Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪

তথ্যবিবরণী ২৮ জানুয়ারি ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ২৬২১

বিএনপি এখন বলে, তারেক জিয়াই সব শেষ করলো, নির্বাচন করলেই ভালো হতো

                                                                                   - পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, ১৪ মাঘ (২৮ জানুয়ারি) :

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘বিএনপির মধ্যে এখন চরম হতাশা। তারা বলে, তারেক জিয়াই সব শেষ করলো, নির্বাচন করলেই ভালো হতো।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের সাথে বিভিন্ন স্টেশনে, বন্দরে, বিয়ে-শাদীর অনুষ্ঠানে দেখা হলে ‘কী ঘটনা’ জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন- সব উনি শেষ করেছেন। উনি কে, তারেক রহমান। কারণ আজকে বিএনপিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন এই তারেক রহমান।’

আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চীন ও নেপালের রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘ সমন্বয়কের সাক্ষাৎ শেষে  বিকেলে ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর হয়ে নীলফামারী পৌঁছান মন্ত্রী। সেখানে জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় হাছান মাহ্‌মুদ এ সব কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির তারা জনগণের জন্য রাজনীতি করে না। আমরা যখন শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করছি, শীতবস্ত্র বিতরণ করছি, বিএনপি কই, খুঁজে পাওয়া যায় না। বিএনপিকে কখন খুঁজে পাওয়া যায়, যখন পেট্রোল বোমা মারে। আর জাতীয় পার্টি কই, তাদেরও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা এখন রওশন এরশাদ আর জিএম কাদের এই দুইটা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। শুধু আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে আছে। শুধু আওয়ামী লীগ আজকে শীতবস্ত্র বিতরণ বলুন, মানুষের কাছে অন্যান্য সাহায্য সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়া বলুন,  একমাত্র আওয়ামী লীগই করছে, মানুষের কাছে আছে।’

সমাবেশের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখতে পেয়েছেন পৃথিবীর সমস্ত রাষ্ট্র জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছে এবং কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করছে। এতেই বিএনপির মধ্যে হতাশা আরও গভীর হয়েছে।

আওয়ামী লীগের রাজনীতি খেটে খাওয়া গণমানুষের কল্যাণের রাজনীতি

আওয়ামী লীগের রাজনীতি জনগণের রাজনীতি, খেটে খাওয়া গণমানুষের কল্যাণের রাজনীতি উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী  বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের নেত্রী। দূর থেকে মনে হয় প্রধানমন্ত্রী, যখন গিয়ে কথা বলবেন তখন মনে হবে উনি আপনার মা কিংবা বড় বোন। এমনই হচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এখানেই হচ্ছে অন্যদের সাথে জননেত্রীর পার্থক্য।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে থাকে। অন্যরা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। আরেকটা গ্রুপ আছে কীভাবে ক্ষমতার সাথে থাকবে সেই চেষ্টায় লিপ্ত থাকে, এর বাইরে অন্য কোনো রাজনীতি নাই।' 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন,‘জননেত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীনদের জন্য ১০ লাখ ঘর করে দিয়েছেন যা বিশ্বের অন্য কোথাও করা হয়েছে কি না আমার জানা নেই। শুধু তাই নয়, বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, পঙ্গু ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ ২২ প্রকারের ভাতা প্রদান করা হয়।  প্রতিটি ইউনিয়নের পাঁচ হাজার পর্যন্ত নানা ধরনের ভাতাভোগী আছেন। আর মেয়ে স্কুলে গেলে আপনার মোবাইল ফোনে টাকা চলে আসবে। করোনা মহামারির টিকাদান বিশ্বের ১৩০টি দেশে শুরু হওয়ার আগে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে। এটা হচ্ছে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ। তাই আওয়ামী লীগ যেমন আপনাদের পাশে আছে, আপনারাও আওয়ামী লীগের পাশে থাকবেন।’

অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হকের সঞ্চালনায় বক্তৃতা দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, শাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।

#

আকরাম/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/২০৫০ঘণ্টা

Handout                                                                                                               Number : 2620

Cultural engagements eventually help our society fight

against radicalization, fundamentalism and terrorism

                                            ----State Minister Arafat

Dhaka, 28 January: 

            State Minister for Information and Broadcasting Mohammad Ali Arafat said, the Dhaka International Film Festival will enhance people to people contact from all over the world. Cultural engagements like this will eventually help our society fight against radicalization, fundamentalism and terrorism of all kinds.

            The 22nd Dhaka International Film Festival has been held in Dhaka from January 20th to 28th, 2024. The general theme of the festival was "Better Film, Better Audience and Better Society."

            State Minister said, I recall with deep respect and gratitude the great architect of independent Bangladesh, the greatest Bangali of all time - the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman. I also recall with reverence all the valiant freedom fighters and the martyrs of 71 whose infinite courage and self-sacrifices enabled us to achieve a sovereign land and independent nationhood, a sacred constitution and the red-green flag. He recalled with deep respect the martyrs of the brutal killings on the darkest night of 15 August, 1975.

            He memorized very inception in 1977, the Rainbow Film Society has been arranging this international film festival with a lot of passion and eagerness. Enthusiasm from the film fraternity makes this festival even more special. The mingling of young and experienced filmmakers during different sessions encouraged the exchange of ideas. International film festivals like this also ensure the exchange of views among people across cultures, which propels societies towards openness.

            The Dhaka International Film Festival has contributed to the development of a thriving and supportive atmosphere for our homegrown film industry as well. Subtly, this film festival has also served as a protest against prejudice in all its manifestations and harmful business practices. It attempts to foster a progressive mentality in the populace and provides room for openness in the opinions of a wider audience.

            Renowned film director Mr Majid Majidi and the legendary Indian Film Artist Sharmila Tagore, Excellences, distinguished guests from different countries, participants and organizers also present the program.

#

Sayeam/Pasha/Shafi/Sanjib/Joynul/2023/2100 hour

 

তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ২৬১৯

 

প্রকল্পের একটি টাকাও অপচয় করা যাবে না

                         ---সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

 

ঢাকা, মাঘ ১৪ (২৮ জানুয়ারি):


          সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে জনকল্যাণমুখী কাজকে প্রাধান্য দিতে হবে। প্রকল্পের একটি টাকাও অপচয় করা যাবে না।


          মন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় চলমান ৩৩টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন।


          মন্ত্রী বলেন, একটি সহনশীল ও সহমর্মী সমাজ গঠনে আমাদের কাজ করতে হবে, যেখানে পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে সক্ষম মানুষ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। সকলে মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মন্ত্রী সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাজকে শতভাগ জনমুখী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, আমরা সরাসরি অসহায় মানুষের জন্য কাজ করছি। আমাদের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে।


          মন্ত্রী বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের কিভাবে আরো বেশি সেবা দেয়া যায় সে বিষয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন, দেশের জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে যেগুলোতে ডায়ালাইসিস সুবিধা নেই সেগুলোতে ডায়ালাইসিসি সুবিধা প্রদানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প নেয়া হবে। ঢাকাসহ বিভিন্ন বড় শহরে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা রোগী ও তাদের এটেনডেন্টদের স্বল্প খরচে থাকার জন্য ডরমিটরি স্থাপন ও  সারা দেশে প্রবীণদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপনে প্রকল্প নেয়ার জন্যও মন্ত্রী নির্দেশনা দেন।


          মন্ত্রী চলমান প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেন। সভায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ খায়রুল আলম সেখ উপস্থিত ছিলেন।

 

#

জাকির/পাশা/শফি/মোশারফ/আব্বাস/২০২৪/২০৩৭ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ২৬১৮

গবেষণার মাধ্যমে গ্রামের বিভিন্ন সমস্যা দূরকরণে নতুন ধারণা প্রয়োজন

                                                             - স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ঢাকা, ১৪ মাঘ (২৮ জানুয়ারি) :

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, পল্লী উন্নয়ন একাডেমিসমূহকে শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, গ্রামের মানুষকে সংগঠিত করে তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানে নতুন নতুন ধারণা খুঁজে বের করতে হবে।

মন্ত্রী আজ পল্লী উন্নয়ন একাডেমিসমূহের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময় গ্রামের মানুষের আর্থ- সামাজিক উন্নয়নের চেষ্টা করেছেন। গ্রামের ৬১% মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে পল্লী উন্নয়ন একাডেমিগুলো গবেষণার মাধ্যমে নীতি ও তা বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়া তিনি গবেষণার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর রাজস্ব বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করেন।

দুপুরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বিভিন্ন যৌক্তিক দাবি পূরণে সরকার সচেষ্ট রয়েছে তবে তা যতটুকু বাস্তবায়ন সম্ভব তা বিবেচনায় নেওয়া হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সারওয়ার হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়ন যেন সঠিক কাজে লাগে তা তদারকি করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, প্রকল্পগুলো যেন মানুষের জীবনে অর্থ-সামাজিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

#

টিপু/পাশা/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/মোশারফ/শামীম/২০২৪/১৯৫০ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ২৬১৭

১৫ বছরে সামাজিক বন বিভাগের আওতায় রংপুর অঞ্চলে

১৩ লাখ বৃক্ষরোপণ, সরকারের রাজস্ব আয় ৭ কোটি টাকা

 

রংপুর, ১৪ মাঘ (২৮ জানুয়ারি):

 

বনজ সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি ও সংরক্ষিত বনের ওপর চাপ কমানোর লক্ষ্যে সরকার সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। গত ১৫ বছরে (২০০৯-২০২৩) রংপুর সামাজিক বন বিভাগের আওতায় ৫ জেলায় (রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা) ১৩ লাখ ৭৬ হাজার ৮৫৫টি বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে।

 

সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় বৃহত্তর রংপুর জেলায় টেকসই সামাজিক বনায়ন উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৩৪৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের স্ট্রিপ বাগান ও ১৭৫ হেক্টর ব্লক বাগানে মোট ৭ লাখ ৮৩ হাজার ৫০০টি চারা রোপণ করা হয়েছে। তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের খালের পাড়, বাঁধ ও সংযোগ সড়ক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় ১৫৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সৃজিত বাগানে ১ লাখ ৫৭ হাজার চারা রোপণ করা হয়েছে।

 

সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৩৫২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সৃজিত বাগানে রোপণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৫২ হাজার চারা। বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ইকোট্যুরিজম উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৯ হেক্টর সৃজিত বাগানে রোপিত চারার পরিমাণ ২২ হাজার ৫০০টি। ইকো-রেস্টোরেশন অভ্‌ দ্য নর্দান রিজিয়ন অভ্‌ বাংলাদেশ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৬১ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সৃজিত বাগানে ৬১ হাজার ৮৫৫টি চারা রোপণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ১৭ হাজার ৪৮৬টি চারা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।

 

২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রংপুর সামাজিক বন বিভাগের সৃজিত বাগানের লভ্যাংশ থেকে ৭ কোটি ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬৯৬ টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। উল্লিখিত সময়ে বনায়ন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত উপকারভোগীর মাঝে লভ্যাংশ থেকে ১৫ কোটি ৬১ লাখ ৯২ হাজার ৩৪৮ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া ভূমি মালিক সংস্থা ও ইউনিয়ন পরিষদের মাঝে লভ্যাংশ থেকে যথাক্রমে ৩ কোটি ৬৮ লাখ ২০ হাজার ৫৬৩ টাকা ও ৮৮ লাখ ৬ হাজার ২০২ টাকা প্রদান করা হয়েছে।

 

সামাজিক বনায়নের ফলে রংপুর অঞ্চলে বনজ সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বনায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত জনগোষ্ঠী আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। পরিবেশ উন্নয়ন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও দারিদ্র্য দূরীকরণে সরকার গৃহীত সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

 

 

 

 

 

#

অর্জুন/পাশা/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৯৩৫ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ২৬১৬

স্বাস্থ্যখাতে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে জোরালো উদ্যোগ নেব

                                                                ---স্বাস্থ্যমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৪ মাঘ (২৮ জানুয়ারি):  

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, চিকিৎসা নিয়ে মানুষের আস্থা কম থাকায় অনেক মানুষ দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে। অন্যদিকে, তৃণমূল পর্যায়ে মানুষ আস্থা না পেয়ে ঢাকায় চলে আসছে। ঢাকা থেকে মানুষ বিদেশে যাচ্ছে চিকিৎসা নিতে। সবখানেই একটা আস্থাহীনতা কাজ করছে মানুষের মনে। স্বাস্থ্যসেবার মান এমনভাবে বাড়াতে হবে এবং এমন কিছু কাজ করতে হবে যাতে মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিতে আস্থার অভাব না থাকে। স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রীকরণসহ বেশ কিছু জরুরি কাজ শুরু করে দিচ্ছি যাতে স্বাস্থ্যখাতে মানুষের আস্থা ফিরে আসে। তৃণমূল পর্যায়ে চিকিৎসা সেবার মান, ভালো চিকিৎসক ও চিকিৎসা সেবার প্রয়োজনীয় মেশিন বা যন্ত্রপাতি ঠিকভাবে দেওয়া গেলে তৃণমূলে মানুষের আস্থা চলে আসবে।

 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৫৪তম বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরা, সায়মা ওয়াজেদ এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে যোগদান এবং সমসাময়িক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ।

 

আগামী ফেব্রুয়ারি সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পদে যোগ দিবেন উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় বলেন, এটি একটি বিরাট অর্জন আমাদের দেশের জন্য। সায়মা ওয়াজেদ কেবল আমাদের প্রধানমন্ত্রী কন্যাই নন, তিনি অটিজম নিয়ে কাজ করে বিশ্বব্যাপী আলাদাভাবেও একজন পরিচিত মুখ। তিনি গত ১ নভেম্বর, ২০২৩ তারিখে আর ডি নির্বাচনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক ১০ টি দেশের মধ্যে ৮ ভোট পেয়ে বিপুল ব্যবধানে নির্বাচিত হন। সায়মা ওয়াজেদ আগামী ১লা ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁর (সায়মা ওয়াজেদ) সাথে সেখানে আমার কথা হয়েছে। তিনি তাঁর দায়িত্বে কাজ শুরু করে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন করতে সার্বিক দিকনির্দেশনাসহ সব ধরনের সহযোগিতা করবেন।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে সায়মা ওয়াজেদ এর সাথে আলাদা করে কথা বলা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি (সায়মা ওয়াজেদ) বলেছেন, আমাদের দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা অবশ্যই আরো ভালো করতে হবে। এতে অন্যান্য দেশও বাংলাদেশের ওপর ভরসা পাবে, আস্থা পাবে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে তিনি (সায়মা ওয়াজেদ) সব কাজে সহায়তা করবেন।

 

চলমান পাতা-২

 

পাতা-২

 

 

সুইজারল্যান্ড এর মিটিং যোগদানে ফলপ্রসূ অগ্রগতি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী মার্চে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরি (এনসিএল) পরিদর্শনে বাংলাদেশে আসবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিনিধিদল। তারা বাংলাদেশ টিকা পরীক্ষার সক্ষমতা পরীক্ষা করবে। বাংলাদেশে টিকা ও ওষুধ পরীক্ষার জন্য পরিপূর্ণ সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে কি না তা তারা জানাবেন।

 

দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ডব্লিউএইচও ডিজির সাথে কথা হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য বিষয়ে বাংলাদেশে সচেতনতা বৃদ্ধি করা সবচেয়ে জরুরি বলে আমরা একমত হয়েছি। আমাদের গ্রামের অনেক মানুষই জানে না পোড়া থেকে বাঁচার কৌশলগুলো। স্তন ক্যান্সারের বিষয়ে গ্রামের মানুষ এখনও লজ্জা পায়। পোড়ার চিকিৎসা ও সচেতনতার কাজে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিজি। সেখানে ইন্দোনেশিয়ার একটি দলও এসেছিল। তাদের সাথেও আমাদের কথা হয়েছে। আমরা বাংলাদেশে ২০২৬ সালে বার্নের উপরে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন করতে চাই।

 

সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন মন্ত্রী। একই সঙ্গে করোনার বিষয়েও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

 

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মোঃ সাইদুর রহমান, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ প্রমুখ।

 

#

মাইদুল/পাশা/শফি/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/২০০১ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ২৬১৫

সাবেক মন্ত্রীর সাথে অভিজ্ঞতা শেয়ার করে রেলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া হবে

                                                                                                      --- রেলপথ মন্ত্রী

ঢাকা, ১৪ মাঘ (২৮ জানুয়ারি) :

          রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোঃ জিল্লুল হাকিম বলেন, সাবেক রেলপথ মন্ত্রীর সাথে অভিজ্ঞতা শেয়ার করে রেলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া হবে। সাবেক মন্ত্রীর পরামর্শ নিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়কে এগিয়ে নেওয়ার সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী।

          আজ রাজধানীর রেল ভবনের সভাকক্ষে সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নুরুল ইসলাম সুজনকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়। বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন রেলপথ মন্ত্রী।

          মন্ত্রী বলেন, পিছিয়ে পড়া রেলকে উপরে টেনে তোলার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর ভিশন প্রত্যেকটি জেলাকে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় সংযুক্ত করা। রেলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে রেলের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে। সবাই মিলে কাজ করলে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব।

          মন্ত্রী বলেন, সাবেক মন্ত্রীকে আমরা বিদায় দিচ্ছি না আশা করি উনি আমাদের সাথে থাকবেন বিভিন্ন কাজে আমাদেরকে পরামর্শ দিবেন এবং রেলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য নিজেকে সম্পৃক্ত করবেন- এটা হলে আমাদের কাজ অনেক সহজ হবে।

          বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর।  বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসানসহ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

#

সিরাজ/পাশা/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৯৫০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ২৬১৪

এই সরকার জনগণের এবং ভারত-রাশিয়া-চীন, ইউএস-ইইউ-ইউকে সবার সাথেই আমাদের চমৎকার সম্পর্ক

                                                                                                               --- পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, ১৪ মাঘ (২৮ জানুয়ারি) :

            পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, আমাদের সরকার বাংলাদেশের জনগণের নির্বাচিত সরকার, জনগণের সরকার এবং ভারত-রাশিয়া-চীন, যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপীয় ইউনিয়ন-যুক্তরাজ্যসহ কূটনৈতিক সম্পর্কের সব দেশের সাথেই আমাদের চমৎকার সম্পর্ক।

            আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চীন ও নেপালের রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘের বাংলাদেশ সমন্বয়কের সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। সাক্ষাৎকালে চীন ও নেপাল উভয় দেশের রাষ্ট্রদূত তাদের নিজ নিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দনপত্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদের হাতে তুলে দেন।

            চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের (Yao Wen) সাক্ষাৎ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, চীন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী। চীন থেকে আমরা বেশি আমদানি করি, কম রপ্তানি করি। আমাদের রপ্তানি বৃদ্ধির আলোচনায় চীন  বাংলাদেশ থেকে পাট, চামড়া, মাংস, সি-ফুড, মাছ এবং আম আমদানিতে আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। জুলাই বা আগস্ট মাসে আমরা আম রপ্তানি শুরু করতে পারি। চীন একটি বড় বাজার। সেখানে আমাদের পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিয়ে আলোচনা করেছি।

            বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন, আমাদের জনগণও তাদের দুয়ার উন্মুক্ত করে দিয়েছিল। কিন্তু এখন কক্সবাজারে স্থানীয়রাই সংখ্যালঘু, রোহিঙ্গা বেশি এবং নিরাপত্তা, মাদকসহ নানা সমস্যা সেখানে সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা বলেছি, রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকারসহ নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান। চীন এ বিষয়ে কাজ করছে এবং প্রত্যাবাসন যাতে শুরু হয় সে লক্ষ্যে কাজ করতে একমত হয়েছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বৈরি পরিবেশ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

            মন্ত্রী জানান, চীন আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে, সুবিধাজনক সময়ে সেটি হওয়ার জন্য আলোচনা চলছে।

            জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেটর গুয়েন লুইসের (Gwyn Lewis) সঙ্গে বৈঠক নিয়ে ড. হাছান মাহ্মুদ জানান, জাতিসংঘের মহাসচিব তাঁর চিঠিতে ও আমার সাথে কাম্পালায় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনকে পুননির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং বিশ্বনেতাদের কাছেও তাঁর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। কিন্তু এর সাথে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল যে বিবৃতি দেয়, মাঝেমাঝে তা অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। এটি নিয়ে আমি তাঁর সাথে আলোচনা করেছি।

            পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ভুল উৎস থেকে তারা যে সংবাদ পায়, সেটি যেন না হয়। তারা যাতে ভেরিফায়েড সোর্স থেকে তথ্য পায় এবং আগুনসন্ত্রাস চালিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা, ঘুমন্ত মানুষকে দগ্ধ করা, ২৮ অক্টোবরের ঘটনাপ্রবাহ সেগুলো যে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের রিপোর্টে আসেনি সেটি আমি তাকে জানিয়েছি। জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেটর বলেছেন বিষয়টি তিনি দেখছেন।’

             রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আলোচনার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, ইউক্রেন যুদ্ধ ও পরে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর সেদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি বেশি নিবদ্ধ হয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তুর্জাতিক সহায়তাও অর্ধেকে নেমে এসেছে। আমি বলেছি, রোহিঙ্গা ইস্যু যেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্পটলাইটে থাকে। জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেটর বলেছেন, এটি নিয়ে জেনেভায় আন্তুর্জাতিক ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করছে এবং এ নিয়ে বৈঠক আসন্ন।

             নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারির (Ghanashyam Bhandari) সঙ্গে মানুষে-মানুষে যোগাযোগ, যাতায়াত বৃদ্ধি, বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের উত্তরের সীমান্ত থেকে নেপাল মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে। ১ লাখ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতার সম্ভাবনার দেশ নেপালের সাথে ইতিমধ্যেই আমাদের বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি হয়েছে এর ট্যারিফ নিয়ে আলোচনা চলছে।

#

আকরাম/পাশা/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৯১০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২৬১৩

জনপ্রশাসন মন্ত্রীর সাথে ভারতের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

 

ঢাকা, ১৪ মাঘ (২৮ জানুয়ারি): 

জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সাথে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

 

আজ বিকেলে সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

 

বৈঠকে জনপ্রশাসন মন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আগামী দিনে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে রূপকল্প ২০৪১, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০, প্রেক্ষিত পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই কর্মসূচিগুলোর সফল বাস্তবায়নে আমাদের দক্ষ মানবসম্পদ প্রয়োজন। মানবসম্পদ উন্নয়নে ভারত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে আসছে। ভবিষ্যতেও তাদের এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও প্রযুক্তিগত সহোযোগিতার সুযোগ আছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অনেক মিল রয়েছে। ফলে এ সকল ক্ষেত্রেও দু’দেশের আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

 

সাক্ষাৎকালে ভারতের হাইকমিশনার দুদেশের মধ্যকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মাঝে ঐতিহাসিকভাবেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। এই সম্পর্ক উন্নয়নে ভারত বাংলাদেশের সাথে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক। হাইকমিশনার এ সময় শিল্প-সংস্কৃতি, অর্থনীতি, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো বৃদ্ধির আশ্বাস প্রদান করেন।

 

এ সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের কাউন্সিলর পাওয়ান বাধে উপস্থিত ছিলেন।

 

#

শিবলী/পাশা/শফি/মোশারফ/আব্বাস/২০২৪/১৮৫২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ২৬১২

বিজিবি মহাপরিচালকের মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শন

ঢাকা, ১৪ মাঘ (২৮ জানুয়ারি) :

          বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান আজ বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন।

          সাম্প্রতিককালে সমগ্র মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতি চলছে। যার প্রভাব বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যেও এসে পড়েছে। প্রতিনিয়ত সেখানকার অস্থিতিশীল অবস্থা ও সংঘাতময় পরিস্থিতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বিজিবি মহাপরিচালক আজ কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শন করেন।

    &

2024-01-28-16-27-0df7e5f55e0b8f8c62155e0924ecf63b.docx