Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩১st জুলাই ২০১৭

তথ্যবিবরণী ৩১ জুলাই ২০১৭

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ১৯৮৬
বাল্যবিয়ে রোধে জাতীয় প্রচারাভিযান উদ্বোধন করলেন তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ শ্রাবণ (৩১ জুলাই) :
‘বাল্যবিয়ে রুখতে হলে আওয়াজ তোলো তালে তালে’ সেøাগান নিয়ে শিশুবিয়ে বন্ধে জাতীয় মাল্টিমিডিয়া প্রচারণা উদ্বোধন করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। আজ রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল বলরুমে ইউনিসেফ, ইউএনএফপিএ ও কানাডা সরকারের সহায়তায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গৃহীত এ প্রচারাভিযান উদ্বোধন করেন তিনি। 
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম, কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনোয়া পিয়েখ লাহামি (ইবহড়রঃ চরবৎৎব খধৎধসবব) এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেগবেদার (ঊফড়ঁধৎফ ইবরমনবফবৎ) বক্তা হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। 
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সুস্থ যৌন আচরণ ও প্রজননের অধিকার মানবাধিকারের অংশ। বাল্যবিয়ের কারণে এ অধিকার ক্ষুণœ হয়।’ বাল্যবিয়ে যেমন মানবাধিকার ক্ষুণœকারী তেমনি স্বাস্থ্যহীনতা, অকালমৃত্যু, বন্ধ্যাত্ব এমনকি প্রজননতন্ত্রের ক্যান্সারেরও কারণ। তাই এটা বন্ধে সবাই মিলে কাজ করতে হবে, বলেন ইনু। আইনের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, শুধু আঠারো বছরের নিচের মেয়েশিশু নয়, একুশ বছরের নিচের অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেরাও বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনের আওতায় পড়বে।  
এ প্রচারাভিযানে গণমাধ্যমকে সর্বাত্মক সহায়তার আহ্বান জানান মন্ত্রী। 
বিশেষ অতিথি মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ অভিযানে সহযোগী সংস্থাগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বাল্যবিয়ে রুখতে হলে আওয়াজ তোলো তালে তালে’ সেøাগান নিয়ে বেতার ও টিভি’র জন্য ৫টি করে স্পট, ২৬পর্বের ধারাবাহিক নাটক, ৯০ মিনিটের প্রামাণ্যচিত্র ও বিজ্ঞাপন সারাদেশে ব্যাপক সাড়া জাগাবে বলে আশা করা হচ্ছে। 
ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র ‘ঢোল’ ব্যবহারের মাধ্যমে একটি ছন্দবদ্ধ প্রতিবাদের ভাষা তৈরিতে জাতীয়ভাবে এ উদ্বোধনের পাশাপাশি দেশের আরো চারটি স্থানে প্রচারণার পৃথক উদ্বোধন, সড়ক প্রচার ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে বাল্যবিয়ে রোধকে একটি গণআন্দোলনে রূপ দেয়াই এ কার্যক্রমের উদ্দেশ্য, বলেন ইউনিসেফ প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেগবেদার।
এ সময় প্রখ্যাত ঢোলবাদক কাজী হাবলু’র ঢোলছন্দ, নাটিকা এবং বাল্যবিয়ে বিরোধী প্রামাণ্যচিত্র পরিবেশিত হয়।  
#
আকরাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/২০৪৫ঘণ্টা
 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ১৯৮৫
 
এনসিটিবি কার্যালয় আকস্মিক পরিদর্শনে শিক্ষামন্ত্রী
পাঠ্যপুস্তক ছাপা ও বিতরণের প্রস্তুতি যথাসময়ে সম্পন্ন করার নির্দেশ
 
ঢাকা, ১৬ শ্রাবণ (৩১ জুলাই):
 
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ ঢাকার মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয় আকস্মিকভাবে পরিদর্শনে যান। সেখানে তিনি দপ্তরের বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে কথা বলেন। 
 
পরে তিনি এনসিটিবি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র সাহা, সদস্য ড. মিয়া ইনামুল হক সিদ্দিকীসহ এনসিটিবি’র বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এসময় শিক্ষামন্ত্রী আগামী বছরের প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণির বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক ছাপার প্রস্তুতি ও গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চান। তিনি পাঠ্যপুস্তক যথাসময়ে ছাপা সম্পন্ন করা এবং বিতরণের প্রস্তুতি বিষয়ে তাগিদ দেন। সময়মত এসব কাজ শেষ করার ব্যাপারে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে নিশ্চয়তা চান শিক্ষামন্ত্রী। 
 
এ সময় এনসিটিবি’র কর্মকর্তারা তাঁকে আশ্বস্ত করেন এবং সময়মত ছাপার কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানান। তারা বলেন, বই ছাপার টেন্ডারসহ সকল কার্যক্রম যথাসময়ে সম্পাদন করা হচ্ছে। 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সবার মিলিত প্রচেষ্টায় বছরের শুরুতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দিতে চাই। সারা পৃথিবীতে এটা এক অতুলনীয় উদাহরণ। এ ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে যে কোন ধরনের গাফিলতি ও ব্যর্থতা মেনে নেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন মন্ত্রী।
 
#
 
আফরাজ/মাহমুদ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৭/১৯৪০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৯৮৪

এলজিআরডি মন্ত্রীর সাথে চীনের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১৬ শ্রাবণ (৩১ জুলাই) :
চীনের পীত নদী রক্ষা কমিশনের কমিশনার ও ভাইস মিনিস্টার ইউই ঝংমিং-এর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের চীনা প্রতিনিধিদল আজ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সাথে সচিবালয়স্থ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সাক্ষাৎ করেন।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম মাহবুবুল আলম, অতিরিক্ত সচিব বেগম নাসরিন আক্তার, অতিরিক্ত সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ডিপিএইচই) প্রধান প্রকৌশলী সুধীর কুমার ঘোষসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী এসময় প্রতিনিধিদলকে নিরাপদ পানি, দূষণরোধ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, স্যানিটেশন বিষয়ে বাংলাদেশের চলমান ব্যবস্থা, অর্জন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানান। তিনি বলেন, আমরা অদূর ভবিষ্যতে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার শতকরা ৮০ ভাগে উন্নীতকরণ এবং দেশব্যাপী বিশুদ্ধ খাবার পানি নিশ্চিতে প্রতি ৫০ জনের জন্য একটি পানির পয়েন্ট স্থাপনে কাজ করে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে এলজিআরডি মন্ত্রী চায়না এক্সপোর্ট ব্যাংক ও চায়না হাইড্রো কর্পোরেশনের সহায়তায় ঢাকা শহরে দৈনিক ৪৫০ লিটার পানি সরবরাহের ক্ষমতাসম্পন্ন পদ্মা-যশলদিয়া পানি শোধনাগার প্রকল্প ও দাশেরকান্দি সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট সম্পর্কে প্রতিনিধিদলকে অবগত করেন।
চীনের ভাইস-মিনিস্টার বলেন, তারাও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন বিষয়ে ২০০৫ সাল থেকে জোরালোভাবে কাজ করছেন। তাতে তারা শহর ও গ্রামের জন্য আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও বর্তমানে গ্রামীণ জনপদে শহরের মডেল চালু করে সুফল পাচ্ছেন। এসময় তিনি পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন বিষয়ে ভাল ফলাফলের জন্য তাদের দেশে চালু করা দৈনিক মনিটরিং ব্যবস্থারও বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি পীত নদীর অতীত ও বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, চীনের প্রায় ২ শতাংশ জনগণ এ নদীর আশে-পাশে বসবাস করে। জাতীয় অগ্রগতি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ নদীর সাথে জনগণের ১৫ শতাংশ সম্পৃক্ততা রয়েছে। পীত নদী রক্ষা কমিশন (ণজঈঈ)-এর কমিশনার হিসেবে পীত নদীর দূষণ রোধ ও পানি ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন চিত্র সম্পর্কেও অবহিত করে বাংলাদেশের নদীসমূহের ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও একসাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রতিনিধিদল মন্ত্রীকে সে দেশের পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানান।
#
জাকির/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৮৫০ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ১৯৮৩
বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী 
 
ঢাকা, ১৬ শ্রাবণ (৩১ জুলাই) :   
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :  
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০১৭ উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। 
বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য ‘ঝঁংঃধরহরহম ইৎবধংঃভববফরহম : ঞঙএঊঞঐঊজ’ অর্থাৎ ‘মাতৃদুগ্ধপান টেকসই করতে আসুন ঐক্যবদ্ধ হই’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। 
শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (ঝউএং) অর্জনের একটি অন্যতম চাবিকাঠি। শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো পরিবেশগতভাবে একটি টেকসই ও শ্রেষ্ঠ পদ্ধতি। শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর ফলে শিশুর পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। একটি সুস্থ ও মেধাবী প্রজন্ম গড়ে উঠে। যার মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। 
আওয়ামী লীগ সরকার মাতৃ ও শিশু পুষ্টি উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে গত সাড়ে আট বছরে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর হার বৃদ্ধি এবং মাতৃ ও শিশু পুষ্টি উন্নয়নের কার্যক্রম টেকসই করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা মাতৃত্বকালীন ছুটি বেতনসহ ৬ মাসে উন্নীত করেছি। সরকারি বেসরকারি অফিসে ব্রেস্টফিডিং কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল থেকে কর্মজীবী মায়েদের ভাতা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনকে আরো শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।        
আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। প্রতি জেলায় একজন করে পুষ্টিবিদ নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীকালে প্রতিটি হাসপাতালে একজন করে পুষ্টিবিদ নিয়োগ দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ৫৯৪টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে শিশুবান্ধব হাসপাতাল করার জন্য প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা হয়েছে। ঐচঘঝচ- এর আওতায় মাতৃ ও শিশু পুষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গুঁড়োদুধ ও কৌটাজাত শিশুখাদ্যের ব্যবহারকে সর্বনি¤œ স্তরে নামিয়ে আনতে ‘মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশুখাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও উহা ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন) আইন, ২০১৩’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
আমি আশা করি, শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো ও ঘরের তৈরি খাবার খাওয়ানো কার্যক্রমকে টেকসই করতে সকলে সচেষ্ট হবেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা মাতৃ ও শিশু পুষ্টি বিষয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হব। 
আমি দেশের সর্বস্তরে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর অগ্রগতির ধারাকে জোরদার করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান, জাতীয় পুষ্টি সেবা ও বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনসহ সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।  
আমি ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০১৭’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।      
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৮৪০ঘণ্টা  
 

Handout                                                                                                       Number: 1982

State Minister for Foreign Affairs leaves for Istanbul

Dhaka, July 31:

            State Minister for Foreign Affairs Md. Shahriar Alam has left Dhaka for Istanbul today on an official visit to Turkey to attend the open-ended Extraordinary Meeting of the OIC Executive Committee scheduled on 1st August 2017 at Istanbul, Turkey.

            The State Minister for Foreign Affairs is leading a five-member delegation that includes Director General (International Organizations), Ambassador of Bangladesh to Turkey, Consul General of Bangladesh to Istanbul and Director (State Minister’s Office). The meeting will focus the discussion on deeply worrying escalation in Al Quds Al Sharif, and in particular the grave violations committed by Israel against the sanctity of Masjid Al-Aqsa and Palestinian people.

            It is mentionable that Bangladesh is one of the members of the eight members OIC Executive Committee and as a representative of Bangladesh, State Minister will convey that the people and the government of Prime Minister Sheikh Hasina condemn and totally reject the Israeli violations and stand in full solidarity with the Palestinian brothers and sisters. He will also mention the importance of creation mass awareness in Non-Muslim states in favour of the legitimate rights of the Palestinians and the Ummah must call, in single voice, on the UN Security Council and UNESCO for fulfilling their resolution bound responsibilities of protecting the people of Palestine and its holy places.

#

Maruf/Mahmud/Sanjib/Rezaul/2017/1822 hours

তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর : ১৯৮১
বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
 
ঢাকা, ১৬ শ্রাবণ (৩১ জুলাই) :  
 
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :    
“মাতৃদুগ্ধপানের গুরুত্ব ও উপকারিতা বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরও বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘ঝঁংঃধরহরহম ইৎবধংঃভববফরহম : ঞঙএঊঞঐঊজ’ অর্থাৎ ‘মাতৃদুগ্ধপান টেকসই করতে আসুন ঐক্যবদ্ধ হই, যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। দিবসটি উপলক্ষে আমি “মাতৃদুগ্ধদানকারী সকল মা ও তাদের শিশুদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই এবং সুস্বাস্থ্য কামনা করি। 
মাতৃদুগ্ধ শিশুর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ খাদ্য, যা শিশুর পর্যাপ্ত পুষ্টি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিশ্চিত করে। মাতৃদুগ্ধ শিশুর অধিকার। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মাতৃদুগ্ধপানের মাধ্যমে শিশুর সম্ভাবনাময় জীবনের শুরু হয়। মূলত মাতৃদুগ্ধ শিশু ও মা উভয়ের সুস্বাস্থ্য, দৈহিক ও মানসিক বিকাশসহ সামগ্রিক জীবন মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
প্রাচীনকাল থেকে গ্রামবাংলার মায়েরা শিশুকে বুকের দুধ পান করিয়ে আসছে। এর ফলে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও স্বাভাবিক বেড়ে ওঠা যথেষ্ট নিশ্চিত হয়। বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও মাতৃদুগ্ধের উপকারিতা সম্পর্কে ইতিবাচক প্রচারণার ফলে মায়েরা এখন অনেক বেশি সচেতন। তৃণমূল পর্যায়ে এ সচেতনতা ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যেই প্রতিবছর বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। 
বাংলাদেশ সাফল্যের সাথে সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার অনেক কমে এসেছে। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শিশুর সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিত জরুরি। শিশুকে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি’র অন্যতম লক্ষ্য অর্জিত হবে।
১৯৯২ সাল থেকে বিশ্ব  মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উদ্যাপনের মাধ্যমে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর পক্ষে জনসচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তা সত্ত্বেও পারিবারিক ও সামাজিকভাবে মায়েদের মাতৃদুগ্ধপানে উৎসাহিত করতে হবে এবং বিকল্প শিশু খাদ্যের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে কর্মজীবী মায়েদের জন্য মাতৃকালীন সুরক্ষা বিধানে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাসমূহকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি গুঁড়োদুধের পক্ষে রমরমা বাণিজ্যিক প্রচারণাও নিরুৎসাহিত করতে হবে। সুস্থ ও নিরোগ জাতি গঠনে সকল মা তাদের শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পান করাবেন- বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহে দেশবাসী এ প্রত্যাশা করে।
আমি বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০১৭ এর সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৮২৫ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর : ১৯৮০
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রথম জাতীয় কনভেনশন-২০১৭ সমাপ্ত
                                         
ঢাকা, ১৬ শ্রাবণ (৩১ জুলাই) :
টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সমন্বিতভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেষ হলো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রথম জাতীয় কনভেনশন-২০১৭। এতে স্থানীয় পরিস্থিতি ও আবহাওয়া বিবেচনা করে উন্নয়ন কর্মকা- নির্ধারণ করার সুপারিশ করেন দেশের বিভিন্ন দুর্যোগপ্রবণ এলাকা থেকে আগত জনপ্রতিনিধি, ভুক্তভোগী, কর্মকর্তা ও এনজিও প্রতিনিধিরা।
আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রথম জাতীয় কনভেনশন-২০১৭ এর সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। দুর্যোগপ্রবণ ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, হাওর ও পাহাড়ি এলাকা থেকে আগত দেড় হাজারের অধিক প্রতিনিধি কনভেনশনে অংশগ্রহণ করেন।
হাওরের উন্নয়ন প্রসঙ্গে নদীর পানি নিষ্কাশনের সমস্যা দূরীকরণ, অপরিকল্পিত স্লুইচগেট অপসারণ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজের স্বচ্ছতা আনয়ন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজের সাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্তকরণ, সরকারের সকল উন্নয়ন বরাদ্দ শুকনো মৌসুমের পূর্বেই ছাড়করণ ইত্যাদির উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ উঁচুকরণ, আরো ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, দুর্যোগকালে সমুদ্রে জেলেদের সাথে যোগাযোগের উন্নত মাধ্যম ব্যবহার, কমিউনিটি রেডিও চালুকরণ, সচেতনতা অনুষ্ঠান জোরদারকরণ, ইউনিয়ন পরিষদের সাথে উপকূলীয় স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী সিপিপির সম্পর্ক নিবিড়করণ ও উপজেলা পর্যায়ে সিপিপির কার্যালয় স্থাপনের উপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।
বন্যা মোকাবিলা প্রসঙ্গে বলা হয়, বন্যা থেকে রক্ষার জন্য নির্মিত বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ জনপ্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর, আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো, বন্যাপ্রবণ এলাকায় মুজিব কিল্লা নির্মাণ, বন্যার পর রাস্তাঘাট দ্রুত নির্মাণ ও পুনর্বাসন সর্বোপরি বন্যা প্রতিরোধে সকলের করণীয় নির্ধারণ করে গাইডলাইন নির্মাণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এর সচিব মোঃ শাহ্ কামালের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ সম্ভু এবং সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ও সফিকুল ইসলাম শিমুল বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় উপস্থাপিত সুপারিশ ও মতামতের আলোকে আগামীদিনের করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলে সভাপতি উল্লেখ করেন। 
#
ওমর ফারুক/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৮৩০ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর : ১৯৭৯
 
 
সফলভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নকারীদের পুরস্কৃত করবে শিল্প মন্ত্রণালয়
                                         
ঢাকা, ১৬ শ্রাবণ (৩১ জুলাই) :
গুণগতমান বজায় রেখে সঠিক সময়ে ও সুষ্ঠুভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নকারীদের পুরস্কৃত করবে শিল্প মন্ত্রণালয়। সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকদের পাশাপাশি সফল প্রকল্পের সংখ্যার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকেও পুরস্কৃত করা হবে। 
২০১৬-১৭ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ ঘোষণা দেন শিল্প সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আজ এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 
সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও কর্পোরেশনের প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। 
সভায় শিল্প সচিব ভালো কাজের জন্য পুরস্কারের পাশাপাশি ব্যর্থতার জন্য তিরস্কারসহ অদক্ষতার অভিযোগ আনা হবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করেন। গুণগতমান বজায় রেখে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে বলে তিনি জানান। 
#
জলিল/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৮০০ঘণ্টা

 

Todays handout (4).docx