Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তথ্যবিবরণী ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর: ৯৪৫

 

বড় প্রকল্পের পরিবর্তে সাশ্রয়ী ও দ্রুতসময়ে বাস্তবায়ন যোগ্য প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে

                                                                         -বিদ্যুৎ উপদেষ্টা

 

ঢাকা, ৪ আশ্বিন (১৯ সেপ্টেম্বর):

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বড় প্রকল্পের পরিবর্তে ছোটো ছোটো প্রকল্পের মাধ্যমে স্বল্প খরচে দ্রুততম সময়ে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে সরকার। তিনি নবায়নযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

আজ উপদেষ্টার সাথে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার (Martin Raiser)-এর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদলের বৈঠকে উপদেষ্টা এসব কথা জানান।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট-সহ প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর স্বল্প সময়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জন্য যে সকল কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

বাংলাদেশ সফররত বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রথমেই উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানকে সরকারের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং বর্তমান সরকারের সাথে আন্তরিকভাবে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। তিনি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বাজেট সহায়তার ব্যাপারে আশ্বাস দেন, উপদেষ্টার গৃহীত পদক্ষেপসমূহের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে কম মূল্যে জ্বালানি ক্রয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।

সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ এহছানুল হক, বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান, রেলপথ মন্ত্রণালয় সচিব আবদুল বাকী এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোঃ নূরুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

#

শফি/আকরাম/রানা/রফিকুল/শামীম/২০২৪/২০১০ঘণ্টা

 

 

Handout                                                                                                                 Number: 944

No new brick kiln, illegal 3,491 to shut down

                                 ---Environmental Advisor

Dhaka, 19 September:   

Syeda Rizwana Hasan, Advisor to the Ministry of Environment, Forest, and Climate Change has announced that no new permits will be issued for brick kilns to prevent air pollution caused by them. Furthermore, 3,491 brick kilns operating without environmental clearance will be shut down.

 

The Advisor made these remarks during a meeting held on Thursday at the Secretariat, where officials from the Department of Environment and leaders of the Bangladesh Brick Manufacturing Owners Association (BBMOA) were present. The discussion focused on eco-friendly brick production, modernization of kilns, and reducing carbon emissions.

 

Syeda Rizwana Hasan expressed deep concern over the environmental impact of brick kilns, stating that constructing buildings is not enough if we cannot ensure a livable environment for future generations. She further added that air pollution is reducing the average life expectancy by 5-7 years. Hence, no brick kiln will be allowed to operate without a license and environmental clearance. She also emphasized strict action against corruption within the Department of Environment.

 

BBMOA leaders highlighted the challenges faced by the brick kiln industry and proposed adopting eco-friendly technologies. They urged government support in encouraging the use of green technology in kilns and submitted a memorandum to the Advisor.

 

Earlier, Syeda Rizwana Hasan provided guidance to senior officials during a special meeting at the Ministry to ensure the successful implementation of ongoing projects.

                                                         #

Dipankar/Akram/Rana/Sanjib/Abbas/2024/1849 Hours  

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর: ৯৪৩

 

 

নতুন কোনো ইটভাটার অনুমতি নয়, ৩ হাজার ৪৯১ অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা হবে

                                                                         ---পরিবেশ উপদেষ্টা

 

ঢাকা, ৪ আশ্বিন (১৯ সেপ্টেম্বর):

 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, ইটভাটা জনিত বায়ুদূষণ রোধে আর কোনো নতুন ইটভাটার ছাড়পত্র দেয়া হবে না। পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন ৩ হাজার ৪৯১টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হবে।

 

আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স এসোসিয়েশন (বিবিএমওএ)-এর নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। সভায় পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদন, ইটভাটার আধুনিকায়ন এবং কার্বন নিঃসারণ কমানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

 

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ইটভাটার পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, শুধু ভবন নির্মাণই যথেষ্ট নয়, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বায়ুদূষণের কারণে মানুষের গড় আয়ু ৫-৭ বছর কমে যাচ্ছে। তাই, লাইসেন্স এবং ছাড়পত্র ছাড়া কোনো ইটভাটা পরিচালনা করা যাবে না। তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান।

 

বিবিএমওএ-এর নেতৃবৃন্দ ইটভাটা শিল্পের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি গ্রহণের প্রস্তাব দেন। ইটভাটায় সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহার উৎসাহিত করতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন এবং উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেন।

 

সভায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিবিএমওএ-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খান-সহ কেন্দ্রীয় এবং বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

 

এর আগে, উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সভায় বিভিন্ন কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দেন।

 

                                                       #

দীপংকর/আকরাম/রানা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/১৮১৩ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ৯৪২

 

টেলিভিশন চ্যানেলে স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য

সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়া

 

ঢাকা,  ৪ আশ্বিন (১৯ সেপ্টেম্বর):

 

          সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেল-সহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিম্নোক্ত বার্তাটি স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য অনুরোধ করা হলো :     

 

মূলবার্তা:

নতুন কোনো ইটভাটার অনুমতি নয়, ৩ হাজার ৪৯১ অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা হবে’ - পরিবেশ উপদেষ্টা  

 

#

 

দীপংকর/আকরাম/রানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/১৭৩৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর: ৯৪১

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ৪ আশ্বিন (১৯ সেপ্টেম্বর):

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ সময় ৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শতকরা ৩ দশমিক ২৩ শতাংশ।

          গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৯৯ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৯ হাজার ১০৪ জন।

#

দাউদ/আকরাম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/১৭২০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                       নম্বর : ৯৪০

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াতের নির্দেশে বেনাপোল বন্দর পরিদর্শনে তদন্ত কমিটি গঠন

ঢাকা, ৪ আশ্বিন (১৯ সেপ্টেম্বর) :

          আজ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে বেনাপোল স্থলবন্দরের সার্বিক পরিস্থিতি এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শনের কাজ করছে তদন্ত কমিটি। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মুহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের এ তদন্ত কমিটিকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। 

          উপদেষ্টা বলেন, চলমান বেনাপোল স্থলবন্দরের কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের কাজের মান যাচাই ও বন্দরের সার্বিক বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া, বন্দরগুলোর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় কাজ করছে মন্ত্রণালয়।

          উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেশের বন্দর কার্যক্রম ও প্রকল্পের কাজের মান নিয়ে অভিযোগ করা হলে তা নৌপরিবহন উপদেষ্টার দৃষ্টিগোচর হয় এবং তার প্রেক্ষিতে তিনি একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন।

#

আসিফ/ফাতেমা/সুবর্ণা/কলি/আলী/আসমা/২০২৪/১৫৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর: ৯৩৯

পুলিশকে জনবান্ধব ফোর্সে রূপান্তরের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

ঢাকা, ৪ আশ্বিন (১৯ সেপ্টেম্বর):

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) পুলিশকে জনবান্ধব ফোর্সে রূপান্তরের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন। শুধু কাগজে কলমে নয়, জনসেবা ও কাজের মাধ্যমে পুলিশকে বাস্তবিকভাবেই জনবান্ধব প্রমাণ করতে হবে। এর জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন তাদের মন-মানসিকতার পরিবর্তন। তাদেরকে উজ্জীবিত হয়ে জনসেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। এর মাধ্যমে পুলিশের গৌরবোজ্জ্বল ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার সম্ভব। 

উপদেষ্টা আজ রাজধানীর রমনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) হেডকোয়ার্টারের সম্মেলন কক্ষে ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। 

উপদেষ্টা বলেন, সাধারণ মানুষ যেন তাদের সকল কাজকর্মে স্বস্তি পায়। তারা যেন কোনো হেনস্তার শিকার না হয়- সে লক্ষ্যে পুলিশকে কাজ করতে হবে। তদন্ত ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। নিজেদের পরিচয় প্রদান ব্যতীত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে না।

বিদ্যমান প্রেক্ষাপটে পুলিশ অযাচিতভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যে কাউকে মামলা দিচ্ছে না উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এখন যারা মামলা দিচ্ছে তারা সাধারণ জনগণ। দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ও বঞ্চনার শিকার হয়ে অনেকে মামলা দিচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে এগুলো কমে যাবে। এছাড়া, জনগণকে বোঝাতে হবে তারা যেন প্রকৃত অপরাধীদের ধরিয়ে দেন এবং নিরপরাধ কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হয়।

মব জাস্টিসের বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইন নিজেদের হাতে তুলে নেয়ার অধিকার কারো নেই। কেউ অন্যায় করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করুন, অন্যথায় নয়।

          ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান এনডিসির সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. ময়নুল ইসলাম এনডিসি। সভায় ডিএমপির বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।


#

ফয়সল/ফাতেমা/আলী/মাসুম/২০২৪/১৪৪৪ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                               নম্বর : ৯৩৮

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের নতুন নাম হবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড

                                                                                   -- তথ্য উপদেষ্টা

ঢাকা, ৪ আশ্বিন (১৯ সেপ্টেম্বর) :

‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ নামে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। সিনেমা ব্যবসায়ীদের যেন আর্থিক ক্ষতি না হয়, সেজন্য আপদকালীন সময়ের জন্য একটা সেন্সর বোর্ড তৈরি করা হয়েছিলো।

উপদেষ্টা গতকাল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড ও জুরি বোর্ডের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

 উপদেষ্টা বলেন, সেন্সর বোর্ডের কমিটিতে সেন্সরবিরোধী মানুষদেরই আমরা আহ্বান করেছি। আইন ও বিধি নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। ইতোপূর্বে সেন্সর বোর্ড নিয়ে একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছিলো। কিন্তু তার কোনো বিধিমালা ছিল না। এখন সেন্সর শব্দটি বাদ দিয়ে ২০২৩ সালের আইন দ্রুততম সময়ে প্রজ্ঞাপন দিয়ে কার্যকর করা হবে।

 উপদেষ্টা আরো বলেন, এখনো প্রচুর সিনেমা রিলিজ দেয়া বাকি আছে। তাই সিনেমা রিলিজের সুবিধার্থে দ্রুততম সময়ে আইন নিয়ে কাজ করা হবে, যা প্রজ্ঞাপনের সাথে সাংঘর্ষিক হবে না। তিনি বলেন, এ আইনটি করার সময় অংশীজনের সাথে আলোচনাপূর্বক পর্যালোচনা করে সার্বিক প্রস্তাবনা নিয়ে নতুন ভাবে কাজ করা হবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেন্সর বোর্ড এবং জুরি বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

#

আশরোফা/ফাতেমা/সুবর্ণা/কলি/আলী/লিখন 2024/১৪২৮NÈv

তথ্যবিবরণী                                                                              নম্বর: ৯৩৭

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায়ের সমর্থনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিশেষ জরুরি অধিবেশনে রেজ্যুলেশন গৃহীত

নিউইয়র্ক, ১৯ সেপ্টেম্বর:

অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত কর্তৃক ১৯ জুলাই ২০২৪-এ প্রদত্ত পরামর্শমূলক মতামতের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে গতকাল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের চলমান ১০ম বিশেষ জরুরি অধিবেশনে একটি গুরুত্বপূর্ণ রেজ্যুলেশন গৃহীত হয়েছে। ফিলিস্তিন কর্তৃক  উপস্থাপিত রেজ্যুলেশনটি বাংলাদেশসহ ৫৩টি দেশ কো-স্পন্সর করে। রেজ্যুলেশনটি ভোটের জন্য উপস্থাপিত হলে ১২৪টি দেশ এটির পক্ষে ও ১৪টি দেশ বিপক্ষে ভোট প্রদান করে এবং ৪৩টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। কো-স্পন্সর দেশ হিসেবে বাংলাদেশ রেজ্যুলেশনটির পক্ষে ভোট দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের সাম্প্রতিক পরামর্শমূলক মতামতের আলোকে রেজ্যুলেশনটিতে ইসরায়েলকে ফিলিস্তিন ভূখন্ডে তার বেআইনি উপস্থিতি বন্ধ করা এবং এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এটিতে জানানো বিভিন্ন আহ্বানের  মধ্যে রয়েছে অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখন্ডে ইসরায়েলের অন্যায় কাজের কারণে যে সকল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পূরণে একটি আন্তর্জাতিক মেকানিজম প্রতিষ্ঠার আহ্বান। এছাড়া, এ রেজ্যুলেশন বাস্তবায়নের ওপর রিপোর্ট পেশ করার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে অনুরোধ জানানো হয়। রেজ্যুলেশনটিতে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা বিষয়ক চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনের আলোকে ইসরায়েল দ্বারা সংঘটিত নৃশংস অপরাধের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বানও জানানো হয়। একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উপায় খুঁজে বের করার লক্ষ্যে আগামী এক বছরের মধ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় রেজ্যুলেশনটির মাধ্যমে। বস্তুত রেজ্যুলেশনটি দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান বাস্তবায়নের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিরসনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত।

রেজ্যুলেশনটি উপস্থাপন উপলক্ষ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিশেষ জরুরি অধিবেশন চলাকালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন। রাষ্ট্রদূত মুহিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের এ সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক বর্ণনা করে এটিকে স্বাগত জানান এবং সকল সদস্য রাষ্ট্রকে এটি মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি গাজায় চলমান নৃশংসতা এবং হাজার হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু নিয়ে বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত রেজ্যুলেশন ২৭২৮-এর আলোকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। ১৯৬৭ সালের পূর্বের সীমানা অনুযায়ী দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের মাধ্যমে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তি অর্জনের একমাত্র পথ বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত মুহিত। এছাড়া, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখন্ডে ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্ব এবং গণহত্যার মতো অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি গাজায় গুরুতর মানবিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে জাতিসংঘ মহাসচিব এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের প্রদত্ত বিবৃতিরও প্রশংসা করেন।

#

মিশন নিউইয়র্ক/ফাতেমা/আলী/মানসুরা/২০২৪/১১২০ ঘণ্টা

2024-09-19-15-22-d22d14645d2c60bfdcc205b3a36c5073.docx