তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৪২৫
বিশিষ্ঠ কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের মৃত্যুতে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণের শোক
ঢাকা, ৩০ কার্তিক (১৫ নভেম্বর) :
স্বাধীনতা ও একুশে পদক প্রাপ্ত প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, নৌপরিবহন মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণের আজ এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ বলেন, হাসান আজিজুল হক উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্লেষণধর্মী রচনার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁর মৃত্যু দেশের সাহিত্য অঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি তাঁর কর্ম ও রচনার মধ্য দিয়ে সাহিত্যপ্রেমী মানুষের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।
#
বিবেকানন্দ/পাশা/নাইচ/মোশারফ/রেজাউল/২০২১/২২৫২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৪২৪
ধর্মীয় সম্প্রীতি আরো সুদৃঢ় করতে ইউনিয়ন পর্যায়
পর্যন্ত আন্তঃধর্মীয় সংলাপের আয়োজন করা হবে
-- ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
নড়াইল, ৩০ কার্তিক (১৫ নভেম্বর) :
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। জাতির পিতা বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা তথা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের মূলনীতি সন্নিবেশিত করে গেছেন। দেশের অসাম্প্রদায়িক বৈশিষ্ট্য সমুন্নত রাখতে দেশের প্রতিটি বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে পর্যন্ত আন্তঃধর্মীয় সংলাপ বিস্তৃত করা হবে। এর মাধ্যমে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যকার আন্তঃধর্মীয় সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ নড়াইল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালিত ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক আন্তঃধর্মীয় সংলাপ ও সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে কোনো অশুভ শক্তি যেন রাজনৈতিক হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে এদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ বিনষ্ট করতে না পারে এবং দেশের মধ্যে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে না পারে এ বিষয়ে সকল ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিশেষ করে মসজিদের খতিব ও ইমামগণ জুমার বয়ানে নিয়মিতভাবে তুলে ধরতে পারেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পবিত্র কোরআন ও মহানবী (সা.) এর জীবনী তথা মদিনা সনদ, মক্কা বিজয়ের ঘটনা এবং বিভিন্ন হাদিস থেকে আমরা অসাম্প্রদায়িক সমাজ ব্যবস্থার কথা জানতে পারি। বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক সমাজ রক্ষায় আমাদেরকে মহানবীর জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
নড়াইল জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার কুন্ডু (মদন), নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক একেএম ফজলুর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, বিশিষ্ট ইসলামিক আলোচক ড. একেএম আব্দুল মোমেন সিরাজী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু, নড়াইল জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা রশীদ আহমাদ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা বিল্লাল হোসাইন, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি খায়রুল আরেফিন রানা, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নড়াইল জেলা শাখার সভাপতি মলয় কুমার নন্দী, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ নড়াইল জেলা শাখার সভাপতি অশোক কুমার কুন্ডু, নড়াইল ক্যাথলিক চার্চের ফাদার অমিয় মিস্ত্রী প্রমুখ।
#
আনোয়ার/পাশা/নাইচ/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২১৫০ঘণ্টা
Handout Number : 5423
Foreign Ministers of Bangladesh and Sri Lanka stressed on strong bilateral relations
Dhaka, 15 November :
The Foreign Minister of Sri Lankan Prof. Gamini Lakshman Peiris called on the Foreign Minister of Bangladesh Dr. A K Abdul Momen today at State Guest House Padma.
Dr. Momen congratulated the newly appointed Foreign Minister of Sri Lanka and thanked him for attending the 21st meeting of the IORA Council of Ministers’ (COM) physically despite the global COVID-19 related health concerns. Foreign Minister also stated that Bangladesh attaches high importance to its relations with Sri Lanka which, he termed excellent, based on the historical linkages, friendship, and commonalities of views and shared vision of prosperity.
Recalling the State Visit of Mahinda Rajapaksa, Prime Minister of Sri Lanka to Dhaka on 19 – 20 March 2021 on the occasion of Birth Centenary of the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman and the Golden Jubilee of the Independence of Bangladesh, he noted that it contributed in strengthening the ties of the two countries.
The Sri Lankan Foreign Minister expressed his happiness for meeting the Foreign Minister of Bangladesh. He recalled the recent meeting of President of Sri Lanka, Gotabaya Rajapaksa and Prime Minister Sheikh Hasina on the sidelines of the World Leaders’ Summit of CoP-26 and said that the leadership of Sri Lanka highly appreciated recent economic development of Bangladesh. He reiterated the importance of close relations between the two neighbours. He particularly stressed on further cooperation in the sectors like trade and commerce, investment, tourism, connectivity, agriculture, fisheries, education, and people to people contact.
The two leaders of Bangladesh and Sri Lanka further emphasized on expeditious conclusion of PTA and enhancement of trade and commerce between the two countries. They underscored to further strengthen air and maritime connectivity for the greater benefit of the two peoples. The Sri Lankan Foreign Minister sought collaboration on the area of e-commerce, involvement in the digital sector through sharing of Bangladesh’s expertise. Foreign Minister of Bangladesh particularly mentioned of Bangladesh’s success in the Pharmaceutical sector and urged his Sri Lankan counterpart to import pharmaceuticals products from Bangladesh.
Both the Ministers noted the ongoing cooperation under IORA, maritime cooperation, maritime security, blue economy, Climate change, prevention of over exploitation of marine resources etc. They also pledged to explore the possible collaboration between Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Maritime University of Bangladesh and National Institute of Oceanographic Marine Sciences of Sri Lanka.
The Meeting ended with positive note in a cordial atmosphere.
The Sri Lankan Foreign Minister is visiting Dhaka from 15-18 November 2021 and is expected to attend the 21st meeting of the IORA Council of Ministers’ (COM) which is scheduled to be held on 17 November 2021.
#
Tarique/Pasha/Nice/Rahat/Mosharaf/Joynul/2021/2130hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৪২২
ঢাকায় তিন লাখ বস্তিবাসীকে টিকা দেয়া হবে মঙ্গলবার
-- স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ কার্তিক (১৫ নভেম্বর) :
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বস্তিতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে কাল থেকে। রাজধানীর করাইল বস্তিবাসীদের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অভ্ ফিজিশিয়ান্স এন্ড সার্জন্স (বিসিপিএস) প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী সবাই টিকার আওতায় আসবে। কাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বস্তিতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। রাজধানীর মহাখালীস্থ করাইল বস্তিতে তিন লাখের মতো জনসংখ্যা রয়েছে। তাদেরকে টিকা দেয়া হবে কাল, পর্যায়ক্রমে অন্য বস্তিতে দেয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বস্তিদায়ক জায়গায় রয়েছে। আমরা করোনা সংক্রমণ মোকাবেলা করতে পেরেছি। আজকে মাত্র চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সংক্রমণটা কিছুটা বেড়েছে। আমরা গত মাস খানেক যাবৎ দেখছি দেশের সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার অনেকটা একই রকম। আমরা চাই দেশের সংক্রমণ এবং মৃত্যু শূন্যের কোটায় চলে আসুক। সকলে মিলে একসঙ্গে কাজ করলে আমরা আশা করি দ্রুতই শূন্যে নেমে আসবে।
টিকা কার্যক্রম প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ কমার অন্যতম কারণ হলো টিকা। আমরা ইতিমধ্যেই প্রথম ডোজের টিকা দিয়েছি ৫ কোটিরও বেশি মানুষকে এবং দ্বিতীয় ডোজ দিয়েছি প্রায় সোয়া ৩ কোটি মানুষকে। দেশে প্রতিদিন গড়ে ১৫ লাখ মানুষ টিকা পাচ্ছে। নভেম্বর মাসে তিন কোটি টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আর জানুয়ারি মাসের মধ্যে ৭০ ভাগ ভ্যাকসিন দেয়ার লক্ষ্য রয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের কাছে ফাইজার, মডার্না, সিনোফার্মসহ ২ কোটি ৭৫ লক্ষাধিক টিকা মজুত রয়েছে। দেশে টিকা উৎপাদন কার্যক্রমও আমরা শুরু করেছি। গোপালগঞ্জে টিকা উৎপাদন প্রক্রিয়া চলছে। সব মিলিয়ে অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো আছি।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হকের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস এন্ড সার্জনসের সভাপতি ও প্রখ্যাত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অভ্ রেড ক্রস এন্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি) ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইড-এর যৌথ উদ্যোগে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে টিকা সরবরাহে চারটি রেফ্রিজারেটেড ভ্যান প্রদান করা হয়। এবং পরবর্তীতে আরও ১৪টি রেফ্রিজারেটেড ভ্যান প্রদান করা হবে জানানো হয়।
#
মাইদুল/পাশা/নাইচ/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২১০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৪২১
অনলাইনে জলমহাল ইজারা আবেদনের সুবিধা চালু
ঢাকা, ৩০ কার্তিক (১৫ নভেম্বর) :
আজ ভূমি মন্ত্রণালয় অনলাইনে জলমহাল ইজারার আবেদন দাখিলের সুবিধা চালু করেছে। আজ এ সংক্রান্ত এক পরিপত্র জারি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
land.gov.bd ভূমিসেবা কাঠামো থেকে অথবা সরাসরি jm.lams.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে জলমহাল ইজারার জন্য আবেদন দাখিল করা যাবে। উল্লেখ্য, জলমহাল ইজারার আবেদন অনলাইনে দাখিল এবং ইজারা প্রক্রিয়ার বিস্তারিত উক্ত ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।
পরিপত্রে বলা হয়, সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি, ২০০৯ অনুযায়ী নিবন্ধিত ও প্রকৃত মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি জলমহাল ইজারা প্রাপ্তির লক্ষ্যে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে, সাধারণ আবেদনে জেলা ও উপজেলায় আবেদন দাখিল করে। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিদ্যমান পদ্ধতিতে আবেদন দাখিল করায় আবেদনের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজাদি দাখিল না করা হলে বাছাইকালে আবেদন বাতিল করা হয়। বাতিলকৃত আবেদনের বিষয়ে আবেদনকারী সমিতি কর্তৃক কাগজ দাখিল করেছে মর্মে অভিযোগ দায়ের করে পরবর্তীতে আবেদন বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
পরিপত্রে আরো বলা হয়, জলমহাল ইজারা গ্রহণের জন্য প্রতিযোগিতা, একাধিক সমিতির আবেদন দাখিলে নানাবিধ জটিলতার উদ্ভব ঘটছে। ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল পদক্ষেপ হিসেবে সায়রাত মহালসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে অনলাইনে ডাটাবেজ (ভূমি তথ্য ব্যাংক) তৈরি সম্পন্ন হয়েছে। অনলাইনে ই-নামজারিসহ ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। জলমহাল ইজারার আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া অনলাইনে চালু হলে জলমহাল ইজারার আবেদন দাখিলসহ ইজারা প্রক্রিয়ার জটিলতা নিরসন সম্ভব হবে।
#
নাহিয়ান/পাশা/রাহাত/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/১৯১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৪২০
বঙ্গবন্ধুর প্রতি সারা পৃথিবীর মানুষের শ্রদ্ধাবোধ প্রতিজন বাঙালির জন্য গর্ব
-- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ কার্তিক (১৫ নভেম্বর) :
বঙ্গবন্ধুর প্রতি সারা পৃথিবীর মানুষের শ্রদ্ধাবোধ প্রতিজন বাঙালির জন্য গর্ব করার বিষয় বলেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু কেবল বাঙালি ও বাংলা ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই করেননি, তিনি সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন শুরু করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় টেলিযোগাযোগ খাতে তার হাত দিয়েই শুরু হয়েছিলো বৈপ্লবিক পরিবর্তন। দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বের জন্য সারা পৃথিবী বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে অবিচ্ছেদ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে ।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং বঙ্গবন্ধুর দূরদির্শতা শীর্ষক টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর আয়োজিত অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ খলিলুর রহমান, বিটিআরসি ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের যুগ্ন-সচিব মোঃ আব্দুল হান্নান, বিটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মশিউর রহমান এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাহাব উদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সঞ্জীব ঘটক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংযোগসহ টেলিযোগাযোগ খাতে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, টিএন্ডটি বোর্ড গঠন, বেতবুনিয়ায় ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন উপগ্রহ ভূ- কেন্দ্র স্থাপন, ১৯৭৩ সালে আইটিইউ এবং ইউপিইউ-এর সদস্য পদ অর্জনের মধ্য দিয়ে ইন্টারনেটভিত্তিক তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে অংশ গ্রহণের যাত্রা বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোপিত হয় ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ। পঁচাত্তর পরবর্তী অপশক্তির ২১ বছরেরর পশ্চাদপদতা ও জঞ্জাল অপসারণ করে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত দেশে ডিজিটাল সংযোগ ও প্রযুক্তি বিকাশের অভিযাত্রা শুরু হয়। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কম্পিউটারের ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার, চারটি মোবাইল ফোনের লাইসেন্স প্রদান, ভিস্যাটের মাধ্যমে ইন্টারনেট চালুসহ ডিজিটাল সংযুক্তি ও প্রযুক্তি বিকাশে যুগান্তকারী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেন। এর ফলে বঙ্গবন্ধুর রোপন করা ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজটি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরির সূদুরপ্রসারী চিন্তার ফলে চারা গাছে রূপান্তর লাভ করে। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ধারবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে গত ১৩ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ মহিরূহে পরিণত হয়েছে। এই কর্মসূচি পৃথিবীর কাছে বাংলাদেশ এক নতুন পরিচয়ে আত্ম প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে অভাবনীয় সফলতা অর্জন করেছে বলে উল্লেখ করেন মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশ থেকে ডিজিটাল সংযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। পৃথিবীর অনেক দেশ যেখানে ফাইভ-জি প্রযুক্তির কথা ভাবতেই পারেনি সেখানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ-জয়-এর দিকনির্দেশনায় আগামী ১২ ডিসেম্বর ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব বলেন, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান পাথেয় হয়ে থাকবে। মূল প্রবন্ধে টেলিযোগাযোগ খাতে উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান সবিস্তারে তুলে ধরা হয়।
#
শেফায়েত/পাশা/রাহাত/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২০২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৪১৯
সুস্থ ও মেধাবী প্রজন্ম গঠনে আয়োডিনযুক্ত লবণ খুবই গুরুত্বপুর্ণ
-- শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ কার্তিক (১৫ নভেম্বর) :
সুস্থ ও মেধাবী প্রজন্ম গঠনে আয়োডিনযুক্ত লবণ খুবই গুরুত্বপুর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
মন্ত্রী বলেন, ভোজ্য লবণে আয়োডিনযুক্তকরণ এবং মানুষ ও অন্যান্য প্রাণির খাদ্য তৈরিতে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের লবণ খাতের সার্বিক ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে বিদ্যমান আয়োডিন অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ আইন-১৯৮৯ রহিত করে প্রয়োজনীয় সংশোধন এর মাধ্যমে ‘আয়োডিনযুক্ত লবণ আইন, ২০২১’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
আজ রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে 'আয়োডিনযুক্ত লবণ আইন, ২০২১ : আবহিতকরণ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালা'য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। এছাড়াও বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এর চেয়ারম্যান মোঃ মোশ্তাক হাসান এনডিসি, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট। শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (আইন) ড. এ.এফ.এম আমীর হোসেনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (নীতি, আইন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা) শেখ ফয়েজুল আমীন। এতে অন্যদের মধ্যে ইউনিসেফ বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ, লবণ ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং শিল্প মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আয়োডিনযুক্ত লবণ আইন, ২০২১’ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ ও যুগোপযোগী আইন। এই আইনের আওতায় একটি জাতীয় লবণ কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি লবণের চাষ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, আয়োডিনযুক্তকরণ, মজুত ও বিক্রয়সহ ইত্যাদি বিষয়ে এবং লবণ কারখানার জন্য আয়োডিন সরবরাহ এবং ব্যবস্থাপনা নীতির বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন করবে। ১৪ সদস্যের এই জাতীয় লবণ কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে আয়োডিনযুক্ত লবণ পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়ন সেল কার্যক্রমগুলো নজরদারি করবে।
শিল্পমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধু ব্যবসায়িক মুনাফার কথা বিবেচনা না করে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেও এ কাজে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। পরবর্তী প্রজন্মকে সুস্থ ও মেধাবী করে তুলতে অবশ্যই এই আইনের নির্দেশনা অনুযায়ী ভোজ্য লবণে আয়োডিনযুক্ত করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, জাতির সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে, দৈনন্দিন খাবারে আয়োডিনযুক্ত লবণের কোনো বিকল্প নেই। তিনি আয়োডিনযুক্ত লবণের ঘাটতি পূরণে আয়োডিনযুক্ত লবণ আইন ২০২১ প্রতিপালনে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি লবণ শিল্প মালিকদের সারাদেশে আয়োডিনযুক্ত লবণ সরবরাহের আহ্বান জানান। তিনি লবণ আমদানির পরিবর্তে আমাদের দেশে কিভাবে আরো বেশি লবণ উৎপাদন করা যায় এবং রপ্তানির উদ্যোগ নেয়া যায় তার ব্যবস্থা নিতে বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে শিল্পসচিব বলেন, এই আইনে মানুষের জন্য ভোজ্য লবণ এবং প্রাণিখাদ্য প্রস্তুতে ব্যবহৃত লবণে আয়োডিন না থাকলে সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল এবং ১৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। তাছাড়াও বাংলাদেশে কেউ লবণ আমদানি, উৎপাদন, গুদামজাত, ভোক্তা পর্যায়ে পাইকারি সরবরাহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ কিংবা পরিশোধন করতে চাইলে এখন থেকে এই আইনের অধীনেই নিবন্ধন নিতে হবে। কেউ যদি নিবন্ধন না করে তাহলে দুই বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়াও প্যাকেট বা লেবেলবিহীন ভোজ্য বা অভোজ্য লবণ বিক্রি করলে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান এই আইনে রাখা হয়েছে।
#
মাহমুদুল/পাশা/রাহাত/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৪১৮
মোঃ আব্দুর রউফের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে যোগদান
ঢাকা, ৩০ কার্তিক (১৫ নভেম্বর) :
মোঃ আব্দুর রউফ আজ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে যোগদান করেছেন। মোঃ আব্দুর রউফ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১১তম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি অর্থনীতিতে সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিসহ বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর নিজ জেলা গাজীপুর।
তিনি ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) এর চেয়ারম্যান পদে যোগ দেন। এর আগে তিনি সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সিনিয়র সহকারী কমিশনার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেন।
পরবর্তী সময়ে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্থানীয় সরকার বিভাগের পলিসি সাপোর্ট ইউনিট প্রকল্পে উপসচিব, যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিব হিসেবে কাজ করেন।
উল্লেখ্য, অতিরিক্ত সচিব মোঃ আব্দুর রউফকে সচিব পদে পদোন্নতির পর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করে ১১ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
#
সৈকত/পাশা/রাহাত/মোশারফ/রেজাউল/২০২১/১৭৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৪১৭
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৩০ কার্তিক (১৫ নভেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৭ হাজার ৭০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৩৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জন-সহ এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৯২৬ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৭৪৪ জন।
#
ইউনুস/পাশা/রাহাত/মোশারফ/রেজাউল/২০২১/১৭২২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৪১৬
শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রে করোনাকালে এক লাখ ৩৫ হাজার শ্রমিককে চিকিৎসা সেবা প্রদান
- শ্রম প্রতিমন্ত্রী
খুলনা, ৩০ কার্তিক (১৫ নভেম্বর) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, শ্রম অধিদপ্তরের শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে করোনাকালে সারাদেশে এক লাখ ৩৫ হাজার ৬’শ শ্রমিককে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ খুলনা মহানগরীর রুপসা এলাকায় বিভাগীয় শ্রম দপ্তর আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী ‘ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিল্পের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য শ্রমিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সবার আগে। শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য তেজগাঁও শিল্প এলাকায় শ্রম অধিদপ্তরের নিজস্ব জমিতে ‘ন্যাশনাল লেবার হাসপাতাল’ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সুস্থ শ্রমিক উৎপাদনে বেশি শ্রম দিতে পারে। এতে মালিকের লাভ, শ্রমিকের লাভ, দেশের লাভ।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের বিষয়ে কারখানা মালিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন মালিকগণও তাদের শ্রমিকদের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা প্রদানের ব্যবস্থা রাখছেন। সবাই মিলে শ্রমিকের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারলে সকল সেক্টরে নিরাপদ কর্মপরিবেশ অর্জন আরো সহজ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে শ্রম দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। দিনব্যাপী এ মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের দু’জন চিকিৎসক শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং ঔষধ প্রদান করা হবে।
#
আকতারুল/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/শাম্মী/আসমা/২০২১/১৬২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৪১৫
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত হোন -কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তথ্যসচিব
ঢাকা, ৩০ কার্তিক (১৫ নভেম্বর) :
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জোর প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ মকবুল হোসেন।
আজ সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতর সম্মেলন কক্ষে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান বক্তা হিসেবে সচিব এ আহ্বান জানান। প্রধান তথ্য অফিসার মোঃ শাহেনুর মিয়া’র সভাপতিত্বে অতিরিক্ত প্রধান তথ্য অফিসার ফায়জুল হক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ সলিম উল্লাহ এবং দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের অনলাইন-ইনচার্জ খাজা মঈন উদ্দিন কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন। তথ্য অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও মন্ত্রণালয়সমূহে জনসংযোগের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাগণ কর্মশালায় অংশ নেন।
তথ্যসচিব মোঃ মকবুল হোসেন বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্ব প্রেক্ষাপটের সাথে তালমিলিয়ে চলতে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। জনসাধারণের মাঝে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সম্পর্কে স্বচ্ছ ও পরিপূর্ণ ধারণা তুলে ধরে প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ বিষয়ে প্রচার প্রয়োজন।’
নতুন প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে পারলে দেশ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের পরিপূর্ণ সুফল ভোগ করতে সক্ষম হবে উল্লেখ করে তথ্যসচিব বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নিয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে গণমাধ্যমে এ বিষয়ে আরো বেশি আলোচনা হওয়া দরকার। সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও পত্রিকায় কলামের মাধ্যমে জনগণকে অবহিত ও শিক্ষিত করতে গণমাধ্যমকর্মীদের এগিয়ে আসতে হ