Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৫ জুন ২০২১

তথ্যবিবরণী ১৫ জুন 2021

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ২৭৭৩

করোনাকালীন কাজের স্বীকৃতি আইএলওর পরিচালনা পর্ষদে সর্বোচ্চ ভোট

                                                                                               -- শ্রম প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :

          শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, করোনাকালীন কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা -আইএলও এর পরিচালনা পর্ষদের উপসদস্য পদে সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত হয়েছে।

          আজ এক বিবৃতিতে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে চলমান বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকারখানায় উৎপাদন ব্যবস্থা ঠিক রেখে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য এবং জীবনমান সুরক্ষার জন্য এই আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের এই প্রাপ্তি। তিনি বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনারই কৃতিত্ব।

          গতকাল জেনেভায় আইএলওর  শ্রম সম্মেলনের ১০৯তম অধিবেশনে এই নির্বাচনে বাংলাদেশের পক্ষে ভোট পড়েছে ২০১টি। এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বাংলাদেশ সবোর্চ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত আইএলওর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে মর্যাদা অক্ষুণ্ন থাকবে।

          বিবৃতিতে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় গত বছর করোনা মহামারির শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের বেতন ভাতা নিশ্চিতে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। শ্রমিকদের বেতন ভাতা নিশ্চিত করেন। দেশের সকল মানুষকে সুরক্ষায় ৩১ দফা নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে আমরা সারা দেশে মাঠ পর্যায়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, মালিক এবং শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ২৩টি বিশেষ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠন করি। কমিটির সদস্যগণ আইএলও এর সহযোগিতায় তৈরি করা পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশিকা এবং সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক পোস্টার কারখানা পর্যায়ে বিলি করছে। এর সাথে শ্রমিকদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে শ্রমঘন এলাকায় মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে এ অধিদপ্তরের চিকিৎসকগণের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনার এই দুর্যোগকালীন সময়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল হতে গত এক বছরে প্রায় প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত ৩ হাজার ২৬৯ জন শ্রমিককে চিকিৎসা সহায়তা বাবদ ৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা, কর্মরত অবস্থায় মৃত ৯২ জন শ্রমিকের পরিবারকে ৩৯ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং শ্রমিকদের সন্তানের শিক্ষা সহায়তা বাবদ ১৬৬ জনকে ৫২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

          আইএলওর পরিচালনা পর্ষদে এটি বাংলাদেশের টানা তৃতীয় জয়। এর আগে ২০১৪-১৭ এবং

২০১৭-২১ মেয়াদেও আইএলওর পরিচালনা পর্ষদের উপসদস্য হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ। নির্বাচিত হওয়ার ফলে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পর শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা বহাল রাখার ক্ষেত্রে সদস্যদের সমর্থন আদায়ে সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। শ্রম প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেন মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম এবং জেনেভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোস্তাফিজুর রহমান।

#

আখতারুল/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২১৩৫ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ২৭৭২

পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে সকলকে সম্পৃক্ত হতে হবে

                                                                                           -- কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) : 

          কৃষিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে একটি আন্দোলনে পরিণত করেছেন। এ আন্দোলনটি পরিবেশ সুরক্ষায় দেশ ও বিশ্ব পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী ১৯৮১ সালে জীবনবাজি রেখে দেশে ফিরে আসেন। ১৯৮৩ সালে নানান প্রতিবন্ধকতার মাঝেও তিনি কৃষক লীগের এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেন। এর মাধ্যমে তিনি শুধু দেশের নয়, বৈশ্বিক পরিবেশ সুরক্ষায় অনন্য নজির স্থাপন করেন।

          আজ রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত ‘বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি- ২০২১’ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

          মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের চরম ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির  ফলে দেশের নিম্নাঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যাবে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়বে  এবং খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। এ অবস্থায়, পরিবেশ সুরক্ষায় বাংলাদেশ কৃষক লীগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে সকলকে সম্পৃক্ত হতে হবে।

          কৃষি মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয়ের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নসহ মাঠ পর্যায়ের অফিস ও কর্মকর্তারা এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত হবে ও কৃষক লীগকে সহযোগিতা করবে বলে এসময় জানান মন্ত্রী।

          মন্ত্রী খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বলেন, এফএও’র প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ পর পর ৩ বার বিশ্বে ধান উৎপাদনে তৃতীয় স্থান ধরে রাখতে যাচ্ছে। ইন্দোনেশিয়াকে টপকে এ স্থান অর্জন করে বাংলাদেশ। এটি প্রমাণ করে করোনা ও নানান দুর্যোগ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে ক্রমাগত ভালো করছে ও টেকসই উৎপাদন ব্যবস্থায় আছে।

          বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী এবং বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি।

#

কামরুল/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২১৪০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর :  ২৭৭১

 

রাষ্ট্রপতির সাথে লিবিয়ায় নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

 

ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :  

          রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সাথে আজ বঙ্গভবনে লিবিয়ায় নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান সাক্ষাৎ করেন।

          সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ লিবিয়ায় কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থ রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার জন্য নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, কোনো প্রবাসী যাতে প্রতারিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে প্রত্যাবাসনে উদ্যোগ নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেন রাষ্ট্রপতি। তিনি লিবিয়ার সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের সকল সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোরও নির্দেশনা দেন।

          নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা কামনা করেন। ‌

          রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

#

ইমরানুল/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২১০০ ঘণ্টা   

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর :  ২৭৭০

 

মোহাম্মদ নাসিমের হঠাৎ চলে যাওয়া পুরো রাজনীতি অঙ্গনের জন্যই অপূরণীয় ক্ষতি

                                                                                       ---তথ্যমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :  

 

          জাতীয় প্রেসক্লাবে আওয়ামী লীগের প্রয়াত প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের মতো একজন নেতার হঠাৎ চলে যাওয়া শুধু আমাদের দলের জন্যই নয়, পুরো রাজনীতি অঙ্গনের জন্যই অপূরণীয় ক্ষতি। নাসিম ভাইয়ের অন্যতম বড় গুণ ছিল তিনি একেবারে কট্টরবিরোধীদের সাথেও সুসম্পর্ক রাখতেন। কিন্তু তাদের ভুল বক্তব্যের প্রতিবাদ করতে দ্বিধা করতেন না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও রাজনীতির সময় কট্টরবিরোধীদের সাথেও শুধু সুসম্পর্ক নয়, অনেক সময় তাদের দেখভালও করছেন। মোহাম্মদ নাসিম ভাই সেই কাজটি করতেন। আমরা তার আত্মার শান্তি কামনা করি এবং তার পুত্র তানভীর শাকিল জয় যেনো আরো বড় নেতা হয়, সে প্রার্থনা করি।

 

          বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান প্রয়াত মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের রাজনৈতিক জীবনের ওপর আলোকপাত করেন এবং বলেন, তার জীবন থেকে এখনকার রাজনীতিবিদদের অনেক কিছু শেখার রয়েছে।

 

          স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মোহাম্মদ নাসিমের পুত্র তানভীর শাকিল জয় এমপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, অভিনয়শিল্পী তারিন জাহান ও শাহনূর, সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ ও সুজন হালদার সভায় বক্তব্য রাখেন।

 

          বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষক লীগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ২০২১ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

#

 

আকরাম/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৯২৬ ঘণ্টা    

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                 নম্বর :  ২৭৬৯

 

ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে জিয়াউর রহমান হাজার হাজার বৃক্ষও ধ্বংস করেছেন

                                                                               ---তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :  

 

            ‘জিয়াউর রহমান ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করার জন্য শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর কয়েক হাজার অফিসার ও জওয়ানকেই হত্যা করেছেন তা নয়, ঢাকা শহরের হাজার হাজার গাছও কেটে ফেলেছেন’ বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

            আজ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির  উদ্যোগে চার মাসব্যাপী চারারোপণ ও পরিচর্যা কর্মসূচির উদ্বোধনকালে মন্ত্রী একথা বলেন। বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির অন্যতম উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।

            মন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে দেশে একটি অদ্ভুত ধরণের তন্ত্র চালু করেছিলেন, সেটা হচ্ছে কারফিউতন্ত্র। যাদের বয়স পঞ্চাশের ওপরে তাদের মনে থাকবে, জিয়াউর রহমানের সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম শহরে বছরের পর বছর রাতের বেলা কারফিউ ছিল। তিনি ঢাকা শহরে রাস্তার দু’ধারের গাছপালা সব কেটে ফেলেছিলেন। জিয়াকে কেউ একজন বলেছিল যে, গাছের ফাঁক থেকে আপনাকে গুলি করতে পারে। একারণে ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে সব গাছ কেটে ফেললেন। আবার আমরা দেখলাম, হেফাজতের আন্দোলনের সময় বিএনপি-জামাত মিলে ঢাকা শহরের সব গাছ কেটে ফেলেছে। পরিবেশ-প্রকৃতি নিয়ে যারা কাজ করেন, তাদের বেশিরভাগকে তখন চুপ থাকতে দেখেছি, যেটি অনভিপ্রেত।

            ‘বিএনপি-জামাতের ক্ষমতার সময় দেশে বনভূমির পরিমাণ ৮ শতাংশে নেমে এসেছিল, আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে গত সাড়ে ১২ বছরে বৃক্ষ আচ্ছাদিত জমির পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, একইসাথে বনভূমির পরিমাণও ১২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে’ জানিয়ে ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃক্ষরোপণ-বৃক্ষসৃজনকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করেছেন। আমরা একটি করে বনজ, ভেষজ এবং ঔষধি তিন ধরণের গাছ লাগিয়ে এই আন্দোলনকে আরো বেগবান করবো।’

            আওয়ামী লীগের প্রথম বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং পরে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালনকারী পরিবেশ গবেষক ড. হাছান বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোড়দৌড়ের এই ময়দানে বৃক্ষশোভিত উদ্যান গড়ে তুলেছিলেন, তারপর এটিকে আরো গাছপালায় সুশোভিত করেছেন আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে লোকালয়ে রাস্তার ধারে শুধু বন সৃজন করা হয়েছে তা নয়, সামাজিক বনায়নের  মাধ্যমে নিঃস্ব মানুষেরা সেই গাছের মালিকানা পেয়েছে এবং নির্দিষ্ট সময়ে সেই গাছ বিক্রি করে অনেকে ১০ থেকে  ২৫ লাখ টাকাও পেয়েছেন। যেটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিবছর বিতরণ করেন। বনবিভাগের মাধ্যমেও বিতরণ করেন।’

            এসময় সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘কোনো একটি গোষ্ঠী এই পুতুল সরকার পরিচালনা করছে’ তুলে ধরলে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকার জনগণের শক্তিতে বলীয়ান একটি শক্তিশালী সরকার। সেকারণে জনগণ পর পর তিনবার রায় দিয়ে শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন। গুরুজনকে সম্মান করার শিক্ষা আমার পরিবার এবং আমার নেত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন, সেজন্য বয়সে জ্যেষ্ঠ বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান রেখে বলছি, তার ডাক নাম ‘পুতুল’ এই জন্যই হয়তো ‘পুতুল’ কথাটি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের মাথায় ঘুরপাক খায়।’

            সভা শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা কালীমন্দির সংলগ্ন অংশে ফলজ, বনজ ও ঔষধি তিন প্রকারের একটি করে গাছের চারা রোপণ করেন মন্ত্রী।

 

#

আকরাম/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২০১৪ ঘণ্টা   

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর :  ২৭৬৮

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :  

 

 ‌                  স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৩ হাজার ২৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩ হাজার ৩১৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ৩৩ হাজার ২৯১ জন। 

 

          গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০ জন-সহ এ পর্যন্ত ১৩ হাজার ২২২ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।

 

          করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৭১ হাজার ৭৩ জন।

#

দলিল/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৯২৬ ঘণ্টা   

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ২৭৬৭

 বর্তমান সরকার গণমাধ্যমবান্ধব

       -- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :

          মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশি গণমাধ্যমবান্ধব সরকার প্রধান। তাঁর সময়ে দেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম বেসরকারি খাতে টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়, সবচেয়ে বেশি বেসরকারি টেলিভিশন এবং সবচেয়ে বেশি সংবাদপত্র ও অনলাইন পোর্টাল অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং তথ্য অধিকার আইন হয়েছে। এ আইন করে তিনি জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে দিয়েছেন। শেখ হাসিনা তথ্য অধিকার আইন করে দিয়ে প্রমাণ করেছেন, কোনো তথ্য নাগরিক চাইলে তাকে দিতে হবে। অতীতে কেউ বিপর্যস্ত সাংবাদিকদের কল্যাণে এভাবে এগিয়ে আসেননি, যেভাবে তিনি করোনাকালে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে দশ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। কোনো সাংবাদিকের বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে তিনি পাশে দাঁড়ান।

          আজ রাজধানীর পল্টনে নোয়াখালী জেলা সমিতি মিলনায়তনে দৈনিক নোয়াখালী প্রতিদিন পত্রিকার নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          মন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকে বিকশিত হতে হবে সমাজ, রাষ্ট্র, দেশ ও মানুষের কল্যাণে। গণমাধ্যমে যত চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে তত বেশি চিন্তার জগৎ উন্মোচিত হবে।

          সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, সংবাদমাধ্যমে সম্পৃক্ত হওয়া মানে কঠিনকে ভালোবাসা। সাংবাদিকদের জন্য একটা কথা প্রযোজ্য সেটা হলো, ‘কঠিনেরে ভালোবাসিলাম’।

#

ইফতেখার/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২০৪০ঘণ্টা 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ২৭৬৬

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হলে বিকল্প মূল্যায়নের চিন্তা-ভাবনা

                                                                                    -- শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :

          শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া না যায় এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হয় সে ক্ষেত্রে বিকল্প মূল্যায়নের চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্তই রয়েছে।

          মন্ত্রী আজ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযানের অংশ হিসেবে কেরানীগঞ্জ জাজিরা মোহাম্মদিয়া আলীম মাদ্রাসায়, দুপুরে ইডেন মহিলা কলেজে, মোহাম্মপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে, আগারগাঁও মহিলা পলিটেকনিক ইনস্স্টটিউট এবং সরকারি তিতুমীর কলেজে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন।

          মন্ত্রী বলেন, গত বছরের শেষে এবং এ বছরের  শুরুতে সংক্রমণের হার কমিয়ে আনতে পেরেছিলাম। এখন করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বগামী। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা বলছেন ৫ শতাংশের নিচে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো একটা পরিস্থিতি হয়। কিন্তু এখন সংক্রমণের হার ১৩ শতাংশের বেশি। তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্যবিধি  মানলে সংক্রমণ কমবে।  দেশের মানুষ তো মানছে না, আর মানছে না বলেই বার বার খারাপের দিকে যাচ্ছে।

          মন্ত্রী বলেন,  দেখা যাচ্ছে অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভালো করছে। এসএসসির জন্য ৬০ দিন এবং এইচএসসির জন্য ৮৪ দিনের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হচ্ছে। আরো কিছুদিন হয়তো দেখতে হবে। যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একবারেই খোলা সম্ভব না হয় তাহলে বিকল্প চিন্তা করতে হবে। যদি পরীক্ষা নেওয়া না যায় তাহলে বিকল্প কীভাবে মূল্যায়ন হতে পারে, সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে।

          মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেক রকম চিন্তা আছে। কিন্তু পরীক্ষা হবে কী হবে না, এই মুহূর্তে বলে দিতে পারছি না। হয়ত বা খুব শিগগিরই সিদ্ধান্তটা নিতে হবে, পরীক্ষা নিতে পারবো কি পারবো না। সেটা সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। কিন্তু যেটাই হোক শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণ মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত হবে।’

          মন্ত্রী  বলেন, পরীক্ষার চাপ রেখে আনন্দের মধ্য দিয়ে কীভাবে পরীক্ষার্থীরা শিখবে সেটা নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া অব্যাহত রাখা এবং শিক্ষার্থীরা যাতে অনলাইন গেমস -এ আসক্ত হয়ে না পড়ে সে বিষয়ে নজর রাখতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

          বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধনের সময়  মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক উপস্থিত ছিলেন।

          উল্লেখ্য শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ অভিযানের অংশ হিসেবে দেশব্যাপী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩৩ লাখ গাছ লাগানো হবে।

#

খায়ের/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২০১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ২৭৬৫

আশুগঞ্জে আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্প কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন খাদ্যমন্ত্রীর

আশুগঞ্জ, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :

          খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৫ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ধারণের লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৩০টি পেডি সাইলো একনেকের বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন জেলায়  ৫টি সাইলো নির্মাণের জন্য টেন্ডারের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

          আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্প কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করা হচ্ছে। কৃষকদের প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া খাদ্যে ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার।

          মিল মালিকদের উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, চুক্তি অনুযায়ী মিল মালিকরা খাদ্য গুদামে চাল সরবরাহ না করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ব্যবসায়ী ও মিলাররা সৎ না থাকলে দেশের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না।

          আশুগঞ্জে আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্প কাজের অগ্রগতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ৫৪০ কোটি ৪৫ লাখ, ৪৯ হাজার ২৬৪ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি ২০২০ সালের ৩ এপ্রিল কাজ শেষ করার কথা থাকলেও করোনার কারণে এবং নানা জটিলতায় কাজ শেষ করতে বিলম্ব হচ্ছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। সময় বাড়ার কারণে ব্যয় বাড়বে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আরো ছয় মাস সময় বাড়লেও ব্যয় বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই।

          এ সময় মন্ত্রীর সাথে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য শিউলি আজাদ, খাদ্য সচিব ড. নাজমানারা খানুম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খানসহ জেলা ও উপজেলার কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

          উল্লেখ্য, আশুগঞ্জে এ সাইলো নির্মাণের ফলে খাদ্য অধিদপ্তরের মজুত ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এ সাইলোর ধারণক্ষমতা ১ লাখ ৫ মেট্রিকটন। এতে ৩ হাজার মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতার মোট ৩৫টি সাইলো বিন রয়েছে। এ সাইলো বিনে কীটনাশক ব্যবহার না করে অত্যাধুনিক  প্রযুক্তির মাধ্যমে আদ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে মজুত চাল প্রায় ২ বছর সংরক্ষণ করা যাবে।

#

কামাল/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/১৯৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ২৭৬৪

বাংলাদেশে খাদ্য ও কৃষির অবস্থা অত্যন্ত শক্ত অবস্থানে রয়েছে

                                                                                   --- কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :  

বাংলাদেশে খাদ্য ও কৃষির অবস্থা অত্যন্ত শক্ত অবস্থানে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির উন্নয়নে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। ২০ বছর আগে ১৯৯৯-২০০০ সালে এ সরকারের আগের আমলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে ও বর্তমান সরকার এ আমলেও তা ধরে রেখেছে। মাথাপিছু আয় ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে ও দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে। ফলে খাদ্যে মানুষের প্রবেশযোগ্যতা সহজতর হয়েছে। এছাড়া, বিগত দশকে অপুষ্টি দুই-তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছে।

আজ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৪২তম সম্মেলনে ‘স্টেট অভ্ ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার’ অংশে বাংলাদেশের অবস্থা তুলে ধরে এ মন্ত্রী কথা বলেন। মন্ত্রী সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি  এ সম্মেলনে সংযুক্ত হন।

মন্ত্রী বলেন, চলমান কোভিড-১৯ এর শুরুতেই  খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, সরবরাহ অব্যাহত রাখা ও  দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুততার সাথে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য প্রতি  ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনতে নানামুখী প্রণোদনা প্রদান করেন। এছাড়া, কৃষিখাতে করোনার প্রভাব মোকাবিলায় ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। ফলে কোভিড পরিস্থিতি সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও নির্দেশনায় দেশে কৃষির উৎপাদন ও খাদ্য সরবরাহের ধারা অব্যাহত থাকে এবং খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।

মন্ত্রী আরো বলেন, করোনা, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে মানবসৃষ্ট দুর্যোগ ১১ লাখ রোহিঙ্গাও দেশে রয়েছে। যা আমাদের সমাজ, অর্থনীতি ও পরিবেশে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তিনি এসময় উন্নয়ন সহযোগী দেশসমূহকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

কোভিড-১৯ এর কারণে ভার্চুয়ালি ১৪-১৮ জুন সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের সম্মেলন। কৃষিমন্ত্রীর নেতৃত্বে ৮ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন। ঢাকা থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের  সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মোঃ রুহুল আমিন তালুকদার, যুগ্ম সচিব তাজকেরা খাতুন, উপসচিব আলী আকবর  ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব বিধান বড়াল অংশগ্রহণ করছেন। ইটালির রোম থেকে অংশগ্রহণ করছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান ও ইকনমিক কাউন্সিলর মানস মিত্র।

মন্ত্রী জানান, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৩৬তম এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক রিজিওনাল কনফারেন্স (এপিআরসি-৩৬) ২০২২ সালের মার্চের ৮-১১ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলন সাফল্যমণ্ডিত করতে তিনি এফএও দেশসমূহের সহযোগিতা কামনা করেন। উল্লেখ্য, গত বছর এপিআরসি ৩৫তম সম্মেলনে বাংলাদেশ ৩৬তম সম্মেলনের আয়োজক হিসাবে মনোনীত হয়।

#

কামরুল/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৮৩৪ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                                         

2021-06-15-15-51-99e82f58f6c7c851d5d2b670ca58e15e.docx