Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ জুলাই ২০২৩

তথ্যবিবরণী ১৭ জুলাই ২০২৩

Handout                                                                                                                   Number: 145

 

Bangladesh Foreign Minister at BIMSTEC Foreign Ministers' Retreat

 

Dhaka, 17 July:

 

Foreign Minister Dr. A K Abdul Momen led Bangladesh delegation to the BIMSTEC Foreign Ministers' Retreat held on 17 July 2023 in Bangkok, Thailand. This is the first ever BIMSTEC Foreign Ministers' Retreat.   

The Retreat was attended by all the Foreign Ministers of BIMSTEC Member States and the Secretary General of BIMSTEC. The Foreign Ministers had an in-depth discussion on strengthening BIMSTEC mechanism as well as exchanged views on regional and global issues of common concern. While discussing on BIMSTEC related issues, they focused on defining concept of external partners, establishing the Eminent Persons’ Group and holding of BIMSTEC Foreign Ministerial retreat on a regular basis. 

Foreign Minister of Bangladesh recalled with great pleasure that the Prime Minister Sheikh Hasina is one of the founding leaders who contributed in establishing BIMSTEC in 1996. Bangladesh supports the concept of external partnership, the establishment of Eminent Persons’ group and hosting of BIMSTEC Foreign Ministers’ Retreat. Bangladesh expressed interest that Bangladesh would be pleased to host the second Foreign Ministers’ Retreat. The Ministers also agreed to hold a special Foreign Ministers’ Retreat every year on the sidelines of the UNGA in New York. 

On regional and global issues of common concern, Bangladesh put forward the proposal of creating an emergency relief fund that may address the contingencies resulting from public health pandemic, natural disasters and humanitarian crisis. Bangladesh Foreign Minister also flagged that BIMSTEC may create institutions similar to ASEAN Humanitarian Assistance Centre (AHA). For post pandemic economic recovery, he stressed on introduction of cross border digital payment system, early conclusion of BIMSTEC Free Trade Agreement, sharing best practices in nursing and tourism and recognition of university degrees etc. He also highlighted the importance of raising common voice from BIMSTEC countries in combatting the adverse impact of climate change in global climate change negotiations. 

He underscored the need of maintaining peace and stability in the BIMSTEC region for sustainability of growth and development. In this context, he called upon the BIMSTEC members for creating enabling environment that would lead to the repatriation of internally displaced Myanmar nationals currently sheltered in Bangladesh. He drew the attention of the members in taking shared position against cross border terrorism, wiping out the menace of drug and human trafficking etc. He shared views on mechanisms for energy security, food security, cyber security in the BIMSTEC region. 

After the successful retreat the BIMSTEC Foreign Ministers jointly called on that Thai premier Prayut Chan-o-Cha at the Government House in Bangkok. On the sideline of the Retreat, he had bilateral meetings with his counterparts from India, Thailand, Myanmar, and Sri Lanka.

                                                    #

 

Mohsin/Pasha/Sanjib/Abbas/2023/1015 Hours

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৪৪

 

তরুণ প্রজন্মকে শিল্পমনস্ক করে গড়ে তুলতে চারুকলা উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে

                                                                    ---সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই) :

 

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, তরুণ প্রজন্মকে শিল্প-সংস্কৃতি মনস্ক করে গড়ে তুলতে চারুকলা উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর্ট বাংলা ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বাংলা চারুকলা উৎসব’ সে ধরনেরই একটি আয়োজন। যারা এ পর্যন্ত চারটি জেলা যথাক্রমে জয়পুরহাট, নীলফামারী, গাজীপুর ও ময়মনসিংহে বাংলা চারুকলা উৎসব আয়োজন করেছে, তারা পর্যায়ক্রমে দেশের সব কয়টি জেলায় এ ধরনের চারুকলা উৎসব আয়োজন করবে-এ প্রত্যাশা করি।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে আর্ট বাংলা ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘৪র্থ বাংলা চারুকলা উৎসব, ময়মনসিংহ ২০২২’-এ নির্মিত শিল্পকর্মের সপ্তাহব্যাপী ঢাকা প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

প্রধান অতিথি বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় শিল্প-সংস্কৃতির নতুন নতুন ও ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে আসছে। একইভাবে বাংলা চারুকলা উৎসব আয়োজনের ক্ষেত্রে আর্ট বাংলা ফাউন্ডেশনকে নিয়মিত সহযোগিতা প্রদান করেছে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীতে সুন্দরবন অধ্যুষিত উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে অনুষ্ঠিতব্য ‘৫ম বাংলা চারুকলা উৎসব’ আয়োজনের ক্ষেত্রে এ পৃষ্ঠপোষকতার পরিমাণ আরো বৃদ্ধি করা হবে। 

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক অধ্যাপক শিল্পী মোস্তাফিজুল হক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি এর ডিএমডি এটিএম তাহমিদুজ্জামান ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আর্ট বাংলা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস ও ৪র্থ বাংলা চারুকলা উৎসব ২০২২, ময়মনসিংহ এর কিউরেটর হারুন অর রশীদ টুটুল। 

 

উল্লেখ্য, গত ২২-২৫ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে আর্ট বাংলা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ৪র্থ বাংলা চারুকলা উৎসব ২০২২, ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে নির্মিত সকল শিল্পকর্মের সমন্বয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সহযোগিতায় ১৭-২২ জুলাই ২০২৩ মেয়াদে এ শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। প্রদর্শনীটি প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

 

                                                    #

 

ফয়সল/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/২০৩০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ১৪৩

কোন শক্তিই নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না

                                                        --- কৃষিমন্ত্রী

রাউজান (চট্টগ্রাম), ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই):

            কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য  ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি দেশে অরাজকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। যে কোন মূল্যে বিএনপির এসব আন্দোলন সন্ত্রাস মোকাবিলা করা হবে। কোন শক্তিই নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।

            আজ চট্টগ্রামের রাউজান সরকারি কলেজ মাঠে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর উদ্যোগে এ বছর একযোগে ৫ লাখ বৃক্ষের চারা বিতরণ ও রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

            মন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছিল, সেটিও বিএনপি মেনে নেয়নি। তারপর থেকে বিগত ১৪ বছর ধরে বিএনপি একই কোরাস গেয়ে চলেছে এবং হরতাল আর আন্দোলন করে যাচ্ছে। সংবিধানের আলোকে নির্বাচন হবে কিন্তু তারা সেটি মানবে না। এখন আবার হরতালের ভয় দেখাচ্ছে।

            মন্ত্রী আরো বলেন,  আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত ও শক্তিশালী দল। বিএনপিকে মোকাবিলা করার শক্তি আওয়ামী লীগের আছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির সন্ত্রাস মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত আছে।

            সংলাপের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আলোচনার আগে বিএনপিকে স্বীকার করতে হবে, তারা নির্বাচনে আসবে, সংবিধানের আলোকেই নির্বাচন হবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবেন, তাহলেই চিন্তা করা যাবে আলোচনার কথা। বিএনপির সঙ্গে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে, তবে সেটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে নয়।

            কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। নির্বাচন বানচালকারীদের আওয়ামী লীগ রাজপথে থেকে মোকাবিলা করবে। কেউ যদি সহিংসতা করে, তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দমন করবে।

            বৃক্ষরোপণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সারা পৃথিবীর মানুষ এখন আতঙ্কগ্রস্ত। বিশ্বের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ, বিজ্ঞানীসহ সকলেই প্রায় সব ফোরামেই পৃথিবী রক্ষায় বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমানোর আহ্বান জানাচ্ছেন, গাছ লাগানোর কথা বলছেন। দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃক্ষরোপণকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ও দেশকে সত্যিকার অর্থে সবুজ-শ্যামল রাখতে হলে আমাদের সবাইকে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে।

            মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর উদ্যোগে একযোগে ৫ লাখ গাছের চারা রোপণ  কর্মযজ্ঞ দেখে আমি সত্যিই অভিভূত। পরিবেশ রক্ষায় এটি একটি মহৎ ও অনন্য উদ্যোগ।

            বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন কৃষি, মৎস্য ও বৃক্ষরোপণ ক্যাটেগরিতে ৫ বার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত স্থানীয় সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। তিনি জানান, এ বছর রাউজান উপজেলায় ৫১ রকমের ফলদ ও বনজ ৫ লাখ গাছের চারা রোপণ করা হবে। এর আগে গত ১০ বছরে ২০ লাখ চারা রোপণ করা হয়েছে।

            অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দর চৌধুরী, পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সামাদ শিকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আব্দুল ওহাব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

#

কামরুল/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৮১০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ১৪২

জি-২০ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া বৈশ্বিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার অংশ হওয়ার এক অনন্য সুযোগ

                                                                                                                          --- অর্থমন্ত্রী

গান্ধীনগর, গুজরাট, ভারত, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই):

          জি-২০ দেশসমূহের অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের দু’দিনের সম্মেলন আজ ভারতের গুজরাটের গান্ধীনগরে শুরু হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারসহ বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছে। জি-২০ জোটে বাংলাদেশ সদস্য নয়। তবে শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক ৫দেশ ভারত সদস্য দেশগুলোর বাইরেও বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের নয়টি দেশকে ‘গেস্ট কান্ট্রি’ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এসব দেশের প্রতিনিধিরা জি-২০ সম্মেলনের বিভিন্ন বৈঠকে অংশ নেবেন। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ‘গেস্ট কান্ট্রি’র মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ।

          অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের শিল্পোন্নত ২০টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত জি-২০ হচ্ছে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক জোট। বৈশ্বিক অর্থনীতির মূল বিষয়সমূহের ওপর আলোচনার জন্য বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে একত্রিত করার উদ্দেশ্যেই এই জোট গঠিত হয়। আয়োজক দেশ ভারত দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশকেই ‘গেস্ট কান্ট্রি’ হিসাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। প্রতিবেশী বন্ধু দেশের কাছ থেকে পাওয়া এ আমন্ত্রণ অবশ্যই আমাদের জন্য অনেক সম্মানের। জি-২০ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া বাংলাদেশের জন্য বৈশ্বিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার অংশ হওয়ার এক অনন্য সুযোগ। আগামী জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনেও ‘গেস্ট কান্ট্রি’ হিসাবে অংশ নেবে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা এই বছরের ৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে।

          অর্থমন্ত্রী সম্মেলনে বাংলাদেশের ধারাবাহিক অগ্রগতি উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে আমাদের জিডিপি ছিল মাত্র ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমাদের জিডিপি এখন ৪৬০ বিলিয়ন ডলার। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী ও দৃঢ় নেতৃত্বে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, ২০৩৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ২৪তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হল ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট উন্নত দেশে পরিণত হওয়া। আশা করা যায় অচিরেই বাংলাদেশ জি-২০ জোটে সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হবে। এবারের জি-২০ সামিটের স্লোগান করা হয়েছে, ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’। বিশ্বব্যাপী যে চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদেরকে অধিকতর সচেতন হতে হবে। এই সংকট নিরসনে অবশ্যই আমাদের সকলকে আন্তরিক হয়ে সমাধান করতে হবে। যেখানে জি-২০ জোটের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

#

 তৌহিদুল/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৮৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                     নম্বর : ১৪১

জাতীয় নির্বাচনের আগে উপনির্বাচনে ভোটার কম হওয়াই স্বাভাবিক

                                                                 --- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই):

            তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের পাঁচ মাস আগে যখন উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সেখানে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়াটাই স্বাভাবিক, বেশি হওয়াটা অস্বাভাবিক।’   

            আজ সচিবালয়ে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকরা ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি অপেক্ষাকৃত কম দেখা যাচ্ছে এমন প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, যে কোনো দেশে যখন উপনির্বাচন হয়, সেখানে ভোটার ‘টার্নআউট’ কম হয়। এটা আমাদের দেশেও সবসময় হয়ে আসছে। আমেরিকায় যদি নির্বাচনের পাঁচ-ছয় মাস আগে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সেখানে অনেক সময় কোনো প্রার্থীই দাঁড়ায় না, অনেক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়।

            ‘আওয়ামী লীগের তুলনায় অন্য দলের প্রার্থীরা শক্তিশালী নয়, ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কম’ এ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সাম্প্রতিক সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে। বিএনপি মানুষকে আহ্বান জানিয়েছিল নির্বাচনে ভোট না দেওয়ার জন্য, এরপরও অনেক জায়গায় ৫০ শতাংশের বেশি ভোট কাস্ট হয়েছে। বিএনপি না আসলে যে জনগণ অংশগ্রহণ করবে না এটি যে ঠিক নয়, সেটি প্রমাণিত হয়েছে। অবশ্যই বিএনপিসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিলে নির্বাচন অনেক শক্তিশালী হয়।’

            ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী আশরাফুল আলম (হিরো আলম) তার এজেন্টকে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো একজন প্রার্থী যদি বলে বসে যে- আমার এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে, সেটা আগে যাচাই করতে হবে, তদন্ত করে নির্বাচন কমিশনকে ‘ভ্যালিডেট’ করতে হবে, বললেই সেটা সত্য নাও হতে পারে।’

            ড. হাছান বলেন, ‘কিছু কিছু প্রার্থী দাঁড়ায় এগুলো বলার এবং প্রচার পাওয়ার জন্য, এগুলো বললে একটু প্রচার হয়। যে সমস্ত প্রার্থী বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে প্রার্থী হয় তাদের উদ্দেশ্য কি নির্বাচিত হওয়া না কি প্রচার পাওয়া, সেটি একটা বড় প্রশ্ন।’

            এনজিও ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন’ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলকে ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’ বলেছে এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নাগরিক বা সুশীল সমাজ অনেক বড়। যারা এ কথা বলেছেন তারা নাগরিক সমাজের ক্ষুদ্র অংশ এবং পুরো সমাজকে প্রতিনিধিত্ব করে না। সুতরাং তাদের বক্তব্য দেশের নাগরিক সমাজের বক্তব্য নয়।’

            মন্ত্রী আরো বলেন, ‘ইইউ প্রতিনিধিদের সাথে আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। কোথাও তত্ত্বাবধায়ক কিংবা নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গ আলোচিত হয় নাই। বর্তমান সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

            সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলো প্রমাণ করে নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত শক্তিশালী এবং সরকারি দলের তোয়াক্কা করে না, উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যদি সরকারকে সমীহ করতো, তাহলে গাইবান্ধা-৫ আসনের পুরো নির্বাচন বাতিল করতো না। আমরা সরকারি দল হিসেবে বলেছি এটা আইন বহির্ভূত। কিন্তু তারা পুরো নির্বাচন বাতিল করেছে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ এবং জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণমূলক ছিল।’ 

বিএনপি বিধ্বংসী কর্মসূচি দিলে আওয়ামী লীগ বসে থাকবে না’

            বিএনপির আগামী কর্মসূচি সহিংসতা বয়ে আনবে কি না এবং একই সময় আওয়ামী লীগের কর্মসূচির ফলে সংঘাত হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি বিদেশি কূটনীতিকদের সাথে দেখা করেছে, বৈঠক করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত স্পষ্টভাবে তাদের বলেছেন যে, হরতাল-অবরোধ এগুলো গণতন্ত্রকে দুর্বল করে। বোধশক্তি থাকলে তারা কোনো বিধ্বংসী কর্মসূচির দিকে যাবে না। আর যদি যায়, তাহলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বসে থাকবে না। আমরাও মাঠে থাকব এবং জনগণকে সাথে নিয়ে সন্ত্রাসী-বিধ্বংসী বা দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করা হবে। আর ক’দিন আগে তো দু’দলই দেড় কিলোমিটার দূরত্বে সমাবেশ করেছে, কিছুই হয়নি। সুতরাং সংঘাতের সম্ভাবনা নাই, যদি বিএনপি মানুষের ওপর হামলা না চালায়।’

#

আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৭৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ১৪০

ডেঙ্গু চিকিৎসা

রাজধানীর ডিএনসিসি হাসপাতালকে ডেডিকেটেড হাসপাতাল ঘোষণা

১৬২৬৩-এ হটলাইন চালু

ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই) :

  ক্রমবর্ধমান ডেঙ্গু রোগীর সেবা নিশ্চিত করতে রাজধানীর মহাখালিতে ৮০০ শয্যাবিশিষ্ট ডিএনসিসি হাসপাতালকে ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সকল সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ ডেঙ্গু কর্নার চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি মেডিকেল কলেজ ও বিশেষায়িত হাসপাতালসমূহে ডেঙ্গু ডেডিকেটেড ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। এর আগে সকল সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু টেস্ট ১০০ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সকল হাসপাতালে চিকিৎসকদের ডেঙ্গু বিষয়ক প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। অধিদপ্তর থেকে ডেঙ্গু জ্বরজনিত মৃত্যু হ্রাসে আপডেটেড ডেঙ্গু চিকিৎসা গাইডলাইন সরবরাহ করা হয়েছে। যার লিংক- https://old.dghs.gov.bd/index.php/en/home/5431-revised-guideline-for-clinical-management-of-dengue।   

এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই তথ্য জানিয়েছে।  

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়,

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে স্বাস্থ্যসেবা পেতে ১৬২৬৩ হটলাইন সেবা চালু রয়েছে।

বদলে গেছে ডেঙ্গুর লক্ষণ :

বিশেষজ্ঞরা সম্প্রতি ডেঙ্গুর লক্ষণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁদের মতে ডেঙ্গুর সাম্প্রতিক লক্ষণগুলো আগে যেমন ছিল, এখন তা পাল্টেছে।

আগে ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো ছিল –

  • শুরুতেই জ্বর আসত; শরীরে ব্যথা; মাথাব্যাথা, চোখের পেছনে ব্যথা; চামড়ায় লালচে দাগ।

সম্প্রতি ডেঙ্গুর লক্ষণগুলোর ক্ষেত্রে - 

  • প্রায় সময় জ্বর আসছে না; প্রাথমিক পর্যায়েই ডায়ারিয়া ও শ্বাসকষ্ট; পেটব্যাথা; বমি; পেটে-বুকে পানি আসা; শরীরে খিঁচুনি।

#

মেহেদী/পরীক্ষিৎ/আসমা/২০২৩/১২৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ১৩৮

রাষ্ট্রপতির কাছে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের পরিচয় পত্র পেশ

ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই):

 রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিনের কাছে  আজ বঙ্গভবনে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন বাংলাদেশে নবনিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলি। 

 নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এবং বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সুইজারল্যান্ড সফরের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে গত পাঁচ বছরে সুইজারল্যান্ড অব্যাহতভাবে সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের বিদ্যমান এ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাণিজ্য বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বে পরিণত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  

 রোহিঙ্গা ইস্যুতে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন,  সুইজারল্যান্ড জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক প্রত্যাবাসনেও চাপ অব্যাহত রাখবে।

 রাষ্ট্রদূত বলেন, সুইজারল্যান্ড ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরে সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অব্যাহত সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। আগামী দিনে দু’দেশের সম্পর্ক বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

 রাষ্ট্রদূত এ সময় নতুন দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

#

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ১৩৯

রাষ্ট্রপতির কাছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের পরিচয় পত্র পেশ

ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই):

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের কাছে পরিচয় পত্র পেশ করেছেন বাংলাদেশে নবনিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক। আজ সকালে বঙ্গভবনে তিনি পরিচয়পত্র পেশ করেন।  

রাষ্ট্রপতি দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে যৌথ উদ্যোগ নিলে উভয় দেশ উপকৃত হবে। রাষ্ট্রপতি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশের ইপিজেডসহ বিভিন্ন খাতে কোরিয়ান বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। রাষ্টপতি বাংলাদেশে বিরাজমান বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের উল্লেখ করে দেশটিকে আরো বিনিয়োগের আহ্বান জানান। 

দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অনেক দক্ষ কর্মী কোরিয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। 

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, তাঁর দেশ বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে গভীরভাবে আগ্রহী। এ লক্ষ্যে তিনি দুদেশের সরকারি-বেসরকারি খাতের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময়ের ওপর জোর দেন। বাংলাদেশের জনশক্তির দক্ষতার প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। 

রাষ্ট্রদূত এ সময় বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।   

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

#

রাহাত/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/রাসেল/মাহমুদা/শামীম/২০২৩/১১১৪ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ১৩৭                                                                                                                                                                                               

২৩ জুলাই শুরু হচ্ছে ‘ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ২০২৩’

ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই) :    

আগামী ২৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে ‘ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ২০২৩’। দেশে চতুর্থবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে এই প্রতিযোগিতা। তিন দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতা শেষ হবে ২৫ জুলাই। সমাপনী দিনে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে পুরস্কার বিতরণীর মধ্যে দিয়ে প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। উক্ত অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ২০২৩’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার, ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ এবং ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের সমন্বয়ক হাবীবুল্লাহ এন করিম।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সময়ে ডাটা জালিয়াতি, প্রতারণা ও হ্যাকারদের মোকাবেলায় ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, এই অলিম্পিয়াড ব্লকচেইন ব্যবহার সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এবারের প্রতিযোগিতায় ১১৮টি দল নিবন্ধন করে, যাদের মধ্যে থেকে ৪০টি দলকে চূড়ান্ত পর্বে মনোনীত করা হয়। এদের মধ্যে থেকে ‘হোয়াইট পেপার’ মুল্যায়নের মাধ্যমে চারটি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।

এছাড়াও তিন দিনের এই আয়োজনে অনলাইনে চারটি সেমিনারের আয়োজন করা হবে যেখানে দেশি বিদেশি বক্তারা অংশ নেবেন।

#

শহিদুল/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/রাসেল/মাহমুদা/আসমা/২০২৩/১৩৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ১৩৬

পবিত্র আশুরার তারিখ নির্ধারণের লক্ষ্যে আগামীকাল জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা

ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই) :

       ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা এবং পবিত্র আশুরার তারিখ নির্ধারণের লক্ষ্যে আগামীকাল ১৮ জুলাই সন্ধ্যা ৭ টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান।

      বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা নিম্নোক্ত টেলিফোন ও ফ্যাক্স নাম্বারে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।

টেলিফোন নাম্বার : ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭, ফ্যাক্স নাম্বার : ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১।

#

শায়লা শারমীন/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/রাসেল/কামাল/ ১৪৪০ ঘণ্টা   

2023-07-17-16-21-9b50bd99ab88f687a026d72ad3620193.docx