Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৫ মে ২০২১

তথ্যবিবরণী ১৫ মে ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ২২৮৩

ময়মনসিংহ বিভাগে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত

ঢাকা, ১ জ্যৈষ্ঠ (১৫ মে) :

            ময়মনসিংহ বিভাগে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় মানবিক কর্মসূচির আওতায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। 

            ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ, জামালপুর,  শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখা হতে পাঠানো পৃথক বিবরণীতে এ সংক্রান্ত তথ্য জানানো হয়েছে। 

            ময়মনসিংহ জেলায় ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বরাদ্দকৃত ৪ কোটি ৬৪ লাখ ২৫ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগীর সংখ্যা ৫৬ হাজার ২২৬টি পরিবারের ২ লাখ ৮১ হাজার ১৩০ জন। ময়মনসিংহ মহানগর এলাকার জন্য ত্রাণ হিসেবে বরাদ্দকৃত ৫ লাখ টাকা ১ হাজার ২৫০টি পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ জেলায় ভিজিএফ (আর্থিক সহায়তা) হিসেবে বরাদ্দকৃত ৩৯ কোটি ২ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ৩৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এতে উপকারভোগী ৮ লাখ ৪৭ হাজার ৯৬১টি পরিবারের ৪২ লাখ ৩৯ হাজার ৮০৫ জন মানুষ।

            ময়মনসিংহ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ১৫ লাখ টাকা নগদ অর্থের মধ্যে ১৪ লাখ টাকা  ৩ হাজার ৫০০টি পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া গোখাদ্যের জন্য বরাদ্দকৃত ১৩ লাখ টাকা বিতরণ প্রক্রিয়াধীন আছে। 

            জামালপুর জেলায় ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকার মধ্যে  এ পর্যন্ত ১ কোটি  ৯৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগীর সংখ্যা ৩৯ হাজার ৪০০টি পরিবারের ১ লাখ ৫৭ হাজার ৬০০ জন মানুষ। এ জেলায় ভিজিএফ (আর্থিক সহায়তা) হিসেবে বরাদ্দকৃত ১৫ কোটি ৪০ লাখ ৭৮ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ১০ কোটি  ৮০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। ২ লাখ ৪০ হাজার পরিবারের ৯ লাখ ৬০ হাজার মানুষের জন্য এ অর্থ বিতরণ করা হয়। 

            এছাড়া জামালপুর জেলায় শিশু খাদ্য হিসেবে বরাদ্দকৃত ৭ লাখ টাকা বিতরণ প্রক্রিয়াধীন আছে।  

            নেত্রকোনা জেলায় ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ২ লাখ টাকার মধ্যে  এ পর্যন্ত ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগীর সংখ্যা ৪২ হাজার ৬০০টি পরিবারের ২ লাখ ১৩ হাজার মানুষ। এ জেলায় ভিজিএফ (আর্থিক সহায়তা) হিসেবে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার টাকার পুরোটাই  বিতরণ করা হয়েছে। ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৩৪টি পরিবারের ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৬৭০ জন মানুষের মাঝে এ অর্থ বিতরণ করা হয়। এছাড়া শিশু খাদ্য হিসেবে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয় যার মধ্যে ২ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগী পরিবারের সংখ্যা ৩৩০।

            শেরপুর  জেলায় ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে  এ পর্যন্ত ১ কোটি  ৫৩ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগীর সংখ্যা ৩০ হাজার ৫১৭টি পরিবারের ১ লাখ ৫২ হাজার ৭৪০ জন। এ জেলায় ভিজিএফ (আর্থিক সহায়তা) হিসেবে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ৮২ লাখ টাকার পুরোটাই বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগী ৮৪ হাজার ৯৫৯টি পরিবারের ৪ লাখ ২৪ হাজার ৭৯৫ জন। 

            এছাড়া শিশু খাদ্য হিসেবে বরাদ্দকৃত ৫ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৩ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগী পরিবারের সংখ্যা ৮০২। গো খাদ্য হিসেবে বরাদ্দকৃত ৫ লাখ টাকার মধ্যে ৬০ হাজার টাকা ৯৮টি পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে । 

#

 

মাহমুদুল/অনসূয়া/বিবেকানন্দ/রেজুয়ান/সঞ্জীব/কানাই/২০২১/২০০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                    নম্বর : ২২৮২

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ১ জ্যৈষ্ঠ (১৫ মে) :  

 ‌                  স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ হাজার ৭৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৬১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৭৯৬ জন।

 

          গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ জন-সহ এ পর্যন্ত ১২ হাজার ১২৪ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।

 

          করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ২১ হাজার ৪৩৫ জন।

#

দলিল/অনসূয়া/বিবেকানন্দ/রেজুয়ান/সঞ্জীব/কানাই/২০২১/১৮৩০ ঘণ্টা  

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ২২৮১

 

খুলনা বিভাগে করোনাকালীন সরকারি ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত

ঢাকা, ১ জ্যৈষ্ঠ (১৫ মে) :  

          করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত রোগ কোভিড-১৯ মোকাবিলার অংশ হিসেবে চলমান বিধিনিষেধের কারণে কর্মহীন অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে খুলনা বিভাগের বাগেরহাট, নড়াইল ও মেহেরপুর জেলায় আজ সরকারি ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

          বাগেরহাট জেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দসহ এ পর্যন্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে  ৪০ হাজার  ৫ শতটি পরিবারের মাঝে ২ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ৭২ হাজার ৮ শত ৯৯টি পরিবারের মাঝে ৭ কোটি  ৭৮ লাখ ৪ হাজার ৫ শত ৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩৩-এ কলের মাধ্যমে ১১৫ টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

          নড়াইল জেলায় এ পর্যন্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দসহ ২৪  হাজার  ৬ শত ৬৭টি পরিবারের মাঝে ১ কোটি  ১১ লাখ টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ৭৬ হাজার ৭৮টি পরিবারের মাঝে ৩ কোটি ৪২  লাখ ৩৫ হাজার ১ শত টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ২ হাজার ৭০টি পরিবারের মাঝে শুকনো খাবারের প্যাকেট এবং ৩৩৩-এ কলের মাধ্যমে ৩০টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

          মেহেরপুর জেলায় এ পর্যন্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দসহ ১৩  হাজার ২ শত ৫০টি পরিবারের মাঝে  ৫৯ লাখ ৬২ হাজার ৫ শত টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ১৫ হাজার ২ শত ৫০টি পরিবারের মাঝে ৬৮ লাখ ৬২ হাজার ৫ শত টাকা বিতরণ করা হয়। ৩৩৩-এ কলের মাধ্যমে ১৫টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

          খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলাতেও অনুরূপ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।


#

দীপংকর/অনসূয়া/বিবেকানন্দ/রেজুয়ান/সঞ্জীব/কানাই/২০২১/১৮৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ২২৮০

 

প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায়ই কারাগারের বাইরে খালেদার ঈদ, তবুও বিষোদগার বিএনপির

                                                                        -তথ্যমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১ জ্যৈষ্ঠ (১৫ মে) :  

          'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতায়ই বেগম খালেদা জিয়া কারাগারের বাইরে ঈদ উদ্‌যাপন করেছেন, কিন্তু ঈদের দিনও বিষোদগারের রাজনীতি পরিহারে ব্যর্থ হয়েছে  বিএনপি' বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ। 

          আজ রাজধানীর মিন্টু রোডে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তারা ঈদের দিন জিয়ার মাজারে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এ মন্তব্য করেন ড. হাছান।  

          মন্ত্রী বলেন, 'অত্যন্ত দুঃখজনক যে, বিএনপি এবং তাদের মহাসচিব পবিত্র ঈদের দিনও হীন রাজনৈতিক বক্তব্য থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি, বিষোদগারের রাজনীতিটা অব্যাহত রেখেছেন।'

          দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে কারাগারেই বেগম খালেদা জিয়ার ঈদ উদ্‌যাপন করার কথা উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, 'বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর মহানুভবতায় শাস্তি স্থগিত রেখে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছেন। তার তো হাসপাতাল নয়, কারাগারেই ঈদ করার কথা। এজন্য বিএনপির উচিত প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো।'

          করোনা মহামারি বিষয়ে সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, 'সরকারের ঠিক নীতির কারণেই ভারত, নেপালসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেক ভালো। মানুষের জীবন ও জীবিকাকে সমন্বয় করে সরকার যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার কারণেই করোনা যেমন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, হাহাকারও নেই।'

          বিএনপি বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের দাবি না থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকার মানুষের মোবাইলে সরাসরি প্রণোদনার অর্থ পাঠিয়েছে, যা কেউ আগে ভাবেনি এবং এখানে অন্য কিছু হবার সুযোগ নেই জেনেও বিএনপি নানাকথা বলে তাদের দোষারোপের রাজনীতি চালিয়ে যাওয়ার স্বার্থে, উল্লেখ করেন হাছান মাহ্‌মুদ। 

          'গত ১২ বছর ধরে বিএনপির ঈদ নেই' বিএনপির এমন মন্তব্যের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'আসলে ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালনকারী বেগম জিয়ার জন্মদিনের গোমর করোনা টেস্ট রিপোর্টে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় মির্জা ফখরুল সাহেবরা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। জনগণ গত ১২ বছর ধরে যে উদ্দীপনায় ঈদ উদ্‌যাপন করেছে, তা অভাবনীয়।'

#

 

মীর আকরাম/অনসূয়া/বিবেকানন্দ/রেজুয়ান/সঞ্জীব/কানাই/২০২১/১৭৩৫ ঘণ্টা

2021-05-15-14-15-dad0cf6302acac06826219b1b7c06262.docx