তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১০৩
সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামালের
মৃত্যুতে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দের শোক
ঢাকা, ১৫ আশ্বিন (৩০ সেপ্টেম্বর) :
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামালের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ।
পৃথক শোকবার্তায় তাঁরা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মরহুম একেএম শাহজাহান কামালের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক; কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক; তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ; আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক; সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন; ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
এছাড়া, আরো শোক প্রকাশ করেছেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু; শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান; নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী; পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য; বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এবং ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান।
#
এনায়েত/আরমান/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/২১১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১০২
সরকার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ১৫ আশ্বিন (৩০ সেপ্টেম্বর) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক, বরং বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করছে।
আজ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্কে নতুনভাবে চালুকৃত কেবল-কার (রোপওয়ে) উদ্বোধন শেষে বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার হত্যার চেষ্টা করছে বলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু’র বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া যতবারই হাসপাতালে গেছে ততবারই বিএনপি বলেছে বিদেশ না পাঠালে খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন এবং তাকে বাঁচানো কঠিন হবে। কিন্তু প্রতিবারই আল্লাহর রহমতে তিনি হাসপাতালে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসা ও সেবায় সুস্থ হয় বাড়ি ফেরত গেছেন। এখনো বেগম খালেদা জিয়া যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা পান সরকার সেজন্য যা কিছু করা দরকার সেটি করছে।’
শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্কে পুনরায় কেবল-কার চালু
এর আগে বক্তৃতায় হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষার জন্য যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, সেকারণে দেশের পরিবেশ আগের চেয়ে অনেক ভালো। দেশে বন আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসাথে দেশে বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ইচ্ছায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ‘শেখ রাসেল এভিয়ারি এন্ড ইকো পার্ক’ স্থাপন করতে পেরেছি। আজ থেকে প্রায় দশ বছরেরও বেশি সময় আগে এই পার্কে আসা-যাওয়া মিলে ২ দশমিক ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের কেবল-কার (রোপওয়ে) স্থাপন করা হয়েছে।’
এই পার্কের উন্নয়নের জন্য আরো ১২৬ কোটি টাকা সরকার বরাদ্দ দিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সেই বরাদ্দ থেকে আরও দুই কিলোমিটার ক্যাবল কার স্থাপন করা হবে। মোট ৪ দশমিক ৪ কিলোমিটার কেবল-কার স্থাপিত হবে। দেশের কোথাও এত দীর্ঘ কেবল-কার নেই।’
রাঙ্গুনিয়ার সন্তান তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্কে বিদেশের অনেক জাতের পাখি আছে, আমাদের দেশে অনেক সাফারি পার্ক আছে কিন্তু এরকম এভিয়ারি আমাদের দেশে আর কোথাও নাই। এটিই দেশের প্রথম এভিয়ারি পার্ক। আমি মনে করি শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্কে ক্যাবল কার পূর্ণ উদ্যমে যখন চালু হবে তখন দেশ এবং বিদেশের পর্যটকদের জন্য জনপ্রিয় গন্তব্যস্থলে পরিণত হবে।’
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আয়োজনে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বনবিভাগের ‘সুফল’ প্রকল্পের পরিচালক ও উপপ্রধান বন সংরক্ষক গোবিন্দ রায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের ডিএফও আবদুল্লাহ আল মামুন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গনি ওসমানী, রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ নাহিদ হাসান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বন অধিদপ্তরের টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় বননির্ভর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ১২৩ জনের মাঝে জীবিকা উন্নয়ন তহবিলের চেক বিতরণ করেন সম্প্রচার মন্ত্রী।
#
আকরাম/আরমান/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১০১
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের আলোকবর্তিকা
-- পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
গোপালগঞ্জ, ১৫ আশ্বিন (৩০ সেপ্টেম্বর) :
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ। ৭৫’র ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ৮১ সালে আলো হাতে আঁধারের কান্ডারী হয়ে বাংলাদেশে আসেন। তিনি বাঙালি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার বাতিঘর। তিনি বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও আদর্শের উত্তরসূরি শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আজ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, এই প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা সৌভাগ্যবান কারণ তারা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মতো একজন শিক্ষাবান্ধব প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে। যে প্রধানমন্ত্রী ১৯ বার জাতিসংঘে ভাষণ দিয়ে পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল রেকর্ড স্থাপন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কারণেই বছরের প্রথম দিনে সকল শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে বই পায়। তিনি দেশে নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন। তিনি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশ্বমানের করতে নিরলসভাবে কাজ করে চলছেন।
উপমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নতুন প্রজন্মকে নিয়ে ভাবতেন। তেমনি তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে নতুন প্রজন্ম। আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলে শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়া ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশের শিক্ষার্থীদের আদর্শ রাজনীতির পথ চলার শিক্ষা দিতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই ও কলম তুলে দিয়েছেন। বছরের প্রথম দিন বিনামূল্যে পাঠ্যবই দেওয়া হচ্ছে।
এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করে চলছেন। তিনি প্রতিটি উপজেলা শহরে থাকা মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরণ করছে। তিনি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করেছেন। পরাতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন নতুন ভবন করে দিচ্ছেন। এ সব কিছুর মূলে রয়েছে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত একটি বিশ্বমানের আগামী প্রজন্ম গড়ে তোলা।
সংগঠনের সভাপতি মিয়া মনসফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ মনিরুজ্জামান লিটনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আক্তার, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জিএম শাহাবুদ্দিন আজম, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র তোজাম্মেল হক টুটুল, সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারিক আফজাল, প্রধান উপদেষ্টা লাকী ইনাম, উপদেষ্টা জহির কাজীসহ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
গিয়াস/আরমান/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/২০৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১০০
বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য দেশের সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যকে সমৃদ্ধ করেছে
- সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ আশ্বিন (৩০ সেপ্টেম্বর) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বিমূর্ত বা অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য (ICH) আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যকে সমৃদ্ধ করেছে। আমাদের দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে বিমূর্ত সাংস্কৃতিক উপাদানের ভান্ডার, যা গত প্রায় ৫০০০ বছর ধরে এ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ইতিহাস দ্বারা লালিত হয়েছে। বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সুরক্ষার বাধ্যবাধকতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে বাংলাদেশ ২০০৯ সালে ICH সুরক্ষার জন্য 'ইউনেস্কো কনভেনশন ২০০৩' স্বাক্ষর করে। ২০০৯ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে আমাদের বাউল গান (২০০৯), ঐতিহ্যবাহী জামদানি বুননশিল্প (২০১৩), পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা (২০১৬) ও সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শীতল পাটি বুননশিল্প (২০১৭) ইউনেস্কোর বিমূর্ত বা অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত আমরা বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জাতীয় ইনভেন্টরি তৈরি করতে পারিনি। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে আমাদের বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অনলাইন জাতীয় ইনভেন্টরি তৈরি করতে পেরেছি যেটি আজ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অনলাইন জাতীয় ইনভেন্টরির উদ্বোধন উপলক্ষ্যে জাদুঘর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, দেরিতে হলেও আমরা আমাদের বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অনলাইন জাতীয় ইনভেন্টরি তৈরি করতে পেরেছি। সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই জাতীয় জাদুঘরকে যারা সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংক্রান্ত জাতীয় ইনভেন্টরি প্রস্তুত কাজে লিড এজেন্সি হিসাবে কাজ করেছে এবং যাদের প্রচেষ্টায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। আরও ধন্যবাদ জানাই ইউনেস্কো'র accredited বেসরকারি সংস্থা 'সাধনা' 'Consortium for ICH Pedia Bangladesh' কে যারা এ কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সমন্বয় সাধন করেছে।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের অফিসার-ইন-চার্জ সুজান ভাইজ। সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সাধনা'র কর্ণধার লুবনা মরিয়ম।
প্রতিমন্ত্রী পরে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব (প্রধান) মিলনায়তনে বাংলাদেশের বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অনলাইন জাতীয় ইনভেন্টরির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এছাড়া প্রতিমন্ত্রী জাতীয় জাদুঘর এর প্রধান মিলনায়তন প্রাঙ্গণে 'Rural Craft & Cultural Hubs of West Bengal' এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর আয়োজিত চার দিনব্যাপী (৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ০৩ অক্টোবর ২০২৩) দুই বাংলার কারুকলা উৎসব ও প্রদর্শনী 'সম্পদ' এর উদ্বোধন করেন এবং প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।
#
ফয়সল/আরমান/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/২০২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০৯৯
জনপ্রতিনিধিদের যথোপযুক্ত জবাবদিহিতাই নাগরিকদের সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করবে
---স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ আশ্বিন (৩০ সেপ্টেম্বর) :
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম জনগণের সেবাপ্রাপ্তি সহজীকরণ প্রসঙ্গে বলেছেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার নানা স্তরে জনগণের জন্য নানা ধরনের সেবা প্রাপ্তির ব্যবস্থা রয়েছে। এই সেবা প্রাপ্তি জনগণের অধিকার। সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে কখনো কখনো জনগণ নানা রকম ভোগান্তির শিকার হয়। আমরা বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতায়নের কথা শুনি কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের যথোপযুক্ত জবাবদিহিতার আওতায় আনা গেলে নাগরিকদের সেবা প্রাপ্তি সহজ ও ভোগান্তিমুক্ত হয়।
জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালনের অংশ হিসেবে আজ ঢাকায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন-এ স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন নিয়ে এক ছায়া সংসদের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি বিতর্ক অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে। "স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করছে" শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অভ্ বাংলাদেশ এর বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করেন।
মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে নানা রকমের শাসনব্যবস্থা ছিল একসময়। কখনো রাজ ব্যবস্থা, কখনো জমিদার ব্যবস্থা কিংবা জোর করে দখলদারিত্বের মাধ্যমে পৃথিবী শাসিত হয়েছে। তবে বিভিন্ন শাসনব্যবস্থা পার হয়ে আধুনিক বিশ্বে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পক্ষে পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ রায় দিয়েছে কারণ শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যে কোনো দেশ ও জাতির উন্নয়ন দ্রুততর হয়।
ছায়া সংসদের সরকারি দল ও বিরোধীদলের বিতার্কিকদের যুক্তি তর্ক অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে শুনে মন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হচ্ছে এখানে নানা মত ও পথের মানুষ থাকবে। যুক্তির জয়ের মাধ্যমেই গণতন্ত্র তার পথ খুঁজে নেয়। তিনি উভয় পক্ষের বিতার্কিকদের সুন্দর যুক্তি তর্ক উপস্থাপনের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এ ধরনের চমৎকার একটি বিতর্কের পরিবেশে উপস্থিত হতে পেরে আমার নিজেরও খুব ভালো লেগেছে। আমি মনে করি উপস্থিত এই শিক্ষার্থীরাই একদিন যুক্তিনির্ভর ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
এ সময় সাংবাদিকদের পক্ষ হতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কাছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতে পর্দার আড়ালে কোনো রাজনৈতিক সংলাপ হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, যেকোনো আলোচনায় একটি বিষয়বস্তু বা ট্রামস অফ রেফারেন্স নির্দিষ্ট করতে হয়। বাংলাদেশের মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা ভুলে যায়নি। সঠিক বিষয়বস্তু ঠিক করা গেলে তা নিয়ে আলোচনা হতেই পারে তবে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
এদিকে, আজ বিকালে সাভার গলফ ক্লাবে জাহাঙ্গীরনগর মডেল ইউনাইটেড ন্যাশনস্ এসোসিয়েশন এর আয়োজনে "জাহাঙ্গীরনগর ছায়া জাতিসংঘ-২০২৩" সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে টেকসই পৃথিবীর জন্য সবুজ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ছায়া জাতিসংঘ মডেলে সম্মেলনের প্রশংসা করে বলেন, এ ধরনের প্লাটফর্মে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা স্মার্ট বাংলাদেশের উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে পারবে।
সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের আমেরিকার ভিসা নীতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। আমাদের নির্বাচন পদ্ধতি আমাদের সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে। কোনো দেশের ভিসা নীতি তাদের নিজস্ব ব্যাপার এবং আমাদের এখানে নির্বাচন কীভাবে হবে তা আমাদের ব্যাপার। এ সময় ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন অভিযানের পাশাপাশি সকলের অংশগ্রহণে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান জোরদারকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
#
হেমায়েত/আরমান/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৯৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০৯৮
কারাম আদিবাসীদের প্রাণের উৎসব
---খাদ্যমন্ত্রী
নওগাঁ (পোরশা), ১৫ আশ্বিন (৩০ সেপ্টেম্বর) :
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কারাম উৎসব সমতলের আদিবাসীদের প্রাণের উৎসব। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের পাশাপাশি এটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার বিশেষ উদ্যোগ।
আজ পোরশা উপজেলার দক্ষিণ লক্ষীপুর ঝর্ণা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কারাম উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন.আগে ছোট আকারে কারাম উৎসব আয়োজন হলেও এখন ব্যাপক পরিসরে হচ্ছে। কারাম উৎসব সমতলে বসবাস করা নৃ-গোষ্ঠীর প্রাণের উচ্ছ্বাস। এ উৎসব বরেন্দ্র অঞ্চলকে মিলন মেলায় পরিণত করে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের সব নাগরিকের সুষম উন্নয়নে বিশ্বাসী। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতি সরকারের সুদৃষ্টি রয়েছে। তাদের উন্নয়নে নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। আদিবাসীদের জন্য সরকার স্পেশাল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঢাক মাদলের তালে নাচ-গান আর পূজা অর্চণার মধ্য দিয়ে সাঁওতাল, ওঁরাও, মুন্ডা, পাহান, মালো, মাতোসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিভিন্ন জাতিসত্ত্বার প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক এই উৎসব উদযাপন করা হয়। উৎসবে বিভিন্ন উপজেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ১৮টি সাংস্কৃতিক দল তাদের নিজস্ব গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে।
পরে মন্ত্রী নৃত্যানুষ্ঠানে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব জাতীয় আদিবাসী পরিষদের পোরশা উপজেলা সভাপতি ধীরেন লাকড়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল খালেক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আনারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোফাজ্জল হোসেন মোল্লা. পোরশার সহকারী কমিশনার মোঃ মনিরুজ্জামান, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সাপাহার উপজেলার সভাপতি ভুট্টু পাহান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল ইসলাম এবং ছাওড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান।
#
কামাল/আরমান/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৯৩১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০৯৭
শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনে এনেছে
- পরিবেশমন্ত্রী
বড়লেখা(মৌলভীবাজার), ১৫ আশ্বিন (৩০ সেপ্টেম্বর) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনে এনেছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে সবচাইতে বেশি বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যবই প্রদান করা হচ্ছে। সরকারের নানা উদ্যোগে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে বিদেশে যাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আজ বড়লেখা উপজেলার রোকেয়া খাতুন লাইসিয়াম স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শাহাব উদ্দিন বলেন, জীবনে বড় হওয়ার জন্য স্বপ্ন দেখতে হবে। সে লক্ষ্যে মানসম্মত শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। মুখস্ত না করে সবকিছু বুঝে পড়লে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চান্স পাওয়া যাবে, জীবনে সফল হওয়া যাবে। শুধু রেজাল্ট ভালো হলেই কৃতী শিক্ষার্থী বলা যাবে না, যারা সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জীবনে নিজেদের অবস্থান করে নিতে পারে তারাই কৃতি শিক্ষার্থী।
প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মোঃ কামরান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুনজিত কুমার চন্দ প্রমুখ।
এর পূর্বে মন্ত্রী মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌরসভার আরএইচডি বরইতলী-বড়লেখা জিসি ভায়া মুছেগুল-হিনাইনগর রাস্তা সংস্কার কাজের ফলক উন্মোচন করেন।
#
দীপংকর/আরমান/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৬৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০৯৬
মানসম্মত শিক্ষার জন্য প্রয়োজন মানসম্পন্ন শিক্ষক
- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
কুড়িগ্রাম, ১৫ আশ্বিন (৩০ সেপ্টেম্বর) :
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে মানসম্মত শিক্ষকের বিকল্প নেই। এজন্য সরকার শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ওপর যথাযথ গুরুত্বারোপ করেছে। প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহের অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ দেশব্যাপী অব্যাহত আছে; যাতে এসব কেন্দ্র থেকে শিক্ষকগণ প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ পেয়ে শ্রেণিকক্ষে স্বাচ্ছন্দ্যে পাঠদান করতে পারেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ কুড়িগ্রাম জেলা শহরে প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (পিটিআই)-এর নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানব সম্পদ উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নেই। শিক্ষাই আলোকিত আগামীর নাগরিক সৃষ্টির দুয়ার খুলে দেয়। আর শিক্ষার ভিত রচিত হয় প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে। তাই বর্তমান সরকার মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করেছে।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত, অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান প্রমুখ।
এসময় জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রতিমন্ত্রী রংপুর পিটিআইতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উন্মোচন করেন। এ সময় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতসহ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
মাহবুবুর/আরমান/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০৯৫
মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল-ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট এর ৭ম পর্যায়ে
ঋণের জন্য বাংলাদেশ এবং জাপান সরকারের মধ্যে বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত
ঢাকা, ১৫ আশ্বিন (৩০ সেপ্টেম্বর) :
জাপান সরকারের ৪৪তম ওডিএ লোন প্যাকেজের ২য় ব্যাচের আওতাধীন মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল-ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট এর ৭ম পর্যায়ে ঋণের জন্য আজ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ সরকার এবং জাপান সরকারের মধ্যে বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মিজ শরিফা খান বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেন। জাপান সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত IWAMA Kiminori বিনিময় নোট এবং বাংলাদেশস্থ জাইকা অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ICHIGUCHI Tomohide ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এনইসি-২ সভা কক্ষে উক্ত ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বর্ণিত ঋণচুক্তিটির আওতায় জাপান সরকার বাংলাদেশকে ২ লাখ ১৭ হাজার ৫৫৬ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েন (আনুমানিক ১ হাজার ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ঋণ সহায়তা প্রদান করবে। স্বাক্ষরিত ঋণের বাৎসরিক সুদের হার নির্মাণকাজের জন্য ১ দশমিক ৬০ শতাংশ, পরামর্শক সেবার জন্য শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ, Front End Fee (এককালীন) শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। এ ঋণ ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য।
অব্যাহত বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার জেলার মহেশখালি উপজেলার মাতারবাড়ী এলাকায় ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট (৬০০ মে:ও:X২ ইউনিট) আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ চলছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৫১ হাজার ৮৫৪ দশমিক ৮৮ কোটি টাকা (জিওবি ৬ হাজার ৪০৬ দশমিক ১৬ কোটি, জাইকা ৪৩ হাজার ৯২১ দশমিক শূন্য ৩ কোটি, সিপিজিসিবিএল সংস্থা নিজস্ব ১ হাজার ৫২৭ দশমিক ৬৯ কোটি)। প্রকল্পের মেয়াদকাল জুলাই ২০১৪ হতে ডিসেম্বর ২০২৬। আগস্ট ২০২৩ সময় পর্যন্ত প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি ৭৮ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৬৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। জাইকা কর্তৃক পর্যায়ক্রমে ঋণ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ইতোপূর্বে ৬টি পর্যায়ে মোট ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৭৫৪ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েনের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ৪৪তম ওডিএ লোন প্যাকেজ (২য় ব্যাচ) এর আওতায় ৭ম পর্যায়ে ২ লাখ ১৭ হাজার ৫৫৬ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েন প্রদান করা হবে।
দ্বি-পাক্ষিক পর্যায়ে জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী দেশ। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত জাপান সরকার বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন সেক্টরে উল্লেখযোগ্য সহায়তা প্রদান করেছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকারের সাথে সামাঞ্জস্য বজায় রেখে জাপান সরকার কর্তৃক অবকাঠামো উন্নয়ন, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন, পল্লী উন্নয়ন, পরিবেশ উন্নয়ন এবং মানব সম্পদ উন্নয়নসহ অন্যান্য খাতের প্রকল্পে ঋণ ও বিভিন্ন প্রকার অনুদান সহায়তা হিসেবে অদ্যাবধি ৩০ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয়েছে।
#
উলফৎ/আরমান/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৮৪৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০৯৪
দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই
---মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
পিরোজপুর, ১৫ আশ্বিন (৩০ সেপ্টেম্বর) :
দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ পিরোজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর প্রাঙ্গণে ছাগল ও ভেড়ার পিপিআর রোগ মুক্তকরণের লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ’ প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে, প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা। শুধু প্রাণিসম্পদ খাতই নয় দেশের সার্বিক উন্নয়নেও তাঁর বিকল্প নেই।
মন্ত্রী আরো বলেন, শেখ হাসিনা না থাকলে আবার জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, সন্ত্রাসীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, স্বাধীনতাবিরোধীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। শেখ হাসিনা না থাকলে উন্নয়নের চাকা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে। উন্নয়ন চাইলে, অগ্রগতি চাইলে, দুর্নীতিমুক্ত অবস্থা চাইলে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চাইলে শেখ হাসিনাকে বারবার দরকার। উন্নয়ন-শান্তি চাইলে শেখ হাসিনা আর দুর্নীতি-অশান্তি চাইলে বিএনপি- জামায়াত।
প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, দেশে ডিমের উৎপাদন বেড়েছে, মাংসের উৎপাদন বেড়েছে। বর্তমান সরকারে সময়ে বিগত ১২ বছরে দুধের উৎপাদন প্রায় ৪ গুণের অধিক