তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭১৭
সাংবাদিকদের অধিকার অক্ষুণœ রেখেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
---তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ আশ্বিন (৩ অক্টোবর) :
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম রক্ষার জন্য। এ আইন সাংবাদিকদের অধিকার ক্ষুণœ করবে না।
আজ রাজধানীর গণগ্রন্থাগারে শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে দৈনিক বাংলার ডাক পত্রিকার দশম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন।
ইনু বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র, শান্তি ও সুশাসন বজায় রাখা আর জঙ্গিবাদ ও সাইবার অপরাধ দমনের জন্যই আধুনিক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এ আইন অপরাধ দমনের জন্য, গণমাধ্যমকে সংকুচিত করার জন্য নয়।’
এসময় বিএনপি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা-বিএনপি চক্র বারবার গণতন্ত্র আর সুশাসনের বিরুদ্ধে জঙ্গি-নাশকতার পথ বেছে নিয়েছে, এখনো তারা সেই পথেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়। যারা গণতন্ত্র ও সংবিধান মানে না, মানুষের উপর আগুনযুদ্ধ চাপায়, রাজনীতিতে তাদের ঠাঁই নেই।’
বাংলার ডাকের প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ মনোয়ার হোসেন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে এম এ ফারুক প্রিন্স ও জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন, জাতীয় যুবজোট সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাসানুজ্জামান মাসুদ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
#
আকরাম/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/২০৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭১৬
উত্তর কোরিয়ার সাথে গণমাধ্যম চুক্তি হবে
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ আশ্বিন (৩ অক্টোবর) :
বাংলাদেশ ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সংবাদ আদান প্রদান ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান বিনিময়ের জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে নীতিগতভাবে ঐকমত্য পোষণ করা হয়েছে।
আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে উত্তর কোরিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পাক সং ইয়োপ (চধশ ঝড়হম ণড়ঢ়) তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সাথে সাক্ষাতে এলে এবিষয়ে একমত হন তাঁরা।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাথে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ও টেলিভিশনের চুক্তির বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর দেয়া প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, উত্তর কোরিয়া সবসময় বাংলাদেশকে তার প্রকৃত বন্ধু মনে করে এবং দু’দেশের ঘনিষ্ঠতর যোগাযোগ দু’দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে একান্ত সহায়ক হবে।
#
আকরাম/ফারহানা/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০৩০ ঘণ্টা
Handout Number : 2715
ISA General Assembly in India
Shahriar Alam delivers country statement
Dhaka, October 3 :
“Bangladesh is committed to green, clean and sustainable energy”-says State Minister for Foreign Affairs Md. Shahriar Alam during the first General Assembly of International Solar Alliance (ISA) held today in Greater Noida, India.
During the Assembly Md. Shahriar Alam delivered the country statement where he expressed Bangladesh Government’s willingness and commitment to work with the member countries of ISA for ensuring sustainable solar energy. He also underscored the Government’s priority for green and clean energy.
In his statement, the State Minister elaborated the current status of solar energy usage in Bangladesh. Conveying Bangladesh Government’s readiness to share its innovation with the member states of ISA for better solar technology, he also informed the international dignitaries present in the Assembly that Bangladesh had already shared best practices in Solar Home System with several African countries. He urged the Assembly to work for a cheaper and reliable solar energy through the transfer of solar technology among the member countries. The State Minister concluded with a suggestion that “collective approaches” can fulfil the goal and aspiration of the member states of ISA in this regard.
Md. Shahriar Alam is on a three-day official visit in Delhi, India. He arrived in New Delhi on 2 October and attended the Inaugural Ceremony of the First General Assembly of the ISA and the 2ND IORA Renewable Energy Ministerial Meeting. The events were simultaneously inaugurated by the Prime Minister of India Shri Narendra Modi with the presence of UN Secretary General Antonio Guterres and ministerial delegation from many of the ISA member countries.
#
Tohidul/Mahmud/Sanjib/Salimuzzaman/2018/1950 Hrs
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭১৪
৭ অক্টোবর থেকে ২২ দিন নির্দিষ্ট এলাকায় মাছ ধরা নিষেধ
ঢাকা, ১৮ আশ্বিন (৩ অক্টোবর) :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, সরকার মৎস্য খাতের উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছে। ইলিশ সংরক্ষণে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন প্রজনন ক্ষেত্রের ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় সকল প্রকার মাছ আহরণ, পরিবহণ, মজুত, বাজারজাতকরণ এবং ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে ১-২ বছরের জেল অথবা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। একই অপরাধ দু’বার করলে শাস্তি দ্বিগুণ হবে।
আজ ঢাকায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০১৮’ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ১১ শতাংশের অধিক অর্থাৎ ৫ লাখ লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ইলিশ আহরণের ওপর নির্ভরশীল এবং ২০-২৫ লাখ মানুষ ইলিশের পরিবহণ, বিক্রয়, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রপ্তানি কাজে নানাভাবে জড়িত। দেশের মৎস্য উৎপাদনে স¦য়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, নৌপুলিশ, নেভি, কোস্টগার্ড, বিজিবি, বিমান বাহিনী, মৎস্যজীবী সমিতি, জেলে সম্প্রদায় এবং মন্ত্রাণালয়াধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের ভূমিকাও কম নয়। এ ব্যাপারে ব্যাপক প্রচারণা ও গণসচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমের অবদানও অনস্বীকার্য।
মৎস্যমন্ত্রী জানান, ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার প্রজনন ক্ষেত্রসমূহ হচ্ছে মীরসরাই উপজেলার শাহের খালী হতে হাইতকান্দী পয়েন্ট, তজুমুদ্দীন উপজেলার উত্তর তজুমুদ্দীন হতে পশ্চিম সৈয়দপুর আওলিয়া পয়েন্ট, কলাপাড়া উপজেলার লতা চাপালি পয়েন্ট এবং কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর কুতুবদিয়া হতে গ-ামার পয়েন্ট। এছাড়াও চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, শরীয়তপুর, ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, জামালপুর, নারায়নগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও গোপালগঞ্জ জেলার সকল নদ-নদীতে এ সময় সকল প্রকার মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। তবে এর বাইরের অন্যান্য পুকুর-বিল বা হাওর-বাঁওড় ও জলাশয় মাছ ধরার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়াও দেশের সুন্দরবনসহ সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা এবং মোহনাসমূহেও এই ২২ দিন সকল প্রকার মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। এ সময় দেশের সকল মাছঘাট, আড়ত, হাট-বাজার, চেইনশপসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় এই ২২ দিন মোবাইল কোর্টসহ অন্যান্য অভিযানও পরিচালিত হবে।
সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম ম-ল, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
শাহআলম/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭১৩
জাতীয় স্যানিটেশন মাসের উদ্বোধন
ঢাকা, ১৮ আশ্বিন (৩ অক্টোবর) :
আজ রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মিলনায়তনে ‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস অক্টোবর-২০১৮’ এর উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদেরের সভাপতিত্বে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে স্যানিটেশন মাসের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ইউনিসেফ বাংলাদেশের পানি সরবরাহ বিশেষজ্ঞ বলুওয়াজি ওনাবলু (ইড়ষঁধিলর ঙহধনড়ষঁ), ওয়াটার এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মোঃ খাইরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। ‘টেকসই উন্নয়ন ও স্বাস্থসম্মত স্যানিটেশন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশে মাসব্যাপী সচেতনতামূলক ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শতভাগ স্বাস্থসম্মত স্যানিটেশন অর্জনের লক্ষ্যে ‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস অক্টোবর- ২০১৮’ পালিত হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিনিয়র সচিব বলেন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগের হার প্রায় শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনার ক্ষেত্রে যে অভাবনীয় সফলতা দেখিয়েছে তা অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশ দৃষ্টান্ত হিসেবে গ্রহণ করেছে। শতভাগ স্বাস্থসম্মত স্যানিটেশন অর্জনের মাধ্যমে দেশের এ সফলতাকে টেকসই করতে হবে। তিনি আরো বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য নিরাপদ পানি ও স্বাস্থসম্মত স্যানিটেশন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সরকার বদ্ধপরিকর। ২০০৩ সাল থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগ অক্টোবর মাসকে জাতীয় স্যানিটেশন মাস হিসেবে পালন করায় স্বাস্থসম্মত টয়লেট ব্যবহারে মানুষ উদ্বুদ্ধ হয়েছে। দেশব্যাপী স্যানিটেশন কার্যক্রমকে বেগবান করতে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে স্যানিটেশন টাস্কফোর্স গঠন করে দেয়া হয়েছে এবং টাস্কফোর্সসমূহ সফলতার সাথে কাজ করছে বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ মনিরুজ্জামান স্বাগত বক্তব্য রাখেন ও স্যানিটেশন সেক্রেটারিয়েটের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ গোলাম মোক্তাদির ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও স্যানিটেশন’ বিষয়ক অগ্রগতি ও পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
#
জাকির/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৯০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭১২
স¦াস্থ্যমন্ত্রীর সাথে ইরানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১৮ আশ্বিন (৩ অক্টোবর) :
নির্যাতনের ভয়ে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে ওআইসিকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, বিশে^ নিগৃহীত নিপীড়িত মুসলিম জনগণের স্বার্থরক্ষার লক্ষ্যেও ওআইসিকে সোচ্চার হতে হবে।
আজ সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আব্বাস ভেইজী দেহনভী (অননধং ঠধবুর উবযহধার) মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে আসলে স¦াস্থ্যমন্ত্রী এসব একথা বলেন।
ইরানকে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করে সাক্ষাৎকালে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এসময় তিনি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ইরানের সহায়তা কামনা করেন।
প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য মৌলিক সমস্যা নিশ্চিত করা বাংলাদেশের মতো সীমিত সম্পদের দেশের জন্য দুরূহ হওয়া সত্ত্বেও মানবতার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে আশ্রয় দিয়ে বিশ^ নেতৃবৃন্দের প্রশংসা অর্জন করেছেন বলে এসময় মোহাম্মদ নাসিম জানান। তিনি বলেন, কিন্তু এত সংখ্যক বহিরাগতকে বেশিদিন সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশ ও সহায়ক রাষ্ট্রের সহযোগিতার কথাও মন্ত্রী কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। এসময় তিনি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
সাক্ষাৎকালে উভয়ে দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এসময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান উপস্থিত ছিলেন।
#
পরীক্ষিৎ/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৮৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭১১
বর্তমান সরকারের গৃহীত উন্নয়ন কার্যক্রম জনগণের কাছে তুলে ধরতে আগামী ৪-৬ অক্টোবর, ২০১৮ রাজধানী ঢাকাসহ একযোগে দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় ৪র্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল সকালে ঢাকায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ মেলা উদ্বোধন করবেন। রাজধানী ঢাকায় আগারগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা’র মাঠে এ মেলা আয়োজন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগ এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সাফল্য, রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১- এর মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা, তথ্যপ্রযুক্তি, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বিভিন্ন মেগাপ্রকল্প এবং দেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, গণমাধ্যমসহ দেশের উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান এবং বর্তমান সরকারের সময়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন ও সাফল্যের বিষয়ে মেলায় জনগণকে অবহিত করা হবে। মেলায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের ১১টি স্টল থাকবে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসমূহেও এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।
জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক আয়োজনে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর/সংস্থা ব্যাংক, বীমা ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করবে। মেলায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘রিয়েলিটি শো’, রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কনসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭১০
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরাধীন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের (স্কুল ও কলেজ) শিক্ষক-কর্মচারীগণের সেপ্টেম্বর/২০১৮ মাসের বেতন-ভাতাদি’র সরকারি অংশের ৮টি চেক অনুদান বণ্টনকারী অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, প্রধান কার্যালয়ে এবং জনতা ও সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, স্থানীয় কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আগামী ৯ অক্টোবর পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শাখা ব্যাংক হতে সেপ্টেম্বর/২০১৮ মাসের বেতন-ভাতাদি’র সরকারি অংশ উত্তোলন করা যাবে।
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭০৯
বাংলাদেশের বিশাল জনসংখ্যাকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, দেশের ষোলকোটি মানুষের শ্রম ও মেধাকে সম্পদে পরিণত করে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কাজে লাগাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী পরিকল্পনা, উদার ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির ফলে বাংলাদেশ কৃষি, শিল্প, সেবাসহ সকলখাতে দ্রুত অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে কৃষিখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কৃষিমন্ত্রী ২ অক্টোবর ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) আয়োজিত জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস-২০১৮ উপলক্ষে ‘সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে উৎপাদনশীলতা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মতিয়া চৌধুরী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালি জাতিকে নতুন পথের সন্ধান দিয়েছেন। তিনি মানসম্মত ও পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন জোরদার করে কার্বন নির্গমন কমিয়ে এনেছেন। সৌরবিদ্যুতের উৎপাদন বাড়িয়ে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এর ফলে দেশে সবুজ উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পথ সুগম হচ্ছে এবং নির্ধারিত সময়ের আগেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের যুগ্ম-পরিচালক মো. আবদুল মুসাব্বির। এতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লুৎফুন নাহার বেগম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।