তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৯৪
আওয়ামী লীগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছে বলেই বিএনপি নেতাদের টিভিতে দেখা যায়
-- রাঙ্গুনিয়ায় তথ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ২২ চৈত্র (৫ এপ্রিল) :
‘আওয়ামী লীগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছে বলেই আজ মির্জা ফখরুল সাহেবদের টিভিতে দেখা যায়’, বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার উত্তর রাঙ্গুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত দলের তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেবরা লাফিয়ে লাফিয়ে যে বক্তব্য দেন কিংবা গয়েশ্বর বাবু দুলে দুলে যা বলেন, তা টেলিভিশনে দেখা যেত না, যদি আওয়ামী লীগ সরকার গ্রামের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা না করতো।’
সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়া থেকে যারা লুকিয়ে লুকিয়ে শহরে বিএনপির মিছিলে যান, তারা যে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন সেটিও আওয়ামী লীগের করা। তারা যে মসজিদে নামাজ পড়ে সেখানেও আওয়ামী লীগের অনুদান রয়েছে কিংবা যে স্কুল ভবনে বসে তাদের সন্তানরা পড়াশোনা করছে সেটিও আওয়ামী লীগের গড়া।’
চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য ড. হাছান তাঁর এলাকার নেতাদের সতর্ক করে বলেন, ‘ভোটের সময় তারা আবার আসবে, নানা সমালোচনা করবে। তাদের জিজ্ঞেস করবেন- আওয়ামী লীগ যে রাস্তাগুলো করেছে, সেগুলোতে গর্ত হলে ভরাট করতে পারবে কি না? তাদের সেই সক্ষমতাও নেই। যদি গর্ত ভরাটের জন্য টাকা আসে, সেগুলো দিয়ে নিজেদের পকেট ভরাট করে ফেলবে। অতীতেও তারা তাই করেছিল।’
তৃণমূল নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তৃণমূলের নেতারাই যুগে যুগে দলকে রক্ত সঞ্চালন করে আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রেখেছে। গ্রামে-গঞ্জে-মহল্লায় আমাদের দলকে আপনারাই ধরে রেখেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আজকে দেশ বদলে গেছে। মূল সড়ক নয় এখন মানুষের ঘরে ঢোকার রাস্তাও পাকা হয়েছে। এসব উন্নয়নের দাবিদার আপনারাও। গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-ঘাটে-মাঠে সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের এসব উন্নয়নের কথা তুলে ধরতে হবে।’
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি লোকমানুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং ফারুক আহমেদ তালুকদার ও মাহমুদুল হাসান বাদশার সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, মুহাম্মদ আলী শাহ, শফিকুল ইসলাম, আকতার হোসেন খান, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, নিজাম উদ্দিন বাদশা, ইকবাল হোসেন চৌধুরী মিল্টন, জসিম উদ্দিন তালুকদার, ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, একতেহার হোসেন, জামাল উদ্দিন, মীর গোলাম মোস্তফা বাবুল, মোহাম্মদ ইউনুচ প্রমুখ।
#
আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/২১৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৯৩
ঈদের ছুটির আগেই বেতন ও বোনাস পরিশোধে মালিকদের প্রতি শ্রম প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
ঢাকা, ২২ চৈত্র (৫ এপ্রিল) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ঈদের ছুটির আগেই বোনাস এবং মার্চ মাসের বেতন কারো বকেয়া থাকলে তা পরিশোধের জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বিজয়নগর শ্রম ভবনের সম্মেলন কক্ষে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ (আরএমজি টিসিসি) ১৪ তম সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকরা যাতে ভালোভাবে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে পারে সেজন্য মালিকগণ ঈদের আগেই বোনাস দেবেন, নিয়ম অনুযায়ী এপ্রিল মাসের সাত কর্ম দিবসের বেতন পরিশোধ করবেন, তবে
দু’একটি কারখানার মার্চ মাসের বেতন বকেয়া থাকে সেটা অবশ্যই ঈদের ছুটির আগেই পরিশোধ করবেন।
ঈদের ছুটির বিষয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি ছুটির সাথে মিলিয়ে কারখানা ভেদে শ্রমিক-মালিক আলোচনা করে ছুটির সিদ্ধান্ত নিবেন। শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এপ্রিল মাসের ১০/২০ দিনের বেতনের দাবি করলে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে টিসিসি সভায় কোন সিদ্ধান্ত নেই। যদি কোনো মালিকের সামর্থ্য থাকে এবং ইচ্ছুক হোন তবে দিতে পারেন। প্রতিমন্ত্রী মালিক-শ্রমিক সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ এহছানে এলাহী, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দীন আহমেদ, শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী, শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মাহবুবুর রহমান, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমইএর সহসভাপতি মোঃ নাছির উদ্দিন, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান, কার্যকরী সভাপতি আলাউদ্দিন আহমেদ, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কেন্দ্রের সভাপতি আমিরুল হক আমিন, জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল, শ্রমিক নেতা কুতুব উদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম রনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
#
আকতারুল/পাশা/সঞ্জীব/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/২০১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৩৯২
ক্রমাগতভাবে নির্বাচন থেকে পালালে একসময় বিএনপি দলটাই পালিয়ে যাবে
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ২২ চৈত্র (৫ এপ্রিল) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘আসলে বিএনপি ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের নিজেদের ওপরই কোনো আস্থা নাই। ক্রমাগতভাবে নির্বাচন থেকে পালিয়ে গেলে এক সময় পুরো বিএনপি দলটাই জনগণের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘নিজেদের ওপর আস্থা নেই বলেই বিএনপি জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে, সেটা তারা জানে। যার কারণে বিএনপিকে নির্বাচন-ভীতিতে পেয়ে বসেছে। সেজন্য ‘ইভিএমেও না’ এবং ‘ছাপানো ব্যালটেও না’ বলছেন তারা।’
আজ চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর বিশেষ সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। ‘বিএনপি এতদিন ইভিএমের বিরোধিতা করেছে, এখন নির্বাচন কমিশন প্রিন্ট ব্যালটে ভোটের ঘোষণা দিয়েছে, সেটাতেও তাদের আগ্রহ নেই’ এমন প্রশ্নে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন অনেকটা তাদের দাবি মেনে নিয়েই ইভিএম থেকে সরে প্রিন্ট ব্যালটে ভোট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এখানে তো বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর দাবিটাই মেনে নেয়া হয়েছে বলে বলা যায়। সুতরাং এখন তারা নির্বাচনের জন্য যদি তাদের দল গোছায় এবং নির্বাচনে আসে, সেটি তাদের জন্যই মঙ্গল হবে।
ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি শুধু ষড়যন্ত্রের পথেই হাঁটছে আর পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে। তারা দেশে-বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে আর বিদেশিদের হাতে পায়ে ধরে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করা যায় কি না সেই চেষ্টায় সর্বদা লিপ্ত। তবে এগুলো করে কোনো লাভ হবে না।’ অতীতের দিকে তাকিয়ে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ২০০৮ সালের নির্বাচনে সর্বশক্তি নিয়ে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল। ২০১৪ সালে নির্বাচন থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ডান-বাম, অতিডান-অতিবাম এবং তালেবানসহ সবাইকে নিয়ে ঐক্য করে আসন পেয়েছিল মাত্র ছয়টি, পরে মহিলা আসনসহ সাতটি।’ ‘এই নির্বাচনেও তাদের কোনো সম্ভাবনা নাই, সেটা তারা জানে বলেই নির্বাচন বা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর বিএনপি ও তাদের মিত্রদের কোনো আস্থা নাই’ মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।
এর আগে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর বিশেষ সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, এটি দেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার ১৪০ একর জমি বরাদ্দ করেছে। এটিই একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যার প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন। এদেশে আর কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের কাছ থেকে এতো বেশি সাহায্য-সহযোগিতা পায়নি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চট্টগ্রামে একটি মেডিকেল স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের কাছে আরও জমি বরাদ্দের আবেদনটি নিয়ে আমরা আলোচনা করছি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহ্মুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে শুধু নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নই নয়, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নও হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা নারী শিক্ষার্থীরা শুধু শিক্ষিতই নয়, স্বনির্ভর হয়ে সমাজে অবদান রাখার যোগ্যতা অর্জন করে। তিনি তাঁর নিজ শহর চট্টগ্রামে এই বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ হওয়া বহু গ্রাজুয়েট সমাজ ও নারী অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখছে। মানসম্মত শিক্ষার ফলে এশিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা অনেক দিক দিয়ে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় বেশি যোগ্য।
সমাবর্তনে সুইজারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অভ্ ব্যাজেল এর প্রথম নারী রেক্টর অধ্যাপক আন্দ্রেয়া শেনকের-উইকিকে (Andrea Schenker-Wicki) সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রুবানা হকের সভাপতিত্বে বিশেষ সমাবর্তনে বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য কামাল আহমেদ, মানবিক অনুষদের ডিন ড. ডেভিড টেইলর (David Taylor), মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. নেহাল আহমেদ প্রমুখ।
#
আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/মোশারফ/শামীম/২০২৩/১৯৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৩৯১
বন্যা মৌসুমে ভয়েস মেসেজের মাধ্যমে বন্যার আগাম সতর্কবার্তা প্রদান করা হবে
-- ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২২ চৈত্র (৫ এপ্রিল) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, বন্যার ঝুঁকি মোকাবিলায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা ও সহনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার অবকাঠামো টেকসই ও জনগণের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে দেশের বন্যাপ্রবণ উত্তরাঞ্চলের ৩টি জেলা কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও জামালপুরের ১৯টি উপজেলায় বিশেষ কার্যক্রম ও প্রকল্প গ্রহণ করেছে। বন্যা মৌসুমে এ সকল ইউনিয়নে ভয়েস মেসেজের মাধ্যমে দ্রুত বন্যার আগাম সতর্কবার্তা প্রদান করা হবে, যাতে বন্যা উপদ্রুত এলাকাবাসী তার মোবাইল ফোনে এই তথ্য পেতে পারেন। প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে জনগণ এবং সরকারি বেসরকারি সংস্থা দুর্যোগ পূর্বপ্রস্তুতি আরো ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারবে, যাতে বন্যায় জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস পাবে এবং প্রকল্প এলাকার সকলেই উপকৃত হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় একটি হোটেলে আয়োজিত ‘স্থানীয় পর্যায়ে বন্যার সতর্কবার্তা ও প্রচার ব্যবস্থার উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের বার্ষিক অগ্রগতি অবহিতকরণ বিষয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে আমাদের দেশটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ হিসেবে পরিচিত। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগকে প্রতিরোধ বা নির্মূল করা সম্ভব নয়। তাই দুর্যোগ ঝুঁকি কমিয়ে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসাই সরকারের লক্ষ্য। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর দুর্যোগে জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে জনগণকে সম্পৃক্ত করে জনবান্ধব, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসমূলক কর্মসূচির প্রচলন করেছিলেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলাদেশ সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। জাতীয় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এখন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। জনসেবায় অবদান রাখার জন্য জাতিসংঘের সম্মানজনক জনসেবা পদক ২০২১ অর্জন করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রাণালয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দুর্যোগ সহনীয় টেকসই নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার পরিকল্পিতভাবে কাঠামোগত ও অকাঠামোগত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে । বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা হতে মানুষের জান-মাল রক্ষার্থে মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয়, যা সর্বসাধারণের কাছে মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত। তারই আধুনিক রূপে উপকূলীয় ও বন্যা উপদ্রুত ১৪৮ টি উপজেলায় ৫৫০ টি মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান । উপকূলীয় দুর্গত জনগণ যেমন সেখানে আশ্রয় নিতে পারবে তেমনি তাদের প্রাণিসম্পদকে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারবে ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান, সম্মানীয় অতিথি এলজিইড’র প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোঃ মহসিন এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ আমিরুল হক ভুঁইয়া। এছাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, আবহাওয়া অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ইফাদসহ বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিগণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এর পূর্বে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের সকল জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জন্য অনলাইন পোর্টাল উদ্বোধন করেন যাতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিসমূহের তথ্য খুব সহজেই হালনাগাদ করা যাবে।
#
সেলিম/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/মোশারফ/শামীম/২০২৩/১৭২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৯০
ইলিশের উৎপাদন যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার
--- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ২২ চৈত্র (৫ এপ্রিল) :
ইলিশের উৎপাদন যাতে কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ রাজধানীর মৎস্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২৩ উপলক্ষ্যে ‘ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে জাটকা সংরক্ষণ ও অভয়াশ্রমের প্রভাব’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) এ কর্মশালা আয়োজন করে।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, একটি ইলিশের জন্য তার বর্ণাঢ্য জীবনচক্র, বৈশিষ্ট্য, চলাচল, অনুকূল পরিবেশ, নিরাপদ আশ্রয় এ বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইলিশের প্রাকৃতিক খাবারের মান কতটা কমে যাচ্ছে, জলবায়ুর প্রভাবে ইলিশের উৎপাদন কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এ বিষয়গুলো নিয়ে সরকার কাজ করবে। যাতে ইলিশের উৎপাদন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তিনি বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ, জাটকা সংরক্ষণ, অভয়াশ্রম সংরক্ষণসহ ইলিশের উৎপাদন যাতে কেউ কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সে জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পদ্মা, মেঘনা, যমুনাসহ সবখানে নদীর গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন হচ্ছে। বেপরোয়া বালু উত্তোলনের কারণে যে নিরাপদ জায়গায় ইলিশ মাছ ডিম দেবে, যেখানে বাচ্চা হবে সে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। যানবাহনের পোড়া তেল-মবিল, শিল্প বর্জ্য নদীর পানিতে মিশে দূষণের ভয়ঙ্কর প্রভাবে মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রগুলোতে আমাদের কাজ করতে হবে।
ইলিশের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত ব্যাপক উল্লেখ করে এ সময় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ইলিশ সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে পরিচিত করার অন্যতম একটি খাত। বিশ্বের সর্বোচ্চ ইলিশ বাংলাদেশে উৎপাদন হয়। ইলিশ রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ রয়েছে। ইলিশ আহরণ, বিপণনসহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত মানুষের সংখ্যা অনেক। এ মানুষগুলোর কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূর হচ্ছে।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, দেশের মৎস্য খাতে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। মৎস্য বিজ্ঞানী-কর্মকর্তা, মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন এবং মৎস্য গবেষণার সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাদের সম্মিলিত কৃতিত্বেই মৎস্য খাতে এ অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নতুন নতুন অভয়াশ্রম তৈরি, প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিত করে তা সংরক্ষণসহ নানা কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। বলেশ্বর নদীতে ইলিশের নতুন প্রজননক্ষেত্র ঘোষণা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত যেখানেই ইলিশসহ সবধরণের মাছ উৎপাদনের জন্য নিরাপদ আশ্রয় দরকার সেখানেই অভয়াশ্রম তৈরি করা হবে।
বিএফআরআই-এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। সম্মানীয় অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক। স্বাগত বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আব্দুল কাইয়ূম। কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফআরআই-এর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম।
#
ইফতেখার/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৮৯
হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করছে সরকার
--- পরিবেশ মন্ত্রী
ঢাকা, ২২ চৈত্র (৫ এপ্রিল) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, দেশের অনন্য বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করছে সরকার। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে হালদা নদীর ৯৪ কিলোমিটার এলাকার জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা সম্ভব হবে।
আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় জীববৈচিত্র্য কমিটির ২য় সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শুধু হালদা নদী নয়, দেশের সকল অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য রক্ষায়ই কাজ করা হচ্ছে। এ কাজে সফল হতে সর্বস্তরের জনগণের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্যই জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন।
সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কারিগরি কমিটি কর্তৃক সুপারিশ পাওয়ার পর যৌথভাবে গবেষণার জন্য আইসিডিডিআরবি এর আবেদন মোতাবেক কলেরা রোগের জন্য দায়ী Vibrio cholerae -এর স্যাম্পল ব্রিটেনের দ্য ওয়েলকাম স্যাঙ্গার ইনস্টিটিউট এ প্রেরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এই গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল কলেরার জিনোম সংক্রান্ত উন্নত গবেষণায় বাংলাদেশকে সক্ষম করে তুলবে, যা কলেরা নির্মূলে সহায়তা করবে।
#
দীপংকর/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৮২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৮৮
উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রাখতে ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রয়োজন আছে
--- ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
নারায়ণগঞ্জ, ২২ চৈত্র (৫ এপ্রিল) :
ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। পদ্মাসেতু, কর্ণফুলী টানেল দেশের অর্থনীতিকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বাধাগ্রস্ত না হয় সেজন্য সমাজে ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রয়োজন আছে।
আজ নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি'র বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধর্মের সহনশীলতার দিকগুলো প্রচার করতে হবে। ধর্মীয় পরিচয় ব্যতিরেকে আমরা বাঙালি। ধর্মের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। জাতির পিতার স¦প্নের অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়তে সকলকে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং সংসদ সদস্য (নারায়ণগঞ্জ -৫) এ. কে. এম. সেলিম ওসমান সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আলেমদের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা জরুরি বলে জানান। বক্তব্য শেষে বিভিন্ন অংশীজন মতবিনিময়ের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন দাবির কথা ধর্ম প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, জেলা প্রশাসক মোঃ মঞ্জুরুল হাফিজ, পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ সাকিব আল রাব্বি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজওয়ান উল ইসলাম, তথ্য অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান, ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক জামাল হোসেনসহ মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সকল ধর্মের প্রতিনিধিগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
#
আসিফ/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/১৮১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৩৮৭
পাহাড়ের অর্থকরী ফসল দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখবে
-- কৃষিমন্ত্রী
বান্দরবান, ২২ চৈত্র (৫ এপ্রিল) :
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পাহাড়ে একসময় শুধু জুম চাষ হতো। এখন সমতলের মতো অনেক ফসল চাষ করা যাচ্ছে। পাহাড়ের বৃহৎ এলাকাজুড়ে কফি, কাজুবাদাম, গোলমরিচ, পেঁপে, আনারস, আম, ড্রাগন, মাল্টাসহ ৮-১০টি অর্থকরী ফসলের চাষ অনেক সম্ভাবনাময়। বিশেষ করে দেশে ও আন্তর্জাতিক বাজারে কাজুবাদাম ও কফির বিশাল চাহিদা রয়েছে, দামও অনেক বেশি। সেজন্য, এসব ফসলের চাষাবাদ ও প্রক্রিয়াজাত বাড়াতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এসব ফসলের চাষ আরো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে পারলে পাহাড়ের অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টে যাবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে ও বিশাল ভূমিকা রাখবে। পাহাড়ি এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন হবে। একইসাথে, দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যাবে।
আজ বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় কাজুবাদাম ও কফি বাগান পরিদর্শন এবং চাষিদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কফি ও কাজুবাদামের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি এবং প্রক্রিয়াজাতে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এসব ফসলের চাষ জনপ্রিয় করতে কৃষক ও উদ্যোক্তাদেরকে আমরা বিনামূল্যে উন্নত জাতের চারা, প্রযুক্তি ও পরামর্শসেবা প্রদান করে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত কফি ও কাজুবাদামের ১২ লাখ চারা গাছ বিনামূল্যে কৃষকদেরকে দেয়া হয়েছে; আর এ বছর আরো ২০ লাখ চারা গাছ দেয়া হবে।
কৃষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিবান্ধব ও কৃষক দরদী। তিনি কৃষিখাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে যাচ্ছেন। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করতে ও কৃষকের কল্যাণে গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী সারের দাম এক টাকাও বাড়াননি, বরং কয়েক দফায় দাম কমিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, সারসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের ফলে দেশে ধানসহ সকল ফসলের উৎপাদন বেড়েছে। এর ফলে বিশ্ব মন্দা, রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বর্তমানে দেশে খাদ্যের কোনোরকম সংকট নেই।
উল্লেখ্য, পাহাড়ে কাজুবাদাম ও কফির চাষের সম্প্রসারণের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২১১ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্প পরিচালক শহীদুল ইসলাম জানান, ২০২০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় কাজুবাদাম চাষ হতো ১৮০০ হেক্টর জমিতে, এখন হচ্ছে ৩৫০০ হেক্টর জমিতে, আর ২০২০ সালে কফি চাষ হতো ১২৫ হেক্টর জমিতে, এখন হচ্ছে ১৩৫০ হেক্টর জমিতে।
পরিদর্শনকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, দীপংকর তালুকদার এমপি, বাসন্তী চাকমা এমপি, কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোঃ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বান্দরবানের উপপরিচালক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
#
কামরুল/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/মোশারফ/শামীম/২০২৩/১৭২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৮৬
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২২ চৈত্র (৫ এপ্রিল) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ৮৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৪৬ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৫ হাজার ৫৫৮ জন।
#
সুলতানা/পাশা/রাহাত/রেজাউল/২০২৩/১৭০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৮৫
রপ্তানি বাড়াতে যুগোপযোগী রপ্তানি নীতি প্রণয়ন করেছে সরকার
--- আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্
বরিশাল, ২২ চৈত্র (৫ এপ্রিল) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, রপ্তানি বাণিজ্যে গতিশীলতা আনয়ন ও প্রতিযোগিতামূলক বিশেষ বাণিজ্যে বাংলাদেশের আস্থা সুদৃঢ়করণে যুগোপযোগী রপ্তানি নী