Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১st নভেম্বর ২০২০

তথ্যবিবরণী ৩১ অক্টোবর ২০২০

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ৪১৬৭

নাইজেরিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ‘কমার্শিয়াল ডিসপ্লে রুম’ উদ্বোধন করলেন দু’দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ কার্তিক (৩১ অক্টোবর):

          বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি এবং নাইজেরিয়ার শিল্প, ব্যবসা ও বিনিয়োগ বিষয়ক মন্ত্রী অতুনবা রিচার্ড আদেনিয়ী আদেবায়ো (Otunba Richard Adeniyi Adebayo) ৩০ অক্টোবর, ২০২০ যৌথভাবে নাইজেরিয়ার আবুজায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ‘কমার্শিয়াল ডিসপ্লে রুম’করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগদান করেন এবং নাইজেরিয়ার মন্ত্রী সশরীরে উপস্থিত ছিলেন ।

          অনুষ্ঠানের শুরুতে হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। উভয় মন্ত্রী হাইকমিশনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং বলেন যে এটি বিদেশিদের বিশেষত নাইজেরিয়ার আমদানিকারক এবং বিনিয়োগকারীদেরকে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য এবং বিনিয়োগ পরিবেশ সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদানে ভূমিকা রাখবে। মন্ত্রীদ্বয় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির সাম্প্রতিক প্রবণতার কথা তুলে ধরে দুদেশের স্বার্থে বিশেষ করে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সম্ভাবনা অনুসন্ধানের  প্রয়োজনীয়তার উপরে জোর দেন। উল্লেখ্য, দ্বিপাক্ষিক  বাণিজ্য ১১.২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (২০১৮-১৯ অর্থবছর) থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৪৪.৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে (২০১৯-২০ অর্থবছর) দাঁড়িয়েছে।

          বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি আরো বলেন যে, এ শুভ উদ্যোগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় এক নতুন মাত্রা যোগ করলো। আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতি এবং বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী নাইজেরিয়ার সাথে ব্যবসায়িক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর করার ওপর তাঁর গভীর আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন। টিপু মুনশি সাম্প্রতিক সময়ে স্বাক্ষরিত কয়েকটি সমঝোতা স্মারকসহ  অন্যান্য ক্ষেত্রে দুদেশের  দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন।

          নাইজেরিয়ার মন্ত্রী অতুনবা রিচার্ড প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রার প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের নাইজেরিয়ায় পোশাক শিল্পসহ অন্যান্য খাতে যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

          ‘কমার্সিয়াল ডিসপ্লে রুম’উদ্বোধনের পর উভয় মন্ত্রী ‘নাইজেরিয়ান-বাংলাদেশি চেম্বার অভ্‌ কমার্স’ এবং ‘নাইজেরিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস এন্ড টেকনোলজি ফোরাম’ এর উদ্বোধন করেন। চেম্বার এর সভাপতিদ্বয় দু’দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালনের দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠান শেষে উভয় মন্ত্রী পরস্পরকে দেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং তাঁরা আমন্ত্রণ সাদরে গ্রহণ করেন। 

          অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্য সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন, বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, নাইজেরিয়ার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং নাইজেরিয়ার বিভিন্ন চেম্বার ও বাণিজ্যিক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

#

খাদিজা/সাহেলা/মোশারফ/সেলিম/২০২০/২২২০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ৪১৬৬

সকল ধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েই উন্নত বাংলাদেশ গড়বে

                                            -- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ কার্তিক (৩১ অক্টোবর) :

          স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতি, ধর্ম-বর্ণ, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে হবে।

          মন্ত্রী আজ রাজধানীতে শ্রী শ্রী মাধ্ব গৌড়ীয় মঠের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

          স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সকল ধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেমন দেশ স্বাধীন করেছে, তেমনি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ২০৪১ সালের আগেই উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ বিনির্মাণ করবে।

          মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ধারক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশের কৃষক-শ্রমিক-মেহনতীসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে না পারলে এই অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে।

          তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক দেশ। এদেশে সব ধর্মের মানুষ নিজেদের নাগরিক অধিকারসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন যা রাষ্ট্র নিশ্চিত করেছে। ধর্ম যার যার উৎসব সবার জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ইসলাম ধর্মসহ অন্য সকল ধর্মেই স্বাধীনভাবে নিজেদের ধর্ম পালন করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। জাতির পিতার দর্শন মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই মানুষ। সকলের অধিকার আছে একটি দেশে নিজেদের ধর্ম পালন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পূর্ণ নাগরিক অধিকার এবং আত্মসম্মান নিয়ে বসবাস করার।

          মন্ত্রী  জানান, জাতির পিতার আদর্শ ও চেতনাকে নষ্ট করে মানুষের মাঝে দ্বন্দ্ব-বিবাদ সৃষ্টি করতে ধর্মকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে একটি সুবিধাবাদী দল। তারা ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে সকল ধর্মের মানুষের সাথে খেলা করে। তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।

          অনুষ্ঠানে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, ১৯৪৭ থেকে ৭১ পর্যন্ত দীর্ঘ সংগ্রামের পর জাতির পিতা একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ গড়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। তাঁরই সুযোগ‍্য কন‍্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে অসাম্প্রদায়িক চেতনার  মডেল। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সহমর্মিতায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

#

হায়দার/সাহেলা/মোশারফ/সেলিম/২০২০/২০৩০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৪১৬৫

মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে অপপ্রচারের সুযোগ নেই

                        ---তথ্য প্রতিমন্ত্রী

সরিষাবাড়ি (জামালপুর), ১৫ কার্তিক (৩১ অক্টোবর) :  

          তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান বলেছেন, মাদ্রাসা থেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সরকারি চাকরিতে যোগদানে এখন আর কোনো সমস্যা নেই। দু’এক জায়গায় যে সমস্যা রয়েছে তা সহসাই কেটে যাবে।

          তিনি বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে অপপ্রচার করার কোন সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সারা দেশে মাদ্রাসা শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে কেউ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে পড়ে না। বরং মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা তাদের সন্তানকে সঠিকভাবে গড়ে তুলছে। 

          আজ জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে দৌলতপুর মহিলা মাদ্রাসার বৃত্তিপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, পুরস্কার বিতরণ ও আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

          এ সময় উপস্থিত ছিলেন তারাকান্দি ট্রাক ও ট্যাঙ্কলড়ী মালিক সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক মুকুল, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম মানিক, জগন্নাথগঞ্জ পুরাতন ঘাট বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আওনা ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আনোয়ার হোসেন রাঙ্গা, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষকবৃন্দ।

                #

তুহিন/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২০/২০০৫ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ৪১৬৪

বঙ্গবন্ধু বিশ্ব দরবারে নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠস্বর ছিলেন

                                      -- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ কার্তিক (৩১ অক্টোবর) :

          মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাঙালি জাতির পিতাই ছিলেন না, বিশ্ব দরবারে তিনি  নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠস্বর ছিলেন । এ কারণে তিনি বলেছিলেন ‘বিশ্ব দুই শিবিরে বিভক্ত - শোষক আর শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে’।

          মন্ত্রী আজ ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ডুয়েট ছাত্রলীগ এলামনাই এসোসিয়েশন (ডুয়েকা) আয়োজিত মুজিববর্ষ উপলক্ষে  আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায়  এ কথা বলেন।

          মন্ত্রী বলেন, সে সময় যুদ্ধবিধ্বস্ত ও দরিদ্র দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েও তিনি  বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের  মুক্তির কথা  ভাবতেন এবং বলতেন । সে কারণে তিনি প্রভাবশালী  যুক্তরাষ্ট্র বা  সোভিয়েত ব্লকে না গিয়ে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনে যোগ দেন।

          মন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় পাকিস্তান আমলে বাঙালিদের প্রতি বিভিন্ন বৈষম্যের কথা তুলে ধরে বলেন,  অর্থনৈতিক,  রাজনৈতিক, সামাজিক এবং  সাংস্কৃতিক  সকল বৈষম্য হতে জাতিকে মুক্ত করার জন্যই বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধু ২৩ বছরে  বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য ধাপে ধাপে প্রস্তুত করেছেন এবং দেশ স্বাধীন করেছেন।

          মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর  দূরদর্শী নেতৃত্বের  কথা উল্লেখ করে বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের  মিত্রবাহিনীর সদস্যরা এখনও বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে, কিন্তু বঙ্গবন্ধু  মাত্র তিন মাসের মধ্যে ভারতীয়  মিত্রবাহিনীর সদস্যদের নিজ দেশে ফেরত পাঠান। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে পুনর্গঠন করেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য,  গবেষণা এমনকি প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জনের সকল  পরিকল্পনা তিনি গ্রহণ করেছিলেন । বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনাগুলোই বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে।

#

মারুফ/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২০/১৯০০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ৪১৬২

কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাসসংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ১৫ কার্তিক (৩১ অক্টোবর) :

 ‌                  স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১ হাজার ৫৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৩২০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ৭ হাজার ৬৮৪ জন।

          গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জন-সহ এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৯২৩ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।

          করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ২৪ হাজার ১৪৫ জন।

#

হাবিবুর/নাইচ/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৮৩০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ৪১৬৩

বাংলাদেশের অর্জনগুলো প্রকাশিত হলে দেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হবে

                                                       --- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ কার্তিক (৩১ অক্টোবর):

          বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্জনগুলোর প্রকাশিত হলে দেশের ভাবমূর্তি দেশে-বিদেশে আরও উজ্জ্বল হবে। বিদেশীরা ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিনিয়োগ করতে আকৃষ্ট হবে। এ পর্যন্ত  ৯৮ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। মুজিব বর্ষেই গ্রিড এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হবে।

          প্রতিমন্ত্রী আজ এনার্জি এন্ড পাওয়ার পত্রিকার উদ্যোগে আয়োজিত ‘পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র: সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়নের উদাহারণ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, লক্ষ্যস্থির রেখে একাগ্রচিত্তে নেতৃত্ব দিতে পারলে সাফল্য আসবেই। বিদ্যুৎ খাত তাঁর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। নতুন প্রজন্মদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পায়রা প্রকল্পে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। এসব দেখে তারা বাংলাদেশ নিয়ে আরো বড় আকারে চিন্তা করবে। বাংলাদেশে ১৬টি প্রকল্পে (সরকারি-৪টি, বেসরকারি-৭টি, জয়েন্ট ভেঞ্চার- ৫টি) কয়লাভিত্তিক ১৫ হাজার ৭৫২ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ বাস্তবায়নাধীন।

          অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক শাহ আব্দুল মওলা হেলাল। তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ, পরিবেশবান্ধব যন্ত্রাদির ব্যবহার, কয়লা সরবরাহ ও পরিবহণ,  বিদ্যুৎ ইভাকেশন, পুনর্বাসন, নিরাপদ ও নিরাপত্তা বিধান ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করেন।

          দ্রুত উন্নয়নের ফলে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিবি) এবং চায়না মেশিনারি এমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন (সিএমসি), চায়না এর যৌথ উদ্যোগে গত ১ অক্টোবর ২০১৪ বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) গঠিত হয়। কোম্পানিটি পটুয়াখালীর কলাতলা উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নে পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প শুরু করে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নকল্পে গত ২৯ মার্চ ২০১৬ তারিখে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) এবং এনইপিসি ও সিইসিসি, চায়না-এর কন্সোর্টিয়ামের মধ্যে ইপিসি(ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রোকিউরমেন্ট এবং কন্সট্রাকশন) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। জানুয়ারি ২০২০-এ প্রথম ইউনিট এবং সেপ্টেম্বর ২০২০-এ দ্বিতীয় ইউনিট সিঙ্ক্রোনাইজ করা হয়। আশা করা হচ্ছে নভেম্বর ২০২০-এ সিওডি ( কমার্শিয়াল ওপেনিং ডেট)  সম্পন্ন হবে।

          এনার্জি এন্ড পাওয়ার  পত্রিকার সম্পাদক মোল্লাহ মোঃ আমজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম তামিম, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ বেলায়েত হোসেন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফিরোজ আলম, বুয়েটের সহযোগী অধ্যাপক কাজী বায়োজিত কবির ও নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার এ এম খোরশেদুল আলম বক্তব্য রাখেন।

#

আসলাম/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/১৮০৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ৪১৬১

পার্বত্য অঞ্চলে মৎস্য উৎপাদনে আমূল পরিবর্তন আনা হবে
                             -- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

রাঙামাটি, ১৫ কার্তিক (৩১ অক্টোবর):

          পার্বত্য অঞ্চলে মৎস্য উৎপাদনে আমূল পরিবর্তন আনা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী 
শ ম রেজাউল করিম।

          আজ রাঙামাটিতে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)-এর কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রে কাপ্তাই হ্রদে বিএফডিসি'র কার্যক্রম অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান। বিএফডিসি'র চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদের সভাপতিত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

          সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মৎস্য উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এ পরিবর্তন শুধু দেশেই নয়, বহির্বিশ্বেও আমাদের সম্মান বৃদ্ধি করেছে। মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে, ইলিশ উৎপাদনে অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। তিনি মনে করেন দেশের বদ্ধ জলাশয় থেকে শুরু করে ছোট খাল, হাওর-বাঁওড়, লেক, বিল সর্বত্রই মাছের চাষ হবে।’

          মন্ত্রী আরো বলেন, ‘মৎস্য ব্যবস্থাপনাকে কীভাবে আরো উন্নত করা যায় সেটা সরেজমিনে দেখার জন্য আমরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছি। কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ বন্ধকালে অতীতে কখনো মৎস্যজীবীদের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হতো না। এবছর লেকে মৎস্য আহরণ বন্ধকালে মৎস্যজীবীদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে আগামীতেও এটা অব্যাহত থাকবে।’

          এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘কাপ্তাই হ্রদে অতীতের চেয়ে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। ১২ হাজার ৬ শত মেট্রিক টনের ঊর্ধ্বে এবার উৎপাদন হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে কাপ্তাই হ্রদে মাছের উৎপাদন ১৫ হাজার মেট্রিক টনের ঊর্ধ্বে চলে যাবে। এতে এ অঞ্চলের মানুষ যেমন মাছ পাবে, তাদের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূর্ণ হবে, এ মাছ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে তাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে। আমাদের এখনকার লক্ষ্য কাপ্তাই হ্রদের ব্যবস্থাপনা। যাতে হ্রদের পরিবেশ দূষণ না হয়, অবৈধভাবে এখান থেকে মা মাছ বা পোনা মাছ যাতে কেউ ধরতে না পারে। আমরা পরিকল্পিতভাবে কাপ্তাই হ্রদকে আরো উন্নত ও সমৃদ্ধ করে এর ঐতিহ্য বাড়াবো। মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করবো।’

          সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘যে জাল দিয়ে মাছের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ছোট মাছ ধরা পড়ে, মাছের পোনা নষ্ট হয়-এ জাতীয় কোনো জাল দিয়ে মাছ ধরতে দেয়া হবে না। যারা অবৈধ জাল ব্যবহার করবে তাদেরকে আইনের আওতায় আসতে হবে। মোবাইল কোর্টে তাদের সর্বনিম্ন সাজা হবে এক বছরের কারাদণ্ড। এমনকি জরিমানাও হতে পারে। এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান খুবই কঠোর।’

          পরে কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। এরপর রাঙামাটি জেলায় মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কার্যক্রম পরিদর্শন এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের রাঙামাটি নদী উপকেন্দ্রের গবেষণা অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় যোগ দেন তিনি।

#

ইফতেখার/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/১৮৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ৪১৬০

তৃণমূলে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে কমিউনিটি পুলিশিং

                                                         -- গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী

ময়মনসিংহ, ১৫ কার্তিক (৩১ অক্টোবর):

          গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, সমাজের তৃণমূলে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে কমিউনিটি পুলিশিং।

          আজ ময়মনসিংহ টাউন হলের তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ আয়োজিত কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে আয়োজিত কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, পারিবারিক জীবন হতে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা পর্যন্ত সর্বত্র শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ বাহিনী। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন, মাদকের বিস্তার রোধ, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি এমনকি ভূমিদস্যুদের প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে পুলিশ বাহিনী।

          প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, তাদের সহযোগিতার মাধ্যমে কমিউনিটি পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শুধু আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কিংবা সরকারের একার পক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেকটাই দুরূহ কাজ। সমাজের প্রতিটি স্তরের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করে তাহলে এই কঠিন কাজটি অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়ে ওঠে। আর এ কাজটি খুব দক্ষতার সাথে পরিচালনা করছে কমিউনিটি পুলিশের সদস্যগণ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করছে কমিউনিটি পুলিশের সদস্যগণ। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি এমনকি গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় তথ্য প্রদানের মাধ্যমে তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান করছে পুলিশ বাহিনীকে।

          ভবিষ্যতে কমিউনিটি পুলিশিং ধারণার আরো আধুনিক সংস্করণ বিট পুলিশিং কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই কর্মকাণ্ডকে আরো বেগবান, যুগোপযোগী এবং কার্যকর করে তোলা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের সকল সেক্টরে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের পাশাপাশি পুলিশ বাহিনীতে চেইন অভ্‌ কমান্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগের মাধ্যমে বাহিনীর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একই সাথে তাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারিত করা হয়েছে। ফলে পুলিশ বাহিনীতে গতিশীলতা বৃদ্ধি  এবং সদস্যদের কর্মস্পৃহা, কর্মদক্ষতা এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে।

          ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ কামরুল হাসান ও জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান।

          অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের অন্য নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

#

রেজাউল/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/১৮৪৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ৪১৫৯

ফরিদপুর ও মাগুরায় নতুন রেলপথ নির্মাণে বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন রেলপথ মন্ত্রীর

মাগুরা, ১৫ কার্তিক (৩১ অক্টোবর) :  

          রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন আজ ফরিদপুর জেলার কামারখালী থেকে মধুখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত নতুন ব্রডগেজ লাইন নির্মাণ প্রকল্পের এলাইনমেন্ট অনুযায়ী কয়েকটি জায়গা পরিদর্শন করেন।

          পরিদর্শন শেষে মাগুরায় জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় মন্ত্রী বলেন, রেলওয়ে খাত একসময় অবহেলিত ছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রেলওয়েকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, যে দেশ যত উন্নত সে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা তত‌ই উন্নত। রেলকে বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন চিন্তা করা যায় না। আর এ লক্ষ্যেই উন্নত দেশের মতো পরিকল্পনা করে রেল খাতে উন্নয়ন চিন্তা করা হচ্ছে।

          মন্ত্রী উল্লেখ করেন, প্রতিটা জেলায় রেল সংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বর্তমানে ১০৭টি রেলওয়ে স্টেশন বন্ধ রয়েছে। লোক নিয়োগের মাধ্যমে স্টেশনগুলো চালু করা গেলে অধিকহারে যাত্রী সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।

          মাগুরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, নতুন রেললাইন নির্মাণের মাধ্যমে মাগুরা জেলায় রেল যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। এটি নির্মাণের ক্ষেত্রে এলাইনমেন্ট অনুযায়ী কিছু মানুষের আপত্তি রয়েছে তা সরেজমিনে দেখার জন্য তিনি এসেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। এসব সমস্যা মিটিয়ে আগামী জানুয়ারির মধ্যে বাস্তব কাজ শুরু করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

          রেলপথ মন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ আবদুর রহমান, সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ শামসুজ্জামান সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ।

                #

শরিফুল/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২০/১৮২৩ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ৪১৫৮

রোগীদের সাথে মানবিক আচরণ করার আহ্বান শিল্প প্রতিমন্ত্রীর

ঢাকা, ১৫ কার্তিক (৩১ অক্টোবর) :  

          রোগীদের সাথে সবসময় মানবিক আচরণ করা ও তাদেরকে আন্তরিক সেবা প্রদানের জন্য বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। করোনার এই ক্রান্তিলগ্নে অনেক বড় বড় হাসপাতাল রোগীদের সাথে নিষ্ঠুর আচরণ করেছে যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

          আজ রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে মিরপুর জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রূপনগর শাখার উদ্বোধনকালে শিল্প প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। 

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সরকার চিকিৎসা সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। কমিউনিটি হাসপাতাল স্থাপন করে অত্যন্ত স্বল্প খরচে গ্রামীণ জনপদে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিয়েছে সরকার। প্রতিমন্ত্রী এসময় মফস্বল এলাকায় সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডাক্তারদের নিয়মিত অবস্থান ও রোগীদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে সেবা প্রদানের জন্য ডাক্তারদের প্রতি আহ্বান জানান।

          কামাল আহমেদ মজুমদার স্বল্পমূল্যে উন্নত চিকিৎসা ও গরিব-অসহায়দের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদানে আন্তরিক হবার জন্য সকল সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সেবার নামে রোগীদের হয়রানি করা যাবে না। তিনি বলেন, সকলের জন্য মানসম্পন্ন চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা গেলে দেশের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।

          মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসার জন্য শুধু হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করলে হবে না, আধুনিক যন্ত্রপাতি, দক্ষ টেকনিশিয়ান ও নার্সও নিশ্চিত করতে হবে। রোগ নির্ণয় ছাড়া অপ্রয়োজনীয় ঔষধ প্রেসক্রাইব না করার জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান। বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সেবার মান বজায় রাখতে সার্বক্ষণিক তদারকি আরো জোরদার করার জন্য সংশ্লিষ্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান শিল্প প্রতিমন্ত্রী। স্থানীয় জনগণকে স্বাস্থ্য সচেতন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা আহ্বান জানিয়ে শিল্প প্রতিমন্ত্রী ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৭নং ওয়ার্ডকে মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সব ধরণের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।

#

মাসুম/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২০/১৮৪৫ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                             

2020-11-01-10-36-ef1685013de7a7e301b845531bb0f563.docx