তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৯৪
শিক্ষামন্ত্রীকে আলেম-ওলামাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন
ঢাকা, ২৭ কার্তিক (১১ নভেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা নীতিমালা অনুমোদন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শতকরা ৫ ভাগ ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখী ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টে অতিরিক্ত বরাদ্দ প্রদানের জন্য আলেম-ওলামাগণ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাতে আজ শিক্ষামন্ত্রীর সাথে ঢাকায় তাঁর হেয়ার রোডের সরকারি বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন।
জমিয়াতুল মোদার্রেছিন বাংলাদেশের মহাসচিব শাব্বির আহমেদ মোমতাজীর নেতৃত্বে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ-শিক্ষকসহ প্রায় ৪ শতাধিক আলেম-ওলামা ও মাদ্রাসা শিক্ষক শিক্ষামন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। এসময় তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা এবং শিক্ষামন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে বর্তমান সরকার শিক্ষকদের অনেক সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয়েছে। শিক্ষকদের বেতন-ভাতাসহ সম্মান ও মর্যাদা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বিগত ১০ বছরে শিক্ষকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সরকার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছে। ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। শিক্ষকদের বেতন-ভাতাদি সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। শিক্ষার উন্নয়নে এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আলমগীর, অতিরিক্ত সচিব রওনক মাহমুদ, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিউদ্দিন আহমদ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউল হক এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান একেএম ছায়েফ উল্যাহ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
আফরাজুর/সেলিম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৯৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৯৩
সমাজের চাওয়া-পাওয়াকে বিবেচনায় নিতে হবে
--- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ২৭ কার্তিক (১১ নভেম্বর) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সমাজ বিচারকদের কাছ থেকে ইতিবাচক কিছু আশা করে। সমাজের অনেক সমস্যা আছে যেগুলো সমাজ ও পরিবারকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। একটি পরিবারকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য পরিবারের একজন সদস্য মাদকাসক্ত হওয়াই যথেষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাদকের ব্যাপারে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। তাই প্রশিক্ষণ শেষে বিচারকদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ফিরে গিয়ে মাদকের ব্যাপারে সমাজের দাবি ও অবস্থার কথা বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, বিচার করার ক্ষেত্রে সমাজের চাওয়া-পাওয়াকে বিচারকদের বিবেচনায় নিতে হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য আয়োজিত চতুর্থ অরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
দুর্নীতির বিষয়ে তিনি আরো বলেন, এটিও কিন্তু পরিবার, মূল্যবোধ ও সমাজ সবদিক থেকে ক্ষতিকর। তাই এর বিরুদ্ধে বিচারকদেরও অবস্থান নিতে হবে। বিচারকদের বাস্তবতার নিরিখে তৈরি হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ বিচারকদের কাছ থেকে যে সেবা চায়, যা আশা করে তা দিতে কার্পণ্য করবে না।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে একটি সংবিধান দিয়ে গেছেন। সেই সংবিধানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বলা আছে। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর এই সংবিধানকে যার যার ইচ্ছা অনুযায়ী সংশোধন করে ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। তাই বিচার বিভাগ সব সময় স্বাধীন ছিল এটা মানা যায় না। যদি বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকতো তাহলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের বিচারের জন্য ২১টি বছর অপেক্ষা করতে হতো না। বিচার বিভাগ স্বাধীন হয়েছে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যদি সেটাকে আইনে পরিণত না করতেন তাহলে আজকেও অধঃস্তন আদালতের বিচারকরা নির্বাহী বিভাগের অধীনেই থাকতো।
বিচারকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার দূরদর্শিতায় আজ বিচারকগণ স্বাধীন, কিন্তু এই স্বাধীনতা অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ হতো যদি পরের ধাপগুলো সম্পন্ন না হতো। বিচারকগণ যখন স্বাধীন হলেন, তখন তাদের বসার তেমন কোন ব্যবস্থা ছিলনা। এজলাস শেয়ার করে বিচার করতে হতো। জনগণ বিচার পাচ্ছিল না। এটাই ছিল বাস্তব। বঙ্গবন্ধু কন্যা এই বাস্তবতা অনুধাবন করে সারা দেশে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা করেছেন। বর্তমানে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছি।
মন্ত্রী আরো বলেন, বিচারকগণ যাতে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল থাকে সেজন্য তাদের বেতন প্রায় দ্বিগুণ বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে বিচারকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার মতো শিকড় তৈরি হয়েছে। দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বিচারকদের অস্ট্রেলিয়া, ভারত, চীন ও জাপানে নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হকও বক্তৃতা করেন।
#
রেজাউল/সেলিম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/২০০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৯২
সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মাওলানা মোঃ নুরুল ইসলামের মৃত্যুতে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আজ এক শোকবার্তায় মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ নুরুল ইসলাম আজ ভোরে ঢাকায় একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ---------রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। মৃত্যুকালে মরহুম মাওলানা মোঃ নুরুল ইসলাম স্ত্রী, তিন ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন। মরহুম মাওলানা মোঃ নুরুল ইসলাম ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।