তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৪
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাংলার আবহমান ঐতিহ্য
-- স্পিকার
ঢাকা, ১৯ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি) :
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ সম্প্রীতি বাংলার আবহমান ঐতিহ্য। সুপ্রাচীনকাল থেকে এদেশে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধ একসাথে বসবাস করে আসছে এবং সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রতিপালন করে আসছে।
তিনি আজ ঢাকায় রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সারস্বোৎসব সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত ‘সারস্বোৎসব’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
স্পিকার বলেন, স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৭১ সালে এ দেশের হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ মাতৃকাকে স্বাধীন করেছে। তিনি বলেন, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য আমাদেরকে ঐতিহ্যের বন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছে।
স্পিকার আরো বলেন, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এদেশের মানুষ সকল ধর্মের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। তিনি সকলকে এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধরে রাখার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, হুইপ ইকবালুর রহিম, সাধন চন্দ্র মজুমদার, মো. সোহরাব উদ্দিন এবং পংকজ নাথ অংশগ্রহণ করেন। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. আবদুর রব হাওলাদার এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।
পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
#
কামাল/মাহমুদ/আলী/সেলিম/২০১৭/২২০০ঘণ্টা
Handout Number : 333
Foreign Minister calls on Palestinian President
Dhaka, 1 February :
Foreign Minister Abul Hassan Mahmood Ali paid a courtesy call on the visiting Palestinian President Mahmoud Abbas at the Hotel Le Meridien this evening and welcomed him to Bangladesh.
During the meeting, Foreign Minister assured that Bangladesh will continue its support for the cause of Palestine and expand bilateral cooperation in depth and dimensions in future. The Minister reaffirmed the continuation of scholarships offered to Palestinian students for studying medical and other disciplines as well as training opportunities to the Palestinian armed forces officials in Bangladesh. During the meeting both sides hoped that the visit will be successful.
#
Khaleda/Mahmud/Sanjib/Joynul/2017/2035hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩২
খুলনায় আইসিইউ এবং পস্ন্লাস্টিক এন্ড বার্ন ইউনিট উদ্বোধন করলেন স্বাস'্যমন্ত্রী
খুলনা, ১৯ মাঘ (১ ফেব্রম্নয়ারি):
শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালকে অনতিবিলম্বে ইনস্টিটিউটে পরিণত করা হবে। চলতি বছরের মধ্যে নেয়া হবে ২৫০ শয্যা চালুর উদ্যোগ। করা হবে গবেষণার ব্যবস'া।
স্বাস'্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আজ খুলনায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ১০ শয্যাবিশিষ্ট আইসিইউ এবং ২০ শয্যাবিশিষ্ট প্লস্নাস্টিক এন্ড বার্ন ইউনিটের উদ্বোধন শেষে হাসপাতাল মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব উদ্যোগের কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, এ হাসপাতালের উন্নয়নে ইতোমধ্যে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে এর কাজ অবশ্যই সমাপ্ত করতে হবে। হাসপাতালের উন্নয়নে তাঁর পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার তা করা হবে। হাসপাতালে ১৫টি ডায়াগনস্টিক মেশিন প্রদান এবং দ্রম্নত চিকিৎসক সংকট দূর করা হবে। এছাড়া ডাক্তার ও রোগীদের সুরক্ষায় আইন করা হবে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. বিধান চন্দ্র গোস্বামীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারম্ননুর রশিদ, সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, তালুকদার আবদুল খালেক, মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ও পঞ্চানন বিশ্বাস, খুলনা বিএমএ‘র সভাপতি ডা. শেখ বাহারম্নল আলম এবং খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ বক্তব্য রাখেন। স্বাস'্য অধিদপ্তরের পরিচালক আবুল কাশেম মো. সাইদুর রহমান, খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমূল আহসান, খুলনা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম আবদুর রাজ্জাক সহ স্বাস'্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা এ সময় উপসি'ত ছিলেন।
এর আগে সকালে মন্ত্রী খুলনা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি হাসপাতালের ১৩টি জরাজীর্ণ ভবন অপসারণপূর্বক বহুতল বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবন নির্মাণ এবং সিভিল সার্জনের কার্যালয় নির্মাণের জন্য ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দেন।
পরে তিনি তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে খুলনা বিভাগের সিভিল সার্জন এবং জেলার টিএইচও, বিএমএ, স্বাচিপসহ মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ও স্বাস'্য বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
#
জাকির/মাহমুদ/আলী/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩১
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে ই-ফাইলিং শুরম্ন
ঢাকা, ১৯ মাঘ (১ ফেব্রম্নয়ারি):
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে আজ থেকে ই-ফাইলিং কার্যক্রম শুরম্ন হয়েছে। একজন সাধারণ নাগরিকের একটি আবেদনে নির্দেশনাসহ শাখায় প্রেরণ এবং একটি নথিতে নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উলস্না খন্দকার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই কর্মসূচি ই-ফাইলিং কার্যক্রমের প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করছে।
এ উপলড়্গে মন্ত্রণালয়ের সভাকড়্গে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণপূর্ত সচিব বলেন, ই-ফাইলিং ব্যবস'ায় জনগণ দ্রম্নত সেবা পাবে। এ পদ্ধতিতে কাজের গতিশীলতা আসবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। জনগণ তার কাজের বিষয়ে আবেদনের অবস'ান, অগ্রগতি ইত্যাদি সম্পর্কে অনলাইনে জানতে পারবে। নথি হারিয়ে যাওয়ার ফলে জনগণের যে হয়রানি হতো, ই-ফাইলিং ব্যবস'ায় তাও বন্ধ হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের লড়্গ্য হলো জনগণকে সেবা প্রদানে গতিশীলতা আনা এবং জ্ঞাননির্ভর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তোলা। এ লড়্গ্যে তথ্যপ্রযুক্তি সেবাকে ইউনিয়ন পর্যনত্ম সম্প্রসারণ করা হয়েছে। প্রযুক্তি উদ্ভাবনের সাথে সাথে বিশ্বব্যাপী এক প্রতিযোগিতা চলছে। এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশও শামিল হয়েছে এবং এগিয়ে যাচ্ছে।
উলেস্নখ্য, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আবাসন পরিদপ্তরের সরকারি বাসা ছাড়ার অনাপত্তি সনদ অনলাইনে দেওয়ার ব্যবস'া অনেক আগেই চালু হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য সংস'াও বিভিন্ন কার্যক্রমে অনলাইন সেবা ব্যবস'া চালু করেছে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আখতার হোসেন, এস এম আরিফ-উর-রহমান, মো. আবুল কাশেম এবং ড. মো. আফজাল হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপসি'ত ছিলেন।
#
কিবরিয়া/মাহমুদ/আলী/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩০
লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের সদস্য পদে তাফাজ্জল হোসেনের শপথ গ্রহণ
ঢাকা, ১৯ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি) :
আজ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর অফিস কক্ষে লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের ৩নং সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে নব নির্বাচিত মো. তাফাজ্জল হোসেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জানুয়ারি দেশের ৮টি বিভাগের ৬১টি জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ১ হাজার ১ শত ৬৯ জন সদস্যের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
#
জাকির/মাহমুদ/আলী/জয়নুল/২০১৭/১৮১০ঘণ্টাতথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৯
সফটওয়্যার শিল্প ভবিষ্যতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বড় ভূমিকা রাখবে
-- স্পিকার
ঢাকা, ১৯ মাঘ (১ ফেব্রম্নয়ারি):
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সফটওয়্যার রপ্তানি একটি উদীয়মান সম্ভাবনাময় খাত। রপ্তানির পাশাপাশি দেশে এর অধিকতর ব্যবহার আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে।
তিনি আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আনত্মর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অভ্ সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত সফট এক্সপো-২০১৭ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে একথা বলেন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশে সফটওয়্যার শিল্পের বিকাশ অত্যনত্ম তাৎপর্যপূর্ণ। ভবিষ্যতে এই খাত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে আরো বড় ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, শুধু প্রাতিষ্ঠানিক নয়, ব্যক্তিগত উদ্যোগেও অনেক তরম্নণ আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আয় করছে। তারা প্রচলিত ধারার চাকরি না খুঁজে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। তিনি তরম্নণ প্রজন্মের শিক্ষার্থী ও নারীদের এই সফটওয়্যার খাতে আরো সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপের মাধ্যমেও সফটওয়্যার শিল্পের আরো উন্নয়ন সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, বেসিস নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সফটওয়্যার তৈরি ও বিপণনে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। বেসিসের এ ধরনের আয়োজন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি ও স'ানীয় বাজারে সফটওয়্যার খাতের চাহিদা মেটাতে ভূমিকা রাখবে।
বেসিসের সভাপতি মোসত্মফা জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোসত্মফা কামাল এবং তথ্য যোগযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বেসিস সফট এক্সপো-২০১৭ এর আহ্বায়ক সৈয়দ আলমাস কবীর ও মাইক্রোসফট বাংলাদেশ এর ব্যবস'াপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবীর বক্তৃতা করেন।
পরে স্পিকার ৪ দিনব্যাপী বেসিস সফট এক্সপো-২০১৭ উদ্বোধন করেন।
#
কামাল/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৮
প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনে প্রস্তুতিমূলক সভা
ঢাকা, ১৯ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি) :
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬ এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬ এর প্রস্তুতিমূলক সভা আজ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান। অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম খান, মোঃ গিয়াস উদ্দিন আহম্মদ, মোঃ আকরাম আল হোসেন ও বেগম হোসনে আরা এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ দপ্তরসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট বাদল রায় ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু নায়েম সোহাগ।
টুর্নামেন্ট দু’টি সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সার্বিক বিষয় নিয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সারাদেশের ৬৫ হাজার বিদ্যালয় টুর্নামেন্ট দু’টিতে অংশগ্রহণ করে আসছে।
#
রবীন্দ্রনাথ/মাহমুদ/জসীম/জয়নুল/২০১৭/১৭৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৭
ই-নাইন ফোরামের মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা
ঢাকা, ১৯ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি) :
আগামী ৫-৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ই-নাইন ফোরামের মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে এক সভা আজ ঢাকায় ব্যানবেইস ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ই-নাইন মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ সম্মেলনকে সফল করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। তিনি সম্মেলন সফল করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ই-নাইন দেশগুলো বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করে। এসডিজি বাস্তবায়নের প্রেক্ষাপটে এ সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সম্মেলনের মাধ্যমে ই-নাইন ফোরামের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীর, ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদ ও রুহী রহমান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিপ্তরের মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, সেভ দ্য চিল্ড্রেনের সিনিয়র এডুকেশন এডভাইজার ম হাবিবুর রহমান এবং মন্ত্রণালয় ও ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
#
আফরাজুর/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৭৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৬
ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রধান তথ্য অফিসার
ঢাকা, ১৯ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি ) :
ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন আজ প্রধান তথ্য অফিসার হিসেবে তথ্য অধিদফতরে যোগদান করেন।
তিনি বিসিএস ১৯৮৪ নিয়মিত ব্যাচের একজন কর্মকর্তা। এর আগে তিনি জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী ছিলেন। চাকুরি জীবনে তিনি সরকারের বিভিন্ন দফতরে কর্মকর্তা হিসেবে সততা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত প্রধান তথ্য অফিসারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দুই কন্যা সন্তানের জনক।
উল্লেখ্য কর্মজীবন শেষ করায় আজ তথ্য অধিদফতরে সাবেক প্রধান তথ্য অফিসার এ কে এম শামীম চৌধুরীকে সংবর্ধনা ও ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করা হয়।
#
অনসূয়া/দীপংকর/শামীম/২০১৭/১৬০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২২
নরসিংদী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে এলজিআরডি মন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ১৯ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি ) :
স্থানীয় সরকার, পল্ল¬ী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন নরসিংদী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. আসাদোজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আজ এক শোকবাণীতে মন্ত্রী বলেন, অ্যাডভোকেট মো. আসাদোজ্জামানের মৃত্যুতে জাতি একজন নিবেদিত প্রাণ আইনজীবি, সমাজ সেবক ও দেশপ্রেমিককে হারালো। প্রবীণ এ রাজনীতিক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে রাজনীতির অঙ্গনে উজ্জ্বল ভূমিকা রেখে গেছেন। তাঁর অবদান এলাকাবাসী চিরদিন স্মরণ রাখবে। তিনি মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
উল্লেখ্য, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মো. আসাদোজ্জামান আজ নরসিংদী জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি.......রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। মৃত্যুকালে স্ত্রী ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
#
জাকির/অনসূয়া/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৫১১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৫
১১-১৭ মার্চ ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৭’ পালিত হবে
ঢাকা, ১৯ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি) :
সরকার আগামী ১১ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৭’ পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আজ ইলিশসম্পদ সংরক্ষণ সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে, এ সপ্তাহ উপলক্ষে ১১ মার্চ মৎস্যভবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী সংবাদসম্মেলন করবেন। এছাড়া পটুয়ালখালীর কলাপাড়ায় বর্ণাঢ্য র্যালি ও জনসভা এবং মৎস্যবাজারসমূহে সপ্তাহব্যাপী ঝটিকা অভিযান চালানো হবে।
সভায় আরো জানানো হয়, ইলিশের জাটকা নিধনরোধে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ সারাদেশে প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক ওয়ার্কশপ এবং সপ্তাহের শেষদিন সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে। সভায় জাটকা সংরক্ষণের স্বার্থে তেতুলিয়ায় একটি র্যাবের ক্যাম্প স্থাপনেরও সিদ্ধান্ত হয়।
উল্লেখ্য, এবছরের শ্লোগান নির্ধারণ করা হয় ‘জাটকা ইলিশ ধরবো না, দেশের ক্ষতি করবো না’।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হকের সভাপতিত্বে জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, মৎস্যজীবী সমিতিসহ কমিটির অন্যান্য প্রতিনিধি এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
শাহ আলম/অনসূয়া/নুসরাত/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১৫৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৪
হালদা নদী এবং সাভারের চামড়া শিল্পনগরীর দূষণরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ
ঢাকা, ১৯ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি) :
চট্টগ্রামের হালদা নদীর দূষণরোধ এবং সাভারের চামড়া শিল্পনগরীর দূষণরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজ নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীসহ ঢাকার চারপাশে নদীগুলোর দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত ‘টাস্কফোর্স’ এর ৩৪তম সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সভায় জানানো হয়, সাভারে এ পর্যন্ত ৪৩ টি বড় ধরণের ট্যানারি শিল্প স্থানান্তরিত হয়েছে। নদী তীরে ধর্মীয় স্থাপনা বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের সাথে বৈঠকের ব্যবস্থা করা হবে। নদী রক্ষা বিষয়ে গৃহীত কার্যক্রম গণমাধ্যমে প্রচার, জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও অবৈধ স্থাপনা বন্ধে নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
সভায় জানানো হয়, নদীর সীমানা ও তীরভূমি নিয়ে জটিলতা নিরসনকল্পে জরিপ অধিদপ্তর থেকে নকশা তুলে জেলা প্রশাসকদের সরবরাহ করার লক্ষ্যে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের জন্য নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রেখেছে। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও মানিকগঞ্জের জন্য ২ হাজার ৫ শত ৮৬ টি সি এস জরিপ ম্যাপ এবং ২ হাজার ৭৩ টি আর এস জরিপ ম্যাপ সংগ্রহ করা হবে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, নদী বন্দর এলাকায় নদীর ফোরসোর এর লিজ মানি বিআইডব্লিউটিএ ছাড়া অন্য কারো কাছ থেকে নেয়া যাবেনা।
এছাড়া সভায় পুনঃজরিপের কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নদীর দু’তীরে সকল প্রকার স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার ওপর জোর দেয়া হয়। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরভূমিতে স্থাপিত ১৩ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও পুনরায় উদ্ধারে গুরুত্বারোপ করা হয়।
নৌপরিবহণ মন্ত্রী ও টাস্কফোর্স এর সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেনসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
#
জাহাঙ্গীর/অনসূয়া/শহিদ/রেজ্জাকুল/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১৫৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২০
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠা দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৯ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি ) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-এর প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-এর ৪২তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আমি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
বাংলাদেশ পুলিশ দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে এ বাহিনীর সদস্যদের আত্মত্যাগ কেবল পুলিশ বাহিনীকে নয়, গোটা দেশবাসীকে গৌরবান্বিত করেছে। পুলিশবাহিনীর সদস্যরাই প্রথম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ কালরাতে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস্ এ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধে অংশ নেন। মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশবাহিনীর অনেক সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমি তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি জানাই সমবেদনা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক ধর্মীয় জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বাহিনীর পেশাদারিত্ব ও সাহসী ভূমিকা দেশ-বিদেশে সুনাম কুড়িয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনেও ডিএমপি দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন, সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। ভবিষ্যতে রাজধানীবাসীকে প্রত্যাশিত সেবা প্রদানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাদের নিরন্তর প্রয়াস অব্যাহত রাখবে Ñএটাই আমার প্রত্যাশা।
গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও উন্নয়ন পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি মানুষের মৌলিক অধিকার সমুন্নত রাখতে পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের এ গতিকে ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশ পুলিশ যথাযথ ভূমিকা পালন করবে-দেশবাসী তা প্রত্যাশা করে।
আমি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/অনসূয়া/শহিদ/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৪৪৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২১
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠাদিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৯ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠাদিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৪২তম প্রতিষ্ঠাদিবস উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্যকে আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালেরর ২৫শে মার্চের কালরাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে সূচিত হয়েছিল মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ। অকুতোভয় পুলিশ সদস্যরা সেদিন দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য অকাতরে আত্মোৎসর্গ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান হয়ে পুলিশবাহিনীর সদস্যগণ আজও দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করছেন। আমি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদ পুলিশ সদস্যসহ বিভিন্ন সময়ে নিহত পুলিশ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মহানগরীর শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা, সন্ত্রাস ও অপরাধ দমন এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয় উৎসব, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলন, ধর্মীয় ও ক্রীড়ানুষ্ঠানসহ আর্থসামাজিক কর্মকা- নির্বিঘেœ সম্পাদনের লক্ষ্যেও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব আজ সর্বজনবিদিত।
নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে আধুনিক সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধি করা হয়েছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসী আক্রমণ প্রতিরোধে দক্ষ জনবল সংবলিত বিশেষায়িত ইউনিট গঠন করা হয়েছে। এ জন্য মোবাইল কমান্ড সেন্টার, মোবাইল ওয়াচ টাওয়ার, মোবাইল অ্যাপ্স, বোমা নিস্ক্রিয়কারী রোবট ইত্যাদি আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে। অধিকতর জনসেবার লক্ষ্যে ভবিষ্যতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে আরো যুগোপযোগী ও সেবাধর্মী সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
জনবান্ধব পুলিশি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে হতে হবে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন। সেবা প্রত্যাশীদের সর্বোত্তম আইনগত সহায়তা দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জনে হতে হবে নিষ্ঠাবান সেবক।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মানবিক মূল্যবোধ, দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতার সমন্বয় ঘটিয়ে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে-এ আমার প্রত্যাশা।
আমি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৪২তম প্রতিষ্ঠাদিবস উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নজরুল/অনসূয়া/শহিদ/রফিকুল/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৭/১১৩০ ঘণ্টা