Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ অক্টোবর ২০২৪

তথ্যবিবরণী ১৭ অক্টোবর ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                           নম্বর: ১৩২৫   

চট্টগ্রাম ও সিলেটের বিভিন্ন আদালতে ৪৫৪ জন  সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ

ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর):  

চট্টগ্রাম ও সিলেটের বিভিন্ন আদালতে ৪৫৪ জন সরকারি আইন কর্মকর্তা যথা সরকারি কৌঁসুলি (জিপি), অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি, সহকারী সরকারি কৌঁসুলি,  পাবলিক প্রসিকিউটর  (পিপি), অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর, বিশেষ প্রসিকিউটর ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ৪৫৪ জনের  মধ্যে ৩৫১ জনকে চট্টগ্রামে এবং ১০৩ জনকে সিলেটের আদালতসমূহে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

          গতকাল আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের   সলিসিটর উইং থেকে এ সম্পর্কিত দুটি নিয়োগ আদেশ জারি করা  হয়। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

উপ সলিসিটর (জিপি-পিপি) সানা মো. মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত পৃথক নিয়োগ  আদেশে বলা হয়, বর্ণিত দুটি জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং এদের অধীন আদালতসমূহ, বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত এবং বিভিন্ন পর্যায়ের ট্রাইব্যুনালে পূর্বে নিয়োগকৃত সকল আইন কর্মকর্তার নিয়োগাদেশ বাতিলক্রমে তাদেরকে স্ব স্ব পদের দায়িত্ব হতে অব্যাহতি প্রদানপূর্বক নতুন নিয়োগ  আদেশের ছকে বর্ণিত আইনজীবীগণকে তাঁদের পেশাগত দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও সততা সম্পর্কে স্ব-স্ব জেলার জেলা ও দায়রা জজ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট-এর প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ৪৯২ ধারা এবং  দ্য লিগ্যাল রিমেমব্রেন্সার্স ম্যানুয়াল,১৯৬০ এর ২ নং অধ্যায়ের ১নং অনুচ্ছেদের বিধি ৯ ও ৬ নং অনুচ্ছেদের বিধি ১৭ এর বিধান  মতে তাঁদের নামের বিপরীতে উল্লেখকৃত পদে সাময়িকভাবে নিয়োগ দেয়া হলো।

#

রেজাউল/ফাতেমা/রবি/আলী/মানসুরা/২০২৪/১৬১০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                             নম্বরঃ ১৩২৪         

ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়ায় নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক জি-২০

মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টার অংশগ্রহণ

ব্রাসিলিয়া (ব্রাজিল), (১৭ অক্টোবর):       

           ব্রাজিলের জি-২০ প্রেসিডেন্সির আমন্ত্রণে সম্প্রতি মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়ায় অনুষ্ঠিত নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক জি-২০ মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় বাংলাদেশের  প্রতিনিধিত্ব করেন। এসময় ব্রাজিলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুন্নেসা এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব দিলারা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

                   মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় উপদেষ্টা মুরশিদ এমন একটি বিশ্ব তৈরির জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ বৈশ্বিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানান যেখানে মহিলা ও শিশুরা সহিংসতা, বৈষম্য এবং সামাজিক প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্ত হতে পারে। তিনি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে ন্যায়বিচার ও অর্থবহ পরিবর্তনের পক্ষে উল্লেখ করে তরুণদের কণ্ঠকে প্রসারিত করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টায় নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব ও দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।

                   উপদেষ্টা মুরশিদ বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য জি-২০ ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্সির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জি-২০ এর নারী ক্ষমতায়ন ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রতি দেশটির দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি উদ্ভাবনী ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসায়িক মডেলের মাধ্যমে লিঙ্গ সমতা এবং অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি প্রচারে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরেন। তিনি বিশ্বব্যাপী মহিলা ও শিশুরা যে অনন্য চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হচ্ছেন তা মোকাবিলায় জরুরি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর জোর দেন। অহিংসা ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান এবং আইনের শাসনের মতো সর্বজনীন মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখার জন্য তিনি সকলকে আহ্বান জানান।

                   সফরকালে উপদেষ্টা মুরশিদ বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সাথে বেশ কয়েকটি হাই-প্রোফাইল বৈঠক করেন। তিনি ব্রাজিলের ফার্স্ট লেডি জানজা লুলা দা সিলভা এবং নারী বিষয়ক মন্ত্রী সিডা গনসালভেসের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তিনি নারীর ক্ষমতায়নে সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া, দক্ষিণ আফ্রিকার মন্ত্রী লিডিয়া সিন্ডিসিওয়ে চিকুঙ্গার সাথে একটি ফলপ্রসূ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে উভয় নেতা দক্ষিণ আফ্রিকার আসন্ন রাষ্ট্রপতির অধীনে জি-২০ নারী ক্ষমতায়ন ওয়ার্কিং গ্রুপে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশনার ফর ইকুয়ালিটি হেলেনা ডালির সাথেও সাক্ষাৎ করেন। তাদের কথোপকথন সামাজিক ব্যবসায়িক উদ্যোগের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অগ্রণী কাজের ওপর আলোকপাত করেন।

                   অন্যদিকে ইউএস অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ ফর গ্লোবাল উইমেনস ইস্যু, গীতা রাও গুপ্তাও উপদেষ্টা মুর্শিদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এসময় রাষ্ট্রদূত গুপ্তা বাংলাদেশের সংস্কার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের সাথে অব্যাহত সহযোগিতার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

#

রফিকুল/ফাতেমা/রবি/আলী/লিখন/২০২৪/১৫৪৬ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                           নম্বর: ১৩২৩  

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর):  

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।

বাংলাদেশে নবনিযুক্ত বেলারুশ ও এস্তোনিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত এবং উগান্ডার অনাবাসিক হাইকমিশনার আজ রাষ্ট্রপতির নিকট তাঁদের পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।

বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের গার্ড অব অনার প্রদান করে। প্রথমে বেলারুশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মিখাইল কাসকো (Mikhail KASKO) পরিচয়পত্র পেশ করেন। এরপর এস্তোনিয়ার রাষ্ট্রদূত মারি লুপ (Marje LUUP) এবং সবশেষে উগান্ডার নবনিযুক্ত হাইকমিশনার জয়েস কাকুরামাতসি কিকাফানদো (JOYCE KAKURAMATSI KIKAFUNDA) রাষ্ট্রপতির নিকট পরিচয়পত্র পেশ করেন।

নতুন রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, বেলারুশ, এস্তোনিয়া ও উগান্ডাসহ বিশ্বের সকল দেশের সাথেই দ্বিপাক্ষিক ও পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, ফার্মাসিউটিক্যালস, সিরামিকস ও চামড়াজাত পণ্যসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদন করে। বাংলাদেশ থেকে এসব পণ্যের আমদানি বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে কূটনীতিকদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি এসব দেশের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি এলক্ষ্যে বেলারুশ, এস্তোনিয়া ও উগান্ডার সাথে দ্বিপাক্ষিক সরকারি ও বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। 

রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকরা বাংলাদেশের অর্থনীতি ও পরিবেশের জন্য একটি মারাত্মক সমস্যা। তিনি রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করেন।

সাক্ষাৎকালে হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতগণ বাংলাদেশ ও নিজ দেশের জনগণের উন্নত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে কাজ করার আগ্রহের কথা জানান। এছাড়া, বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্পর্ক এগিয়ে নিতেও তারা কাজ করবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তারা দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা  কামনা করেন ।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এবং সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।      

#

রাহাত/ফাতেমা/রবি/আলী/মানসুরা/২০২৪/১৪৫৫ ঘণ্টা

2024-10-17-10-40-f22f55be2b4621bf08857373a4e015fd.docx