তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৪২
ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণে মাস্টার প্ল্যান করা হবে
---এলজিআরডি মন্ত্রী
ঢাকা, ১ শ্রাবণ (১৬ জুলাই) :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ঢাকা মহানগরীতে জলাবদ্ধতা ইদানীং মহা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাঝারি ধরণের বৃষ্টিপাত হলেই প্রায় সমগ্র নগরীতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এ সমস্যা দূরীকরণে একটি আধুনিক ও সুদূর প্রসারী মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হবে।
মন্ত্রী আজ গুলশান সেন্টার পয়েন্টে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত “প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নগরীর জলাবদ্ধতা ও তা দূরীকরণ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩য় আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয় সভায়” প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ঢাকা ১১-এর সংসদ সদস্য এ কে এম রহমত উল্লাহসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সচিব, দপ্তর ও সংস্থা প্রধান, নগর বিশেষজ্ঞ ও সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরগণ।
মন্ত্রী বলেন, ষাট এর দশকের তদানীন্তন টাউন কমিটি আজ কালের বিবর্তনে সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে গত ৫০-৬০ বছরে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশি-বিদেশি সংস্থার মতে এ নগরীতে সর্বোচ্চ ১ কোটি ৭০ লাখ জনসংখ্যা থাকতে পারে। কিন্তু বাস্তবে জনসংখ্যা এর চেয়ে বেশি হবে। তাছাড়া সিটির আয়তনও প্রায় ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সকল কারণে নগরীর ভৌত কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে বলেই জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এ সমস্যা নিরসনে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। স্বল্প মেয়াদি ব্যবস্থা চালু রেখে দীর্ঘ মেয়াদি ব্যবস্থা হিসেবে ঢাকা মহানগরের জন্য আধুনিক ড্রেনেজ ও সুয়ারেজ মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরের এ জলজট বা জলাবদ্ধতার জন্য আমরা সবাই কম-বেশি দায়ী। মহানগরীর অধিবাসী, জনপ্রতিনিধি, সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সমন্বিতভাবে এ সমস্যা সমাধানে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, কোন সমস্যাই চিরস্থায়ী নয়। ঢাকা ওয়াসা ও সিটি কর্পোরেশন এ সমস্যা সমাধানের অন্যতম দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা। অতএব, এ সমস্যা সমাধানের দায়িত্বও প্রকারান্তরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপর বর্তায়।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা ওয়াসা ২০০৫ সালে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে যে মাস্টার প্ল্যান করেছে তা ২০১৭ সালে অনুপযুক্ত। এখন ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে আরও ১৬ টি ইউনিয়ন যুক্ত হয়েছে। ঢাকা মহানগরীর আয়তন এখন চারগুণ হয়েছে। ওয়াসার মাস্টার প্ল্যান এখন অচল। নতুন করে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার সমন্বয়ে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, গৃহস্থালির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ধ্বংস না করা গেলে জলাবদ্ধতা ঠেকানো যাবে না। তিনি জলজট নিরসনে লিড এজেন্সি হিসেবে সিটি কর্পোরেশনকে ভূমিকা নেওয়ার নির্দেশনা দেন। তিনি এ বিষয়ে বিভিন্ন সংস্থা ও দপ্তরের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সিটি কাউন্সিলরদের কঠোর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জনগণের অংশগ্রহণ না থাকলে ঢাকা মহানগরীর অস্তিত্ব কয়েক বছর পর থাকবে না।
সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, যেসব খাল ভরাট হয়ে গেছে সেগুলো পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে ও বেদখল খালসমূহ পুনরুদ্ধার করতে হবে।
পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, আমাদের সমন্বিতভাবে ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে কাজ করতে হবে।
সভায় ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা ও তার সমাধানে নগর পরিকল্পনাবিদ, অধ্যাপক, গবেষক, সিটি কাউন্সিলর, বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও দপ্তর প্রতিনিধিগণ পরামর্শ প্রদান করেন।
#
জাকির/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৮৪৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৪১
বন্যাপ্রবণ ১৭ জেলার প্লাবিত প্রতি ইউনিয়নে নতুন আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে ত্রাণমন্ত্রীর আশ্বাস
গাইবান্ধা, ১ শ্রাবণ (১৬ জুলাই) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম বলেছেন, সরকার বন্যাপ্রবণ ১৭ জেলার প্লাবিত প্রতি ইউনিয়নে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবে। প্রকল্পের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।
উত্তরাঞ্চলের বন্যাপ্লাবিত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণের তৃতীয় দিনে আজ তিনি গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা সভায় এ তথ্য জানান। ডেপুটি স্পিকার এডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব
মোঃ শাহ্ কামাল, জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল, আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি এডভোকেট শামসুল আলম হিরুসহ কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সরকার বন্যাপ্লাবিত জেলাসমূহের মধ্যে এ যাবৎ ৬ হাজার ১০০ মেট্রিক টন চাল, ১ কোটি ৫৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৩৯ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ করেছে। প্রতি জেলায় ঘণ্টায় ২ হাজার লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন পানি বিশুদ্ধকরণ মোবাইল গাড়ি প্রেরণ করেছে। গত মার্চ মাসে আগাম বন্যায় ফসলহানির কারণে এর বাইরে সিলেট অঞ্চলের জেলাসমূহে প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার পরিবারকে ভিজিএফ দেয়া হয়েছে যা চলমান রয়েছে।
আলোচনা সভায় মন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকদের চাহিদা মতো প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য ও আর্থিক বরাদ্দ দেয়া হবে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ত্রাণ কার্যক্রম চলমান থাকবে। একটি লোকও যাতে খাবারের কারণে কষ্ট না পায় তার সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যেতে জেলা প্রশাসনকদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
মেডিক্যাল টিমসমূহকে প্রতিদিন বন্যাকবলিত এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো নিয়মিত পরিদর্শন করে সেবাকার্য চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন মন্ত্রী। বন্যাপ্লাবিত এলাকার টিউবওয়েলগুলো উঁচু করে দিয়ে, পানি বিশুদ্ধকরণ টেবলেট দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানান তিনি। মায়া চৌধুরী বলেন, পানিবাহিত রোগ থেকে দুর্গত মানুষদের রক্ষা করতে হবে।
মন্ত্রী পরে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ বিতরণ করেন। এ সময় তিনি মানুষের দুঃখ-কষ্টের কথা শুনেন। কষ্ট লাঘব না হওয়া পর্যন্ত সরকার তাদের পাশে থাকবে বলে মন্ত্রী আশ^াস দেন। এ এলাকাটি বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ডেপুটি স্পিকার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জেলা প্রশাসক, আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি সহ কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী পরে কুড়িগ্রাম জেলার বন্যাপ্লাবিত এলাকা পরিদর্শনের উদ্দেশে রওনা হন।
#
ফারুক/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৭৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৪০
ত্রাণসামগ্রী নিয়ে অনিয়ম সহ্য করা হবে না
--- প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁ
গংগাচড়া (রংপুর), ১ শ্রাবণ (১৬ জুলাই) :
স্থানীয় সরকার ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রেরিত ত্রাণসামগ্রী নিয়ে কোন দুর্নীতি বা অনিয়ম সহ্য করা হবে না। ।
তিনি আজ রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার মর্নেয়া, গজঘন্টা, লক্ষ্মীটারী, গংগাচড়া, কোলকোন্দ, আলমবিদিতর ও নোহালী ইউনিয়নের বন্যাকবলিতদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে এসব কথা বলেন। এ সময় স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোাগ মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি ও সামাজিক সেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ বিত্তবান সচেতন মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী সংস্থানে সহায়তার আশ্বাস দেন।
পরে প্রতিমন্ত্রী উপজেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সমন্বিত কর্মপরিকলপনা বাস্তবায়ন করছে।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী রংপুর সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে জেলার সার্বিক কর্মকা- নিয়ে মতবিনিময় করেন।
#
আহসান/সেলিম/শেফায়েত/মোশারফ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৮৪১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৩৯
অনলাইন গণমাধ্যমকে সুরক্ষা দেবে সরকার
---তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১ শ্রাবণ (১৬ জুলাই) :
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সরকার অনলাইন গণমাধ্যমকে সুরক্ষা দেবে ।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া এসোসিয়েশন (বিওএমএ) নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী বলেন, দেশের অনলাইন গণমাধ্যমগুলো অবাধ তথ্যপ্রবাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং সরকার অনলাইন গণমাধ্যমকে সুরক্ষা দেবে। সদ্যপ্রণীত নীতিমালা এক্ষেত্রে দিকনির্দেশনার কাজ করবে।
বিওএমএ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী আলতাফ মাহমুদ ও মহাসচিব সৌমিত্র দেব এসময় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণীত হওয়ায় তথ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান ও নীতিমালাটি সবার জন্য উন্মুক্ত করতে দ্রুত গেজেট প্রকাশের অনুরোধ করেন।
গণমাধ্যমের পবিত্রতা রক্ষার ওপর সবিশেষ গুরুত্বারোপ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনলাইন সংবাদপোর্টালগুলোকে যেমন গণমাধ্যমের পবিত্রতা বজায় রাখতে হবে, তেমনি সাংবাদিকতার নামে মিথ্যাচার, চরিত্রহনন, গুজব ও উস্কানি ছড়ানোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।
সভায় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়নকালে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য ‘বিওএমএ’সহ সকল অংশীজনের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তথ্যমন্ত্রী।
বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে সিনিয়র সহ-সভাপতি ড. আব্দুর রহিম খান, সহ-সভাপতি এডভোকেট মোঃ কামাল হোসেন, মোঃ মাসুদ ও সাজ্জাদ হোসেন আপোষ, যুগ্ম-মহাসচিব রফিকুল ইসলাম কাজল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ লুৎফুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক খান মোঃ নকিব, সহ-প্রচার সম্পাদক আফরোজা বেগম শিরিন, নির্বাহী সদস্য কুরছিয়া পারভীন জুঁই ও কামরুজ্জামান হিমু মতবিনিময়ে অংশ নেন।
#
আকরাম/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৭১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৩৮
মাউশি’র কর্মকর্তাদের সাথে শিক্ষামন্ত্রীর সভা
ঢাকা, ১ শ্রাবণ (১৬ জুলাই) :
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)-এর সার্বিক কর্মকা- নিয়ে আজ ঢাকায় শিক্ষাভবনে অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এক দিক নির্দেশনামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সভায় উপস্থিত ছিলেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামানসহ অধিদপ্তরের বিভিন্ন উইংয়ের প্রধানগণসহ সর্বস্তরের কর্মকর্তাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সভায় অধিদপ্তরের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
মন্ত্রী বলেন, মাউশি’র কর্মকা-ে অনেক সাফল্য রয়েছে। এ সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। মাউশি’তে মানুষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কাজ অনেক বেশি উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা কাজের জন্য আসেন, তাদেরকে সন্তুষ্ট করে দিতে হবে। মাউশি’র কাজের মান আরো উন্নত করার জন্য মন্ত্রী বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।
মন্ত্রী বলেন, মাউশি’র কর্মকা- আরো গতিশীল করার মাধ্যমে কাজে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি মনিটরিং কার্যক্রম আরো জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রকল্প পরিচালকদের কাজ রিভিউ করে প্রকল্পগুলোতে যোগ্য প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দিতে তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, সমস্যা ও ব্যর্থতাগুলি চিহ্নিত করে তা সমাধানের ব্যবস্থা নিতে হবে। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা কোথাও দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হলে তা মাউশি’র মহাপরিচালক বা মন্ত্রীকে সরাসরি জানানোর জন্যও তিনি ভুক্তভোগীদের প্রতি আহ্বান জানান।
#
আফরাজুর/অনসূয়া/শহিদ/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১৬১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৩৭
সড়ক শ্রমিকের মৃত্যুতে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ১ শ্রাবণ (১৬ জুলাই ) :
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বড়াইতলীতে সড়ক মেরামতের কাজ করা অবস্থায় দুর্ঘটনায় নিহত সড়ক শ্রমিক মো. কামাল হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী এক শোক বার্তায় মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
#
ফয়েজ/অনসূয়া/জসীম/শামীম/২০১৭/১৪১৬ ঘণ্টা