Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২nd জানুয়ারি ২০২২

তথ্যবিবরণী ২ জানুয়ারি ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর: ২৯

 

কোভিড-১৯ এর মধ্যেও শেখ হাসিনা কাউকে না খেয়ে মরতে দেননি

                     -- পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সিলেট, ১৮ পৌষ (২ জানুয়ারি) :  

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যে যখন অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছিল তখনও শেখ হাসিনা কাউকে না খেয়ে মরতে দেননি। তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে করোনা পরিস্থিতি ভালোভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে। করোনাকালীন লকডাউনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী দরিদ্রদের বিশেষ সহায়তা দিয়েছেন যাতে তাদের জীবনধারণে অসুবিধা না হয়। 

মন্ত্রী আজ সিলেট সদর উপজেলার দুস্থ জনগণের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, আমরা ভাগ্যবান যে, শেখ হাসিনার মতো একজন রাষ্ট্রনায়ক পেয়েছি। বিভিন্ন রকমের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির আওতায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার অনেক ধরনের ভাতা প্রদান করে যাচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনধারণে বিশেষভাবে সহায়তা করছে।

ড. মোমেন সিলেট সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিদের সাধারণ জনগণের চাহিদার প্রতি আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সিলেটবাসীর কল্যাণে এবং তাদের যেকোন প্রয়োজনে তিনি সবসময় তাদের পাশে রয়েছেন। সিলেটের উন্নয়নে যেকোনো প্রয়োজনে নির্দ্বিধায় তাঁকে জানাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য মোমেন। 

সিলেট সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মোমেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী মিসেস সেলিনা মোমেন, সিলেট সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আশফাক আহমেদ ও জাতীয় মহিলা সংস্থা সিলেট জেলার চেয়ারম্যান হেলেন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। 

#

মোহসিন/পাশা/নাইচ/সঞ্জীব/শামীম/২০২২/ ২২২৫  ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                             নম্বর : ২৮

শিক্ষা জাতির সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চাবিকাঠি

                                  -- আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ

আগৈলঝাড়া (বরিশাল), ১৮ পৌষ (২ জানুয়ারি) :

          পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রীর পদপর্যাদা) আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, শিক্ষা জাতির সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চাবিকাঠি। সরকার মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ ও দেশকে এগিয়ে নিতে মানসম্মত শিক্ষাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।  

          জনাব হাসানাত আজ বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়াস্থ সেরালের নিজ বাসভবন চত্বরে সরকারি শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। এ সময় কলেজের অধ্যক্ষও বক্তব্য রাখেন।

          জনাব হাসানাত বলেন, স্বাধীনতা-উত্তর যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পুনর্গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালের সংবিধানে ‘রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি’ অংশে শিক্ষার কথা বলা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে ড. কুদরত ই-খুদাকে সভাপতি করে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। ১৯৭৩ সালে ভঙ্গুর অর্থনীতির মধ্যেও বঙ্গবন্ধু দেশের দরিদ্র প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সন্তানদের জন্য শিক্ষার সমাধিকার নিশ্চিত করেন।

          জনাব হাসানাত বলেন, কলেজটির শিক্ষক ও কর্মচারীদেরকে কলেজের বিদ্যমান সুযোগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে মানসম্মত শিক্ষাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি কলেজের সার্বিক সমস্যাবলী সমাধানে সাহায়তার আশ্বাস দেন।

#

আহসান/পাশা/নাইচ/সাহেলা/মোশারফ/জয়নুল/২০২২/২১০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                           নম্বর :  ২৭

নির্বাচন কমিশন গঠন সংলাপে রাষ্ট্রপতির সাথে

বিকল্পধারা বাংলাদেশ এবং গণফোরাম প্রতিনিধিদলের আলোচনা

ঢাকা, ১৮ পৌষ (২ জানুয়ারি) :

          নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে  আজ রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয়  বিকল্পধারা বাংলাদেশ এবং গণফোরামের প্রতিনিধিদল।

          আজ গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি মোকাব্বির খানের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নেন।

          বঙ্গভবনে তাদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেয়াই এই আলোচনার লক্ষ্য। তিনি বলেন, রাজনীতিবিদদের অনুকরণীয় এমন কিছু করা দরকার, যা থেকে নতুন প্রজন্ম শিক্ষা নিয়ে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে।

          আলোচনাকালে গণফোরামের প্রতিনিধিদল নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নসহ  কয়েকটি প্রস্তাব দেয়। তারা আশা করেন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে রাষ্ট্রপতির চলমান এ সংলাপ একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

          আজ বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অবঃ) আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল  বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নেন। তারা নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নসহ তিন দফা সুপারিশ পেশ করেন। তারা বিশিষ্ট নাগরিকদের সমন্বয়ে একটি সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন। তারা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো দ্বারা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নাম ও কমিশনারদের নাম প্রস্তাবের সুপারিশ করেন যেখান থেকে সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নাম প্রস্তাব করবেন।

          রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

#

ইমরানুল/পাশা/সাহেলা/মোশারফ/জয়নুল/২০২২/২০২০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ২৬    

                      

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষক-কর্মচারীদের ডিসেম্বর ২০২১ মাসের বেতন-ভাতা প্রদান 

                             

ঢাকা, ১৮ পৌষ (২ জানুয়ারি):

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের (স্কুল-কলেজ) শিক্ষক-কর্মচারীগণের ডিসেম্বর ২০২১ মাসের বেতন-ভাতার সরকারি অংশের ৮টি চেক অনুদান বণ্টনকারী প্রধান কার্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড ও রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, এবং জনতা ও সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের স্থানীয় কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আগামী ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শাখা ব্যাংক হতে ডিসেম্বর ২০২১ মাসের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ উত্তোলন করা যাবে।

#

বিপুল/পাশা/সাহেলা/মোশারফ/শামীম/২০২২/ ২০১০ঘণ্টা  

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                              নম্বর : ২৫

নতুন প্রজন্মকে বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে

                                            -- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৮ পৌষ (২ জানুয়ারি) :

          সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, নতুন প্রজন্ম আগামী দিনের জাতির কাণ্ডারি ও পথপ্রদর্শক। তাদেরকে একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে জ্ঞান আহরণের কোনো বিকল্প নেই। সেই জ্ঞান আহরণের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে বই। তাই প্রচুর বই পড়তে হবে। বইয়ের কোনো বিকল্প নেই। বইয়ের একমাত্র বিকল্প বই। সেজন্য নতুন প্রজন্মকে বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

          প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের সহযোগিতায় ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে চার দিনব্যাপী (৩০ জানুয়ারি ২০২১ খ্রি. হতে ২ জানুয়ারি ২০২২ খ্রি.) ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বইমেলা’র সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

          জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখাকে অত্যন্ত পরিণত ও অসাধারণ অভিহিত করে প্রধান অতিথি বলেন, জাতির পিতার লেখা আমাদের চুম্বকের মতো আকর্ষণ করে। তিনি তিনটি বই লিখেছেন যথা: অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা ও আমার দেখা নয়াচীন। তিনি যদি আরো লেখালেখি করার সুযোগ পেতেন, তবে নিঃসন্দেহে বাংলা সাহিত্যে তাঁর একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি হতো।

          ঢাকা জেলা প্রশাসক মোঃ শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আবুবকর সিদ্দিক ও ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ।

          পরে প্রতিমন্ত্রী বইমেলা পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।

          উল্লেখ্য, গ্রন্থাগার অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে ঢাকা জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা’ বইমেলায় মোট ৫৪টি স্টল অংশগ্রহণ করে।

#

ফয়সল/পাশা/সাহেলা/মোশারফ/জয়নুল/২০২২/১৯৫০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর: ২৪

সকল শিশুকে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে

                                           ---পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সিলেট, ১৮ পৌষ (২ জানুয়ারি) :

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সাধারণ শিশু হোক বা অটিস্টিক শিশু হোক, সকল শিশুকে নিয়েই আমরা এগিয়ে যাবো। কোনো শিশুকে সমাজের মূলস্রোতধারা থেকে বাদ রাখা যাবে না। দেশের সার্বিক উন্নয়নে সকল শিশুই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সরকার বিশেষ শিশুদের প্রতিভা বিকাশে নানারকম উদ্যোগ নিয়েছে। 

আজ সিলেট আর্ট এন্ড অটিজম ফাউন্ডেশন আয়োজিত শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। 

অটিস্টিক শিশুদের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর কন্যা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিশেষ অবদানের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অটিস্টিক শিশুসহ সকল শিশুর সার্বিক উন্নয়নে সরকার সবসময়ই সচেষ্ট রয়েছে। তিনি অটিস্টিক শিশুদের সাথে অন্যান্য শিশুদের মতো স্বাভাবিক আচরণ ও যত্নবান হতে অভিভাবকসহ সমাজের সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় সিলেট আর্ট এন্ড অটিজম স্কুলের বিভিন্ন বয়সের শিশু ও বিশেষ শিশুদের আঁকা শহর, দুর্যোগ বিশেষ করে করোনা, ভূমিকম্প, সড়ক দুর্ঘটনা, অগ্নিকাণ্ড ও পরিবেশ দূষণ বিষয়ে সচেতনতামূলক ছবি প্রদর্শনীতে উপস্থাপন করা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন এবং শিশুদের সৃষ্টিশীল কর্মে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। 

সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট আর্ট এন্ড অটিজম স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা খান মোহাম্মদ বিল্লাল ও স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হেরল্ড রশীদ উপস্থিত ছিলেন।

#

মোহসিন/পাশা/সাহেলা/মোশারফ/আব্বাস/২০২২/১৯৪৪ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                            নম্বর : ২৩

প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নে কাজ করছেন

                                               -- খাদ্যমন্ত্রী

নওগাঁ, নিয়ামতপুর, ১৮ পৌষ (২ জানুয়ারি) :

          খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, করোনাকালে অসহায়, গরিব-দুস্থ, খেটে খাওয়া ও কর্মহীন মানুষকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে খাদ্য ও নগদ অর্থসহ মানবিক সহায়তা দিয়েছেন সারা বিশ্বে সেটি এক অনন্য নজির।

          আজ নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার রাধানগর ঘাটে শিব নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারের সবাইকে হারিয়ে জীবন বাজি রেখে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজের অবকাঠামো, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণসহ সারা দেশের সুষম উন্নয়ন হয়েছে। বছরের প্রথম দিনে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হচ্ছে। যা অন্য কোনো সরকারের আমলে হয় নাই বলে উল্লেখ করেন তিনি।

          বিএনপিকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসাকে পুঁজি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। বিএনপির এসকল ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

          অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।

          এর আগে মন্ত্রী রাধানগর ঘাটে শিব নদীর ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৯২ মিটার পিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের উদ্বোধন করেন।

#

কামাল/পাশা/সাহেলা/মোশারফ/জয়নুল/২০২২/১৯৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                            নম্বর : ২২

সংলাপ ব্যর্থ না সফল রাষ্ট্রপতির পদক্ষেপের পর বুঝা যাবে

                                                                           -- আইনমন্ত্রী

ঢাকা, ১৮ পৌষ (২ জানুয়ারি) :

          আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ ব্যর্থ নাকি সফল হবে তা দেখতে সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে।

          আজ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আইন মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকদের সাথে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এসময় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ার, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের সচিব মোঃ মইনুল কবিরসহ আইন মন্ত্রণালয়ের উভয় বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

          রাষ্ট্রপতির সংলাপ নিয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খানের এক মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, এই ব্যাপারে দুটো কথা বলবো। একটা হচ্ছে যে, বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতা আছে। বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিক তার অভিমত ব্যক্ত করতে পারেন।

          মন্ত্রী বলেন, এই সংলাপ ব্যর্থ হচ্ছে নাকি সফল হচ্ছে, তা সংলাপ শেষ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি কী পদক্ষেপ নেন সেটা দেখার পর সবাই বুঝবে। সেই পর্যন্ত সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে।

          বিএনপি সংলাপে যাচ্ছে না-এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশ হচ্ছে সবার ঊর্ধ্বে। দেশের স্বার্থে বিএনপি যদি এই সংলাপে আসেন, সেটা তাদের জন্য ভালো হবে, সবার জন্য ভালো হবে। তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা যদি সেটা  না করেন, তবে সেটা ওনাদের  সিদ্ধান্ত।

          অনেকে বলেন টক্সিক সিচুয়েশন। বিএনপি নেতারা যদি মনে করেন, এটা ‘টক্সিক সিচুয়েশন’, তাহলে ‘টক্সিক সিচুয়েশন’ থেকে বেরোনোর জন্য তাদের কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। সংলাপে গেলে সেটা পজিটিভ হবে, যোগ করেন আনিসুল হক।

          নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আইন হলে কী এই প্রশ্নগুলো আসতো? এখনও আইন করার সুযোগ আছে কিনা- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এই সময়ের মধ্যে আইন করার সুযোগ নেই। আইন হবে না এই কথা তো আমি বলিনি। আমি বলেছি, এই আইনটা হবে। এই আইনটা এমন একটা আইন হওয়া উচিত, যেটা গ্রহণযোগ্য হবে সবার কাছে। শুধু এক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হলে তো এটা সার্বজনীন আইন হলো না। সেক্ষেত্রে আমি মনে করি, আইন হবে। কিন্তু এই যে কমিশন তা সংলাপের ওপর নির্ভর করবে।

          আইনমন্ত্রী বলেন, সরকারের অগ্রাধিকার হলো জনগণের প্রাপ্য সেবা তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। কাকে বিদেশে পাঠানো হবে আর  কাকে বিদেশে পাঠানো হবে না সেটা অগ্রাধিকার নয়। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

#

রেজাউল/পাশা/সাহেলা/মোশারফ/জয়নুল/২০২২/১৮৫০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর :  ২১                          

বিএসসিতে ‘মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’ উদ্বোধন করলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

          চট্টগ্রাম, ১৮ পৌষ (২ জানুয়ারি):

                স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ণাঢ্য ও যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি)-তে একটি ‘মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’ স্থাপন করা হয়েছে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আজ চট্টগ্রামে বিএসসি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্নারের উদ্বোধন করেন।

          এসময় অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম‍্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান এবং বিএসসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর সুমন মাহমুদ সাব্বির উপস্থিত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ কর্নারে ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত ইতিহাস ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। উল্লেখ্য, এতে বিএসসি’র মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবদানের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত আছে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ কর্নারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও থ্রি-ডি ম্যুরাল; ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শিরোনামসহ ছবি; ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের শিরোনামসহ ছবি; ৭ মার্চ এর ভাষণের শিরোনামসহ ছবি; স্বাধীনতাযুদ্ধের রণাঙ্গনের শিরোনামসহ ছবি; এলইডি টিভির মাধ্যমে ৭ মার্চের ভাষণ ও সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভাষণসমূহ লাইভ শো; পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ দলিল; বিএসসি প্রতিষ্ঠার দলিল (পি.ও. ১০-১৯৭২); মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইতিহাস সংবলিত ৭০টি বইয়ের একটি লাইব্রেরি; বিএসসি’র প্রাক্তন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছবি ও সংক্ষিপ্ত বিবরণ; মুক্তিযুদ্ধ কর্নারকে আকর্ষণীয় করার জন্য শো-পিস স্থাপন এবং কিউআর কোডের মাধ্যমে প্রতিটি বিষয়ের বিস্তারিত বিবরণ সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ।


          প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বিএসসি। বিএসসিসহ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে। মূলত বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মধ‍্যে দেশের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর দেশ অন্ধকারে ধাবিত হয়। বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিভঙ্গি অনুভূতির মধ‍্যে না নিলে বিএসসিকে এগিয়ে নেয়া যাবে না।

#

জাহাঙ্গীর/পাশা/সাহেলা/মোশারফ/শামীম/২০২২/১৮২৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর: ২০

সমাজসেবা খাতে বৈপ্লবিক অগ্রগতি হয়েছে

                                     ---সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

ঢাকা, ১৮ পৌষ (২ জানুয়ারি) :

সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, বর্তমান সরকারের সময়ে দেশের সমাজসেবা খাতে বৈপ্লবিক অগ্রগতি হয়েছে। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে প্রায় সোয়া কোটি লোককে সরাসরি ভাতার আওতায় আনা হয়েছে।

মন্ত্রী আজ রাজধানীর আগারগাঁওস্থ সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে ২৩তম জাতীয় সমাজসেবা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহফুজা আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যেভাবে দেশকে মর্যাদার আসনে উন্নীত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা ফিরিয়ে এনেছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশ পরিচালনায় সর্বক্ষেত্রে সফল। তিনি দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছেন। সারা বিশ্ব অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখছে যে তিনি কিভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করে চলেছেন।

মন্ত্রী করোনা অতিমারীর ধাক্কা সামলে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে গৃহীত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্পর্কে আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন, এ সরকারের বিগত ১৩ বছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ কয়েকগুণ বেড়েছে। প্রায় সোয়াকোটি লোক সরাসরি ভাতা ও প্রায় পাঁচ কোটি লোক পরোক্ষভাবে সেবা পাচ্ছেন। এ খাতের অগ্রগতি ও সাফল্য অব্যাহত রাখতে সকলকে তিনি সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করেন।

সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই সমাজসেবা অধিদপ্তর ও সমাজসেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন ভাতা চালুর মধ্য দিয়ে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন করছেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, বিগত দিনের তুলনায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের কাজ অনেকদূর এগিয়েছে। সকল ভাতাভোগীর হাতে সরাসরি ভাতা পোঁছানোর ব্যবস্থা ডিজিটালাইজড হওয়ায় ভাতাভোগী ও সুবিধাভোগী সাধারণ মানুষ অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন। মধ্যস্বত্বভোগীদের যে দৌরাত্ম্য ছিল তা অনেকখানি লাঘব হয়েছে।

পরে মন্ত্রী ২৩তম জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২২ এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জিটুপি পদ্ধতিতে ভাতা কার্যক্রম বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মাঝে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

#

জাকির/পাশা/সাহেলা/মোশারফ/আব্বাস/২০২২/১৮০৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর :১৯                             

মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল অপসারণে বিশেষ কম্বিং অপারেশন শুরু                   

ঢাকা, ১৮ পৌষ (২ জানুয়ারি):

দেশের মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল অপসারণে বিশেষ কম্বিং অপারেশন শুরু করেছে সরকার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় চলতি বছর ১৭টি জেলায় বেহুন্দী জাল, কারেন্টজালসহ মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী সকল প্রকার অবৈধ জাল অপসারণে ৩০ দিনব্যাপী বিশেষ এ অভিযান পরিচালনা করছে। জাটকা ও সামুদ্রিক মাছের ডিম, লার্ভা ও পোনা রক্ষায় গত ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ থেকে থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান চার ধাপে চলবে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত।

বিশেষ কম্বিং অপারেশনের আওতাভুক্ত ১৭টি জেলা হচ্ছে পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, বরিশাল, নোয়াখালী, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মুন্সীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও চাঁদপুর।

উল্লেখ্য, দি প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ রুলস্, ১৯৮৫ অনুযায়ী সরকার ২০১৩ সালে মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দি জাল, মশারি জাল, চরঘেরা জাল, বেড়/জগৎবেড় জাল, কারেন্ট জাল প্রভৃতি ক্ষতিকারক জালের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এবং ইলিশ আহরণের জালের ফাঁস ৬ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার বা ২ দশমিক ৬ ইঞ্চি নির্ধারণ করেছে। মৎস্যসম্পদের জন্য ক্ষতিকর এসব জালের ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে জাটকাসহ সামুদ্রিক ও উপকূলীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের ডিম, রেণু ও পোনা বিনষ্ট হবে এবং উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়ার পাশাপাশি জলজ জীববৈচিত্র্য নষ্ট হবে। সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধঘোষিত এসব জাল ব্যবহারকারীকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।

#

ইফতেখার/পাশা/সাহেলা/মোশারফ/শামীম/২০২২/ ১৮০৫ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর: ১৮

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে নতুন সচিবের যোগদান

ঢাকা, ১৮ পৌষ (২ জানুয়ারি) :

আজ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে সচিব হিসেবে যোগদান করেছেন মোঃ আবু বকর ছিদ্দীক। আজ সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এ সময় কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের  সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম খানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সচিব কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।

মোঃ আবু বকর ছিদ্দীক আজ বিকালে  ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

উল্লেখ্য যে, মোঃ আবু বকর ছিদ্দীক বিসিএস নবম ব্যাচের দক্ষ কর্মকর্তা। তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি উইং সেতু বিভাগ, সেতু মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া তিনি গভর্নেন্স স্টাডিজে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিষয়ে আন্তজার্তিক ডিপ্লোমা অর্জন করে সিআইপিএস সদস্য লাভ করেন।

#

খায়ের/পাশা/সাহেলা/মোশারফ/আব্বাস/২০২২/১৭৪০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর: ১৭

শীতকালীন সংসদ

2022-01-02-16-48-b174e832394d5b46c83e6717ad77358e.doc