Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ অক্টোবর ২০২২

তথ্যবিবরণী ৬ অক্টোবর ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ৪০৩৩

 

ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক হিসেবে কাজ করছে ইন্টারনেট

                                             - টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

 

 

ঢাকা , ২১ আশ্বিন (৬ অক্টোবর) :

          ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্র্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাইজেশনের ফলে বাংলাদেশের অভাবনীয় রূপান্তর হয়েছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিল্প, বাণিজ্য ও সরকারি সেবা ইত্যাদি ক্ষেত্রে আজকের এই রূপান্তরে ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক হিসেবে কাজ করেছে ইন্টারনেট। তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনগণের দোরগোড়ায় উচ্চগতির ইন্টারনেট আমরা পৌঁছে দিচ্ছি। পাশাপাশি দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকায় মোবাইলে ফোর-জি সেবা পৌঁছে দেয়া হয়েছে, একদেশ একরেটসহ ব্যয় সাশ্রয়ী করা হয়েছে ব্যান্ডউইডথের মূল্য। ২০০৮ সালে ২৭ হাজার টাকা প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইডথের মূল্য ক্ষেত্র বিশেষে মাত্র ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে মন্ত্রী এ সময় উল্লেখ করেন।

          মন্ত্রী আজ ঢাকায় আগারগাঁওয়ে ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টর সপ্তাহ উপলক্ষ্যে এসোসিয়েশন অভ্‌ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ এন্ড মিউচুয়াল ফান্ডস আয়োজিত ‘রোল অভ্‌ টেকনোলজি এন্ড ইএসজি এনালাইটিকস ইন সাসটেইনেবল ফিন্যান্সিং’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

          টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, মানুষ হচ্ছে আমাদের সম্পদ। উদ্ভাবনে দেশ যত সমৃদ্ধ হবে আমরা তত বেশি সমৃদ্ধ হবো। আমাদের এখন উদ্ভাবনে যেতেই হবে। এক সময় যারা শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছে তারাও এখন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। অতীতের তিনটি শিল্প বিল্পবে অংশগ্রহণ না করতে পারলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির হাত ধরে বাংলাদেশ তার বিপুল তরুণ জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রোবটিক্স, আইওটি, বিগডাটা, ব্লকচেইন ইত্যাদি নতুন প্রযুক্তি প্রসারের ফলে আগামী দিনগুলোতে প্রচলিত ধারার শিল্প-বাণিজ্য পাল্টে যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রচলিত ধারার পরিবর্তনের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তিকে আলিঙ্গন করতেই হবে।

          ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, এমন একটা সময় আসবে যখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ছাড়া শেয়ার ব্যবসা করার বিষয়টি মানুষ চিন্তাও করতে পারবে না। ডাটা এনালাইসিস করে জানা যাবে কোন শেয়ারের দাম কখন বাড়বে কিংবা কমবে। সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনকে ডাটা হাব হিসেবে গড়ে তুলতে হবে বলেও মন্ত্রী এ সময় উল্লেখ করেন।

          এসোসিয়েসন অভ্‌ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ এন্ড মিউচুয়াল ফান্ডস’র সভাপতি ড. হাসান ইমামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএসইসি কমিশনার ড. রুমানা ইসলাম, মোঃ আবদুল হালিম ও ড. মিজানুর রহমান বক্তৃতা করেন।

          পরে মন্ত্রী ফিতা কেটে স্টেপ ইএসজি এনালিটিকস উদ্বোধন করেন।

#

শেফায়েত/রাহাত/মোশারফ/শামীম/২০২২/১৯১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ৪০৩২

 

গত একযুগে দেশে ইলিশ আহরণ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে

                               -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

 

 

ঢাকা , ২১ আশ্বিন (৬ অক্টোবর) :

          গত একযুগে দেশে ইলিশ আহরণ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
শ ম রেজাউল করিম।

          আজ সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২২ বাস্তবায়ন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী একথা জানান।

          এ সময় মন্ত্রী বলেন, ইলিশের উৎপাদনে একসময় খারাপ অবস্থা হয়েছিল। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা, ইলিশ সমৃদ্ধির জন্য সুনির্দিষ্ট গবেষণা ও বর্তমান সরকারের গৃহীত ব্যবস্থাপনায় ইলিশের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে গত ১২ বছরে ইলিশ আহরণ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ইলিশের উৎপাদন ক্রমান্বয়ে এমনভাবে বৃদ্ধি পাবে যে প্রান্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে সকল মানুষ ইলিশের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবে।

          মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরো বলেন, সরকারের কঠোর ব্যবস্থাপনা, ইলিশের জন্য অভয়াশ্রম তৈরি, মা ইলিশ ধরতে না দেওয়া, জাটকা আহরণ বন্ধ রাখা এবং ইলিশ যেখানে ডিম দেয় সে জায়গায় উপযোগী পরিবেশ রক্ষার ফলে ইলিশের উৎপাদন এভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইলিশ আহরণ বন্ধ রাখাকালে ইলিশ আহরণে সম্পৃক্ত মৎস্যজীবীদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেজন্য তাদের সরকার চাল দেয়, বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সহযোগিতা দেয়। মা ইলিশ আহরণে বিরত থাকা মৎস্যজীবীদের অতীতে পরিবার প্রতি ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হতো। এ বছর এটি ২৫ কেজিতে উন্নীত করা হয়েছে। ক্রমান্বয়ে এর পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে।

          মন্ত্রী আরো যোগ করেন, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে কেউ মাছ আহরণ করে কী না সেটা বিমানবাহিনীর মাধ্যমে আকাশপথে মনিটর করা হবে। নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তর সম্মিলিতভাবে কাজ করবে। মা ইলিশ ধরা বন্ধ রাখতে কোথাও কোথাও বরফকল বন্ধ রাখা হবে। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার সময় যারা আইন অমান্য করবে তাদের তাৎক্ষণিক সাজা প্রদানে মোবাইল কোর্টের ব্যবস্থা থাকবে।

          সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ইলিশ বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, চলতি বছর এ পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৩৫২ মেট্রিক টন। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। এই মুহূর্তে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি না পেলে আমরা রপ্তানি করে এ বৈদেশিক মুদ্রা আনতে পারতাম না।

          এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার অথবা অন্য কোনো দেশের কেউ এসে আমাদের ভৌগলিক এলাকায় মৎস্য আহরণের কোনো সুযোগ নেই। যদি কেউ এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে চায় আমরা তাদের গ্রেফতার করবো। এ ব্যাপারে আমরা কঠোরভাবে নজরদারি করছি।

          মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব মোঃ আব্দুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

          উল্লেখ্য, প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে আগামী ৭ হতে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

#

ইফতেখার/রাহাত/মোশারফ/শামীম/২০২২/১৭২০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৪০৩১

 

বেসরকারি হাসপাতালের জন্য ফি নির্ধারণ করার কাজ হাতে নেয়া হয়েছে

                                                                         -- স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২১ আশ্বিন (৬ অক্টোবর) :

 

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘দেশের বেসরকারি মেডিকেল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর একেকটির জন্য একেক রকম ফি থাকায় দেশের মানুষের চিকিৎসার ব্যয়ভার বেড়ে গেছে। এক হাসপাতালে ফি ১০ হাজার টাকা হলে, অন্য হাসপাতালে বিল ওঠে ৫০ হাজার বা ১ লাখ টাকা। এতে দেশের সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটি চলতে পারে না। এবার আমরা বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে ভাগ করে দিচ্ছি। মান অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালগুলো এ, বি, সি ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হবে। যে হাসপাতালের যে সক্ষমতা আছে সেই সক্ষমতার বাইরে ঐ হাসপাতাল চিকিৎসা দিতে পারবে না। যে হাসপাতালের সিজার করার বা হার্টের চিকিৎসা করার যন্ত্রপাতি নাই সে হাসপাতাল ঐ চিকিৎসা দেয়া মানেই রোগীর জীবন সংকটাপন্ন করা। এজন্যই হাসপাতালগুলোকে চিকিৎসা সেবার মান অনুযায়ী শ্রেণিভুক্তকরণসহ সঠিক ফি নির্ধারণ করে দিতে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করা হয়েছে।’

 

আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিদের সাথে বেসরকারি হাসপাতালের ফি নির্ধারণী সভায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

 

এর আগে সকালে অন্য একটি বৈঠকে দেশের স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধির উপর জোর দিতে সভায় উপস্থিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তাগিদ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সভায় স্কুল-কলেজের স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির কথাও বলেন মন্ত্রী। স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েদের জন্য প্রাইমারি হেলথ কেয়ার গাইড তৈরি করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় উল্লেখ করেন।

 

মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের গ্রামাঞ্চলের পল্লী চিকিৎসকরা যত্রতত্র এবং অপ্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক বা গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ লিখে গ্রামের সাধারণ মানুষের ক্ষতি করছেন। কোনো রকম সরকারি অনুমোদন না নিয়েই গ্রামে অগণিত চিকিৎসক তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এটি এভাবে চলতে থাকলে চিকিৎসার পরিবর্তে ভুল চিকিৎসায় ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশঙ্কাই বেশি থাকবে। তাই অবিলম্বে সরকারি নিবন্ধন ছাড়া ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করার পাশাপাশি সরকারি অনুমোদন ও সার্টিফিকেটবিহীন গ্রাম্য চিকিৎসকদের চিকিৎসা প্রদান বন্ধ করে দেয়া হবে।

 

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরসহ বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজের প্রতিনিধিবর্গ ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

 

 

#

 

মাইদুল/রাহাত/মোশারফ/লিখন/২০২২/১৭৩৯ ঘন্টা
 

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ৪০৩০

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ২১ আশ্বিন (৬ অক্টোবর) : 

 

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪১০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এ সময় ৩ হাজার ৮১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।  

 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ১ জন মৃত্যুবরণ করেছে। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৩৭৫ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫৩ জন।

 

 

কবীর/রাহাত/মোশারফ/আব্বাস/২০২২/১৭১১ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর :৪০২৯

 

অসুস্থ মানুষদের প্রতি সরকারের সহায়তা অব্যাহত থাকবে

                                                                             -- পরিবেশমন্ত্রী

 

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) ২১ আশ্বিন (৬ অক্টোবর) :

 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, অসুস্থ মানুষদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। এ সরকার অসুস্থ, বিধবা, বয়স্ক, স্বামী পরিত্যক্তা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ সমাজের অন্যান্য অসহায় মানুষদের যেভাবে ভাতা প্রদান করছে তা অন্য কোনো সরকার চিন্তা করেনি।

 

আজ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের মাঝে আর্থিক সহায়তা ও ক্যাপিটেশন গ্রান্টপ্রাপ্ত এতিমখানার মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সরকারের নিয়মিত সহায়তা প্রদান কর্মসূচি ছাড়াও  প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে অসহায় মানুষদের বিশেষ সহায়তা প্রদান অব্যাহত আছে। মন্ত্রী এসময় তাঁর অনুরোধে বিভিন্ন  অসহায় মানুষদের জনপ্রতি ১ লাখ, ২ লাখ, ৫ লাখ টাকা করে সহায়তা প্রদানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে কেউই অর্থাভাবে চিকিৎসা বঞ্চিত থাকবে না।

 

বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুনজিত কুমার চন্দের সভাপতিত্বে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বড়লেখা  উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ এবং  উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

 

অনুষ্ঠানে বড়লেখার অসুস্থ ৯ জনকে ৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তার চেক এবং ক্যাপিটেশন গ্রান্টপ্রাপ্ত ২ টি এতিমখানার মাঝে ৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়।

 

#

 

দীপংকর/রাহাত/মোশারফ/লিখন/২০২২/১৭৩৫ ঘন্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৪০২৮

প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্যাপক কার্যক্রম চলছে

                          -সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

ঢাকা, ২১ আশ্বিন (৬ অক্টোবর) :

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ  বলেছেন,  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে কাজ করছে।  প্রতিবন্ধীদের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক আকারে কার্যক্রম চলছে।

মন্ত্রী আজ রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সুবর্ণ ভবন মিলনায়তনে নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা (এনডিডি) ট্রাস্ট কর্তৃক বিশ্ব সেরিব্রাল পালসি অটিজম দিবস -২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে  ভার্চুয়ালি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেছেন।

এনডিডি ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শাহ আলমের সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু ও এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন প্রফেসর ডাঃ মোঃ গোলাম রব্বানী।

মন্ত্রী বলেন,  দেশে যখন একটি শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে, তখন মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী চক্র বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে তা ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে। জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখাত এই মুষ্টিমেয় স্বাধীনতাবিরোধীরা কখনই সফল হতে পারবেনা।

মন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের জন্য গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু সংবিধানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকারের বিষয় সন্নিবেশিত করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরকে উন্নয়নের মূলস্রোতে নিয়ে এসেছেন। সেরিব্রাল পালসি প্রতিবন্ধীর বিষয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য মন্ত্রী সকলকে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধীতাকে একসময় অভিশাপ মনে করার কুসংস্কার ছিল। প্রাকৃতিক কারণে একজন ব্যক্তি প্রতিবন্ধী হতে পারেন। সবাইকে তাদের পাশে থাকতে হবে।

পরে সেরিব্রাল পালসি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের হাতে অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়।

#

জাকির/পরীক্ষিৎ/মেহেদী/রবি/মানসুরা/২০২২/১৪৪৫ ঘন্টা

2022-10-06-14-37-e5bf0fe164b47ab8f99784feae6b34ce.docx