Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ August ২০২৩

তথ্যবিবরণী ১৭ আগস্ট ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ৫৬৯

 

আন্দোলনের বেলুন আর ফোলাতে পারছে না বিএনপি

                                   -- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

চট্টগ্রাম, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট):

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘বিদেশিরা বিএনপির দাবি করা তত্ত্বাবধায়ক সরকার, তথাকথিত নিরপেক্ষ সরকার, এগুলোর প্রতি কোনো সমর্থন জানায় নাই। সেজন্য বিএনপি আর তাদের আন্দোলনের বেলুন ফোলাতে পারছে না। সেখানে একটু বাতাস ঢোকে, আবার বেরিয়ে যায় -এই হচ্ছে বিএনপি’র দশা।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছিল, অর্থাৎ আন্দোলনের বেলুনটা ফুলেছিল, পরদিন আবার ঢাকার প্রবেশমুখ অবরোধ দিয়েছিল। কিন্তু এরপরই দেখা গেল, সেই আন্দোলনের বেলুন ফেটে গেছে।’

আজ বন্দরনগরী চট্টগ্রামে এলজিইডি মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমসাময়িক রাজনীতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ সালাম সভায় সভাপতিত্ব করেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির কর্মীরাও জেনে গেছে বিদেশিদের পদলেহন করে তাদের কোন লাভ হয় নাই। বিএনপিও বুঝতে পেরেছে শেখ হাসিনাকে সরানো তাদের পক্ষে সম্ভবপর নয়। সেজন্য বেলুন ফোলানোর পর আস্তে আস্তে বাতাস কমে যাচ্ছে। ফলে এখন তাদের শুধু লিফলেট বিতরণ আর পদযাত্রা, মানে হাঁটা কর্মসূচি। কয়দিন হাঁটা, কয়দিন বসা, আবার কয়দিন দৌড়ানো কর্মসূচি দিয়ে তারা কর্মীদের চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছে মাত্র।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমান বিএনপিকে তার একটি লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করতে চান, তাদের নেতাদের কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দিতে চান না। নির্বাচনে গেলে তাদের কোনো সম্ভাবনা নাই, এজন্য নির্বাচন বানচাল করার পথ বেছে নিয়েছে তারা। কিন্তু নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করছে কি না সেটি হচ্ছে মুখ্য, সেখানে বিএনপি নেতারা কিংবা বিএনপি অংশগ্রহণ করলো কিনা সেটি মুখ্য বিষয় নয়। কেউ নির্বাচন আসুক বা না আসুক জনগণের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও অবাধ সুন্দর আগামী নির্বাচন হবে, এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা পরপর চারবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন এই দেশে।’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্মরণ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পেছনে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, বিদেশী ষড়যন্ত্র ও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক বিরোধীপক্ষও জড়িত ছিল এবং খুনীরা বলেছিল, তিনি এত জনপ্রিয় মানুষ ছিলেন, মানুষকে এত উজ্জীবিত করতে পারতেন, তাকে হত্যা করা ছাড়া উপায় ছিল না। খুনীদের বিচার হয়েছে, হত্যাকাণ্ডের কুশীলব কারা ছিল, ইতিহাসের স্বার্থে সেটিও উন্মোচিত হওয়া প্রয়োজন।’

‘আজকেও বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমেরিকার আইআরআই-এর জরিপে দেখা গেছে, দেশ পরিচালনায় শেখ হাসিনার যে কাজ সেটাকে ৭০ শতাংশ মানুষ সমর্থন করে। এতে অনেকের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এত অপপ্রচার, লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে মিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার খরচ করে, সপ্তাহে কয়েকদিন বিভিন্ন এম্বেসিতে ধর্ণা-পদলেহন করেও লাভ হয়নি। জনপ্রিয়তা কমানো যায়নি শেখ হাসিনার। এতে বিএনপির মাথাটা খুব খারাপ হয়ে গেছে।’

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পালিতের সঞ্চালনায় সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, সহসভাপতি রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, অধ্যাপক মঈনুদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।

#

আকরাম/আরমান/এনায়েত/সেলিম/২০২৩/২১৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ৫৬৮

 

আগামীকাল ১৮ আগস্ট শুক্রবার থেকে পবিত্র সফর মাস গণনা শুরু

১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার পবিত্র আখেরী চাহার সোম্বা পালিত হবে

 

ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট):

 

          বাংলাদেশের আকাশে আজ ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র সফর মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে। আগামীকাল ১৮ আগস্ট শুক্রবার থেকে পবিত্র সফর মাস গণনা করা হবে। পরিপ্রেক্ষিতে, আগামী ২৭ সফর ১৪৪৫ হিজরি, ২৯ ভাদ্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার পবিত্র আখেরী চাহার সোম্বা পালিত হবে। আজ সন্ধ্যায় বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার।

 

        সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র সফর মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-এর প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আজ ২৯ মুহাররম ১৪৪৫ হিজরি, ২ ভাদ্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ আগস্ট ২০২৩ খ্রি. বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র সফর মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গিয়েছে। এমতাবস্থায়, আগামীকাল ৩ ভাদ্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ আগস্ট ২০২৩ খ্রি. শুক্রবার থেকে ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র সফর মাস গণনা শুরু হবে। 

 

        সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহাঃ বশিরুল আলম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মোঃ আবদুল জলিল, ঢাকা জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইরতিজা হাসান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মোঃ সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলা প্রশাসনে সহকারী প্রশাসক মোঃ শাহরিয়ার হক, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক মোঃ জুলফিকার রহমান কোরাইশী,  বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

শায়লা/আরমান/এনায়েত/সেলিম/২০২৩/২০৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ৫৬৭

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান অংশগ্রহন করতে পারবেনা

বলেই বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে

                                                            --- গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট):

          গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান অংশগ্রহন করতে পারবেনা বলেই বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে।

          আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর/সংস্থার উদ্যোগে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

          তিনি বলেন দেশের আদালতের বিচারে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দার শাস্তি হয়েছে। অন্যদিকে এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে জিয়ার স্ত্রী খালেদা শাস্তি ভোগ করছেন। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী এরা কেউই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে না। একারনে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলছে। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরে আসার আর কোন সুযোগ নেই। এই অসার দাবী উত্থাপন এবং বিভিন্ন দুতাবাসে নালিশ করে তারা প্রকারান্তরে আগামী নির্বাচনকে বানচালের পায়তারা করছে। তারা বিদেশে দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট করছে।

          ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডে জিয়াউর রহমানের ভুমিকার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানী হানাদার গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে জেল, জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন করলেও তাকে হত্যা করার মত দুঃসাহস দেখায়নি। অথচ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের কতিপয় কুলাঙ্গার বঙ্গবন্ধুকে পরিবারের ২৬ জন সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করে। এই হত্যাকান্ডে পেছন থেকে মেজর জিয়া কলকাঠি নেড়েছে। জাতির পিতা হত্যার বিচার হয়েছে এবং বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। এখন সময় এসেছে বিদেশে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের ফিরিয়ে এনে রায়ের পুর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এবং একটি কমিশন গঠন করে এই হত্যাকান্ডের পরিকল্পনাকারীদের বিচার করা।

          গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারের সাবেক সচিব ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি যাদুঘরের কিউরেটর জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম খান। তিনি তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান ও সরকারের সচিব জনাব আনিসুর রহমান মিয়া পিএএ ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী জনাব মোঃ শামীম আখতার।  গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন বিভিন্ন দপ্তরন/সংস্থার কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

#

  রেজাউল/আরমান/এনায়েত/জয়নুল/২০২৩/২০৫০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৫৬৬

বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি পিছিয়ে দিতে তৎপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে

                                                                                      -বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট):

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ অনলাইনে বঙ্গবন্ধুর ৪৮ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা এবং দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেছেন, সচেতনতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করলে দ্রুত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করা যাবে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অতি অল্প সময়ে দেশের প্রাতিষ্ঠানিক বা সাংবিধানিক কাঠামোর উন্নয়ন করে দেশ সামনে এগুচ্ছিলো, তা দেশ বিরোধীরা ভালো চোখে দেখে নাই। দেশি-বিদেশি চক্রান্তে, দেশ বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে দেশের অগ্রগতি স্থবির করে দেয়ার প্রচেষ্টারত ছিল। বঙ্গবন্ধু উন্নয়নের যে ভীত গড়ে দিয়েছিলেন তার উপর দাঁড়িয়েই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে গঠিত হবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন- অগ্রগতি পিছিয়ে দিতে তৎপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এই বিরোধীরাই বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। মাত্র ১১ মাসের মধ্যে জাতীর পিতা যে সংবিধান দিয়েছেন তা বিশ্বের অন্যতম সুষম সংবিধান। দেশ পরিচালনার ও জনগণের ভাগ্যান্নোয়নে সকল নির্দেশনা রয়েছে এই সংবিধানে। সংবিধানের ১৬ অনুচ্ছেদে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতায়নের নির্দেশনা সরাদেশের সুষম উন্নয়নের প্রতিফলক।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার প্রতিটি স্তরে এবং দেশ গঠণের প্রতিটি ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অবদান আমাদের নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে উৎসাহিত করে। জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির আকাঙ্খা তাঁর প্রতিটি কাজে প্রতিফলিত হয়। নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও কর্মময় জীবন বেশি বেশি তুলে ধরতে হবে। এতে তাদের মধ্যে দেশপ্রেম ও কর্মের স্পৃহা বাড়বে। আর তারাই হবে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর।

মূল আলোচনায় ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর কর্ম, দেশপ্রেম ও সংগ্রাম নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আরও গবেষণা ও অনুশীলনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান, এমপি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাং সেলিম উদ্দিন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।

#

আসলাম/আরমান/এনায়েত/শামীম/২০২৩/১৯৫৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ৫৬৫

সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট):

            সর্বস্তরের জনগণকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনয়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক আজ ভার্চুয়ালি সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশের অভ্যন্তরে ৮টি জেলা (গোপালগঞ্জ, রংপুর, বাগেরহাট, রাঙ্গামাটি, সিলেট, পাবনা, ময়মনসিংহ, বরগুনা) এবং বৈদেশিক মিশন (জেদ্দা, মালয়েশিয়া, সিংগাপুর) এ ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেন।

            সর্বজনীন পেনশন স্কিম এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ফাতিমা ইয়াসমিন, সিনিয়র সচিব, অর্থ বিভাগ এবং আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। এছাড়া সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ক একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন সুবিধাভোগী তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর এ কাজকে যুগান্তকারী এবং সাধারণ মানুষের সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক অসাধারণ সংযোজন হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

            একটি সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তন করার প্রয়োজনীয়তা থেকে ২০০৮ সনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সুস্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করাসহ ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে তিনি সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা প্রদান করেছিলেন। যারই ধারাবাহিকতায় ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই মহান জাতীয় সংসদ কর্তৃক সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩’ পাশ করা হয়। বাংলাদেশের প্রায় ১০ কোটি মানুষকে পেনশন সুবিধার আওতায় আনার লক্ষ্যে উপর্যুক্ত বৈশিষ্টসম্বলিত এই সর্বজনীন পেনশন স্কিম।

             বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। বর্তমানে গড় আয়ু ৭২ দশমিক ৩ বছর হলেও ভবিষ্যতে গড় আয়ু আরো বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে জনমিতিক লভ্যাংশ (Demographic Dividend) এর আওতায় আছে। বর্তমানে আমাদের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৬২ শতাংশ কর্মক্ষম। গড় আয়ু বৃদ্ধি এবং একক পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি জনিত কারণে ভবিষ্যতে নির্ভরশীলতার হার বৃদ্ধি পাবে বিধায় একটি টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বিধায় সরকার সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ উদ্দেশ্যে আইনের আওতায় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ এবং গভর্নিং কাউন্সিল গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালাও জারি করা হয়েছে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে মোট ৬টি  স্কিম থাকবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ৪টি স্কিম চালু হচ্ছে যাথা: প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য ‘প্রবাস’, ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী/প্রতিষ্ঠানের জন্য ‘প্রগতি’, স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকগণের জন্য ‘সুরক্ষা’ এবং দ্ররিদ্য সীমার নিচে বসবাসকারী স্বল্প আয়ের (বাৎসরিক অনুর্ধ্ব ৬০ হাজার টাকা আয়সীমা) মানুষের জন্য অংশপ্রদায়ক ‘সমতা’ স্কিম। সমতা স্কিমে ব্যক্তি প্রদত্ত চাঁদার সমপরিমাণ অর্থ সরকার প্রদান করবে। সরকারি এবং স্বায়ত্ত্বশাসিত/রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীগণকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে আনার বিষয়ে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে সুবিধামত সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

             সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ১৮ থেকে ৫০ বৎসর বয়সী একজন সুবিধাভোগী ৬০ বৎসর বয়স পর্যন্ত এবং ৫০ বৎসরের ঊর্ধ্ব বয়স্ক একজন সুবিধাভোগী নূন্যতম ১০ বছর চাঁদা প্রদান সাপেক্ষে আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন। পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার পূর্বে মৃত্যুবরণ করলে পেনশনারের নমিনি ৭৫ বৎসর পূর্ণ হওয়ার অবশিষ্ট সময় পর্যন্ত পেনশন প্রাপ্য হবেন। চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বৎসর চাঁদা প্রদান করার পূর্বেই মৃত্যুবরণ করলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ তা নমিনিকে ফেরত দেয়া হবে। চাঁদাদাতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কেবল তার জমাকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ হিসাবে উত্তোলন করা যাবে। পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসাবে গণ্য করে কর রেয়াত পাওয়ার যোগ্য হবেন এবং মাসিক পেনশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়কর মুক্ত থাকবে।

            প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনী বক্তৃতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শাহাদাৎ বরণের মাসে জাতিকে সর্বজনীন পেনশন উপহার দেওয়ার মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রে আরও একধাপ অগ্রগতি সাধিত হলো বলে উল্লেখ করেন এবং এ কাজের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে ধন্যবান জ্ঞাপন করেন। কোন বৈদেশিক সাহায্য ও কারিগরি সহায়তা ছাড়া এ ধরনের একটি বড় কাজ সম্পাদন করায় অর্থ বিভাগের সক্ষমতার প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পর জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট www.upension.gov.bd চালু করা হয়েছে এবং ৪টি স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম ও মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড ও ব্যাংকে টাকা প্রদান শুরু হয়েছে। সিস্টেম চালু হওয়ার পর থেকে দেশে এবং বিদেশের বাংলাদেশী নাগরিকদের নিকট থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

#

তহিদুল/আরমান/এনায়েত/জয়নুল/২০২৩/১৯৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ৫৬৪

১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারী ও নেপথ্য কুশীলবদের বিচার করতে হবে

                                                          - প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা

ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট):

আজ বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে গভীর শ্রদ্ধা ও স্মরণে পালিত হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস।

বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের পরিবর্তে পুরস্কৃত করেছিল। বিদেশে দুতাবাসে তাদের চাকুরী দিয়ে পুনর্বাসন করেছিল। ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের বিচার রোধ করতে ইনডেমনিটি ও সামরিক আইন জারী করে। রাজনীতিবিদদের কারাবন্দী করে রাজনীতি নিষিদ্ধ করে। জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে বিনা বিচারে হাজার দেশপ্রেমিক সেনাকে হত্যা করে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে অনেক রাষ্ট্র নায়কদের হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু এভাবে পরিবারের সদস্য ও শিশুদের হত্যা করা হয়নি। জাতির পিতা ও পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারী, ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ড ১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারী, নেপথ্য কুশীলব ও ঘৃণিত বিশ্বাসঘাতকদের বিচার করতে হবে।

শিশু প্রতিনিধি কাওসার বিন মামুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবেদা আক্তার, অতিরিক্ত সচিব মোঃ মুহিবুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব মোঃ ওয়াহিদুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর - সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ।

পরে প্রতিমন্ত্রী ভিডিও কন্টেন্ট, ডিজিটাল আর্ট ও রচনা প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

#

আলমগীর/আরমান/এনায়েত/শামীম/২০২৩/১৮৫৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ৫৬৩

বিএনপি নির্বাচনকে ভন্ডুল করে দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়

                                                                  -নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর), ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট):

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ২০০৫ সালের ১৭ই আগস্ট বিএনপি জামায়াতের সিরিজ বোমা হামলা আমাদেরকে সতর্ক করে দেয়। বিএনপি জামায়াতের সেই সন্ত্রাসবাদ থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। কারণ বিএনপি জামায়াত এখনো তারা সে সন্ত্রাসবাদের পথ ছেড়ে দেয় নাই। সাঈদীর স্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তারা ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ ও অগ্নিসংযোগ করেছে। বিএনপি জামায়াতের রাজনীতি হলো মিথ্যাচারের রাজনীতি, ব্যভিচারের রাজনীতি, জঙ্গিবাদের রাজনীতি, সন্ত্রাসবাদের রাজনীতি।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল মিথ্যা কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। বাংলাদেশের মানুষদের বিপথগামী করতে যাচ্ছেন। সেটি আর করতে পারবেন না। কারণ বাংলাদেশের ৭০ ভাগ মানুষ শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল। শেখ হাসিনার ওপর তারা ভরসা রাখেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতি হচ্ছে দেশকে আত্মনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করা, স্বনির্ভর রাষ্ট্রে পরিণত করা। শেখ হাসিনার রাজনীতি হচ্ছে বাংলার মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।

প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে জয়বাংলা ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে বিএনপি জামায়াতের মদদপুষ্ট নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি কর্তৃক একযোগে ঘৃণ্য ও নারকীয় সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বোচাগঞ্জ উপজেলা শাখা আয়োজিত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। আমরা সেটি চাই। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পার্টিসিপেটরি নির্বাচন হবে। আমরা উন্নত দেশে পরিণত হতে চাই। উন্নত দেশে যেতে হলে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে সেভাবে মানসম্পন্ন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন সেরকম একটি প্রতিষ্ঠান। নির্বাচন কমিশন যদি মানসম্পন্ন না হয় ২০৪১ সালে আমরা ধনী দেশ হতে পারব কিন্তু উন্নত দেশ হতে পারবো না। শেখ হাসিনা চান বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হোক। এ কারণে তিনি চান বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও পার্টিসিপেটরি নির্বাচন হোক।

তিনি বলেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না। তারা নির্বাচনকে ভন্ডুল করে দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। তারা দেশকে ধ্বংস করতে চায়। তাদেরকে মাঠে নামতে দেওয়া যাবে না। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ভোট এবং ভোটকেন্দ্রকে রক্ষা করার জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে।

বোচাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম ইশানের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন বোচাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন পিপুল।

#

জাহাঙ্গীর/এনায়েত/শামীম/২০২৩/১৭৫০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ৫৬২

 

 সরকার এসডিজি অর্জনে জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন প্রধান্য দিচ্ছে

                                         ---প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা

 

ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট) :  

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) গোল ৫ বিষয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম, অগ্রগতি, তথ্য সংগ্রহ, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ করণীয় শীর্ষক কর্মশালা আজ ঢাকায় ইস্কাটনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) মোঃ আখতার হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা জেন্ডার সমতা অর্জন, সকল নারী ও মেয়ে শিশুদের ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতা  সংক্রান্ত এসডিজি ৫  অর্জনে প্রধান্য দিয়েছেন। ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জেন্ডার সমতা সংক্রান্ত এসডিজি ৫ অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এসডিজি গোল ৫ অর্জন করা। এজন্য এসডিজি গোল ৫ অর্জনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।  জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা কৌশলসমূহের সঙ্গে এসডিজির সমন্বয় সাধন করা হয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে জেন্ডার সমতার  মাধ্যমে এসডিজি অর্জিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ থেকে এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন,  সংবিধান রাষ্ট্র জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা নিশ্চিত, সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদে বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করা যাবে না নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশ সিডো ১৯৭৯, সিআরসি ১৯৮৯, বেইজিং প্লাটফর্ম ফর এ্যাকশন ১৯৯৪ সহ নারী ও শিশু উন্নয়নে সকল ধরণের আন্তর্জাতিক সনদ অনুস্বাক্ষর করেছে ও তা বাস্তবায়ন করছে। সংবিধানের মাধ্যমে সকল ধরণের বৈষম্যের অবসান করা হয়েছে এবং  বৈষম্যমূলক কোন আইন নেই। বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে সরকারের সাথে উন্নয়ন সহযোগী, বেসরকারি সংস্থা ও সিভিল সোসাইটিকে এক সাথে কাজ করতে হবে।

মুখ্য সমন্বয়ক মোঃ আখতার হোসেন বলেন, এসডিজি অর্থ মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন। যার ১৭টি গোল মানুষের কল্যাণের সকল বিষয় নিশ্চিত করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ দেশ পরিচালনা এবং এসডিজির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।

সভাপতির বক্তব্যে সচিব নাজমা মোবারেক বলেন, এসডিজি একটি পুর্নাজ্ঞ জীবন ব্যবস্থা। সরকার এসডিজির সাথে পঞ্চবার্ষিকী, দীর্ঘ, মধ্যম ও বার্ষিক পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করেছে। সকল মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত কাজের মাধ্যমে ২০৩০ এসডিজির সকল গোল অর্জিত হবে। জেন্ডার রেস্পন্সিভ বাজেট বাস্তবায়ন করতে হবে।

কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এসডিজি) মোঃ মনিরুল ইসলাম। কর্মশালায় ২৬টি মন্ত্রণালয়-বিভাগ, দপ্তর সংস্থা, ইউএনপিএ ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

                  &

2023-08-17-15-52-a16bbfbefc4735407fae494bfd3f2257.docx