Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

তথ্যবিবরণী : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর :  ৬০১
 
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে ভূমি ব্যবস্থাপনায় সুশাসন নিশ্চিত করা সম্ভব
                                                                  -- ভূমিমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৩০ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি) :
 
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ‘দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে ভূমি ব্যবস্থাপনায় সুশাসন নিশ্চিত করা সম্ভব। সুশাসন নিশ্চিত করতে পারলে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবো। ভূমি ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন যেন টেকসই হয় সেজন্য আমরা বদ্ধপরিকর।’ 
 
মন্ত্রী আজ ঢাকা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে ঢাকা মহানগরসহ সমগ্র ঢাকা জেলায় শতভাগ ই-নামজারি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। ‘ই-নামজারি’ অ্যাপ্লিকেশনটি মূলত ‘জমি’ নামক জাতীয় ভূমি-তথ্য ও সেবা অনলাইন প্ল্যাটফর্মের (িি.িষধহফ.মড়া.নফ) একটি অংশ। 
 
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সারা দেশে ই-নামজারি কোর্স সমাপ্ত এবং আগামী জুনের মধ্যে দেশব্যাপী শতভাগ ই-নামজারি কার্যক্রম চালু করার কথা রয়েছে। একই সাথে, ভূমি সেবাগ্রহীতাগণের সুবিধার্থে অভিযোগ কেন্দ্র গঠনের জন্য হটলাইন, সরকারের সাথে ভূমি সম্পর্কিত বিভিন্ন লেনদেনের জন্য 
ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা চালুকরণের জন্য একটি পেমেন্ট গেটওয়ে স্থাপন এবং অনিবাসী বাংলাদেশিদের সেবা দেওয়ার জন্য একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করার বিষয়গুলোও প্রক্রিয়াধীন। এগুলো মূলত পুরো ভূমি ব্যবস্থাপনাকে ইন্টিগ্রেটেড অটোমেশনের ভেতর নেওয়ার পর্যায়ক্রমিক ধাপ।
 
ভূমি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে স্কাউট সদস্য এবং স্থানীয় তরুণদের সম্পৃক্ত করে দেশব্যাপী শীঘ্রই ভূমি সপ্তাহ এবং ভূমি উন্নয়ন মেলা পালন করা হবে বলে ভূমিমন্ত্রী বলেন।
 
#
 
নাহিয়ান/নাইচ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/২২২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর :  ৬০০
 
মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে গণমানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে
                                                               -- বিমান প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি) :
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে গণমানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছিল কিছু মূল্যবোধ ও লক্ষ্যকে সামনে রেখে। আমাদের দায়িত্ব সেই মূল্যবোধের লালন ও প্রসার করা।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় সুফিয়া কামাল জাতীয় গ্রন্থাগারে ঢেঁকি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে যে মূল্যবোধ সামনে রেখে মুক্তিযোদ্ধারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেই মূল্যবোধ ১৯৭৫ সালের বিয়োগান্তক ঘটনার পর তখনকার সরকার ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছে। এখন সময় এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে লালন ও প্রসারের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স¦প্নের  সোনার বাংলা গড়ে তোলার। 
মাহবুব আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। গণমানুষের জীবনমান নিশ্চিত করতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সমাজের অসহায় ও অবহেলিত মানুষকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগিতা করছেন। এখন সময় এসেছে সারা বিশ্বে আমাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার। 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র সমাজের দর্পণ। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আমাদের চারপাশের বাস্তবতা শৈল্পিক কৌশলে আমাদের সামনে উপস্থাপিত হয়। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মানুষের সুকুমার বৃত্তির বিকাশ ঘটে। আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, প্রকৃতি ও মুক্তিযুদ্ধকে সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারে চলচ্চিত্র। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও প্রেক্ষাপটে তৈরিকৃত চলচ্চিত্রের আবেদন কখনো কমবে না, শত বছর পরেও মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তৈরিকৃত চলচ্চিত্রের আবেদন একই থাকবে। প্রতিমন্ত্রী নতুন নির্মাতাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে চলচ্চিত্র নির্মাণের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ ইরানিয়ান দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর সাইয়েদ মাহাদী হোসাইনী, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মোঃ মুশফিকুর রহমান গুলজার, ঢেঁকি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও মঞ্জুর হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ এমদাদুল হক। 
#
তানভীর/নাইচ/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/২১০০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর :  ৫৯৯
 
জীবনমান উন্নয়নে সরকার বদ্ধপরিকর
                       -- পরিকল্পনা মন্ত্রী
 
ঢাকা, ৩০ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি) :
 
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে যে কোনো প্রকল্প গ্রহণে সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি আজ ঢাকার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সুনামগঞ্জ সমিতি আয়োজিত জেলার বিশিষ্টজনদের সম্মানে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
 
মন্ত্রী বলেন,  আমার আগ্রহ গ্রামীণ জনগণের জীবনমান উন্নয়ন। গ্রামীন অবকাঠামো, সুপেয় পানির ব্যবস্থা এ রকম প্রকল্পে আমি বেশি নজর দেবো। এসব প্রকল্প যেমন গ্রাম এলাকায় অর্থনৈতিক কর্মকা- বৃদ্ধি পায় তেমনি সে এলাকার জনগণের জীবনমানেরও উন্নতি হয়।  
 
সুনামগঞ্জ সমিতির সভাপতি আকবর হোসেন মনজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, পীর ফজলুর রহমান মিজবাহ ও এডভোকেট শামীমা শাহরিয়ার এবং  দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত প্রমুখ।
 
#
 
শাহেদ/নাইচ/মাহবুব/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/২০৫০ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ৫৯৮
 
বিটিএমসির বন্ধ মিলগুলো চালু করা হবে
                         --- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
 
ঢাকা, ৩০ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি) :
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশন (বিটিএমসি) এর বন্ধ টেক্সটাইল মিলগুলো পুনরায় পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি)’র মাধ্যমে  চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীর প্রতীক।
আজ রাজধানীর কাওরান বাজারে বিটিএমসি ভবনে এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী একথা বলেন।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, সরকার বিটিএমসি’র টেক্সটাইল মিলগুলো সরকারি সহায়তায় কিংবা  পিপিপি’র মাধ্যমে চালু করে টেক্সটাইল পল্লী গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে। যার মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। দেশের বেকার সমস্যার সমাধান হবে। বিগত জোট সরকারের সময়ে দেশে বিদ্যুতের ব্যাপক ঘাটতি ছিলো কিন্তু এখন বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই। অর্থাৎ নতুন শিল্পাঞ্চল চালু করতে হলে যে বিদ্যুতের দরকার দেশে তার কোন ঘাটতি নাই। সর্বোপরি বন্ধ মিলগুলো পুনরায় চালু করে শিল্পায়নের ধারাকে ত্বরান্বিত করা হবে। তিনি আরো বলেন, অব্যবহƒত কোনো জমি ফেলে রাখা চলবে না। যতো বেশি জমি ব্যবহƒত হবে দেশ ততো উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে। গার্মেন্টস খাত অনেক এগিয়েছে। সামনে আরো এগিয়ে যাবে। এছাড়া পিপিপি’র মাধ্যমে নতুন টেক্সটাইলগুলো কীভাবে আরো দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু করা যায় তার ব্যবস্থা করা হবে। এজন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতা দরকার।
উল্লেখ্য এখন পর্যন্ত বিটিএমসির ১৬টি মিলকে পিপিপি’র মাধ্যমে চালু করার জন্য তালিকাবদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২টি মিল পিপিপি’র মাধ্যমে চালু করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। বাকি মিলগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে ।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ মিজানুর রহমান, বিটিএমসির চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ কামরুজ্জামানসহ প্রমুখ।
সৈকত/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৯/২০৪০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর :  ৫৯৭
 
ক্রাফ্ট কমপ্লেক্সের জন্য জায়গা বরাদ্দের দাবি 
ঢাকা, ৩০ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি) :
দেশে উৎপাদিত হস্ত ও কারু শিল্পপণ্যের প্রদর্শন ও বিপণনের জন্য একটি ক্রাফ্ট কমপ্লেক্স গড়ে তুলতে জায়গা বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হস্তশিল্প প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বাংলাক্রাফ্ট)। 
আজ শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে আয়োজিত বৈঠকে সমিতির নেতারা এ দাবি জানান। ঢাকায় শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব বেগম পরাগ, বাংলাক্রাফটের সভাপতি আশরাফুর রহমান, নির্বাহী সদস্য ফৌজিয়া আমিন নীনা, রাজিয়া সুলতানা ও মোহাম্মদ আবু কাউসার, কোষাধ্যক্ষ এ বি এম হেলাল ও পরামর্শক নবি নেওয়াজ উপস্থিত ছিলেন। 
বৈঠকে দেশের হস্ত ও কারু শিল্পের গুণগত মানোন্নয়ন, উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি এবং প্রদর্শনীর আয়োজনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় সমিতির নেতারা বলেন, তৈরিপোশাক শিল্পের পাশাপাশি কারু ও হস্ত শিল্পের বিকাশ বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এ শিল্পখাতের প্রসার ঘটিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি  ও দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব। তারা শিল্প মন্ত্রণালয় প্রণীত ‘হস্ত ও কারু শিল্প নীতিমালা ২০১৫’ এর আলোকে এ শিল্পখাতের বিকাশে সরকারের পৃষ্ঠাপোষকতা কামনা করেন। 
বাংলাক্রাফ্টের নেতারা বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাথে যৌথ উদ্যোগে ‘জাতীয় হস্ত ও কারু শিল্প মেলা’ আয়োজনের প্রস্তাব করেন। তারা বলেন, এ মেলায় হস্ত ও কারু শিল্পখাতে উৎপাদিত রপ্তানিমুখী পণ্য প্রদর্শন করা হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশি হস্ত ও কারু শিল্পপণ্য সম্পর্কে ধারণা দিতে বিদেশি ক্রেতাদেরকে মেলা পরিদর্শনের সুযোগ করে দেয়া হবে। এর মাধ্যমে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি হস্ত ও কারু শিল্পপণ্য সম্পর্কে ধারণা জোরদার হবে। এ লক্ষ্যে তারা একটি উপযুুক্ত ভেন্যুর ব্যবস্থা করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সহায়তা কামনা করেন। 
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশীয় হস্ত ও কারু শিল্পের বিকাশে সরকারের সব ধরনের সমর্থন থাকবে। এসব পণ্য বিশ্ববাজারে রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং সম্ভব। এছাড়া, রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের ক্ষেত্রেও এ শিল্পের বিশাল সুযোগ রয়েছে। তিনি ক্রাফ্ট কমপ্লেক্স গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় জায়গা চেয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদনের জন্য বাংলাক্রাফ্ট নেতাদের পরামর্শ দেন। বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি মিশনসহ আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে হস্ত ও কারু শিল্প প্রদর্শনী আয়োজনে সহায়তা করা হবে বলে তিনি নেতাদের আশ্বস্ত করেন। 
#
 
জলিল/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৯/২০১০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর :  ৫৯৬
 
সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে এলজিআরডি মন্ত্রীর নির্দেশ
 
 
ঢাকা, ৩০ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি) :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, সুপেয় পানি প্রাপ্তি মানুষের মৌলিক অধিকার। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে তিনি দেশের ৪টি ওয়াসা কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
মন্ত্রী আজ সচিবালয়স্থ স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা ওয়াসা এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতির পর্যালোচনা সভায় এ নির্দেশ প্রদান করেন। 
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সকল ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ওয়াসার নির্ধারিত এলাকাসমূহে সুপেয় পানি সরবরাহে যেন কোনো ধরণের অবহেলা না থাকে। আর সেবার মান বাড়াতে ওয়াসাসমূহের রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন ভবিষ্যতে সরকারি ভর্তুকি ছাড়াই ওয়াসা কর্তৃপক্ষ জনগণকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করতে পারবে। পানির অপচয় রোধ করার জন্য ভোক্তাদের সচেতনতাও জরুরি বলে মন্ত্রী মত প্রকাশ করেন। 
মন্ত্রী ওয়াসা কর্তৃক চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি ও প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্ভুত সমস্যাদি সম্পর্কে অবহিত হন এবং দিক নির্দেশনা দেন। 
সভায় জানানো হয়, জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতির হার শতকরা ৩৮ দশমিক ৮১ ভাগ।
 
#
হাসান/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২০০০ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর :  ৫৯৫
 
দেশীয় পেইন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পের স্বার্থ সুরক্ষা করা হবে 
                                                   --- শিল্পমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৩০ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি) :
দেশীয় পেইন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পের স্বার্থ সুরক্ষায় সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশীয় শিল্প বিকাশের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরে রংয়ের চাহিদা বাড়ায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার ক্ষেত্রে এ শিল্পে বিনিয়োগকারী দেশীয় উদ্যোক্তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। 
শিল্পমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ পেইন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমএ) এক প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠককালে এ কথা জানান। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।  
বিপিএমএ’র সভাপাতি রূপালী চৌধুরী, মহাপরিচালক আসাদুজ্জামান শহীদ খান, সিনিয়র সহসভাপতি হাজী শফিকুল্লাহ্ খান, সহসভাপতি হামিদুর রহমান ও প্রকৌশলী আবদুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ সৌমিত্র রায়, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বি বি সাহা রায়, আমির হোসেন, মোঃ শাহজাহানসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।   
বৈঠকে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা জানান, দেশে ব্যবহৃত মোট পেইন্টের শতকরা ২০ ভাগ দেশীয় কারখানার উৎপাদন থেকে যোগান দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে দেশে ৬০টি রং উৎপাদনকারী শিল্প কারখানা গড়ে ওঠেছে। তারা গত বছরের ৩ জুলাই বিএসটিআই জারিকৃত এসআরও নম্বর ২২০-আইন/২০১৮ এর উল্লেখ করে বলেন, এতে রং উৎপাদনের উপকরণগুলোর মানদ-ের প্যারামিটার এবং বিএসটিআই’র লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। 
তারা বলেন, রঙে সীসার পরিমাণ চিহ্নিত করার জন্য বিএসটিআই নির্ধারিত মার্কিং ফি তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। এছাড়া, বিনিয়োগ সামর্থ ও জনবলের সীমাবদ্ধতার কারণে দেশীয় রং উৎপাদনকারী কারখানাগুলোর পক্ষে এসআরও অনুযায়ী ল্যাবরেটরি স্থাপন সম্ভব হচ্ছে না। ফলে তাদের ব্যবসা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তারা উল্লিখিত এসআরও’র নির্দেশনা বাধ্যতামূলক না করে, ঐচ্ছিক করার দাবি জানান। দেশীয় শিল্পের স্বার্থ সুরক্ষায় তারা এ বিষয়ে দ্রুত বিএসটিআইকে নির্দেশনা দিতে শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। 
মন্ত্রী বলেন, শিল্পায়নের লক্ষ অর্জনে স্থানীয় শিল্পের প্রতি অগ্রাধিকার দেয়া হবে। একই সাথে বহুজাতিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের স্বার্থও বিবেচনা করা হবে। রং উৎপাদনকারী শিল্পের সাথে তৃণমূল পর্যায়ে বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের বিষয়টি জড়িত। এ বিবেচনায় বিএসটিআই জারিকৃত এসআরও-তে কোনো ধরণের অসঙ্গতি থাকলে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি বিপিএমএ’র প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেন। 
#
জলিল/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৯৫০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর :  ৫৯৪
 
প্রকৃত হিসেবে এ বছর হজের ব্যয় কমেছে
            --- প্রেস ব্রিফিংয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৩০ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি) :
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ এডভোকেট শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ বলেছেন, অন্যান্য বছরের স্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধির সাথে তুলনা করলে এ বছর প্রকৃত হিসেবে হজের ব্যয় বাড়েনি, বরং কমেছে। তিনি আজ ঢাকায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে একথা বলেন। 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত বছর ২০১৮ সালের প্যাকেজ-১ এর হজযাত্রীদের সর্বসাকুল্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল  তিন লাখ ৯৭ হাজার নয় শত ২৯ টাকা। এ বছর হজযাত্রীদের  বিমান ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছিল ১ লাখ ৪৮ হাজার ১৯১ টাকা যা গত বছরের তুলনায় ২০ হাজার টাকা বেশি। এর সাথে এ বছর সৌদি আরব সরকার কর্তৃক কর বৃদ্ধি করা হয়েছে ২৪ হাজার নয় শত ৮১ টাকা। সে হিসেবে এ বছর ২০১৯ সালের প্যাকেজ-১ এর হজযাত্রীদের জন্য সর্বমোট খরচ প্রস্তাব করা হয়েছিল চার লাখ ৪২ হাজার নয় শত ১০ টাকা। কিন্তু এ বছর মন্ত্রিপরিষদ কর্তৃক 
প্যাকেজ-১ এর হজযাত্রীদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ১৮ হাজার পাঁচ শত ১৬ টাকা। প্রকৃত হিসেবে গত বছরের চেয়ে এ বছর ২৪ হাজার চার শত ১০ টাকা ব্যয় কমেছে। 
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত বছর ২০১৮ সালের প্যাকেজ-২ এর হজযাত্রীদের সর্বসাকুল্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল তিন লাখ ৩১ হাজার তিন শত ৬০ টাকা। এ বছর হজযাত্রীদের  বিমান ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছিল ১ লাখ ৪৮ হাজার ১৯১ টাকা যা গত বছরের তুলনায় ২০ হাজার টাকা বেশি। এর সাথে সৌদি আরব সরকার কর্তৃক কর বৃদ্ধি করা হয়েছে ১৯ হাজার ৩৫ টাকা। সে হিসেবে এ বছর ২০১৯ সালের প্যাকেজ-২ এর হজযাত্রীদের জন্য সর্বমোট খরচ প্রস্তাব করা হয়েছিল ৩ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৫ টাকা। কিন্তু এ বছর মন্ত্রিপরিষদ কর্তৃক প্যাকেজ-২ এর হজযাত্রীদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।  প্রকৃত হিসেবে গত বছরের চেয়ে এ বছর ২৬ হাজার ৩৯৫ টাকা ব্যয় কমেছে। 
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, মূলত রাজকীয় সৌদি সরকার কর্তৃক সার্ভিস চার্জ বৃদ্ধি, অতিরিক্ত কর আরোপ এবং পরিবহন ব্যয় গত বছরের দ্বিগুণের বেশি করায় ১৫ হাজার ৩২৬ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জের ওপর ১২ শতাংশ কর আরোপ করায় ৩ হাজার ৭০৯ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া সৌদি সরকার কর্তৃক কর আরোপ করায় আরো ২৫ টাকা ২৫ পয়সা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্যাকেজ-১ এর হজযাত্রীদের জন্য এ বছর ট্রেন ভাড়া শতভাগ বৃদ্ধি পাওয়ায় ট্রেন ভাড়া ৫ হাজার ৯৪৫ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজকীয় সৌদি সরকার কর্তৃক সর্বমোট  ২৫ হাজার ৬ টাকা ২৫ পয়সা বৃদ্ধি পেয়েছে। 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সৌদি সরকার কর্তৃক ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টি বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সকল দেশের হজযাত্রীদের জন্য প্রযোজ্য। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সর্বনিম্ন খরচ হবে সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-২ এর সমান। কোনো মতেই এর নিচে নেওয়া যাবে না। কারণ তা করা হলে হজযাত্রীদের সেবার মান হ্রাস পাবে। হজযাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়বে। যা কোনো মতেই সহ্য করা যায় না।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আনিছুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 
#
 
আনোয়ার/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৯/২০১৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ৫৯৩

সমন্বিত জাতীয় শিল্পনীতি প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছে আইবিএফবি

ঢাকা, ৩০ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি) : 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১, সরকারের ইশতেহার এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে একটি সমন্বিত জাতীয় শিল্পনীতি প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অভ্ বাংলাদেশ (আইবিএফবি)। এ নীতিতে নতুন অগ্রাধিকারখাত চিহ্নিত করে রপ্তানি আয় বৃদ্ধির সুযোগ বের করতে হবে। পাশাপাশি একে কাগজে সীমাবদ্ধ না রেখে একটি আইনি ভিত্তিতে রূপ দিতে হবে।   

আইবিএফবি’র এক প্রতিনিধিদল আজ শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে বৈঠককালে এ তাগিদ দেয়। ঢাকায় শিল্প মন্ত্রণালয়ে আজ এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন রশীদ, সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান খান, পরিচালক মতিউর রহমান,  লুৎফুন্নিসা সাউদিয়া খান, আলী আফজাল, মুস্তাফিজুর রহমান, মুজিবুর রহমান, আনোয়ার শহিদ, ইকবাল হোসেন, সাজেদুর সিরাজ, তৌহিদা সুলতানা, উৎপল কুমার দাস, অজয় সংকর পারিয়াল, মোহাম্মদ আলী দ্বীন, হেলাল আহমেদ চৌধুরী ও প্রীতি চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন। 

বৈঠকে আইবিএফবি’র নেতারা ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। তারা বলেন, শিল্পখাতে স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যবসার সুযোগ সহজ (ঊধংব ড়ভ ফড়রহম নঁংরহবংং) করতে হবে। শিল্প কারখানা স্থাপনে ভিন্ন ভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনের পরিবর্তে শুধু শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে সকল বিষয়ে অনুমোদনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ লক্ষ্যে তারা শিল্প মন্ত্রণালয়ে একটি ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর পরামর্শ দেন। একই সাথে তারা শিল্পখাতে অর্থায়নের জন্য সিঙ্গেল ডিজিটে ঋণের ব্যবস্থা করতে শিল্পমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। 

বৈঠকে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা আরো বলেন, নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন ঊর্ধ্বমুখী পর্যায়ে (ঞধশব ড়ভভ ংঃধমব) পৌঁছেছে। বিদ্যুৎখাতে ব্যাপক অগ্রগতির মাধ্যমে সরকার ইতিমধ্যে বিরাট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছে। এর ফলে আগামী দিনে বাংলাদেশে বড় বড় বিদেশি বিনিয়োগ আসবে। তারা বিনিয়োগ প্রসার এবং রুগ্ন শিল্প পুনরুদ্ধারে সংগঠনের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেসি ও গবেষণা সেবা প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ সহায়ক নীতিমালা গ্রহণের পরামর্শ দেন।  

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ব্যবসাবান্ধব সরকার। দেশে শিল্পায়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে সরকারের নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকবে। শিল্পায়নে বেসরকারিখাতের ভূমিকা মুখ্য। বেসরকারিখাত নতুন নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের ইশতেহার বাস্তবায়ন করতে পারে। তিনি ব্যবসা সহজীকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান। শিল্পখাতে বিরাজমান সমস্যা রাতারাতি সমাধান সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি পর্যায়ক্রমে এগুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেন। 
#

জলিল/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৭৫০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর :  ৫৯২
 
বিআইডব্লিউটিএ এবং ঢাকা জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযান  
১১৮টি স্থাপনা উচ্ছেদ এবং ৩ একর ভূমি উদ্ধার 
 
ঢাকা, ৩০ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি) : 
 
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং ঢাকা জেলা প্রশাসন যৌথভাবে তৃতীয় পর্যায়ে আজ বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলের লোহারপুলের পাশে শহীদনগর বালুঘাট ও  কামরাঙ্গীরচরের ব্যাটারিঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১১৮টি পাকা ও আধাপাকা স্থাপনা উচ্ছেদ এবং প্রায় তিন একর তীরভূমি উদ্ধার করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে দোতলা ভবন তিনটি, আধাপাকা ঘর ৩৮টি, টিনের ঘর ৩৫টি ও টংঘর ৪২টি। 
 
বিআইডব্লিউটিএ প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে মোট ১ হাজার ১৯৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং প্রায় ১০ একর তীরভূমি উদ্ধার করেছে। 
 
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিআইডব্লিউটিএ দখলদারদের বিতাড়িত করার পরিকল্পনা নিয়ে নদী উদ্ধারে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালাচ্ছে।  আগামীকাল কামরাঙ্গীরচরের নবাবচর এলাকা থেকে বসিলা অভিমুখে  বুড়িগঙ্গা নদীতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবে।
 
#
 
জাহাঙ্গীর/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৮০০ ঘণ্টা  
 
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর :  ৫৯১
 
শ্রম প্রতিমন্ত্রীর সাথে ইউনিসেফ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
 
ঢাকা, ৩০ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি) : 
 
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সাথে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে ইউনিসেফ এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি এডোয়ার্ড বিগবেডার (ঊফড়ঁধৎফ ইবরমনবফবৎ) এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেন।   
 
সাক্ষাৎকালে শ্রম প্রতিমন্ত্রী ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম এবং ২০২৫ সালের মধ্যে সকল প্রকার শিশুশ্রম নিরসনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে সরকার ২৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে এবং এ প্রকল্পের মাধ্যমে এক লাখ শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে প্রত্যাহার করা হবে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।  
 
এ সময় জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প মালিক সমিতি সম্প্রতি ঐ খাতে শিশুদের শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় না বলে যে প্রত্যয়ন দিয়েছে সে বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে।  
 
চা বাগান এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চা শ্রমিকের সন্তানদের জন্য সরকার হোস্টেল নির্মাণ করবে বলে প্রতিমন্ত্রী প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন। প্রতিনিধিদল আইএলও এবং ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে সিলেট অঞ্চলের চা বাগান এলাকায় স্কুলের বাইরে থাকা শিশুদের কারিগরি শিক্ষার জন্য নেয়া একটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন। 
 
সাক্ষাৎকালে আগামীতে ইউনিসেফের সাথে বাংলাদেশ সর্ম্পক আরো জোরদার হবে বলে উভয় পক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আগামী ২৪ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা এইচ ফোর বাংলাদেশ সফর করবেন। সফরকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করবেন।   
 
এ সময় শ্রম সচিব আফরোজা খান, ইউনিসেফের চিফ অভ্ এডুকেশন ড. পাওয়ান কুচিতা (চধধিহ শঁপরঃধ), চৌধুরী মুফাদ আহমেদ এবং সোশ্যাল পলিসি স্পেশিয়ালিস্ট মোঃ আজিজুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 
 
#
 
আকতারুল/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/১৭৪০ ঘণ্টা  
 
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর :  ৫৯০
 
বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যানের সাথে ডিসিসিআই’র নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সাক্ষাৎ
 
ঢাকা, ৩০ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি) : 
 
বর্তমানে বাংলাদেশ নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছে। সাথে সাথে বাংলাদেশের রয়েছে অপার সম্ভাবনা, যা আমাদের অনুধাবন করতে হবে। বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে। বিডা সূচনালগ্ন থেকেই বেসরকারি খাতের ওপর বিশ্বাস রেখে আসছে, তাদের কথা শুনে আসছে এবং তারা যেন সম্ভাব্য সেরা ভূমিকা পালন করতে পারে সেজন্য সহযোগিতা করে আসছে।
 
আজ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)- এর নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মোঃ আমিনুল ইসলামের সাথে বিডা কার্যালয়ে ঢাকা চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)- এর প্রেসিডেন্ট ওসামা তাসির এর ডিসিসিআই’র ২০১৯ সালের নব-নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দের সাক্ষাতে এসব বলেন।
 
কাজী আমিনুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীদের প্রতি সাধারণ যে দৃষ্টিভঙ্গী তা পরিবর্তন করতে হবে। সেইসাথে অবিশ্বাসের যে মনোভাব তা দূর করতে হবে।  তিনি আরো বলেন, একজন বিদেশি বিনিয়োগকারী বিমানবন্দরে অবতরণের সাথে সাথে তাকে সবরকম সহযোগিতা ও সুবিধা দিতে তৎপর থাকতে হবে। বিমানবন্দরে এই সেবা প্রদানে বিডা কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান। 
 
ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ওসামা তাসির বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে দুই অংকের প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে, ইনভেস্টমেন্ট জিডিপির অনুপাত হতে হবে প্রায় ৪০ শতাংশ। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তিনি সহজে ব্যবসা করার সূচক, ওয়ানস্টপ সার্ভিস, প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ, অনিবাসী বাংলাদেশিদের সম্মেলন, বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি (বেজা), পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ও বিডার সমন্বয়, ভূ-রাজনীতির পরিবর্তন এবং বিভিন্ন নীতির সংস্কারের ক্ষেত্রে সময়োপযোগী ইস্যু ও লক্ষ্য বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যানের দৃষ্টিগোচরে নিয়ে আসেন।
 
সভায় বিডা’র কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ডিসিসিআই’র পরিচালনা পর্ষদের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
 
#
Todays handout (10).docx