তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১১৬
যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস পালন
ঢাকা, ২৩ চৈত্র (৬ এপ্রিল) :
আজ ৬ এপ্রিল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস। দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য “ক্রীড়ায় শান্তির সমাবেশ, উন্নয়নে বাংলাদেশ”। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে।এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে র্যালি, আলোচনাসভা ও বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন কর্তৃক ক্রীড়া অনুষ্ঠান।
আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উপলক্ষে আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ১ নং গেইট থেকে একটি র্যালি শুরু হয়ে তা জিপিও, শিক্ষাভবন, জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে এনএসসি টাওয়ারে যেয়ে শেষ হয়। বিভিন্ন সেøাগান, ব্যানার ও ফেস্টুনসহ দেশেবরেণ্য ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়াসংগঠক ও ক্রীড়ামোদীজনগণ এ র্যালিতে অংশগ্রহণ করে। যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় প্রধান অতিথি হিসেবে র্যালির উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ বি এম রুহুল আজাদ, আওয়ামী লীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক হারুনুর রশীদ, ক্রীড়া সংগঠক নুরুল ফজল বুলবুল ও বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল।
র্যালিশেষে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উপলক্ষে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সম্মেলনকক্ষে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল “শান্তি ও উন্নয়নে ক্রীড়া”।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মোঃ মাসুদ করিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ বি এম রুহুল আজাদ, যুগ্মসচিব ওমর ফারুক ও ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক ডা. আমিনুল ইসলাম।
#
শফিকুল/সেলিম/রফিকুল/আব্বাস/২০১৮/২০০৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর :১১১৫
কেশবপুরকে মডেল উপজেলা পরিণত করতে কাজ করতে হবে
---জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
কেশবপুর (যশোর), ২৩ চৈত্র (৬ এপ্রিল) :
কেশবপুরের সকল সমস্যা সমাধান করে এই উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলায় পরিণত করতে সরকার কাজ করছে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক আজ যশোরের কেশবপুরের মজিদপুর ইউনিয়নে তিনটি খাল পুনর্খনন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)'র উদ্যোগে কেশবপুরের শ্রীফলা খালের ১ কিলোমিটার, সুজাপুর খালের ২ কিলোমিটার ও তেঘরি খালের ২ কিলোমিটার পুনর্খনন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভের পানি উঠানো কমিয়ে নদী ও খালের পানি ব্যবহার বাড়াতে হবে। অন্যথা পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় হতে পারে। তিনি বলেন, জমিতে ফসল উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের উন্নত কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহারে এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিমন্ত্রী এসময় কৃষিকাজে শিক্ষিত যুবকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
#
মাসুম/সেলিম/রফিকুল/আব্বাস/২০১৮/২০০২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১১৪
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে সংস্কৃতি চর্চা বাড়াতে হবে
--সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ চৈত্র (৬ এপ্রিল) :
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলসমূহে সংস্কৃতি চর্চা বাড়াতে হবে। যত বেশি স্কুলে শিল্প-সংস্কৃতি চর্চা বাড়বে, তত বেশি আলোকিত মানুষ গড়ে ওঠবে। আর আলোকিত মানুষ গড়ে ওঠলে সুন্দর মানবিক বাংলাদেশ গড়া সহজতর হবে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল টিউটোরিয়াল লিমিটেড (বিআইটিএল) মিলনায়তনে বিআইটিএল’র ৩৫তম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা মঞ্চস্থ হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল টিউটোরিয়াল (বিআইটি) এর চেয়ারপারসন ও প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ লুবনা চৌধুরী।
মন্ত্রী বলেন, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতেও যে ভালো মানের শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা হতে পারে, আজকে বিআইটি’র ছাত্রছাত্রীর চিত্রাঙ্গদার সফল মঞ্চায়ন তারই প্রমাণ বহন করে। তিনি বলেন, নাটকটির মঞ্চসজ্জা, আলোক প্রক্ষেপণ ও পোশাকসজ্জা খুব উন্নতমানের হয়েছে।
#
ফয়সল/সেলিম/রফিকুল/আব্বাস/২০১৮/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১১৩
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৩ চৈত্র (৬ এপ্রিল) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব স¦াস্থ্য দিবসে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ৭ এপ্রিল ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা : সবার জন্য সর্বত্র (টহরাবৎংধষ ঐবধষঃয ঈড়াবৎধমব : বাবৎুড়হব, বাবৎুযিবৎব)’ যথার্থ ও সময়োচিত হয়েছে বলে আমি মনে করি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স¦াধীনতার পরপরই চিকিৎসা সেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে স¦াস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের স¦াস্থ্যসেবা উন্নয়নে নিরসলভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স¦াস্থ্য খাতের সাফল্যের স¦ীকৃতিস¦রূপ বাংলাদেশ অর্জন করেছে এমডিজি এওয়ার্ড, সাউথ সাউথ এওয়ার্ড ও গ্যাভি এওয়ার্ডের মতো আন্তর্জাতিক পুরস্কার। এই সরকার গত নয় বছরে চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন, পর্যাপ্ত সংখ্যক জনবল নিয়োগ, পরিবার পরিকল্পনা ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, নার্সিং সেবার উন্নয়ন, স¦াস্থ্যখাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, আইন ও নীতিমালা প্রণয়নসহ স¦াস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়ন করেছে। যার ফলে দেশের আপামর জনগণের প্রয়োজনীয় মানসম্মত স¦াস্থ্যসেবা প্রাপ্তি সহজতর হয়েছে।
দেশে সর্বজনীন স¦াস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে। জনসাধারণের মাঝে স¦াস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি স¦াস্থ্যসেবায় নিয়োজিতদের দায়িত্ববোধ বাড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। সবার স¦াস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি এবং এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু,
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
রোমানা/সেলিম/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/আব্বাস/২০১৮/১৭০১ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১১২
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৩ চৈত্র (৬ এপ্রিল) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বিশ্ব স¦াস্থ্য দিবসে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সুস্থ ও কর্মক্ষম জনশক্তি একান্ত অপরিহার্য। উপযুক্ত স্বাস্থ্য সেবা ও পরিচর্যা নিশ্চিত করে রোগব্যাধি প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ এবং পুষ্টিমান উন্নয়নের মাধ্যমে একটি সুস্থ ও সবল জাতি গঠনে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ৪র্থ স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা সেক্টর কর্মসূচির অধীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা বাস্তবায়নের পথকে সুগম ও পরিশীলিত করছে। এবারের বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা: সবার জন্য সর্বত্র (টহরাবৎংধষ ঐবধষঃয ঈড়াবৎধমব : বাবৎুড়হব, বাবৎুযিবৎব)’ আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়ন করছে। স্বাস্থ্য অবকাঠামো উন্নয়ন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও নিয়োগ, অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সংগ্রহ ও ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে, কমেছে মাতৃ ও শিশু মৃত্যু হার। তবে বর্তমানে ক্যান্সার, কিডনিরোগ, ডায়াবেটিসসহ নানা অসংক্রামক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব রোগ প্রতিরোধে মানুষের স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে জীবনযাপনের অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। এ ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজ, পেশাজীবী সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে গৃহীত কর্মসূচিতে আপামর জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এ বিষয়ে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টিতে সহায়ক হবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০১৮ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরানুল/সেলিম/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/আব্বাস/২০১৮/১৭০০ ঘন্টা