তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৩৬
কমনওয়েলথে প্রথম স্বর্ণজয়ী শ্যূটার আতিকুর রহমানের মৃত্যুতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই):
কমনওয়েলথে প্রথম স্বর্ণজয়ী শ্যূটার আতিকুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান।
শোকবার্তায় মন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় মন্ত্রী বলেন, কমনওয়েলথ গেমস শ্যূটিংয়ে বাংলাদেশের প্রথম স্বর্ণজয়ী শ্যূটার আতিকুর রহমান। দেশের শ্যূটিংয়ের উন্নয়ন তথা গোটা ক্রীড়াঙ্গনে তাঁর অনবদ্য অবদানের জন্য তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর মৃত্যু দেশের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড কমনওয়েলথ গেমসে আতিকুর রহমান ১০ মিটার পিস্তল ইভেন্টে আব্দুস সাত্তার নিনির সঙ্গে জুটি গড়ে স্বর্ণ জেতেন। ব্যক্তিগত ইভেন্টে জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ। কমনওয়েলথের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ান গেমসেও স্বর্ণ জয়ের কৃতিত্ব রয়েছে আতিকুর রহমানের।
#
আরিফ/সায়েম/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৩৫
ঢাবি হলে তাণ্ডব চালিয়েছে স্বাধীনতাবিরোধী প্রেতাত্মারা
- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই):
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী আল বদর, আল শামসের বংশধর, ছাত্র শিবির এবং বিএনপির প্রেতাত্মা ছাত্রদলের ছেলে-মেয়েরা ও বহিরাগতরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে।
মন্ত্রী আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামাতের ইন্ধনে নাশকতা, অরাজকতা, হত্যা হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এ কথা বলেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। এই মিথ্যাচার করে কোটাবিরোধীরা নিজেদের বলেছেন, রাজাকার! কত বড় দুঃসাহস! এই স্লোগানের মাধ্যমে নিজের চরিত্র তারা প্রকাশ করেছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কেউ বাধা দেয়নি। কিন্তু যখন রাজাকার স্লোগান দিয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে, তাণ্ডব চালিয়েছে, তখন তার চূড়ান্ত রূপ আমরা দেখেছি। মির্জা ফখরুল ইন্ধন দিয়েছেন। তাদের লাশ দরকার ছিল। আর এজন্যই অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করেছে। এখন আর বসে থাকার সময় নেই। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের নামে দেশব্যাপী হত্যা, নাশকতা ও অগ্নিসংযোগের বিরুদ্ধে ঢাকায় আগামী কাল সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী। শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে আগামীকাল বিকেল ৩টায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান, এমপি’র সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমেদ, সংসদ সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীর বিক্রম, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বক্তৃতা করেন। সম্মেলনে বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
#
এনায়েত/সায়েম/রানা/রফিকুল/শামীম/২০২৪/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৩৪
ছারছীনার পির আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহর মৃত্যুতে
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর শোক
ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই):
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ ছারছীনা দরবার শরিফের পির, বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লার আমির ও মসজিদে গাউসুল আজম কমপ্লেক্সের মুতাওয়াল্লি হজরত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তিনি আজ এক শোক বিবৃতিতে বলেন, এ মহান বরেণ্য আলেমের মৃত্যুতে জাতি এক বিশ্বখ্যাত ইসলামিক চিন্তাবিদকে হারালো, যা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।
আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ্ মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
#
আহসান/সায়েম/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৩৩
শিক্ষার্থীদের প্রতি সরকার সহানুভূতিশীল, কোটা আন্দোলন তাদের হাতে নেই,
বিএনপি-জামাতের লাশের রাজনীতিতেই নিহত মানুষ
--- পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই):
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, সরকার সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং কোটা আন্দোলন তাদের হাতে নেই। এখনকার কর্মসূচি বিএনপি-জামায়াতের প্রেসক্রিপশনে হচ্ছে ও তাদের লাশের রাজনীতির কারণেই ৬ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।
আজ রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনের মধ্যে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার উদ্দেশ্যে বিএনপি-জামায়াত চাচ্ছিল দেশে লাশ তৈরি হোক এবং মঙ্গলবার তারা এই লাশগুলো তৈরি করেছে, ৬ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে' উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, মঙ্গলবার সারাদেশে যে নৈরাজ্যের অপচেষ্টা হয়েছে, এর প্রধান কারণ হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা।
মন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে, মোটর সাইকেল ভাঙচুর, মেট্রোরেলে হামলা হয়েছে। এগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাজ না। বিএনপি-জামায়াত ঢুকে এসব কর্মকাণ্ড করেছে। আন্দোলনকারীরা এখন তাদের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিকৃত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা রাজাকারদের পক্ষে স্লোগান দিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন অধ্যাপক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপি-জামায়াত কোটা আন্দোলনের কর্মসূচির ওপর ভর করে মাঠ অস্থিতিশীল করতে চাইছে। আমরা তা হতে দেব না। তারেক রহমান নির্দেশ দিচ্ছে আন্দোলনে ঢুকে পড়তে। যারা কোটা নিয়ে আন্দোলন করছো সেই আন্দোলন আর তোমাদের হাতে নাই। ছিনতাই হয়ে গেছে। তোমাদের নেতারা বিক্রি হয়ে গেছে। বিএনপি- জামায়াত লাশ চেয়েছিল, পেয়েছে। তাদের ক্যাডাররা নেমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে ৬ জনকে খুন করেছে। সরকার তদন্ত করছে। যে বা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। আর কোটার বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন। সরকার এখানে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তাই তোমাদের প্রতি অনুরোধ, চূড়ান্ত রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করো। সরকার তোমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল।
‘ছাত্র-ছাত্রীরা না বুঝেই কোটাবিরোধী আন্দোলন করেছে' মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের আগের দাবির প্রেক্ষিতে তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে সরকারি চাকুরিতে কোটাপদ্ধতি সরকার বাতিল করেছে। গত কয়েকটি বিসিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণ কোটাবিহীনভাবে হয়েছে।
আগে স্বাধীনতার পর থেকেই কোটা ছিল, স্বাধীনতার আগেও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, নারী ও জেলা কোটা ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছিল না, যেটি আমাদের সরকার পূর্নবহাল করেছিল। পরে ছাত্র-ছাত্রীদের দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে আমাদের সরকার কোটা বাতিল করে।
চলমান পাতা-২
--- ২ ---
এরপর একজন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি হাইকোর্টে গিয়েছিল। তখন হাইকোর্ট সরকারের কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রায় দিয়ে কোটা পূর্নবহালের কথা বলে।
মন্ত্রী বলেন, এখানেই শেষ নয়, হাইকোর্টের এই রায় আবার সুপ্রিম কোর্ট স্থগিত করে দিয়েছে। অর্থাৎ বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের স্থিতাদেশ অনুযায়ী কোটা নাই। কোটার ভিত্তিতে চাকুরি হবে না সেই পরিস্থিতিই বিরাজমান। সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায় হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা। এটি জানার পরও যারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে করছে, সেটি দুরভিসন্ধি। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ভুল বুঝিয়ে সেখানে সম্পৃক্ত করছে। এরপর সেখানে বিএনপি- জামায়াত ঢুকে কোটা আন্দোলনে কর্মসূচি ঠিক করে দিচ্ছে।
হাছান মাহ্মুদ বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম-রংপুরসহ সমগ্র দেশে বিএনপি- জামায়াতের তারা লাঠি-সোটা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নেমেছে। চট্টগ্রামে শিবির বাহিনী মানুষের রগ কেটেছে। চট্টগ্রামে ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে ছাত্রলীগ কর্মীদেরকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে তারা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে। চট্টগ্রামে তিনজন নিহত হয়েছে। সেখানে একজন সাধারণ ছাত্রী, একজন সাধারণ ছাত্র ও একজন ছাত্রদলের নেতা। ছাত্রদলের নেতা ওখানে গেল কেন? এতেই প্রমাণ হয়, তারা ওখানে ঢুকেছে। ঢাকায় একজন পথচারী ও আরেকজন ছাত্র নিহত হয়েছে।
ঘটনাপ্রবাহ নির্দেশ করে তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনকারীরা মঙ্গলবার সমাবেশ করেও কোনো কর্মসূচি দেয়নি, রাত সাড়ে বারোটায় তারা গায়েবানা জানাজা ও মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে, তার মানে লাশের রাজনীতি। এর মানে এই কর্মসূচি কোটা আন্দোলনকারীদের নয়। এই কর্মসূচি বিএনপি- জামায়াতের প্রেসক্রিপশনে দেওয়া হয়েছে। যারা কোটা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা বিএনপি-জামাতের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে। মানুষের সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেবো না।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবং যখনই সামরিক জান্তা বা সেনাসমর্থিত সরকার গণতন্ত্রের পায়ে শেকল পরিয়েছে, তখনই বারবার গণতন্ত্রের মুক্তি আন্দোলনের বঙ্গবন্ধুকন্যাকে গ্রেফতার করেছে।
কিন্তু তারা বঙ্গবন্ধুকন্যাকে মুক্তি দিতেও বাধ্য হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের পর আমাদের তৃণমূলের কর্মীরা যে আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনাকে মুক্ত করেছিল, তাতে গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছিল, বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়াও সেই আন্দোলনেই মুক্তি পেয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য লায়ন মশিউর আহমেদের সভাপতিত্বে ও স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েলের পরিচালনায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ প্রধান আলোচক হিসেবে এবং কৃষিবিদ ড. আওলাদ হোসেন এমপি, আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী খান, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মানিক, বঙ্গমাতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এম আনিসুর রহমান, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপদেষ্টা আক্তারুজ্জামান খোকা প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।
#
আকরাম/সায়েম/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৮২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৩২
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ সময় ১৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ১৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৯৮ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৮ হাজার ৭৫২ জন।
#
দাউদ/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৭০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৩১
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো কিছু দেখে যাচাই-বাছাই না করে সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক নয়
-প্রতিমন্ত্রী পলক
ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই):
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো কিছু দেখে যাচাই-বাছাই না করে শিক্ষার্থীদের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক নয়। কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার ফলে সারাদেশে ব্যাপক সংঘর্ষ ও প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এর জন্য দায়ী।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর আমারি হোটেলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং ইইউ প্রতিনিধি টিমের যৌথ উদ্যোগে সাইবার-নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও কৌশল এবং ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে ‘সাইবার-সিকিউরিটি সিম্পোজিয়াম: বাংলাদেশ'স পাথ ফরওয়ার্ড’ বিষয়ক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্ত বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। আমরা সকলের বক্তব্য, মন্তব্য ও আবেগ-অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই বিবেচনা করবেন। তিনি বলেন, প্রতিমন্ত্রী বা সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে নয়, একজন বাবা এবং সচেতন মানুষ হিসেবে সকলের প্রতি অনুরোধ করবো, আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন ধৈর্যশীল ও সহনশীল হয়। সবার আগে আমাদের নাগরিক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান এ অবস্থায় তৃতীয় কোনো পক্ষ যেন শিক্ষার্থীদেরকে বিভ্রান্ত করতে না পারে। একই সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো ভুল তথ্য, গুজব বা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা যেন অসহনশীল হয়ে না যায় সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য সাইবার নিরাপত্তার সমপরিমাণ ঝুঁকি রয়েছে। আমরা কেউই সাইবার সিকিউরিটির বিষয়ে শতভাগ নিরাপদ নয়। কারণ, ইন্টারনেটের সর্বত্রই আমাদের ফুটপ্রিন্ট ও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করা আছে। তাই, সাইবার সিকিউরিটি এখন কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা দেশের ইস্যু নয়, সাইবার সিকিউরিটি একটা গ্লোবাল ইস্যু।
তিনি সারাবিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ সাইবার জগৎ নিশ্চিত করতে সরকার, প্রাইভেট সেক্টর, অ্যাকাডেমিয়া ও মিডিয়ার সমন্বয়ে যৌথভাবে সচেতনতা তৈরি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একই সাথে ডিজিটাল লিটারেসি ও এআই লিটারেসি নিয়েও আমাদের সচেতনতা তৈরি করতে হবে। কারণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাণিজ্যসহ এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে গেছে।
পলক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের এ যুগে অর্থ এখন আর মুখ্য বিষয় নয়, এখন প্রধান বিষয় হচ্ছে ডেটা। তাই আমাদের প্রধান দায়িত্ব হবে আমাদের দেশ, সরকার ও নাগরিকের তথ্য উপাত্তের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা। আমাদের ভবিষ্যৎ ও আগামী প্রজন্মের জন্য একটা নিরাপদ সাইবার জগৎ নিশ্চিত করতে প্রয়োজন হবে সরকার, প্রাইভেট সেক্টর, অ্যাকাডেমিয়া এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের পার্টনারশিপ ও পারস্পরিক সহযোগিতা।
#
বিপ্লব/সিরাজ/আলী/মাসুম/২০২৪/১৬০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৩০
ছারছীনার পীর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহর মৃত্যুতে ধর্মমন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই):
ছারছীনা দরবার শরীফের পীর, বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লার আমির, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মুদার্রেসিনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও মসজিদে গাউসুল আজম কমপ্লেক্সের মুতাওয়াল্লী হজরত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান।
মন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
#
আবুবকর/সিরাজ/আলী/মাসুম/২০২৪/১৩০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২২৯
জ্যামাইকায় গভর্নর জেনারেলের নিকট বাংলাদেশের হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ
কিংস্টন, ১৭ জুলাই:
গতকাল ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র জ্যামাইকার রাজধানী কিংস্টনের কিংস্ হাউজে জ্যামাইকার গভর্নর জেনারেল স্যার প্যাট্রিক লিন্টন অ্যালেনের নিকট সমবর্তী হাইকমিশনার হিসেবে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
এসময় হাইকমিশনার মুহিত জ্যামাইকার গভর্নর জেনারেল, সরকার ও জনগণের প্রতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন । তিনি আগামীর দিনগুলোতে জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ ও জ্যামাইকার ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো গভীর ও সম্প্রসারিত করার মতপ্রকাশ করেন। হাইকমিশনার মুহিত ও গভর্নর জেনারেল বাংলাদেশ ও জ্যামাইকার মধ্যে নিয়মিত ফরেন অফিস কনসালটেশন আয়োজনের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা করেন, যা দু’দেশের মধ্যে সামগ্রিক দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এগিয়ে নেয়ার একটি প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। তাঁরা দু’দেশের অভিন্ন মূল্যবোধ ও ক্রিকেট ও সংগীতের প্রতি গভীর নিবেদন ও একাত্মবোধের প্রতি আলোকপাত করেন।
গভর্নর জেনারেল হাইকমিশনার মুহিতকে শুভ কামনা জানান এবং তাঁর মেয়াদকালে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো জোরদার করার আশ্বাস দেন।
এর আগে হাইকমিশনার মুহিত জ্যামাইকার পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী সিনেটর কামিনা জনসন স্মিথের সাথে তাঁর দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন। এসময় তারা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন কর্মকান্ড ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। জ্যামাইকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের হাইকমিশনার পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
হাইকমিশনার মুহিত নিয়মিত দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা, ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলের সফর বিনিময়, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো বাড়ানোর কথা উল্লেখ করেন। তিনি বাংলাদেশ ও জ্যামাইকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন। আলোচনায় হাইকমিশনার মুহিত উভয় দেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময়ের সম্ভাব্যতা আলোচনা করেন এবং CARICOM এর সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে জ্যামাইকার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বাংলাদেশের হাইকমিশনার দু’দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের সফর বিনিময়ের প্রস্তাব করেন। তিনি জ্যামাইকার গভর্নর জেনারেল এবং পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
#
মিশন জ্যামাইকা/সিরাজ/আলী/মাসুম/২০২৪/১০৩০ ঘণ্টা