Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১২ নভেম্বর ২০২৪

তথ্যবিবরণী ১২ নভেম্বর ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ১৬৪৫

 

ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে প্রান্তিক পর্যায়ে নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেয়া হবে

                                                             -- নাহিদ ইসলাম

 

ঢাকা, ২৭ কার্তিক (১২ নভেম্বর): 

 

তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম বলেছেন,  বাংলাদেশে ডিজিটাল বৈষম্য চলছে, এই বৈষম্য দূর করার জন্য প্রান্তিক পর্যায়ে নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেয়া হবে।

 

আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অফিসকক্ষে মালয়েশিয়ান টাওয়ার নির্মাতা কোম্পানি ইডটকো বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

 

উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে পলিসি রিফর্ম চলছে, এর পাশাপাশি বিজনেস রেগুলেশনগুলো বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। ইডটকোর সাথে এজেন্ডা মিলে গেলে একসাথে কাজ করা সহজ হবে। তিনি বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেটওয়ার্কের সমস্যার কারণে জনগণ ঠিকমতো সুবিধা পাচ্ছে না, তাই নেটওয়ার্ক বিস্তারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে টাওয়ার সম্প্রসারণ জরুরি। সামনে ৫জি আসছে তার জন্য নেটওয়ার্ক বিস্তার জরুরি হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে ইডটকোর সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে ভেবে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

 

ইডটকোর নির্বাহী কর্মকর্তা মোহামেদ আদলান আহমাদ তাজউদিন বলেন, মালয়েশিয়ার ইডটকো গ্রুপ মোবাইল টাওয়ার নির্মাণ খাতে সফল প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে তারা টাওয়ার নির্মাণের পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করতে চায়। তারা যৌথভাবে বাংলাদেশের জনগণের উন্নয়নের কাজ করতে আগ্রহী। এ সময় ফেনীর বন্যার সময় টাওয়ারগুলো সচল রাখতে উপদেষ্টার তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের প্রশংসা করেন তিনি।

 

কান্ট্রি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর Sunil Isaac বলেন, ভ্যাট ট্যাক্স বেশি হওয়ার কারণে ইন্টারনেটের খরচ বেড়ে যাচ্ছে, এটা কমানো গেলে ইন্টারনেটের দাম কমানো সম্ভব হবে। পাশাপাশি ভ্যাট ট্যাক্স থেকে বেঁচে যাওয়া টাকা দিয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন করা সম্ভব হবে। যা বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সহায়ক হবে।

 

ইডটকোর পরিচালক Anthony Kersauson, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচাল ক ইসরাত জারিন সহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

জসীম/শিবলী/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২২৪০ ঘণ্টা

Handout                                                                                                  Number: 1644

Special Directives from the Environmental Advisor

Forest Department to Halt Plantation of Eucalyptus and Acacia Trees

 

Dhaka, 12 November:

            Syeda Rizwana Hasan, Advisor to the Ministry of Environment, Forest and Climate Change, announced that the Forest Department will no longer plant eucalyptus and acacia trees. She instructed the department to preserve other tree species except for eucalyptus and acacia planted for social forestry along roadsides. The advisor stated that biodiversity rules and guidelines will be developed to protect biodiversity. She also emphasized involving students in wildlife and forest-related activities at the range office level.

            She issued these directives during a special meeting held at the Forest Department office in Agargaon, Dhaka today.

            The advisor highlighted the need to establish management committees for protected forests such as Lathitila, Chunati, Satchari, and Lawachara. She called for an end to eco-tourism and picnicking in these forests and emphasized stopping music and noise disturbances to maintain the natural environment of the forests.

            Rizwana Hasan further added that illegal encroachments on forest land must be removed, and no lobbying would be tolerated. Conflicts with forest dwellers should be addressed, and harassment cases against the Garo community should be dropped. Advisor directed relevant officials to implement a strategic plan, a gender policy, a grievance redress system, and ensure transparency in project information.

            Additional Secretary of the Environment Ministry ASM Humayun Kabir, Dr. Fahmida Khanam, Joint Secretary Shamima Begum, Chief Conservator of Forests Amir Hossain Chowdhury, and other senior Forest Department officials were present at the meeting.

#

 Dipankar/Shibli/Rana/Rafiqul/Joynul/2024/2110 hour 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ১৬৪৩

 

পরিবেশ উপদেষ্টার বিশেষ নির্দেশনা

ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছ রোপণ বন্ধ করবে বন বিভাগ

 

ঢাকা, ২৭ কার্তিক (১২ নভেম্বর):

          পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বন বিভাগ আর ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছ রোপণ করবে না। তিনি রাস্তার পাশে সামাজিক বনায়নের জন্য লাগানো ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি ছাড়া অন্য গাছ সংরক্ষণ করতে বন বিভাগকে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বায়োডাইভারসিটি রুলস ও গাইডলাইন তৈরি করা হবে। এছাড়া, বন ও বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত কাজে রেঞ্জ অফিস পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করার কথা বলেন।

          আজ রাজধানীর আগারগাঁও বন অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সভায় উপদেষ্টা এই নির্দেশনা প্রদান করেন।

          উপদেষ্টা জানান, লাঠি টিলা, চুনতি, সাতছড়ি ও লাউয়াছড়ার জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করতে হবে। এসব বনভূমিতে ইকো-ট্যুরিজম ও পিকনিক বন্ধ করতে হবে। গান-বাজনাও বন্ধ করতে হবে, যাতে বন তার স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখতে পারে।

          সৈয়দা রিজওয়ানা আরো বলেন, বনভূমির অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে হবে, কোনো তদবির বরদাশত করা হবে না। বনবাসীদের সাথে দ্বন্দ্ব দূর করে গারো সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মামলাসহ হয়রানিমূলক মামলা বন্ধ করতে হবে।

          উপদেষ্টা স্ট্রাটেজিক প্ল্যান, জেন্ডার পলিসি, গ্রিভেন্স রিড্রেস সিস্টেম এবং প্রকল্পের তথ্য প্রকাশে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

          মতবিনিময় সভায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এস এম হুমায়ুন কবীর ও  ড. ফাহমিদা খানম, যুগ্মসচিব শামীমা বেগম, প্রধান বন সংরক্ষক মো: আমীর হোসাইন চৌধুরী-সহ বন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

 

দীপংকর/শিবলী/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০৫০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ১৬৪২

 

ডিজিটাল স্বাক্ষর ব্যবহারে ডকুমেন্টের নিরাপত্তা, নির্ভরযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব

-- ভূমি সচিব

 

ঢাকা, ২৭ কার্তিক (১২ নভেম্বর): 

 

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেছেন, ডিজিটাল স্বাক্ষর ব্যবহারের মাধ্যমে ই-সেবা বা ই-কার্যক্রমের তথ্য বা ডকুমেন্টের নিরাপত্তা, নির্ভরযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়, অন্যথায় সাইবার নিরাপত্তার অভাবে ডিজিটাল কার্যক্রম বা ট্রানজেকশনসমূহ হুমকির সম্মুখীন হতে পারে।

 

ভূমি সচিব আজ ঢাকায় ভূমি ভবনের সম্মেলন কক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয়ের এলাম্‌স কর্মসূচি আয়োজিত ডিজিটাল স্বাক্ষর (ই-সাইন) বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

সিনিয়র সচিব বলেন, পৃথিবীতে যত তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞানের পরিধি বাড়ছে, একটি শ্রেণি তত ফাঁক-ফোকর দিয়ে জালিয়াতি করে জন নিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। তিনি ভূমি ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়নে ডিজিটাল স্বাক্ষর ব্যবস্থার সহজ প্রশিক্ষণ পদ্ধতি উদ্ভাবন করে তা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীগণ ডিজিটাল স্বাক্ষর (ই-সাইন) এর ব্যবহার ও করণীয়, পিকেআই সিস্টেম, সংশ্লিষ্ট ধারা ও আইনের বিধিসমূহ-সহ হাতে কলমে বিভিন্ন প্রায়োগিক দিক সম্পর্কে জানতে পারবে। এতে করে প্রাপ্ত লব্ধ জ্ঞানের মাধ্যমে দেশকে তথ্যপ্রযুক্তি সমৃদ্ধ সমাজে রূপান্তরে সহায়ক হবে।

 

কর্মশালায় জানানো হয়, বর্তমানে ডিজিটাল স্বাক্ষর ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। কারণ ডিজিটাল স্বাক্ষর একটি ক্রিপ্টোগ্রাফিক কৌশল যা ডিজিটাল তথ্যের বিষয়গুলো নিশ্চিত করে। যেমন, অনলাইন কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীদের (প্রেরক ও প্রাপক) পরিচিতি, তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিতকরণ, ডকুমেন্ট প্রেরণ ও প্রাপ্তিতে অস্বীকার করতে না পারা।

 

ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহম্মদ ইব্রাহিম, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডল, অতিরিক্ত সচিবগণ-সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

 

#

 

আহসান/শিবলী/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯৫০ ঘণ্টা

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর: ১৬৪১

 

শ্রমিক অসন্তোষের যোক্তিক সমাধান করা হবে

--- শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা

 

ঢাকা, ২৭ কার্তিক (১২ নভেম্বর):

 

          দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান শ্রমিক অসন্তোষের যৌক্তিক সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। উপদেষ্টা আজ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান।

          শ্রমিকদের রাস্তা ঘাট অবরোধ করে জন দুর্ভোগ সৃষ্টি না করে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ওপর ভরসা রাখুন। আমরা আপনাদের কষ্ট অনুভব করছি। আপনাদের নায্য পাওনা আপনারা অবশ্যই পাবেন।          মালিক পক্ষকে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ভাতা সঠিকভাবে পরিশোধের আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, শ্রমিক ভাই-বোনদের বকেয়া পাওনা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই আপনাদের ফ্যাক্টরি চলে। দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে।  সকল কারখানায় সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন করতে হবে। এর ব্যত্যয়ের কোনো সুযোগ নেই। কেউ মজুরি বোর্ড বাস্তবায়ন না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মালিকপক্ষের সমস্যা পেলে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে। দেশকে সচল রাখতে হবে। রাস্তা ঘাট অবরোধ করে জনগণকে কষ্ট দেওয়ার সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন এ উপদেষ্টা।

          শ্রমিক অসন্তোষের কারণ অনুসন্ধান করা ও তা নিরসনের লক্ষ্যে ক্লাস্টার ভিত্তিতে কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, আশুলিয়া, সাভার-সহ কারখানা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ক্লাস্টার ভিত্তিতে কমিটি গঠন করতে হবে। উক্ত কমিটি মালিক পক্ষকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে। তারা বেতন ভাতা পরিশোধ করছে কি না সেটিও নিশ্চিত করবে। শ্রমিক অসন্তোষ কেন হচ্ছে, তা অনুসন্ধানপূর্বক সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। শ্রমিক অসন্তোষ তৈরিতে বহিরাগতদের উস্কানি রয়েছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখবে এ কমিটি বলে মন্তব্য করেন উপদেষ্টা। তিনি দেশের স্বার্থে শ্রমিকদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্বচ্ছতা ও সততা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

          এ সময় উপদেষ্টা দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া বেতন আনাদায়কৃত বার্ডস গ্রুপ কে অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বাজেট থেকে ইন্টারেস্ট ফ্রি ১৪ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেন।

          শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান-এর সভাপতিত্বে সভায়  মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

 

আরিফ/শিবলী/রানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২০৪০ ঘণ্টা  

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ১৬৪০

 

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাণিজ্য সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করবে

                                   -- বাণিজ্য উপদেষ্টা

 

ঢাকা, ২৭ কার্তিক (১২ নভেম্বর): 

 

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেছেন, জাপানের সাথে ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (ইপিএ) ও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দুদেশের বাণিজ্য সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করবে। এটা বাংলাদেশের সামনে সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলে দেবে।

 

আজ বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরির সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা একথা বলেন। সাক্ষাৎকালে তাঁরা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট ও দুদেশের ব্যবসা বাণিজ্য পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

 

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ উদীয়মান অর্থনীতির দেশ। জাপানের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশ শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে।

 

          শেখ বশির উদ্দিন বাংলাদেশ-জাপানের সম্পর্ককে স্বচ্ছ ও বিশ্বাসের মানদন্ডে উন্নীত উল্লেখ করে বলেন, ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। তিনি আরো বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনা আছে। সুশাসন নিশ্চিত করে সরকার সে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায়।

 

          জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি বলেন, বাংলাদেশের সাথে জাপানের বন্ধুত্বের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ব্যবস্যা বাণিজ্য সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে সেই বন্ধুত্ব আরো নিবিড় হবে। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশই বাণিজ্য সুবিধা উপভোগ করতে পারে।

 

          এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

কামাল/শিবলী/রানা/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৯৪০ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ১৬৩৯

 

সিঙ্গাপুরকে বাংলাদেশে বন্দর অবকাঠামো ও

জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান নৌপরিবহন উপদেষ্টার

 

ঢাকা, ২৭ কার্তিক (১২ নভেম্বর):

 

          সিঙ্গাপুরকে বাংলাদেশের বন্দর অবকাঠামোর উন্নয়ন ও জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

          আজ নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টার সাথে তাঁর অফিসে বাংলাদেশে সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনার ডেরেক লোহ ইউ-সে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

          এ সময় উপদেষ্টা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়ে হাইকমিশনারকে অবহিত করেন এবং বন্দর অবকাঠামো নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনা  অভিজ্ঞতা বিনিময় ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় সিঙ্গাপুরের সহায়তা কামনা করেন। তিনি বলেন, বন্দর অবকাঠামো নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনায় সিঙ্গাপুরের চমৎকার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন বন্দর যথা বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরে শিপইয়ার্ড নির্মাণ, মোংলা বন্দরকে আধুনিকীকরণসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বন্দরসমূহের অবকাঠামো উন্নয়নে সিঙ্গাপুর বিনিয়োগ করতে পারে।

          সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের জাহাজ শিল্পখাতে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। সকল প্রক্রিয়া এখন স্বচ্ছতা ও উন্মুক্ত পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে। দেশের সম্ভাবনাময় জাহাজ শিল্পখাতে সিঙ্গাপুর বিনিয়োগ করতে পারে। তিনি বলেন, এই টার্মিনালটি নির্মিত হলে বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। বন্দরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে অনেকাংশে কমে আসবে আমদানি ও রপ্তানি ব্যয়। এই প্রকল্পের আওতায় দুটি কনটেইনার টার্মিনাল, একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল এবং একটি তেল ও গ্যাস টার্মিনাল উন্নয়নের পরিকল্পনা আছে সরকারের। এটিকে গ্রিনপোর্ট হিসেবে গড়ে তোলা হবে। বে টার্মিনাল বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর অবকাঠামোর আধুনিকীকরণ এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে যোগাযোগ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা।

          উপদেষ্টা আরো বলেন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরে একটি আন্তর্জাতিকমানের শিপইয়ার্ড ও ডকইয়ার্ড নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এছাড়া মোংলা পোর্টকে আধুনিকীকরণ করতে প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। চীন দুটি কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণের সহায়তা করছে। ভারতের এক্সিম ব্যাংকের সহায়তায় আরেকটি প্রকল্প দ্রুতই আলোর মুখ দেখবে।

          উভয়ই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার সূচনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আশা করেন যে এফটিএ দুই দেশের মধ্যে অধিকতর অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা সহজতর করবে। বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

আরিফ/শিবলী/রানা/মোশারফ/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০৩০ ঘণ্টা 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ১৬৩৮

 

অংশীজনদের সাথে সংবিধান সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

 

ঢাকা, ২৭ কার্তিক (১২ নভেম্বর): 

 

সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্যবৃন্দ সংবিধান সংস্কার বিষয়ে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময়ের অংশ হিসেবে আজ দ্বিতীয় দিন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের সাথে জাতীয় সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে মতবিনিময় করেন। আজকের মতবিনিময় সভায় সংস্কারের বিভিন্ন দিক নিয়ে মত দেন অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমের খতিব মুফতি আব্দুল মালেক, খুশি কবির, সুব্রত চৌধুরী, মুসা আল হাফিজ, শাহিন আনাম, ড. শহিদুল আলম এবং মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী।

 

মতবিনিময় সভায় কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ এবং কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ড. শরীফ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী এবং ফিরোজ আহমেদ অংশগ্রহণ করেন।

 

আগামী আরো কয়েকদিন বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের সাথে সংবিধান সংস্কার কমিশন মতবিনিময় সভা অব্যাহত রাখবে।

 

সংবিধান সংস্কার কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

 

#

 

সাব্বির/শিবলী/রানা/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৮৫০ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর: ১৬৩৭

 

কর্ন্ট্রাক্ট ফার্মিং হলে কৃষকের স্বাধীন সত্তা থাকবে না

                        -- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

 

ঢাকা, ২৭ কার্তিক (১২ নভেম্বর): 

 

কৃষকের সাথে মজুরির সম্পর্ক গড়ার আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, কর্ন্ট্রাক্ট ফার্মিং হলে কৃষকের স্বাধীন সত্তা থাকবে না। কর্ন্ট্রাক্ট ফার্ম কৃষকের সাথে সম্পৃক্ত নয়, কৃষি ধ্বংস করে বড় বড় কোম্পানি কাজ করে যাচ্ছে। এতে কৃষকরা কতটুকু উপকার পাচ্ছে তা আমাদের দেখতে হবে।

 

আজ রাজধানীর হোটেল ওমনি ইন্টারন্যাশনালে ‘বাংলাদেশের কৃষি শ্রমিক: সংকট ও সমাধান’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

 

          মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, শ্রমিকদের বেঁচে থাকা শুধু মজুরির সাথে সম্পৃক্ত নয়। তিনি আরো বলেন, কৃষক ফসলের  ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না, আবার চালের দাম বাড়লে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে অনেক সময় খাদ্যদ্রব্য আমাদানি করতে হয়। কৃষকদের ভর্তুকি দিয়ে ভালো দামে খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ করলে আর আমদানি করতে হবে না কিন্তু তা আমরা করছি না।

 

উপদেষ্টা আরো বলেন, তামাক চাষ দেশে নীল চাষের মতো গড়ে উঠছে। বাধ্য হয়ে বহু কৃষক খাদ্য ফসল বাদ দিয়ে তামাক চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছে- যা অত্যন্ত ভয়ানক। তামাক চাষে নারী শ্রমিকদের জীবনের ঝুঁকি বেশি, অনেকক্ষেত্রে এ পেশার সাথে সম্পৃক্ত গর্ভবতী নারী শ্রমিকদের সন্তান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

 

ফরিদা আখতার আরো উল্লেখ করেন, পরিকল্পিতভাবে কৃষি যে জিডিপি গুরুত্ব হারাচ্ছে তা আমাদের ভেবে দেখা দরকার। উন্নত হওয়া মানে কৃষির গুরুত্ব জিডিপিতে কমে গিয়ে অন্য সেক্টরে বাড়বে এমনটি নয়। তিনি আরো বলেন, কৃষিতে সবুজ বিপ্লব ধূসর বিপ্লবে পরিণত হয়েছে। এ সেক্টরে সার-কীটনাশক ব্যবহারের ফলে ক্যানসারসহ বিভিন্ন নন কমিউনিকেবল ডিজিজ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বিষয়ে সবাইকে আরো সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

 

রিইব পরিচালনা পর্ষদ সদস্য অধ্যাপক এম এম আকাশের সভাপতিত্বে আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, কর্মজীবী নারী সংগঠনের অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক সানজিদা সুলতানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম খান, রিইব’র পরিচালক সুরাইয়া বেগম, আরএলএস’র প্রজেক্ট ম্যানেজার ভিনোদ কষ্টি-সহ প্রমুখ।

#

মামুন/শিবলী/রানা/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৮৪০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ১৬৩৬

 

গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই

                                   -- তথ্য উপদেষ্টা

 

ঢাকা, ২৭ কার্তিক (১২ নভেম্বর): 

 

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই। এই স্বাধীনতাকে কাজে লাগিয়ে গণমাধ্যমকে সাহসের সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে।

 

আজ ঢাকায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দৈনিক সংবাদপত্রের সম্পাদকগণের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

 

          তথ্যের অবাধ প্রবাহের ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, সঠিক তথ্য ব্যাপকভাবে প্রচার না হওয়ায় গুজব ও অপতথ্যের দ্বারা মানুষ প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত হচ্ছে। গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধে গণমাধ্যমকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণমাধ্যমের ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা শহিদ ও আহত হয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগের গল্প গণমাধ্যমে প্রচার করতে হবে। আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের জনস্মৃতিতে রাখতে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

 

বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সমালোচনা করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ওই সময় অনেক গণমাধ্যমকর্মী ভয়ে সত্য ঘটনা প্রকাশ করতে পারেননি। এখন সেই সময় কেটে গেছে। তিনি ফ্যাসিবাদী সরকারের গুম, দুর্নীতি-সহ সকল অপকর্মের তথ্য গণমাধ্যমে প্রচারের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান। গণমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। জনগণের নিকট সঠিক তথ্য পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সরকার গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করে। গণমাধ্যমের সংস্কার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, সরকার গণমাধ্যমের সংস্কারের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কমিশন গঠন করেছে। কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গণমাধ্যমের সংস্কার করা হবে।

 

মতবিনিময় সভায় পত্রিকার সম্পাদকগণ বলেন, বর্তমান সময়ে গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। যা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য আশীর্বাদ। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। গত ১৬ বছর গণমাধ্যম সঠিক ভূমিকা পালন করলে দেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান হতো না। মতবিনিময় সভায় ইংরেজি পত্রিকার জন্য আলাদা নীতিমালা প্রণয়নেরও দাবি জানানো হয়।

 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ এবং দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রতিনিধিবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

মামুন/শিবলী/রানা/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৮২০ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর: ১৬৩৫

 

ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে ইরানের বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক রয়েছে

                                                            --- নৌপরিবহন উপদেষ্টা

 

ঢাকা, ২৭ কার্তিক (১২ নভেম্বর):

         

          নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে ইরানের বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যে বাণিজ্যের অন্যতম অংশীদার। আমদানি-রপ্তানি সম্প্রসারণে উভয় দেশেরই অনেক সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুই দেশেই ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। উপদেষ্টা এ সময় জানান বাংলাদেশ সরকার সবসময় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখেই জাহাজ পরিচালনা করে থাকে বলে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।

          নৌপরিবহন উপদেষ্টার সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভুশির সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

          ইরানের রাষ্ট্রদূত বর্তমান সরকারের প্রতি ইরান সরকারের অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতার আগ্রহের কথা জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং ইরানের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাদৃশ্য বিদ্যমান। এই সম্পর্ক প্রতিনিয়ত আরো সুদৃঢ় হচ্ছে। ইরান বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানি করে থাকে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ইরান থেকে লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করে। এ সময়ে রাষ্ট্রদূত বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা ও সম্ভাবনা কাজে লাগানোর মাধ্যমে দুই দেশের জনগণই উপকৃত হতে পারবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে তিনি আশা করেন।

          বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

 

আরিফ/শিবলী/রানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৯৩০ ঘণ্টা 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ১৬৩৪

 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টার সাথে ইউনিসেফের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

 

ঢাকা, ২৭ কার্তিক ( ১২ নভেম্বর):         

 

আজ মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের সাথে বাংলাদেশের ইউনিসেফ প্রতিনিধি শিশু সুরক্ষার প্রধান Natalie McCauley এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

 

সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সুন্দর বাংলাদেশের একটি স্বপ্ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতিটি শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের জন্য সহিংসতামুক্ত ও সুরক্ষামূলক পরিবেশ গড়ে তুলতে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও বাবা-মাকে সম্পৃক্ত করে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করছে সরকার ও ইউনিসেফ। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য এমন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যেখানে প্রতিটি শিশু উন্নতি লাভ করতে পারবে এবং তার সম্ভাবনার পূর্ণ বিকাশ ঘটাতে পারবে। এলক্ষ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নানা পরিকল্পিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রাখতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

 

ইউনিসেফ প্রতিনিধি শিশু সুরক্ষা চিফ Natalie McCauley বলেন, প্রতিটি শিশুর একটি নিরাপদ ও অনুকূল পরিবে

2024-11-12-16-50-741f88bd911ce21cfad319d5ab7f3b4f.docx