Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৪ অক্টোবর ২০১৮

তথ্যবিবরণী 12/10/2018

তথ্যবিবরণী                                                      নম্বর :  ২৮২৪
তৃণমূল থেকে প্রতিভা তুলে আনতে হবে
               -- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী 
ঢাকা, ২৭ আশ্বিন (১২ অক্টোবর) :  
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, ঝঃধহফধৎফ ঈযধৎঃবৎবফ-ঞযব উধরষু ঝঃধৎ ‘ঈবষবনৎধঃরহম খরভব (জীবনের জয়গান)’ অধিৎফং ২০১৮ এর মাধ্যমে যেসব গুণী ব্যক্তিকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হলো তারা সবাই বরেণ্য ব্যক্তিত্ব। আজীবন সম্মাননা প্রদান করার পাশাপাশি আরো যেসব ক্যাটেগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হলো, সেটিই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক মনে হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায় থেকে নতুন নতুন প্রতিভা ওঠে এসেছে। সেটিই আমাদের মূললক্ষ্য এবং এ উদ্যোগের সাফল্য সেখানেই।
মন্ত্রী আজ রাতে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি)-এর নবরাত্রি হলে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও দি ডেইলি স্টার আয়োজিত ঝঃধহফধৎফ ঈযধৎঃবৎবফ-ঞযব উধরষু ঝঃধৎ ‘ঈবষবনৎধঃরহম খরভব (জীবনের জয়গান)’ অধিৎফং ২০১৮ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 
প্রধান অতিথি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে সংস্কৃতি চর্চা পৌঁছে দেয়াই আমাদের মূল কাজ। বিগত পাঁচ বছরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সেটি করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে সবাই বড় শিল্পী হবেন এমনটি নয়। এর মাধ্যমে জনমানুষের মধ্যে যে সাংস্কৃতিক বোধ ও চেতনা তৈরি হবে- সেটি আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দি ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয়।
অনুষ্ঠানে ‘ঈবষবনৎধঃরহম খরভব চযড়ঃড় ঊীযরনরঃরড়হ’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। মূলত চলচ্চিত্র, গীতিকাব্য ও স্থিরচিত্র-এ তিনটি ক্যাটেগরিতে ঈবষবনৎধঃরহম খরভব (জীবনের জয়গান) অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট (আজীবন অর্জন) অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয় সংগীত শিল্পী রুনা লায়লা, অভিনেতা আলী যাকের এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমামকে।
#
ফয়সল/সেলিম/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০৪০ ঘণ্টা   
তথ্যবিবরণী                                                  নম্বর : ২৮২৩
উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ 
সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে
                                      -- প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁ
গংগাচড়া (রংপুর), ২৭ আশ্বিন (১২ অক্টোবর) : 
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী আজ রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলা হলরুমে শারদীয় দুর্গা উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থানের মাধ্যমে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনে সহায়তা করছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণœ রাখতে নিরলসভাবে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশ আজ এলডিসি স্ট্যাটাস হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। গংগাচড়াসহ রংপুর জেলা আজ উন্নয়ন ও শান্তির রোল মডেল। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার রংপুরসহ দেশের পশ্চাদপদ জনপদগুলোতে বিশেষ বিবেচনায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, কৃষি ও অবকাঠামো খাতে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এসব কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এক একটি অবহেলিত অঞ্চল সুখী, সমৃদ্ধ ও আদর্শ অঞ্চলে পরিণত করা সম্ভব। তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষকে ধর্মীয় শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও সমাজের কল্যাণে আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে উপজেলার ১১৩টি পূজাম-পের প্রতিনিধিদের মাঝে অনুদান বিতরণ করেন।
#
আহসান/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০২০ ঘণ্টা   
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২৮২১
আদালতের  আদেশ পালন করা সরকারের দায়িত্ব 
---আইনমন্ত্রী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২৭ আশ্বিন (১২ অক্টোবর) :
২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলার রায় নিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘মামলা বিচারিক আদালতে শেষ হয়েছে। রায়ের কপি আমরা দেখব। দেখে বিশ্লেষণ করে পরবর্তী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সেই সিদ্ধান্ত নেব।  রায় কার্যকর করতে আমরা চেষ্টা করব। কোর্টের আদেশ পালন করা আমাদের দায়িত্ব।’
আজ (১২ অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার কি হবে তা প্রধানমন্ত্রী বলতে পারবেন। এ ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করব না।’
আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়াসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজাউল/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/১৭৫৬ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ২৮১৯ 
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৭ আশ্বিন (১২ অক্টোবর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। দুর্যোগের ঝুঁকিহ্রাস ও দুর্যোগপূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণে সকলের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে এ উদ্যোগ সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশ ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এসব দুর্যোগের সংখ্যা ও মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি রয়েছে অগ্নিকা- ও দূষণজনিত মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। এসব দুর্যোগ মোকাবিলা ও তার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে দুর্যোগপূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। এ প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০১৮ এর প্রতিপাদ্য ‘জবফঁপরহম ঊপড়হড়সরপ খড়ংংবং’ যার ভাবার্থ ‘কমাতে হলে সম্পদের ক্ষতি, বাড়াতে হবে দুর্যোগের পূর্ব প্রস্তুতি’ যথাযথ হয়েছে বলে আমি মনে করি। দুর্যোগপূর্ব প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন, প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও দুর্যোগের সঠিক পূর্বাভাস প্রদানে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক। এক্ষেত্রে স্ব স্ব কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে - এ প্রত্যাশা করি।
সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ এখন দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম দেশ হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিতি লাভ করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবকদের সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) গ্রহণ করেন, যা সদ্যস্বাধীন দেশে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে একটি মাইলফলক। এরই ধারাবাহিকতায় দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিমধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন-২০১২, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০১৫, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০১৫, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০১১, দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী হালনাগাদ ও তা বাংলায় অনুবাদের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় একটি শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনসাধারণের অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতি সারাবিশ্বে বাংলাদেশকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ‘অনুসরণীয় মডেল’- এ অধিষ্ঠিত করেছে। দুর্যোগকালীন ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনে সকল সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, গণমাধ্যম ও জনগণের সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে - এ প্রত্যাশা করি।
আমি ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০১৮’ উদযাপনের সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। 
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
হাসান/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৭০০ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২৮১৮
গ্রেনেড হামলার রায় একটি ঐতিহাসিক রায় 
                                     -ভূমিমন্ত্রী
ঈশ^রদী, ২৭ আশ্বিন (১২ অক্টোবর) :
দেশে আইনের শাসন শতভাগ বিদ্যমান। ১৪ বছর পরে হলেও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার বিচারের রায় হয়েছে। এটি একটি ঐতিহাসিক রায়।
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ আজ ঈশ^রদী শেরশাহ রোডের নিজের বাসায় গ্রেনেড হামলার রায় সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন।
শামসুর রহমান শরীফ আরো বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল মূলত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দেওয়ার এক গভীর ষড়যন্ত। আল্লাহর অশেষ রহমতে সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রক্ষা পেয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারীরা গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল যার ক্ষত কোনোদিন মুছে যাবে না। বাঙালি জাতি ঘৃণাভরে এ দিনটির কথা স্মরণে রাখবে। মন্ত্রী গ্রেনেড হামলায় নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। 
#
রেজুয়ান/জসীম/শামীম/২০১৮/১৬০৫ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ২৮২০
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৭ আশ্বিন (১২ অক্টোবর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশ ১৩ অক্টোবর ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০১৮’ উদ্যাপন করছে এবং এ উপলক্ষে একটি স্মরণিকা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। টঘওঝউজ কর্তৃক প্রণীত ‘জবফঁপরহম ঊপড়হড়সরপ খড়ংংবং’ এর আলোকে গৃহীত প্রতিপাদ্য ‘কমাতে হলে সম্পদের ক্ষতি, বাড়াতে হবে দুর্যোগের পূর্ব প্রস্তুতি’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসমূলক কর্মসূচি প্রণয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। সর্বপ্রথম তিনিই মুজিব কিল্লা নির্মাণের মাধ্যমে দুর্যোগে জনগণের জানমাল রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তিনি ১৯৭৩ সালে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)’ প্রতিষ্ঠা করেন যা দুর্যোগ সতর্কবার্তা প্রচার ও সাড়াদান কার্যক্রমে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।
আমরা দুর্যোগের পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণের মাধ্যমে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসকল্পে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছি। আমাদের সরকার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (২০১৬-২০২০), ধ্বংসস্তূপ ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা-২০১৬, দুর্যোগ-পরবর্তী মৃতদেহ ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা-২০১৬ প্রণয়ন করেছে। গ্রামীণ কাঁচা রাস্তাসমূহে ২০৭৮ কিলোমিটার হেরিং বোন বন্ড করা হয়েছে এবং আরো ১০৬৮ কিলোমিটার রাস্তার হেরিং বোন করার কাজ চলমান আছে। দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে ত্রাণ গুদাম নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বন্যাপ্রবণ এলাকায় ২৩০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র এবং ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকায় ১০০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৬৪৩টি বন্যা/ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ এবং গ্রামীণ জনপদে সোলার সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বজ্রপাত প্রশমনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই দেশে ৩১ লক্ষাধিক তালগাছ বীজ বপন করা হয়েছে। জাতীয় বিল্ডিং কোডে বজ্রপাত নিরোধক দন্ড স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে এবারের আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের প্রতিপাদ্যে মূল সুর প্রতিফলিত হবে বলে আমি মনে করি।
আমি ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০১৮’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করি।   
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৭০১ ঘণ্টা
Todays handout (6).docx