তথ্যবিবরণী নম্বর ː ৪৩০১
পঞ্চপল্লীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন ধর্মমন্ত্রী
মধুখালী (ফরিদপুর), ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল):
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান। পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মন্দিরটিতে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিমায় আগুন লাগানোর সন্দেহে সহোদর দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে।
আজ দুপুরে মন্ত্রী এই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি মন্দির দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত একজন নারী, পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন।
এর আগে মন্ত্রী একই উপজেলার চোপেরঘাট গ্রামে এই ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে যান। তিনি সেখানে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন এবং তাদেরকে সমবেদনা জানান। তিনি এই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আশ্বাস দেন। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মৃতের পরিবারকে ২ লাখ টাকা সহায়তা দেন মন্ত্রী। পরে তিনি নিহতদের কবর জিয়ারত করেন। এসময় মন্ত্রীর সাথে মন্ত্রণালয়ের সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার, জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলমসহ ধর্ম মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে ধর্মমন্ত্রী বিকাল সাড়ে ৪টায় ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সামাজিক-সম্প্রীতি রক্ষা কমিটির বিশেষ সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় মন্ত্রী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ আয়োজনের ওপর জোর দেন।
#
আবুবকর/পাশা/মোশারফ/শামীম/২০২৪/২২৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৩০০
সন্ত্রাসী অপরাধে গ্রেফতারদেরও নিজেদের কর্মী দাবি করছে বিএনপি
-- পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল):
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, বাংলাদেশে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই-রাহাজানিসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অপরাধে গ্রেফতার হয়। বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ও রিজভী সাহেবরা গ্রেপ্তারের যে হিসাব দিচ্ছেন, তাতে মনে হচ্ছে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে যুক্ত যারা প্রতিদিন গ্রেফতার হচ্ছে, পুলিশের খাতায় যারা অপরাধী, তাদেরকে বিএনপির কর্মী বলে দাবি করছে। বিএনপি নেতাদের কথায় সেটাই মনে হচ্ছে।
আজ সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে চিটাগাং উইমেন চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত ১৪তম আন্তর্জাতিক উইমেন এসএমই এক্সপো’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন।
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, বিএনপি’র কোনো নেতা কিংবা কর্মীর বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা দেয়া হয় না। তাদের বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো হয়েছে, সেগুলো গাড়ি পোড়ানো, পুলিশ এবং জনগণের ওপর হামলাসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মামলা। এই সমস্ত মামলায় তারা গ্রেফতার হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা বিচারাধীন আছে।
সরকার চোরাবালিতে দাঁড়িয়ে আছে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, আমরা চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে আছি, এটা গত ১৫ বছর ধরে শুনতে পাচ্ছি। চোরাবালিটা এত শক্ত যে, তাদেরকে আরো বহু বছর অপেক্ষা করতে হবে।
বিএনপি নিজের দলটাকে টিকিয়ে রাখার জন্য গতানুগতিক কিছু কর্মসূচি পালন করে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গাড়ি যখন বসে যায় তখন সেটির ব্যাটারি মাঝেমধ্যে স্টার্টে রাখতে হয়। বিএনপিও পুরনো গাড়ির মতো বসে গেছে। বসে যাওয়াতে তারা গাড়ি স্টার্টে রাখার জন্য মাঝেমধ্যে দলটাকে স্টার্ট দেয় এবং সেজন্য কিছু গতানুগতিক কর্মসূচি পালন করে।
এর আগে ১৪তম আন্তর্জাতিক উইম্যান এসএমই এক্সপো’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামের সন্তান ড. হাছান নিয়মিত এ আয়োজনের জন্য চিটাগাং উইমেন চেম্বারের প্রশংসা করেন। চেম্বারের সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলীর সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, শামীমা হারুন লুবনা এমপি প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অতিথিদের সাথে নিয়ে মন্ত্রী এক্সপো'র বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
#
আকরাম/পাশা/সায়েম/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪২৯৯
নারীকে স্বাধীনভাবে বাঁচতে হলে ক্ষমতায়ন দরকার
-- সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল):
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নারীকে স্বাধীনভাবে বাঁচতে হলে ক্ষমতায়ন দরকার।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অপরাজিতা নেটওয়ার্ক আয়োজিত জাতীয় অপরাজিতা সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নারীর পথ চলা সহজ নয়। তথাকথিত উন্নত দেশগুলোর নারীরা একই সমস্যায় আছে। নারীর ক্ষমতায়নের জন্য শিক্ষা ও দক্ষতার প্রয়োজন, ফলে নারীরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করবে এবং তারা প্রকৃত ক্ষমতায়িত হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, নারীর পথ চলা যদি খুব সহজ সাবলীল করতে হয়, তার পথ চলা যদি স্বাধীন করতে হয়, তেমন এক জায়গায় যদি নিতে হয়, তাহলে ক্ষমতায়ন দরকার এবং তার জন্য দরকার শিক্ষা, দক্ষতা ও স্বাধীন চেতনা। পাশাপাশি তার নিজের জীবন নিয়ে ও পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারা এবং সেগুলো বাস্তবায়নের সক্ষমতাও তৈরি করতে হয়।
সম্মেলনে তৃণমূল পর্যায়ের ৩০০ জনের অধিক নারীনেত্রী, ৩০ জন নারীবান্ধব চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ বাস্তবায়ন সংস্থাসমূহের নির্বাহী পরিচালকগণ, সুইজারল্যাল্ড দূতাবাসের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সাবিনা ইয়াসমিন লুবনা, হেলভিটাস বাংলাদেশের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ, অপরাজিতা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী চার সংস্থা প্রিপ ট্রাস্ট, খান ফাউন্ডেশন, রূপান্তর ও ডেমক্রেসিওয়াচের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অপরাজিতাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখা, পুরুষ ও পরিবারের সদস্য দ্বারা অপরাজিতাদের নির্বাচন ও রাজনীতিতে অংশগ্রহণে উৎসাহ প্রদানের জন ৭২ জন নারী ও পুরুষকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
#
জাকির/পাশা/সায়েম/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৯৮
চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর
---বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল):
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার মধ্যে দ্রুত সমন্বয় করা হচ্ছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অভ্যন্তরীণ ত্রুটি মেরামত করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রাথমিক জ্বালানি নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিঃ (এপিএসসিএল) পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এই গরমে বিদ্যুতের চাহিদা ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট হতে পারে। এই চাহিদা পূরণ করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। একটিই চ্যালেঞ্জ অর্থ। তিনি এসময় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, কোথাও কোনো সঞ্চালন বা বিতরণে সমস্যা থাকলে তা যেন দ্রুত কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।
আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিঃ একটি সরকারি মালিকানাধীন পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি এবং বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পাওয়ার হাব। এর ৬টি ইউনিটের বর্তমান মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৫৮৪ মেগাওয়াট। আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিঃ এর লক্ষ্য আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বর্তমান ১ হাজার ৫৮৪ মেগাওয়াট থেকে ৩ হাজার ৩০২ মেগাওয়াট-এ উন্নীত করা। এপিএসসিএল সমাজের দায়বদ্ধতার স্থান থেকে Corporate Social Responsibility নীতি গ্রহণ করে আসছে। ২০২২-২৩ সময়কালে, এপিএসসিএল CSR কার্যক্রমের জন্য ০ দশমিক ৩৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও এপিএসসিএল গত বছর বেশ কিছু বড় ভূমিকা পালন করেছে।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অভ্ বাংলাদেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম গাউছ মহীউদ্দিন আহমেদ, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদ একরাম উল্লা ও এটুআই (এসপায়ার টু ইনোভেট) কার্যক্রমের পলিসি এডভাইজার আনীর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
#
আসলাম/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/মোশারফ/আব্বাস/২০২৪/২১১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর ː ৪২৯৭
সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের রাজনীতি করতে চাই
-- অর্থ প্রতিমন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল):
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা আমাদের উন্নয়নের রাজনীতি শিখিয়েছেন। সাধারণ মানুষের কল্যাণে দেশের উন্নয়ন চলমান। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার জন্য যে নিরলস পরিশ্রম করছেন, তাতে সবাইকে যুক্ত হতে হবে। প্রতিটি কাজের সঠিক বাস্তবায়ন জনগণকে পাহারা দিতে হবে। কেননা, সরকারের অর্থ জনগণের অর্থ।
আজ চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলায় ঈদ পুনর্মিলনী ও বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদ, আনোয়ারা আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার প্রয়াত পিতা আতাউর রহমান খান কায়সার মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, ’৭৫ পরবর্তী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং কখনোই দেশ থেকে পালিয়ে যান নাই। তিনি সবসময়ই দেশে ছিলেন এবং জনগণের পাশে থেকেছেন। আমাদের আদর্শের শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা সবাই মিলে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতি করতে চাই। ভেদাভেদ ভুলে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে অগ্রগতি এবং এগিয়ে চলা, তার সাথে আমরা আমাদের আনোয়ারা-কর্ণফুলীকেও এগিয়ে নিয়ে যাবো। আমি আমার শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত আপানদের সেবা করে যাবো।
ঈদ পুনর্মিলনী ও বর্ষবরণ উদযাপন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরী এবং আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মোজাম্মেল বক্তৃতা করেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমি মঞ্চে ও এখানে আপনাদের মাঝে আমার প্রয়াত পিতার অনেক সহকর্মীকে দেখছি। মনে হচ্ছে, আমি আপনাদের মাঝে আমি আমার বাবাকে খুঁজে পাচ্ছি। আপনারা দোয়া করবেন যেন, আপনাদের জন্য কাজ করে যেতে পারি।
#
আলমগীর/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/২০৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর ː ৪২৯৬
শান্তিচুক্তির পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে অসামান্য পরিবর্তন ঘটেছে
--- পার্বত্য সচিব
ঢাকা, ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল):
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে কয়েক দশকের সংঘাতের অবসান ঘটেছে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জনগণকে এ দেশের উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন স্পষ্টতই পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির পর থেকে এ অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে অসামান্য পরিবর্তন ঘটেছে।
আজ জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য সূত্রের বরাতে জানা যায়, জাতিসংঘ সদর দপ্তরে চলমান আদিবাসী সংক্রান্ত জাতিসংঘের স্থায়ী ফোরামের ২৩তম অধিবেশনে ঐতিহাসিক ‘পার্বত্য শান্তিচুক্তি’ বাস্তবায়ন এবং ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ও অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও বিকাশে সরকারের গৃহীত কার্যক্রম ও অগ্রগতি বিষয়ক চিত্র বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব।
জাতিসংঘের স্থায়ী এ ফোরামে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আরো বলেছেন, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শান্তি চুক্তির ধারাগুলো বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। মোট ৭২টি ধারার মধ্যে ইতোমধ্যে ৬৫টি ধারা সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনটি আংশিকভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। চারটি ধারা বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
সরকার আইন প্রণয়ন করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি, ভাষা ও ঐতিহ্য, রক্ষা ও প্রচারের জন্য বিশেষায়িত সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছে। পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের মধ্যে তাদের নিজ নিজ ভাষায় বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক নিয়মিতভাবে বিতরণ করা হচ্ছে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির সরকারি চাকরি ও সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য পাঁচ শতাংশ হারে কোটা সংরক্ষিত আছে। বর্তমানে জাতীয় সংসদে চারজন ও মন্ত্রিসভায় একজন ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর সদস্য রয়েছেন বলেও মশিউর রহমান উল্লেখ করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আমরা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করার জন্য সকলে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশের উন্নয়নের মূলধারার সঙ্গে পার্বত্যবাসীর উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান দেশের জনগণের মধ্যে ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ ভেদ বা জন্মস্থান নির্বিশেষে সম-অধিকার দিয়েছে।
এছাড়া তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা, ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ডিজিটাল ভূমি জরিপ ও ব্যবস্থাপনা উদ্যোগসহ অত্র অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়ন সাধনে সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপ সম্পর্কে ফোরামকে অবহিত করেন। তিনটি পার্বত্য জেলায় তিনজন প্রথাগত সার্কেল চিফ নানাবিধ প্রশাসনিক ও আইনি কর্তৃত্ব ভোগ করেন এবং প্রতিটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী থেকে নির্বাচিত হন বলেও উল্লেখ করেন পার্বত্য সচিব। তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সঙ্গে পরামর্শ করে সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে। জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি সংস্থা ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী এ অঞ্চলে উন্নয়ন কার্যক্রমের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ১৫-২৬ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত দুই সপ্তাহব্যাপী আদিবাসী সংক্রান্ত জাতিসংঘের স্থায়ী ফোরামের ২৩তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেছে। প্রতিনিধি দলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিলুর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমাসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্থায়ী মিশনের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের আওতায় আদিবাসী সংক্রান্ত স্থায়ী ফোরাম বিশ্বব্যাপী আদিবাসীদের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কাজ করে থাকে।
#
রেজুয়ান/পাশা/সায়েম/মোশারফ/শামীম/২০২৪/২০২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪২৯৫
সাংবাদিকতার জন্য চমৎকার পরিবেশ তৈরি এবং তথ্য প্রবাহ অবারিত করতে চাই
-- তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল):
সাংবাদিকতার জন্য চমৎকার পরিবেশ তৈরি এবং তথ্য প্রবাহ অবারিত করতে চান বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী এসময় বলেন, সাংবাদিকতার জন্য একটি চমৎকার পরিবেশ তৈরি করতে চাই আমরা বাংলাদেশে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্ম নেয়া ও স্বাধীন হওয়া দেশ বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার মুক্ত গণমাধ্যম, সাংবাদিকতার একটি চমৎকার পরিবেশ এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। এর জন্য যা যা উপকরণ লাগে সে বিষয়গুলো আমরা নিশ্চিত করতে চাই এবং তার মধ্য দিয়ে আমরা বিশ্বাস করি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তি যারা তারাই উপকৃত হবেন। যারা উগ্রবাদ-জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী এবং মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরুদ্ধে যাদের অবস্থান, তারাই মিথ্যা অপপ্রচার এবং অপতথ্যের ওপর ভর করে তাদের অপরাজনীতি করে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা তথ্য প্রবাহ অবারিত করতে চাই। সঠিক তথ্য দেওয়ার বিষয়গুলোকে আমরা জবাবদিহির আওতায় আনতে চাই এবং তথ্য অধিকার আইন যেটি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই সংসদে পাস হয়েছে, সেই তথ্য পাওয়ার অধিকার, আইনগতভাবে যেটি নিশ্চিত করা হয়েছে সেটিকে বাস্তবেও আমরা আরো বেশি নিশ্চিত করতে চাই। এ ক্ষেত্রে শুধু আইন করলেই হবে না, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক রূপান্তর করতে হবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে তথ্য অধিকার আইনকে আরো সুদৃঢ় করার এবং তথ্য কমিশনকে আরো শক্তিশালী ও কার্যকর করার বিষয়টি আমরা ভাবছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে বার্তাটি সরকার দিতে চায়, তথ্য যদি চাওয়া হয়, তথ্য দিতে হবে এবং দায়িত্বপ্রাপ্তরা সরকারের পক্ষ থেকে, জনগণের পক্ষ থেকে দায়িত্বভার নিয়ে কাজ করছে। কাজেই জনগণের যেসব তথ্য জানার অধিকার আছে, সেসব তথ্য দেওয়ার বিষয় আমাদের জন্য বাধ্যতামূলক, এ চিন্তাটা জাগ্রত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকার তথ্য দিতে চায়, কারণ যদি তথ্য না থাকে তখনই অপপ্রচারের সুযোগ তৈরি হয়।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, যারা সাংবাদিকতা পেশায় আছেন এবং অর্থনৈতিকভাবে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়ে যান, তাদের সরকারিভাবে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট্রের মাধ্যমে সহযোগিতার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের উদ্দেশ্য সাংবাদিকতা থাকবে, গণমাধ্যম থাকবে, মুক্তবুদ্ধির চর্চা হবে, মুক্ত সাংবাদিকতা থাকবে। সরকার ও কর্তৃপক্ষের ভুল-ভ্রান্তি থাকলে, ব্যর্থতা থাকলে তার সমালোচনাও হবে।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, অসত্য তথ্যের মাধ্যমে যে অপপ্রচার করা হয়, সেগুলো সরকার ও সাংবাদিকরা একসাথে মিলে প্রতিরোধ করতে হবে। কারণ তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং গঠনমূলক সমালোচনা যেমন গণতন্ত্রের জন্য, একটি দেশ ও সমাজ এগিয়ে যাওয়ার জন্য অপরিহার্য, একইভাবে তথ্যের বিপরীতে অপতথ্য সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। যে কারণে সম্মিলিতভাবে আমাদের একটি দায় আছে, কীভাবে আমরা অপতথ্য রোধ করতে পারি এবং কীভাবে তথ্যের অবাধ প্রবাহ আমরা সুনিশ্চিত করতে পারি।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, অপতথ্যকে আমাদের রোধ করতে হবে, কিন্ত অপতথ্য রোধ করতে গিয়ে আমরা তথ্যের অবাধ প্রবাহ বা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জায়গা সংকুচিত করতে চাই না। এ জায়গার সুন্দর ভারসাম্য করাটা খুবই জরুরি যে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের স্বার্থে মুক্তবুদ্ধির চর্চা এবং গণমাাধ্যমের স্বাধীনতার জায়গা অপরিবর্তিত রেখে কীভাবে আমরা অপতথ্য রোধ করতে পারি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন একই কথা বলে যে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতায় একধরনের শৃঙ্খলা আনা দরকার। সাংবাদিকতার মধ্যে যারা পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে অপসাংবাদিকতা করেন তারা আসল সাংবাদিকতাকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেন। এ বিষয়টি সাংবাদিকদের পক্ষ থেকেই কিন্তু আসে। কাজেই এখানেও এক ধরনের শৃঙ্খলা আনার জন্য অপনাদের সাথে পরামর্শ করে কাজ করে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ গণতন্ত্র, মানবাধিকার, মুক্তবুদ্ধির চর্চা, মুক্ত গণমাধ্যম এবং একইসাথে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। এ সবকিছু আমাদের স্বাধীনতার চেতনার অংশ এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার এ সবকিছু নিশ্চিত করতে চায়, সুরক্ষা দিতে চায়। কিন্তু এ সমাজে একটি অপশক্তি আছে যারা বাংলাদেশকে, এ দেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি। তারা বাংলাদেশের সংজ্ঞা বদলে দিতে চায়। আমরা ’৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে সংজ্ঞা তৈরি করেছিলাম, ত্রিশ লাখ শহিদের ত্যাগ, জীবনদান, লাখ লাখ নারীর সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করে আমরা যে সংজ্ঞা তৈরি করেছিলাম, একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের একটি দেশ ও সমাজ, তার বিপরীতে তারা একটি অন্ধকারের সমাজ তৈরি করতে চায়, একটি জঙ্গিবাদ-মৌলবাদের সমাজ তৈরি করতে চায়। এই অন্ধকারের অপশক্তির সাথে আমাদের নিরন্তর লড়াই। গণতন্ত্রের শত্রু যারা, স্বাধীনতার বিরুদ্ধের শত্রু যারা, সমাজের অপশক্তি যারা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই আমাদের চালিয়ে রাখতে হবে। এ লড়াইয়ে সাংবাদিকরা সরকারকে সহযোগিতা করবেন।
গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রসঙ্গে এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইনটি পর্যালোচনা করার জন্য সবগুলো সাংবাদিক সংগঠন থেকে দুজন প্রতিনিধি নিয়ে সেল তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ সেলের সদস্যদের আলাপ-আলোচনার পর তাদের বক্তব্য নিয়ে এটি চূড়ান্ত করা হবে। তারপর দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে নিয়ে পরবর্তীতে সংসদে পাস করা হবে।
পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন প্রতিমন্ত্রী।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ।
#
ইফতেখার/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর ː ৪২৯৪
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। এ সময় ২৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৯৪ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৩০২ জন।
#
দাউদ/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৮৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৯৩
নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে
---মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল):
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ বিজয়ের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এই অর্জনকে অর্থবহ করতে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকার কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অভ্ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে প্রজন্ম ৭০ বাংলাদেশ এর প্রজন্ম সম্মেলন ও তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ১৯৪৮-’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা, ’৬৯-এর এগারো দফা ও গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠে। তিনি বলেন, ’৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমগ্র পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানিরা বাঙালি জাতিকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে দেয়নি।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা অনুধাবন করেন, স্বাধীনতা অর্জন ছাড়া বাঙালি জাতির ওপর অত্যাচার, নির্যাতন ও বঞ্চনার অবসান হবে না। তাই তিনি ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন, চলতে থাকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি। তিনি আরো বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ কালরাতে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালির ওপর গণহত্যা শুরু করে। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ, নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার এবং তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ই ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।
মন্ত্রী আরো বলেন, সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন একটি শোষণ-বঞ্চনামুক্ত অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ‘সোনার বাংলা’ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার পর থেমে যায় বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা। শুরু হয় হত্