ শাসনমুক্ত হলেও নব্য উপনিবেশ হয়েছে পশ্চিম পাকিস্তানিরা। তাই তিনি বাঙালি জাতিকে মুক্ত করার জন্য ধীরে ধীরে প্রস্তুতি নেন, যার চূড়ান্ত রূপ মহান মুক্তিযুদ্ধ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। বাঙালির মুক্তির ধারাবাহিক বিস্ফোরণ দেখা যায় ’৪৮-৫২ এর ভাষা আন্দোলনে; ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে, ১৯৬৬ এর ৬ দফার আন্দোলনে, ৬৯ এর গণঅভ্যুথানে এবং ১৯৭০ এর নির্বাচনি জনরায়ে।

আনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারা জাকের ও মফিদুল হক বক্তৃতা করেন।

#

এনায়েত /শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১২০ ঘণ্টা                                                                                                                       

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :  ৩৮৫৫

 

নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবের ইতিহাস জানাতে হবে

                                             -- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ):

 

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন করে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে ২৫ শে মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরীহ বাঙালিদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালানোর উদ্দেশ্যে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হয়ে সর্বপ্রথম ফার্মগেইট এলাকায় মুক্তিকামি ছাত্র জনতার ব্যারিকেডের মুখোমুখি হয়।

 

মুক্তিযুদ্ধে প্রথম ব্যারিকেড তৈরির ঐতিহাসিক ঘটনা স্মরণ এবং জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আজ এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত ‘গণহত্যার কালরাত্রি ও আলোকের অভিযাত্রী’ শিরোনামে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি।

 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ২৫ মার্চ কালরাতে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ব্যারিকেড উদ্‌যাপন কমিটির সভাপতি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান।

 

অনুষ্ঠানে সম্মানিত আলোচক হিসেবে আরো বক্তব্য প্রদান করেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ এবং এ কে আজাদ; চিত্রনায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দীন আহমেদ আলমগীর; তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক জিলু; ইউনিসেফ সুপারস্টার ও টিভি রিপোর্টার সুবহা সাফায়েত সিজদা প্রমুখ।

 

আলোচনায় সভায় বক্তারা ২৫ মার্চ কালরাতে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ব্যারিকেড এর গৌরবময় ইতিহাসের স্মৃতিচারণ করেন এবং ফার্মগেইট ব্যারিকেডের ইতিহাসকে স্মরণীয় করে রাখতে ঢাকার ফার্মগেইট এলাকায় একটি স্মৃতিস্তম্ভ করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কাছে দাবি জানান।

 

আলোচনা সভার শুরুতে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ব্যারিকেড তৈরির ঐতিহাসিক ঘটনার ওপর ভিত্তি করে একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের গৌরবের ইতিহাস। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। তারপর করা হয়েছে ইতিহাস বিকৃতি। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিফলক/স্মৃতিচিহ্নগুলো মুছে ফেলা হয়েছে। এখন আমাদের নতুন প্রজন্মকে এ গৌরবের ইতিহাসগুলো জানাতে হবে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে ততকালীন ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান খান কামালের নেতৃত্বে ছাত্র জনতা ব্যাকিকেড তৈরি করে একটি প্রশিক্ষিত সেনা বহরকে যেভাবে ২০ মিনিটের মতো ফার্মগেইটে আটকে রেখেছিলো তা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের মধ্য অন্যতম স্থান দখল করে রাখবে।’

 

প্রধান আলোচক শাজাহান খান বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহিদ হয়েছে। এটি ছিল বিশ্বের ইতিহাসে একটি গণহত্যা। বিশ্বের কাছ থেকে আমাদেরকে এ গণহত্যার স্বীকৃতি আদায় করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই আসাদুজ্জামান খান কামালের নেতৃত্বে পাকিস্তানি সেনা বহরকে ব্যারিকেড দিয়ে ফার্মগেইট তথা তেজগাঁওবাসী এক বীরত্বের ইতিহাস রচনা করে।’

 

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও ফার্মগেইট প্রতিরোধের নেতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ধারাবাহিক আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করেছেন। আমরা তাঁর আহ্বানেই প্রতিটা আন্দোলন, সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। তিনিই ছিলেন আমাদের প্রেরণা। আমরা আজ স্বার্থক। নতুন প্রজন্মকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসটুকু জানাতে পেরেছি।’

 

তিনি আরো বলেন, ‘ইতিহাসের অংশ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এ ফার্মগেইট এলাকা। সে রাতে (২৫ মার্চ, ১৯৭১) আমরা ছাত্র জনতা বিশ্বের অন্যতম প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর বহরকে প্রায় ২০ মিনিটের মতো আটকে রেখেছিলাম। আমরা গাছ কেটে, লোহার চাই দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করেছিলাম, ঢিল, পেট্রোল বোমা ছুঁড়েছিলাম। কিন্তু সেনা বহরটি ২০ মিনিটের বেশি আটকে রাখতে পারিনি। তারপরই এই বাহিনী ঢাকা শহরে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। কিন্তু সেদিন না পারলেও নয় মাস যুদ্ধ করে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি।’

 

#

 

মাহমুদ/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :  ৩৮৫৪

 

টিকিট নিয়ে উত্থাপিত অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ বিমানমন্ত্রীর

 

ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ):

 

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকেই বিমানের টিকেট নিয়ে উত্থাপিত অনিয়মের বিষয়ে তদন্তপূর্বক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।

 

আজ রাজধানীর একটি হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত সংক্রমণে ভর্তি থাকা অবস্থায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিমের সাথে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন।

 

তিনি বলেন, বিমানের সিট খালি থাকা ও টিকেট নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন বিষয় এবং যাত্রীদের যেকোনো অভিযোগ গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। টিকেট কাউন্টার, চেকিং কাউন্টার, কল সেন্টারসহ যেকোনো সেবার পয়েন্টে দায়িত্ব পালনরত কোনো কর্মী দায়িত্বে অবহেলা করলে বা যাত্রীদের সাথে অসদাচরণ করলে বা কোনো ধরনের অসদুপায় অবলম্বন করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রীদের আস্থার প্রতীকে পরিণত করার জন্য কাজ করছি। বিমানের বহরে নতুন নতুন এয়ারক্রাফট যোগ করাসহ এর অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক রুট বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সেবার মান আরো উন্নত করা হচ্ছে। বিমানের অগ্রগতিতে যারাই বাধা হিসেবে কাজ করবে তাদের কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।

 

সাক্ষাৎকালে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্ত্রীকে আগামী ২৬ মার্চ তারিখে উদ্বোধন হতে যাওয়া ঢাকা-রোম-ঢাকা ফ্লাইটের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। এ সময়ে মন্ত্রী এই ফ্লাইটকে টেকসই ও লাভজনক করার জন্য বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।

 

#

 

তানভীর/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯৪০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর :  ৩৮৫৩

 

জেদ্দায় গণহত্যা দিবস পালিত

 

জেদ্দা, সৌদি আরব, ২৫ মার্চ:

 

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, জেদ্দার উদ্যোগে কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে বাঙ্গালি মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসের ভয়াল ‘গণহত্যা দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই তরজমাসহ পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ একাত্তরে নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণহত্যায় নিহত শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। অতঃপর ২৫ মার্চ ১৯৭১ তারিখে গণহত্যার শিকার শহিদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

 

অনুষ্ঠানে গণহত্যা দিবসের ওপর তৈরিকৃত বিশেষ ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বক্তব্য পেশ করেন। বক্তব্যে তিনি গণহত্যা দিবসের তাৎপর্য ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের প্রতিটি উল্লেখযোগ্য ঘটনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা বিশদভাবে তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ও ২৫ মার্চের  গণহত্যার মূল খলনায়ক হিসেবে কুখ্যাত পাকিস্তানি  আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান এবং টিক্কা খানের ধারাবাহিক কুকীর্তি ও নৃশংসতার বিশদ বর্ণনা করেন। তিনি বাংলাদেশ

2024-03-25-16-38-bb233a3df648c9a81f06004c45ac7291.docx 2024-03-25-16-38-bb233a3df648c9a81f06004c45ac7291.docx

COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon