Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৯ নভেম্বর ২০২২

তথ্যবিবরণী ২৯ নভেম্বর ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৪৭৩৮

 

তরুণ অ্যাপস ডেভেলপাররা  স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে

                                                   -- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৪ অগ্রহায়ণ (২৯ নভেম্বর) :

ন্যাশনাল হ্যাকাথন ২০২২ প্রতিযোগিতার সেরা ১০ দলের মধ্যে পুরস্কার পায় ন্যাশনাল অ্যাপস্টোর, বিডিঅ্যাপস। আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত গালা ইভেন্টে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিডিঅ্যাপস ন্যাশনাল হ্যাকাথন ২০২২’ এর  এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। রবি পরিচালিত বিডিঅ্যাপস আইসিটি বিভাগের সহযোগিতায় এ জাতীয় হ্যাকাথনের আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায়  প্রতিমন্ত্রী  বলেন, তরুণ অ্যাপস ডেভেলপাররা  স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে। তিনি বলেন বিডিঅ্যাপস একটি  সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের তরুণ, তরুণীদের প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ জনসন্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে আইসিটি বিভাগ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, ব্লকচেইন, রোবটিকস, সাইবার সিকিউরিটিসহ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি বিষয়ে প্রশিক্ষণ  প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে আইটি, আইটিইএস খাত থেকে রপ্তানি আয়  ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগামী ২০২৫ সালে আমাদের ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি আমারা। আমাদের তরুণ অ্যাপস ডেভেলপারদের সহযোগিতায় আমরা সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবো বলে তিনি জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অভ্‌ সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস) এর সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সিইও রাজীব শেঠি, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমেদ। পরে প্রতিমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

উল্লেখ্য, মোট ২ হাজার দলে ভাগ হয়ে প্রতিযোগিতায় ৫ হাজার অ্যাপ ডেভেলপার অংশগ্রহণ করেন। জাতীয় পর্যায়ের হ্যাকাথনের পূর্বে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেটে পাঁচটি আঞ্চলিক পর্যায়ের হ্যাকাথনের আয়োজন করা হয় যেখানে সারা দেশের অ্যাপস ডেভেলপাররা অংশ নেন। জাতীয় পর্যায়ের হ্যাকাথনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সেরা ১০টি দল প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত হয়। প্রতিযোগিতার শীর্ষ দল হিসেবে নির্বাচিত হয় টিম হাকো।

#

শহিদুল/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২২৩০ ঘণ্টা

 

 

 

‍‍‍‍‍তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৪৭৩৭

 

জগলুল আহমেদ চৌধুরী এ প্রজন্মের সাংবাদিকদের জন্য অনুসরণীয়

                                                               -- পররাষ্ট্রমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৪ অগ্রহায়ণ (২৯ নভেম্বর) :

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রয়াত সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর ক্ষেত্রে আমাদের জন্য দু’টি বিষয় অনুকরণীয় হতে পারে; একটি হচ্ছে- চলন্ত বাস থেকে যাত্রী উঠানামা বন্ধ করার ব্যবস্থা করা আর আরেকটি হচ্ছে- সাংবাদিকদের মানসম্পন্ন সাংবাদিকতার চর্চায় নজর দেয়া। ড. মোমেন বলেন, জগলুল আহমেদ সবসময় সঠিক তথ্য তুলে ধরতেন। ইদানীংকালে আমাদের যারা নতুন সাংবাদিক তাদের জন্য জগলুলকে অধ্যয়ন করা দরকার।

 

দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতির বিশ্লেষক মরহুম জগলুল আহমেদ চৌধুরীর ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

অনুজপ্রতিম সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরীর সাথে পারিবারিক সূত্রে এবং পেশাগত কারণে নিজের সম্পর্কের কথা স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, তাঁর মৃত্যু অত্যন্ত পীড়াদায়ক। জগলুল আহমেদ চৌধুরী বাংলাদেশের জন্য সাংবাদিকতার যে নিদর্শন রেখে গেছেন তা এ প্রজন্মের সাংবাদিকদের জন্য অনুসরণীয় হতে পারে।

 

ড. মোমেন আরো বলেন, পেশাদার সাংবাদিকদের যেহেতু অনেক কিছু জানতে হয়, জগলুলেরও জানার অনেক আগ্রহ ছিল। তিনি সবসময় তথ্য জানার চেষ্টা করতেন এবং রিপোর্টিংয়ের জন্য প্রচুর জ্ঞানার্জন করতেন। বিশেষ করে উপমহাদেশ সম্পর্কে জানার বিষয়ে তাঁর গভীর আগ্রহ ছিল। সে আগ্রহ থেকেই তিনি প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়ে অনেক কিছু জানতেন এবং বিশ্লেষণ করতে পারতেন। তিনি বলেন, মানুষ হিসেবেও জগলুল আহমেদ অত্যন্ত হৃদয়বান ছিলেন। তিনি কখনো কাউকে অসম্মান করতেন না। এটি তাঁর একটি বড় গুণ। মনের দিক থেকেও তিনি উদার ছিলেন। 

 

সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরী স্মৃতি ট্রাস্টের উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন ট্রাস্টের সভাপতি সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, এমপি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ট্রাস্টের মহাসচিব ও দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। অনুষ্ঠানে প্রয়াত সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরীর পরিবারের সদস্য, আত্মীয়, সিনিয়র সাংবাদিক ও বন্ধুজনেরা স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন।

 

#

 

মোহসিন/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২২১০ ঘণ্টা

 

 

‍‍‍‍‍তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৪৭৩৬

 

কপ-২৭ এ বাংলাদেশ কার্যকর ও সফলভাবে ভূমিকা পালন করেছে

                                                             -- পরিবেশমন্ত্রী

ঢাকা, ১৪ অগ্রহায়ণ (২৯ নভেম্বর) :

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সদ্য সমাপ্ত জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৭ এ বিভিন্ন ইস্যুভিত্তিক আলোচনায় বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশ, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অত্যন্ত বিপন্ন ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশসূহের পক্ষে সফলভাবে কার্যকর ও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে। ‘হাই লেভেল সেগমেন্টে’ বাংলাদেশের পক্ষে প্রদত্ত ‘কান্ট্রি স্টেটমেন্টে’ ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান নিশ্চিত করা এবং দীর্ঘমেয়াদি জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘নিউ কালেক্টিভ কোয়ান্টিফাইড গোল অন ক্লাইমেট ফাইন্যান্স’ আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জনের জন্য জোরালো আহ্বান জানানো হয়েছে।

আজ পরিবেশ অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে ‘২৭তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ ২৭) : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলোকে ২০২৫ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশসমূহে অভিযোজন অর্থায়ন দ্বিগুণ করা, জলবায়ু অর্থায়নের সংজ্ঞা চূড়ান্ত করা এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা প্রদান করার জন্য বাংলাদেশের পক্ষে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ‘লস এন্ড ড্যামেজ’ এড়ানো, কমানো এবং মোকাবিলার জন্য একটি অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, UNFCCC-ভুক্ত ১৯৭টি সদস্য রাষ্ট্র দীর্ঘ আলোচনার পর ২০ নভেম্বর ভোরে ‘শার্ম আল শেখ ইমপ্লিমেন্টেশন প্ল্যান’ গ্রহণসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, সম্মেলনে অধিক বিপদাপন্ন উন্নয়নশীল দেশসমূহে ‘লস এন্ড ড্যামেজ’ এর ক্ষতিপূরণের জন্য নতুন একটি ফান্ড গঠন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। কপ-২৮-এ উক্ত তহবিল কার্যকর করার জন্য এবং এর বিস্তারিত পরিকল্পনা ঠিক করার জন্য একটি ‘ট্রাঞ্জিশনাল কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, সম্মেলনে ‘লস এন্ড ড্যামেজ’ চূড়ান্ত করে এর হোস্ট নির্ধারণ এবং উপদেষ্টা কমিটি গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। দেশসমূহ ‘গ্লোবাল গোল অন এডাপটেশন’ এর কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে সম্মত হয়েছে। মন্ত্রী আরো বলেন, ‘এডাপটেশন ফান্ড’-এ ২৩০ মিলিয়ন ইউএস ডলার প্রদানের অঙ্গীকার করা হয়েছে। ন্যাপ বাস্তবায়নের জন্য অর্থায়নে গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পৃথিবীর প্রত্যেককে আগাম সতর্কতা ব্যবস্থার মাধ্যমে সুরক্ষিত রাখার জন্য ৩.১ বিলিয়ন ডলারের একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মতো অধিক বিপদাপন্ন উন্নয়নশীল দেশসমূহে ‘লস এন্ড ড্যামেজ’ এড্রেস করার জন্য নতুন একটি তহবিল গঠন করার সিদ্ধান্তসহ ‘শার্ম আল শেখ ইমপ্লিমেন্টেশন প্ল্যান’ পৃথিবীর সকল দেশ কর্তৃক অভিনন্দনের সাথে গৃহীত হয়েছে, তবে এর সফল কার্যকারীতা নির্ভর করবে এর যথার্থ বাস্তবায়নের ওপর। আমরা আশা করি, বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় আরো তৎপর হবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী।

#

দীপংকর/সিরাজ/এনায়েত/মোশারফ/রফিকুল/সেলিম/২০২২/২১২০ ঘণ্টা

 

‍‍‍‍‍তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৪৭৩৫

 

‍‍‍‍‍পাঠক কখনো স্বাধীনতার ঘোষক হতে পারে না

                            -- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

 

সিরাজগঞ্জ, ১৪ অগ্রহায়ণ (২৯ নভেম্বর) :

 

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ইতিহাস বড়ই নির্মম। মিথ্যা দিয়ে ইতিহাস রচনা করা যায় না এবং তা কখনো স্থায়ীও হয় না। জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন পাঠক। পাঠক কখনো স্বাধীনতার ঘোষক হতে পারে না। তিনি বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরস্থ রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি মিলনায়তনে ‍‍‍রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত মতবিনিময় সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ, বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। অর্থনীতির এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।  কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতিসহ সকল সেক্টরে উন্নয়নের ধারা বইছে। উন্নয়নের এ ধারাকে অব্যাহত রাখতে, সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে এবং অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার বিকল্প একমাত্র শেখ হাসিনাই।

 

প্রতিমন্ত্রী সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করে বলেন, পর্যাপ্ত জায়গা নিয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণ করা উচিত যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রকৃতির মাঝে আনন্দের সঙ্গে শিক্ষা লাভ করতে পারে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে এটি দেখে মনে হয় দ্বিতীয় শান্তিনিকেতন।

 

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম। স্বাগত বক্তৃতা করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানা, সিরাজগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গনপতি রায়, শাহজাদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রফেসর আজাদ রহমান এবং বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রফেসর ড. জান্নাত আরা হেনরী।

 

পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বর মুক্তমঞ্চে সাঁথিয়া থিয়েটারের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী (২৯ নভেম্বর থেকে ০১ ডিসেম্বর) লোকনাট্য উৎসব ২০২২ -এ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ডেপুটি স্পিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ এ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। প্রতিমন্ত্রী উক্ত অনুষ্ঠানে যোগদান করেন এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু।

#

ফয়সল/পাশা/সিরাজ/এনায়েত/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/১৯২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ৪৭৩৪

 

মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ধ্বংসে নেমেছে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের প্রতিনিধিরা

                                                                                  --- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা, ১৪ অগ্রহায়ণ (২৯ নভেম্বর) :

            মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে নেমেছে স্বাধীনতাবিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীল বিএনপি-জামায়াত এবং দেশের বাইরে তাদের অর্থায়নকৃত প্রতিনিধিরা। এমন সময়ে আরো দৃঢ়তার সঙ্গে ও দৃপ্ত প্রত্যয়ে অনলাইন গণমাধ্যমকে ভূমিকা রাখতে হবে। তাহলে স্বাধীনতাবিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীলরা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে পারবে না।

            আজ রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ভিশন নিউজ ২৪ এর অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি প্রতিরোধে অনলাইন গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

            এ সময় মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ থাকবে না। শেখ হাসিনা না আসলে রণাঙ্গনের ধ্বনি জয় বাংলা উচ্চারণ করা যেত না। শেখ হাসিনা না আসলে লাল-সবুজের পতাকা থাকত কী না সন্দেহ।

            শ ম রেজাউল করিম বলেন, নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে, আজকের বাংলাদেশ হঠাৎ করে হয়নি। কোন এক মেজরের বাঁশির হুইসেলে বাংলাদেশ হয়নি। এ বাংলাদেশ অর্জন করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। জাতির পিতাকে হত্যার পর আবার মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ২১ বছর পর ফিরিয়ে আনতে কত কষ্ট করতে হয়েছে, কীভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে অন্তত ১৯ বার মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছে, কীভাবে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করার অপচেষ্টা হয়েছে, ইতিহাসের পাতায় এ অধ্যায়গুলো ধারণ করতে হবে।

            মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। তাদের উত্তরসূরীরা এখনও বেঁচে আছে। অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তাদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তা করতে না পারলে স্বাধীনতাবিরোধীরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করে ফেলতে পারে। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে। এ জন্য নিউজ পোর্টালের পাশাপাশি প্রত্যেকের নিজস্ব ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে, অপরাজনীতির বিরুদ্ধে এবং যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

            ভিশন নিউজ ২৪ এর সম্পাদক সুজন হালদারের সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। এ সময় আরো বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, শিল্পোদ্যোক্তা প্রকৌশলী আবু নোমান হাওলাদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক গোলাম রব্বানী বাবলু, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহসভাপতি শেখ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ভিশন নিউজ ২৪ এর নির্বাহী সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস।

#

ইফতেখার/পাশা/সিরাজ/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/২১১৫ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ৪৭৩৩

আজকের ক্ষুদে ফুটবলারই বাংলাদেশকে নিয়ে যাবে বিশ্বকাপের আসরে

                                                                      --- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব

ঢাকা, ১৪ অগ্রহায়ণ (২৯ নভেম্বর) :

            প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেছেন, দেশবাসী স্বপ্ন দেখে একদিন বাংলাদেশও বিশ্বকাপ ফুটবলের বর্ণিল আসরে স্থান করে নেবে এবং মেসি, রোনালদো ও নেইমারের মতো এ দেশের তারকা ফুটবলারদের কথাও বিশ্বের গণমাধ্যমে ঠাঁই পাবে। এর কারিগর হবে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলোয়াড়রা। আজকের এসব ক্ষুদে ফুটবলারই বাংলাদেশকে নিয়ে যাবে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসরে।

            আজ রাজধানীর কমলাপুরে বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের’ বিভাগীয় পর্যায়ের ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সচিব এসব কথা বলেন।

             সচিব বলেন, সম্প্রতি নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ মহিলা ফুটবল টুর্নামেন্টের আসরে চমৎকার নৈপুণ্য প্রদর্শন করে বাংলাদেশের মেয়েরা চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করেছে। এ টুর্নামেন্টের ৫ (পাঁচ) জন খেলোয়াড়ের ফুটবল অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টের মাধ্যমে। এ গৌরব প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের।

            ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত, প্রাথমিক শিক্ষা অধিপ্তরের ঢাক বিভাগীয় উপ-পরিচালক মির্জা হাসান খসরু প্রমুখ।

            ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট’র ফাইনালে রাজবাড়ি সদরের বিনোদপুর কলেজপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টাইব্রেকারে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের বীরচারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ১ (৪)- ১(২) গোলে এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে টাঙ্গাইলের, ঘাটাইলের নলমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ফরিদপুরের, ভাঙার চুমুরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ৪-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করে।

             খেলা শেষে অতিথিবৃন্দ খেলোয়াড়দের মাঝে ট্রফি ও মেডেল বিতরণ করেন।

#

তুহিন/পাশা/সিরাজ/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/২১১০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ৪৭৩২

নারী শান্তিরক্ষীরা নাগরিকদের সুরক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে

                                                                               --- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

লন্ডন, ১৪ অগ্রহায়ণ (২৯ নভেম্বর) :

            মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব এবং কারও সাথে বৈরিতা নয়’ বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করে আসছে বাংলাদেশ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকে জোরালোভাবে সমর্থন করেন। ১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা এবং নারী শান্তিরক্ষীরা ২০০০ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে  অংশগ্রহণ করে আসছে। বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সর্বোচ্চ সেনাপ্রদানকারী দেশ। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ২ হাজার ৩৯৭ জন নারী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে এবং বর্তমানে ৫৭৯ জন নারী বিভিন্ন মিশনে নিয়োজিত আছে। এর বাইরেও দক্ষিণ সুদান ও সোমালিয়ায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের চারজন নারী বিচারক দায়িত্ব পালন করছেন।

            তিনি গতকাল লন্ডনে কুইন এলিজাবেথ সেন্টারে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত দু’দিনব্যাপী ‘প্রিভেন্টিং সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স ইন কনফ্লিক্ট ইনিশিয়েটিভ কনফারেন্স (পিএসভিআই) ২০২২’ এ বেস্ট প্র্যাকটিস ইন ডিফেন্স অন প্রিভেন্টিং এন্ড রেসপন্ডিং টু কনফ্লিক্ট রিলেটেড সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স সেশনে এসব কথা বলেন।

            প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে নারী, শিশু ও সাধারণ মানুষ নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হয়ে শান্তিরক্ষী বাহিনীর নিকট থেকে সহায়তা প্রত্যাশা করে। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী সংঘাতপূর্ণ ও অস্থিতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণ করে নারীর ক্ষমতায়ন এবং জেন্ডার সমতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ ২০১৬ সালে আইভরিকোস্টে জাতিসংঘের ইতিহাসে প্রথম দেশ হিসেবে নারী সামরিক কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মোতায়েন করে। নারী শান্তিরক্ষীদের উপস্থিতি স্থানীয় জনগণের আস্থা অর্জন জেন্ডার ভায়োলেন্স রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তারা বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা, নারীর সুরক্ষা, শান্তি ও নিরাপত্তা এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচন পরিচালনাসহ আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।

            প্রতিমন্ত্রী বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনে বিপুল সংখ্যক নারীর অংশগ্রহণ জেন্ডার বৈষম্য ও যৌন সহিংসতা প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। শান্তি রক্ষা মিশনের উচ্চপদে নারীদের পদায়ন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সমান সুযোগ এবং সংঘাতময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন ১৩২৫ বাস্তবায়ন এবং একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যে পরিবার, কমিউনিটি এবং সমাজে সকল পরিস্থিতিতে নারীর সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

            যুক্তরাজ্যের আর্মড ফোর্সেস মন্ত্রী James Heappey - এর সভাপতিত্বে এ সেশনে আলোচক ছিলেন ন্যাটোর মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি Irene Fellin যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মেজর Charmaine Geldenhuys, জেনেভা সেন্টার ফর সিকিউরিটি সেক্টর গভর্নেন্সের Dr. Mrgan Bastick এবং বিপিএসটি’র জেন্ডার এ্যাডভাইজার Dr. Sellah KingÕoro. এসময় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল। এ কনফারেন্সে বিশ্বের সত্তরটির বেশি দেশের প্রতিনিধি, শান্তিরক্ষা মিশনের প্রতিনিধি ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছে।

#

 

আলমগীর/পাশা/সিরাজ/এনায়েত/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/২১০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ৪৭৩১

দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে ২৮টি পাড়াকেন্দ্রে ডিজিটাল ক্লাসরুমের অভিযাত্রা শুরু

ঢাকা, ১৪ অগ্রহায়ণ (২৯ নভেম্বর) :

            দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ২৮টি পাড়াকেন্দ্রে ডিজিটাল ক্লাসরুম উপকরণ, ডিজিটাল কন্টেন্টসহ ট্যাবলেট এবং পাঠ্যপুস্তক হস্তান্তরের মাধ্যমে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ‘সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ডিজিটালকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। মন্ত্রী ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা শিক্ষা গ্রহণ করার মাধ্যমে জ্ঞান আহরণ করে তা ধারণ করতে না পারলে শিক্ষার মূল্য থাকে না।

            মন্ত্রী এ উপলক্ষ্যে রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

            মন্ত্রী দুর্গম অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য প্রথাগত শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির চেয়ে ভালো কাজ হতে পারে না উল্লেখ করে বলেন, শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর হলো একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ডিজিটাল ডিভাইসে ডিজিটাল কনটেন্টে পাঠ প্রদানের ফলপ্রসূ অবদান তুলে ধরে মোস্তফা জব্বার বলেন, শিশুরা ডিজিটাল এই পদ্ধতিতে আনন্দের সাথে তাদের এক বছরের সিলেবাস ৩ মাসের মধ্যে শেষ করতে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, শিশুদেরকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করতে হবে।

            মন্ত্রী মানিকগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলায় এই প্রকল্পের অধীন পরিচালিত কয়েকটি বিদ্যালয়ের ডিজিটাল পাঠদান কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনকালে তার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে বলেন, আশপাশের স্কুলের শিক্ষার্থীরা অনেকে টিসি নিয়ে এই সকল স্কুলে চলে আসছে। যে স্কুলে মাল্টিমিডিয়া আছে সে প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল কনটেন্ট দেওয়ার দাবি উঠেছে। তিনি বলেন, শিক্ষার ডিজিটাল কনটেন্ট  হচ্ছে  ডিজিটাল যন্ত্রে পাঠদানের জন্য প্রচলিত পাঠ্যসূচির মানসম্মত ইন্টার এক্টিভিটি, ছবি, অডিও, ভিডিও, অ্যানিমেসন, টেক্সট ও অন্যান্য মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট দিয়ে প্রোগ্রামিং করা সফটওয়্যার দিয়ে ডিজিটাল ডিভাইসে শিক্ষার প্রবর্তন করা। তিনি ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে শিক্ষাবিদ, প্রযুক্তিবিদ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

            সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলের ৬শত ৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে বিটিআরসি’র এসওএফ তহবিলের অর্থায়নে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের আওতায় পার্বত্য অঞ্চলের ২৮টি পাড়াকেন্দ্রে প্রাথমিক বিদ্যালয় ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়।

            পরে বিজয় ডিজিটাল’র সিইও জেসমিন জুই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডিজিটাল কন্টেন্ট ও ল্যাপটপ বিতরণ করেন।

            বিটিআরসি’র চেয়ারম্যন শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেসমিন জুই সিইও বিজয় ডিজিটাল অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আলম চৌধুরী, রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ এবং প্রকল্প পরিচালক আবদুল ওয়াহাব বক্তৃতা করেন।

#

শেফায়েত/পাশা/সিরাজ/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৯৫০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৪৭৩০

বিএনপির সমাবেশের সুবিধার্থে সব করার পরও বাড়াবাড়ি করলে ব্যবস্থা

                                                                              --- তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ১৪ অগ্রহায়ণ (২৯ নভেম্বর) :

          তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘ঢাকায় বিএনপির নির্বিঘ্ন সমাবেশের সুবিধার্থে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলা এবং সেখানে ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ এগিয়ে আনা সত্ত্বেও তারা যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নয়াপল্টনে সমাব

2022-11-29-16-40-5d666919b2d62cc64df033e8760dc25e.docx