তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬১৬
উজবেকিস্তানের শ্রমমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশের
রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলমের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক
উজবেকিস্তান, ২ ডিসেম্বর :
আজ উজবেকিস্তানের কর্মসংস্থান ও শ্রম সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী নোজিম খুসানভ বখতিয়োরোভিচ এর সাথে উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলমের সেদেশের শ্রম মন্ত্রণালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উজবেকিস্তানের শ্রমমন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলমকে কর্মসংস্থান খাতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান। সভায় দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা, দক্ষ শ্রমিকদের একে অপরের দেশে কাজ করার সুযোগ প্রদানের জন্য সমঝোতা স¦াক্ষর, বিভিন্ন প্রকল্প ও শিল্পকলকারখানায় দক্ষ কর্মী বিনিময়, অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি এবং দু’দেশের সুবিধার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় উজবেকিস্তানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ এবং উজবেকিস্তানের শ্রম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
#
নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ/নাইচ/খালিদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/২১২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬১৫
ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আহলে সুন্নাত ওয়াল
জামা’আত বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, সকল মত ও পথের ওলামায়ে কেরামের সাথে সম্পর্ক রেখেই আমি আমার দায়িত্ব পালন করতে চাই। ওলামায়ে কেরামের যে কোন ধরনের গঠনমূলক পরামর্শ আমার দায়িত্ব পালনে সহায়তা করবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। এদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এদেশের সমাজের ঐতিহ্য। সকলকে নিয়ে ভালো থাকার মধ্যে দেশ ও সমাজের কল্যাণ রয়েছে। তাই সকল ভালো কাজে আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করি।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশ এর মহাসচিব আল্লামা সৈয়দ মসিহুদ্দৌলার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যগণ হলেন-আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশ-এর স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য স উ ম আবদুস সামাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মুজাফফর আহমদ মুজাদ্দেদী, মাওলানা আবু সুফিয়ান খান আবেদি, আল্লামা মুহাম্মদ হারুনুর রশিদ আশরাফী, কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া আলিয়া (কামিল) মাদ্রাসা, ঢাকার নির্বাহী মহাসচিব ও উপাধ্যক্ষ আল্লামা আবুল কাশেম মুহাম্মদ ফজলুল হক, যুগ্ম-মহাসচিব মুফতি মুফতি মাহমুদুল হাসান, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশ, ঢাকা মহানগর (উত্তর) এর সভাপতি ড. হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান এবং আল আমিন বারীয়া আদর্শ কামিল মাদ্রাসা, চট্টগ্রামের সাংগঠনিক সচিব ও অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ ঈসমাইল নোমানী।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশ এর নেতৃবৃন্দ নবনিযুক্ত ধর্ম প্রতিমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এসময় তারা বলেন, ইসলাম ও দেশের স্বার্থে আমরা আপনার মাধ্যমে সরকারকে সাহায্য করতে চাই। আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সরকারকে সব রকমের সহযোগিতা করতে চাই।
#
আনোয়ার/নাইচ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬১৪
রাষ্ট্রপতির সাথে যুক্তরাষ্ট্র ও ইথিওপিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতগণের সাক্ষাৎ
বঙ্গভবন (ঢাকা), ১৭ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সাথে আজ বঙ্গভবনে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোঃ সহিদুল ইসলাম ও ইথিওপিয়ায় নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোঃ নজরুল ইসলাম সাক্ষাৎ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইথিওপিয়ার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। দু’দেশের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। একক দেশ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের সবর্বৃহৎ গন্তব্যস্থল। তিনি বলেন, আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সরকার দায়িত্ব নেবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নতুন সরকারের সময়ে দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ইথিওপিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহু পুরানো ও সমৃদ্ধ। তিনি বলেন, ইথিওপিয়ার সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রপতি দু’দেশের সাথে বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্প্রসারণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের পরামর্শ দেন।
রাষ্ট্রপতি যুক্তরাষ্ট্র ও ইথিওপিয়ায় নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের দায়িত্ব পালনে সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতগণ দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
ইমরানুল/নাইচ/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬১৩
নিরাপদ পানি এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন প্রাপ্যতা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার
-- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য নিরাপদ পানি এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সর্বাত্মকভাবে কাজ করছে সরকার।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-এসডিজি'র নিরাপদ পানি এবং স্যানিটেশন সংক্রান্ত লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ১ এবং ৬ দশমিক ২ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পূরণ হবে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষ থেকে সকলের জন্য স্যানিটেশন ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে সরকারি উদ্যোগ আরও জোরদার করার লক্ষ্যে এশীয় ও প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের সংশ্লিষ্ট সেক্টরের মন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীদের সাথে ভার্চুয়াল সভায় যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি'র ৬ দশমিক ১ এবং ৬ দশমিক ২ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে দেশে ৯ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার প্রয়োজন। বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার নিকট হতে এ কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়নে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ডলার এবং বেসরকারি খাত হতে প্রায় ১৩০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তার বিষয়ে অঙ্গীকার পাওয়া গেছে। ওয়াটার, স্যানিটেশন খাতে সরকারের বাৎসরিক বরাদ্দ প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধিপূর্বক এই সেক্টরে বর্তমান বাজেট গ্যাপ অর্ধেকে নামিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে বলে জানান মন্ত্রী।
বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন, হাত ধোয়া, পরিবেশ দূষণসহ স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে জীবনজীবিকা নির্বাহের বিষয়ে জনসচেতনতা আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিকট সুপেয় পানি এবং স্যানিটেশন পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।
মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, মানুষের নিকট সুপেয় পানি পৌঁছে দিতে প্রত্যেক জেলায় টেস্টিং ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। পৌর এলাকার পাশাপাশি গ্রাম অঞ্চলের পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করার লক্ষ্যে অনেক মেগা প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হচ্ছে। সরকার পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভূ-উপরিস্থ পানি বা সারফেস ওয়াটারের ব্যবহার প্রাধান্য দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালের মধ্যে আর্সেনিক দূষণ আক্রান্ত এলাকার প্রায় ২০ লাখ জনগণকে আর্সেনিক দূষণমুক্ত নিরাপদ পানি সরবরাহের আওতায় এবং নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনা ৫ শতাংশ বৃদ্ধি ও ৭৫ শতাংশ জনগণকে বেসিক স্যানিটেশন কভারেজ ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে।
করোনা মহামারির মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তবভিত্তিক উদ্যোগ এবং নির্দেশনার বিষয় সম্পর্কে সভায় সকলকে অবহিত করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি আগের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে।
সভায় আফগানিস্তান, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, ভারত, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, লাওস, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, পাকিস্তান, ভূটানসহ এশীয় অঞ্চল দেশের মন্ত্রী এবং উন্নয়ন সহযোগীর প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, সকলের জন্য স্যানিটেশন ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে এশীয় ও প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের সংশ্লিষ্ট সেক্টরের মন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রীগণের অংশগ্রহণে প্রতি দুই বছর পর পর বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তর ওয়াশিংটন ডিসিতে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কোভিড-১৯ এর কারণে এ বছর ওয়াশিংটনে একত্রিত হতে না পারলেও স্যানিটেশন এন্ড ওয়াটার ফর অল (SWA) এর আয়োজনে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়।
#
হায়দার/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৯১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬১২
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৩তম বর্ষপূর্তি
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আর পারস্পরিক সহনশীলতার অনন্য দৃষ্টান্ত পার্বত্য শান্তি চুক্তি
-- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, শান্তি চুক্তির পর এ অঞ্চলের উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন গতির সঞ্চার হয়েছে। এ অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে নতুন রাস্তা-ঘাট নির্মাণ করা হয়েছে। পার্বত্যবাসীর উন্নয়নে গড়ে উঠেছে নতুন নতুন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বিভিন্ন সরকারি-আধাসরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রভৃতি। স্থাপিত হয়েছে রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ভূমি বিষয়ক বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বোর্ডের কার্যক্রম আরো গতিশীল ও সুসংহত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আইন-২০১৪ প্রণয়ন করেছে। বিভিন্ন খাতে ব্যাপক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। এতে একদিকে মানুষের কর্মসংস্থান বাড়ছে অন্যদিকে জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে। শান্তি চুক্তির সফল বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে পার্বত্য এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আর পারস্পরিক সহনশীলতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে।
মন্ত্রী আজ পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৩তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, অঞ্চলভিত্তিক পরিকল্পনার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য ১৯৭৩ সনেই বঙ্গবন্ধু একটি আলাদা বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ১৯৭৫ সনের ১২ ফেব্রুয়ারী রাঙ্গামাটির বিশাল জনসভায় বঙ্গবন্ধু “জাতীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার অবশ্যই রক্ষা করা হবে” মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই অঞ্চলের উন্নয়নে নানা কর্মসূচির ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধুই প্রথমবারের মতো পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে মেডিক্যাল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কোটায় ভর্তির সুযোগ করে দেন।
তিনি আরো বলেন, পার্বত্য এলাকার যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না সেসব এলাকায় ১০ হাজার ৮৯০টি পরিবারের মধ্যে সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। আরো ৪২,৫০০ টি পরিবারের মাঝে হোম সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৪ হাজার পাড়াকেন্দ্রের মাধ্যমে এ অঞ্চলের নারী ও শিশুদের মৌলিক স্বাস্থ্য সেবা ও শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের জন্য টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে। রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে পার্বত্য চট্রগ্রামে অগ্রাধিকারভিত্তিক উন্নয়ন একান্ত অপরিহার্য। সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় অনগ্রসর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় তিনি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, কৃষি সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম, তথ্য কমিশনের সচিব সুদত্ত চাকমাসহ মন্ত্রণালয়ের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
এর আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মন্ত্রী।
#
নাছির/সাহেলা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬১১
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কুইজ প্রতিযোগিতায় বিপুল সাড়া
ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত ১০০ দিনব্যাপী অনলাইনভিত্তিক ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কুইজ’এর প্রথম দিনে বিপুল সাড়া লক্ষ্য করা গেছে। প্রথম দিনেই নিবন্ধন করেছেন ৩ লক্ষাধিক প্রতিযোগী। তাদের মধ্যে প্রথম দিনের কুইজে অংশগ্রহণ করেছেন ৩৯ হাজার ৬৮৮ জন প্রতিযোগী। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী সঠিক উত্তরদাতাদের মধ্য হতে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছেন ১০০ জন।
জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার এ আয়োজনে সহায়তা প্রদান করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। প্রতিযোগিতার স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার তথ্য মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। প্রতিযোগিতায় priyo.com নামক প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়ন সহযোগী হিসাবে কাজ করছে।
১ ডিসেম্বর ২০২০ হতে শুরু হওয়া এ প্রতিযোগিতা চলবে ১০ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত। সবার জন্য উন্মুক্ত এই কুইজে অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের নিয়মাবলি জানতে এবং নিবন্ধন করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির ওয়েবসাইট https://mujib100.gov.bd অথবা https://quiz.priyo.com ব্যবহার করতে হবে।
প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জন্য প্রতিদিনই রয়েছে আকর্ষণীয় পুরস্কার। প্রতিদিন সঠিক উত্তরদাতাদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে ১০০ জন বিজয়ীর সকলে পাবেন ১০০ জিবি করে মোবাইল ডাটা ও টেলিটক সিম এবং তাদের মধ্যে প্রথম ৫ জন পাবেন স্মার্টফোন। এছাড়া পুরো প্রতিযোগিতায় গ্রান্ড প্রাইজ হিসেবে থাকবে মোট ১০০টি ল্যাপটপ।
আজকের কুইজ : শেখ লুৎফর রহমান ও সায়েরা খাতুনের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ লুৎফর রহমান তাঁর বড় চাচা শেখ আবদুল মজিদের ছোট মেয়ে সায়েরা খাতুনকে বিয়ে করেছিলেন। শেখ মুজিবের দাদা ও নানার ঘর ছিল পাশাপাশি। শিশুকালে বাবার কাছেই তাঁর লেখাপড়া শুরু। বাবার কাছেই ঘুমাতেন। তাঁর গলা ধরে রাতে না ঘুমালে ঘুম আসত না। শেখ মুজিব ছিলেন বংশের বড় ছেলে, তাই তিনিই সমস্ত আদর পেতেন। ‘শেখ মুজিবুর রহমান’ নামটি কে রাখেন?
#
মোহসিন/ফারহানা/খালিদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৮৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬১০
তথ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত
আঙ্কারায় স্থাপিত হবে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য
ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপিত হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান।
আজ সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদের সাথে সাক্ষাৎ শেষে তুর্কি রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদেরকে আরো জানান, একইসাথে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতেও আধুনিক তুরস্কের পিতা কামাল আতাতুর্কের ভাস্কর্য স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান, তথ্যসচিব খাজা মিয়া ও মন্ত্রীর দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠকের পর তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির অনেক মিল রয়েছে। আপনারা জানেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং কোভিড পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে তিনি আসবেন বলে সম্মতিও দিয়েছেন। এছাড়া, তুরস্কের টেলিভিশন টিআরটি’র ইংরেজি চ্যানেলে মুজিববর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠান সম্প্রচার এবং আগামী বছর আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দু’দেশের মধ্যে সাংবাদিক প্রশিক্ষণ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বিনিময় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধু ও ঢাকায় কামাল আতাতুর্কের ভাস্কর্য স্থাপনের পাশাপাশি তুরস্কের বাণিজ্যিক রাজধানী ইস্তাম্বুলে এবং বাংলাদেশের বাণিজ্য নগরী চট্টগ্রামেও অনুরূপ কিছু করা যায় কি না সেটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে, জানান ড. হাছান।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত তুরান বলেন, ‘বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করি আমরা মুজিববর্ষের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেব। বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন বাংলাদেশের প্রতীক আর কামাল আতাতুর্ক হচ্ছেন তুরস্কের প্রতীক। এই দুই নেতার ভাস্কর্য দুই দেশে স্থাপন করবো এ ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এবং ঢাকার কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে কামাল আতাতুর্কের ভাস্কর্য স্থাপিত হবে। শিগগিরই এই কাজ শুরু হবে।’
#
আকরাম/ফারহানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬০৯
বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজামান বীর প্রতীকের মৃত্যুতে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজামান মজুমদার বীর প্রতীকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
মন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজামান বীর প্রতীক মহান মুক্তিযুদ্ধে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযানে যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে। তার মৃত্যুতে দেশ মুক্তিযুদ্ধের এক বীর সেনানীকে হারিয়েছে আর আইসিটি শিল্প হারিয়েছে একজন প্রতিশ্রুতিশীল উদ্যোক্তাকে।
মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
#
শেফায়েত/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৮০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬০৮
বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞানচর্চায় নতুন প্রজন্মকে আত্মনিয়োগ করতে হবে
-- খাদ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বিজ্ঞান বর্তমান বিশ্বকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছে। বিজ্ঞান একটি সমাজ, দেশ তথা বিশ্বের জন্য আশীর্বাদ। শিক্ষার্থীদেরকে মেধাবী করে গড়ে তুলতে হবে। নতুন প্রজন্ম মেধাশূন্য হলে দেশ মেধাশূন্য হয়ে যাবে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে বিজ্ঞানভিত্তিক মেধাবী প্রজন্ম প্রয়োজন, বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে মানুষের কল্যাণে নতুন প্রজন্মকে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
আজ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ‘৪২তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ’ উপলক্ষে আয়োজিত বিজ্ঞান মেলায় ঢাকা থেকে জুম অ্যাপের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এখন বিজ্ঞানের কল্যাণে ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যেই একজন পরীক্ষার্থী তার ফলাফল জেনে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তবতা। দেশ ডিজিটালাইজড হয়েছিল বলেই করোনা মহামারিকে মোকাবিলা করা অনেক সহজ হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে জনগণ ঘরে বসেই প্রতিটা সেক্টর থেকে সেবা গ্রহণ করেছে। তিনি আরো বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন খাদ্য অধিদপ্তরেও প্রায় সকল কাজ ডিজিটাল পদ্ধতিতে হচ্ছে।
নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়া মারিয়া পেরেরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাদিরা বেগম এবং নিয়ামতপুর উপজেলার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
#
সুমন মেহেদী/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৭৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬০৭
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৫ হাজার ৯৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ হাজার ১৯৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৪২৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জন-সহ এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৭১৩ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৭৮৬ জন।
#
হাবিবুর/ফারহানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৭২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬০৬
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি
কর্মসূচি প্রণয়ন সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর):
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আগামী ১৭ই মার্চ-২৬শে মার্চ, ২০২১; পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির এক সভা গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। সভার সঞ্চালক এবং কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর এ অনুষ্ঠানমালা আয়োজনের প্রস্তাবিত কর্মসূচির বিভিন্ন দিক সংক্ষেপে তুলে ধরেন।
ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনার আলোকে আগামী ১৭ই মার্চ থেকে ২৬শে মার্চ ২০২১ পর্যন্ত জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। সে অনুসারে প্রণীত খসড়া কর্মসূচি সভায় উপস্থাপন করা হয়। সভায় অংশগ্রহণকারী জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যগণ প্রস্তাবিত কর্মসূচির ওপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেন। পরবর্তীতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে সমন্বিত কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানানো হয়।
জুম অনলাইন প্লাটফর্মে আয়োজিত এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর, শিক্ষা মন্ত্রী ডা: দীপু মনি, পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, আরমা দত্ত, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ বদরুল আরেফীন, তথ্য সচিব খাজা মিয়া, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এস এম হারুন অর রশীদ, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী, চ্যানেল আই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, সিনি