তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৭৮
রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক
ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই):
দশম জাতীয় সংসদের রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র ৩৫তম বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি এ. বি. এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি’র সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সদস্য রেলপথ মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক, মোঃ আলী আজগার, মোঃ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, মোহাম্মদ নোমান, ইয়াসিন আলী এবং ফাতেমা জোহরা রানী বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে চট্টগ্রামের ফয়েজ লেকের ৩৩৬.৬২ একর জমি ২০০৩ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের সময়ে নামমাত্র মূল্যে অসম চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে ইজারা প্রদান এবং পরবর্তীতে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ, অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট করা ও প্রতিবছর বাংলাদেশ রেলওয়ের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। কমিটির সদস্যগণ ৫০ বছর মেয়াদি এ অসম চুক্তির ব্যাপারে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে চুক্তিটি বাতিলের এবং ফয়েজ লেকে সরকারের জন্য লাভজনক প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে সর্বসম্মত সুপারিশ করেন।
বৈঠকে অবহিত করা হয় যে, ফয়েজ লেকের এই ইজারার ফলে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিবছর ১ কোটি ৯৮ হাজার টাকার ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করে যাচ্ছে। অথচ ইজারাকৃত প্রতিষ্ঠান বছরে মাত্র ৩৭ লাখ টাকা প্রদান করে। যার ফলে প্রতিবছর সরকারের ১ কোটি ৬১ লাখ টাকার ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।
এছাড়া বৈঠকে ঢাকা সার্কুলার ট্রেন প্রকল্পের সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সাথে যোগাযোগ ও সমন্বয় করে দ্রুততম সময়ে এর বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়। মন্ত্রণালয় কর্তৃক বৈঠকে পেশকৃত প্রতিবেদনের আলোকে ইন্দোনেশিয়া থেকে সদ্য আমদানিকৃত রেলের কোচসমূহ স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী সরবরাহ করা হয়েছে কিনা তা তদন্তপূর্বক আগামী দুই মাসের মধ্যে কমিটির কাছে রিপোর্ট প্রদানের লক্ষ্যে তিন সদস্যের সাব-কমিটি গঠন করা হয়।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
#
লাবণ্য/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৮৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৭৫
উন্নত বিশে^র সার্ভিস সেক্টরের সুবিধা গ্রহণ
করতে বাণিজ্যমন্ত্রীর আহবান
ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই):
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, গ্রামীণসহ দেশের চলমান উন্নয়নে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রকৌশল বিভাগে আরো দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা সম্ভব। বিশ^ বাজারে দক্ষ প্রকৌশলীর বিপুল চাহিদা রয়েছে, দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। শিক্ষিত যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করে দেশের চাহিদা পূরণ করে, রপ্তানি করা সম্ভব। মন্ত্রী বলেন, উন্নত বিশে^র দেওয়া সার্ভিস সেক্টরের সুবিধা গ্রহণের জন্য নিজেদের উপযুক্ত করে তুলতে হবে। সরকার শিক্ষাখাতকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বর্তমানে দেশে ৪৯টি সরকারি এবং ৪৬৭টি বেসরকারি সেক্টরে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট পরিচালিত হচ্ছে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল (২৯ জুলাই) শনিবার রাতে ঢাকায় রেডিসন ব্লু হোটেলে ইনস্টিটিউশন অভ্ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) এবং কলম্বো প্লান স্টাফ কলেজ, মেনিলা আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন স্কিলস ফর দি ফিউচার ওয়ার্ল্ড অভ ওয়ার্ক অ্যান্ড টিভিইটি ফর গ্লোবাল কমপেটিটিভনেস’ শীর্ষক সম্মেলনের সমাপনী সেশন এবং ফেয়ারওয়েল ডিনার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।
আইডিইবি-এর প্রেসিডেন্ট এ কে এম এ হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কলম্বো প্লান স্টাফ কলেজের মহাপরিচালক ড. রামহরি লামিচান এবং আইডিইবি-এর সেক্রেটারি জেনারেল মোঃ শামসুর রহমান।
#
বকসী/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৮২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৭৪
রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই):
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, সরকার চলতি অর্থবছরে ৩৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় নির্ধারণ করেছে। এতে দেশে উৎপাদিত পণ্য ও কম্পিউটার সার্ভিস থেকে রপ্তানি আয় রয়েছে। এছাড়া সার্ভিস সেক্টর থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সর্বমোট রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গতবছর পণ্য ও কম্পিউটার সার্ভিস থেকে রপ্তানি আয় ছিল প্রায় ৩৪.৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ১১ মাসে সার্ভিস সেক্টরে রপ্তানি আয় ছিল ৩.৩৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৫৪ ভাগ আসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে। গত বছর ইউরো ও পাউন্ডের অবমূল্যায়নের কারণে রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও রপ্তানি আয় আশানুরূপ হয়নি। এ বছর রপ্তানি সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করে এ সব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, সরকার দেশের রপÍানি বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দেশের রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি ও বাজার সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কিছু পণ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তৈরি পোশাকের পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি, ঔষধ, চামড়াজাত পণ্য, কৃষিজাত পণ্য, জাহাজ, ফার্নিচার রপ্তানিতে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ সকল পণ্য রপ্তানিতে বিভিন্ন হারে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। বিশ^বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, সংশ্লিষ্ট সকলে আন্তরিক হলে ঘোষিত লক্ষ্যমাত্র অর্জনে কোন সমস্যা হবে।
এ সময় বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, শিল্প সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. নমিতা হালদার, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য, এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
বকসী/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৮১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৭৩
অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক
ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই):
দশম জাতীয় সংসদের অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২০তম বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সদস্য মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ, নাজমুল হাসান, ফরহাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, মোঃ শওকত চৌধুরী এবং আখতার জাহান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে ঠঅঞ আইন বাস্তবায়ন স্থগিতের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাজেট বাস্তবায়ন বিশেষভাবে উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে অর্থায়নের কৌশল ও চ্যালেঞ্জসমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়। সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সুইস ব্যাংকসহ বিদেশের অন্যান্য ব্যাংকে অর্থ পাচার সংক্রান্ত আলোচনা করা হয়। অফশোর ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিদেশে অর্থ স্থানান্তরে জড়িতদের বিরুদ্ধে গৃহীত সর্বশেষ ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে জানানো হয় যে, এবি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ স্থানান্তরের অনিয়মের দায়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যে কোন ঋণ মঞ্জুরির ক্ষেত্রে ঋণ প্রস্তাব পর্যালোচনা, পর্যাপ্ত জামানত সংরক্ষণ ও ঋণ বিতরণ পরবর্তী মনিটরিংয়ে যথাযথ সকর্কতা অবলম্বনের জন্য ব্যাংকটিকে পরামর্শ দেওয়া হয়।
এবি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের মাধ্যমে বিদেশে স্থানান্তরিত অর্থ উদ্ধারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে তদন্ত করে অতিদ্রুত কমিটিকে অবহিত করার সুপারিশ করা হয়। নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর না হওয়ার কারণে যে রাজস্ব ঘাটতি তৈরি হবে তা পূরণের উদ্দেশ্যে ভ্যাটের আওতা বৃদ্ধির এবং বকেয়া আদায়ের মাধ্যমে পূরণ করার সুপারিশ করা হয়। সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীয়দের অর্থ গচ্ছিতের বিষয়ে পত্রপত্রিকায় যে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে তা নিরসনের উদ্দেশ্যে প্রকৃত তথ্য গণমাধ্যমে তুলে ধরার পরামর্শ প্রদান করা হয়।
অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর চেয়াম্যানসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
#
মিজানুর/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৭৫১ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৭২
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রথম জাতীয় কনভেনশনের উদ্বোধন
ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই):
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীর বিক্রম বলেছেন, সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের আন্তরিকতায় দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি আরো দৃশ্যমান হারে কমিয়ে আনা সম্ভব। দুর্যোগে সকলকে সেবার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রথম জাতীয় কনভেনশন-২০১৭ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ্ কামালের সভাপতিত্বে কনভেনশনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ সম্ভু, সংসদ সদস্য সফিকুল ইসলাম শিমুল, আব্দুর রহমান বদি ও তালুকদার আব্দুল খালেক বক্তব্য রাখেন।
কনভেনশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব সত্যব্রত সাহা। মূল প্রবন্ধে ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা করে এর প্রস্তুতির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন ভূমিকম্প প্রস্তুতি পরিবার থেকে শুরু করতে হবে। দুর্যোগবান্ধব নতুন প্রজন্ম সৃষ্টি করতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে পেশা হিসেবে গ্রহণের একাডেমিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ করে দেয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশে দুর্যোগের ধরণ ও ভয়াবহতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব দুর্যোগের সাথে খাপ খাইয়ে বেঁচে থাকার টেকসই উপায় বের করতে হবে। তিনি বলেন, দুর্যোগে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হন। প্রতিবছর এভাবে প্রান্তিক মানুষের জানমালের ক্ষতি হতে দেয়া যায়না। এসব মানুষকে বাঁচাতে সুচিন্তিত, অভিজ্ঞতালব্ধ ও বাস্তবসম্মত সুপারিশ ও মতামত দেয়ার জন্য তিনি গবেষকদের আহ্বান জানান।
দুইদিনব্যাপী কনভেনশনের প্রথম দিনে আজ উদ্বোধনের পর তিনটি কর্মশালা ও দুইটি সাইড ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। বজ্রপাতে প্রস্তুতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে করণীয়, ভূমিকম্পে প্রস্তুতি ও ঝুঁকি হ্রাসে করণীয়, ভূমিধস কারণ চিহ্নিতকরণ ও করণীয় নির্ধারণ-এই তিনটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, জেন্ডার এবং দুর্যোগ-এই দুইটি সাইড ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।
কনভেনশনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার আধুনিক প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হয়।
#
ফারুক/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৭৪৯ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৭১
এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ঢাকা পানি সম্মেলন মাইলফলক
---এলজিআরডি মন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই):
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিশ^ব্যাপী এসডিজি-৬ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় ঢাকা পানি সম্মেলন ২০১৭ এ অংশগ্রহণকারী দেশসমূহের প্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারকদের আলোচনা, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও পরামর্শ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এর মাধ্যমে উঠে আসা সমাধানের পরামর্শসমূহ ভূমিকা রাখবে। ‘ঢাকা ঘোষণা’ নিরাপদ পানি নিশ্চিতে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত ০২ (দুই) দিনব্যাপী ঢাকা পানি সম্মেলন ২০১৭ এর সমাপনী অনুষ্ঠান ও ঢাকা ঘোষণায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আফগানিস্তানের মন্ত্রিপরিষদ সদস্য আলী আহমেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বেগম নাসরিন আক্তার এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সুধীর কুমার ঘোষ সহ ২৭ টি দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিগণ।
মন্ত্রী বলেন, বিশে^র বিভিন্ন অঞ্চলে স্বাদু পানির উৎস ক্রমেই সীমিত হয়ে পড়ছে। বন্যা, অতিবৃষ্টি, খরা, ঘুর্ণিঝড় সহ নানাবিধ প্রাকৃতিক দূর্যোগে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রকৃতি বিরূপ আচরণ করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পানির উৎসসমূহও সীমিত হয়ে পড়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিশুদ্ধ পানির নিশ্চয়তা নিশ্চিতে আমাদেরকে টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, বিশে^ বর্তমানে ৭০০ কোটিরও অধিক জনসংখ্যার জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই সম্মেলনে গৃহীত নীতি ও কৌশলসমূহ ধনী-দরিদ্র বৈষম্য হ্রাস, নারী ও শিশুদের স্যানিটেশন নিশ্চিত করতেও সমান ভূমিকা রাখবে।
মন্ত্রী ‘ঢাকা ঘোষণা’য় গৃহীত প্রতিশ্রুতিসমূহ বাস্তবায়নে একসাথে কাজ করার জন্য অংশগ্রহণকারী দেশের প্রতিনিধি, নীতিনির্ধারক, গবেষক, বিশেষজ্ঞসহ সকলকে আহ্বান জানান।
এরপর ‘ঢাকা ঘোষণা’র মধ্য দিয়ে ঢাকা পানি সম্মেলন ২০১৭ সমাপ্ত হয়।
#
জাকির/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৭৪৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৭০