Handout Number: 1706
Syeda Rizwana Hasan Calls for Robust Adaptation Finance at COP-29 Event
Baku, (Azerbaijan), November 18:
Syeda Rizwana Hasan, Advisor to the Ministry of Environment, Forests, Climate Change and Water Resources emphasized the urgent need for robust adaptation finance in vulnerable nations, including Bangladesh. She highlighted that without additional financial flows to expand adaptation resources, countries like Bangladesh face significant risks to sustainable development.
Today, Environment Advisor said this while addressing the event titled 'Governance for Strengthening SDG Climate Synergies' at the Blue Zone Side Event 1 of the World Climate Conference (COP-29).
She outlined Bangladesh's status as one of the world's most climate-vulnerable nations, citing its geographical position in South Asia's low-lying delta. Hasan explained how rising sea levels, extreme heat, severe weather events, flooding, and cyclones threaten millions of lives, disproportionately affecting the poor and marginalized. She warned that these impacts undermine Bangladesh's ability to achieve the Sustainable Development Goals (SDGs) while exacerbating poverty and destabilizing infrastructure.
Addressing the financial gap, Hasan noted that Bangladesh requires 8.5 billion USD annually for adaptation, yet only 3 billion USD is currently sourced domestically, leaving a 5.5 billion USD shortfall. On a regional level, South Asia requires approximately 98 billion USD per year, while the global adaptation finance gap stands at 366 billion USD annually. She stressed that financial mechanisms must prioritize grant-based finance and concessional loans to alleviate the burden on vulnerable nations, avoiding high-interest market-rate loans that exacerbate economic instability. Grant-based finance offers the necessary flexibility and sustainability for resilience investments, she stated.
Rizwana Hasan also called for transparent and accountable governance of adaptation finance to ensure effective implementation of National Adaptation Plans (NAPs). She emphasized the need to balance environmental goals with economic priorities, urging the global community to close the adaptation finance gap immediately.
Concluding her speech, she reminded attendees of the limited time left to achieve the SDGs and urged policymakers to translate strategies into tangible actions. "This challenge is one of the justice. Let us unite not just in words, but in concrete actions, to support vulnerable nations and create a sustainable future," she stated.
#
Dipankar/Shibli/Rafiqul/Salim/2024/2130 Hrs.
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৭০৫
কপ-২৯ এর সাইড ইভেন্টে অভিযোজন তহবিল বৃদ্ধির আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার
বাকু (আজারবাইজান), ১৮ নভেম্বর:
বাংলাদেশের পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য শক্তিশালী অভিযোজন তহবিল নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, অভিযোজন তহবিল বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত আর্থিক প্রবাহ না থাকলে বাংলাদেশ-সহ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর টেকসই উন্নয়ন হুমকির মুখে পড়বে।
আজ আজারবাইজানের বাকুতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৯)-এর ‘গভর্ন্যান্স ফর স্ট্রেনদেনিং এসডিজি ক্লাইমেট সিনার্জিস’ শীর্ষক সাইড ইভেন্ট-১ ব্লু জোনে বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি, যা দক্ষিণ এশিয়ার নিম্নভূমি ডেল্টা অঞ্চলে অবস্থিত। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, অতিরিক্ত তাপমাত্রা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলছে। এসব প্রভাব দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর অধিকতর প্রভাব ফেলছে এবং বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
অর্থায়নের ঘাটতি নিয়ে আলোচনাকালে তিনি উল্লেখ করেন, অভিযোজন কার্যক্রমে বাংলাদেশকে প্রতি বছর ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন, তবে দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মাত্র ৩ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে, ফলে ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঘাটতি রয়ে যাচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার জন্য প্রয়োজন প্রতি বছর প্রায় ৯৮ বিলিয়ন ডলার, আর বৈশ্বিক অভিযোজন তহবিলের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে প্রতি বছর ৩৬৬ বিলিয়ন ডলার। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আর্থিক কাঠামোতে গ্র্যান্টভিত্তিক তহবিল এবং স্বল্প সুদে ঋণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ওপর আর্থিক বোঝা না পড়ে। উচ্চ সুদের ঋণ এড়িয়ে অভিযোজনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী এবং টেকসই বিনিয়োগে এই তহবিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অভিযোজন তহবিল পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। তিনি জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কার্যকর এবং ভারসাম্যপূর্ণ নীতি গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি এসডিজি অর্জনে সীমিত সময়ের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে নীতিনির্ধারকদের নীতি থেকে বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এটি ন্যায়বিচারের প্রশ্ন। আসুন আমরা শুধু কথায় নয়, কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে সহায়তা করি এবং একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলি।’
#
দীপংকর/শিবলী/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৭০৪
পুলিশ ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করা হবে না
-- পুলিশ সংস্কার কমিশন চেয়ারম্যান
ঢাকা, ৩ অগ্রহায়ণ (১৮ নভেম্বর):
পুলিশ সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান সফর রাজ হোসেন বলেছেন, পুলিশ ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করা হবে না। পুলিশ ভেরিফিকেশন থাকবে, তবে সেখানে প্রার্থী বা তার আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক বিবেচনা আমলযোগ্য হবে না। আর এক্ষেত্রে এক নম্বর ডকুমেন্ট হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্রকে বিবেচনায় নেয়া হবে।
চেয়ারম্যান আজ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) এর সচিবালয়স্থ অফিসক্ষে তাঁর সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
চেয়ারম্যান বলেন, পুলিশ সংস্কার কমিশন চলতি বছরের ৬ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করেছে এবং আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশনের রিপোর্ট দাখিল করার কথা রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা যেসব সুপারিশ করছি এর মধ্যে কিছু স্বল্প সময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে দীর্ঘ সময় ও কিছু সুপারিশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। আর কিছু সুপারিশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারি আইন ও বিধিবিধান পাল্টাতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব শুধু সুপারিশ করার এবং বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের।
সফর রাজ হোসেন বলেন, ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা অনুযায়ী পুলিশকে ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশনা মানতে হবে। তিনি বলেন, কার্যবিধির ১৬৭ ধারায় যেখানে পুলিশ রিমান্ডে নেয় সেটির ক্ষেত্রেও হাইকোর্টের নির্দেশনা মানতে হবে। ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে তার পরিবারকে ফোনে জানাতে হবে।
পুলিশ সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি হচ্ছে আমাদের এক নম্বর শত্রু। তিনি বলেন, পুলিশসহ সরকারের সব বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা গত ১৫ বছরসহ নিকট অতীতে দেখেছি পুলিশসহ অন্যান্য বিভাগগুলোতে কিভাবে রাজনৈতিক বিবেচনায় কাজ হয়েছে। অনেকে দুর্নীতি করেছে এবং পদোন্নতি নেওয়ার চেষ্টা করেছে৷ এসব বন্ধে সুপারিশের কাজ চলছে।
বৈঠকে পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইকবাল, সাবেক যুগ্মসচিব মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্মসচিব (ড্রাফটিং) মোঃ রফিকুল হাসান, পুলিশের ডিআইজি মোঃ গোলাম রসুল, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার (পিটিসি) টাঙ্গাইলের কমান্ডেন্ট (ডিআইজি) মোহাম্মদ আশফাকুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা, মানবাধিকার কর্মী এ এস এম নাসিরউদ্দিন এলান ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মোঃ জারিফ রহমান-সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
ফয়সল/শিবলী/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৭০৩
ধর্ম উপদেষ্টার সাথে নেপালের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৩ অগ্রহায়ণ (১৮ নভেম্বর):
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী।
আজ সচিবালয়ে ধর্ম উপদেষ্টার সাথে তাঁর অফিস কক্ষে এ সাক্ষাৎকালে তাঁরা দু'দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়, ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ এশিয়ার এ দু'টি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কও দীর্ঘদিনের। দু'টি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে কখনো সংকট কিংবা টানাপোড়েন তৈরি হয়নি, বরং দিনে দিনে সুদৃঢ় হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও নেপাল উভয়েই সার্ক ও বিমসটেকের সদস্য। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতেও এ দুটি দেশ অভিন্ন মনোভাব পোষণ করে থাকে। উভয় দেশের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ উত্তরোত্তর সম্প্রসারিত হচ্ছে। আগামী দিনে দুটি দেশের মধ্যকার সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী ধর্ম উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পূর্বেই ৭ আগস্ট নেপাল সরকার বাংলাদেশের পরিবর্তনকে স্বীকৃতি দিয়ে এবং এদেশের জনগণের প্রতি সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করে বিবৃতি জারি করে। এটিকে তিনি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সর্বপ্রথম কোন বিদেশি সরকারের পক্ষ হতে জারিকৃত অফিসিয়াল বিবৃতি বলে দাবি করেন।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের সাথে নেপালের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার ও বন্ধুত্বপূর্ণ। নেপাল এ সম্পর্ককে অত্যন্ত সম্মান ও শ্রদ্ধার চোখে দেখে।
অতি সম্প্রতি নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যূৎ সরবরাহের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, নেপাল সবচেয়ে কম মূল্যে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। আগামীতে নেপাল আরো বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নেপাল সরকারের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এসময় ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, উন্নয়ন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুঃ আঃ আউয়াল হাওলাদার ও উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
#
আবুবকর/শিবলী/রানা/ফেরদৌস/মোশারফ/রেজাউল/২০২৪/২০৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৭০২
সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গণমাধ্যম সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে
-- তথ্য উপদেষ্টা
ঢাকা, ৩ অগ্রহায়ণ (১৮ নভেম্বর):
তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ গণমাধ্যম। এই গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। এই সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সরকারি বেসরকারি সকল গণমাধ্যম সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আজ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলামের সাথে ইউএনডিপি এবং ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে এলে উপদেষ্টা একথা বলেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ১২৭ জনের অধিক শিশু শহিদ হয়েছে, হাজারো শিশু আহত হয়েছে তাদের চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের জন্য ইউনেস্কো ও ইউএনডিপির সহযোগিতা কামনা করেন নাহিদ ইসলাম। ইউনেস্কোর কমিউনিকেশন এন্ড ইনফরমেশনের প্রধান নুরে জান্নাত প্রমা শ্রম অধিকার এবং গণমাধ্যম কর্মীদের নিরাপত্তা বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, সংস্কারের বিষয়ে সরকার কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে না। গুজব এবং অপপ্রচার প্রতিরোধ বর্তমান সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইউনেস্কো এবং ইউএনডিপির সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
ইন্টারন্যাশনাল লিগ্যাল এক্সপার্ট প্রফেসর ড. জন বারাটা মীর বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত একটি সুন্দর উদাহরণ। তিনি গণমাধ্যম সংস্কার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আইসিটি পলিসি অ্যাডভাইজার ফায়েজ আহমদ তৈয়ব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. শামীম রেজা-সহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
জসীম/শিবলী/রানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২৪/২০৩৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৭০০
বর্তমান সরকারের ১০০ দিনের অর্জন প্রত্যাশামাফিক হয়েছে
--বাণিজ্য উপদেষ্টা
ঢাকা, ৩ অগ্রহায়ণ (১৮ নভেম্বর):
বাংলাদেশে এখন ব্যবসা বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। কোরিয়ার বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী হবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
আজ বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত Park Young-Sik সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি একথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ও বাংলাদেশে কোরিয়ার বিনিয়োগ বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করেন। শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান বাংলাদেশে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এখান থেকে পিছনে ফেরা যাবে না। এসময় বর্তমান সরকারের ১০০ দিনের অর্জন প্রত্যাশামাফিক হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ-কোরিয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হলে দু’দেশই লাভবান হবে। ব্যবসা, বাণিজ্য সম্প্রসারণ ছাড়াও জনগণের সাথে জনগণের সম্পর্ক উন্নয়ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ও চামড়া শিল্পে বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে কোরিয়ার আরো বেশি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন। কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের যুব শ্রেণির মানুষের সংখ্যা বেশি। প্রযুক্তিতে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কোরিয়া কাজ করতে চায়।
এসময় রাষ্ট্রদূত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে তাদের চলমান কর্মকাণ্ড সম্পর্কে উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, কোরিয়া ইতোমধ্যে অনেক খাতেই বিনিয়োগ করেছে। ভবিষ্যতে বিনিয়োগ আরো বাড়াবে।
#
কামাল/শিবলী/রানা/ফেরদৌস/মোশারফ/রেজাউল/২০২৪/২০২৩ ঘণ্টা
Handout Number: 1699
Bangladesh needs timely and equitable financial and technological
support for transitioning to renewable energy
-- Environment Advisor
Baku, (Azerbaijan), November 18:
Syeda Rizwana Hasan, Adviser to the Ministry of Environment, Forests, Climate Change, and Water Resources, said Bangladesh’s challenges in transitioning to renewable energy, emphasizing the need for timely and equitable financial and technological support. Despite hurdles, Bangladesh remains committed to achieving its target of generating 40% of its energy from renewables by 2041, actively revisiting energy policies to ensure sustainability and sovereignty.
Environment Advisor said this while delivering speech at the side event ‘Road to Net Zero: Navigating the Energy Transition in South Asia’ at the World Bank-IMF Pavilion during the World Climate Conference (COP-29) in Baku, Azerbaijan today.
She said to reduce dependence on imported solar panels, Bangladesh has requested China to relocate solar manufacturing plants. Policies on solar energy, including high taxes are also under review. The potential of rooftop solar on high-rise buildings and unused government or tea estate lands is being explored as part of the solution.
Speaking at another event organized by UNFCCC, she noted that implementing Bangladesh’s updated NDC requires $176 billion by 2030, with $32 billion needed for unconditional actions. The remaining amount relies on international support, particularly through mechanisms like Article 6. Bangladesh is also preparing to submit its NDC 3.0 next year.
The Advisor stressed the importance of partnerships with Germany and other global leaders in decarbonizing key industries like steel and cement, highlighting Bangladesh’s vision of ‘Three Zeros’ zero net carbon emissions, zero poverty, and zero unemployment, inspired by Nobel Laureate Professor Muhammad Yunus.
She emphasized the need for integrated natural resource management alongside carbon reduction and requested Germany’s assistance in cleaning rivers in Bangladesh. The Advisor also invited global stakeholders to an international climate finance conference in Bangladesh in March 2025 and urged investment in building the capacity of young climate activists.
Later, Rizwana Hasan attended a session on ‘Article 6 Implementation Partnership’ at the Japan Pavilion. Organized by the Ministry of Environment of Japan, the session delved into market-based approaches for reducing emissions under Article 6 of the Paris Agreement. Syeda Rizwana Hasan asked Japan support for capacity building, technology transfer and investments.
#
Dipankar/Shibli/Rana/Ferdows/Mosharaf/Salim/2024/1930 Hrs.
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৬৯৮
নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের জন্য আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রয়োজন
-- পরিবেশ উপদেষ্টা
বাকু (আজারবাইজান), ১৮ নভেম্বর:
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের ক্ষেত্রে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এই রূপান্তরের জন্য সময়োপযোগী এবং সমতাভিত্তিক আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা অত্যন্ত প্রয়োজন।
আজ আজারবাইজানের বাকুতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ২৯)-এর ওয়ার্ল্ড ব্যাংক-আইএমএফ প্যাভিলিয়নে আয়োজিত ‘রোড টু নেট জিরো: নেভিগেটিং দ্য এনার্জি ট্রানজিশন ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক এক সাইড ইভেন্টে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে মোট জ্বালানি ব্যবহারের ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে সরবরাহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তবে, এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রয়োজন। চীনকে বাংলাদেশে সোলার ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট স্থানান্তরের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া সোলার প্যানেলের ওপর কর হ্রাসসহ সংশ্লিষ্ট নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের আরেকটি আয়োজনে বক্তব্য দিতে গিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, আপডেটেড এনডিসি বাস্তবায়নে ২০৩০ সালের মধ্যে ১৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন, যার মধ্যে ৩২ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ নিজস্ব উদ্যোগে অর্জন করবে। তবে, বাকি অংশ আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। তিনি জানান, বাংলাদেশ আগামী বছর এনডিসি ৩.০ জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা আরো বলেন, জিরো নেট কার্বন নিঃসরণ, দারিদ্র্যমুক্তি ও কর্মসংস্থান তৈরির ‘থ্রি জিরোস’ ভিশন বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বিশ্ব নেতাদের সহযোগিতা কামনা করছে। পাশাপাশি, প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বাংলাদেশের নদীগুলো পরিষ্কারে জার্মানির সহায়তা কামনা করেন।
পরে রিজওয়ানা হাসান জাপানের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘আর্টিকেল ৬ ইমপ্লিমেন্টেশন পার্টনারশিপ’ সেশনে অংশ নেন। তিনি জাপানের কাছে সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি স্থানান্তর ও বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
#
দীপংকর/শিবলী/রানা/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৬৯৭
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোর সত্যতা স্বীকার কাম্য
-- এলজিআরডি উপদেষ্টা
ঢাকা, ৩ অগ্রহায়ণ (১৮ নভেম্বর):
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যে আর্থ-সামাজিক যে কোনো সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সামাজিক এবং দেশীয় প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোর সত্যতা স্বীকার কাম্য।
উপদেষ্টা আজ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকের শুরুতে উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ পুনরুজ্জীবিত করা একান্ত প্রয়োজন। এছাড়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মে সহযোগিতা জোরদারের জন্য তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত পারস্পরিক সম্পর্ক ও ব্যবসায়িক স্বার্থে দু’দেশের এক সাথে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে কাজ করবে তার সরকার। এসময় তারা আঞ্চলিক সংস্থার গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং এ প্রেক্ষাপটে সার্কের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়েও আলোচনা করেন।
পরে উপদেষ্টার সাথে সচিবালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে কমনওয়েলথের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল লুইস জি. ফ্রানসেসচি (Luis G. Franceschi) এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেছে।
কমনওয়েলথের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলকে অভিনন্দন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের ফলে জনগণের মধ্যে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের ব্যাপক আশা-আকাঙ্ক্ষার জন্ম নিয়েছে। এ ব্যাপারে এখন প্রায় সবাই একমত যে, বাংলাদেশকে একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য রাষ্ট্রীয় সংস্কার অপরিহার্য। জনমনে রাষ্ট্র সংস্কারের যে গভীর আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়েছে, সেই সংস্কার কাজ সম্পন্ন করার দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সংস্কার কাজটি সুসম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন।
কমনওয়েলথের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, আমরা সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত আছি। শিক্ষা, সংষ্কৃতি, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য প্রসারসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এসয় সাম্প্রতিক সময়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের নারী ফুটবল দল শিরোপা জেতায় বাংলাদেশ দলের প্রশংসা করেন।
এ সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রেজাউল মাকছুদ জাহেদী এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
#
গিয়াস/শিবলী/রানা/ফেরদৌস/মোশারফ/রেজাউল/২০২৪/১৯৫৫ ঘণ্টা
Handout Number: 1696
Commonwealth Countries Will Stand by Bangladesh
Dhaka, November 18:
Today, during a meeting with the Advisor to the Ministry of Post, Telecommunications, and Information Technology. Md. Nahid Islam, at the ministry office, Commonwealth Assistant Secretary General Professor Luis Franceschi stated that Commonwealth countries will continue to stand by Bangladesh.
Nahid Islam mentioned that the interim government has received and continues to receive support from around the world. He clarified that the current interim government is not a caretaker government, but a revolutionary one. Therefore, its sole responsibility is not just to hold elections. Various commissions have already been formed for institutional reforms and elections will be held after these reforms are completed. He also noted that the judicial process for the massacre during the July-August uprising is ongoing and the government requires the assistance of the Commonwealth to ensure an impartial trial. Furthermore, he called for the support of Commonwealth nations in building a new Bangladesh.
Luis Franceschi praised the current government's efforts towards democratic reforms and assured that the Commonwealth would support the ongoing reform initiatives, including electoral process reforms, in every possible way. He emphasized the Commonwealth's commitment to working with the interim government to build an inclusive, prosperous, and discrimination-free Bangladesh. He also mentioned that the Commonwealth is always by Bangladesh's side and is keen to work with the country in areas such as education, information technology, media, cybersecurity, and artificial intelligence.
The Advisor reiterated that the interim government is working to transition the country from an authoritarian or non-democratic regime to a democratic one. He stressed the importance of support from Commonwealth countries in this regard and remarked that the interim government is ready to take any action that serves the national interest.
The meeting concluded with discussions on mutual interests.
The Secretary of the Department of Posts and Telecommunications, Dr. Md. Mushfiqur Rahman, Acting Secretary of the Information and Technology Division, Dr. Muhammad Mehedi Hasan, Commonwealth Advisor and Head of Asia Dr. Dinusha Nihara, along with other senior officials from the ministry, were also present at the meeting.
#
Jasim/Paban/Rana/Mosharaf/Salim/2024/1830 Hrs.
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৬৯৫
প্রাথমিক শিক্ষার কাঠামোগত পরিবর্তন ও গুণগত মানোন্নয়নে ‘কনসালটেন্ট কমিটি’ গঠন করা হয়েছে
-- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
সুনামগঞ্জ, ৩ অগ্রহায়ণ (১৮ নভেম্বর):
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা জানুয়ারিতে বই পাবে। হাওর অঞ্চলের শিক্ষকরা নিয়ম অনুযায়ী ‘হাওর ভাতা’ পাবে। হাওর অঞ্চলের শিক্ষকদের স্কুল প্রাঙ্গণে থাকার জন্য কক্ষ নির্মাণের পদক্ষেপ নেয়া হবে। প্রাথমিক শিক্ষার কাঠামোগত পরিবর্তন ও গুণগত মানোন্নয়নে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কনসালটেন্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উপদেষ্টা আজ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ সাখাওয়াৎ হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মোঃ আতাউল গণি ও জেলা প্রশাসক ড. মোঃ ইলিয়াস মিয়া উপস্থিত ছিলেন। উপদেষ্টা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন।
উপদেষ্টা পরে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাইস্থ ফিমেইল একাডেমিতে ‘হাওর অঞ্চলের প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন’ বিষয়ক আলোচনা সভায় বলেন, সুনামগঞ্জ একটি অবহেলিত অঞ্চল। এখানকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো যাতে ভালোভাবে পরিচালিত হয়, সে লক্ষ্যে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে কমিউনিটি সমর্থন দরকার। সকলকে উদ্যোগী হতে হবে, যাতে স্কুলগুলো ভালোভাবে চলে।
গণশিক্ষা উপদেষ্টা সুনামগঞ্জ জেলার শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে সুনামগঞ্জে নবনির্মিত কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এর উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, শহিদ মিনার আমাদের প্রেরণার স্থান। যখনই কোনো সঙ্কট দেখা দেয় তখনই শহিদ মিনার প্রেরণার স্থান হয়ে উঠে। কিছুদিন আগে ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থান ঘটেছে। চলমান বৈষম্যের বিরুদ্ধে এ অভ্যুত্থান। বৈষম্য দূর করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে। এগুলো দূর করতে ধারাবাহিকভাবে কাজ করতে হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা পরে সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘সুনামগঞ্জ এর উন্নয়ন ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন।
#
জাহাঙ্গীর/শিবলী/পবন/রানা/ফেরদৌস/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৮৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৬৯৪
কপ২৯-এ জলবায়ু ন্যায়বিচার এবং প্রাক-২০৩০ উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য অর্জনের আহ্বান জানালো বাংলাদেশ
আজারবাইজান (বাকু), ৩ অগ্রহায়ণ (১৮ নভেম্বর):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
কপ২৯-এ অনুষ্ঠিত ‘প্রাক-২০৩০ উচ্চাভিলাষ বিষয়ক বার্ষিক উচ্চপর্যায়ের মন্ত্রী পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠক’-এ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ২০৩০ পর্যন্ত অপেক্ষা করা সম্ভব নয়। ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্য পূরণে উন্নত দেশগুলোকে দ্রুত নির্গমন হ্রাসে উদ্যোগী হতে হবে এবং প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে।
জলবায়ুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ কীভাবে প্রতিদিন জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতা মোকাবিলা করছে, তা তুলে ধরে তিনি সমন্বিত বৈশ্বিক উদ্যোগের ওপর জোর দেন। তিনি উল্লেখ করেন, এই বছর দু’টি ভয়াবহ বন্যা বাংলাদেশে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতি করেছে, যা জাতীয় বাজেটের ১ দশমিক ৮ শতাংশের সমান। গত ১৮ মাসে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ১৫টি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্