Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১১ জুলাই ২০২৪

তথ্যবিবরণী ১১ জুলাই ২০২৪

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ১৬৭

নয়াদিল্লিতে বিমসটেক রিট্রিটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান

নয়াদিল্লি, ১১ জুলাই:    

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় বিমসটেক রিট্রিট সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ। প্রধানমন্ত্রীর সাথে চীন সফর শেষে গতকাল বেইজিং থেকে সরাসরি দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে আজ সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।

আজ শুরু হওয়া দু’দিনব্যাপী এই রিট্রিটে বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিমসটেক প্রক্রিয়াকে আরো শক্তিশালী করা এবং আসন্ন ৬ষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনকে সফল ও ফলপ্রসূ করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন। নেপালের প্রতিনিধিত্ব করছেন তাদের পররাষ্ট্র সচিব।

আলোচনায় অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ আঞ্চলিক এ জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, সংযোগ এবং নীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে কার্যকর সহযোগিতার ওপর জোর দেন।

ভারত ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ

বৈঠকের পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান ভারত ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে আলোচনা করেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর (Dr. S. Jayshankar)-এর সাথে বাংলাদেশে নিত্যপণ্য আমদানিতে অব্যাহত সুবিধা বজায় রাখা ও তিস্তা প্রকল্পের জন্য কারিগরি দল প্রেরণের বিষয়ে আলোচনা হয়। অপরদিকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই (Than Swe) বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেন।

নেপালের পররাষ্ট্র সচিব সেওয়া লামসাল (Sewa Lamsal) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।

উল্লেখ্য, বে অভ্‌ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল এন্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন বা ‘বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বহুখাতীয়, কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা উদ্যোগ’ সংক্ষেপে বিমসটেক দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ৭টি দেশ নিয়ে গঠিত একটি আঞ্চলিক জোট। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড ১৯৯৭ সালে সৃষ্ট এই জোটের সদস্য।

২০১৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় বিমসটেকের সদর দপ্তর উদ্বোধন করেন। বিমসটেকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং বঙ্গোপসাগর উপকূলের দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা। ব্যবসা, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, পর্যটন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কৃষি উন্নয়ন, মৎস্যসম্পদ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, পোশাক ও চামড়া শিল্প-সহ আরো অনেকগুলো ক্ষেত্র বিমসটেকের আওতাভুক্ত।

#

 

আকরাম/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/২০২৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর: ১৬৬

সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য দেশের স্নাতক প্রকৌশলীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন

                                                                                                      --- প্রতিমন্ত্রী পলক

ঢাকা, ২৭ আষাঢ় (১১ জুলাই):

           সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য দেশের স্নাতক প্রকৌশলীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং, সেমিকন্ডাক্টর, বেসিক এআই এবং ভবিষ্যৎ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিতে যথাযথ টপ-আপ প্রশিক্ষণ প্রদান করে আগামী এক দশকে দশ হাজার বিশেষজ্ঞ তৈরি করা সম্ভব। দ্রুত বর্ধনশীল বিশ্ব অর্থনীতির এই শিল্পের সম্ভাবনাটা আঁকড়ে ধরতে এরাই সম্পদ হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

          প্রতিমন্ত্রী আজ এমসিসিআই’র গুলশান অফিসে মেট্রোপলিটন চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ঢাকা (এমসিসিআই)-এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘ডেভেলপিং দ্য সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

          এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি. রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. রোকনুজ্জামান, ক্যালিফোর্নিয়া ইএক্সো ইমেজিং ইনক ড. ইউসুফ হক (ভার্চুয়াল) এবং এমসিসিআই’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হাবিবুল্লাহ এন করিম।

          প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ১০ বছর আগে, মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং অ্যান্ড ম্যানুফাকচারিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিক্স এবং সাইবার সিকিউরিটির মতো চারটা ভবিষ্যৎমুখী প্রযুক্তি সম্পর্কে গুরুত্ব সহকারে মনোনিবেশ করার জন্য বলেছিলেন। আজ ১০ বছর পরে, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে কীভাবে এই সেমিকন্ডাক্টর শিল্প বিশ্ব অর্থনীতিকে প্রভাবিত করছে এবং রোবোটিক্স কীভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের প্রতিস্থাপন করছে, এমনকি সাইবার নিরাপত্তাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, এই চারটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আইসিটি বিভাগ দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। আমরা আমাদের শিক্ষক, ছাত্র, গবেষক, শিল্প নেতা এবং উদ্যোক্তাদের গবেষণা ও উদ্ভাবনের সুযোগ দিচ্ছি। যাতে তারা বাংলাদেশ থেকে ভবিষ্যতের উদ্ভাবনী পণ্য ও সমাধান তৈরি করতে পারে।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেমিকন্ডাক্টর বা মাইক্রোচিপ ম্যানুফ্যাকচারিং খাত বর্তমানে সারা বিশ্বের ইলেকট্রনিকস ও প্রযুক্তি খাতে দ্রুত ক্রমবর্ধমান শিল্প হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বিশ্বে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে। দেশের প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে তারা চিপের নকশা ও অ্যাসেম্বলিংয়ের কাজ করতে পারবেন। ফলে দেশের বিলিয়ন ডলার আয়ের সম্ভাবনা তৈরি হবে।

          তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েট-সহ দেশের ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের শিক্ষিত তরুণদের মাইক্রো চিপস ডিজাইনিং, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, ডেটা অ্যানালেটিক্স, ক্লাউড কম্পিটিং প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলার জন্য হায়ার অ্যান্ড ট্রেনিং প্রোগ্রামের আওতায় প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি প্রকল্পের অধীনে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অংশীদারিত্ব করে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করছি। এছাড়া ১০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে বুয়েটের ক্যাম্পাসে একটা অত্যাধুনিক ন্যানো ল্যাব স্থাপন করা হবে বলেও তিনি জানান।

#

বিপ্লব নাজির/সায়েম/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৯৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ১৬৫

  

কৃষকেরাই দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছে

                                           -ধর্মমন্ত্রী

 

দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর), ২৭ আষাঢ় (১১ জুলাই):  

 

ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলছেন, কৃষিই আমাদের অর্থনীতির প্রাণ। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে কৃষির অবদান অপরিসীম। কৃষকরাই দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছে।

আজ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে অফিসার্স ক্লাব হলরুমে জিলবাংলা চিনিকল আখচাষি কল্যাণ সমিতির সাধারণ সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, কৃষির আধুনিকায়নের মাধ্যমে কৃষকদের ভাগ্যোন্নয়নে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। কৃষির যান্ত্রিকীকরণে সরকার ভরতুকি প্রদান করে যাচ্ছে। এছাড়া, সার, বীজ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ওপর ভরতুকি প্রদান করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।

ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, বহুবিধ কারণে আখচাষ ধারাবাহিকভাবে কমে গেছে। এর ফলে বেশ কয়েকটি চিনিকল বন্ধ হয়ে চিনি উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে। চিনির বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। মন্ত্রী আখচাষিদের পূর্বের ন্যায় আখচাষ করে চিনি শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার অনুরোধ জানান।

সভায় দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, জিলবাংলা চিনিকল ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান, আখচাষি কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মান্নান মোল্লাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

#

আবুবকর/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৭৪০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর:  ১৬৪

 

যে পরিকল্পনায় অগ্রগতি নেই সে পরিকল্পনা মূল্যহীন

                                         -- গণপূর্ত মন্ত্রী

ঢাকা, ২৭ আষাঢ় (১১ জুলাই):  

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, যে পরিকল্পনায় অগ্রগতি নেই সে পরিকল্পনা মূল্যহীন।

আজ রাজধানীর মতিঝিলে রাজউক ভবনের অডিটোরিয়ামে সিটি ক্লাইমেট ফাইন্যান্স গ্যাপ ফান্ডের সহায়তায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং Deutche Gesellschaft Fur Internationale Zusammenarbeit (GIZ) কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ‘হাজারীবাগ ও লালবাগের জন্য জলবায়ুসহিষ্ণু সবুজ কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা শুধু পরিকল্পনার কথা বলি, কিন্তু বাস্তবে হাজারীবাগের ট্যানারিগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল এখন পর্যন্ত তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। যেখানে সরিয়ে নিয়েছি সেখানেও কাজটি ঠিকঠাকভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না হলে শুধু পরিকল্পনা করে লাভ নেই। দ্রুততম সময়ের মধ্যে গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করতে হবে। আমি চাই আগামীকাল থেকেই আপনারা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করবেন। এবছরের শেষেই যেন কাজের অগ্রগতি দৃশ্যমান হয় আপনারা সেভাবে কাজ করবেন। 

গৃহায়ন মন্ত্রী বলেন, আসুন আমরা আইন-কানুন ও বিধিনিষেধ মেনে চলি। ক্লাইমেটের রেজিলিয়েন্সের জন্য ওয়ার্কশপ ও প্লানিংয়ের প্রয়োজন আছে। কিন্তু একটা কথা সবসময় চিন্তা করতে হবে আমাদের দ্বারা যেন ক্লাইমেট নষ্ট না হয়। আমরা যখন বাড়ি বানাবো তখন যতটুকু ছেড়ে দেয়া দরকার ততটুকু যেন ছেড়ে দেই। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় আমাদের পাশের যে বাড়ি আছে পারলে আমরা সেটিও দখল করার চেষ্টা করি। এই সব থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে।

মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, রাজউককে বলব আমরা সবাই মিলে এই কাজটি শুরু করে দিতে চাই। ২০২৪ সালের ইতোমধ্যে ৬ মাস চলে গিয়েছে। সময় চলে যাবার আগেই এই কর্মপরিকল্পনাটি শেষ করতে না পারলেও অন্তত যেন শুরু করতে পারি। 

কর্মশালায় হাজারিবাগ ও লালবাগের জলবায়ুসহিষ্ণু সবুজ কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন নগর পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন। কর্মশালাটির সভাপতিত্ব করেন রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান সরকার। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নবীরুল ইসলাম এবং জি আই জেড কান্ট্রিডিরেক্টর মার্টিনা বারকার্ড।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান, রাজউক প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মোঃ আশরাফুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অভ্‌ প্ল্যানার্স (বিআইপি)-এর সাবেক সভাপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন।

#

রেজাউল/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/১৭৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর: ১৬৩

মেক্সিকোতে সিমিটের সদর দপ্তরে সম্মেলন

গমের উৎপাদন বাড়াতে সহযোগিতা চেয়েছেন কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৭ আষাঢ় (১১ জুলাই):

           দেশে গমের উৎপাদন বাড়াতে আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্র (সিমিট) এবং মেক্সিকোর বর্ধিত সহযোগিতা চেয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুস শহীদ। তিনি বলেন, ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য হলেও বছরে গমের চাহিদা বাড়ছে শতকরা ৭-১১ ভাগ। বাৎসরিক প্রায় ৭৫ লাখ টন চাহিদার এক পঞ্চমাংশ আমরা দেশে উৎপাদন করতে পারি। গম শীতকালীন ফসল হওয়ায় বোরো ধান-সহ অন্যান্য শীতকালীন ফসলের সাথে প্রতিযোগিতায় গমের উৎপাদন পিছিয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় গমের উৎপাদন বাড়িয়ে ব্যাপক ঘাটতি পূরণ করতে হলে স্বল্পজীবনকালীন অর্থাৎ ১০০ দিনের মধ্যে হয় এরকম অতি আগাম এবং তাপ ও লবণসহিষ্ণু গমের উন্নত জাত উদ্ভাবন করতে হবে। এক্ষেত্রে সিমিট এবং মেক্সিকোর বর্ধিত সহযোগিতা প্রয়োজন।

          গতকাল মেক্সিকোর টেক্সকোকোতে সিমিটের সদর দপ্তরে ‘পরবর্তীসংলাপ-শক্তির বীজ’ (DialogueNEXT-Seeds of Strength) সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ফাউন্ডেশন এবং সিমিট (CIMMYT) যৌথভাবে দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

          চাল ও ভুট্টা উৎপাদনে বাংলাদেশের বিশ্বস্বীকৃত সাফল্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, গত ৫০ বছরে দেশে চালের উৎপাদন বেড়েছে চার গুণের বেশি। এর ফলে এ সময়ের মধ্যে জনসংখ্যা ৭ কোটি থেকে বেড়ে বর্তমানে ১৭ কোটি হলেও দেশে চালের কোনো ঘাটতি নেই। তিনি বলেন, ভুট্টা উৎপাদনেও আমরা ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছি। গত ১৫ বছরে ভুট্টার উৎপাদন ৯ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বছরে প্রায় ৬৮ লাখ টন ভুট্টা উৎপাদিত হচ্ছে; আর এর বিপরীতে প্রতি বছর পোল্ট্রি, মাছ, প্রাণিখাদ্য-সহ নানান কারণে দেশে ভুট্টার চাহিদাও বাড়ছে। সেজন্য ভুট্টার উৎপাদনও আমাদেরকে বাড়াতে হবে।

          অনুষ্ঠানে সিমিটের মহাপরিচালক ব্রাম গোভায়ার্টস, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ফাউন্ডেশনের চিফ অপারেটিং অফিসার মাশাল হোসেন, মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালিসিয়া বার্সেনা ইবারা, মেক্সিকোর কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী ভিক্টর ম্যানুয়েল ভিলালোবোস আরামবুলা, ইন্টার-আমেরিকান ইনস্টিটিউট ফর কো-অপারেশন অন এগ্রিকালচারের মহাপরিচালক ম্যানুয়েল ওটেরো, হন্ডুরাসের কৃষি ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী লরা এলেনা এস. টরেস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব নাজিয়া শিরিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

          পরে সাইডলাইন ইভেন্টে কৃষিমন্ত্রী মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালিসিয়া বার্সেনা ইবারা এবং মেক্সিকোর কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী ভিক্টর ম্যানুয়েল ভিলালোবোস আরামবুলার সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। বৈঠকে দু’দেশের কৃষিখাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।

          এছাড়া, একইদিন মন্ত্রী সিমিটের গবেষণা ও মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।

#

কামরুল/সায়েম/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৮০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ১৬২

  

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ২৭ আষাঢ় (১১ জুলাই):  

 

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। এ সময় ৩১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ।    

 

          গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৯৮ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৮ হাজার ৬৫৯ জন।

 

#

 

দাউদ/সায়েম/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/১৬০৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                        নম্বর: ১৬১

সিজারের সংখ্যা কমিয়ে আনতে গর্ভবতী মায়েদের চেক-আপের বিষয়ে সচেতন হতে হবে

                                                           - স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী

ঢাকা, ২৭ আষাঢ় (১১ জুলাই):  

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন গর্ভবতী মায়েরা যাতে নিয়মিত ও সময়মতো কমিউনিটি ক্লিনিক, উপজেলা ও জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চেক-আপ করেন, বিষয়টি বুঝানোর জন্য গ্রাম পর্যায়ের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেন। সিজারের সংখ্যা কমিয়ে আনতে গর্ভবতী মায়েদের সচেতন হতে হবে। সিজারের সংখ্যা যত কমানো যায় ততই মঙ্গল।

মন্ত্রী আজ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৪ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে ঢাকায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে আয়োজিত উদ্বোধন ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে সবার আগে দেখি এএনসি কর্নার। এছাড়া, দেখা হয় গর্ভবতী মায়েরা কয়টা চেক-আপ করছেন, কোথায় ইনস্টিটিউশনাল ডেলিভারি হচ্ছে ও কোথায় সিজারিয়ান বেশি হচ্ছে। অনেক জায়গায় পাওয়া যায়, আগে সিজার হয়েছে, তাই করতে হবে। আগে কেন সিজার হলো সেটার মূল কারণ খুঁজে বের করে কাজ করলে সিজারের সংখ্যা অবশ্যই কমিয়ে আনা সম্ভব।

সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জনাব মো: আজিজুর রহমান, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিভাবেন্দ্র সিং রঘুবংশী ও পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আ ন ম আল ফিরোজ উপস্থিত ছিলেন।

#

শাহাদাত/ফাতেমা/সিরাজ/কলি/মানসুরা/২০২৪/১২৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                নম্বর: ১৬০

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং

ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট লুক্সেমবার্গের বৈঠক

বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক পরিবেশ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরো জোরদার করবে

                                                                                          -পরিবেশমন্ত্রী

লুক্সেমবার্গ, ১১ জুলাই:

পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক পরিবেশ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরো জোরদার করবে। তিনি বলেন, পারস্পরিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং বাংলাদেশের মানুষের জন্য টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করবে।

মন্ত্রী গতকাল ইউরোপের লুক্সেমবার্গে ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকোলা বিয়ারের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে এসব কথা বলেন।

ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকোলা বিয়ার বলেন, বৈঠকে আলোচিত বিষয়গুলো জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনাকে আরো উৎসাহিত ও জোরদার করবে। তিনি বলেন, পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সাথে বৈঠক ছিল অত্যন্ত ফলপ্রসূ। আমরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশলকে স্বাগত জানাই, যা বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বৈঠকে বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইইউতে মিশন প্রধান মাহবুব হাসান সালেহসহ বাংলাদেশ দূতাবাস ও ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

#

দীপংকর/ফাতেমা/সিরাজ/কলি/আলী/মাসুম/২০২৪/১১০০ ঘণ্টা

Handout                                                                            Number: 159

Minister Saber Chowdhury and Vice President of

European Investment Bank meet in Luxembourg:

Bangladesh and European Investment Bank strengthen

environmental and economic collaboration.

                               - Environment Minister
Luxembourg, 11 July:

Environment, Forest and Climate Change Minister Saber Hossain Chowdhury said Bangladesh and European Investment Bank will strengthen environmental and economic collaboration in the days to come. He said we look forward to a future of robust collaboration that not only addresses climate change but also promotes sustainable economic growth for the people of Bangladesh.

 Environment Minister said these while attending a bilateral meeting with Nicola Beer, Vice President of the European Investment Bank, on Yesterday in Luxembourg.

The Vice President of the European Investment Bank commended the holistic approach presented during the meeting, highlighting its potential to simultaneously tackle climate change and spur economic development. "It was a very inspiring meeting with Environment Minister. We welcome this comprehensive strategy to connect the fight against climate change with economic growth, ultimately benefiting Bangladeshi citizens," said Beer.

This meeting marks a pivotal step in the continued cooperation between Bangladesh and the European Investment Bank, aiming to deliver impactful results in the fight against climate change while fostering economic prosperity.
#

Dipankar/Fatema/Siraj/Ali/Mansura/2024/1010 hour

2024-07-11-16-15-6abd8a4ad955ff8839172107c8ff6d3e.docx