তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫১৬৩
সিলেটের বন্যা কবলিত এলাকায় চিকিৎসকদের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জরুরি নির্দেশনা
ঢাকা ৫ আষাঢ় (১৯ জুন):
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন আজ সচিবালয়ে অনলাইনে সিলেট বিভাগের স্বাস্থ্যসেবা খাতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে এক জরুরি সভায় মিলিত হন। সভায় ডায়রিয়া ও পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জরুরি নির্দেশনা প্রদান করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এসব এলাকায় ডায়রিয়া এবং পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে পর্যাপ্ত স্যালাইন ও ওষুধ মজুত রাখতে হবে। এছাড়া হাসপাতালে বিষধর সাপের প্রতিষেধক এন্টিভেনম পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রাখার জন্য নির্দেশ দেন। এসময় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় মন্ত্রী বন্যাকবলিত এলাকার সংসদসদস্যদের সাথে আলোচনা করে বন্যা পরবর্তী যথাযথ চিকিৎসাসেবা প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন।
বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবিরসহ সিলেট বিভাগের স্বাস্থ্যসেবা খাতের কর্মকর্তাগণ অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
আজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন করেন। মন্ত্রী ডাক্তারদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং হাসপাতালের সামগ্রিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব, বায়োকেমিস্ট্রি ল্যাব ও প্যাথলজি ল্যাব পরিদর্শন করেন। এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রী এভারকেয়ার হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এভারকেয়ার হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ওয়ার্ড ও এডমিশন ওয়ার্ড পরিদর্শন শেষে তিনি ভর্তি রোগীদের সাথে কথা বলেন এবং হাসপাতালটির প্রয়োজনীয় অনুমোদন এবং কাগজপত্র যাচাই করেন।
এভারকেয়ার হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঢাকার মিরপুরস্থ ইসলামি ব্যাংক হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টার পরিদর্শন করেন। সেখানে জরুরি বিভাগ, আইসিইউ, এইচডিইউ, সিসিইউ পরিদর্শন করেন এবং আগত রোগী, রোগীর স্বজন এবং ডাক্তারদের সাথে কথা বলেন। তিনি সেখানে হাসপাতালের কাগজপত্র দেখেন এবং অনুমোদিত বেডের অতিরিক্ত রোগী ভর্তি না করার ও সবসময় পর্যাপ্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন।
#
শাহাদাত/শফি/জয়নুল/২০২৪/২১০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫১৬২
বিসিবি পরিচালক মোঃ আলমগীর খান আলোর মৃত্যুতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন):
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও বরিশাল বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর খান আলো আজ ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। গুণী এই ক্রীড়া সংগঠকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান।
শোকবার্তায় মন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় মন্ত্রী আরো বলেন, আলমগীর খান আলো একজন সফল ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নসহ গোটা ক্রীড়াঙ্গনে তাঁর অনবদ্য অবদানের জন্য তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর মৃত্যু দেশের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
#
আরিফ/শফি/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৮৪০ঘণ্টা
Handout Number: 5161
Initiatives have been taken to increase inter-ministerial
coordination in improving the quality of the environment
- Environment Minister
Dhaka, 19 June:
Environment, Forest and Climate Change Minister Saber Hossain Chowdhury said that inter-ministerial cooperation is very important for environmental protection, therefore initiatives have been taken to increase inter-ministerial coordination and cooperation with the aim of taking and implementing effective and effective measures to prevent environmental pollution and combat climate change.
As part of this initiative, separate meetings were held with Road Transport and Bridges Minister Obaidul Quader at the Bangladesh Secretariat today; Health and Family Welfare Minister Dr. Samanta Lal Sen and Minister of State for Culture Naheed Ezaher Khan.
The Environment Minister said that the black smoke from vehicles and pollution control related to road highway construction activities were discussed with the Minister of Road Transport and Bridges in his office. He assured necessary cooperation in this regard. Measures to stop polluting transport will be taken in collaboration with the Road Transport and Highways Department.
Saber Chowdhury said that the Ministry of Environment will work together with the Ministry of Health to protect public health from the negative effects of climate change. For this, health will also be included in the National Adaptation Plan. A discussion was held with the Minister of Health and Family Welfare in his office on how the Ministries of Health and Environment will work together.
The Environment Minister said that the cooperation of the Ministry of Culture will be taken to increase public awareness to prevent various types of environmental pollution. A meeting has been held with the Minister of State for Culture in this regard. Initiatives will be taken to increase public awareness about pollution through various cultural activities including yatras, baul songs, poetry recitations.
In the meetings, Minister Saber Hossain Chowdhury highlighted the importance of taking necessary coordinated steps for environmental conservation and development. He said, we want to ensure the environmental sustainability of Bangladesh by working together. Focal points will be set in all concerned ministries with which the Ministry of Environment will coordinate. In this regard, the Ministry of Environment has been assured to provide all kinds of assistance from the concerned ministries. Meetings with other relevant ministries will also be held periodically.
#
Dipankar/Shafi/Sanjib/Shamim/2024/1905 hours
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫১৬০
১৪তম মালয়েশিয়া গিফটস ফেয়ারে বাংলাদেশ-এর অংশগ্রহণ
বাংলাদেশি স্টলসমূহে উপচেপড়া ভিড়
কুয়ালালামপুর (মালয়েশিয়া), ১৯ জুন:
মালয়েশিয়া গিফটস এন্ড প্রিমিয়াম এসোসিয়েশন (এমজিপিএ) আয়োজিত ১৪তম মালয়েশিয়া গিফটস ফেয়ার-এ ২য় বারের মতো অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ।
কুয়ালালামপুর কনভেনশন সেন্টারে চলমান (১৮-২০ জুন) এ মেলায় মালয়েশিয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশসহ ৭ টি দেশের ২৮৩ টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। এবারের মেলার প্রতিপাদ্য ‘Gift for a circular future’.
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান আজ বাংলাদেশ স্টলসমূহ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলেন এবং মালয়েশিয়ায় তাদের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
এসময় হাইকমিশনার উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষাপটে হাইকমিশন বাংলাদেশের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণসহ অন্যান্য পরিকল্পনা নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে তৈরিপোশাকের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য বেশি করে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসৃত ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’ অনুসরণের ধারাবাহিকতায় কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন এ ধরনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ হাইকমিশন, কুয়ালালামপুর-এর তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের ৬ টি প্রতিষ্ঠান এই মেলায় অংশগ্রহণ করছে। গিফটস ফেয়ার এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য হলো অপ্রচলিত পণ্যের তথা পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, গৃহস্থালি ও কিচেনওয়ার, নন ওভেন ব্যাগ এবং হস্তশিল্প পণ্যসামগ্রী ইত্যাদি বাজার মালয়েশিয়ায় অন্বেষণ ও রপ্তানির সুযোগ তৈরি করা।
মেলায় অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানসমূহ হচ্ছে কিয়াম মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মদিনা নন ওভেন ফেব্রিকস, কে এম আর ক্রাফট, সওদা ইন্টারন্যাশনাল, তরঙ্গ, উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশন, বাংলাদেশ এবং যৌথভাবে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো।
মেলা উদ্বোধনের দিন থেকেই বাংলাদেশি স্টলসমূহে বিদেশি ব্যবসায়ী-সহ দর্শনার্থীদের ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। বাংলাদেশি পণ্য বিশেষত পাটজাত পণ্যের প্রশংসা করেছেন অনেক দর্শনাথী। বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো-এর স্টলে ব্যবসা-বিনিয়োগ সংক্রান্ত নানা ধরনের প্রকাশনা ছাড়াও বাংলাদেশি বিনিয়োগ সম্ভাবনা বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে।
মেলায় এমজিপিএ-এর প্রেসিডেন্ট Ivan Loo, মেলার অর্গানাইজিং চেয়ারম্যান Albert Choong এবং অপারেশন ম্যানেজার Ms. Suzanna, বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার মোঃ খোরশেদ আলম খাস্তগীরসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং প্রবাসী সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া, মালয়েশিয়া বাংলাদেশে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ।
#
মারুফ/শফি/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/১৮২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫১৫৯
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সাথে পরিবেশমন্ত্রীর বৈঠক
পরিবেশের মানোন্নয়নে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে
- পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই পরিবেশ দূষণ রোধ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যকর ও ফলপ্রসূ পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় ও সহযোগিতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানের সাথে পৃথক বৈঠক করা হয়েছে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, যানবাহনের কালো ধোঁয়া এবং সড়ক মহাসড়ক নির্মাণ কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট দূষণ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর সাথে তাঁর কার্যালয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সহযোগিতায় দূষণকারী পরিবহন বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাবের চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব হতে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে একযোগে কাজ করবে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। এজন্য জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার সাথে স্বাস্থ্য বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় কীভাবে একসাথে কাজ করবে সে বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রীর সাথে তাঁর অফিসকক্ষে আলোচনা হয়েছে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন রকমের পরিবেশ দূষণ রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করা হয়েছে। যাত্রা, বাউল গান, কবিতা আবৃত্তিসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দূষণ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে।
বৈঠকগুলোতে মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সমন্বয়মূলক পদক্ষেপ গ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা একসাথে কাজ করে বাংলাদেশের পরিবেশগত স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে চাই। সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়ে ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারিত থাকবে যার সাথে সমন্বয় করবে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে সব ধরনের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছে। পর্যায়ক্রমে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সাথেও বৈঠক করা হবে।
#
দীপংকর/শফি/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৭২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫১৫৮
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ সময় ১৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৯৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ২০ লাখ ১৮ হাজার ২৯০ জন।
#
দাউদ/শফি/মোশারফ/শামীম/২০২৪/১৭১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫১৫৭
কবি অসীম সাহার মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন) :
প্রতিথযশা কবি অসীম সাহার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান।
বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য অসীম সাহা একুশে পদকসহ বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত কবির আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
#
আহসান/সিরাজ/সুবর্ণা/আসমা/২০২৪/১১০০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫১৫৬
বেগম সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২০ জুন ‘বেগম সুফিয়া কামালের ১১৩তম জন্মদিন’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“গণতান্ত্রিক এবং নারীমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ কবি বেগম সুফিয়া কামালের ১১৩তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাঁর বিদেহ আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
কবি বেগম সুফিয়া কামাল ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। একদিকে তিনি ছিলেন আবহমান বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি, অন্যদিকে বাংলার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তাঁর আপসহীন এবং দৃপ্ত পদচারণা।
নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার চিন্তাধারা ও প্রতিজ্ঞা কবি সুফিয়া কামালের জীবনে সঞ্চারিত হয় ও সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে। তাঁর দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ছাত্রীনিবাসের নাম ‘রোকেয়া হল’ রাখা হয়। তিনি ১৯৬১ সালে পাকিস্তান সরকার বেতারে রবীন্দ্রসংগীত প্রচার নিষিদ্ধ করলে এর প্রতিবাদে আন্দোলন গড়ে তোলেন। শিশু সংগঠন ‘কচি-কাঁচার মেলা’র তিনি প্রতিষ্ঠাতা।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামসহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তাঁর প্রত্যক্ষ উপস্থিতি তাঁকে জনগণের ‘জননী সাহসিকা’ উপাধিতে অভিষিক্ত করেছে। তাঁর স্মরণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য ‘বেগম সুফিয়া কামাল হল’ নির্মাণ করে।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার পর যখন এদেশের ইতিহাস বিকৃতির পালা শুরু হয়, তখনও তাঁর সোচ্চার ভূমিকা বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের গণতান্ত্রিক শক্তিকে নতুন প্রেরণা যুগিয়েছিল। কবি বেগম সুফিয়া কামালের সৃজনশীলতা ছিল অবিস্মরণীয়। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চলতে থাকে তাঁর সাহিত্যচর্চা। ১৯৩৮ সালে কবি সুফিয়া কামালের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সাজের মায়া’র মুখবন্ধ লেখেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। যা সেই সময়ের পাঠকসহ লেখকদের কাছে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে। দেশ, প্রকৃতি, গণতন্ত্র, সমাজ-সংস্কার, নারীমুক্তি এবং শিশুতোষ রচনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর লেখনীতে সমৃদ্ধ হয়েছে। কবির ভাষায়-
তোমাদের গানে, কল-কলতানে উছসি উঠিবে নদী-
সরস করিয়া তৃণ ও তরুরে বহিবে সে নিরবধি
তোমরা আনিবে ফুল ও ফসল পাখি- ডাকা রাঙা ভোর
জগৎ করিবে মধুময়, প্রাণে প্রাণে রাঁধি প্রীতিডোর।
কালজয়ী কবি বেগম সুফিয়া কামালের ১১৩তম জন্মদিনে তাঁর জীবনদর্শন ও সাহিত্যকর্ম প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে পাঠকের হৃদয় আলোকিত করবে- এই প্রত্যাশা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
শাহানা/সিরাজ/রবি/কলি/আসমা/২০২৪/১১০০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫১৫৫
কবি সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন):
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল ২০ জুন ‘কবি সুফিয়া কামালের ১১৩তম জন্মবার্ষিকী’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ কবি সুফিয়া কামালের ১১৩তম জন্মবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
কবি সুফিয়া কামাল ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদে এক অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তৎকালে বাঙালি মুসলমান নারীদের লেখাপড়ার সুযোগ একেবারে সীমিত থাকলেও তিনি নিজ চেষ্টায় লেখাপড়া করেন এবং ছোটোবেলা থেকেই কবিতাচর্চা শুরু করেন। সুললিত ভাষা ও ব্যঞ্জনাময় ছন্দে তাঁর কবিতায় ফুটে উঠত সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের পাশাপাশি সমাজের সার্বিক চিত্র। নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া ছিলেন তাঁর অনুপ্রেরণার উৎস। কবির প্রথম কবিতা ‘বাসন্তী’ প্রকাশিত হয় সওগাত পত্রিকায় ১৯২৬ সালে। ১৯৩৮ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সাঁঝের মায়া’ প্রকাশিত হলে রবীন্দ্রনাথ এ কাব্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন, যার ভূমিকা লিখেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। সুফিয়া কামাল সুদীর্ঘকাল সাহিত্যচর্চা, সমাজসেবা ও নারী কল্যাণমূলক নানা কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন বাংলাদেশের নারী সমাজের এক অনুকরণীয় উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। তিনি নারী সমাজকে কুসংস্কার আর অবরোধের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। দেশের সকল প্রগতিশীল আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। নারীদের সংগঠিত করে মানবতা, অসাম্প্রদায়িকতা, দেশাত্মবোধ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে তিনি ছিলেন অগ্রদূত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নারী-পুরুষের সমতাপূর্ণ একটি মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠাই ছিল সুফিয়া কামালের জীবনব্যাপী সংগ্রামের প্রধান লক্ষ্য।
কবি সুফিয়া কামাল রচিত সাহিত্যকর্ম নতুন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গভীর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। কবির জীবন ও আদর্শ এবং তাঁর কালোত্তীর্ণ সাহিত্যকর্ম নতুন প্রজন্মের প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে। আমি এ মহীয়সী নারীর বিদেহ আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
রাহাত/সিরাজ/রবি/সুবর্ণা/কলি/আলী/মাসুম/২০২৪/১০২০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ