তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ১৩৯৪

সরকার দক্ষ, মেধাবী ও তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসমৃদ্ধ নাগরিক সৃষ্টিতে কাজ করছে 
-- প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁ

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা), ২১ বৈশাখ (৪ মে) :

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, সরকার দক্ষ, মেধাবী ও তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসমৃদ্ধ বিশ্বমানের নাগরিক সৃষ্টিতে কাজ করছে। এ কর্মযজ্ঞে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশা, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে সমন্বিত ভূমিকা রাখতে হবে।

জনাব রাঙ্গাঁ আজ সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির এক কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার, সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম গোলাম রেজা ও ফজলুল হক বক্তব্য রাখেন। 

প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁ বলেন, রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য জনকল্যাণ সাধন। রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদেরকে লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে থেকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দেশ ও জাতির কল্যাণে সদা নিবেদিত হওয়া অত্যাবশ্যক। তিনি বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা- তুলে ধরে বলেন, বিগত নয় বছরে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প, বিদ্যুৎ, বনায়ন ও অবকাঠামো খাতসহ বিভিন্ন প্রকল্পে রেকর্ড পরিমাণ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে। সরকারের আন্তরিকতা ও দূরদর্শীতার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি, বাল্য বিবাহ রোধ, নারীর ক্ষমতায়ন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মেয়েদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের জন্য যুগান্তকারী উপবৃত্তি প্রথা চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক সাতক্ষীরার জনগণ দেশ-বিদেশে শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশেষ অবদান রেখে আসছে। তিনি এ অর্জনকে ধরে রাখতে সাতক্ষীরাবাসীকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। তিনি সাতক্ষীরা জেলার সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা পরিষদ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। 

#

আহসান/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ১৩৯৩

মাদকের বিরুদ্ধে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

মতলব দক্ষিণ (চাঁদপুর), ২১ বৈশাখ (৪ মে) :

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম মাদককে পরিবার ও সমাজের সর্বনাশ উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণের জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি আজ মতলব দক্ষিণ উপজেলার পয়ালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সরকারের উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। নারায়নপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জহিরুল মোস্তফা তালুকদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতা সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দীপু, মতলব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার, মতলব উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম গিয়াস উদ্দিন, সেক্রেটারি বিএইচএম কবির আহমেদ, মতলব পৌরসভা মেয়র আওলাদ হোসেন লিটনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

মাদক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, তরুণ সমাজের জন্য মাদক একটি ভয়ংকর সর্বনাশের কারণ। মাদককে পরিবার ও সমাজের অশান্তির মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এর বিরুদ্ধে পাড়ায় পাড়ায় প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে এবং মাদক ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে দিতে ও চিহ্নিত করতে পুলিশ প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে। মাদকের সাথে জড়িতদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া যাবে না। দলীয় নেতাকর্মী জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

একই সাথে জঙ্গিবাদ ও অস্ত্রবাজদের বিরুদ্ধেও সচেতন থাকার জন্য জনগণকে অনুরোধ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, জঙ্গিবাজ আর অস্ত্রবাজদের কোন দল নেই, দেশ নেই, তারা সমাজের শত্রু। বাল্য বিবাহকে নারী সমাজের অভিশাপ হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন ও পরিবারে নারীর সুসংহত অবস্থান নিশ্চিত করতে হলে তাদের লেখাপড়ার সুযোগ দিতে হবে, মানসিকভাবে পূর্ণ হওয়ার পথ তৈরি করে দিতে হবে। 

#

দেওয়ান/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                               নম্বর : ১৩৯১

 

 

আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

 

 

ঢাকা, ২১ বৈশাখ (৪ মে) :

 

রাষ্ট্রপতি  মোঃ আবদুল হামিদ ৫ই মে আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবসে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন:

      “বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস পালনের উদ্যোগকে আমি স¦াগত জানাই। 

গর্ভবতী মা ও নবজাতকের স¦াস্থ্যপরিচর্যা ও মৃত্যুহার হ্রাসে প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। বিশেষ করে একজন মায়ের পরিবার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে গর্ভধারণ, সন্তান প্রসব ও প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদানে মিডওয়াইফ অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। এ প্রেক্ষাপটে আন্তÍর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘গরফরিাবং খবধফরহম ঞযব ডধু ডরঃয ছঁধষরঃু ঈধৎব’- ‘মা  ও শিশু স¦াস্থ্যের মানসম্মত সেবা প্রদানে মিডওয়াইফ এগিয়ে’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। মা ও শিশু মৃত্যুহার কাক্সিক্ষত পর্যায়ে নামিয়ে আনা এবং জনগণের মাঝে এ বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রশিক্ষিত ও দক্ষ মিডওয়াইফের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মিডওয়াইফদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে  দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিকট উন্নত স¦াস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া সম্ভব বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। 

মানুষের দোরগোড়ায়  স¦াস্থ্যসেবা  পৌঁছে  দিতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর।  সে লক্ষ্যে সরকার মা ও শিশুর স¦াস্থ্যসেবা উন্নয়নে নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। নিরাপদ মাতৃত্ব ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাসে প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফের গুরুত্ব বিবেচনায় সরকার মিডওয়াইফারি শিক্ষা কোর্স ও সার্ভিসের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি দেশব্যাপী স¦াস্থ্য অবকাঠামো নির্মাণসহ বিপুল সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ  দেয়া হয়েছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স¦াস্থ্যখাতে সাফল্যের এ ধারা অব্যাহত থাকুক- এ প্রত্যাশা করি।

আমি আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করি।

 

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

আজাদ/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/আববাস/২০১৮/১৭০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ১৩৯২

 

আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

 

ঢাকা, ২১ বৈশাখ (৪ মে) :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ই মে আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবসে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন:

      “বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ৫ই মে ২০১৮ ‘আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি এ পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। 

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘গরফরিাবং খবধফরহম ঞযব ডধু ডরঃয ছঁধষরঃু ঈধৎব’ (মা  ও শিশু স¦াস্থ্যের মানসম্মত সেবা প্রদানে মিডওয়াইফ এগিয়ে)- অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

আমাদের সরকার জনগণের  দোরগোড়ায়  স¦াস্থ্যসেবা  পৌঁছে  দিতে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। গর্ভবতী মা ও নবজাতকের উন্নত পরিচর্যা ও মৃত্যুহার রোধে আমরা বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই আমরা শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে গউএং গোল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। এজন্য ২০১০ সালে জাতিসংঘ আমাদের ‘এমডিজি অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে।

বাংলাদেশে নতুন নতুন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি, বিশেষায়িত হাসপাতাল ও নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে স¦াস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে আমরা সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স¦াস্থ্যকেন্দ্র চালু করেছি। সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে  রোগীদের ৩০ প্রকারের ঔষধ সরবরাহ করা হচ্ছে। এর ফলে মা ও শিশু স¦াস্থ্যসেবায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। ফলে আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি।

মা ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাসে ধারাবাহিক সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। গর্ভবতী মা ও নবজাতকের উন্নত পরিচর্চার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকারি ৩৮টি নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং  বেসরকারি ১৬টি নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ বছর  মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি  কোর্স চালু আছে। এছাড়াও তিন হাজার মিডওয়াইফ পদ সৃষ্টিসহ মিডওয়াইফ শিক্ষাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে আমরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। মা ও শিশুর স¦াস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সকল  জেলা-উপজেলার স¦াস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন সাব-সেন্টারে পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ নিয়োগ দেয়া হবে।

আমি আশা করি, প্রত্যন্ত অঞ্চলে মা ও শিশুর মানসম্মত স¦াস্থ্যসেবা  পৌঁছে দিতে মিডওয়াইফগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

আমি ‘আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস ২০১৮’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।

 

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

ইমরুল/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/আব্বাস/২০১৮/১৭০০ ঘণ্টা