Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮

তথ্যবিবরণী 13 December 2018

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৩৩২৭
 
কোরিয়ার ইডিসিএফ’র বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে আরো সহযোগিতার আগ্রহ
 
ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :
কোরিয়ার সহায়তা সংস্থা ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড (ইডিসিএফ) বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে আরো সহযোগিতা করার আগ্রহ দেখিয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাজধানীতে একটি সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি আগামী ফেব্রুয়ারিতে নতুন প্রকল্প শুরু করার আগ্রহ দেখায়।
আজ সচিবালয়ে ইডিসিএফ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর কিম কিয়ং জু স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সাথে সাক্ষাৎ করে এই আগ্রহের কথা জানান।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনায় যে কোনো একটি প্রকল্পে তারা কাজ করবে বলে জানিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোরিয়া সরকার ও ইডিসিএফ’র প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতসহ আর্থসামাজিক খাতে কোরিয়ার অবদান অনস্বীকার্য। দেশের জনগণের দোরগোড়ায় আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা সুলভে পৌঁছে দিতে সরকারের কার্যক্রমে ভবিষ্যতেও তাদেরকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাতে বর্তমানে ইডিসিএফ’র অর্থায়নে সাতটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। আরো সাতটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। তারা এদেশে দশমিক শূন্য এক শতাংশ হারে সহজ সুদে ঋণ দিয়ে উন্নয়নে সহায়তা করে থাকে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহউদ্দিন, বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের প্রকল্পের পরিচালক ডা. জুলফিকার রহমান খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
পরীক্ষিত/মাহমুদ/পারভেজ/আব্বাস/২০১৮/২১৫১ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ৩৩২৬ 

জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ফুল প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ 

ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :
নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আয়োজনে, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রথমবারের মতো আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ে ‘বিজয়ফুল প্রতিযোগিতা ২০১৮'-এর অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ ও এ উপলক্ষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আজ বিকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সনদপত্র বিতরণ করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মোঃ আব্দুল মান্নান ইলিয়াস, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহমেদ এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক আনজির লিটন প্রমুখ।

সনদপত্র বিতরণের পূর্বে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশু সংগীত দল পরিবেশন করেন লালনগীতি ‘সত্য বল সুপথে চল..’; লিয়াকত আলী লাকী’র রচনা ও সূরে ‘এ মাটি নয় জঙ্গিবাদের...’ গানটি সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করেন শিশু সংগীত দল। ‘আমি ধন্য হয়েছি, আমি পূর্ণ হয়েছি..’ পরিবেশন করেন শিশু শিল্পী সেজুতি আক্তার। ‘প্রতিদিন তোমায় দেখি সূর্যের আগে..’ গানটি পরিবেশন করেন শিশু শিল্পী সুমনা। একাডেমির অ্যাক্রোবেটিক দলের পরিবেশনায় মিলনায়তন ভর্তি দর্শকবৃন্দ উপভোগ করেন অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী। মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী’র পরিকল্পনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন তামান্না তিথি। 

এর আগে সকালে জাতীয় পর্যায়ে ‘বিজয়ফুল প্রতিযোগিতা ২০১৮' এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এর পর শুরু হয় বিভিন্ন বিভাগের প্রতিযোগিতা। বিভাগীয় পর্যায়ে বিজয়ীদের অংশগ্রহণে সাতটি বিষয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতার বিষয় বিজয়ফুল (শাপলা) তৈরি, মুক্তিযুদ্ধের গল্প রচনা, কবিতা রচনা, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, একক অভিনয় ও চলচ্চিত্র নির্মাণ। প্রতিযোগিতার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ, কাপড়, প্লাস্টিক সিট ও অন্যান্য উপকরণ আয়োজকদের পক্ষ হতে দেওয়া হয়েছে। 
#

ফয়সল/মাহমুদ/রফিকুল/আব্বাস/২০১৮/২১১০ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৩৩২৫
 
দশ বছরে বিনামূল্যে সরকারি আইনি সহায়তার সুফল পেয়েছে সাড়ে তিন লাখ মানুষ
 
ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের কার্যকর বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের নভেম্বর পর্যন্ত আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে সর্বমোট ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৬৭৭ জন মানুষ বিনামূল্যে সরকারি আইনি সহায়তা পেয়েছেন। একই সময়ে দরিদ্র-অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের আইনি সহায়তা প্রদান বাবদ ১৮ কোটি ৪৩ লাখ ৭৯ হাজার টাকা ব্যয় করেছে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা।
 
২০০৯ সালে দরিদ্র-অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের সরকারিভাবে আইনি সহায়তা প্রদান করার লক্ষ্যে দেশের ৬৪টি জেলা সদরে লিগাল এইড অফিস স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টেও লিগাল এইড অফিস স্থাপন করা হয় এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামে শ্রমিক আইন সহায়তা প্রদান সেল স্থাপন করা হয়। লিগাল এইড অফিস স্থাপনের পর  প্রত্যেক অফিসে লিগাল এইড অফিসার নিয়োগের পাশাপাশি ১৯২টি সহায়ক কর্মচারীর পদ সৃজন করে সেগুলোতে কর্মচারী নিয়োগ করা হয়।  
 
এছাড়া আইনি পরামর্শ প্রদানের জন্য ২০১৬ সালে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থায় টোল ফ্রি জাতীয় হেল্প লাইন কল সেন্টার  (নম্বর-১৬৪৩০) স্থাপন করা হয়। সরকারিভাবে আইনি সহায়তা প্রদানের বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে ২০১৩ সাল থেকে প্রতিবছর ২৮ এপ্রিল জাতীয়ভাবে আইনগত সহায়তা দিবস উদ্যাপন এবং সভা সেমিনার করা হচ্ছে।
 
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আইনি সেবা প্রদানের লক্ষ্যে চলতি বছরের ২ অক্টোবর থেকে বিডি লিগাল এইড অ্যাপ চালু করা হয়েছে। সরকারি আইনি সেবার যাবতীয় তথ্য ও কার্যক্রম ডিজিটাল ডাটাবেজের মাধ্যমে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ২ অক্টোবর থেকে ‘লিগাল এইড অফিস ম্যানেজমেন্ট সফট্ওয়্যার’  চালু করা হয়েছে এবং দেওয়ানি কার্যবিধি সংশোধন করে জেলা লিগাল এইড অফিসারদেরকে মধ্যস্থতার মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। 
#
রেজাউল/মাহমুদ/নাছির/রফিকুল/আব্বাস/২০১৮/২০৪১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর :৩৩২৪  
 
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০১৮ পালন উপলক্ষে জাতীয় কর্মসূচি
 
ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :
যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০১৮ পালনের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। 
১৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সকাল ৭.০৫ টায় ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ৭.০৬ টায় মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য টিভি চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী প্রদান করবেন। 
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ সকাল ৭.২২ টায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সকাল ৮.৩০ টা থেকে সর্বস্তরের জনগণ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। 
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাগণ সকাল ৮.৩০ টায় রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। 
দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য টিভি চ্যানেল বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে দেশের সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। 
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের পবিত্রতা রক্ষায় অনুষ্ঠান স্থলে মাইক বা লাউডস্পিকার ব্যবহার না করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
#
 
আলমগীর/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/ ২২১০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৩৩২৩
 
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০১৮ উদ্যাপন উপলক্ষে 
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচি
 
ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :
আগামী ১৮ ডিসেম্বর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০১৮’ উদ্যাপন করতে যাচ্ছে। ‘অভিবাসীর অধিকার- মর্যাদা ও ন্যায়বিচার’ এই প্রতিপাদ্য  নিয়ে এবারে দিবসটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দিবসটি জাতীয়ভাবে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন উপলক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দিনব্যাপী মেলাসহ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।  
 
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলা উদ্বোধন ও স্টল পরিদর্শন করবেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন অনুষ্ঠনে সভাপতিত্ব করবেন। 
 
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে (বেলা- ১২টায়) থাকবে অভিবাসী দিবস সম্পর্কে আলোচনা সভা, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রবাসী কর্মীদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান, ক্রেস্ট বিনিময় এবং রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মেলা উদ্বোধন ও স্টল পরিদর্শন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে (বিকাল-১৬টায়) ‘সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমেই নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করা সম্ভব’ বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা রাখা হয়েছে। এ পর্বে অভিবাসী মেলায় নির্বাচিত সেরা স্টলের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ নজিবুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। 
#
রাশেদুজ্জামান/মাহমুদ/পারভেজ/আব্বাস/২০১৮/১৯৫৭ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৩৩২২
 দেশব্যাপী ই-মনিটরিং ব্যবস্থায় বিদ্যালয় পরিদর্শন কার্যক্রম উদ্বোধন
 
ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :
সবার জন্য মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে দেশব্যাপী ডিজিটাল 
ই-মনিটরিং ব্যবস্থায় বিদ্যালয় পরিদর্শন প্রবর্তন করা হয়েছে যা বর্তমান সরকারের একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। 
ই-মনিটরিং হলো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে সফটওয়্যারে নির্দিষ্ট টুল ব্যবহার করে বিদ্যালয় পরিদর্শন সম্পন্ন করা। এই টুলস অ্যানড্রয়েড এপ্লিকেশন হিসেবে গুগল প্লে-স্টোরে পাওয়া যাবে, যেখান থেকে স্মার্টফোন বা ট্যাবে ডাউনলোড করতে হবে। এ ব্যবস্থা সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য ৩ হাজার ৭২০টি ট্যাবলেট ইতিমধ্যে দেশব্যাপী মাঠ পর্যায়ের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। 
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আকরাম-আল-হোসেন আজ রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে প্রধান অতিথি হিসেবে ই-মনিটরিং ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশব্যাপী ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনের উদ্বোধন করেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও সেভ দ্য চিল্ড্রেন, বাংলাদেশ এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। 
সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, এমডিজি অর্জনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে বিদ্যালয় গমনোপযোগী প্রায় শতভাগ শিশু বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। এসডিজি বাস্তবায়নে মানসম্মত শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার বিভিন্ন বাস্তবমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করে কাজ করে যাচ্ছে। মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নে ই-মনিটরিং ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাগণ যে টুল ব্যবহার করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যবেক্ষণ করেন, তার ওপর ভিত্তি করে স্মার্টফোন ও সফটওয়্যারভিত্তিক ই-মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাগণ স্মার্টফোন বা ট্যাব ব্যবহার করে বিদ্যালয় পর্যবেক্ষণের তাৎক্ষণিক তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। 
এ ই-মনিটরিং ব্যবস্থায় স্কুলের কর্মদক্ষতা, অগ্রগতি ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে তথ্য ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। দ্রুত সময়ে তথ্য পুনরুদ্ধার, বিশ্লেষণ ও কাস্টমাইজ করার সুযোগ করে দেবে; সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা ও স্বচ্ছতার  ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে সহায়তা করবে; ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষণে কাগজের ওপর নির্ভরতা হ্রাস করবে; শিক্ষা ব্যবস্থায় আইসিটি ও ওয়েবভিত্তিক ডেটাবেইস কার্যক্রম সম্প্রসারণে সাহায্য করবে। 
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো বক্ততা রাখেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল মান্নান ও সেইভ দ্যা চিল্ড্রেন, বাংলাদেশের সেক্টর ডিরেক্টর (এডুকেশন) বুসরা জুলফিকার। পরে সচিব সারা দেশব্যাপী
 ই-মনিটরিং স্কুল ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন। 
#
রবীন্দ্রনাথ/মাহমুদ/পারভেজ/আব্বাস/২০১৮/২০২২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ৩৩২১
  
টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজনেস সেমিনার অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :
টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আজ জাপান-বাংলাদেশ পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও বাণিজ্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাস ও জাপান-বাংলাদেশ সোসাইটি যৌথভাবে সেমিনারটির আয়োজন করে। বিপুল সংখ্যক জাপানি ব্যবসায়ী ও তাঁদের প্রতিনিধিগণ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাপান-বাংলাদেশ সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশে অবস্থিত জাপান দূতাবাসের সাবেক রাষ্ট্রদূত মাতসুশিরো হরিগুচি। জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বিগত এক দশকে বাংলাদেশে অর্জিত উন্নয়নের ধারা আগত অতিথিদের কাছে তুলে ধরেন। তিনি এ সময় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি, মাথা পিছু আয়, রপ্তানি, শিক্ষার হার, বিদ্যুৎ উৎপাদন ইত্যাদি তথ্য উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের ৪৩তম বৃহৎ অর্থনীতি এবং গড় প্রবৃদ্ধি শতকরা সাত ভাগের বেশি; বাংলাদেশ তৈরিপোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয়, চাল উৎপাদনে চতুর্থ এবং মাছ ও সবজি উৎপাদনে তৃতীয়। তিনি বাংলাদেশের খাতভিত্তিক উন্নয়ন চিত্র সকলকে অবহিত করেন এবং দেশের বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের বর্ণনা দেন। জাপান- বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর ও বন্ধুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ সুবিধা এবং সরকারের ব্যবসাবান্ধব নীতিগুলো সেমিনারে অংশ নেয়া ব্যবসায়ীদের কাছে তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। 
সেমিনারে বাংলাদেশের অর্থনীতি, দেশে বিদ্যমান ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ ও সরকার প্রদত্ত সুবিধাসমুহ নিয়ে আলোচনা করেন জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) ঢাকার প্রতিনিধি তাইকি কোগা। এছাড়া বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন ‘শিপ হেলথকেয়ার’ এর নির্বাহী পরিচালক হিরোইউকি কোবাইয়াসি এবং ‘শিমিজু কর্পোরেশন’ এর ঢাকা প্রতিনিধি ইয়াসুশি মিজুশিনা।
#

জামান/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৯৫০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ৩৩২০
  
এপ্রিল নাগাদ গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে
                                                                            --- নৌপরিবহন সচিব

ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :
২০৪১ সাল নাগাদ সমুদ্র পথে আমদানি রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধির সক্ষমতা মোকাবিলায় সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের ধারণক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বে-টার্মিনাল, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল, লালদিয়া বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ করে চলেছে। সরকার পাশাপাশি মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করতে যাচ্ছে। আগামী বছরের এপ্রিল নাগাদ গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
নৌপরিবহন সচিব মোঃ আবদুস সামাদ আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে কোস্টাল ও প্রটোকল রুটের আওতায় ‘থার্ড কান্ট্রি এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ট্রেড কার্গো’ পরিবহণের বিষয়ে গবেষণা সমীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত এক সভায় এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ ফরেইন ট্রেড ইনস্টিটিউট (বিএফটিআই) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহমেদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ভোলা নাথ দে, শাহাদৎ হোসেন এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সচিব থার্ড কান্ট্রি এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ট্রেড কার্গো পরিবহণের বিষয়ে বাংলাদেশ-ভারতের বিভিন্ন পোর্ট পরিদর্শন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরির জন্য বিএফটিআই কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান।
#

জাহাঙ্গীর/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৯৪৫ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ৩৩১৯
  
বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক থেকে কর্মসংস্থান কর্মসূচিভিত্তিক ঋণ সহায়তা পাচ্ছে

ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :
শিল্প খাতে কর্মসংস্থানের গতি ত্বরান্বিত ও বহুমুখী করার উদ্দেশ্যে শিল্প ও বাণিজ্য পরিবেশের আধুনিকায়ন, শ্রমিকের সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারকরণ এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকহারে কর্মে প্রবেশের উপযোগী নীতি-কর্মসূচি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে বিশ্বব্যাংক ‘কর্মসংস্থান কর্মসূচিভিত্তিক নীতি-কৌশল ঋণ সহায়তা’ (ঔড়নং চৎড়মৎধসসধঃরপ উবাবষড়ঢ়সবহঃ চড়ষরপু ঈৎবফরঃ) প্রদানে সম্মত হয়েছে। আগামী ৩ বৎসর মেয়াদে (২০১৯-২০২২) আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সংস্থা হতে বাংলাদেশ সর্বমোট ৭৫ হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ঋণ সহায়তা লাভ করবে যার প্রথম বৎসরের অংশ হিসেবে ২৫ হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রস্তাব বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় চলতি মাসের ১২ তারিখ অনুমোদন লাভ করেছে। বিশ্বব্যাংক থেকে প্রাপ্ত ঋণের মধ্যে এইটি সর্ববৃহৎ একক ঋণ। বাজেট সহায়তা হিসেবে প্রাপ্ত উক্ত অর্থ সরকার যে কোনো উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নে ব্যবহার করতে পারবে।
উল্লেখ্য, গত প্রায় ১০ বৎসরে বাংলাদেশে এটি বিশ্বব্যাংকের প্রথম নীতি-কৌশল ঋণ সহায়তা। সরকার কলকারখানা প্রতিষ্ঠা ও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে পুরাতন আইন সংশোধন বা পরিবর্তন করে নুতন আইন, নীতি প্রণয়ন করেছে। ইতোমধ্যে সরকার ওয়ান স্টপ শপ আইন, ২০১৮, শ্রম আইন (সংশোধন), ২০১৮, ওয়েজ আর্নার ওয়েলফেয়ার বোর্ড আইন, ২০১৮ এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮ প্রণয়ন করেছে। নতুন কাস্টম আইন, ২০১৮ মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর জাতীয় সংসদে পেশ করা হয়েছে। শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র আইন, ২০১৮ এবং কোম্পানি আইন (সংশোধন), ২০১৮ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। জাতীয় পরিবেশ নীতি, ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকারি চাকুরিজীবীদের পৃথক পেনশন অফিস প্রতিষ্ঠা করে সকল নাগরিকের জন্য একটি সার্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের প্রস্তুতি চলছে। 
ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিবেশ আধুনিকায়ন, শ্রমিকের অধিকতর সুরক্ষা নিশ্চিত করা ও সকল শ্রেণির মানুষের কর্মে অধিকতর প্রবেশে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত উপরোক্ত আইন, বিধি ও নীতি-কৌশল সংস্কারের উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়ে তা বাস্তবায়নে এ ঋণ অনুমোদন বর্তমান সরকারের প্রতি বিশ্বব্যাংকের আস্থার বহিঃপ্রকাশ। এর মাধ্যমে  বিশ্বব্যাংকের সাথে বাংলাদেশের অংশীদারীত্বমূলক সম্পর্ক আরো গভীরতর হবে বলে সরকার মনে করে।
#

শাহেদ/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৯৩০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৩৩১৮
  
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের ই-ফাইলিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ

ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল-বিষয়ক কর্মশালায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম ই-ফাইলিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রণালয়ের সকল কার্যক্রমে শতভাগ ই-ফাইলিং চালুর পরামর্শ দিয়েছেন ।

আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খানের সভাপতিত্বে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বিষয়ক কর্মশালায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ পরামর্শ দেন। কর্মশালায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো আশরাফ শামীম, সৈয়দ আহম্মদ, কলকারখান প্রতিষ্ঠান ও পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক 
মোঃ সামসুজ্জামান ভূইয়া এবং শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শিবনাথ রায় সহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব কর্মকর্তাদের সহকর্মীদের সাথে শোভন আচরণের পরামর্শ দেন। বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে শ্রমিকদের কল্যাণে সহায়তা প্রদানকে এ মন্ত্রণালয়ের একটি বড় সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, অসহায় শ্রমিকদের কল্যাণে এটি একটি দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ।

কর্মশালায় জানানো হয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ৮০ শতাংশ ফাইলের কাজ ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়। এ মন্ত্রণালয়ে নৈতিকতা কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শুদ্ধাচার এবং প্রতিকার ব্যবস্থা সেবাবক্স চালু করা হয়েছে। 

কর্মশালায় আরো জানানো হয়, প্রতিকার সেবাবক্সের মাধ্যমে শ্রম অধিকার সংক্রান্ত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে 
১ হাজার ২১১ টি অভিযোগ গ্রহণ করা হয় এবং ৯৭৮টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়। 
#
আকতারুল/মাহমুদ/রফিকুল/আব্বাস/২০১৮/১৯৩২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৩৩১৭
  
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ১০ বছরে ৩ কোটি ৮৭ লাখ লোকের কর্মসংস্থান

ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বিগত ১০ বছরে ৩ কোটি ৮৭ লাখ লোকের কর্মসংস্থান করা হয়েছে। নারীদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে তাদের আর্থিক সক্ষমতা ও ক্ষমতায়নে সহযোগিতা করা হয়েছে। 
অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি)-এর আওতায় ৭৮ লাখ গ্রামীণ কর্মক্ষম বেকার শ্রমিকের জন্য ৮০ দিনের কর্মস্থানের মাধ্যমে গ্রামীণ দারিদ্র্যতা হ্রাস করা হয়েছে। এদের এক-তৃতীয়াংশ মহিলা। এ কর্মসূচি উত্তরাঞ্চলে মঙ্গা দূরীকরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।
কাবিখা/কাবিটা কর্মসূচি গ্রামীণ রাস্তাঘাট নির্মাণ ও মেরামতে প্রধান ভূমিকা পালন করে। কাবিখা/কাবিটা কর্মসূচির আওতায় বিগত ১০ বছরে ১ কোটি ৬২ লাখ গ্রামীণ শ্রমিকের মাধ্যমে ২০ লাখ ৩১ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য এবং ৪ হাজার ১৬৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। গ্রামীণ অবকাঠামো টেকসইকরণের লক্ষ্যে সংস্কার করার জন্য টিআর কর্মসূচির আওতায় ১ কোটি ৪৭ লাখ ৩০ হাজার গ্রামীণ শ্রমিকের মাধ্যমে ২০ লাখ ৫৪ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য শস্য এবং ৪ হাজার ৩২৫ কোটি ৩১ লাখ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। 
বিগত ১০ বছরে সরকারের কার্যকর মানবিক সহায়তা পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দুর্যোগে কোন লোক না খেয়ে কষ্ট পায়নি। দুর্যোগের পরে ত্রাণ সামগ্রী প্রেরণের পরিবর্তে সরকার সম্ভাব্য দুর্যোগের জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পূর্বেই জেলা পর্যায়ে ত্রাণ সামগ্রী মজুত করে রেখেছে। এর ফলে তাৎক্ষণিক ত্রাণ সহায়তা করা সম্ভব হয়েছে।
মানবিক সহায়তা কর্মসূচি (জিআর) এর আওতায় বিগত ১০ বছরে ৬ কোটি ৩৩ লাখ উপকারভোগীর মাঝে ২ হাজার ৫২৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকার খাদ্যশস্য এবং ১ কোটি ৯ লাখ ৭৬ হাজার উপকারভোগীর মাঝে নগদ ১৯৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ২০ লাখ ৫০ হাজার উপকারভোগীর মাঝে গৃহ নির্মাণের জন্য ৩৬৫ কোটি টাকার ঢেউটিন এবং গৃহনির্মাণ মঞ্জুরি হিসেবে ১০২ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। 
ভিজিএফ কর্মসূচি আপদকালে প্রান্তিক অক্ষম লোকদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ১২ কোটি ৯ লাখ উপকারভোগীর মাঝে ৮ হাজার ৭৭৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকার খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়েছে। শীতার্ত দুঃস্থ ও অসহায় ৪৬ লাখ ৬৪ হাজার মানুষের মাঝে ২২৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়েছে। 
২০১৭ সালে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হাওড় অঞ্চলে জেলাসমূহের ৩ লাখ ৮০ হাজার পরিবারকে ১৩ মাস যাবত প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল ও ৫০০ টাকা করে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ২০১৭ সালে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণের জন্য ১ কোটি টাকা, ১ হাজার ১শ’ মেট্রিক টন চাল, ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য ৫০০ বান্ডিল ঢেউটিন ও ১৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এ সময়ে মানবিক সহায়তা কর্মসূচিসমূহ ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে নির্ভুল, দুর্নীতিমুক্ত ও জবাবদিহিমূলক করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
#
ওমর ফারুক/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৯২০ঘণ্টা  

 

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ৩৩১৬
  
সমৃদ্ধ শোষণমুক্ত স্বচ্ছ বাংলাদেশ গড়তে শুদ্ধাচার
                                       --- তথ্যসচিব

ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :
সমৃদ্ধ, শোষণমুক্ত ও স্বচ্ছ বাংলাদেশ গড়তে শুদ্ধাচারের বিকল্প নেই, বলেছেন তথ্যসচিব আবদুল মালেক।
আজ সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীর হাতে চলতি বছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যসচিব একথা বলেন। প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহারের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত প্রধান তথ্য অফিসার ফজলে রাব্বীসহ তথ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বিজয়ের মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে তথ্যসচিব বলেন, বাঙালি জাতির ¯্রষ্টা, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপিতা চরম আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমাদের হাতে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ দিয়ে গেছেন। সততা ও নৈতিকতা চর্চার মাধ্যমে এদেশকে সুখী-সমৃদ্ধ, শোষণমুক্ত ও স্বচ্ছ রাখার দায়িত্ব আমাদেরই। তিনি বলেন, শুদ্ধাচার চর্চায় কোনো বিলম্ব করার সুযোগ নেই। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, অতীতের অশুদ্ধ আচরণ শোধরানো কঠিন, তাই এ মুহূর্ত থেকেই শুদ্ধতার চর্চা করতে হবে। সততা, ন্যায্যতার পাশাপাশি পারস্পরিক সহমর্মিতাও শুদ্ধাচারের অংশ বলেন তিনি।
সচিব এসময় অতীতের সকল শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্তদের এবং ভবিষ্যৎ পুরস্কার বিজয়ীদেরও আগাম অভিনন্দন জানান।
প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহার তার বক্তব্যে শুদ্ধাচার কৌশল অনুসরণ করে তথ্য অধিদফতরের কাজকে আরো বেগবান ও দায়িত্বশীল রাখার জন্য দপ্তরের সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তথ্য অধিদফতরের সিনিয়র তথ্য অফিসার দীপংকর বর, প্রধান সহকারী শাহ মোঃ রুহুল আমীন চিস্তি, আঞ্চলিক তথ্য অফিস রাজশাহীর সিনিয়র তথ্য অফিসার ফারুক মোঃ আব্দুল মুনিম ও ডেসপ্যাচ রাইটার মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক তথ্য অফিসের সহকারী তথ্য অফিসার জি এম সাইফুল ইসলাম ও টেলেক্স অপারেটর মোঃ সজিব মিয়া এবং আঞ্চলিক তথ্য অফিস খুলনার সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর মোঃ জাকির হোসেন চলতি বছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার লাভ করেন।
#

আকরাম/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৯০০ঘণ্টা  

থ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ৩৩১৫
  
রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পকারখানার উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে
                                --- ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব

ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :
ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব মোঃ আবদুল হালিম বলেছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পকারখানা লাভজনক করতে সবাইকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। শিল্পকারখানায় বিদ্যমান কাঁচামাল, মেশিনারি সম্পদসহ সকল কিছুর দক্ষ ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। এর মাধ্যমে শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধি বাড়বে এবং রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ এর সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পখাতে অগ্রগতির চলমান ধারা গতিশীল করতে প্রতিদিন নিজেদের কাজে একটু হলেও গুণগত পরিবর্তন আনার তাগ

Todays handout (13).docx