তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩৪
১০ বছর আদালত মেনে শেষে এসে অস্বীকার খালেদার
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ মাঘ (৭ ফেব্রুয়ারি) :
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, দশ বছর আদালত স্বীকার করে এসে শেষ মুহূর্তে খালেদা জিয়ার অনাস্থাজ্ঞাপন দুঃখজনক ও সমগ্র জাতির বিচার ব্যবস্থাকেই অস্বীকার করা।
মন্ত্রী আজ বিকেলে বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের জবাবে রাতে বিটিভিকে দেয়া সাক্ষাতকালে একথা বলেন।
আদালত অপরাধের বিচার করে, কাউকে নির্বাচনের বাইরে রাখার কাজ নয় এবং কোনো ব্যক্তি বা দলকে নির্বাচনের বাইরে রাখার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, বলেন ইনু। তিনি আরো বলেন, আদালতে অপরাধের বিচার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয় এবং আদালত সরকারের নির্দেশে চলেনা।
#
আকরাম/আলী/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২১৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩৩
নৃত্যশিল্পের সুষমা ফিরিয়ে আনতে হবে
-- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ মাঘ (৭ ফেব্রুয়ারি) :
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, আমাদের দেশে প্রায় হাজার বছর ধরে নৃত্যচর্চা হচ্ছে। আগে নৃত্যের মধ্যে শিল্পের যে সুষমা ও সৌন্দর্য দেখা যেত, ইদানীংকালে তার ঘাটতি লক্ষ্যণীয়। আমাদের নৃত্যশিল্পের সে সুষমা ফিরিয়ে আনতে হবে। নৃত্যের মূলধারা ক্লাসিক্যাল বা ধ্রুপদী। এখনকার বেশিরভাগ নৃত্য দেখলে কখনো মনে হয় পাশ্চাত্য ধাঁচের, আবার কখনো বা মনে হয় অ্যাক্রোবেটিক বা শারীরিক কসরত। আমাদের নৃত্যশিল্পকে এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে নৃত্য সংগঠন স্পন্দন এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বার্ষিক সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
স্পন্দন এর সভাপতি রেজাউর রহমান সিনহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াকফ) বাংলাদেশের সিনিয়র পরিচালক ডাঃ রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি হাজী মোঃ আরিফ হোসেন ছোটন এবং বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মিনু হক।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে পুরুষ নৃত্যশিল্পীর সংখ্যা কম। মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদেরও নৃত্যচর্চায় এগিয়ে আসা উচিত। আমাদের সমাজে এখনো ছেলেরা নৃত্যশিল্পের চর্চা করলে মেয়ে হয়ে গিয়েছে বলে হেয় করা হয়। এ মনোবৃত্তি পরিহার করা উচিত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিখ্যাত নৃত্যশিল্পীদের অনেকেই পুরুষ। বর্তমান সরকার দেশে শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্যের প্রসারে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শীঘ্রই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে একটি শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসব আয়োজন করা হবে। এছাড়া একটি আন্তর্জাতিক শাস্ত্রীয় নৃত্যোৎসব আয়োজনের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন স্পন্দন এর প্রতিষ্ঠাতা অনিক বোস। স্বাগত বক্তৃতা করেন সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক মানস বোস বাবুরাম।
পরে স্পন্দন এর নৃত্যশিল্পীদের অংশগ্রহণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতি নৃত্যনাট্য ‘শাপমোচন’ পরিবেশিত হয়।
#
ফয়সল/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩২
মিয়ানমার নাগরিকদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন চলছে
উখিয়া (কক্সবাজার), ২৫ মাঘ (৭ ফেব্রুয়ারি) :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪টি কেন্দ্র্রের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে।
আজ কুতুপালং ক্যা¤েপ ২ শত ৩৭ জন পুরুষ ও ২ শত ৪২ জন নারী মিলে ৪ শত ৭৯ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ৯১ জন পুরুষ ও ১ শত ৮ জন নারী মিলে ১ শত ৯৯ জন, থাইংখালী ক্যাম্পে ৩৮ জন পুরুষ ও ৪৫ জন নারী মিলে ৮৩ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ৭২ জন পুরুষ ও ৮৫ জন নারী মিলে ১ শত ৫৭ জন এবং পুরোদিনে ৪টি কেন্দ্রে মোট ৯ শত ১৮ জনের জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।
আজ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোট ১০ লাখ ৬১ হাজার ৮৮ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে।
সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক আজ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৩ শত ৭৩ জন এতিম শিশু শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ হাজার ৩ শত ৯৫ জন ছেলে এবং ১৮ হাজার ৯ শত ৭৮ জন মেয়ে। বাবা-মা কেউ নেই এমন এতিম শিশুর সংখ্যা ৭ হাজার ৭ শত ৭১ জন।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) রিপোর্ট মোতাবেক ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ৬ লাখ ৮৯ হাজার ৪০ জন। অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়ছে। ২৫ আগস্ট, ২০১৭ এর পূর্বে আগত মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ২ লাখ ৪ হাজার ৬০ জন।
#
বশার/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩১
ইশারা ভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ মাঘ (৭ ফেব্রুয়ারি) :
বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা ইশারা ভাষায় কথা বলে। বাংলাদেশে বসবাসরত এক লাখ ষাট হাজার বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ইশারা ভাষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই ভাষার গুরুত্ব অনুধাবন করে শীঘ্রই দেশে একটি ইশারা ভাষা ইনস্টিটিউট নির্মাণ করা হবে বলে অঙ্গীকার করলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
আজ সমাজসেবা অধিদফতর, আগারগাঁওয়ে ‘বাংলা ইশারা ভাষা দিবস, ২০১৮’ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন বাংলা ভাষায় ইশারা ভাষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মনের কথা প্রথম উপলব্ধি করেছিলেন। তিনি ২০০৯ সালে বই মেলায় প্রথম ইশারা ভাষার স্বীকৃতি প্রদান করেন। সুখের কথা হচ্ছে বর্তমানে ইশারা ভাষা ইউনিসেফ কর্তৃক বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি লাভ করেছে এবং সর্বত্র উদ্যাপিত হচ্ছে।’
জনাব মেনন বলেন, ‘বধির স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে আমার একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য ইশারা ভাষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলা ইশারা ভাষাকে দেশের সর্বত্র পৌঁছে দিতে নানাবিধ কাজ করতে হবে। অনেক বিদেশি টেলিভিশনে ইশারা ভাষা নিয়ে কাজ হচ্ছে। আমাদের দেশে শুধু বিটিভি ও দেশ টিভি ইশারা ভাষা নিয়ে অনুষ্ঠান করে যা সাধুবাদ পাবার যোগ্য। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে ইশারা ভাষা বিষয়ক কর্মকা- চালু করা প্রয়োজন। সরকার ‘প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইন- ২০১৩’ নামে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আইন প্রণয়ন করেছে এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য দেশব্যাপী নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। চাকুরি ক্ষেত্রে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।’
এবছর দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ইশারা ভাষা উন্নয়নে, এগিয়ে যাব প্রতিজনে’। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সমাজসেবা অধিদফতর, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংগঠনের সমন্বয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে বর্ণাঢ্য র্যালি ও সমাজসেবা অধিদফতর, সমাজসেবা ভবন, আগারগাঁও, ঢাকায় আলোচনাসভা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ জিল্লার রহমান। আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা অধিদফতরের অতিরিক্ত সচিব ও পরিচালক আবু মোহাম্মদ ইউসুফ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জাতীয় বধির ক্রীড়া ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহম্মেদ। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসডিএসএল এর সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সমাজসেবা অধিদফতরের অতিরিক্ত সচিব ও পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) এ কে এম খায়রুল আলম। অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী ও বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
মাইদুল/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৯১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩০
বিদেশে কর্মরত নারীকর্মীদের অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর
-- প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ মাঘ (৭ ফেব্রুয়ারি) :
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বি.এসসি বলেছেন, বিদেশে কর্মরত নারী কর্মীদের অধিকার, মর্যাদা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন চুক্তিতে তাদের অধিকার, নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। সরকার নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে। সে লক্ষ্যে নারী শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মর্যাদা ও অধিকারসহ সকল বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনকক্ষে ‘গঁষঃর ঝঃধশবযড়ষফবৎ উরধষড়মঁব ড়হ ডড়সবহ গরমৎধহঃ ডড়ৎশবৎং: চড়ঃবহঃরধষ, ঈযধষষবহমবং ধহফ ঝঃৎধঃবমরবং ভড়ৎ ঃযবরৎ জরমযঃং ধহফ ঊসঢ়ড়বিৎসবহঃ’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, দক্ষ নারীকর্মী প্রেরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নারীকর্মীর দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে বিদেশস্থ শ্রমবাজারে তাদের কর্মসংস্থানের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে তাদের অধিকার নিশ্চিতসহ রেমিটেন্স বৃদ্ধি পাবে। সর্বোপরি নারীকর্মী তথা নারীদের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরো বলেন, সময়ের সাথে সাথে নারীদের জন্য বিদেশে কর্মসংস্থানের নতুন নতুন সম্ভাবনা যেমন তৈরি হচ্ছে তেমনি দেখা দিচ্ছে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ। মন্ত্রী এ সকল চ্যালেঞ্জ এবং প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে নারীদের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, বিদেশে কর্মরত নারীকর্মীদের জন্য কাজ করার জায়গা ও সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, কাজের জায়গা হল নারীকর্মীর নিরাপদ গমন নিশ্চিত, তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি এবং নারীকর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থানের সংখ্যা বৃদ্ধি করা। তিনি বিদেশে কর্মরত নারীকর্মীর কর্মস্থলে তারা কেমন আছে বা তারা কোন সমস্যায় রয়েছে কি না তা দূতাবাস কর্তৃক মনিটরিং বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগমের সভাপতিত্বে সংলাপে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নমিতা হালদার। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আন্তর্জাতিক সচিব কেন্দ্রীয় কমিটি রেখা সাহা। সংলাপের আলোচ্য বিষয়ের ওপর পর্যালোচনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন টঘ ডড়সবহ ইধহমষধফবংয এর ঈড়ঁহঃৎু জবঢ়ৎবংবহঃধঃরাব মিজ সুকো ইসিকাওয়া। অনুষ্ঠানে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন দু’জন নারী অভিবাসীকর্মী শাজানাজ পারভীন ও শিল্পী বেগম। পরে আলোচ্য বিষয়ের ওপর উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন এনজিও প্রতিনিধি, সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি, বায়রা’র প্রতিনিধি, অভিবাসন বিশেষজ্ঞসহ উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ। তারা তাদের পরামর্শ ও মতামত প্রদান করেন।
টঘ ডড়সবহ ইধহমষধফবংয ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এর সহযোগিতায় এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে আরো উপস্থিত ছিলেন শ্রম কল্যাণ সম্মেলন ২০১৮ তে অংশগ্রহণকারী ২৬টি দেশের ২৮টি শ্রম উইংয়ে নতুন ৪জন সহ মোট ৪৪ জন কর্মকর্তা, অভিবাসন বিষয়ক এনজিও, সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিবৃন্দ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, মন্ত্রণালয় ও দপ্তর/সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
#
জাহাঙ্গীর/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৯
আউশ প্রণোদনা
ব্যয় ১ টাকা আয় ৮.৬৫ টাকা
ঢাকা, ২৫ মাঘ (৭ ফেব্রুয়ারি) :
‘বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার আধুনিক কৃষি গবেষণা, প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম জোরদারকরণের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ও অগ্রগতি সাধন করেছে। কৃষির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে কৃষি মন্ত্রণালয় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কৃষি পুনর্বাসন/প্রণোদনা বাবদ নিয়মিত বরাদ্দ ১শত কোটি টাকা থেকে ইতোমধ্যে মোট ৬০ কোটি ৩৭ লাখ ৭ হাজার ৭শত ৪২ টাকার কৃষি উপকরণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ২০০৮-০৯ থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছর পর্যন্ত ৫ শত ৮৯ কোটি ২৪ লাখ ৮৪ হাজার ৪ শত ৬২ টাকা কৃষি পুনর্বাসন ও প্রণোদনা বাবদ সহায়তা প্রদান করেছে।’
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আউশ প্রণোদনা ২০১৭-১৮ উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যে সরকার প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় খরিপ-২ মৌসুমে মাসকলাই, রবি মৌসুমে গম, ভুট্টা, সরিষা, চিনাবাদাম, ফেলন, খেসারি, বিটি বেগুন ও পরবর্তী খরিপ-১ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন মুগ ও তিল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে পরিবার প্রতি সর্বোচ্চ ১ বিঘা জমির জন্য বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার (ডিএপি ও এমওপি) প্রদানের জন্য ৫৮ কোটি ৭৭ লাখ ১৯ হাজার ৩ শত ১৫ টাকা, খরিপ-২ মৌসুমে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কলার ভেলায় ভাসমান বীজতলা তৈরি, নাবী জাতের রোপা আমন ধানের বীজ বিতরণ এবং নাবী জাতের রোপা আমন ধানের বীজতলা তৈরি, চারা উত্তোলন ও বিতরণের নিমিত্ত এই কার্যক্রমের আওতায় ৯০ লাখ ৮৬ হাজার ৭শত ৬০ টাকা এবং রোপা আমন মৌসুমে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নাবী জাতের রোপা আমন ধানের চারা ক্রয় ও রোপা আমন ধানের ব্রি ধান ৩৪ (সুগন্ধি ধান) জাতের বীজ ক্রয়ের মাধ্যমে বিতরণ নিমিত্ত ১১টি জেলায় ৬৯ লাখ ১ হাজার ৬ শত ৬৭ টাকা ছাড় করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, হাওরাঞ্চলের ৬টি জেলা সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বোরো চাষিদের রবি মৌসুমে বোরো ধান চাষের জন্য বিনামূল্যে বোরো বীজধানের ও সার (ডিএপি ও এমওপি) এবং পরিবার প্রতি ১ হাজার টাকা করে ৬ লাখ জন কৃষককে নগদ সহায়তা প্রদানের জন্য কৃষি পুনর্বাসন/প্রণোদনা খাতে ১ শত ১৭ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ ছাড় করা হয়েছে। প্রণোদনা বাবদ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ২ লক্ষ ৩৭ হাজার ১ শত ৮২ জন এর মধ্যে ৬৪ টি জেলায় উফসী আউশ চাষির সংখ্যা ২ লাখ ২ হাজার ৪ শত ১২ জন এবং ৪০টি জেলায় নেরিকা আউশ চাষির সংখ্যা ৩৪ হাজার ৭শত ৭০ জনকে মোট ৩৯ কোটি ৬২ লাখ ৮৩ হাজার ২শত ৪৫ টাকার বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার এবং কৃষি উপকরণ সহায়তা প্রদান এ প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে। এই কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে উফশী আউশ ধান ফসলের জন্য প্রতি কৃষক ১ বিঘা জমির জন্য ৫ কেজি বীজধান ও প্রয়োজনীয় পরিমাণ সার সহায়তা পাবেন। এতে সর্বসাকুল্যে বিঘাপ্রতি ব্যয় হবে ১ হাজার ৫ শত ৯৭ টাকা ৫০ পয়সা টাকা। নেরিকা আউশ ধান ফসলের ক্ষেত্রে প্রতি কৃষক ১ বিঘা জমির জন্য ৫ কেজি বীজধান ও প্রয়োজনীয় পরিমাণ সার সহায়তা পাবেন, সেচের জন্য খরচের সহায়তা ৫ শত টাকা ও আগাছা দমনের জন্য খরচের সহায়তা ৫ শত টাকা। এতে সর্বসাকুল্যে বিঘাপ্রতি ব্যয় হবে ২ হাজার ১ শত ১৫ টাকা।
চলমান পাতা -২
= ০২ =
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ প্রণোদনা প্রদানের ফলে আউশ ফসল আবাদে কৃষকগণ উৎসাহিত হবে, হেক্টর প্রতি ফলন বৃদ্ধি পাবে, উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের বিভিন্ন জেলায় পতিত ও সাময়িক পতিত জমিগুলো আবাদের আওতায় আসবে এবং শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধি হবে। এতে কৃষকগণ আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত হবে। নতুন নতুন জাতের সাথে কৃষকগণ পরিচিত হবে। আউশ ফসলের নতুন নতুন উফশী জাত সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের সার্বিক চাল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। উচ্চ ফলনশীল জাতের আউশ ধান আবাদ বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষকের আয় বৃদ্ধি পাবে। এই কর্মসূচিতে মঞ্জুরিকৃত অর্থ কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাজেট বরাদ্দ হতে সংকুলান করা হবে, এর জন্য কোন অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রয়োজন হবে না। প্রণোদনা সহায়তার ফলে ৮২ হাজার ৫ শত ৭৪ মেট্রিক টন চাল এবং ১ লাখ ২৪ হাজার ৬ শত ৯৯ মেট্টিক টন খড় উৎপাদন হবে এবং এতে আয় হবে ৩ শত ৪২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৮ হাজার টাকা অর্থাৎ প্রতি ১ টাকা খরচ করে আয় হবে ৮ দশমিক ৬৫ টাকা (ব্যয় ও আয়ের অনুপাত = ১ ঃ ৮ দশমিক ৬৫)।
তিনি আরো বলেন, সরকার সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করেছে এবং এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি তথা কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নে ইতোমধ্যে দৃশ্যমান অনেক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যহত থাকবে। সরকার বন্যা, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সরকার ছিল, আছে এবং থাকবে। কৃষির ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের সবধরনের সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রেখেছে ভবিষ্যতেও এর ধারাবাহিকতা থাকবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্, বিএডিসি’র চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
গিয়াস/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৮৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৭
হজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে প্রশিক্ষণ গ্রহণ অপরিহার্য
--- ধর্মমন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ মাঘ (৭ ফেব্রুয়ারি) :
ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেছেন, হজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে হজ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ গ্রহণের বিকল্প নেই। হজযাত্রী, হজ এজন্সে,ি হজগাইড, মোয়াজ্জেম, বভিন্নি ব্যাংকরে প্রতনিধি,ি হজ প্রশাসনকি দল, চকিৎিসক দলও কারিগরিদলসহ হজ ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লষ্টি প্রত্যকে ব্যক্তরি নিজ নিজ বষিয়ে দক্ষতা র্অজনরে জন্য প্রশক্ষিণ গ্রহণ আবশ্যক। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগালে সংশ্লষ্টি ব্যক্তগিণ দক্ষতার সাথে দায়ত্বি পালন করতে পারবনে এবং বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা উন্নত হবে।
মন্ত্রী আজ হজ অফিস, আশকোনা, ঢাকায় অনুষ্ঠিত র্ধম বষিয়ক মন্ত্রণালয় র্কতৃক নয়িোগকৃত আইটি প্রতষ্ঠিান বজিনসে অটোমশেন ল.ি আয়োজতি হজযাত্রীদরে প্রাক্-নবিন্ধন ও নবিন্ধন সর্ম্পকে হজ এজন্টে, ব্যাংক র্কমর্কতা এবং র্ধম বষিয়ক মন্ত্রণালয়রে র্কমর্কতা ও র্কমচারীদরে প্রশক্ষিণ র্কমসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল হজ ব্যবস্থাপনায় উন্নীত হয়েছে। সৌদি কর্তৃপক্ষের ই-হজ সিস্টেমের সাথে সমন্বয় সাধন এবং হজ ব্যবস্থাপনাকে আরো সুন্দর, স্বচ্ছ ও হয়রানিমুক্ত করার লক্ষ্যে ২০১৬ সাল থেকে প্রাক-নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। ফলে হজ ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৮ সালে হজে গমনের জন্য স্বচ্ছতার সাথে ইতোমধ্যে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনার প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২১ আগস্ট/৯ জিলহজ তারিখে ২০১৮খ্রি./১৪৩৯ হিজরি সালের পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে সৌদি-বাংলাদেশ হজচুক্তি-২০১৮ সম্পাদিত হয়েছে। ২০১৮ সনের হজচুক্তি অনুসারে এবছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী হজে যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ জন এবং অবশিষ্ট ১ লাখ ২০ হাজার জন হজযাত্রী বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গমন করবেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, হজ ব্যবস্থাপনাকে হয়রানিমুক্ত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার সহায়তা করতে পারে। তাই সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে হজ সংশ্লিষ্ঠদের হালনাগাদ প্রশিক্ষণ থাকা আবশ্যক। এছাড়া তিনি হজযাত্রীদেরকে অসম্ভব প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভ্রান্ত না করার জন্য হজ এজেন্সিগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
হজ অফিস, ঢাকা এর পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (হজ) মোঃ হাফিজ উদ্দিন, জেদ্দায় হজ কাউন্সেলর মোঃ মাকসুদুর রহমান, হজ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি মোঃ আবদুস সোবহান ভুঁইয়া, মহাসচিব জিএম তসলিম উদ্দিন, বিজনেস অটোমেশন লিমিটেডের পরিচালক শোয়েব আহমেদ ও বজলুল হক বিশ্বাস প্রমুখ।
#
আনোয়ার/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৮২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৬
৩ মার্চ বাহাদুরাবাদ এবং বালাসীঘাট নির্মাণ ও ড্রেজিং কাজ উদ্বোধন
ঢাকা, ২৫ মাঘ (৭ ফেব্রুয়ারি) :
বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর যানবাহনের চাপ কমানো, যানজট হ্রাস ও উত্তরাঞ্চলের যাত্রী এবং গাড়ি দ্রুত পারাপারের সুবিধার্থে বাহাদুরাবাদ ও বালাসীঘাটের মধ্যে ফেরি চলাচল করবে। এ লক্ষ্যে আগামী ৩ মার্চ জামালপুরের বাহাদুরাবাদ এবং গাইবান্ধার বালাসীঘাট নির্মাণ ও ড্রেজিং কাজ উদ্বোধন করা হবে।
আজ নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উন্নয়ন, আর্থিক ও প্রশাসনিক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ আবদুস সামাদ, বিআইডব্লিউটিএ’র সদস্য মোঃ নুরুল আমিন ও সদস্য মোঃ শহীদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, বিআইডব্লিউটিএ বিভিন্ন নদীবন্দরের তীরভূমিতে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনাদি উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ২০১০ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের তীরভূমিতে গড়ে উঠা ৭ হাজার ৯১৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৪৮০ দশমিক ০২ একর তীরভূমি উদ্ধার করেছে।
#
জাহাঙ্গীর/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৭৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৫
ওআইসি মহাসচিবের সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২৫ মাঘ (৭ ফেব্রুয়ারি) :
ওআইসির মহাসচিব ইউসেফ আল ওথায়মিনের সাথে আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী সাক্ষাৎ করেন। ওআইসির মহাসচিব ১০ম ওআইসি পর্যটনমন্ত্রীগণের সম্মেলনে অংশগ্রহনের জন্য তিনদিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন।
সাক্ষাৎকালে তারা ওআইসির আওতায় বিভিন্নক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় আগামী মে মাসে অনুষ্ঠিতব্য ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলনের বিষয়টি বিশেষভাবে স্থান পায়। এছাড়া মহাসচিব পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সদ্যসমাপ্ত ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ১০ম সম্মেলনের বিষয়ে অবহিত করেন।
#
তৌহিদুল/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৮/১৫১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৪
সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের সাথে স্পিকারের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২৫ মাঘ (৭ ফেব্রুয়ারি) :
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আজ সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশে সফররত সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট অষধরহ ইবৎংবঃ এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা রোহিঙ্গা ইস্যু, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নারীরক্ষমতায়ন, দারিদ্র্যমোচন এবং সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীসহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
ড.শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ে সীমান্ত খুলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার নবদিগন্তের সূচনা করেছেন। জাতিসংঘে তাঁর প্রস্তাবিত পাঁচদফার আলোকেই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের প্রক্রিয়া চলমান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসনে মিয়ানমারকে এগিয়ে আসতে হবে। এসময় তিনি রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য আর্ন্তজাতিক জনমত তৈরি ও মানবতা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে সুইজারল্যান্ড সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গাদের মানবেতর জীবনযাপন সরজমিনে পরিদর্শন করায় তিনি সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্টকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
স্পিকার বলেন, নারীর অর্থনৈতিকক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ সময়ে তিনি নারীর প্রশিক্ষণ, দক্ষতাবৃদ্ধি ও তরুণ প্রজন্মকে মানবসম্পদে পরিণত করতে সুইজারল্যান্ডকে পাশে থাকার অনুরোধ জানান।
অষধরহ ইবৎংবঃ বাংলাদেশের জনগণকে অতিথিপরায়ন ও আন্তরিক উল্লেখ করে বলেন, নারীরক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অনুকরণীয় এবং অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে ও দারিদ্র্যমোচনে এদেশের অগ্রগতি লক্ষণীয়। এছাড়া ১৩৬তম আইপিইউ এবং ৬৩তম সিপিসি সম্মেলন সফলভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ তার সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। উভয় সম্মেলন কৃতিত্বের সাথে নেতৃত্ব দেওয়ায় তিনি স্পিকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এসময়ে তিনি দুই দেশের সংসদ সদস্যদের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে বিদ্যমান সম্পর্ক আরো জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে-যা প্রশংসনীয়। রোহিঙ্গাদের স্থায়ী প্রত্যাবর্তনে সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের পাশে থাকবে মর্মে তিনি আশ্বস্ত করেন।
সাক্ষাৎকালে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সিনিয়র সচিব ড. আব্দুর রব হাওলাদার, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত জবহব ঐড়ষবংঃরহব ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
তারিক/অনসূয়া/শহিদ/আসমা/২০১৮/১৫০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৩
এলজিআরডি মন্ত্রীর সাথে বেলারুশ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২৫ মাঘ (৭ ফেব্রুয়ারি) :
বাংলাদেশে নিযুক্ত বেলারুশের রাষ্ট্রদূত ঠরঃধষু চৎরসধ এর নেতৃত্বে ৭ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদল আজ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সাথে মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে সাক্ষাৎ করে।
সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী বলেন, বেলারুশের টেকনিক্যাল সক্ষমতা ও অবকাঠামোগত খাতের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবকাঠামোগত উন্নয়নে কাজে লাগবে। ভারীশিল্প, নির্মাণ যন্ত্রপাতিসহ কারিগরি জ্ঞানের আদান-প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। তিনি বাংলাদেশে বিদ্যমান পাঁচস্তরের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণকে প্রদেয় সেবাসমূহ সম্পর্কেও প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন।
মন্ত্রী পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনে সক্ষমতা বাড়াতে ৪ শত ২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগে বাংলাদেশ ও বেলারুশ যৌথভাবে পরিচালিত অ্যামকোডর পলাশ শিল্পজোন, ট্রেড এন্ড সার্ভিস সেন্টার থেকে ১১টি হুইল লোডার, ১১টি ব্যাকহো লোডার, ১১টি এসফল্ট লোডার, ৩ শত ২৯টি টুইন রোলার, ৩ শত ৩০টি স্কিড স্টেয়ার লোডারসহ মোট ৭ শত ৩টি মেশিন ও যন্ত্রাংশ প্রদান করায় তাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এসব যন্ত্রাংশ সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার আবর্জনা ব্যবস্থাপনা, ড্রেননির্মাণ, মেরামত ও পরিষ্কার, রাস্তানির্মাণ ও মেরামত কাজে গতি এনেছে।
রাষ্ট্রদূত ঠরঃধষু চৎরসধ বলেন, বেলারুশ সরকার পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি উপজেলা পরিষদ এবং জেলা পরিষদেও এ ধরণের যন্ত্র দিতে আগ্রহী। এজন্য বেলারুশ সরকার ১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও পরবর্তীতে ১শ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
#
জাকির/অনসূয়া/শহিদ/রফিকুল/আসমা/২০১৮/১৪৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২২
নোয়াখালী জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্যেদের শপথগ্রহণ
ঢাকা, ২৫ মাঘ (৭ ফেব্রুয়ারি) :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর অফিস কক্ষে আজ নোয়াখালী জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ৩ জন সদস্যের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সদস্যগণ হলেন, নোয়াখালী জেলা পরিষদের সদস্য
এ কে এম এমরুল চৌধুরী, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এবং সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের সদস্য রেজিয়া
বেগম বকুল।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান