তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২১২
জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“¬আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৫’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
একটি আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হলো রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের জন্য আইনের আশ্রয়লাভের অধিকার নিশ্চিত করা। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে ২৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকারী’। কিন্তু নানা আর্থসামাজিক কারণে সমাজের অসচ্ছল ও সহায়-সম্বলহীন মানুষ আইনের আশ্রয়লাভ থেকে বঞ্চিত হয়। এ কারণে অসচ্ছল ও সহায়-সম্বলহীন মানুষের দোরগোড়ায় আইনি সহায়তা পৌঁছে দিতে বর্তমান সরকার ইতোপূর্বে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০ পাস করে। এ আইনের আওতায় সমাজের অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত বিপুল সংখ্যক মানুষ সরকারি খরচে প্রতিদিন আইনি সেবা নিচ্ছেন। এ আইনের আওতায় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার তত্ত্বাবধানে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসসমূহ দরিদ্র বিচার প্রার্থীদের আইনগত পরামর্শ প্রদানসহ মীমাংসার মাধ্যমে বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি করছে। আমি আশা করি সমাজের দরিদ্র ও অবহেলিত জনগোষ্ঠী এ আইনের সহায়তা নিয়ে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তৎপর হবেন।
সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রম সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাসহ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিপুল অবদান রাখছে। এ সেবা বিস্তারে অবদানের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট বিচারক, আইনজীবী, এনজিওকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য ছিলো একটি শোষণ-বঞ্চনামুক্ত ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা। আমি আশা করি মুক্তিযুদ্ধের অনির্বাণ চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখবেন।
আমি ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৫’ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/মোহাম্মদ আলী/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৫/১১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২১৩
জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“দেশে তৃতীয়বারের মত ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ পালিত হতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। সামাজিক প্রতিবন্ধকতা বা আর্থিক দৈন্যতার কারণে কেউ যেন ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে আমরা ২০০০ সালে ‘আইনগত সহয়তা প্রদান আইন’ পাস করি।
সুবিচার পাওয়া প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, সামাজিক বৈষম্য কিংবা দারিদ্র্যতার কারণে কাউকে বিচারপ্রাপ্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন এর আওতায় সরকার সারাদেশে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটির মাধ্যমে অসহায়, দরিদ্র ও নিঃস্ব জনগণকে আইনগত সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রমকে অবহেলা করা হয়। আমরা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে সরকারি আইনি সেবা কার্যক্রমের উন্নয়নে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ফলে সারাদেশে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রমের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে।
সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রম আরও কার্যকর ও গতিশীল করে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচারে সহজ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রত্যেক জেলায় স্থায়ীভাবে ‘লিগ্যাল এইড অফিস’ স্থাপন করা হয়েছে। এ অফিসের মাধ্যমে আইনগত সহায়তার পাশাপাশি বিনা খরচে দরিদ্র জনগণকে আইনগত পরামর্শও প্রদান করা হচ্ছে।
এছাড়া জেলা লিগ্যাল অফিসের মধ্যস্থতায় আপোশ মীমাংসার মাধ্যমে মামলা বা বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মামলাজটের কবল থেকে বিচার বিভাগ কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পাবে। সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে অতি সম্প্রতি সরকারি আইনি সেবা গ্রহীতার সংখ্যা এক লাখে উন্নীত হয়েছে।
জনকল্যাণে আইনি সেবার প্রচার ও প্রসারে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বার কাউন্সিল, বার এসোসিয়েশনসহ আন্তর্জাতিক সংগঠন, বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমি ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৫’ এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নুরএলাহি/মোহাম্মদ আলী/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৫/১১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২০৫
ভূমিকম্পের সময় করণীয়
ঢাকা, ১৩ বৈশাখ (২৬ এপ্রিল) :
ভূমিকম্প থেকে জনগণের জানমাল এবং সম্পদ রক্ষার্থে সংযুক্ত বিজ্ঞপ্তিটি আজ থেকে পরবর্তী ৭ দিন সকল ইলেকক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় বহুল প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
ভূমিকম্পের সময় আপনার করণীয় :
ভূকম্পন অনুভূত হলে আতঙ্কিত হবেন না।
ভূকম্পনের সময় বিছানায় থাকলে বালিশ দিয়ে মাথা ঢেকে টেবিল, ডেস্ক বা শক্ত কোন আসবাবপত্রের নিচে আশ্রয় নিন।
রান্নাঘরে থাকলে গ্যাসের চুলা বন্ধ করে দ্রুত বেরিয়ে আসুন; বিম, কলাম ও পিলার ঘেষে আশ্রয় নিন; শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালে স্কুলব্যাগ মাথায় দিয়ে শক্ত টেবিলের নিচে আশ্রয় নিন।
ঘরের বাইরে থাকলে গাছ, উঁচুবাড়ি, বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে খোলাস্থানে আশ্রয় নিন।
গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, হাসপাতাল, মার্কেট ও সিনেমা হলে থাকলে বের হওয়ার জন্য দরজার সামনে ভিড় কিংবা ধাক্কাধাক্কি না করে দুহাতে মাথা ঢেকে বসে পড়–ন।
ভাংগা দেয়ালের নিচে চাপা পড়লে বেশি নড়াচড়ার চেষ্টা করবেন না। কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন, যাতে ধুলা বালি শ্বাস নালিতে না ঢোকে।
একবার কম্পন হওয়ার পর আবারও কম্পন হতে পারে। তাই সুযোগ বুঝে বের হয়ে খালি জায়গায় আশ্রয় নিন।
উপরতলায় থাকলে কম্পন বা ঝাঁকুনি না থামাপর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তাড়াহুড়ো করে লাফ দিয়ে বা লিফট ব্যবহার করে নামা থেকে বিরত থাকুন।
কম্পন বা ঝাঁকুনি থামলে সিঁড়ি দিয়ে +দ্রুত বেরিয়ে পড়–ন এবং খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিন।
গাড়িতে থাকলে ওভারব্রিজ ফøাইওভার, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে গাড়ি থামান। ভূকম্পন না থামাপর্যন্ত গাড়ির ভিতরে থাকুন।
ব্যাটারিচালিত রেডিও, টর্চলাইট, পানি এবং প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম বাড়িতে রাখুন
এবং বিল্ডিং কোড মেনে ভবননির্মাণ করুন।
#
ফায়জুল/মোশারফ/জয়নুল/২০১৫/১৭৫৫ ঘণ্টা