তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫২৫২
বাংলাদেশ দূতাবাস বার্লিনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘জেল হত্যা দিবস’ পালন
বার্লিন (জার্মানী), ৩ নভেম্বর :
বাংলাদেশ দূতাবাস বার্লিনে আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘জেল হত্যা’ দিবস পালন করা হয়েছে। রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এনডিসির সভাপতিত্বে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের মিনিস্টার এম মুর্শীদুল হক খান এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর তানভীর কবির।
রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের সদস্য ও কতিপয় আত্মীয়কে নৃশংসভাবে হত্যার বর্বরোচিত ঘটনার পর ৩রা নভেম্বর জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে হত্যা বাঙালি জাতির ইতিহাসে আরো একটি কলঙ্কজনিত অধ্যায়। তিনি বলেন, জাতীয় চার নেতা আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু আছে তাদের চিরস্মরণীয় আদর্শ। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তথা জাতির পিতার পাকিস্থানস্থ জেলে অন্তরীণকালীন সময়ে মুজিবনগর সরকার গঠন, প্রবাসে মুজিবনগর সরকার পরিচালনায় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী হিসেবে তাদের অবিস্মরণীয় ভূমিকা, স্বাধীনতা উত্তর যুদ্ধ- বিধ্বস্ত দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুকে সহায়তা তথা তাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, ত্যাগ, প্রজ্ঞা, মেধা এবং অতুলনীয় দেশপ্রেমের বিষয়গুলো তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ঘাতকশ্রেনি চার নেতাদের হত্যার মাধ্যমে জাতির পিতার আদর্শকে নিভিয়ে দিতে পারেনি। অবশেষে, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যার নেতৃতে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে পরিগণিত হওয়ার বিষয়ে প্রত্যয়ী।
পরিশেষে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবার এবং জাতীয় চার নেতাসহ সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয় ।
#
তানভীর/নাইচ/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২২১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫২৫১
ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য পুনর্নির্ধারণ
ঢাকা, ১৮ কার্তিক (৩ নভেম্বর) :
আজ ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ক্রমবর্ধমান। বিশ্ববাজারে ঊর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ জ্বালানি তেলের মূল্য নিয়মিত সমন্বয় করছে। গত ১ নভেম্বর ভারতে ডিজেলের বাজার মূল্য প্রতি লিটার ১২৪.৪১ টাকা বা ১০১.৫৬ রূপি ছিল অথচ বাংলাদেশে ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৬৫ টাকা অর্থাৎ লিটার প্রতি ৫৯.৪১ টাকা কম।
বর্তমান ক্রয় মূল্য বিবেচনা করে বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশন ডিজেলে লিটার প্রতি ১৩.০১ এবং ফার্নেস অয়েলে লিটার প্রতি ৬.২১ টাকা কমে বিক্রয় করায় প্রতিদিন প্রায় ২০ কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে। অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশন বিভিন্ন গ্রেডের পেট্টোলিয়াম পণ্য বর্তমান মূল্যে সরবরাহ করায় মোট ৭২৬.৭১ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার শুধু ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য প্রতি লিটার ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করেছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ২২ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন এবং এতদসংক্রান্ত সময় সময় জারিকৃত সংশোধনীসহ অন্যান্য সকল বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে।
সর্বশেষ গত ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল মাসে গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পেট্টোলিয়াম পণ্যের মূল্য হ্রাস করে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছিল। মূল্য বৃদ্ধি আজ দিবাগত রাত ১২টা (০৪/১১/২০২১) থেকে কার্যকর হবে।
#
আসলাম/নাইচ/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২২১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫২৫০
বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইডথ এবং ডিজিটাল মাস্টার ট্রেইনার নিতে ভুটানের আগ্রহ প্রকাশ
ঢাকা, ১৮ কার্তিক (৩ নভেম্বর) :
ভুটান বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ এবং ‘বিল্ড ভুটান’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে গ্রাফিক্স ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া বিষয়ক মাস্টার ট্রেইনার নেওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সাথে আজ তাঁর সচিবালয়স্থ দপ্তরে বাংলাদেশে ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনতসি সাক্ষাৎকালে ভুটান সরকারের এই আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ আমদানি করার বিষয়ে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের ধারাবাহিকতায় এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হয়। গত মার্চে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরকালে এ প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বৈঠকে ব্যান্ডউইডথের সুবিধাজনক রেট নিয়ে আলোচনা হয়। ভুটান-ভারত-বাংলাদেশ যাতে সুবিধাজনক ট্রান্সমিশন রেট পায় বৈঠকে সে বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করা হয়।
মন্ত্রী মহান মুক্তিযুদ্ধে ভুটানের সহযোগিতা এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশ হিসেবে ভুটানের ভূমিকা তুলে ধরে ভুটানের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে পৃথিবীর যে কয়টি দেশ এগিয়ে বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম।
রাষ্ট্রদূত ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্ককে আগামী দিনগুলোতে অনন্য এক উচ্চতায় উপনীত করতে তার প্রচেষ্টার কথা ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রগতি বিশেষ করে ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতের অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভুটানের পরীক্ষিত বন্ধুই নয়, গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার।
মন্ত্রী ‘বিন্ড ভুটান’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সম্ভাব্য সব ধরনের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রদানে প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে বিটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন, সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক সাবাব বিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
#
শেফায়েত/পাশা/নাইচ/রাহাত/এনায়েত/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/২০৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫২৪৯
সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির ই-পোস্টার প্রকাশ
ঢাকা, ১৮ কার্তিক ( ৩ নভেম্বর) :
৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ হতে একটি ই-পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে। ১৯৭২ সালের এই দিনে গণপরিষদে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ‘সংবিধান বিল’ হিসেবে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত ও অনুমোদিত হয়।
যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করার মাত্র দশ মাসের মধ্যে সংবিধান প্রণয়ন করতে পেরেছিল। এই অনন্য অর্জনকে স্মরণ করার জন্য দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রকাশিত ই-পোস্টারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়েছে।
#
নাসরীন/নাইচ/রাহাত/এনায়েত/রফিকুল/সেলিম/২০২১/১৯.৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫২৪৮
‘টুঙ্গিপাড়া : হৃদয়ে পিতৃভূমি’ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জাতির পিতাকে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানানো হবে
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ কার্তিক (৩ নভেম্বর) :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘টুঙ্গিপাড়া: হৃদয়ে পিতৃভূমি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানানো হবে।
আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির কার্যালয়ে ‘মিডিয়া, প্রচার ও ডকুমেন্টেশন উপকমিটি’র সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানান, নভেম্বর মাসের শেষ দিকে জাতির পিতার সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে আয়োজন করা হবে ‘টুঙ্গিপাড়া: হৃদয়ে পিতৃভূমি’ শীর্ষক অনুষ্ঠান এবং লোকজ মেলা। তিনি প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় এই আয়োজনের বহুল প্রচার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় গত সভার কার্যপত্র উপস্থাপন করেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ মকবুল হোসেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাসস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বিটিভির মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, বেতারের মহাপরিচালক আহম্মদ কামরুজ্জামান, পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, কবি এবং দেশ টিভির পরিচালক তারিক সুজাত, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বেগম মাশুরা হোসেন, দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন, এটিএন বাংলার প্রধান বার্তা সম্পাদক জ.ই. মামুন এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
#
নাসরীন/পাশা/নাইচ/রাহাত/এনায়েত/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/১৯৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫২৪৭
ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য মানুষ পরিবর্তন চায় কি না সেটিই প্রশ্ন
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ কার্তিক (৩ নভেম্বর) :
‘যারা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে, তাদের জন্য মানুষ পরিবর্তন চায় কি না সেটিই প্রশ্ন’ বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। বিএফইউজে’র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, সহ-সভাপতি মধুসূদন মন্ডল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মামুনুর রশীদ, দপ্তর সম্পাদক সেবিকা রাণী, সদস্য উম্মুল ওয়ারা সুইটি, ড. উৎপল কুমার সরকার, শেখ নাজমুল হক ও নুরে জান্নাত সীমা সভায় অংশ নেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্য ‘আগামী নির্বাচনে পরিবর্তন আসবে’ এর জবাবে ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘মহাসমুদ্রে আশাই একমাত্র ভরসা, এটি বিএনপি’র ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এই আশা নিয়েই উনারা বেঁচে আছেন। আশা থাকা ভালো, সবাই তো চিরকাল ক্ষমতায় থাকবে না। কিন্তু সেই পরিবর্তন বিএনপি’র জন্য মানুষ চায় কি না, এটি হচ্ছে প্রশ্ন। উন্নয়ন অগ্রগতি বাদ দিয়ে যারা মানুষের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে কিম্বা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে মানুষকে জিম্মি করার, হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে, তাদের জন্য মানুষ পরিবর্তন চায় কি না সেটিই প্রশ্ন।’
এ সময় সাংবাদিকরা ‘রোজিনা ইসলাম একটি সংস্থা থেকে পুরস্কার পেয়েছেন, একইসাথে সরকারি নথি চুরির অভিযোগে তিনি বিচারাধীন’ এ বিষয়ে মন্তব্য চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পুরস্কার পাওয়ায় তাকে অভিনন্দন, নেদারল্যান্ডের একটি প্রতিষ্ঠান তাকে পুরস্কৃত করেছে এবং পাকিস্তানের একজন সাংবাদিকদের হাত থেকে তার স্বামী পুরস্কার গ্রহণ করেছে। বাকি বিষয়টা বিচারাধীন বিধায় এবিষয়ে কিছু বলা সমীচীন নয়।’
এর আগে বিএফইউজে নেতৃবৃন্দের সাথে সভায় মন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘বিএফইউজে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন। তারা যেভাবে সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছে তা গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখার একটি উদাহরণ। এজন্য বিএফইউজে, নবনির্বাচিত কমিটি এবং নির্বাচনের অনুষ্ঠানের সাথে যুক্ত সবাইকে অভিনন্দন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৩ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতির পাশাপাশি সাংবাদিকদের সংখ্যাও বেড়েছে, নানা ধরনের সমস্যাও দেখা দিয়েছে। গণমাধ্যমের সমস্যাগুলোকে সবসময় নিজের সমস্যা মনে করে আমার শক্তি, সামর্থ্য, ক্ষমতার মধ্যে যতদূর সম্ভব সমাধান করার চেষ্টা করে এসেছি। উপমহাদেশে বা অন্যদেশে করোনাকালে আমাদের দেশের মতো সাংবাদিকদের সহায়তা করা হয়নি। দেশে ক্লিনফিড বাস্তবায়নের কথা বহু বছর ধরে বলা হয়েছে, কিন্তু হয়নি। এখন ক্লিনফিড বাস্তবায়িত হয়েছে, দেশের সব টেলিভিশন চ্যানেল উপকৃত হচ্ছে। এসময় টেলিভিশন থেকে কোনো চাকুরিচ্যুতি মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়। করোনা চলে যাওয়ায় ব্যবসা বাণিজ্যের মতো গণমাধ্যমেও সংকট অনেকটাই কেটে গেছে। করোনাকালে যাদের চাকুরি গেছে, তারা আবার চাকুরিতে পুণর্বহাল হবেন বলে আমরা আশা করি।’
এসময় গণমাধ্যমকর্মী আইন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং সম্প্রচার আইন নিয়েও কাজ চলছে, জানান ড. হাছান। সাংবাদিকদের সুরক্ষা বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে সব গণমাধ্যমকর্মীর জন্য বীমার ব্যবস্থা করলে তাদের সুরক্ষা হয়। ওয়েজবোর্ডেও এটি বলা আছে। আমি সবাইকে অনুরোধ জানাবো দায়িত্বশীলভাবে এটি করার জন্য। একজন সাংবাদিক অনেক বছর চাকুরি করার পর শূন্য হাতে চলে যাবে, এটা হওয়া উচিত নয়।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ এদিন জেলহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে দলীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এবং বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের সকল শহিদ ও ৩ নভেম্বর কারাগারে নিহত জাতীয় নেতৃবৃন্দের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও দোয়ায় এবং পরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের আলোচনা সভায় অংশ নেন।
#
আকরাম/পাশা/নাইচ/রাহাত/এনায়েত/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/২০০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫২৪৬
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৮ কার্তিক (৩ নভেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৯ হাজার ৫২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৫৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৭০ হাজার ২৩৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ জন-সহ এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৮৮০ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ৭৩ জন।
#
নাসিমা/পাশা/রাহাত/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫২৪৫
জাতীয় চার নেতা জীবন দিয়েছেন কিন্তু আদর্শ হতে বিচ্যুত হননি
-- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ কার্তিক (৩ নভেম্বর) :
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামান ছিলেন বঙ্গবন্ধুর যোগ্য সহকর্মী। তিনি বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর অনেকেই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সাথে আঁতাত করে। জাতীয় চার নেতা জীবন দিয়েছেন কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হতে বিচ্যুত হননি।
আজ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে হত্যা করার জন্য ১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা বুঝতে পেরেছিল বঙ্গবন্ধুর রক্তের কিংবা আদর্শের উত্তরাধিকার বেঁচে থাকলে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আবার তাদেরকে ঘিরে সংগঠিত হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর খুনিরাই চার নেতাকে জেলখানার মতো সুরক্ষিত জায়গাতে হত্যা করে।
মন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশের সৃষ্টিতে জাতীয় চার নেতার অবিস্মরণীয় অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
আলোচনাসভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক মোঃ জহুরুল ইসলাম রোহেল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার ও রঞ্জিত কুমার দাসসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
মারুফ/পাশা/রাহাত/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/১৮২৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বা : ৫২৪৪
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীর সাথে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১৮ কার্তিক (৩ নভেম্বর) :
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান (Mustafa Osman Turan) সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়াসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে তুরস্কের সরকার এবং জনগণের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। এ সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মুসলিম ঐক্য বিনষ্ট করছে এমন বহু প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছিল। এখন বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রকৃত সত্য প্রকাশ্যে এসেছে এবং সব ভুল বোঝাবুঝি দূর হয়েছে। এখন বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্ক ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। দু’দেশের সরকারই সব ধর্মের ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের নামে যেকোনো ধরনের বিভ্রান্তিকর অপব্যাখ্যার বিরুদ্ধে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব খাজা মিয়া এ সময় বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্যানারমিক জাদুঘর তৈরিতে তুরস্কের কারিগরি সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ-তুরস্কের সম্পর্ক পরীক্ষিত। বাংলাদেশ এবং তুরস্ক দুই দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীই সুন্নি এবং হানাফি মাযহাবের অনুসারী। দুই দেশের সংস্কৃতিতে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মুস্তফা কামাল আতাতুর্ককে নিয়ে লেখা কবিতার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। তুরস্কের রাষ্ট্রদূত এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত তুরস্কে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এবং পার্ক করা হচ্ছে বলে জানান। এছাড়া দু’দেশের মধ্যে সংস্কৃতি বিনিময়, বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্যানারমিক জাদুঘর তৈরিতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
#
মারুফ/পাশা/রাহাত/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫২৪৩
রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৮ কার্তিক ( ৩ নভেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ৪ নভেম্বর ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৯’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৯’ প্রদান করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। আমি পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত সকল শিল্প উদ্যোক্তাকে অভিনন্দন জানাই।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে শিল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। শিল্পখাতকে শক্তিশালী করতে স্বাধীনতার পর তিনি বৃহৎ শিল্প কারখানাগুলোর বেশিরভাগ জাতীয়করণ করেন। জাতির পিতার অর্থনৈতিক দর্শনের আলোকে বিগত প্রায় ১৩ বছর আওয়ামী লীগ সরকার শিল্পখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, যথাযথ সুরক্ষার মাধ্যমে বিদ্যমান শিল্পের উৎপাদন ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং রপ্তানিমুখি শিল্পের বহুমুখী প্রসারপূর্বক আরও অধিক প্রতিযোগিতা সক্ষম করতে কাজ করে যাচ্ছে। দিন বদলের অঙ্গীকার ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে শিল্পখাতে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ফলে দেশে শিল্পখাত ক্রমেই সমৃদ্ধ হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি আত্নমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। এ বছর আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি। এসময়ে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়শীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। আমরা আজ আত্মমর্যাশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি। সারা বিশ্বের কাছের বাংলাদেশ আজ ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ এবং এক বিস্ময়ের নাম। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনের পথে ২০১৫ থেকে ২০২০ সময়কালে সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে সম্প্রতি ‘এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এ অর্জন বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করবে।
আমাদের সরকার বিভিন্ন শিল্পবান্ধব পরিকল্পনা, বিনিয়োগ চুক্তি-সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, যুগোপযোগী আইন, নীতি, বিধিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে উন্নয়নের গতিধারাকে বেগবান করেছে, যা শিল্পের প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে গুরু্ত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জাতীয় আয়ে শিল্পখাতের অবদান ইতোমধ্যে ৩৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। শিল্পখাতে উদ্যোক্তাদের অধিকতর সম্পৃক্ততা, স্বীকৃতি প্রদান, প্রণোদনা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার’ প্রদান করা হচ্ছে। আমরা দেশের সম্ভাবনাময় শিল্পসমূহের বিকাশ ঘটাতে টেকসই, পরিবেশবান্ধব ও জ্ঞানভিত্তিক শিল্পায়নের ওপর সর্ব্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করেছি। জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ সেক্টরকে ‘শিল্প’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের শিল্পনীতির ফলে পাদুকা, চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, ফার্নিচার, ডিজিটাল পণ্য, মটর সাইকেল, সাইকেল, বস্ত্র, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য, ইলেকট্রনিক পণ্য, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত পণ্য, কুটির শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ইত্যাদি বহুমুখী শিল্প-কারখানাতে ব্যাপক বিনিয়োগ হচ্ছে। শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিকাশের জন্য আমরা সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। পরিবেশবান্ধব, জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিকল্পিত শিল্পায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন শিল্প কারখানা, শিল্পপার্ক ও শিল্পনগরী স্থাপন করা হয়েছে। শিল্পখাতে নতুন উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতাকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি খাতে শিল্পায়নের প্রক্রিয়া সুসংহত করতে মন্ত্রণালয় থেকে নীতি সহায়তা দেওয়ার ফলে দেশের শিল্পখাত উজ্জীবিত হয়েছে।
আমি আশা করি, শিল্পখাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার’ প্রদানের এ মহতী উদ্যোগ দেশের শিল্পোদ্যোক্তাগণকে টেকসই শিল্পায়ন ধারার প্রসার ঘটাতে আরও উৎসাহিত ও সক্ষম করে তুলবে।
আমি ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার-২০১৯’ প্রদান অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/পরীক্ষিৎ/শাম্মী/জসীম/মাসুম/২০২১/১২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫২৪২
রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৮ কার্তিক (৩ নভেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ৪ নভেম্বর ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৯’ দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“শিল্পোন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৯’ প্রদান একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
শিল্পায়ন একটি জ্ঞানভিত্তিক ও সৃজনশীল প্রয়াস। টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের ওপর জাতির সামগ্রিক অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি নির্ভর করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার বিগত এক যুগে বাংলাদেশে শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন, খাতভিত্তিক প্রকল্প বাস্তবায়ন, শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনশক্তি তৈরি, রপ্তানি পণ্য বৈচিত্র্যকরণ, বিনিয়োগ সহায়ক কর ও শুল্ক কাঠামো নির্ধারণ, উদ্যোক্তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও পুরস্কার প্রদান, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বিশেষ প্রণোদনাসহ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোক্তাবান্ধব ও সৃজনশীল কর্মসূচির ফলে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় বিনিয়োগের সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্যে পর