Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৯ জুলাই ২০২৪

তথ্যবিবরণী ৯ জুলাই ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর: ১৪১

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে পাশে থাকবে চীন,

দু’দেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক খাতে ১৬ সমঝোতা: প্রধানমন্ত্রীর চলমান চীন সফর নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী                                             

বেইজিং, ২৫ আষাঢ় (৯ জুলাই):

           রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থেকে চীন সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেবে। আজ বেইজিংয়ের গ্রেট হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে চাইনিজ পিপল’স পলিটিক্যাল কনসাল্টেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হুনিং (Wang Huning) এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

          প্রধানমন্ত্রীর চলমান চীন সফর নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেইজিংয়ের সেন্ট রেজিস (St. Regis) হোটেলে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ড. হাছান মাহমুদ।

          মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সিপিপিসিসি'র জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যানের অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে এ বৈঠকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং চীনের কম্যুনিস্ট পার্টির মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করেন তারা। দলীয় নেতৃবৃন্দের পারস্পরিক সফরের বিষয়েও ঐক্যমত হয়। ওয়াং হুনিং বলেন, চীনের কম্যুনিস্ট পার্টি এবং আওয়ামী লীগ উভয়েরই অভিন্ন লক্ষ্য জনগণের কল্যাণ।

          এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং নিবাস সেন্ট রেজিস হোটেলের পার্লার রুমে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রেসিডেন্ট জিন লিকুনের (Jin Liqun) সৌজন্য সাক্ষাতের ওপর আলোকপাতকালে হাছান মাহমুদ জানান, প্রধানমন্ত্রী এআইআইবি-কে বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, নদী খনন, জলবায়ু পরিবর্তনসহ উপযোগী খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। এআইআইবি'র প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়য়ন-অগ্রগতিকে অভূতপূর্ব বলে বর্ণনা করেন।

          পররাষ্ট্রমন্ত্রী এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেইজিংয়ের সাংগ্রিলা সার্কেলে 'সামিট অন ট্রেড, বিজনেস এন্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ বিটুইন বাংলাদেশ এন্ড চায়না' সম্মেলনে যোগদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন,  বাংলাদেশের প্রায় ৯০ জন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও চীনের শতাধিক ব্যবসায়ী এ সম্মেলনে যোগ দেয় এবং বাংলাদেশ ও চীনের বেশ কয়েকটি কোম্পানির মধ্যে ১৬টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর  হয়েছে।

          সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী চীনা ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে বিশ্বের সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ ব্যবস্থার সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান। অবকাঠামো, আইসিটি, পর্যটন, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ জ্বালানি খাত, জলবায়ু-সহনশীল স্মার্ট ফার্মিং, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সবুজ প্রযুক্তি ও উন্নয়ন খাতে বৃহত্তর বিনিয়োগের আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

          প্রধানমন্ত্রী এ সময় তিনটি বিশেষ পর্যটন অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ও সেখানে চীন রিয়েল এস্টেট এবং হসপিটালিটি খাতে বিনিয়োগের সুযোগের কথা উল্লেখ করলে চীনারাও এ বিষয়ে যথেষ্ট উৎসাহ দেখান। বাংলাদেশ দূতাবাস, বিআইডিএ, বিএসইসি ও চায়না ওয়ার্ল্ড সামিট উইং আয়োজিত এ সম্মেলনে চীনের ভাইস মিনিস্টার অভ্ কমার্স লি ফেই, চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওয়াং টং ঝু, এইচএসবিসি চায়নার প্রেসিডেন্ট এবং সিইও মার্ক ওয়াং, হুয়াওয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইমন লিন তাদের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন।

          উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া সম্মেলনে বক্তব্য দেন এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত-উল ইসলাম বিনিয়োগ বিষয়ে উপস্থাপনা পেশ করেন।

          এদিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের ঐতিহ্যবাহী তিয়েনআনমেন স্কয়ারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও সন্ধ্যায় বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেন।

          চীনের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের ঔষধ বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে, চীনেও আমরা এটি প্রসারিত করতে চাই। পাশাপাশি পাট ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, আম প্রভৃতি চীনে রপ্তানির উদ্যোগের মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।

          অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের সকল অনুষ্ঠান অপরিবর্তিত রয়েছে। শুধু ১১ তারিখ সকালের পরিবর্তে ১০ জুলাই রাতে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।

          ১০ জুলাই প্রধানমন্ত্রী গ্রেট হলে চীনের প্রিমিয়ার অভ্ দ্য স্টেট কাউন্সিল লি শিয়াংয়ের (Li Qiang) সাথে সাক্ষাৎ করবেন ও দু'দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলসহ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন।

          এরপর প্রায় ২০ থেকে ২২টির মতো সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণার কথা রয়েছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী তাঁর সম্মানে আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন।

          বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রেট হল অভ্ দ্য পিপল-এ চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping)  সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

          অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব, অন্য সচিববৃন্দ-সহ উচ্চপর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাগণ প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছেন।

#

আকরাম/শফি/রানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২০২০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর: ১৪০

 

প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে একটি করে ডিজিটাল ডিভাইস দেওয়া হবে

                                                                              -- শিক্ষামন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৫ আষাঢ় (৯ জুলাই):

 

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের ৩০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। তার মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ডিভাইস নেই। এই বছরের শেষের দিকে  প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্তত একটি করে ডিভাইস পৌঁছে দেওয়া হবে।

 

আজ ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয় পোর্টাল, বিষয়ভিত্তিক অনলাইন প্রশিক্ষণ ও নৈপুণ্য অ্যাপ ব্যবহার সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান মন্ত্রী। 

 

মন্ত্রী বলেন, ৩০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্মার্ট ক্লাস রুম স্থাপন করা হবে। এবছর পাঁচ হাজার প্রতিষ্ঠানকে  স্মার্ট ক্লাস রুম স্থাপনে  নির্দিষ্ট একটি অনুদান দেওয়া হবে এবং প্রতিষ্ঠানসমূহ  স্থানীয়ভাবে আরো অনুদান গ্রহণ করে স্মার্ট ক্লাস রুম স্থাপন করবে।

 

মহিবুল হাসান আরো বলেন, ‘আমরা প্রশিক্ষণের জন্য ডিজিটাল সরঞ্জামের অপেক্ষায় থাকতে পারি না। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের একটি সীমা আছে, ২০৩০ এর পর সেটা পরিবর্তন হয়ে যাবে। আমাদের সকল শিক্ষার্থীকে কর্মমুখী করতে হবে। তাই এবছর শেষে প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে একটি করে ডিজিটাল ডিভাইস পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবো।’

 

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা  বিভাগের সচিব ড. মো. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক।

#

খায়ের/শফি/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ১৩৯

দেশব্যাপী আড়াই লাখের বেশি ভূমি রাজস্ব ও দেওয়ানি

মামলা কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের ব্যবস্থাপনাধীনে আনা হয়েছে                                                                      

ঢাকা, ২৫ আষাঢ় (৯ জুলাই):

          আড়াই লাখের বেশি মামলা কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের ব্যবস্থাপনাধীনে আনা হয়েছে। ৫৭ হাজার ৬১০টি ভূমি রাজস্ব মামলা সিএমএস সিস্টেমের ব্যবস্থাপনাধীনে আনা হয়েছে। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ২৮ হাজার ১৬৮টি মামলা, বাকি ২৯ হাজার ৪৪২টি মামলা চলমান রয়েছে। অন্যদিকে, ১ লাখ ৯৪ হাজার ৪৬টি দেওয়ানি মামলা সিএমএস সিস্টেমের ব্যবস্থাপনাধীনে আনা হয়েছে। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ১৩ হাজার ৫০৩টি মামলা, ১ লাখ ৮০ হাজার ৫৪৩টি মামলা চলমান রয়েছে। ভূমি সিএমএস-এর মাধ্যমে চার ধরনের মামলা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে; এগুলো হচ্ছে: দেওয়ানি মামলা, ভূমি রাজস্ব মামলা, আপিল মামলা এবং প্রশাসনিক মামলা।

          আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ভূমি ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত 'রাজস্ব মামলা ব্যবস্থাপনা সিস্টেম বাস্তবায়নে অ্যালামস-এর সম্পৃক্ততা’ বিষয়ক এক কর্মশালায় সংশ্লিষ্টরা এসব তথ্য জানান। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ।

          ভূমি সংক্রান্ত রাজস্ব ও দেওয়ানি মামলায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে, দেশব্যাপী ৬১টি জেলায় কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএমএস)-এর মাধ্যমে ভূমি মামলা ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে ভূমি রাজস্ব ও দেওয়ানি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হচ্ছে এবং আদালত ও ভূমি অফিসগুলোকে একই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আনার ফলে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

          ভূমি সচিব জানান, গত ৮ জুন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ঢাকা জেলায় কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশে খুবই স্বল্প সময়ের মধ্যে সারা দেশে এই সিস্টেম চালু করা হয়েছে। সচিব আরো জানান, এই সিস্টেমের মাধ্যমে মামলার তথ্যের বিবৃতি প্রস্তুতকরণ ও দাখিলকরণ এবং নথিজাত ও নিষ্পত্তি কার্যক্রম নিয়মিত অনলাইনে নিবিড়ভাবে মনিটর করা হচ্ছে। তিনি জানান, শতভাগ ভূমি রাজস্ব ও দেওয়ানি মামলা কার্যক্রম সিএমএস সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে।

          ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জিয়াউদ্দীন আহমেদ এনডিসি ও সায়মা ইউনুস; যুগ্ম সচিব মোঃ খলিলুর রহমান-সহ কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন ভূমি মন্ত্রণালয়, ভূমি সংস্কার বোর্ড এবং মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়া আরো অংশগ্রহণ করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের ডিকেএমপি অনুবিভাগের ব্যবস্থাপনাধীন কর্মসূচি অ্যালামস-এর পরামর্শকবৃন্দ এবং ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশন ভেন্ডর প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ।

#

নাহিয়ান/শফি/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২১০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর: ১৩৮

পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চায় সরকার

                                     --- তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী                                                                         

ঢাকা, ২৫ আষাঢ় (৯ জুলাই):

          প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চায় বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

          আজ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

          ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত পনেরো বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। এর ফলে অনেক কর্মসংস্থান হয়েছে। অনেক মানুষ এখানে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। তবে এর একটি নেতিবাচক দিক হচ্ছে, কিছু অপেশাদার সাংবাদিক তৈরি হওয়ায় পেশাদার সাংবাদিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

          এম এ আরাফাত বলেন, সরকার চায় হঠাৎ করে কোনো নোটিশ ছাড়াই যাতে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করা না হয়, একইভাবে কোনো নোটিশ দেওয়া ছাড়াই কোনো সাংবাদিক যেনো চাকরি ছেড়ে না দেন। গণমাধ্যমে সরকার ন্যায্যতার জায়গা নিশ্চিত করতে চায়।

          সাংবাদিক, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা সরকারের উদ্দেশ্য নয় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য থাকলে সরকার গণমাধ্যমের সংখ্যা বৃদ্ধি করতো না। তবে সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষা দেওয়া, যাতে যে কেউ মন চাইলেই সাংবাদিকতায় আসতে না পারে। যাতে অপেশাদার সাংবাদিকদের অপসাংবাদিকতার দায় পেশাদার সাংবাদিকদের নিতে না হয়। তিনি বলেন, সরকার চায় পেশাদারিত্বের সাথে সাংবাদিকতার অনুশীলন সুরক্ষিত হোক। এই লক্ষ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে সকল অংশীজনদের সাথে নিয়ে সরকার কাজ করবে।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম কর্মী আইনে ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যম-সহ সব গণমাধ্যমকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এটি সর্বজনীন একটি আইন হবে। এ আইনে গণমাধ্যমসংশ্লিষ্ট সবাই চাকরিকালে সুরক্ষা পাবেন। এ আইনের আওতায় শ্রম আইনের সব সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, সরকার সত্যিকার অর্থেই চায়, গণমাধ্যম একটা শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াক, যে গণমাধ্যম সরকারের ভুল ও ব্যর্থতাকেও তুলে ধরবে। প্রকৃত সমালোচনা সরকারকে তার ভুল সংশোধন করতে সাহায্য করে। আমরা গঠনমূলক সমালোচনাকে ভয় করি না কিন্তু মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা অপছন্দ করি।

#

ইফতেখার/শফি/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২১০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর: ১৩৭

 

স্মার্ট বাংলাদেশের লোগো আহ্বান

ঢাকা, ২৫ আষাঢ় (৯ জুলাই):

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গৃহীত নানা উদ্যোগ ও কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুরু হয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশ লোগো ডিজাইন প্রতিযোগিতা। এটুআই এর উদ্যোগে আগ্রহী ও সৃজনশীল শিল্পীদের কাছ থেকে লোগো আহ্বান করা হয়েছে।

 

উক্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে ও বিস্তারিত জানতে logo.smartbangladesh.gov.bd ওয়েবসাইটে ব্রাউজ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। উল্লিখিত ওয়েবসাইটে আগামী ১৫ জুলাই ২০২৪ রাত ১২টা পর্যন্ত লোগো পাঠানো যাবে।

 

স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট লোগোর ডিজাইনের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় বিষয়সমূহ:

লোগোটি মৌলিক হতে হবে; লোগো তৈরির যৌক্তিকতা ১০০ শব্দের মধ্যে ব্যাখ্যা করতে হবে;  লোগোটি সর্বোচ্চ ১ মেগাবাইটের মধ্যে JPEG/PNG ফরমেটে তৈরি করতে হবে; লোগোটি logo.smartbangladesh.gov.bd-এই ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের মাধ্যমে আপলোড করতে হবে; প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য কপিরাইট আইনের বিধান অনুসরণ করতে হবে; প্রতিযোগিতায় জমা দেওয়া লোগো অন্যত্র ব্যবহার করা যাবে না।

স্মার্ট বাংলাদেশ লোগো ডিজাইন প্রতিযোগিতায় চূড়ান্তভাবে বিজয়ী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার প্রদান করা হবে।

#

এটুআই/শফি/রানা/মোশারফ/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯০৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর: ১৩৬

 

ইসলামপুরে নদী ভাঙন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ

 

ইসলামপুর (জামালপুর), ২৫ আষাঢ় (৯ জুলাই):

 

জামালপুরের ইসলামপুরে নদী ভাঙন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণসামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। আজ সকালে ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান এসব ত্রাণসামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন।

 

ধর্মমন্ত্রী প্রথমে উপজেলার সাপধরী ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে ৫০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণের চাল ও ১০ জনকে গো-খাদ্য তুলে দেন। পরে বেলগাছা ইউনিয়নের সিন্দুরতলীতে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০ পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেটজাত ত্রাণসামগ্রী ও পরিবার প্রতি ১০০০ টাকা তুলে দেন। সবশেষে মন্ত্রী বরুল ও মন্নিয়া গ্রামের ৬০০ পরিবারকে ত্রাণের চাল, ৫০টি পরিবারকে শিশুখাদ্য ও ২০টি পরিবারকে গো-খাদ্য বিতরণ করেন। এ সময় মন্ত্রী নদী ভাঙন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদেরকে সরকারের পক্ষ হতে সকল ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।

 

ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে জেলা প্রশাসক শফিউর রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান, জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আঃ খালেক আকন্দ ও আবিদা সুলতানা যুথীঁ-সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

#

আবুবকর/শফি/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯২৮ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর: ১৩৫

  

ওমানে ১২ ক্যাটেগরিতে শ্রমবাজার উন্মুক্ত

                  -- প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৫ আষাঢ় (৯ জুলাই):

 

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, ওমান সরকার চিকিৎসক, প্রকৌশলী, নার্স, শিক্ষক-সহ ১২ ক্যাটেগরিতে শ্রমবাজার উন্মুক্ত করেছে এবং দেশটিতে অবৈধ ৯৬ হাজার বাংলাদেশি অভিবাসীকে বৈধ করবে সরকার। অবৈধ অভিবাসীদের জরিমানা মওকুফের বিষয়েও ভাবছে ওমান।

 

আজ প্রতিমন্ত্রীর সাথে মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ওমানের রাষ্ট্রদূত আবদুল গাফফার বিন আবদুল করিম আল-বালুশী সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী একথা বলেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রুহুল আমিন-সহ অন্যান্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন ।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন দক্ষ জনবল ভিসা পেলেও, অদক্ষ জনবল নেওয়ার বিষয়ে ওয়ার্কিং কমিটিতে প্রস্তাবনা দেওয়া হবে। ওমানকে একটি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) ডেডিকেটেড করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা চাই, আমাদের একটি টিটিসিতে ওমানের চাহিদামত কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে।

 

সাক্ষাৎকালে বন্ধুপ্রতিম দু’দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছাড়াও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা-সহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। দুই দেশের মধ্যে দ্রুত একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

ওমানে দক্ষ জনবল প্রেরণের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।

#

সৈকত/শফি/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর: ১৩৪

  

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ২৫ আষাঢ় (৯ জুলাই):

 

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। এ সময় ৩৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ।  

 

          গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৯৮ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৮ হাজার ৬১৮ জন।

 

#

 

দাউদ/শফি/রানা/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৮০৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর: ১৩৩ 

 

কোটা সমস্যা নিরসনের সঠিক জায়গা আদালত

                                         -- আইনমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৫ আষাঢ় (৯ জুলাই):  

 

কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ঘটনা ঘটেছে আদালতে। রাজপথে আন্দোলন করে, এটার নিরসন হবে না। এভাবে আন্দোলন করলে এক পর্যায়ে হয়তো আদালত অবমাননাও হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে কোটা সমস্যা নিরসনের সঠিক জায়গা হচ্ছে আদালত। তিনি বলেন, আমি গতকালও বলেছি, ‘তারা (কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা) যদি এই মামলার পক্ষভুক্ত হয়ে আদালতে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন, তাহলে আপিল বিভাগ সবপক্ষের কথা শুনবেন এবং সবপক্ষের বক্তব্য শুনে আপিল বিভাগ একটা ন্যায়বিচার করবেন, এটাই আমাদের আশা এবং আমার মনে হয় সেটাই হবে।’

 

আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

আনিসুল হক বলেন, আমি যতদূর জেনেছি, হাইকোর্ট বিভাগে এই মামলা চলাকালীন কোটাবিরোধীরা তাদের বক্তব্য আদালতের কাছে পেশ করার জন্য বা আদালতে উপস্থাপন করার জন্য কোনো আইনজীবী নিয়োগ করেননি। তাদের বক্তব্য সেখানে দেননি। তারপর মামলাটার রায় হয়ে গেছে। মামলাটা এখন আপিল বিভাগে। গতকাল পর্যন্ত তাদের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করার জন্য তাদের নিয়োগ করা কোনো আইনজীবী ছিল না।

 

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এখন শুনলাম যে তারা (কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী) আপিল বিভাগের মামলায় পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য দরখাস্ত করেছেন। আমি যতটা শুনেছি, আগামীকাল (বুধবার) বোধহয় তার শুনানি হবে। সেক্ষেত্রে আমি তো মনে করছি তারা সঠিক পথে হাঁটছেন। আমি এটাকে সাধুবাদ জানাই। এখন তারা তাদের বক্তব্য আদালতে দেবেন। আশা করবো যেহেতু তারা আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন।’

 

কোটা আন্দোলন নিয়ে সরকারের অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের অবস্থানের বিষয়ে আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত স্পষ্ট করেই বলেছেন, সরকারের সিদ্ধান্তের ব্যাপার নেই এখন, কোটার ইস্যুটা এখন সর্বোচ্চ আদালতের কাছে আছে। সর্বোচ্চ আদালত সেখানে সিদ্ধান্ত নেবেন, তারা সবপক্ষের বক্তব্য শুনে সঠিক সিদ্ধান্ত দেবেন।’

 

সরকারের কেউ কেউ বলেছেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন অযৌক্তিক। সেক্ষেত্রে আদালত প্রভাবিত হতে পারে কি না- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এ মামলায় কী হতে পারে সে বিষয়ে আমি কিন্তু কিছু বলবো না। কারণ হচ্ছে এটা সাব-জুডিস (বিচারাধীন)। বাইরে থেকে একজন আইনমন্ত্রী হিসেবে বা আইনের দিক থেকে যতটুকু বলার দরকার আমি কিন্তু সেটা গতকালও বলেছি, আজও বললাম।’

#

রেজাউল/শফি/রানা/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৮২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর: ১৩২

স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকবিরোধী প্রচারণা বাড়াতে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর পরামর্শ                                                                         

ঢাকা, ২৫ আষাঢ় (৯ জুলাই):

          স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেছেন, সুস্থ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে মাদক নির্মূলের বিকল্প নেই। কিশোর-তরুণদেরকে মাদক ও তামাকের নেশা থেকে দুরে রাখতে প্রতিরোধ কর্মসূচি জোরালো করতে হবে।

          আজ ঢাকায় বারডেম হাসপাতাল মিলনায়তনে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস) আয়োজিত ‘মাদকের আগ্রাসন দৃশ্যমান: প্রতিরোধেই সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনো বাবা-মা চান না তার সন্তান বিপথগামী হোক। পরিবারে একজন মাদকাসক্ত থাকলে পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়। সমাজ তাদেরকে ভিন্ন চোখে দেখে। একটা সময় ছিলো যখন পথশিশু, ছিন্নমূল মানুষদের মধ্যে মাদকাসক্তি বেশি ছিলো। কিন্তু, বর্তমানে আমাদের শিক্ষিত শ্রেণির মধ্যে মাদকাসক্তি সমস্যা বাড়ছে। মাদকের নেতিবাচক প্রভাব পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সবখানেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এজন্য প্রত্যেক স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকবিরোধী প্রচারণা বাড়াতে হবে, প্রতিরোধে জোর দিতে হবে।

          ড. রোকেয়া সুলতানা আরো বলেন, দেশে মাদকের চিকিৎসায় উন্নতমানের রিহ্যাব সেন্টারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এটাও লক্ষণীয় যে, চিকিৎসা নিয়ে অনেকে পুনরায় মাদকে আসক্ত হচ্ছে। তাই নিজেদের পরিবার ও সমাজ থেকে তামাক, মাদক সরিয়ে নিতে পারলে সমস্যা নিরসন সহজতর হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এ সকল কাজে সহায়তা করবে বলেও জানান তিনি।

           সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মেস্তাফিজুর রহমান, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল ইউনিটের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক নাজমা হক এবং ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগস এন্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি) এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কোর্ডিনেটর (ড্রাগস এন্ড এইচআইভি/এইডস) মোঃ আবু তাহের। মানস-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন ও সভাপতিত্ব করেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান তালুকদার।

          সভায় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, ইব্রাহীম মেডিকেল কলেজের শিক্ষকবৃন্দ ও শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

#

শাহাদাত/শফি/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর: ১৩১

সুন্দরবন ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ সংরক্ষণে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে দু’টি চুক্তি স্বাক্ষরিত

ঢাকা, ২৫ আষাঢ় (৯ জুলাই):

          সুন্দরবন ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং (SONG) গেসেলশ্যাফ্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল জুসামেনারবিট (জিআইজেড) বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্টিনা বুরকার্ড, সুন্দরবন এবং সামুদ্রিক সুরক্ষিত এলাকা (এমপিএ) সোয়াচ নো গ্রাউন্ডের টেকসই ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে দু’টি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

          পরিবেশ সচিব বলেন, সুন্দরবন ম্যানগ্রোভস এবং মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড ইন বাংলাদেশ (SONG) প্রকল্প পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যম

2024-07-09-15-54-75e89e276ff04973f1f87b7dc4448ea0.docx