তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৯৫
ভ্যালেন্সিয়া জাতের আলু আমদানিতে জাপানি কোম্পানির আগ্রহ প্রকাশ
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
বাংলাদেশ উৎপাদিত ভ্যালেন্সিয়া জাতের আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ ও আমদানিতে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপানের একটি কোম্পানি। দেশে রপ্তানিযোগ্য এসব আলুর জাত চাষের ফলে আলু রপ্তানির বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
আজ জাপানের টোকিওতে ওয়েস্টিন হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে জাপান সফররত কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের সাথে জাপানি কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তা SEIYA KADOU সাক্ষাৎ করে এ আগ্রহের কথা জানান। এসময় এসিআই এগ্রিবিজনেসের প্রেসিডেন্ট এফ এইচ আনসারী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশে বছরে ১ কোটি টনের বেশি আলু উৎপাদন হয়। চাহিদা রয়েছে ৬০-৭০ লাখ টনের মতো। দেশে বর্তমানে যেসব জাতের আলু উৎপাদিত হচ্ছে তার চাহিদা বিদেশে অনেক কম। সেজন্য রপ্তানিযোগ্য ও শিল্পে ব্যবহার উপযোগী আলুর জাত সম্প্রসারণে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে সরকারিভাবে বিএডিসির মাধ্যমে বিদেশ থেকে অনেকগুলো উন্নত জাত আনা হয়েছে, সেগুলো কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণের কাজ চলমান আছে। পাশাপাশি আলুকে অনিয়ন্ত্রিত ফসল বা ডিনোটিফায়েড ঘোষণা করা হয়েছিল যাতে করে বেসরকারিভাবে উন্নত জাত আনা সহজ হয়। এ ঘোষণার পর থেকে বেসরকারিভাবেও আলুর অনেক উন্নত জাত দেশে এসেছে, নিবন্ধিত হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে ভ্যালেন্সিয়া জাতের আলুর নমুনা নিয়ে জাপানের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানান জাপানি কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তা সেইয়া কাদৌ। তিনি কৃষিমন্ত্রীকে জানান, এ জাতের আলু মানসম্পন্ন ও সুস্বাদু।
উল্লেখ্য, আলুকে অনিয়ন্ত্রিত ফসল ঘোষণা বর্তমান সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এরই প্রেক্ষাপটে এসিআই সিড ২০২০ সালে এসিআই আলু-১০ (ভ্যালেন্সিয়া) নামক আলুর বীজের নিবন্ধন পায়, যা নেদারল্যান্ডস থেকে আমদানিকৃত। জাতটিতে প্রায় ২১ শতাংশ ড্রাই ম্যাটার আছে বিধায় এটি শিল্পে ব্যবহারের উপযোগী।
#
কামরুল/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/১৮২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৯৪
জিয়াউর রহমান নিজে দরখাস্ত করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন
--- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘আজকে যে বিএনপি মাঝেমধ্যে বাকশাল নিয়ে কটাক্ষ করে সেই বিএনপিকে বলবো, তাদের নেতা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বাকশালের সদস্য হওয়ার জন্য নিজে দরখাস্ত দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, দরখাস্ত দেওয়ার পাশাপাশি পত্রিকায় বাকশালের পক্ষে নিবন্ধ লিখেছিলেন। পরবর্তীতে তাকে বাকশালের সদস্য করা হয়েছিল।’
আজ সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে লেখক গবেষক সুভাষ সিংহ রায় গ্রন্থিত ‘বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব ও বাকশাল’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং প্রধান তথ্য অফিসার মোঃ শাহেনুর মিয়া ও গ্রন্থকার সুভাষ সিংহ রায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে প্রথমে বাকশালের সদস্য করা হয়নি। সেনাবাহিনী প্রধান, বিমানবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধানকে করা হয়েছিলো। কিন্তু জিয়াউর রহমান ছিলেন উপপ্রধান। সেজন্য তাকে প্রথমে সদস্য করা হয়নি। তিনি দরখাস্ত দিয়ে সদস্য হয়েছিলেন, বাকশালের পক্ষে পত্রিকায় নিবন্ধও লিখেছিলেন। সুতরাং আজকে যে বিএনপি বাকশাল নিয়ে এতো কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়ায়, তাদের সেই কথা বলার নৈতিক অধিকার নেই।’
তথ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘স্বাধীনতার পরে ৬ জন সংসদ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল, পাটের গুদামে আগুন দেওয়া হয়েছিল, হানাহানি করা হয়েছিল। সে জন্য বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন যে, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখা প্রয়োজন এবং সেটির প্রেক্ষিতেই তিনি বাকশাল গঠন করেছিলেন। বাকশালের অধীনে একই প্ল্যাটফর্মে সবাইকে আনা হয়েছিল, যারা নেতা ছিলেন তাদেরকে বাকশাল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছিল।’
হাছান মাহ্মুদ আরো বলেন, ‘বাকশাল ব্যবস্থার সুফলও আমরা পেতে শুরু করেছিলাম। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল এবং ১৯৭৫ সালে ১০ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদনের ফলে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছিলাম। চাল এবং অন্যান্য পণ্যের দাম যেটি বেড়েছিল সেটি কমে এসেছিল এবং বাকশালের অধীনে দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা ভালো হয়েছে। সে সময় ময়মনসিংহের একটি উপনির্বাচনে উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছোট ভাই সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছিলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জয়লাভ করেছিল।’
পত্র-পত্রিকার বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘বাকশাল প্রতিষ্ঠার পর চারটি পত্রিকা ছাড়া অন্য পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এটা সঠিক কিন্তু কোনো পত্রিকার কোনো সাংবাদিক বেকার থাকেননি। বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক এনায়েতুল্লাহ খান, গিয়াস কামাল চৌধুরীসহ পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন। সেই কমিটির সুপারিশে তথ্য অধিদফতর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, কাস্টমস, জুট মিল, বস্ত্র কর্পোরেশনে সব সাংবাদিকের চাকরি হয়েছিল।’
সাংবাদিকরা এ সময় আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে জিততে বিদেশমুখী নীতি নিচ্ছে কি না -এ প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন রাত-বিরাতে কারা বিদেশিদের কাছে যায় আর কারা বিদেশিদের দাওয়াত খাওয়ায় সেটা তো পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশনেই প্রকাশ হচ্ছে। আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে বলীয়ান, অন্য কোনো কিছুর শক্তিতে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় গেছে জনগণের ওপর ভর করেই, জনগণের সমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় গেছে। আর তারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় গেছে, পেছনের দরজা দিয়ে অবৈধভাবে দল গঠিত হয়েছে। সুতরাং তারা পেছনের দরজাটা পছন্দ করে। হায়েনা যখন শিকার করে পেছন দিকে কামড় দেয়। বিএনপিও পেছনের দরজা পছন্দ করে।’
বিশেষ অতিথি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দেশ পরিচালনার অন্যতম মূল যে কথা ছিলো, জনগণ এ দেশের মালিক, জনগণকে সেবা করা আমাদের দায়িত্ব। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নানাভাবে গণতন্ত্র চর্চা করা হয়। বঙ্গবন্ধু যদি সময় পেতেন, তাকে সপরিবারে ১৫ আগস্ট হত্যা করা না হতো, বাকশাল বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য মডেল হতে পারতো, কারণ তারা দেখতো বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ১৯৭৫ সালে দেশে মানুষের মাথাপিছু আয় ছিলো দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। এমন কি চীনের মাথাপিছু আয়ের চেয়েও বেশি। আজকে চীনের মাথাপিছু আয় ১০ হাজার ডলারের ওপরে। আসলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে হত্যাকারীরাই দীর্ঘদিন এ দেশ পরিচালনা করেছে এবং তারা বাকশালকে নানাভাবে ভুল ব্যাখ্যা করেছে, বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।’
#
আকরাম/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/১৮২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৯৩
জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস কাল
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
আগামীকাল জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘নিশ্চিত করি শোভন কর্মপরিবেশ, গড়ে তুলি স্মার্ট বাংলাদেশ’। এ বছর অষ্টমবারের মতো জাতীয় পর্যায়ে দিবসটি পালন করছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে আগামীকাল সকাল সাড়ে ৮ টায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। র্যালিটি বিজয়নগর শ্রম ভবনে শুরু হয়ে পল্টন, জিরো পয়েন্ট দিয়ে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হবে। এ দিন সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। বিশেষ অতিথি থাকবেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ এহছানে এলাহী। জাতীয় পর্যায়ে উদ্যাপিত এ দিবসটি উপলক্ষ্যে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর সারা দেশে শ্রমঘন এলাকায় প্রচারণামূলক ট্রাক শো, স্মরণিকা প্রকাশ, লিফলেট বিতরণ, সড়কদ্বীপ সজ্জিতকরণ, টিভি টকশো, টিভি স্ক্রলবার্তা, টিভি ডকুমেন্টারি, সচেতনতামূলক ভিডিও প্রস্তুতকরণ, মোবাইলে ক্ষুদেবার্তা প্রেরণ, জাতীয় দৈনিকগুলোতে ক্রোড়পত্র প্রকাশ, সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইন ও হেলথ ক্যাম্প আয়োজনসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
উল্লেখ্য, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৩ সাল থেকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ২৮ এপ্রিল World Day for Safety and Health at Work পালন করে আসছে। ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা ২০১৩’ অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের সাথে সংহতি প্রকাশ ও কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ পরিবেশ সম্পর্কে সমন্বিত সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২৮ এপ্রিল পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। সে সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০১৬ সাল থেকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জাতীয়ভাবে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উদ্যাপন করছে।
#
আকতারুল/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৯২
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ৫৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৪৬ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৫ হাজার ৬৩১ জন।
#
সুলতানা/রাহাত/মোশারফ/আব্বাস/২০২৩/১৭০২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৯১
আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ‘ইন্টারন্যাশনাল গার্লস ইন আইসিটি ডে’ উদ্যাপিত
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীদের আরো অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ‘ডিজিটাল স্কিলস ফর লাইফ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে ‘ইন্টারন্যাশনাল গার্লস ইন আইসিটি ডে ২০২৩’।
দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইসিটি সচিব সফ্টস্কিল ও আইসিটি খাতে নারীদের কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, নারীদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে তৈরি করতে পারলেই দেশ অর্থনৈতিকভাবে আরো উন্নত ও সমৃদ্ধ হবে এবং অনেক এগিয়ে যাবে। দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করার বিকল্প নেই। তিনি বলেন, দেশের নারী উদ্যোক্তারা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখছেন।
মোঃ সামসুল আরেফিন বলেন, নারীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে আইসিটি বিভাগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। তিনি নারীদের নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারী-পুরুষ পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে একসাথে কাজ করতে হবে।
আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ কুমার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মোস্তফা কামাল।
#
শহিদুল/রাহাত/মোশারফ/লিখন/২০২৩/২৬১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৯০
মৎস্য খাতে বিদেশি বিনিয়োগে মন্ত্রীর আহ্বান
বার্সেলোনা, স্পেন, ২৭ এপ্রিল:
বাংলাদেশ থেকে সীফুড আমদানি এবং বাংলাদেশের মৎস্য খাতে বিনিয়োগের জন্য বিদেশি আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
স্পেনের বার্সেলোনায় গ্লোবাল সীফুড এক্সপো- ২০২৩ এ বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বিভিন্ন দেশের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
এ সময় বাংলাদেশ থেকে মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদেশি ক্রেতাদের বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানেরও আশ্বাস দেন মন্ত্রী। বাংলাদেশের মৎস্য খাতে বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশ সরকার কর অব্যাহতিসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দিতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি বাংলাদেশের চিংড়ি ও অন্যান্য মৎস্যসম্পদ রপ্তানির চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা উত্তরণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও এ সময় তুলে ধরেন মন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রী জানান, চিংড়ি, ফিনফিস, শুটকি মাছ, কাঁকড়াসহ বিভিন্ন মৎস্যজাত ও মৎস্যপণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় এ অর্থবছরে ২৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার রোগমুক্ত বাগদা চিংড়ি উৎপাদনে বেসরকারি খাতে ম্যাচিং গ্র্যান্ট প্রদানসহ চিংড়ি উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে। সনাতনী পদ্ধতির চিংড়ি হ্যাচারির আধুনিকায়নসহ, মৎস্য ও মৎস্য পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে দেশে আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরী প্রতিষ্ঠা, নিয়মিত পরিদর্শন ও মনিটরিং, আমদানিকারক দেশের মৎস্য পরিদর্শন এবং মাননিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন ও চাহিদার সাথে গতি রেখে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করাসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।
এ বছর বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সীফুড এক্সপো আয়োজন করা হচ্ছে জানিয়ে সীফুড সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দেশের ক্রেতা ও বিশেষজ্ঞদের এ এক্সপোতে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী আরো যোগ করেন, দেশের সীফুড খাতে সরকারের বিশেষ উদ্যোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ খাতের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য অনুকূল পরিবেশ বিদ্যমান উল্লেখ করে এ সময় মন্ত্রী বিদেশী ক্রেতাদের বাংলাদেশের মৎস্য খাত পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান।
স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, বাংলাদেশের মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ব্লু ইকোনমি সেলের প্রধান ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুরসহ বাংলাদেশের মাছ রপ্তানিকারক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীগণ, নেদারল্যান্ডসের প্রতিষ্ঠান ফিশারম্যান চয়েস এবং সীফুড কানেকশন-এর প্রতিনিধি, জার্মানির প্রতিষ্ঠান এইচ অ্যান্ড এফ, লেংক ফ্রোজেন ফুডস এবং গ্লোবাল গ্যাপ-এর প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দেশের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী বার্সেলোনায় চলমান গ্লোবাল সীফুড এক্সপো ২০২৩ এ বিভিন্ন দেশের সীফুড প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখেন এবং তাদের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন।
#
ইফতেখার/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/কলি/মাসুম/২০২৩/১৫৩০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৮৯
জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২৮ এপ্রিল ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস' উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ২৮ এপ্রিল ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস' পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটি উপলক্ষ্যে ক্রোড়পত্র প্রকাশের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল এমন এক শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা, যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা এবং সুবিচার নিশ্চিত হবে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে জাতির পিতা ১৯৭২ সালের সংবিধানে মানুষের মৌলিক অধিকার এবং সব নাগরিকের আইনের আশ্রয় পাওয়ার সমানাধিকার নিশ্চিত করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশে আইনের শাসন ও মৌলিক মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়। '৭৫ পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামাত জোট সরকার হত্যা, ক্যু, নির্যাতন ও নিপীড়নের রাজত্ব কায়েম করে; সুবিচারের পথ রুদ্ধ করে দেয়। ফলে দেশের জনগণ আইনগত সহায়তা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।
আওয়ামী লীগ সরকার আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচারপ্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনগত সহায়তা প্রদানের জন্য আমরা ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০' প্রণয়ন করেছি। আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষ ছাড়াও এসিডদগ্ধ নারী-পুরুষ, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা মহিলা, বিনা বিচারে আটক ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী, পাচারকৃত নারী বা শিশুদের সম্পূর্ণ সরকারি অর্থ ব্যয়ে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। লিগ্যাল এইড অফিসগুলোকে এখন শুধু আইনি সহায়তা প্রদানের কেন্দ্র হিসেবে সীমাবদ্ধ রাখা হয়নি, বরং মামলাজট কমানোর লক্ষ্যে এসব অফিসকে ‘এডিআর কর্নার' বা 'বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্র স্থল' হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দেশের জনগণকে বিনা খরচে সরকারি আইনগত সহায়তা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, যা সারাদেশের আদালতসমূহে মামলাজট হ্রাস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
আমরা ভয়ভীতি ও বৈষম্য দূর করে নিরাপদ জীবন নিশ্চিত ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি'র অন্যতম লক্ষ্য ‘ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার' অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ‘রূপকল্প ২০৪১' বাস্তবায়নে সরকারি আইনগত সহায়তা কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সকলের সমন্বিত উদ্যোগের উপর এ কার্যক্রমের সফলতা নির্ভর করে। আমি আশা করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করে বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে সক্ষম হব।
আমি ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৩' এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
শাহানা/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/সিরাজ/মাহমুদা/মাসুম/২০২৩/১১০০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৮৮
জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২৮ এপ্রিল ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটি উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০২৩’ এর প্রতিপাদ্য ‘নিশ্চিত করি শোভন কর্মপরিবেশ, গড়ে তুলি স্মার্ট বাংলাদেশ’ যথেষ্ট সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে শ্রমিক কল্যাণকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশের সংবিধানে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। শোষণবিহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি ১৯৭২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো শ্রমনীতি ঘোষণা করেন। শিল্প শ্রমিক মজুরি কমিশন গঠন, বিভিন্ন সেক্টরে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ, শ্রম পরিদপ্তর পুনর্গঠন, জাতীয় শ্রম উপদেষ্টা বোর্ড গঠনসহ ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি মে দিবস পালনকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেন এবং সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করেন। জাতির পিতার উদ্যোগে বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে আইএলও এর সদস্যপদ লাভ করে।
জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ১৪ বছরে শ্রমিকদের শোভন কর্মপরিবেশ সৃষ্টি, তাদের পেশাগত স্বাস্থ্য, সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিতের মাধ্যমে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ড বজায় রাখতে বিভিন্নমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। আমরা বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধন ও হালনাগাদ করেছি। ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা ২০১৩’ এবং ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে । রাজশাহীতে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশ প্রতিষ্ঠায় আমরা নিয়মিত শ্রম পরিদর্শন, শ্রম অভিযোগ নিষ্পত্তি, নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন, দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতকরণ ও সেইফটি কমিটি গঠন করেছি। প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আমরা শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র স্থাপন এবং মহিলা শ্রমজীবী হোস্টেল নির্মাণ করেছি। শ্রমিকদের চিকিৎসায়, তাঁদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় এবং কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা কবলিত শ্রমিক পরিবারকে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন ও কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে নিয়মিতভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলার ক্ষেত্রে আইএলও এর সহায়তায় আমরা পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি গাইডলাইন তৈরি করি। চালু করা হয় টেলিমেডিসিন সেবা। আমাদের সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপ ও উদ্যোগের ফলে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ ও জীবনমানের উত্তরোত্তর উন্নতি হচ্ছে।
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের ক্যাটেগরি থেকে উন্নয়নশীল দেশের ক্যাটেগরিতে উন্নীত হয়েছে। আমরা সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এই অদম্য অগ্রযাত্রায় দেশের শ্রমজীবী মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ত্যাগ জড়িয়ে আছে। শ্রমিকদের জন্য শোভন কর্মপরিবেশ সৃষ্টি এবং স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিধি পালনকে জাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে তুলতে আমি সকলের প্রতি আহ্বান জানাই।
আমি ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
শাহানা/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/সিরাজ/মাহমুদা/আসমা/২০২৩/১১০০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৮৭
জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ কর্তৃক ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৩’ উদ্যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে তিনি ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে শক্তিশালী বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ নং অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। এ অধিকারকে বাস্তব রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০’ প্রণয়ন করা হয়েছে। অসচ্ছল ও দরিদ্র মানুষকে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা প্রদানের এই কার্যক্রম বঙ্গবন্ধুর অনন্য সাংবিধানিক ভাবনারই প্রতিফলন।
অসচ্ছলতা, অজ্ঞতা ও নানাবিধ আর্থ-সামাজিক প্রতিকূলতার কারণে দেশের গরীব-দুঃখী ও সহায়- সম্বলহীন জনগণ অনেক ক্ষেত্রে আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০’ এর মাধ্যমে সমাজের হতদরিদ্র ও অসচ্ছল জনগোষ্ঠী বর্তমানে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা পাচ্ছে যা বিচারব্যবস্থায় সকলের অভিগম্যতা নিশ্চিত করছে। আমি বিচারক-আইনজীবীসহ বিচার প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে সরকারি আইনগত সহায়তা কার্যক্রমের আওতাধীন মামলাসমূহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। সমাজে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখবেন - জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে এ আমার প্রত্যাশা।
আমি ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৩’ এর সার্বিক সফলতা কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
হাসান/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/সিরাজ/কলি/আসমা/২০২৩/১০৪৫ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৮৬
জাতীয় পেশাগ